প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে
চায় বাংলাদেশ, তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সব সময় প্রস্তুত ।
রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রামের হালিশহর সেনানিবাসে আর্টিলারি
সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স’
উদ্বোধন শেষে দরবারে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, কেউ আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করুক, আমরা
সেটা চাই না। আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে চাই, কিন্তু আমাদের দেশের
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যা যা করা দরকার আমরা তা করব। আমাদের এটি
সর্বদা মনে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ডিজিটাল মাধ্যমে যুদ্ধ করা হচ্ছে। সেজন্য দেশে
আধুনিক, জ্ঞানভিত্তিক উচ্চ প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা দরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় শান্তি চাই। বাংলাদেশ স্বাধীন ও
সার্বভৌম। আমরা যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছি। যুদ্ধে জয়ী হয়ে আমরা যে
স্বাধীনতা পেয়েছি তা আমাদের ধরে রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আরও উন্নত, আরও দক্ষ এবং আরও
প্রশিক্ষিত হবে এবং সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি আমরা।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেহেতু প্রয়োজনে সবসময় জনগণের
পাশে রয়েছে, তাই এখন তারা জাতির কাছে আস্থার প্রতীক।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান
জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাকে স্বাগত জানান।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বেলা ১১টায় তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে সঙ্গে কমনওয়েলথের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের বৈঠক বসেছে।
বৈঠকে অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব) ফারুক খানসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ আরও কয়েক নেতা।
গত রোববার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে বৈঠক হয় নির্বাচন কমিশন ও কমনওয়েলথ প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের চার সদস্যের।
বাংলাদেশে যে নির্বাচন হয় সেটা কোন পদ্ধতিতে হয় তা জানতে চায় কমনওয়েলথের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল। ভোটাররা কীভাবে ভোট দিতে যাবেন, ভোট কীভাবে নেওয়া হবে। ভোট স্বচ্ছ করতে হলে রিটার্নিং ও প্রিসাইডিং অফিসারের কাজ কি। এসব বিষয় তারা জানতে চেয়েছেন বলে জানান নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিস্থিতি আছে কি না, সে বিষয়েও কমনওয়েলথের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলে।
মন্তব্য করুন
শান্তি ফর্মুলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের সাইড লাইনে বৈঠকে তিনি এই সহযোগিতা চান।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে কনফারেন্স ভেন্যু হোটেল বেইরিশার অব-এ অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি বাংলাদেশের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের সঙ্গে দেখা করেছি। আমরা শান্তি ফর্মুলার ওপর ভিত্তি করে একটি ন্যায়সঙ্গত শান্তির জন্য ইউক্রেনের দৃষ্টিভঙ্গি, সেইসঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি।
তিনি আরো বলেন, আমি বাংলাদেশকে ফর্মুলা বাস্তবায়ন এবং গ্লোবাল পিস সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৪-এ যোগ দিতে তিন দিনের এক সরকারি সফরে ১৫ ফেব্রুয়ারি মিউনিখে পৌঁছেন। সফর শেষে ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণই আমার পরিবার। বাংলাদেশের জনগণই আমার আপনজন। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনে বুকের রক্ত ঢেলে দেবো।
১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর দীর্ঘদিন নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ সালে দেশের ফেরার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশে ফিরে আমি পেয়েছিলাম সারি সারি কবর। সেই কবরের মাটি ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, এ স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে পারে না। এ স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে দেবো না। আমার যাত্রাপথ এত সহজ ছিল না। নানা ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত চলছিল, এখনো ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত আছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিশাল জনসভায় আমি বলেছিলাম, বাংলাদেশের জনগণই আমার পরিবার। বাংলাদেশের জনগণই আমার আপনজন। তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য যেভাবে আমার বাবা তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, যেভাবে আমার মা, আমার ভাইয়েরা জীবন দিয়ে গেছেন, আমিও আমার বুকের রক্ত ঢেলে দেবো মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য।
তিনি বলেন, আমার চলার পথ, প্রতি পদে পদে বাধা। এখনো মনে পড়ে সেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ আমাদের কত জন জীবন দিয়েছে। কত রকম অত্যাচার হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেই, সংগ্রাম করে আমরা ক্ষমতায় ফিরতে পেরেছি।
তিনি বলেন, কোনো জায়গা থেকেই আমরা কোনো সহযোগিতা পাইনি। আমাদের একমাত্র শক্তি মানুষের সমর্থন। মানুষের ভালোবাসাই হলো আমাদের প্রেরণা।
এই মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গণভবন মাঠে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রায় দেড় হাজার নারী অংশ নেন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ
সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, সব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে
পরিণত হয়েছে এবং এর অগ্রযাত্রা সামনেও অব্যাহত থাকবে।
আজ সন্ধ্যায় তাঁর সরকারি
বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় বক্তব্য প্রদানকালে
বৈঠকের সূচনা ভাষণে এ কথা বলেন।
মা ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস,
চিকিৎসা সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া, শিক্ষার হার বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে এমন কোনো খাত নেই যা পিছিয়ে
আছে।শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ এগিয়েছে।
সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ
নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের নেয়া সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপের কারণে কোভিড-১৯
অতিমারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলা করেও বাংলাদেশ
তার অর্থনৈতিক শক্তি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিয়ে
তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে এবং ২০২৬ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে
উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে স্বল্পোন্নত দেশ
থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর অবশ্যই ঘটবে।
প্রধানমন্ত্রী জনগণকে সবচেয়ে
বেশি গুরত্ব দিয়ে বলেন, গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনে
জনগণ আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে।এ জনগণই আওয়ামী লীগের একমাত্র শক্তি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়
থাকলে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর অবশ্যই ঘটবে। এই আওয়ামী লীগের শাসনামলে ব্যাপক উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ
এখন বিশ্ব মঞ্চে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে ।
গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের
আজকের এ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ সময় আরো উপস্হিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও
কাজী জাফরউল্লাহ এবং সিনিয়র সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহসহ অন্যান্যরা ।
মন্তব্য করুন
আগামী ৫ নভেম্বর সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলনে যোগ দেবেন, একইসঙ্গে পালন করবেন ওমরাহ।
০১ নভেম্বর বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আগামী ৫ নভেম্বর প্রথমে মদিনায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌদি আরবে গিয়ে ওমরাহ পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি মদিনায় জিয়ারত করবেন। সেখান থেকে যাবেন জেদ্দায়। জেদ্দায় সম্মেলনে যোগ দেবেন। পরে মক্কায় যাবেন। সৌদি সফর শেষে ৭ নভেম্বর দেশের পথে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সৌদি আরবে সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী অনেকের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর মধ্যে ওআইসি মহাসচিব, ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট, সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ব্যবস্থা নেওয়াসহ প্রধানমন্ত্রীর ১৫ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সব পৌরসভার মেয়র ও প্রশাসককে চিঠি পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সরকারের বর্তমান মেয়াদের প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠকে সবার প্রতি প্রধানমন্ত্রী কতিপয় নির্দেশনা দিয়েছেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাওয়া আধা-সরকারি পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সরকারের বর্তমান মেয়াদে প্রথম মন্ত্রিসভা-বৈঠকে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত সকলের প্রতি প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন:
১) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং অংশীজনের সংগে সমন্বয় করে মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২) পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩) নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪-এ বর্ণিত প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নে সকলকে আন্তরিকতার সঙ্গে সমন্বিতভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলো জাতীয় বাজেট প্রণয়নকালে নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ বিবেচনায় রাখবে।
8) কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খাদ্য পণ্য সংরক্ষাণাগার নির্মাণে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
(৫) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চারটি স্তম্ভ স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট জনগণ নিশ্চিত করতে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়/বিভাগে করণীয় চিহ্নিত করে তা বাস্তবায়ন করবে।
৬) নতুন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রকল্পের উপকারিতা/দেশের জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিদেশি ঋণ/সহায়তা গ্রহণকালীন যথাযথভাবে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে। এছাড়া, চলমান প্রকল্পগুলো বিশেষ করে যেগুলির বাস্তবায়ন সর্বশেষ পর্যায়ে রয়েছে সেগুলির প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করতে হবে।
৭) সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করতে হবে।
৮) সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি প্রকৃত উপকারভোগীর কাছে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে।
৯) সরকারের শূন্য পদগুলোতে দ্রুত জনবল নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১০) নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
১১) রপ্তানী বহুমুখীকরণ, নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান ও প্রবেশে সহায়তা করতে হবে।
১২) গার্মেন্টস সেক্টরের মতো চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং কৃষিজাত পণ্য বিষয়ক শিল্প বিকাশে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
১৩) শিক্ষাকে কর্মমুখী করার লক্ষ্যে আইসিটি শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
১৪) যুবসমাজকে খেলাধুলা এবং শিল্প সংস্কৃতি চর্চায় উৎসাহ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে বিরত রাখতে হবে।
১৫) অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতার বিরুদ্ধে সমন্বিতভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন,ভোটে অনিয়মের ছবি প্রকাশ হওয়ায় সদ্য সমাপ্ত লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গত রোববার (৫ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। ভোটে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ ওঠে। ভোটার তালিকা ত্রুটিপূর্ণ বলেও অভিযোগ করেন প্রার্থীরা।
আসনটিতে উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা কলার ছড়ি প্রতীকে পান ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট।
অন্যদিকে, লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনেও অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টির প্রার্থী। ভোটের দিন দুপুরে দুই প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
উপনির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক। ভোটের পরদিন গতকাল সোমবার দুপুরে সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ বাজারে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বর্তমান নির্বাচন কমিশন দিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
এছাড়া আসনটিতে ভোটগ্রহণ চলাকালে একটি কেন্দ্রে ‘জাল ভোটের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেখানকার একটি ভোটকেন্দ্রে একজনকে একাধিক ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে দেখা যায়। গতকাল সোমবার সেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর সুষ্ঠু ভোট নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
ভাইরাল হওয়া ৫৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ভোটকক্ষে বসে এক ব্যক্তি ব্যালট পেপারে বিরামহীনভাবে নৌকা প্রতীকে সিল মারছেন। তার গলায় নৌকা প্রতীকের কার্ড ঝুলছে। এসময় ৪৩টি ব্যালটে নৌকা প্রতীকে তাকে সিল মারতে দেখা যায় তাকে।
এরপরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একাধিক সিল মারা ওই ব্যক্তির নাম আজাদ হোসেন। তিনি সদর উপজেলা দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। তবে ওই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারা আজাদকে ছাত্রশিবিরের কর্মী বলে দাবি করেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর একই দিনে মারা যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার ভুঁইয়া ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল। তাদের মৃত্যুতে গত ৪ অক্টোবর আসন দুটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আসনটিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে পিংকু ১ লাখ ২০ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মোহাম্মদ রাকিব হোসেন লাঙল প্রতীকে পান ৩ হাজার ৮৪৬ ভোট।
মন্তব্য করুন
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ফেনীতে নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ল্যাপটপ বিতরণ করেছেন।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডের পিটিআই মাঠে জেলা প্রশাসন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি অধিদপ্তর এ আয়োজন করে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে হার পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় ফেনী ছাড়াও চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলার মোট ৭৪৫ জন নারী প্রশিক্ষণার্থীকে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ফেনীর ২৪০ জন ছাড়াও লক্ষ্মীপুরে ২৬৫ ও চাঁদপুরে ২৪০ জন নারী রয়েছেন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তারের সভাপতিত্ব বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, পুলিশ সুপার জাকির হাসান ও ই-ক্যাব প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার।
আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোস্তফা কামাল।
এছাড়া প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফেনীর চৈতি সাহা, লক্ষ্মীপুর জেলার ইসরাত জাহান তানজিনা ও চাঁদপুর জেলার সাবিহা জামান।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বিশ্বজয়ের হাতিয়ার একটি স্মার্ট ল্যাপটপ। প্রতিবছর ২০-২৫ লাখ তরুণ-তরুণী কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছেন। সবাইকে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। সবাই ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যে চলে যেতে পারবে না। তাহলে নিজের গ্রামে বসে স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। তরুণ-তরুণীদের ওপর নির্ভর করছে স্মার্ট বাংলাদেশ।
