শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এর আয়োজন করা হয়।
এই সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে
বিভিন্নজনের মতামত প্রকাশ করাকে ঘিরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী তাঁর অভিমত প্রকাশ করেন
।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন
নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল
উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতেও রাতের অন্ধকার দেখে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের
যে উন্নতি ও উচ্চতা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এর লজ্জিত হওয়া নিয়ে
ওবায়দুল কাদের বলেন,
পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে একসময় মনে
হতো বোঝা আর এখন সে বোঝাই উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত
হন।
সেতুমন্ত্রী এটাও বলেন, শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে বিএনপির শিক্ষা নেওয়ার
অনেক কিছু আছে।
বিশ্বে চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গে
কাদের বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে।
এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন। সকল
প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো্ব শুধু না একইসাথে এ যুদ্ধকে না বলার জন্যও
বিশ্বের নেতাদের প্রতি আমাদের নেত্রী আহ্বান জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত
ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক
বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক
রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান
ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর তরুণ-প্রবীণদের সমন্বয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন
করেছেন শেখ হাসিনা। আজ (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা
৭টা ৩ মিনিটে বঙ্গভবনে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর শপথ বাক্য পাঠ
করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। প্রধানমন্ত্রীর পর একে একে ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রীশপথ
নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার
সন্ধ্যা ৭টা ৩ মিনিটে বঙ্গভবনে তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বুধবার
অষ্টমবারের মতো জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হন।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা ৪র্থবারের মতো সরকার গঠন করছে আওয়ামী লীগ। ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। তারমধ্যে নৌকা প্রতীকে ২২২টি আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ।
মন্ত্রী হিসেবে যারা শপথ
নিলেন:
আ
ক ম মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, নূরুল মজিদ হুমায়ূন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডা.
দীপু মনি, মো. তাজুল ইসলাম, মুহাম্মদ ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আনিসুল হক,
হাছান মাহমুদ, মো. আব্দুস শহীদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী,
মো. আব্দুর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, আব্দুস সালাম, মহিবুল হাসান চৌধুরী, ফরহাদ হোসেন,
মো. ফরিদুল হক খান, মো. জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাজমুল
হাসান, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান ও সামন্ত লাল সেন।
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে যারা
শপথ নিলেন:
সিমিন
হোমেন রিমি, নসরুল হামিদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মো. মহিববুর রহমান,
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাহিদ ফারুক, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রুমানা আলী, শফিকুর রহমান
চৌধুরী ও আহসানুল ইসলাম (টিটু)।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর এবার সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি পদে আওয়ামী লীগের
মনোনয়ন পেতে একাধিক অভিনেত্রী মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
মঙ্গলবার
(৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী
লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের ফরম বিক্রি শুরু হয়।
এদিন
মনোনয়ন ফরম কিনেছেন মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগসহ অনেক নেত্রী। পাশাপাশি আছেন তারকা শিল্পী
ও অভিনেত্রীরাও।
মঙ্গলবার
(৬ ফেব্রুয়ারি) সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন ফরম নেওয়া অভিনেত্রীরা হলেন, অপু বিশ্বাস,
নিপুণ আক্তার, সৈয়দা কামরুন নাহার শাহনূর, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সোহানা সাবা, তানভিন
সুইটি, মেহের আফরোজ শাওন ও জাকিয়া মুন। তাদের মধ্যে ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর প্রায় ১২
বছর আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
আগামী
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া
যাবে বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এছাড়া
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত,
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের শোবিজ অঙ্গন থেকে অংশগ্রহণ করেছিলেন আসাদুজ্জামান
নূর, মমতাজ বেগম, ফেরদৌস আহমেদ, মাহিয়া মাহি, ডলি সায়ন্তিনী, নকুল কুমার বিশ্বাস। যাদের
মধ্যে অধিকাংশই পরাজয়ের মুখ দেখেছেন।
মন্তব্য করুন
মানুষ
ভালোবেসেই চিত্রনায়ক ফেরদৌসকে আহমেদকে ভোট দেবেন—এমনটাই বিশ্বাস করেন ঢাকা ১০ আসনে
মনোনয়ন পাওয়া অভিনেতা ফেরদৌস।
আজ
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় এবং
রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে
এ কথা বলেন ফেরদৌস।
চিত্রনায়ক
বলেছেন, ‘আমি বাংলাদেশের একজন সুনাগরিক এবং একজন দায়িত্বশীল মানুষ। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে পড়াশোনা করেছি। আমার পারিবারিক একটা ঐতিহ্য আছে। আমার মধ্যে মানবিকতা আছে, আমি
মানুষের পাশে থেকে তাদের কল্যাণের জন্য এত দিন চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস মানুষ আমাকে
ভালোবেসে ভোট দেবে। আমি চাইব যে, মানুষের জন্য কিছু করতে’।
ফেরদৌস
আরও বলেছেন, ‘ধানমন্ডি বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক জায়গা। বাংলাদেশের জন্মলগ্ন ধানমন্ডি-৩২
নম্বর থেকে শুরু হয়েছে। ধানমন্ডি-৩২ নম্বর থেকে ২৬ মার্চ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। এমন একটি জায়গা
থেকে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তাই ভালো লাগাও কাজ করছে আর চাপও অনুভব করছি’।
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক টুইটে (এক্স হ্যান্ডেলে) তিনি এই শুভেচ্ছা জানান।
টুইটে মোদি লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি এবং সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো ঐতিহাসিক বিজয়ের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি। নির্বাচন সফলভাবে পরিচালনার জন্য আমি বাংলাদেশের জনগণকেও অভিনন্দন জানাই। আমরা বাংলাদেশের সাথে আমাদের স্থায়ী এবং জনকেন্দ্রিক অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নরেন্দ্র মোদির একটি অভিনন্দন বার্তা পৌঁছে দেন।
বাংলাদেশ সরকারের নতুন মেয়াদে সার্বিক উন্নয়নে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। সেই সাথে স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে ভারত সরকার তার সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলেও প্রতিশ্রুতির কথা জানান ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা।
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডে ভয়াবহ আগুনে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপ্রধান শোকবার্তায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
প্রধানমন্ত্রী আহতদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দেন। এ ছাড়া, আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার(২৯ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার
(২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টায় তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ চুক্তি ও
সমঝোতা স্মারক সই হয়। কাতেরের সঙ্গে বাংলাদেশের মধ্যে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি
সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে টাইগার গেটে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী।পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে বৈঠকে বসেন দুই নেতা। দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে দুদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
চুক্তিগুলো
হলো: দ্বৈত কর ও কর ফাঁকি পরিহার, আইনি বিষয়ে সহযোগিতা, সমুদ্র পরিবহন, পারস্পরিক
বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা এবং একটি যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা।
বৈঠকে
বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পাশাপাশি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের ফলে সৃষ্ট মধ্যপ্রাচ্যের বিশেষ
পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
এর বাইরে শ্রমশক্তি, বন্দর পরিচালন, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, কূটনৈতিক
প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে।
এদিকে
দুপুরে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন
হামাদ আল থানির সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এ দিন সন্ধ্যায় বিশেষ
বিমানে করে আমির কাতারের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা রয়েছে। এ সময় বাংলাদেশের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তাকে বিমানবন্দরে বিদায় জানাবেন।
সোমবার
(২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির।
বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী
ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। যেখানে মানুষ ভাতের ফেন খেত, নুন ভাতের কথা বলত, সেখানে আজ আওয়ামী লীগের
আমলে অন্তত ভাতের কষ্ট তো মানুষের নেই,
এটা তো আমরা বলতে
পারি।
জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু
দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৮ মার্চ) ঢাকা
জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ এ আলোচনা সভার
আয়োজন করে।
শেখ
হাসিনা বলেন, সারাদেশে দেখছি একমাত্র আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলো সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিলি করছে। আওয়ামী লীগ দেয়, দিতে জানে, আর সাধারণ মানুষের
পাশে দাঁড়ায়। যারা প্রতিনিয়ত আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা থেকে হটাবে, উৎখাত করবে, নির্বাচন হতে দেবে না বলে, যারা
মানুষ খুন করে, অগ্নি সন্ত্রাস করে, তারা ইফতার দেয় না, ইফতার পার্টিতে খায়।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, আজ দেশের মানুষ
যদি কিছু পেয়ে থাকে, তা আওয়ামী লীগের
হাত থেকেই পেয়েছে। স্বাধীনতা পেয়েছে, গণতন্ত্র পেয়েছে, গণতান্ত্রিক অধিকার পেয়েছে। আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। যেখানে মানুষ ভাতের ফ্যান খেত, নুন ভাতের কথা বলত, বিএনপি যেখানে ডাল ভাতের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছিল, এরপর কেউ একজন আলু খেতে বলল, ভাতের পরিবর্তে আলু খাওয়া, সে আলুও তো
উৎপাদন করতে হয়, সেটাও তো সফলভাবে করতে
পারেনি, সেখানে আজ আওয়ামী লীগের
আমলে অন্তত ভাতের কষ্ট তো মানুষের নেই,
এটা তো আমরা বলতে
পারি। এখন
জিনিসের দাম নিয়ে মানুষ বলছে। মুরগির
দাম বাড়ল কেন, পেঁয়াজের দাম বাড়ল কেন, চিনির দাম, তেলের দাম বাড়ল কেন? একসময় দেশে নুন-ভাতের কথাই মানুষ চিন্তা করত, সেটুকুই জোগাড় করতে পারত না। অন্তত সে অবস্থার পরিবর্তন
এখন আওয়ামী লীগ তো করতে পেরেছে।
ভাত নয়, ডাল-ভাতও নয়, মাছ, গরুর মাংস, মুরগি, পেঁয়াজ- এই জায়গায় তো
চলে আসছে, অন্তত এটুকু তো দাবি করতে
পারি। খাদ্যশস্য
উৎপাদন আমরা চারগুণ বাড়িয়েছি। মাছ-মাংস প্রত্যেকটা জিনিসের উৎপাদন আমরা বাড়িয়েছি। এমনকি মাংসের উৎপাদন আটগুণ বেড়েছে। আমরা নিজেরাই উৎপাদন করি। আটগুণ বেড়েছে উৎপাদন।
আলোচনা
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন ।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের শেষ জনসভা হতে যাচ্ছে। এদিন শেষার্ধে জাতির উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোটের মধ্যে দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে।
১৮ নভেম্বর (শনিবার) সকালে
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি
কার্যক্রম পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা বলেন, দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, যেন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনটা হয়। অনেক
আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা চাই
জনগণের এই ভোটের অধিকার অব্যাহত থাকবে এবং ভোটের মধ্যে দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে। আজকের
দিনে আমাদের আহ্বান অনেক কষ্টে অর্জিত এই গণতান্ত্রিক ধারা যেন কেউ ব্যাহত করতে না
পারে। ভোটের অধিকার,দেশবাসীর অধিকার। ভোট দিয়ে তারা তাদের পছন্দমতো নেতা নির্বাচন
করবে, যারা সংসদে বসবে,আইন পাস করবে,রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। নির্বাচন বানচাল করার
যদি কেউ চেষ্টা করে, অগ্নিসন্ত্রাস অব্যাহত রাখে এর পরিণতি ভালো হবে না।যারা
নির্বাচন বানচাল করতে চায়, অগ্নিসন্ত্রাস করে, মানুষকে পুড়িয়ে মারে। এত সুন্দর
রাস্তাঘাট, মেট্রো রেল থেকে শুরু করে থার্ড টার্মিনাল সবকিছু করে দিয়েছি; এগুলো
যারা ধ্বংস করতে যাবে আমি জনগণকে আহ্বান করব তাদের প্রতিরোধ করতে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, যে
সকল দল নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের সাধুবাদ জানাই, ধন্যবাদ জানাই।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, জনগণ যাদের প্রত্যাখ্যান
করেছে, তাদের নিয়ে চিন্তা নেই।
আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে
সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথমদিনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আসাদুজ্জামান খান বলেন, যারা
দেশকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে নেওয়ার চেষ্টা করছে, এটা নতুন কিছু
নয়, তারা ২০১৪ সাল
থেকে এমন কর্মকাণ্ড করছে।
তারা ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীকে
বোমা মেরে উড়িয়ে দিতে
চেয়েছে। সেই গোষ্ঠী আবার
এমন কিছু করার পাঁয়তারা
করছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ।
তারা এ সমস্ত চ্যালেঞ্জ
মোকাবিলা করতে পারবে। জনগণ
যাদের প্রত্যাখ্যান করেছে, তাদের নিয়ে চিন্তা নেই।
মন্তব্য করুন