

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয়
উৎসব শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
আজ রবিবার (৭ জুলাই) আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের
দ্বিতীয়া তিথিতে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) কুমিল্লা জগন্নাথপুর শ্রী শ্রী
জগন্নাথ দেবের মন্দির ও নগরী ঠাকুরপাড়া রামকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দিরের যৌথ আয়োজনে শ্রী
শ্রী জগন্নাথপুর মন্দিরে সকাল ৭টা হতে যথাক্রমে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের পূজা ও দর্শন
আরতী, বিশ্ব শান্তি কামনায় অগ্নিহোম যজ্ঞ, ভজন কীর্তন, বাউল সংগীত ও পদাবলী কীর্তন
এবং মহাপ্রসাদ বিতরণ ও দুপুর ২টায় ধর্মসভা শেষে ভক্ত সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।
পৃথক পৃথক রথারোহণ, শুভ আরতি ও মহা হরিনাম সংকীর্তন সহযোগে জগন্নাথ মন্দির হতে চকবাজার-রাজগঞ্জ-কান্দিরপাড়
হয়ে ঠাকুরপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দির এসে শেষ হয় বর্ণাঢ্য শুভ রথযাত্রা।
ওই শোভাযাত্রায় লাখো পূণ্যার্থী ও ভক্তের সমাগম ঘটে। এতে সকল ধর্মের মানুষের উপস্থিতি
ছিলো চোখে পড়ার মতো। এরপর সন্ধ্যায় গুন্ডিচা মন্দিরে সন্ধ্যারতি কীর্তন ও ভজন কীর্তন
এবং রাত ৮টায় ঠাকুরপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দিরে শ্রী শ্রী জগন্নাথ লীলামৃত
ও মহাপ্রসাদ বিতরণ।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, জগন্নাথদেব
হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগৎ হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছেন
জগতের ঈশ্বর। তার অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়। জীবরূপে তাকে আর জন্ম নিতে হয়
না। এই বিশ্বাস থেকেই রথের ওপর জগন্নাথ দেবের প্রতিমূর্তি রেখে রথ নিয়ে যাত্রা করেন
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
আজ কুমিল্লা জগন্নাথ মন্দিরে বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞের মধ্য দিয়ে রথযাত্রা উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দুপুর দুইটায় ধর্ম সভা শেষে সাড়ে ৪টায় বেলুন উড়িয়ে রথযাত্রার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম । এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা-৭ সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।
রথযাত্রা মহোৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে
স্থানীয় সরকার মন্ত্রীস্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম
বলেন- অসম্প্রদায়িক দেশ গড়তেই বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল দেশের
হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকল ধর্ম জাতির মানুষ সম্মিলিতভাবে স্বপ্নের সোনার বাংলা
বিনির্মাণ করবে। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫আগস্ট নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্য্যা করে এই
স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করতে চেয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধী চক্র৷ পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিলো
ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতে৷ এই বিভাজন আমরা মানতে পারিনি বলে পরবর্তীতে অসম্প্রদায়িক
চেতনাকে বুকে ধারণ করে দেশ স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশে তাই কোন ধর্মীয় বৈষম্য থাকবে না৷
শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের সভাপতি
শ্রীমান সুদর্শন দাশ ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে ধর্মসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা
পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার
মু. মুশফিকুর রহমানসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
কুমিল্লা সদর উপজেলার জগন্নাথপুরের শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের মন্দির হতে রথযাত্রার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে শ্রী জগন্নাথদেব, বলদেব ও শুভদ্রাদেবের ৩টি পৃথক রথারোহনের মাধ্যমে মাসির বাড়ি পাথুরিয়া পাড়া আগমন করেন। সেখান তিনি প্রায় আটদিন অবস্থান করার পর পুনরায় উল্টো রথে নিজ বাড়ীতে ফিরে যাবেন। প্রতি বছর হাজার হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সমাগম ঘটে থাকে রথযাত্রা উৎসবে।