পলক আরও বলেন, দেশে যৌতুকপ্রথা ব্যাধি হয়ে উঠেছিল। ৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে নারী শিক্ষার প্রসার, যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখে। এক সময় প্রাইমারি স্কুলে অনেক বেশিপুরুষ শিক্ষক ছিলেন। এখন ৬০ শতাংশ নারী। প্রধানমন্ত্রীর অসংখ্য সিদ্ধান্তে নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম বলেন, ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন অনেকে হাস্যরস করেছেন। ১৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন স্মার্ট বাংলাদেশ। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি ২০৪১ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা করেছেন। আজ একটি ল্যাপটপ একজন তরুণীকে মাথা উঁচু করে থাকার প্রেরণা দেবে।
সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও পিছিয়ে নেই। আজ যারা ল্যাপটপ পাচ্ছেন তাদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
এরপর প্রতিমন্ত্রী পলক পরশুরাম উপজেলার আলাউদ্দিন আহমেদ নাসিম কলেজ সংলগ্ন শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন করবেন।
দাগনভূঞা উপজেলা কো-অর্ডিনেটর আল ইমরান জানান, উইমেন আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার কোর্সে ছয় মাসব্যাপী ৮০ জন নারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তারা প্রশিক্ষণ শেষে অনলাইন ও অফলাইনে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
মন্তব্য করুন
টানা চতুর্থবার বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতিসংঘের
খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক ড. চু ডংইউ।
বাংলাদেশে খাদ্য
নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের
ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক ড.
চু ডংইউ।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি
সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক ড. চু ডংইউ,
দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার আওতায় বাংলাদেশকে সুবিধা গ্রহণ এবং দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য
এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের আন্তঃসম্পর্ক জোরদার করার ওপর
গুরুত্বারোপ করেন।
ইতালিতে নিযুক্ত
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম কর্তৃক জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় (এফএও)
স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে এফএও মহাপরিচালক অভিনন্দন
জানিয়ে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এ মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত ইসলাম এফএওর
স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করার জন্য এবং বাংলাদেশের
অর্জন সম্পর্কে তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রদূত এফএও-কে আরও
দক্ষ, স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মহাপরিচালকের
গতিশীল নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। পঁয়তাল্লিশ
বছরের অধিক সময় ধরে বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে, কৃষি
পরিবেশ, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের উৎপাদনশীলতা ও আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে এফএও-এর
প্রশংসনীয় ভূমিকার কথা স্থায়ী প্রতিনিধি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত ইসলাম
কান্ট্রি প্রোগ্রামিং ফ্রেমওয়ার্ক ২০২২-২০২৬ এর আলোকে বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর
বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য এফএও-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মন্তব্য করুন
শনিবার (ফেব্রুয়ারি ২৪) সকালে দক্ষিণ এশিয়ার একবিংশ শতাব্দীর সাংবিধানিক আদালত: ভারত-বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষ যাতে ন্যায়বিচার পায় তা নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেছেন।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, আমার দেশের মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায় এবং দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং অর্থনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সুনিশ্চিত হয়। বাংলাদেশ যেন এগিয়ে চলে এবং ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব যেন চিরস্থায়ী হয়। আমাদের মতো যেন বিচারহীনতায় তাদের কষ্ট পেতে না হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সরকারের আসার পর থেকে মানুষ যাতে ন্যায়বিচার পায়, তার জন্য আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করি।
আজকে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতিটা হচ্ছে, সেটা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলে এবং একটা স্থিতিশীল পরিবেশ আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আজকে এটা প্রমাণিত সত্য যে, মানুষের জীবনে ন্যায় বিচার প্রাপ্তি, আর্থ-সামাজিক উন্নতি, এটা একমাত্র হতে পরে যখন মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করার সুযোগ হয় এবং দেশটা উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা যারা ১৫ আগস্ট আপনজন হারিয়েছি, আমরা বঞ্চিত থাকব। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পরে, অর্থাৎ আমাকেই ক্ষমতায় আসতে হলো ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারই বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করেছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড় (ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়) এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মন্তব্য করুন