

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয়
উৎসব শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
আজ রবিবার (৭ জুলাই) আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের
দ্বিতীয়া তিথিতে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) কুমিল্লা জগন্নাথপুর শ্রী শ্রী
জগন্নাথ দেবের মন্দির ও নগরী ঠাকুরপাড়া রামকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দিরের যৌথ আয়োজনে শ্রী
শ্রী জগন্নাথপুর মন্দিরে সকাল ৭টা হতে যথাক্রমে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের পূজা ও দর্শন
আরতী, বিশ্ব শান্তি কামনায় অগ্নিহোম যজ্ঞ, ভজন কীর্তন, বাউল সংগীত ও পদাবলী কীর্তন
এবং মহাপ্রসাদ বিতরণ ও দুপুর ২টায় ধর্মসভা শেষে ভক্ত সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।
পৃথক পৃথক রথারোহণ, শুভ আরতি ও মহা হরিনাম সংকীর্তন সহযোগে জগন্নাথ মন্দির হতে চকবাজার-রাজগঞ্জ-কান্দিরপাড়
হয়ে ঠাকুরপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দির এসে শেষ হয় বর্ণাঢ্য শুভ রথযাত্রা।
ওই শোভাযাত্রায় লাখো পূণ্যার্থী ও ভক্তের সমাগম ঘটে। এতে সকল ধর্মের মানুষের উপস্থিতি
ছিলো চোখে পড়ার মতো। এরপর সন্ধ্যায় গুন্ডিচা মন্দিরে সন্ধ্যারতি কীর্তন ও ভজন কীর্তন
এবং রাত ৮টায় ঠাকুরপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দিরে শ্রী শ্রী জগন্নাথ লীলামৃত
ও মহাপ্রসাদ বিতরণ।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, জগন্নাথদেব
হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগৎ হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছেন
জগতের ঈশ্বর। তার অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়। জীবরূপে তাকে আর জন্ম নিতে হয়
না। এই বিশ্বাস থেকেই রথের ওপর জগন্নাথ দেবের প্রতিমূর্তি রেখে রথ নিয়ে যাত্রা করেন
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
আজ কুমিল্লা জগন্নাথ মন্দিরে বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞের মধ্য দিয়ে রথযাত্রা উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দুপুর দুইটায় ধর্ম সভা শেষে সাড়ে ৪টায় বেলুন উড়িয়ে রথযাত্রার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম । এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা-৭ সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।
রথযাত্রা মহোৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে
স্থানীয় সরকার মন্ত্রীস্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম
বলেন- অসম্প্রদায়িক দেশ গড়তেই বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল দেশের
হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকল ধর্ম জাতির মানুষ সম্মিলিতভাবে স্বপ্নের সোনার বাংলা
বিনির্মাণ করবে। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫আগস্ট নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্য্যা করে এই
স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করতে চেয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধী চক্র৷ পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিলো
ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতে৷ এই বিভাজন আমরা মানতে পারিনি বলে পরবর্তীতে অসম্প্রদায়িক
চেতনাকে বুকে ধারণ করে দেশ স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশে তাই কোন ধর্মীয় বৈষম্য থাকবে না৷
শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের সভাপতি
শ্রীমান সুদর্শন দাশ ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে ধর্মসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা
পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার
মু. মুশফিকুর রহমানসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
কুমিল্লা সদর উপজেলার জগন্নাথপুরের শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের মন্দির হতে রথযাত্রার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে শ্রী জগন্নাথদেব, বলদেব ও শুভদ্রাদেবের ৩টি পৃথক রথারোহনের মাধ্যমে মাসির বাড়ি পাথুরিয়া পাড়া আগমন করেন। সেখান তিনি প্রায় আটদিন অবস্থান করার পর পুনরায় উল্টো রথে নিজ বাড়ীতে ফিরে যাবেন। প্রতি বছর হাজার হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সমাগম ঘটে থাকে রথযাত্রা উৎসবে।
এদিকে, আগামী ১৪ জুলাই রবিবার (উল্টো
রথযাত্রা) গুন্ডিচা মন্দিরে সকাল ৭টা হতে যথাক্রমে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেব এর পূজা ও
দর্শন আরতি, বিশ্ব শান্তি কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ, ভজন কীর্তন ও মহাপ্রসাদ বিতরণ এবং
দুপুর ২টায় ধর্মসভা শেষে ভক্ত সমাবেশ ও পৃথক পৃথক রথারোহণ, শুভ আরতি ও মহাহরিনাম সংকীর্তন
সহযোগে ঠাকুরপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দির হতে কান্দিরপাড়, রাজগঞ্জ ও
চকবাজার হয়ে জগন্নাথপুর মন্দির পর্যন্ত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা'র মধ্যদিয়ে শেষ হবে রথযাত্রা
মহোৎসব।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা সদরের ৬নং জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড জগন্নাথপুর চৌমুহনীতে প্রতি বছরের মতো এবারও যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে নুরুন্নবী (সাঃ) এর নূরানী শুভাগমন উপলক্ষে ৪র্থ বার্ষিকী ঈদে মাজিউন্নবী ও ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন উপলক্ষে নাতে মোস্তফা ও ওয়াজ মাহফিল উদযাপন করেছেন জগন্নাথপুর যুব সমাজ।
গতকাল রবিবার (৩০ নভেম্বর) বিকাল হতে মধ্যরাত ব্যাপী জগন্নাথপুর চৌমুহনীর নুরে মোহাম্মাদীয়া জামে মসজিদের পাশের মাঠে এই নাতে মোস্তফা ও ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
জিকিরুল্লাহ ইসলামীয়া যুব কমিটি জগন্নাথপুর শাখার সভাপতি মোহাম্মদ গোলাম রানা শাহাপুরীর সঞ্চালনায় নুরে মোহাম্মাদীয়া জামে মসজিদের সভাপতি হাজী মোঃ মিল্লাত হোসেনের সভাপতিত্বে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহাপুর দরবার শরীফের পীর সাহেব সৈয়দ গোলাম মোহাম্মদ আবদুল কাদের কাওকাব।এতে প্রধান বক্তা হিসেবে আলোচনা করেন হযরত শাহ সৈয়দ করম আলী (রাঃ)জামে মসজিদের খতিব মুফতি মোঃ আবদুল কাদের জিহাদী,বিশেষ বক্তা হিসেবে আলোচনা করেন জগন্নাথপুর চৌমুহনির নূরে মোহাম্মদীয়া(সাঃ) জামে মসজিদের খতিব মুফতি মোঃ শাহাজালাল আল্ ক্বাদেরী। মাহফিলে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবন ও আদর্শ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে আলোচনা করা হয় । একই সঙ্গে মহানবীর আদর্শ ও গুণাবলী সবার জীবনে ধারণ ও পালন করার আহ্বান জানান তারা।
ওয়াজ শেষে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে নাতে রাসূল পরিবেশণা করেন চট্টগ্রাম থেকে আগত শায়ের মুহাম্মদ তারেক রেজা ক্বাদেরী, আলা হযরত যুব পরিষদের সভাপতি শায়ের জানে আলম রেজা ক্বাদেরী, শায়ের মুহাম্মদ সাইমুন রেজা ক্বাদেরী, শায়ের মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ক্বাদেরী, শায়ের শহীদুল ইসলাম মিনহাজ।
উক্ত মাহফিলে আয়োজক কমিটির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ রাজন,মোঃ আবাদ মিয়া, মোঃ সাকিব হোসেন, মো.রবিউল আউয়াল রবিন, মো.রাকিব হোসেন শাহপুরী, মোহাম্মদ হানিফ, ইমাম হাসান শুভ, মোঃ হৃদয়, মোঃ জিহাদ, মো.সামি, আলামিন, রবিউল, প্রমুখ।
নাতে রাসূল পরিবেশণা শেষে দেশ ও মুসলিম উম্মাহসহ সমগ্র মানবজাতির কল্যাণে আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে দোয়া ও মাহফিল সমাপ্তি করা হয়।
উল্লেখ্য, আরবি ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল, ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জন্মগ্রহণ করেন। প্রতিবছর তার জন্মদিনকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবে পালন করে থাকে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল:
কুমিল্লা নিউমার্কেটে নিত্যপণ্যের বাজারে
তদারকি অভিযান চালিয়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ
অধিদপ্তর ।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে কুমিল্লা নিউমার্কেটে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মোঃ আছাদুল ইসলাম এই অভিযান পরিচালনা করেন। চলমান বর্ষা মৌসুমকে কেন্দ্র করে সবজিসহ নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি তদারকি করতে এ মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় ভোক্তা অধিকার বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
এ সময় সহযোগিতা করেন স্যানিটারি
ইন্সপেক্টর একে আজাদ এবং জেলা পুলিশের একটি টিম।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,কুমিল্লার
সহকারী পরিচালক মোঃ আছাদুল ইসলাম জানান, অভিযানে মসলা, সবজি, কাচামরিচ, ডিম, ফার্মেসী
প্রভৃতি বিষয়ের ওপর তদারকি করা হয়। অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
করা হয়। জনস্বার্থে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর অভিযানে ৩২.৫ কেজি গাঁজাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ১। বিলকিছ (২৮), ২। আয়েশা বেগম (৪২), ৩। গিয়াস উদ্দীন (২৮) এবং ৪। আব্দুল খালেক (২৯) নামক ০৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ৩২ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। বিলকিছ (২৮) নরসিংদী জেলার রায়পুর থানার কাছারকান্দি গ্রামের হযরত মিয়া এর মেয়ে, ২। আয়েশা বেগম (৪২) একই গ্রামের মৃত বাদশা মিয়া এর মেয়ে, ৩। গিয়াস উদ্দীন (২৮) নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার দূর্গাপুর গ্রামের মৃত হাফেজ আহমেদ এর ছেলে এবং ৪। আব্দুল খালেক (২৯) একই থানার একলাছপুর গ্রামের আব্দুস সোবহান এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত প্রাইভেটকার ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার একজন বাবুর্চি রান্না করার সময় দুর্ঘটনাবশত হাত ও পা ঝলসে যায়।
সোমবার রাত আনুমানিক ৯টায় ঘটে এ দুর্ঘটনা।
দুর্ঘটনার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কোনো ডিউটি ডাক্তার বা নার্সকে পাওয়া যায়নি।
উপায়ান্তর না পেয়ে আহত ব্যক্তি এবং তার সাথে আসা লোকজন হতাশ হয়ে পড়েন।
জরুরী চিকিৎসা সেবা নিতে এসে এই বিড়ম্বনার ঘটনা জানতে পেরে কুমিল্লা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেডিকেল টিমের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে ডাক্তার এবং নার্সকে হাসপাতালে নিয়ে এসে উক্ত রোগীকে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
উক্ত সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন আদর্শ সদর
উপজেলার ইউএনও এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেডিকেল টিমের সদস্যবৃন্দ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার দেবীদ্বারে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ হল রুমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা- ৪ দেবীদ্বার আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আবুল কালাম আজাদ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিগার সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, কুমিল্লা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ ফরহাদ হোসেন, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ মুনীর হোসাইন খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি কাজী মোঃ মতিউল ইসলাম।
মন্তব্য করুন


সুজন মজুমদার, কুমিল্লা :
কুমিল্লা জেলা বরুড়ার সাবেক সফল সংসদ সদস্য মরহুম এ কে এম আবু তাহের ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কুমিল্লাস্থ বরুড়া ছাত্র-ছাত্রী সংসদের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় কুমিল্লা শহরের প্ল্যানেট এসআর ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লাস্থ বরুড়া ছাত্র-ছাত্রী সংসদের উপদেষ্টা আবু নাসের মানিক। তিনি বলেন, “বরুড়া উপজেলার শিক্ষার্থীরা কুমিল্লায় পড়াশোনা করছে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে। কিন্তু অনেকে নানা প্রতিবন্ধকতা ও সীমাবদ্ধতার মধ্যে পড়ে পিছিয়ে যায়। আমাদের এই সংগঠনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের সমস্যা শোনা এবং একে অপরকে সহযোগিতা করা। সংগঠনকে গতিশীল করতে সবাইকে আন্তরিকভাবে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন কল্লোল। তিনি বলেন, “ছাত্র-ছাত্রী সংসদ কেবল নামেই নয়, কাজে যেন বরুড়ার গৌরব ধরে রাখে — এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা সোহেল পারভেজ, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ওমর ফারুক রিপন, সাবেক সভাপতি শাহ মোহাম্মদ ইমরান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন পন্ডিত ও বর্তমান সদস্য সচিব ডা. নাজমুল হাসান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন এনাম মজুমদার, মানিক হোসেন, নূর নাহার মুক্তা, জুথি আক্তার, শরিফ হোসেন ও মেহেদি হাসানসহ আরও অনেকে। তারা কুমিল্লায় অবস্থানরত বরুড়ার ছাত্র-ছাত্রীদের বাসস্থান, পড়াশোনা, নিরাপত্তা ও পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ে নানা মতামত তুলে ধরেন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল,কুমিল্লা:
১৯৭১ সালের ১৮ অক্টোবর কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানায় দেউশ মন্দভাগ বাজারে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে।
১৯৭১ সালের ১৪ অক্টোবর সালদা নদীতে প্রথম আক্রমণের পর ৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ‘সি’ কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার ওহাবের ৭ নং প্লাটুনকে দেউশ-মন্দভাগ এলাকায় প্রতিরক্ষা অবস্থান নিতে নির্দেশ দেন। এলাকাটি দক্ষিণ-পশ্চিমে চান্দলা খাল ও দক্ষিণ-পূর্বে সালদা নদী ঘিরে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সুবেদার ওহাবের নেতৃত্বে প্রায় ৬০ জন মুক্তিযোদ্ধা, ২টি এমজি, ৭-৮টি এলএমজি এবং ৬০ মি.মি. মর্টারসহ দৃঢ় প্রতিরক্ষা অবস্থান গ্রহণ করেন।
শত্রুপক্ষ ৩৩ বালুচ রেজিমেন্টের একটি কোম্পানি ১৭ অক্টোবর রাতে সালদা নদী পথে অগ্রসর হয়। ১৮ অক্টোবর ভোরে চান্দলা খালে মাছ ধরায় নিয়োজিত আবু মিঞা প্রথমে শত্রুর নৌবহরের শব্দ শুনে মুক্তিযোদ্ধাদের সতর্ক করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই শত্রুর প্রথম নৌকাটি প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করলে নায়েক আতাউর রহমান গুলি চালিয়ে আক্রমণ শুরু করেন। মুহূর্তেই মুক্তিবাহিনীর সব পোস্ট সক্রিয় হয় এবং সুবেদার ওহাব নিজে এমজি পজিশনে থেকে ফায়ার নিয়ন্ত্রণ করেন। ভয়াবহ গুলিবর্ষণে পাকিস্তানি সেনাদের ৭-৮টি নৌকা ধ্বংস হয়, বহু সেনা নিহত ও আহত হয়। ভোরের আলো ফোটার পর সুবেদার ওহাব ও তাঁর সহযোদ্ধারা লে. সীমাসহ প্রায় ১৫-২০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেন। নিহত এক হাবিলদারের পকেট থেকে উদ্ধারকৃত চিঠিতে লেখা ছিল- “এখানে মুক্তিবাহিনী নামক বাহিনী আচমকা এসে আক্রমণ করে পালিয়ে যায়, এদের দেখা যায় না।”
এই চিঠি মুক্তিবাহিনীর গেরিলা কৌশলের সার্থকতা প্রকাশ করে।
আহতদের মধ্যে হাবিলদার আকরাম নামের এক সৈনিক জানায়, তাদের নৌকায় মেজর আফ্রিদি ছিলেন যিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিখোঁজ হন। সুবেদার ওহাব আহত আকরামকে হত্যা না করে চিকিৎসার জন্য ক্যাম্পে পাঠান—যা মুক্তিবাহিনীর মানবিক আচরণের উদাহরণ।
অতঃপর সকাল ৯টার দিকে পাকিস্তানি বাহিনী পশ্চিম ও দক্ষিণ দিক থেকে প্রতিআক্রমণ শুরু করে। সুবেদার ওহাবের এমজি ও এলএমজি পোস্ট থেকে গুলি ও মর্টার বর্ষণে শত্রু ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে পিছু হটে যায়। এরপর শুরু হয় আধাঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আর্টিলারি গোলাবর্ষণ, যা অধিকাংশই খাল ও বিলের পানিতে গিয়ে পড়ে। মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ হতাহত না হলেও তাদের দৃঢ় অবস্থান শত্রুকে হতাশ করে।