এদিকে, আগামী ১৪ জুলাই রবিবার (উল্টো
রথযাত্রা) গুন্ডিচা মন্দিরে সকাল ৭টা হতে যথাক্রমে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেব এর পূজা ও
দর্শন আরতি, বিশ্ব শান্তি কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ, ভজন কীর্তন ও মহাপ্রসাদ বিতরণ এবং
দুপুর ২টায় ধর্মসভা শেষে ভক্ত সমাবেশ ও পৃথক পৃথক রথারোহণ, শুভ আরতি ও মহাহরিনাম সংকীর্তন
সহযোগে ঠাকুরপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দির হতে কান্দিরপাড়, রাজগঞ্জ ও
চকবাজার হয়ে জগন্নাথপুর মন্দির পর্যন্ত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা'র মধ্যদিয়ে শেষ হবে রথযাত্রা
মহোৎসব।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল,প্রতিবেদন:
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে খেলায় অংশ নেন প্রাক্তন ফুটবলার, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় প্রীতি ম্যাচের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো: সাইফুল ইসলাম।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য সচিব মোঃ আফাজ উদ্দিন, এডহক কমিটির সদস্য আহসান উল্লাহ স্বপন, আরিফ খান, খালেদ সাইফুল্লাহ, মাহির তাজওয়ার ওহি।
প্রীতি ফুটবল ম্যাচে লাল দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু, সবুজ দলের অধিনায়ক ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম।
কাকভেজা বৃষ্টিতে খেলায় মেতে উঠেন বিভিন্ন পেশার এ মানুষেরা।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়ারবাজারে ঝুঁকিপূর্ণ ইউটার্নের পরিবর্তে নিরাপদ ও প্রশস্ত একটি নতুন ইউটার্ন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ের সামনে থাকা ইউটার্নটি থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ মিটার দূরে নতুন ইউটার্ন তৈরি করা হবে।
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান, কুমিল্লা সেনাবাহিনীর ২৩ বীরের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা, বিআরটিএ কুমিল্লা সার্কেলের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক আলম, আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ, চান্দিনা ও দাউদকান্দি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা।
জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার বলেন, “নতুন ইউটার্নগুলো আরও প্রশস্ত করে নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি নতুন ইউটার্ন এলাকায় একটি করে লেন বৃদ্ধি করা হবে, যাতে যানবাহন নির্বিঘ্নে ঘুরতে পারে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো চিহ্নিত করে সেখানে নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
সভায় আরও জানানো হয়, মহাসড়কের পাশে থাকা হোটেল-রেস্টুরেন্ট বা ফুয়েল স্টেশনের সামনে থেকে বাস কাউন্টার সরাতে হবে।পদুয়ারবাজারের দক্ষিণ পাশে ফুটওভার ব্রিজের নিচ থেকে সব ধরনের বাস কাউন্টার ও স্টপেজ অপসারণ করা হবে।
আলেখার চর এলাকায় শহরমুখী লেনে প্রবেশ করা বাসগুলোর জন্য যুদ্ধজয় ভাস্কর্যের দক্ষিণ পাশে আরেকটি নিরাপদ ইউটার্ন নির্মাণ করা হবে।এছাড়া সভায় জানানো হয়, পদুয়ারবাজারে চলমান ইউলুপ প্রকল্পের ২৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মোট ৫৭টি আপত্তির মধ্যে একটি শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে বাকি সব আপত্তির শুনানি শেষ করে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লার পদুয়ারবাজারে ইউটার্নে প্রাইভেটকারের ওপর কাভার্ডভ্যান উল্টে গিয়ে একই পরিবারের চারজন নিহত হন। ঘটনার পরপরই ইউটার্নটি বন্ধ করে দয়াপুর ইউটার্ন দিয়ে সাময়িকভাবে যানবাহন চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়। নতুন ইউটার্ন নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যবস্থাই বহাল থাকবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ বাজার ও বজ্রপুর এলাকায় ভোক্তা অধিকার বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগে চারটি প্রতিষ্ঠানকে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,কুমিল্লা।
শুক্রবার (২৪ মে) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম এই অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা স্যারনিটারি ইন্সপেক্টর ইসরাইল হোসেন, রাজগঞ্জ ব্যাবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং জেলা পুলিশের একটি টিম।
মন্তব্য করুন


