আজ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬০তম জন্মদিন। তিনি ১৯৬৫ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন।
তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী দলের নেতাকর্মীরা জাঁকালো অনুষ্ঠান উদযাপনের পরিকল্পনা করলেও এবার দলের পক্ষ থেকে তা না করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১১ নভেম্বর এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে দলের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের জন্মদিন উদযাপন না করার জন্য বলা হয়েছে। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা ওই বিবৃতিতে সংগঠনের সব ইউনিটের নেতাকর্মীদের জানানো হয়, তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে কোনো অনুষ্ঠান হবে না। এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করা হয়।
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ
দেখা গেছে। সেই হিসেবে আগামী ১৭ জুন (সোমবার) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন হবে।
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে ধর্মমন্ত্রী মো: ফরিদুল হক খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক
হয়।
ধর্মমন্ত্রী মো: ফরিদুল হক খান জানান,
সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া
অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র, দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার
বাংলাদেশের আকাশে হিজরি ১৪৪৫ সনের জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। শনিবার (৮ জুন) থেকে
জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ১৭ জুন সোমবার দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
রংপুরের পীরগাছার ইটাকুমারী ইউনিয়নে
চাঁদ দেখা গেছে বলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী।
গতকাল বৃহস্পতিবার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের
কয়েকটি দেশে চাঁদ দেখা যায়। সেই হিসেবে সৌদিতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে আগামী
১৬ জুন। আর পবিত্র আরাফাত দিবস ১৫ জুন ।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি আজ (২৪ সেপ্টেম্বর) ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও চট্টগ্রাম এরিয়া পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে সেনাবাহিনী প্রধান চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত সকল পদবির সেনাসদস্যদের উদ্দেশ্যে দরবার নেন এবং দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। অতঃপর তিনি আর্মি মেডিকেল কলেজের একটি বহুতল ভবনের নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শনসহ বৃক্ষরোপণ করেন। পরে তিনি সকল পদবির সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে 'অফিসার্স অ্যাড্রেস' গ্রহণ করেন। এসময় তিনি তাঁর মূল্যবান বক্তব্যের শুরুতেই শহিদ লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন এর মৃত্যুতে মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন, দেশমাতৃকার সেবায় তরুণ সাহসী এই সেনা কর্মকর্তার আত্মত্যাগ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাঁর জন্য গর্বিত। এরপর সকলের উদ্দেশ্যে দেশের চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর আলোকপাত করে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন এবং যৌথ বাহিনীর অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রমের পাশাপাশি বিচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে নিরপেক্ষ ও পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশ ও জনগণের আস্থার প্রতীক। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলমান বিভিন্ন গুজব সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি সততা, সত্যনিষ্ঠা ও ন্যায়পরায়ণতার সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা প্রদান করেন।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনী প্রধান পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি রিজিয়নের নানিয়ারচর জোন সদর পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে সেনাবাহিনী প্রধান স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, সাধারণ জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা প্রদানসহ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা প্রদান করেন। দুর্গম পাহাড়ি সেনা ক্যাম্পে সেনাবাহিনী প্রধানের আগমন পার্বত্য চট্টগ্রামে মোতায়েনরত সেনাসদস্য এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মনোবল উঁচু করেছে। এছাড়াও তিনি পরিদর্শনকালে স্থানীয় প্রশাসনের পদস্থ অসামরিক কর্মকর্তা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় করেন।
এসময় জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া, সেনাসদরের চিফ কনসালটেন্ট জেনারেল, অ্যাডহক সিএসসি'সহ সেনাসদর ও চট্টগ্রাম এরিয়ার ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাগণ, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার ও অন্যান্য পদবির সৈনিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ধর্ম-বর্ণ ও মতের পার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশের সব মানুষ একই পরিবারের সদস্য বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে বিমানবন্দরে দেওয়া নিজের একটি বক্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, তখন বলেছিলাম আমরা একটা পরিবার। আমাদের নানামত, নানা ধর্ম থাকবে, নানা রীতিনীতি থাকবে কিন্তু আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। এটাতে জোর দিয়েছিলাম। আমাদের শত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা পরস্পরের শত্রু নই। আমাদের জাতীয়তা, পরিচয়ের প্রশ্নে এক জায়গায় চলে আসি। আমরা বাংলাদেশি, এক পরিবারের সদস্য।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শপথ গ্রহণের পরে শুনতে আরম্ভ করলাম, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। তখন মনটা খারাপ হয়ে গেল। এর পরপরই ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গেলাম। সেখানেও বললাম, আমরা একই পরিবারের সদস্য।
তিনি বলেন, সব দাবিদাওয়া বাদ দিলেও একটা দাবি পরিষ্কার আমাদের সকলের সমান অধিকার, বলার অধিকার, ধর্মের অধিকার, কাজকর্মের অধিকার। সেটা এসেছে সংবিধান থেকে। নাগরিক হিসেবে প্রাপ্য, রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেটা নিশ্চিত করা।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, শুনলাম এখনো সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে।
তাই আমি সবাইকে নিয়ে বসলাম, এটা থেকে কীভাবে উদ্ধার করা যায়।
দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেটা পুরো জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছিল। তখন তৃপ্তি পেলাম, একটু তো কাজ করেছি।
ভুল তথ্যের বিষয়ে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আবার নতুন কথা, হামলা হচ্ছে, অত্যাচার শুরু হচ্ছে। বিদেশি গণমাধ্যম বলব না প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, এটা হচ্ছে। আমি খোঁজ নিচ্ছি, কী হচ্ছে? সবদিকে দেখলাম এটা হচ্ছে না। এক খবরে বলা হচ্ছে, আরেক খবরে বলা হচ্ছে হচ্ছে না, তথ্যের মধ্যে ফারাক আছে। এটা ঠিক না। এটার অবসান হতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা যে তথ্য পাচ্ছি তা ভুল হতে পারে। তথ্যের ওপর বসে থাকার কিছুই নাই, এটার অর্থ অন্ধের মতো বসে থাকা। ভেতরে গিয়ে দেখতে হবে। খোঁজ নিতে হবে তথ্যের গরমিল কেন? তাতে ওরা যা বলছে, তা কি মিথ্যা প্রচার? না আমরা যা বলছি তা মিথ্যা প্রচার। সত্যটা কোথায়।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যের কোনো ফারাক নেই। সেখানে সঠিক তথ্য কীভাবে পাব, সেটা আমাদের জানার। প্রকৃত তথ্য, অনেক সময় সরকারি তথ্যের ওপর ভরসা করে লাভ নেই। কর্তা যা চায়, সেভাবে বলে। আসলটা মন খুলে বলতে চাই না। আমরা আসল খবরটা জানতে চাই। সেই প্রক্রিয়াটা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এত বড় দেশে যেকোন ঘটনা ঘটতে পারে, কিন্তু প্রকৃত তথ্য জানতে চাই। তাৎক্ষণিক খবর পেলে যাতে সমাধান করা যায়। যেদিক থেকেই দোষী দোষীই। তাকে বিচারের আওতায় আনা সরকারের দায়িত্ব।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, প্রথম কথাটা হলো না হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করা। আর হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ব্যবস্থা করা। আমি যা বলছি, তা দেশের বেশির ভাগ মানুষ মনে করে। আমরা এক পরিবারের মানুষ হিসেবে সামগ্রিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি। সেখানে তথ্য ও প্রতিকার হলো বড় বিষয়।
তিনি বলেন, আমি পেলাম তথ্য কিন্তু প্রতিকার পেলাম না। সমস্যা হয়ে গেলে সমাধান করতে হবে। আজকের আলোচনা খোলাখুলি, আমরা সবাই আলোচনা করব। আমাদের লক্ষ্যে কোনো গোলমাল নেই। তথ্য প্রবাহ কীভাবে পাব, দোষীকে কীভাবে ধরব, যাতে সবাই সঠিক তথ্যটা পেয়ে যায়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এমন বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই, যার নাম দিয়েছি নতুন বাংলাদেশ। এটা আমাদের করতে হবে। আপনাদের কথা বলে সন্তুষ্ট করে আজকের মতো বিদায় দিলাম তা নয়। এটা দ্রুত করতে হবে। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে দেখলে হবে না, আমাদের বর্তমানেই করতে যেতে হবে।
সংখ্যালঘু সমস্যার বিষয়ে অবাধ, সত্য তথ্য কীভাবে সংগ্রহ করা যায়, সে বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের পরামর্শ চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কীভাবে নিরাপদে সংগ্রহ করব, যে তথ্য দিচ্ছে সে যেন বিব্রত না করে তাও নিশ্চিত হতে হবে।
মন্তব্য করুন
‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আয়োজিত ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’এর উদ্বোধনী খামে স্বাক্ষর করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টায় রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় এই স্বাক্ষর করেন তিনি। এ সময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে তারুণ্যের উৎসবের কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এ কর্মসূচি আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত চলমান থাকবে।
তারুণ্যের উৎসব বিপিএল ২০২৫-এর সহযোগিতায় বিভিন্ন কমিউনিটি এনগেজমেন্টের মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে খেলাধুলার প্রসারে কাজ করবে। এর মধ্যে থাকবে তরুণদের জন্য স্থানীয় ক্রীড়া টুর্নামেন্ট এবং কমিউনিটি ক্রিকেট ক্লিনিক, যা তাদের অংশগ্রহণ ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। বিভিন্ন ফ্যান জোনে ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্টল থাকবে। এর মাধ্যমে আঞ্চলিক রান্নার পরিচিতি ও স্থানীয় ব্যবসার প্রচার করা হবে, যা দেশীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরবে। তরুণদের মধ্যে খেলাধুলার প্রসারে কাজ করবে। এর মধ্যে থাকবে তরুণদের জন্য স্থানীয় ক্রীড়া টুর্নামেন্ট কমিউনিটি ক্রিকেট ক্লিনিক, যা তাদের অংশগ্রহণ ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। ফ্যান জোনগুলোতে দেশি শিল্পীদের সৃষ্টিশীলতা প্রদর্শনের জন্য শিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। এটি অনেক শিল্পীকে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দেবে এবং একই সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক শিল্পের উদযাপন হবে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার
দায়িত্ব আমাদের। তা নিয়ে ভারতের কিছু বলার দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
বিবিসি হিন্দিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি
এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) প্রকাশিত
ওই সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানকার সংখ্যালঘুরা আমাদের নাগরিক। তাদের
নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এ বিষয়ে ভারতের কিছু বলার দরকার নেই। যেটা নিয়ে ভারতের
বলা প্রয়োজন সেটা হলো, গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা।
এই প্রশ্ন করা যেতে পারে, বাংলাদেশের
বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভারত কী ধরনের সাহায্য করতে পারে? এ বিষয়ে কথা বলা প্রয়োজন।
আরও বলতে চাই, ভারতের গণমাধ্যম আমাদের সরকারকে নিয়ে ভুল সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। ভারতের
উচিত এ বিষয়ে একটা সীমা টানা। আমরা চাই, তথ্যের ভিত্তিতে আলোচনা হোক এবং সম্পর্ক উন্নয়নের
প্রশ্নেও আলোচনা হোক।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আওয়ামী
লীগ জুলাই-আগস্টে যে গণহত্যা ঘটিয়েছে, সেটাকে ভারত কীভাবে দেখে, তা ভারত এখনো স্পষ্ট
করেনি। কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে। কিন্তু ভারত এ বিষয়ে
কোন কথা বলেনি। উপরন্তু, যার (শেখ হাসিনা) ওপরে এ ঘটনার দায় বর্তায়, ভারত তাকে আশ্রয়
দিয়েছে। যে ব্যক্তি তার স্বজনকে হারিয়েছে, ভারত যদি তার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়, তাহলে
বাংলাদেশের জনগণ সেটিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করবে। আমি চাই, ভারত আমাদের সহায়তা করুক,
যাতে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এখানে যা কিছু
হয়েছে তা আমাদের নজরে আছে। মানুষের যে কষ্ট হয়েছে, সে সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। এটাও
মনে রাখতে হবে, যদি সময়মতো (গণঅভ্যুত্থানের পরপর) ব্যবস্থা না নেওয়া হতো, তাহলে পরিস্থিতি
আরও খারাপ হতো। দুর্গাপূজার কথাই ধরেন। বলা হচ্ছিল, আরও সহিংসতা হবে। আমরা আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনী পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করেছি। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপিত হয়েছে।
আমাদের সরকার সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কথা বলেছে, আশ্বস্ত করেছে। তারাও এতে আশ্বস্ত হয়েছেন।
আমি তো বলব, অন্য কোনো সরকার সংখ্যালঘুদের সঙ্গে এত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেনি, যা আমরা
গত তিন মাসে করেছি। আগের সরকারগুলো এ বিষয়ে শুধু রাজনৈতিক ফায়দা নিয়েছে। তাদের ওপর
থেকে সংখ্যালঘুদের আস্থা কমে গিয়েছিল। আমাদের এসব ঠিক করতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি,
তাদের কিছু বিষয় আছে, যা এখনই সমাধান হওয়ার নয়। এজন্য আমাদের সময় দিতে হবে। আওয়ামী
লীগ সরকারের বিদায়ের পর কিছু উগ্র ও কট্টরপন্থি সংগঠনের তৎপরতা বাড়তে পারে। এ কারণে
শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতের নিরাপত্তারও সমস্যা হতে পারে—এ প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা
বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো কোনো সহিংসতা বা উগ্রবাদী সংগঠনকে সমর্থন করে না। বাংলাদেশের
মানুষ গণতান্ত্রিক সরকার চায়। আপনি যা বলছেন সেটা আওয়ামী লীগের প্রচার করা অসত্য বয়ান।
তারা বলত, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর তৎপরতা বেড়ে যাবে। এসব
বলে বলে তারা এত বছর বাংলাদেশ শাসন করেছে। ভারতও এই বয়ান সমর্থন করে। প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশে
আওয়ামী লীগ সরকারে থাক বা না থাক, এটা দিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে কেন প্রভাব পড়বে?
এর মানে হলো, ভারত এ দেশের মানুষের সঙ্গে নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছিল।
বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে এ প্রশ্ন উঠত না। যেমন- আমরা দেখি না ভারতে
কে ক্ষমতায়, বিজেপি না কংগ্রেস। সে রকমই এখানেও এটাই হওয়া উচিত, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়
আছে না নেই, সে প্রশ্ন থাকা উচিত নয়। নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আমি শুধু এটাই বলব, বিষয়গুলো
আওয়ামী লীগের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে না দেখাই উচিত। আমরা দুই দেশ একে অপরকে সঙ্গ দিলে উভয়ের
কল্যাণকর কাজ করা সম্ভব। আমরা কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করিনি। কোনো প্রকল্পও
বন্ধ করিনি। সবকিছু আগের মতোই চলছে।
মন্তব্য করুন
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড.
আসিফ নজরুল জানিয়েছেন তিনি বিদেশে বাংলাদেশি শ্রমিকদের শোষণ, পাসপোর্ট ও এনআইডি প্রাপ্তি
এবং ব্যাংকে টাকা স্থানান্তর ও টাকা তোলার ক্ষেত্রে ভোগান্তি নিরসনে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, 'বিদেশে শ্রমিক শোষণ বন্ধের
বিষয়ে আমরা কাজ করছি। কিছুটা অগ্রগতি হোক, তখন জানাবো।'
আজ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) উপদেষ্টা
তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে একথা বলেন, আমি সরকারী কাজে কাতারে ছিলাম তিনদিন।
আমার হোটেলে যেসব বাংলাদেশী ভাইরা কাজ করেন তাদের থেকে তাদের বঞ্চনার অনেক খবর শুনেছি।
দুতাবাসে আমন্ত্রিত অনেক শ্রমিক ও পেশাজীবী ভাই-বোনের সাথে কথা বলেছি। দূতাবাসের কর্মকর্তাদের
বক্তব্যও শুনেছি। সেখানকার প্রবাসী ভাই-বোনদের মূল অভিযোগ পাসপোর্ট-এনআইডি-পাওয়ার অব
এটর্নি সংক্রান্ত বিষয়ে এবং সেখানে কর্মসংস্থান ও পারিশ্রমিক নিয়ে। এর মধ্যে পাসপোর্টের
বিষয়ে আমি ডিজির সাথে কথা বলেছি। তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে
পাসপোর্ট সরবরাহ শুরু হবে।
পাসপোর্ট আর এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
বিষয় উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, তবে সেখানে আমি যোগাযোগ অব্যাহত রাখবো। কালকে আমি
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে পাসপোর্ট ফি কমানো বা কমহারে সবার জন্য একরকম করার কথা বলেছি।
এটা নিয়ে আমার যোগোযোগ অব্যাহত থাকবে।
তিনি আটো বলেন, এছাড়া পাসপোর্ট আর এনআইডি
সহজীকরণের বিষয়ে কি কি করা যায় তা আইন মন্ত্রনালয়ের থেকে খতিয়ে দেখবো।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, 'আপনারা ভালো
থাকবেন। পবিত্র জুম্মার দিনে আমাদের শহীদ ভাই চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলামের মাগফেরাত
এবং আমাদের সকলের হেদায়েতের জন্য দোয়া করবেন।'
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ শনিবার (১২ অক্টোবর) পুরান ঢাকার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন করেন এবং সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
মন্তব্য করুন
রমজানে
সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলো আগামী ২১ মার্চ এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল ২৫ মার্চ পর্যন্ত
খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রমজানে
খোলা রাখা বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পর মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এ সিদ্ধান্তের কথা
জানানো হয়।
শিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১১ মার্চ - ২৫ মার্চ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি
মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক স্কুলের শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত
বছরের ১৩ ডিসেম্বর সরকারি/বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক স্কুলের ২০২৪ সালের (১৪৩০-১৪৩১
বঙ্গাব্দ) শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করা হয়েছে।
নতুন
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি/বেসরকারি মাধ্যমিক
ও নিম্নমাধ্যমিক স্কুলের শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকবে।
প্রাথমিক
ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন জানান, সরকারি প্রাথমিক
স্কুলগুলো ১০ রমজান পর্যন্ত খোলা থাকবে।
মন্তব্য করুন
আজ রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর থানার অন্তর্গত পুরাতন মেঘাই গ্রামে যমুনা নদীতে রাতভর প্রবল বর্ষণ ও স্রোতের কারণে স্থানীয় বাঁধ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং আনুমানিক সকাল ১০ঘটিকায় শহর রক্ষা বাঁধটির ৭০x৩০ বর্গ মিটার এলাকা ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। শহর রক্ষা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার প্রভাব পড়বে কাজীপুর এলাকাসহ আশপাশের এলাকায়, এমনকি বেশ কয়েকটি গ্রাম পানিতে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে বগুড়া অঞ্চলের সিরাজগঞ্জ জেলায় দায়িত্বরত ১১ পদাতিক ডিভিশনের ৪০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির সেনাসদস্যদের একটি দল পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তায় বাঁধটি প্রাথমিকভাবে মেরামত পূর্বক ভাংগনের হাত থেকে রক্ষা করে।
উল্লেখ্য, যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা
জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।
মন্তব্য করুন
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানীসহ সারাদেশে এক হাজার ১৫১ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার এর আওতায় ২৯ ডিসেম্বর থেকে আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকাসহ সারাদেশের নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি টহল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।
ইসি জানিয়েছিল, ৩০০ সংসদীয় আসনে আগামী ৩ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগের জন্য আদেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ।
এদিকে নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৩ জানুয়ারি থেকে সশস্ত্র বাহিনী মাঠে নামবে।
নির্বাচনকালীন সেনাবাহিনী মোতায়েনে গত ১৭ ডিসেম্বর নীতিগত অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরদিন ১৮ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার লক্ষ্যে সেনা মোতায়েনে সশস্ত্র বাহিনীকে চিঠি দেয় ইসি।
গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখ রোজ রোববার ৩০০ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই হয় ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি করা হয় ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং অফিসাররা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয় ১৮ ডিসেম্বর।
মন্তব্য করুন