দুপুরে শত্রু ৪টি হেলিকপ্টার নিয়ে আকাশ থেকে গুলি বর্ষণ করে। এই হামলায় কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হলেও মুক্তিযোদ্ধারা অক্ষত থাকে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলেও সুবেদার ওহাব পরে হেডকোয়ার্টারের সঙ্গে যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করে যুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাঠান।
এই অভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর প্রায় ৫০-৫২ জন নিহত ও ৫০-৫৫ জন আহত হয়, যার মধ্যে ২ জন অফিসারও ছিলেন। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একক অভিযানে শত্রুপক্ষের সর্বাধিক হতাহতের অন্যতম নজির। পাকিস্তানি সেনারা পরবর্তীতে সুবেদার ওহাবকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় ধরিয়ে দিলে ৫০,০০০ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে।
দেউশ-মন্দভাগ অভিযান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায়—যেখানে সুবেদার ওহাবের নেতৃত্ব, মুক্তিযোদ্ধাদের কৌশল, সাহস ও আত্মত্যাগ প্রমাণ করেছিল যে আধুনিক অস্ত্র নয়, স্বাধীনতার অদম্য আকাঙ্ক্ষাই বিজয়ের মূল শক্তি।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৬ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত (১৯ জুন) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন মিয়াবাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ শাহাদত হোসেন (২০) নামের একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ শাহাদত হোসেন (২০) বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার হেরমা গ্রামের মৃত ইমরান হোসেন এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) কুমিল্লা সেক্টর এর উদ্যোগে কুমিল্লায় গোমতী নদী তীরবর্তী বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষদের উদ্ধার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ও নদী রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে ।
২২ আগস্ট ২০২৪, বৃহস্পতিবার কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর অধীন এ বিবির বাজার বিওপির দায়িত্বপূর্ণ গোমতী নদীর তীরবর্তী বন্যাদুর্গত এলাকার অসহায় মানুষদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে পৌঁছে দেয়ার কাজ করছে বিজিবি।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর আরাফাত হোসেন অনি এ ব্যাপারে জানানোর পাশাপাশি আরো বলেন, বিজিবির উদ্যোগে বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রীও বিতরণ করা হচ্ছে।
এছাড়া গোমতী নদীর তীরে ফাটল দেখা দিলে নদীর ভাঙ্গন রোধে স্থানীয় জনসাধারণকে সাথে নিয়ে বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ নির্মাণ করছে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) সদস্যরা।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার
মুরাদনগরে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ইভটিজিং এর অভিযোগে বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়েছে
বহিরাগত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। হামলায় বিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষকসহ আহত হয়েছে প্রায়
১৫ জন। এ ঘটনায় বহিরাগত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের ২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ
শিক্ষার্থীরা। পরে মুরাদনগর থানা পুলিশ ও মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ
সাকিব হাসান খান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে আনেন।
বুধবার
সকালে মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের পরমতলা শব্দর খান উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
মন্তব্য করুন