ডিএনসি কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্বাবধানে ও উপপরিদর্শক তমাল মজুমদার এর নেতৃত্বে ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ তারিখ বিকালে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন নিমসার বাজারের পশ্চিম পাশে গাড়ীচালকদের বিশ্রামাগারের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রাস্তার উপর সততা সার্ভিস নামীয় বাস তল্লাশী করে ১০ কেজি গাঁজাসহ মোসা: শিল্পী (৪০) ও রিণা আক্তার (২৭) নামীয় সহোদর ০২ বোনকে কে আটক করা হয়।
আটককৃত আসামীরা নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ছোট ফাউসা গ্রামের মো: নুর ইসলাম এর মেয়ে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক তমাল মজুমদার বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা মুরাদনগরে সংবাদ সংগ্রহকালে
সাংবাদিকদের উপর হামলা মামলার প্রধান আসামি শুক্কুর আলীকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
সোমবার (১৮ আগস্ট) র্যাবের যৌথ অভিযানে
চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
উপজেলার রহিমপুর গ্রামের মজিদ মিয়ার
ছেলে শুক্কুর আলী।
আজ মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে তাকে
মুরাদনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, গত
৩০ জুলাই মুরাদনগরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের
প্রতিবাদে ছাত্র জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
এ সময় মিছিলে অতর্কিত হামলা করে দুষ্কৃতকারীরা।
হামলায় ৭ জন সাংবাদিক আহত হয়।
এ ঘটনায় দৈনিক খোলা কাগজের কুমিল্লা
প্রতিনিধি শাহ ইমরান বাদি হয়ে চারজনকে জ্ঞাত ও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত করে মুরাদনগর থানায়
মামলা দায়ের করে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান জানান, সাংবাদিকদের উপর হামলা মামলার আসামী শুক্কুরকে চট্টগ্রাম থেকে র্যাব গ্রেফতার করে। আজ সকালে মুরাদনগর থানায় হস্তান্তর করে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা শেষে রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লার চান্দিনায় একটি ফুড প্রডাক্ট
কোম্পানিকে অবৈধভাবে ড্রামের সয়াবিন তেল বোতলজাত করে অতিরিক্ত দামে বিক্রি ও ভেজাল
পণ্য উৎপাদনের দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,
কুমিল্লা।
আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) উপজেলার হারঙ
ইউনিয়নের উদিলার পাড় এলাকায় “রহমান কনজিউমার ফুড প্রডাক্ট লিমিটেড”-এর কারখানায় এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ড্রামের
সয়াবিন তেল কোনো প্রক্রিয়াজাতকরণ ছাড়াই বোতলে ভরে সরকারি মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি
করছে। এছাড়া, “রূপচাঁদা”
ব্র্যান্ডের নকল মোড়ক ব্যবহার করে ভোক্তাদের প্রতারণা করা হচ্ছিল। প্রতিষ্ঠানটি “কেওড়া
জল” নামে একটি পণ্য তৈরি করছে, যাতে সুগন্ধি
ও সাধারণ পানি মিশিয়ে লেবেলবিহীনভাবে বাজারজাত করা হয়। পাশাপাশি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে
খাদ্যপণ্য উৎপাদনের প্রমাণ পাওয়া যায়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর অধীনে প্রতিষ্ঠানটিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যবিধি ও ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা
অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া।
উক্ত অভিযান সহযোগিতা করেন বিএসটিআই’র ফিল্ড অফিসার ইকবাল আহমেদ, জেলা স্যানিটারি
ইন্সপেক্টর মো. শওকত আলী, অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন এবং কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি
টিম।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা-৬ আসনের মনোনীত কুমিল্লা মহানগরীর আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদের উপস্থিতিতে এক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় ধনাইতরী এলাকায় অনুষ্ঠিত এ উঠান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের সহ-সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম।প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, “দেশে ন্যায্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা প্রয়োজন। সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেশবাসীর প্রত্যাশা।তিনি বলেন, “বাস স্ট্যান্ড, টেম্পু স্ট্যান্ড দখল,বাজরে বাজারে চাঁদাবাজি কোনোভাবেই চলতে দেওয়া যাবে না। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, অথচ বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ঘুণে ধরা। আমরা একটি আদর্শ, ন্যায়নিষ্ঠ ও মানবিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই।কোরআনের আয়াত উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, “হে মানুষ, তোমরা রবের দাসত্ব করো—এটাই মানবমুক্তির পথ।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণের সেবক হবো তাদের কাছে আমরা জবাবদিহি করব, জনগণের প্রতিটি টাকার হিসাব ইনশাআল্লাহ পাইপাই করে বুঝিয়ে দেব।”বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বরোড অঞ্চল পরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী অধ্যাপক সাইফুল হক চৌধুরী, ২৭ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি কবির আহমেদ পাটোয়ারী ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারি ইব্রাহিম খলিল, আমিনুল ইসলাম, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুর রশিদ, মাওলানা নুরুজ্জামান, মাওলানা মাসুদ ও আব্দুর রহমান প্রমুখ।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জামায়াত নেতা আব্দুল হান্নান।
এর আগে বিকাল চারটায় সদর দক্ষিণ উপজেলা কনেশ তলা বাজারে নেতাকর্মীদের বেপক উপস্থিতিতে গণসংযোগ করেন কুমিল্লা মহানগরীর আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,সদর দক্ষিণ উপজেলা আমির মোঃ মিজানুর রহমান, সেক্রেটারি মু.ওমর ফারুক,কুমিল্লা মহানগর ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি মাও:তাজুল ইসলাম, গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়ন সভাপতি মিজানুর রহমান,আরও উপস্থিত ছিলেন মু.ইব্রাহিম,আব্দুল হালিম, খোরশেদ আলম, উপজেলা শ্রমিক কাল্যাণ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমসহ স্হানীয় নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন


জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের জেরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ
অভিযানে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ৭ মার্চ রাত সাড়ে দশটার দিকে জমি নিয়ে বিরোধের এক পর্যায়ে কামাল উদ্দিন (৪৩) ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে আব্দুল মালেকের (৬৫) মাথায় আঘাত করেন। আহত অবস্থায় আব্দুল মালেককে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা রাত সাড়ে তিনটায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে চৌদ্দগ্রামের কৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে আটজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কামাল উদ্দিন (৪৩),জয়নুল আবেদিন (৫২), তাহমিনা আক্তার (৩৫), শামসুন্নাহার (৪০), সফুরা খাতুন (৬৫), রোজিনা আক্তার (২২), শাহিদা বেগম (৫৫) ও হাসি (২০)।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
সমুদ্র দেখার আনন্দযাত্রা পরিণত হলো মৃত্যুর মিছিলে। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় কুমিল্লার একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় কক্সবাজার পৌঁছানোর মাত্র ৫০ কিলোমিটার আগে ফাঁসিয়াখালী হাঁসের দিঘি সেনা ক্যাম্পের দক্ষিণে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত পাঁচজনই কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চান্দিশকরা গ্রামের বাসিন্দা আমিনুল হকের পরিবারের সদস্য। তারা হলেন: আমিনুল হকের বোন সাদিয়া হক (কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ ১৫তম ব্যাচের ছাত্রী), আমিনুল হকের শ্যালিকা ফারজানা মজুমদার (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্রী), আমিনুল হকের স্ত্রী, আমিনুল হকের বৃদ্ধা মা, আমিনুল হকের শাশুড়ি।
