ময়মনসিংহে বিশেষ অভিযানে আন্ত:জেলা চোরচক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতা করেছে পুলিশ। এ সময় ৫টি মোবাইল ও ৪টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয় তাদের কাছ থেকে।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। পরে ময়মনসিংহ চিফ জুডিসিয়াল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় তাদের।
এর আগে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিনভর গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকার জয়দেবপুর সিঁড়ির চালা কাইয়াপাড়া এলাকায় এবং ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার কসবা থানাধীন গোপীনাথপুর বংশীপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চোরদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত চোরচক্রের সদস্যরা হলো- ময়মনসিংহ নগরীর বলাশপুর বাঘমারা এলাকার মো. পিয়াল হাসান (২৫), বড়বাড়ী এলাকার মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩০), বলাশপুর পাওয়ার হাউজ কলোনি এলাকার মো. আসাদুল ইসলাম (৩০) এবং ব্রাহ্মনবাড়ীয়া সদর উপজেলার মূছা মিয়া (৩৫)।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, এই চোরচক্রের সন্ধান পাওয়া যায় চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার অভিযানে নেমে। তারা আন্ত:জেলা চোরচক্রের সদস্য। দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন নাম ঠিকানা ব্যবহার করে ভাসমান অবস্থায় বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে মোটরসাইকেল চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছেন এ চক্রটি। এই চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের অভিযান চলমান রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ, জামালপুর ও ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলায় অসংখ্য মামলা চলমান আছে বলেও জানান কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন।
মন্তব্য করুন
কাজের ক্ষেত্রে কারো রক্তচক্ষু বা ধমক
আমলে না নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মাঠ প্রশাসনকে
আইন অনুযায়ী দেশের জন্য কাজ করতে বলেছেন।
আজ রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে
১০টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, কারও রক্তচক্ষুর কারণে, কারো ধমকের কারণে কোনো কাজ করার প্রয়োজন নাই। আমি
নিজের মতো করে যেটাই আইন, যেটা দেশের জন্য করা দরকার সেটা করবো। সে কাজেই আমি ব্যস্ত
থাকবো যাতে আমি করতে পারি।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বিনা কারণে মানুষকে হয়রানি করা হয়। হয়রানি
করাটাই যেন আমাদের ধর্ম! সরকার মানেই মানুষকে হয়রানি—এটার থেকে উল্টে দাও। সরকার ভিন্ন জিনিস,
আপনার অধিকার আপনার দরজায় পৌঁছে দেওয়া আমাদের কাজ। এটাই যেন আমরা স্মরণ রাখি।
দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠাকে সর্বোচ্চ
অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা যেহেতু এমন পরিস্থিতিতে
এসেছি, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা মস্ত বড় ইস্যু হয়ে গেল। এটাতে আমরা কে কী পরিমাণে
অগ্রসর হলাম, কী করণীয়—এটা
এক নম্বর বিবেচ্য বিষয়। আইন-শৃঙ্খলায় আমরা যেন বিফল না হই, কারণ এটাতে আমাদের সমস্ত
অর্জন সফলভাবে অর্জিত হতে বা বিফলতায় পর্যবসিত হতে পারে। সেটাই নিয়ে এই সম্মেলনে আলোচনা
হোক। ফিরে যাওয়ার পর যেন এটা বোঝার মধ্যে কোনো গলদ না থাকে।
মন্তব্য করুন
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠের দখলকে কেন্দ্র
করে যোবায়ের ও সাদপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক।
তাবলিগ জামাতের যোবায়েরপন্থিদের মিডিয়া
সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান ও মাওলানা সাদপন্থিদের মিডিয়া সমন্বয়ক আবু সায়েম বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত
৩টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। নিহতরা হলেন আমিনুল
ইসলাম বাচ্চু (৫৫), বেল্লাল হোসেন (৬০) ও তাইজুল ইসলাম(৭০)।
আহতরা হলেন- আ. রউফ (৫৫), মজিবুর রহমান
(৫৮), আ. হান্নান (৬০), জহুরুল ইসলাম (৩৮), আরিফ (৩৪), ফয়সাল (২৮), তরিকুল (৪২), সাহেদ
(৪৪), উকিল মিয়া (৫৮), পান্ত (৫৫) টঙ্গী, খোরশেদ আলম (৫০) বেলাল (৩৪), আনোয়ার (৫০),
আবু বক্কর (৫৯), আরিফুল ইসলাম (৫০), আনোয়ার (২৬), আনোয়ার (৭৬), ফোরকান আহমেদ (৩৫),
আ. রউফ (৫৫) মজিবুর রহমান (৫৮), আ. হান্নান (৬০), জহুরুল ইসলাম (৩৮), আরিফ (৩৪), ফয়সাল (২৮), তরিকুল (৪২), সাহেদ (৪৪)।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন।
আজ সোমবার (১১ আগস্ট) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা
৭টা ৫০ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটি কুয়ালালামপুরে অবতরণ
করে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ
তথ্য জানানো হয়। এর আগে দুপুর ২টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি
ঢাকা ছাড়েন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
মালয়েশিয়া সফরে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই ও তিনটি নোট বিনিময় হবে। তবে প্রধান উপদেষ্টার
মালয়েশিয়া সফরে কর্মী নিয়োগ ও বিনিয়োগ প্রাধান্য পাবে।
রোববার (১০ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার
প্রেস উইং থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। ১১ থেকে ১৩ আগস্ট প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মালয়েশিয়া সফর করবেন। প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফরে
কর্মী নিয়োগ ও বিনিয়োগ প্রাধান্য পাবে। মালয়েশিয়ায় কীভাবে আরও জনশক্তি বাড়ানো যায়,
সে বিষয়ে আলোচনা করবেন প্রধান উপদেষ্টা।
এ ছাড়া মালয়েশিয়ায় যেসব কোম্পানি আছে,
কীভাবে তাদের বিনিয়োগ আনা যায় সেই চেষ্টা থাকবে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীমের
আমন্ত্রণে উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সেদেশে সফরে গেছেন। আগামী ১২ আগস্ট পুত্রজায়ায়
দুদেশের সরকারপ্রধান বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে দুদেশের মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই
ও তিনটি নোট বিনিময় হবে।
যে সব বিষয় সমঝোতা স্মারক সই হবে-
সেগুলো হলো- ১. প্রতিরক্ষা সহযোগিতা। ২. জ্বালানি সহযোগিতা। ৩. বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) ও মেমোসের (মালয়েশিয়ান কোম্পানি) মধ্যে সমঝোতা সই। ৪. বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) ও ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের (আইএসআইএস) মধ্যে সমঝোতা সই। ৫. ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও মালয়েশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমআইসিসিআই) মধ্যে সমঝোতা সই। যে তিনটি বিষয়ে নোট বিনিময় হবে, সেগুলো হলো- ১. হালাল খাদ্য ব্যবস্থাপনা। ২. ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড ফরেন রিলেশানসের (আইডিএফআর) মধ্যে সহযোগিতা। ৩. দুদেশের মধ্যে উচ্চশিক্ষা খাতে সহযোগিতা।
মন্তব্য করুন
আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সেনাসদরে
সেনাবাহিনী প্রধানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের প্রতিনিধি
দল।
উল্লেখ্য, আগামী ১৬ই অক্টোবর ২০২৪ তারিখে
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব 'শুভ প্রবারনা' অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ব্যক্তিবর্গ উৎসবটি অত্যন্ত ধর্মীয় মর্যাদায়
ও ভাবগম্ভীর্যে উদযাপন করে থাকেন। এ উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বৌদ্ধ পল্লী, জনপদ
ও বিহার গুলোতে সপ্তাহব্যাপী বিবিধ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। উক্ত উৎসব চলাকালীন শান্তি-শৃঙ্খলা
ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের প্রতিনিধি
দল সেনাবাহিনী প্রধানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং উৎসবে অংশগ্রহণের জন্য সেনাবাহিনী
প্রধানকে আমন্ত্রণ জানান। এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান সমতলের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে
'শুভ প্রবারনা' ও 'কঠিন চীবরদান' উদযাপন উপলক্ষে আর্থিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা প্রদানের
অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া ব্যক্তিগত ভাবে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে উৎসব সমূহ
পালন করার জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল কার্যক্রম গ্রহণের আশ্বাস প্রদান
করেন এবং প্রতিনিধি দলের সদস্যগণকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে নিবিড়ভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বর্তমানে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশব্যাপী জেলায় জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন থেকে পূজামন্ডপ সমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সদা তৎপর রয়েছে। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে প্রত্যেক বাংলাদেশী তার নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসবসমূহ অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করবেন- এই প্রত্যাশা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর।
মন্তব্য করুন
অপতথ্য মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা
গড়ে তোলা এবং গণমাধ্যমকে নৈতিক মান বজায় রাখার ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করতে জাতিসংঘের
প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বুধবার (২ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি
ভবন যমুনায় ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি সুসান ভাইজ ও ইউনেস্কোর ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা
ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা’ বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রকল্প কর্মকর্তা মেহদি বেনচেলাহ প্রধান
উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)
এবং ইউনেস্কোর যৌথভাবে প্রস্তুত করা বাংলাদেশের গণমাধ্যম পরিমণ্ডলের মূল্যায়ন : স্বাধীন,
নিরপেক্ষ ও বহুমাত্রিক গণমাধ্যমের দিকে মনোনিবেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে তারা
এ সাক্ষাৎ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, আমরা এই প্রতিবেদনের জন্য সত্যিই অপেক্ষা করছি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধান সমস্যা হলো
অপতথ্য, ভুয়া সংবাদ। আর এসব অপতথ্যের কিছু ছড়ায় বিদেশে থাকা লোকজন, আবার কিছু ক্ষেত্রে
স্থানীয়রাও এতে জড়িত। ধারাবাহিকভাবে এ হামলা হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টাড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন,
শুধু ডিজিটাল মাধ্যমে নয়, নিয়মিত প্রচারিত গণমাধ্যমও অনেক সময় ভুয়া তথ্যের উৎস হয়ে
ওঠে।’ এ প্রেক্ষিতে তিনি জাতিসংঘের সক্রিয় ভূমিকা কামনা করে বলেন, ‘আপনারা শুধু সরকারের
সঙ্গেই কথা বলবেন না, গণমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলুন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, একটি স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রয়োজন রয়েছে। যদি কোনো গণমাধ্যম বারবার মিথ্যা
তথ্য ছড়ায়, তাহলে তাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া উচিত তারা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, আপনারা জাতিসংঘ, আপনাদের
কথা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ...আপনাদের সমর্থন আমাদের প্রয়োজন।
ইউনেস্কো প্রতিনিধি সুসান ভাইজ বলেন,
আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনটিতে আত্ম-নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও তুলে ধরা
হবে।
তিনি বলেন, প্রতিবেদনটি দেখাবে কী কার্যকর
হচ্ছে, আর কী হচ্ছে না এবং এতে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ
থাকবে। সরকারি কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বিচার বিভাগের সদস্যদের আন্তর্জাতিক
মানের সাথে তাদের কার্যক্রম সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে- সে বিষয়টিও
উল্লেখ থাকবে।’
ইউনেস্কোর জ্যেষ্ঠ প্রকল্প কর্মকর্তা
মেহদি বেনচেলাহ বলেন, প্রতিবেদনে সাংবাদিকদের কাজের পরিবেশ এবং নারী সাংবাদিকদের নিরাপত্তা
সম্পর্কেও কিছু সুপারিশ থাকবে, যা একটি বৈশ্বিক উদ্বেগ। সরকারি পদক্ষেপ এসব ক্ষেত্রে
গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রতিবেদনটি ইউএনডিপির প্রতিষ্ঠান,
নীতি ও সেবা শক্তিশালীকরণ (এসআইপিএস) প্রকল্পের আওতায় এবং ইউনেস্কোর মত প্রকাশের স্বাধীনতা
ও গণমাধ্যম উন্নয়ন সংক্রান্ত ম্যান্ডেটের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রস্তুত করা হয়েছে বলে
জানান কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মাইক্রোক্রেডিটই
ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ।
তিনি মাইক্রোক্রেডিট’র জন্য আলাদা আইন করার
আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এনজিও ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে মাইক্রোক্রেডিটকে ব্যাংকিংয়ের ধারণা
গ্রহণ করতে হবে। আর এ ধারণা গ্রহণ করেই ঋণগ্রহিতাকে সেবা দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘মাইক্রোক্রেডিট এখনো এনজিও। এই এনজিও থেকে উত্তরণ
ঘটাতে হবে। এনজিও পর্যায়ে থেকে গেলে ব্যাংকিং মেজাজ আসবে না। মেজাজে আসতে হলে এটাকে
ব্যাংক হতে হবে। মাইক্রোক্রেডিট’র জন্য আলাদা আইন করতে
হবে।’
আজ শনিবার (১৭ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি
অথরিটির (এমআরএ) নতুন ভবন উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
গ্রামীণ ব্যাংকের শুরুর সময়কার স্মৃতিচারণ করে প্রফেসর ইউনূস
বলেন, আমরা যখন গ্রামীণ ব্যাংক করলাম তখন আপত্তি উঠলো এটাকে ব্যাংক বলা যাবে কি না।
আমরা বললাম, আমাদেরটাই প্রকৃত ব্যাংক, তোমাদেরটা লোক দেখানো। ব্যাংক যে শব্দ থেকে উৎপন্ন
হয়েছে সেটা হলো ট্রাস্ট, তোমরা যেটা করছো সেটা ডিসট্রাস্ট। আমাদের ব্যাংকিং মানুষের
বিশ্বাসের ভিত্তিতে হয়েছে। জামানতবিহীন ব্যাংক, বিশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা টাকা দেই।
আজ এমন সময় আমরা আলাপ করছি যখন জামানতওয়ালা ব্যাংক, যারা নিজেদের প্রকৃত ব্যাংক বলে
দাবি করত তাদের অনেকে আজ হাওয়া। টাকা নিয়ে লোপাট। ব্যাংক শেষ। আর মাইক্রোক্রেডিটের
পরিসংখ্যান দেখেন। কেউ পয়সা নিয়ে পালায় নাই। এই হলো পরিহাস।’
মাইক্রোক্রেডিটই ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এটাই প্রকৃত ব্যাংকিং, আগামী দিনের ব্যাংকিং যেটাতে মানুষ
নিজের পরিচয়ে কাজ করবে, নিজের বিশ্বাসের ওপরে ব্যাংকিং চলবে, টাকার উপরে না।’
মাইক্রোক্রেডিটের জন্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে
প্রধান উপদেষ্টা নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্যের
পর প্রত্যেক এনজিও চেষ্টা করলো একইরকম কিছু করতে। ক্রমে ক্রমে প্রসার হতে আরম্ভ করল।
নানারকমের নতুন নতুন জিনিস, নানা আইডিয়া নিজেদের সুবিধার জন্য ঢোকাতে আরম্ভ করল। এটা
ভবিষ্যতের জন্য খারাপ হবে মনে করে একটি রেগুলেটরি অথরিটির প্রয়োজন হলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের
সঙ্গে যোগাযোগ করলাম, তারা বলল ‘আমাদের কাজ না’। অর্থ মন্ত্রণালয় শুরুতে
গুরত্ব দিল না, পরে বলল ‘আচ্ছা কী করতে হবে জানাও’। তখন আমরা বললাম, ‘রেগুলেটরি অথরিটি
হওয়া দরকার, কারণ যে হারে বাড়ছে বড় রকমের সমস্যা হতে পারে।
‘তৎকালীন গভর্নর ফখরুদ্দীন সাহেব আমাদের সমর্থন করলেন। কিন্তু
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে এটা হতে পারবে না। তারা ব্যাখ্যা চাইল। আমি বললাম, এটা বহু
দেশে বলেছি, এখনো বলি, গ্রামীণ ব্যাংকও ব্যাংক, অন্যান্য ব্যাংকও ব্যাংক। কিন্তু তফাত
অনেক। উদাহরণ দেই, আমেরিকান ফুটবলও ফুটবল। ইউরোপিয়ান ফুটবলও ফুটবল। কিন্তু খেলা ভিন্ন।
আপনি যদি ইউরোপিয়ান ফুটবলের রেফারিকে দিয়ে আমেরিকান ফুটবল খেলা চালাতে চান ইট উইল বি
অ্য ডিজাস্টার। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দিয়ে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রণ করবেন, সে তো ক্ষুদ্রঋণ
জানেই না। সে তো ইউরোপীয় ফুটবলের রেফারি,’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন।
তিনি আরোও বলেন, ‘অবশেষে ফখরুদ্দীন সাহেব রাজি হলেন। গভর্নরকে
দিয়ে এটা পরিচালনা করানোর ব্যাপারেও তাঁকে রাজি করাতে হলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরে
এর অফিস করার আলোচনা ছিল। আমরা বললাম, আলাদা জায়গায় অফিস হতে হবে... আজকে নতুন ভবন
হলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা এটিকে বোঝার চেষ্টা করেছেন, নিয়মকানুন করেছেন। তারা
যদি অন্যান্য ব্যাংকের রেগুলেটরি নিয়মের ওপর এটা স্থাপন করত তাহলে মাইক্রোক্রেডিট সেদিনই
শেষ হয়ে যেত, আর খুঁজে পাওয়া যেত না। আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অভিনন্দন
জানাচ্ছি।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ
কে হবে এ নিয়ে শুধু বাংলাদেশ না, যে দেশেই মাইক্রোক্রেডিট হয়েছে সে দেশই সমস্যায় পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদেরকে বারে বারে বলে এসেছি তোমাদের এত কিছু
চিন্তা করতে হবে না। কারণ বাংলাদেশ এর সমাধান দিয়ে দিয়েছে। মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি
অথরিটি শুধু যে বাংলাদেশের জন্য কাজ করেছে তা না এটা আন্তর্জাতিকভাবে অনেক দেশের জন্যে
সহায়ক হয়েছে।’
অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রেগুলেটরের ওপর কড়া
না হয়ে ইউজার ফ্রেন্ডলি রেগুলেশন যেন হয় সেভাবে আইন করা, যেন কোনোকিছু চাপিয়ে না দেয়া
হয়। এমআরএ’কে এখন রেগুলশনের পাশাপাশি প্রমোশনাল অ্যাক্টিভিটিও দেখতে হবে।
সেভিংসের রিটার্ন, সার্ভিস চার্জ যেন সহজ হয় সেদিকে নজর দিন। উপকারভোগীদের জন্য যেন
সহজ হয়।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর তাঁর বক্তব্যে বলেন,
‘মাইক্রোক্রেডিট আজ অনেক দূর এগিয়েছে। বর্তমানে ব্যাংকিং খাতের ১০ শতাংশ সমপরিমাণ সম্পদ
আছে মাইক্রোক্রেডিট সেক্টরে। সবচেয়ে বড় কথা, ব্যাংকিং খাতে যে জায়গাগুলোতে দুর্বলতা
আছে, মাইক্রোক্রেডিট সে জায়গায় শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। সদস্যদের সঞ্চয় বেড়ে ৬৮ হাজার
কোটি টাকার ওপর, পুঞ্জীভূত উদ্বৃত্ত বেড়ে ৬১ হাজার কোটি টাকার উপরে হয়েছে। এটা বড় অর্জন।
তারা নিজেদের সঞ্চয় ও উদ্বৃত্ত দিয়ে নিজেদের গড়ে তুলছে। বিদেশি সহায়তা, অনুদান নাই
বললেই চলে। দাতা তহবিল তিন হাজার কোটি টাকার মতো। এটা খুবই নগণ্য।’
‘বাংলাদেশে গ্রামীণ অর্থনীতি বাড়ছে। এজেন্ট ব্যাংকিং ছড়িয়ে পড়ছে।
মাইক্রোক্রেডিটের শাখা আছে ২৬ হাজারের মতো। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শাখা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে।
এখানে একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে ফরমাল সেক্টরের পদচারণা
বাড়ছে, বাড়বে। মাইক্রোফাইন্যান্স ইন্সটিটিউটটে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে টিকে থাকতে
হবে। মাইক্রোক্রেডিট আরও ফাংশনাল করতে রেগুলেটরি অথরিটি ও বাংলাদেশ ব্যাংক একসঙ্গে
কাজ করবে,’ বলেন তিনি।
মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি নিয়ে নতুন আইনের খসড়া করা হয়েছে। সরকারের
কাছে শিগগিরই নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার
বিশেষ সহকারী ড. এম আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ও ভারত বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারে ১০টি সমঝোতা স্মারক ও নথি
সই করেছে ।
শনিবার (২২ জুন) দুপুরে নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদীর সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে তাদের উপস্থিতিতে এসব সমঝোতা স্মারক সই
হয়।
এর মধ্যে পাঁচটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই, তিন সমঝোতা স্মারক নবায়ন এবং ভবিষ্যৎ কাজের ক্ষেত্র হিসেবে যৌথ কার্যক্রমের দুটি নথিতে সই করে উভয় দেশ।
‘ডিজিটাল অংশীদারত্ব’ এবং ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবুজ অংশীদারত্ব’ বিষয়ক দুটি সমন্বিত রূপকল্পকে সামনে রেখে কাজ করবে ভারত এবং বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে দুই যৌথ কার্যক্রমের নথি সই করে বাংলাদেশ।
এ দুটি হলো—বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল অংশীদারত্বের বিষয়ে অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা এবং
টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশ-ভারত সবুজ অংশীদারত্বের বিষয়ে অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ক
নথি সই।
নতুন পাঁচটি সমঝোতা স্মারক হলো—বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের সুনীল অর্থনীতি ও
সমুদ্র সহযোগিতার বিষয়ে দুদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক; ভারত মহাসাগরের ওশানোগ্রাফির
ওপর যৌথ গবেষণা ও দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ে বাংলাদেশের বিওআরআই ও ভারতের সিএসআইআরের মধ্যে
সমঝোতা স্মারক; বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগের ওপর সমঝোতা স্মারক; যৌথ ছোট
স্যাটেলাইট প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি
মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ভারতের ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথোরাইজেশন সেন্টারের মধ্যে
সমঝোতা স্মারক এবং ডিফেন্স স্টাফ কলেজের মধ্যে একাডেমিক সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক।
নবায়নকৃত তিন সমঝোতা স্মারক হলো—মৎস্যসম্পদ সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক; দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং স্বাস্থ্য ও ওষুধ খাতে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা
স্মারক।
এর আগে সকাল ৯টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তাকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সুসজ্জিত অশ্বারোহী দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মোটর বহরকে পাহারা দিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের গেট থেকে ফোরকোর্টে নিয়ে যায়।
এরপর এখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার
দেওয়া হয়। এ সময় বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। সশস্ত্র সালাম গ্রহণের
পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লাইন অব
প্রেজেন্টেশনে দুদেশের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের
পরিচয় করিয়ে দেন।
রাষ্ট্রপতি ভবনের এ কর্মসূচি শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের জাতির পিতা
মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাজঘাট যান। সেখানে তিনি মহাত্মা গান্ধীর সমাধিসৌধে
পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে শেখ হাসিনা হায়দ্রাবাদ হাউসে যান। সেখানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদীর সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
মন্তব্য করুন
বস্ত্র ও পাট এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সপ্তাহখানেক আগেও
কুমিল্লায় ত্রাণ দিয়েছি। আজ জরুরি ওষুধ যা বন্যা পরবর্তী সময় দরকার হয় ও একদল বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসক নিয়ে এসেছি। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত বন্যায় ক্ষয়-ক্ষতির নিরূপণ
ও বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসনে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। ক্ষতির পরিমাণ দেখে বন্যায়
ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে
শনিবার (৩১ আগস্ট) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম
উপজেলা ও বুড়িচং উপজেলায় বন্যার্তদের জরুরি চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণের পর এসব কথা
বলেন তিনি। এসময় শিশু ও গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও এইচ অ্যান্ড এইচ ফাউন্ডেশনের হেলথ কেয়ার
প্রজেক্ট কনসালটেন্ট ডা. রেহানা খানমের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রতিনিধি দল বন্যায়
অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে
আহত হয়ে কুমিল্লার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ৬ জনের চিকিৎসার
খোঁজ-খবর নিলেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। পরে বন্যার কারণে অসুস্থদের পরিদর্শন ও
চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
বস্ত্র ও পাট এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের নিজ উদ্যোগ ও এইচ অ্যান্ড এইচ ফাউন্ডেশন, পিএসও, এস এস
গ্রুপের ও অন্যান্য সংগঠনের সহায়তায় প্রায় ৭০ হাজার ওষুধ এবং ১০০০ প্যাকেট শিশুখাদ্য
বিতরণ করা হয়েছে, এর মধ্যে পাউডার দুধ, চকোলেট, ম্যাংগো বার,বিস্কুট, চিপস, চানাচুর
ইত্যাদি প্রদান করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রাম সেনা
ক্যাম্পের লে. কর্নেল মাহমুদুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রহমতুল্লাহ, সার্কেল
এএসপি জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহেদা বেগমসহ সেনাবাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তা
ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটের জন্য এবার এলো নতুন ট্রেন পর্যটক এক্সপ্রেস । প্রথম ট্রেন যাত্রীদের কাছে জনপ্রিয়তা পাওয়ায় আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে চলবে দ্বিতীয় ট্রেন।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার নিশ্চিত করেছেন নতুন এই আন্তঃনগর ট্রেনের ৪ দিনের আগাম টিকিটের বিক্রি শুরু হয়েছে। ১০, ১১, ১২ ও ১৩ জানুয়ারির টিকিট পাওয়া যাচ্ছে অনলাইন ও টিকিট কাউন্টারে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আজ সকাল ৮টা থেকে কক্সবাজার রুটের নতুন আন্তঃনগর ট্রেন পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশ রেলওয়ে আন্তঃনগর ট্রেনের ক্ষেত্রে ১০ দিন আগের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করে, সেই হিসাবে সময় অতিবাহিত হওয়ায় আজ ১০, ১১ ও ১৩ জানুয়ারির আগাম টিকিট বিক্রি করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেন্ডেন্ট মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়, পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপদ ভ্রমণের জন্য ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে চলাচলের জন্য সদ্য আমদানি করা নতুন করিয়ান কোচ দিয়ে একজোড়া ননস্টপ আন্তঃনগর (পর্যটক এক্সপ্রেস) ট্রেন পরিচালনার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নতুন ট্রেন সম্পর্কে বলা হয়, নতুন এ ট্রেনের নাম্বার হবে ৮১৫ এবং ৮১৬। ট্রেনটি ৩২টি বগির ওপর ১৬টি কোচ নিয়ে চলবে। ট্রেনের আসন সংখ্যা হবে ৭৮০টি। রোববার থাকবে ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ।
পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি হলো :
ট্রেনটি (৮১৫) কক্সবাজার থেকে ছাড়বে রাত ৮টায়। চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে এবং ছাড়বে ১১টা ১৫ মিনিটে। ট্রেনটি বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছাবে রাত ৩টা ৫০ মিনিটে ও ছাড়বে ৩টা ৫৩ মিনিটে এবং ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাবে রাত সাড়ে ৪টায়।
অন্যদিকে ৮১৬ নাম্বার ট্রেনটি ঢাকা ছাড়বে ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে। বিমানবন্দর স্টেশন পৌঁছাবে ভোর ৬টা ৩৮ মিনিটে ও ছাড়বে ৬টা ৪৩ মিনিটে, চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছাবে সকাল ১১টা ২০ মিনিটে ও ছাড়বে ১১টা ৪০ মিনিটে এবং কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছাবে দুপুর ৩টায়।
মন্তব্য করুন
আগামী বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর)
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.
মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার নির্ধারিত কর্মসূচি
অনুযায়ী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে স্থানীয় সময় বেলা ২টা ১৫ মিনিটে জাতিসংঘ
সচিবালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান
উপদেষ্টা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। একই দিন
তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং কুয়েতের যুবরাজ শেখ সাবাহ খালেদ আল-হামাদ
আল-সাবাহর সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা ২৫ সেপ্টেম্বর
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শেহবাজ শরীফ ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা
এবং ২৬ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কুফের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই, ইউরোপীয়
কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন, জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার
তুর্ক, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি
জেনারেল এবং এলডিসি, এলএলডিসি এবং সিআইডিএসের উচ্চ প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা, জাতিসংঘের
শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মহাপরিচালক
গিলবার্ট এফ হাউংবো, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা, ইউএনডিপি প্রশাসক
আচিম স্টেইনার এবং ইউএসএআইডি প্রশাসক সামান্থা পাওয়ার নিউইয়র্কে অবস্থানকালে ড. ইউনূসের
সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
ইউএনজিএর ৭৯তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য
প্রধান উপদেষ্টা এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে কাতার এয়ারওয়েজের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট
সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ১০ মিনিটে নিউইয়র্কের জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে
অবতরণ করে।
এর আগে ভোর ৫টা ৫ মিনিটে (বাংলাদেশ
সময়) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি ছেড়ে যায়।
মন্তব্য করুন