এছাড়া দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আমিনুল হক, তার শিশুকন্যা এবং শ্যালক। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মালুমঘাট খ্রিস্টান হাসপাতালে পাঠান। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এলাকা ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা থেকে কক্সবাজারগামী পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসটির সঙ্গে চকরিয়ার হাঁসেরদিঘী এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা মারছা পরিবহনের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের তীব্রতায় মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওসি মেহেদী হাসান দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তিনি বলেন, “দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার অভিযান চালাই। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং নিহতদের মরদেহ মালুমঘাট খ্রিস্টান হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ওসি মেহেদী হাসান আরও বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দ্রুতগতি এবং অসতর্কভাবে গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। তদন্তের পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা জানান, মহাসড়কের ওই অংশে দীর্ঘদিন ধরে গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। তারা দ্রুত সেখানে স্পিডব্রেকার ও সাইনবোর্ড স্থাপনের দাবি জানান।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা–০৬ (সদর, সদর দক্ষিণ, সিটি কর্পোরেশন ও সেনানিবাস) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে টানা ১১ দিন ধরে মাঠে অবস্থান করছেন স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে থেকে বিকাল পর্যন্ত নগরীর কান্দিরপাড়স্থ দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তারা আন্দোলনের একাদশ দিন পার করেন। দলীয় কার্যালয়ের সামনে সকাল থেকেই ভিড় জমতে থাকে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের।
নেতাকর্মীরা জানান, ৩ নভেম্বর রাতে মহাসড়ক অবরোধের মধ্য দিয়ে এই আন্দোলনের সূচনা হয়। পরদিন ৪ নভেম্বর নগরীর কান্দিরপাড়সহ বিভিন্ন স্থানে মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী দিনগুলোতে নারী সমর্থকদের সমাবেশ, গণ–ইফতার, দোয়া মাহফিল, সংবাদ সম্মেলন, তারুণ্যের সমাবেশ, গণস্বাক্ষর কর্মসূচি—সব মিলিয়ে টানা ১১ দিন ধরে একের পর এক কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা।
বৃহস্পতিবারের অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন মহানগর, সদর উপজেলা, সদর দক্ষিণ উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আকবর হোসেনের সাবেক পিএস আমিনুল ইসলাম, আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা হাজী নাসির উদ্দিন, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য হাজী শাহজাহান, মামুনুর রশিদ, জগন্নাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম মেম্বার, পাঁচথুবী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. কাইয়ূম, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম–আহ্বায়ক সালমান সাঈদ, মহানগর যুবদলের যুগ্ম–আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন, যুবদল নেতা মনছুর নিজামী, আরিফুর রহমান সুমন, আমড়াতলী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মো. আলমগীর হোসেন, সদস্য সচিব শাহজাহান সাজু, মহানগর ছাত্রদল নেতা রবিন খাঁনসহ অনেকে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, হাজী ইয়াছিন শুধু রাজনীতিক নন, তিনি দলের সংকটে আশ্রয়দাতা হিসেবে পরিচিত। দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে আইনি ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন, আন্দোলন-সংগঠনে রেখেছেন সক্রিয় ভূমিকা। অথচ এ আসনে এমন একজনের নাম আলোচনায় এসেছে, যিনি এলাকার রাজনীতি বা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
আমড়াতলী ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব শাহজাহান সাজু বলেন, আমরা যাঁর নেতৃত্বে রাজনীতি করি, যিনি হামলা-মামলার সময় আমাদের আশ্রয় দেন, সেই ইয়াছিন ভাইয়ের পরিবর্তে বাইরের কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হলে আমরা তা মেনে নেব না।
মহানগর যুবদল নেতা মনছুর নিজামী বলেন, কুমিল্লা–৬ আসনে বিএনপির রাজনীতির প্রাণকেন্দ্রে আছেন হাজী ইয়াছিন। তিনি দলের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ নেতা, যাঁকে বাদ দিয়ে এ আসনে কোনো গণভিত্তিক রাজনীতি করা সম্ভব নয়।
যুবদল নেতা আরিফুর রহমান সুমন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবি জানাচ্ছি। গণস্বাক্ষর, ইফতার, দোয়া মাহফিল—সবই তৃণমূলের বার্তা কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে। দল যেন এই বার্তাকে সম্মান জানায়, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।
অবস্থান কর্মসূচি শেষে নেতাকর্মীরা ঘোষণা দেন—তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন