ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারীরা পবিত্র
কাবার গিলাফ পরিবর্তনের কাজে অংশ নিয়েছেন। পবিত্র কাবাঘর দৃষ্টিনন্দন কালো গিলাফে আবৃত
থাকে। প্রতি বছর এ ঘরের গিলাফ পরিবর্তন করা হয়। প্রতিবারের ন্যায় এ বছরও পবিত্র কাবাঘরে
নতুন গিলাফ (কিসওয়া) পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে ইতিহাসে প্রথম গিলাফ পরিবর্তন কার্যক্রমে
মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদ তত্ত্বাবধানকারী কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল নারীরা অংশগ্রহণ
করেছেন।
জেনারেল অথরিটির ভাষ্যমতে, এবারই প্রথম
নারীরা এ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন।
গত ৬ জুলাই হিজরি নববর্ষের প্রথম রাতে
মক্কায় পবিত্র মসজিদুল হারাম প্রাঙ্গণে গিলাফ পরিবর্তনের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। মূলত
গত কয়েক বছর ধরেই কাবার রীতিতে পরিবর্তন এসেছে। হারামাইন পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত
অনুযায়ী হিজরি বর্ষের শুরুতে গিলাফ পরিবর্তনের নিয়ম করা হয়।
চার ঘণ্টাব্যাপী চলমান এ কার্যক্রম
তত্ত্বাবধান করে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের সাধারণ কর্তৃপক্ষ। ইসলামের প্রথম
যুগ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে জিলহজ মাসের ৯ তারিখ আরাফাত দিবসে কাবাঘরের গিলাফ
পরিবর্তনের রীতি ছিল। তবে ২০২২ সাল মোতাবেক ১৪৪৪ হিজরি থেকে কাবার গিলাফ পরিবর্তনের
সময়ে পরিবর্তন আনে সৌদি সরকার। তখন থেকে হিজরি নববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে মহররমের
প্রথম রাতে গিলাফ পরিবর্তন করা হয়।
সৌদি বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে,
মক্কার কিং আবদুল আজিজ কমপ্লেক্সে পবিত্র কাবাঘরের কালো গিলাফ প্রস্তুত করা হয়। সেখানকার
বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদের তত্ত্বাবধানে ১৫৯ জন দক্ষ কারিগর নতুন গিলাফ পরিবর্তনের
কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা প্রথমে কাবাঘর থেকে পুরনো গিলাফ সরিয়ে নেন।
এরপর নতুন গিলাফ স্থাপন করেন।
বার্তা সংস্থা আরো জানায়, গিলাফ তৈরিতে
১২০ কেজি সোনা, ১০০ কেজি রুপা ও এক হাজার কেজি রেশমের সুতা ব্যবহার করা হয়। ওই কাপড়ে
পবিত্র কোরআনের আয়াত ও আল্লাহর গুণবাচক নামের ক্যালিগ্রাফি থাকে। গিলাফের সব কাজ শেষ
করতে ৬ থেকে ৮ মাস সময় লাগে। সব মিলিয়ে ১ হাজার ৩৫০ কেজি ওজন ও ১৪ মিটার উচ্চতার এই
গিলাফ তৈরিতে ব্যয় হয় ২৫ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল বা সাড়ে ছয় মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই গিলাফকে
বিশ্বের ব্যয়বহুল কাপড় বলে মনে করা হয়।
উল্লেখ্য, পবিত্র কাবাঘরের গিলাফে থাকা
কোরআনের আয়াতের ক্যালিগ্রাফি করেন মুখতার আলম নামের এক বাংলাদেশি। তিনি গিলাফ প্রস্তুতকারক
প্রতিষ্ঠান কিং আবদুল আজিজ কমপ্লেক্সে প্রধান ক্যালিগ্রাফার হিসেবে কাজ করছেন। ২০২১
সালে তিনি সৌদি আরবের নাগরিকত্ব লাভ করেন।
মন্তব্য করুন
ইসলামাবাদের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক এগিয়ে
নিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সমাধানের
আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
ডি-৮ সম্মেলনের সাইডলাইনে আজ বৃহস্পতিবার
(১৯ ডিসেম্বর) মিসরের রাজধানী কায়রোর একটি হোটেলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ
শরিফের সঙ্গে বৈঠকের সময় অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, বিষয়গুলো বারবার আসছে। আসুন আমরা সামনে
এগিয়ে যেতে সেই বিষয়গুলোর ফয়সালা করি।
জবাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ
শরিফ বলেন, ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত বিষয়গুলো মীমাংসা
করেছে, কিন্তু যদি অন্যান্য অমীমাংসিত সমস্যা থাকে, তবে সেগুলো দেখতে পেলে তিনি খুশি
হবেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের
জন্য বিষয়গুলো চিরতরে সুরাহা করে ফেলা ভালো হবে।
তারা ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং ক্রীড়া
ও সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদের বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে সম্মত
হন।
এখানে প্রাপ্ত এক বার্তায় বলা হয়, দুই
নেতা চিনি শিল্প এবং ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনার মতো নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারিত করার
ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার ঘোষিত বৈদেশিক নীতির মূল বৈশিষ্ট্য সার্কের
পুনরুজ্জীবনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে শরিফের সঙ্গে আলোচনা করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস ২০২৬ সালের মধ্যভাগের
আগে ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার’ এবং সাধারণ নির্বাচন করতে তার সরকারের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ
করেন। তিনি বলেন, তিনি সংস্কারের বিষয়ে সংলাপের জন্য একটি ঐকমত্য গঠন কমিশনের নেতৃত্ব
দিচ্ছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ
ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানান। শরিফ বলেন, আমরা
সত্যিই আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার অপেক্ষায় রয়েছি।
তিনি সার্কের পুনরুজ্জীবনে অধ্যাপক
ইউনূসের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং আঞ্চলিক সংস্থার শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের সম্ভাবনা
নিয়ে কাজ করার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
অধ্যাপক ড. ইউনূস শরিফকে বলেন, এটি
একটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
সার্ক বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. ইউনূস বলেন, আমি সার্কের ধারণার একজন বড় অনুরাগী। আমি ইস্যুটি নিয়ে কথা বলেই যাব।
আমি সার্ক নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন চাই। তিনি বলেন, যদিও তা কেবল একটি ফটোসেশনের জন্যেও
হয়, তবুও এটি একটি শক্তিশালী বার্তা বহন করবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের
রাষ্ট্র পরিচালিত চিনিকলগুলোকে আরও ভালোভাবে পরিচালনার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রস্তাব
দেন। তিনি বাংলাদেশে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের কারণে মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন এবং বলেন,
ঢাকা এ রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হতে পারে।
তিনি বলেন, প্রায় এক দশক আগে পাঞ্জাবে
ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই বিশ্বমানের বলে প্রশংসিত হয়েছিল। বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের
সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার জন্য আমরা বাংলাদেশে প্রতিনিধিদল পাঠাতে পারি।
অধ্যাপক ড. ইউনূস, শেহবাজ শরিফকে তার
সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আশা করেন পাকিস্তান ও বাংলাদেশ এই প্রচেষ্টা অব্যাহত
রাখবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে
সিদ্দিকী।
সিদ্দিকী পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দারকে ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং তিনি সেই
প্রস্তাব গ্রহণ করেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসকে তার সুবিধামতো সময়ে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানান।
মন্তব্য করুন
এয়ারবাসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াউটার ভ্যান ওয়ার্শ আজ মঙ্গলবার লন্ডনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তাঁর হোটেলে সাক্ষাৎ করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (১০ জুন) লন্ডনের একটি হোটেলে এই সাক্ষাৎ হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা চার দিনের সরকারি সফরে আজ স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫ মিনিটে লন্ডন পৌঁছান।
মন্তব্য করুন
ইতালি প্রবাসী ফুটবলার ফাহমিদুল ইসলামকে প্রাথমিক ক্যাম্পে ডেকেও দেশে আনা হয়নি। এ নিয়ে দেশের ফুটবলে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আর সমর্থকদের মধ্যে তৈরি হওয়া এ ক্ষোভ গড়িয়েছে আন্দোলনেও।
এমন পরিস্থিতিতে
রাজধানীর নগর ভবনে আজ দুপুর আড়াইটায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ
মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ ফুটবলের নতুন সম্ভাবনা
হামজা চৌধুরী। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত হয়ে চলমান সঙ্কট নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টার
সঙ্গে আলোচনায় বসেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
এসময় ক্রীড়া উপদেষ্টা
সমর্থকদের পক্ষ থেকে আসা অভিযোগ সম্পর্কে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘ফুটবল ফেডারেশনে
সিন্ডিকেট করার কোনো সুযোগ নেই। যোগ্যতা অনুযায়ী সবাই যার যার জায়গা করে নেবে, এমন
কোন কিছুর আভাস মিললে ব্যবস্থা নেবে ফেডারেশন। ফাহমিদুলকে আমরা বাদ দিয়ে দেইনি। তবে
ওকে আমরা আরও সময় দিতে চেয়েছি। আগামী জুনেই ঘরের মাঠে বাংলাদেশের ম্যাচ রয়েছে,
খুব শিগগিরই হয়তো তাকে আমরা মাঠে দেখতে পারি। সমর্থকদের এতটুকু বলবো, হতাশ হওয়ার
কিছু নেই।
আন্দোলনের
সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, স্বজনপ্রীতি ও সিন্ডিকেটের কারণেই নেওয়া হয়নি ফাহমিদুলকে।
আলোচনায় সিন্ডিকেট নিয়ে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আনা অভিযোগ এবং ফাহমিদুলের বাদ পড়া প্রসঙ্গে ক্রীড়া
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘দেশের স্বার্থেই যোগ্য খেলোয়াড়দের বঞ্চিত করার কোনো
সুযোগ নেই। প্লেয়ার সিলেকশনে যেনো স্বজনপ্রীতি বা সিন্ডিকেটের শিকার কেউ না হোন সে
বিষয়ে বাফুফেকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এ বিষয়ে দুর্নীতির প্রমাণ পেলে জড়িতদের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। ’
যে কোনো সঙ্কট
মোকাবিলায় বাফুফেকে আরো সুদৃঢ় পদক্ষেপ নিয়ে দেশের ফুটবলকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার
আহ্বান জানান আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আলোচনায় বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের প্রতি আধুনিক ধারার দৃষ্টিভঙ্গি এবং আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসার প্রয়াসকে প্রশংসিত করে ক্রীড়া উপদেষ্টাকে সাধুবাদ জানান হামজা। বাংলাদেশ ফুটবলকে নিয়ে নতুন সম্ভাবনার কথা শুনিয়ে হামজা চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসায় আমি আপ্লুত, দেশের ফুটবলকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমার আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে।
মন্তব্য করুন
থাইল্যান্ড,কুয়েত, সুইজারল্যান্ড, ও পোল্যান্ডে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
মঙ্গলবার রাতে এসব নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আদেশে বলা হয়েছে, মেজর জেনারেল মো. আশিকুজ্জামানের অবসর উত্তর ছুটি এবং এ সংক্রান্ত সুবিধা স্থগিত করে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ১৭ নভেম্বর থেকে পরবর্তী ছয় মাসের জন্য তাকে কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পদে চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাইকে তার অবসর উত্তর ছুটি ও সংশ্লিষ্ট সুবিধা স্থগিত এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ২৯ ডিসেম্বর অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ছয় মাস মেয়াদে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা মোহাম্মদ সুফিউর রহমানকে ১ ডিসেম্বর থেকে ছয় মাসের জন্য জেনেভায় জাতিসংঘের বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে স্থায়ী প্রতিনিধি ও সুইজারল্যান্ডের জেনেভা দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত পদে চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা সুলতানা লায়লা হোসেনের অবসর উত্তর ছুটি এবং এ সংক্রান্ত সুবিধা স্থগিতের পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ২৫ ডিসেম্বর বা যোগদানের তারিখ থেকে ছয় মাসের জন্য পোল্যান্ডে রাষ্ট্রদূত পদে চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে এক দল রাজহাঁস। ব্রাজিলের সাও পেদ্রো দে অ্যালকান্তারা জেলের বাইরের চিত্র এটা।
রাজহাঁসের একটি দল সেখানে জেল পাহারা দেয় । রাজহাঁসরাই জেলের পাহারাদার। তাদের অতন্দ্র প্রহরায় জেল থেকে মাছি গলার উপায় নেই।ব্রাজিলের এই বিশেষ জেলটিতে কিন্তু এত দিন রাজহাঁস ছিল না।
অন্য প্রাণী পাহারাদার হিসেবে ছিল। সম্প্রতি সেগুলো সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে হাঁসগুলোকে। সাও পেদ্রো দে অ্যালকান্তারা জেল এত দিন এক দল প্রশিক্ষিত হিংস্র কুকুরকে জেলের বাইরের মাঠে রেখে দেওয়া হয়েছিল।
তবে সম্প্রতি কারা কর্তৃপক্ষ কুকুরের বদলে রাজহাঁসে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বেশি দেখেছে। বিভিন্ন সুবিধা বিবেচনা করেই তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এই রদবদল করেছে বলে দাবি তাদের। দক্ষিণ ব্রাজিলের সান্টা ক্যাটারিনা প্রদেশে অবস্থান এই সাও পেদ্রো দে অ্যালকান্তারা কারাগার। জায়গা নির্জন। ওই নির্জন এলাকা হাঁসের পক্ষে উপযোগী বলে জানায় কারা কর্তৃপক্ষ।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রাজিলের ওই জেলের কর্মচারীদের দাবি, কুকুরের চেয়ে রাজহাঁসের মধ্যে পাহারা দেওয়ার পারদর্শিতা, তৎপরতা অনেক বেশি।
জেলের ডিরেক্টর মার্কোস রবার্টো ডিসুজা জানিয়েছেন, তাদের জেলে ৩টি স্তরে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত রয়েছে। কয়েদিরা যাতে জেল থেকে পালাতে না পারে, সেজন্য চলে কড়া নজরদারি।
সূত্র: রয়টার্স, দ্য অ্যানিমেল রিডার
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে তুর্কি বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ঢাকা এখন
ব্যবসার জন্য প্রস্তুত এবং উভয় দেশকে তাদের সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো
উচিত।
সোমবার (১৪ অক্টোবর)
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন অধ্যাপক
ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা
অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে উভয়দেশকে আররো জোরালো প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্ব
আরোপ করেন।
বৈঠকে তারা মুসলিম
সংখ্যাগরিষ্ঠ দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা
বাড়ানোর উপায়, রোহিঙ্গা সংকট নিরসন এবং শিক্ষার্থী বিনিময় বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাাপক
ইউনূস বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যায় তুরস্কের মানবিক সহায়তা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের
প্রতি অব্যাহত সহায়তা প্রদানের জন্য তুরস্কের প্রশংসা করেন এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক
সম্পর্ক বাড়ানোর লক্ষ্যে তুরস্কের একটি অফিসিয়াল প্রতিনিধিদলের সফরের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট
ও ফার্স্ট লেডিকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
তুর্কি রাষ্ট্রদূত
গত বছর তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সংহতি জানিয়ে দশ হাজার তাঁবু পাঠানোর
জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আসন্ন
ওয়ার্ল্ড হালাল সামিট এবং ইস্তাম্বুলে মন্ত্রী পর্যায়ের একটি সম্মেলনে যোগদানের জন্য
তুরস্ক বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত আরো জানান,
তুরস্কের একটি অফিসিয়াল প্রতিনিধিদল বর্তমানে বাংলাদেশ সফর করছে, যারা মূলত নতুন ব্যবসা
ও বাণিজ্যিক সুযোগ খুঁজে বের করতে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগে সহায়তা
করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন,‘আমরা অর্থনৈতিক
ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো নিবিড় করতে চাই।’
রাষ্ট্রদূত বলেন,
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় সাম্প্রতিক বন্যার সময় তুরস্কের আরেকটি দল দেশটি সফর
করেছে। তারা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লায় বন্যার্তদের জন্য মানবিক সহায়তা
প্রদান করেছে।
তিনি জানান, দুই দেশের
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বর্তমানে ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে, তবে উভয় দেশ থেকে
রপ্তানি বাড়ানোর অনেক সুযোগ এখনো রয়ে গেছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন,
তুরস্কের ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশের একটি উচ্চ
পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল দেশটি সফর করার প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি জানান, তুরস্কের
বাণিজ্যমন্ত্রী এই বছরের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ সফর করবেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে
স্টারলিংক সফলভাবে চালু করার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রশংসা
করেছেন স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ার।
আজ
শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনুসের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন।
লরেন
ড্রেয়ার বলেন, আমরা ১৫০টি দেশ ও অঞ্চলে কাজ করি। আমরা এত দক্ষতা ও দ্রুত সিদ্ধান্ত
গ্রহণ আগে কখনও দেখিনি। স্পেসএক্স-এর সব সহকর্মীর পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
আমরা আপনার লোকজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।
প্রধান
উপদেষ্টা বাংলাদেশ সফরের জন্য ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,
এখন বর্ষাকাল, দেশের এক মনোরম সময়। সুন্দর পরিবেশ। চারদিকে সবুজ আর পানি। কিন্তু বন্যা
ও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির বাস্তবতাও আছে। সেজন্য আমাদের ভালো কানেক্টিভিটির স্বার্থে
নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তির প্রয়োজন।
তিনি
আরও বলেন, আমাদের পার্বত্য অঞ্চলের দূরবর্তী এলাকাগুলোতে উন্নত কানেক্টিভিটির বিশেষ
প্রয়োজন। এসব অঞ্চলে ভালো স্কুল শিক্ষক ও ডাক্তার নেই। আমরা ১০০টি স্কুলে অনলাইন শিক্ষা
চালু করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছি, যা বিচ্ছিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীদের উপকারে আসবে।
অন্তর্ভুক্তিমূলক
স্বাস্থ্যসেবার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবাকে
অগ্রাধিকার দিচ্ছি, যাতে দূরবর্তী এলাকার মানুষ অনলাইনে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারে।
তাদের চিকিৎসার ইতিহাস ডিজিটালি সংরক্ষিত থাকবে, এর ফলে ভবিষ্যতে পরামর্শ দেয়া সহজ
হবে।
তিনি
বলেন, এটি প্রেগনেন্সি পিরিয়ডে খুব কার্যকর ভূমিকা রাখে। নারীদের এ সময় ডাক্তারের কাছে
যাওয়ার জন্য আরেকজন সহযোগীর প্রয়োজন হয়। ডিজিটাল হেলথ সেবা হলে তারা ঘরে বসেই ডাক্তার
দেখাতে পারবেন।
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস উল্লেখ
করেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরাও ডিজিটাল হেলথ সেবা থেকে উপকৃত হবেন।
তিনি
বলেন, প্রবাসীরা ভাষার কারণে অনেক সময় ডাক্তারের কাছে যেতে অস্বস্তিতে ভোগেন। কী বলবেন-এটা
নিয়ে ভাবেন। তবে ডিজিটাল হেলসথ সেবা হয়ে গেলে বিদেশ থেকেই বাংলাদেশের ডাক্তারের সাথে
তারা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শের জন্য কথা বলতে পারবেন।
প্রধান
উপদেষ্টা লরেন ড্রেয়ারের উদ্দেশে বলেন, আমরা এখানে ছোট ছোট যে উদ্যোগ নিচ্ছি, আপনারা
এগুলোকে বৈশ্বিক পরিসরে নিয়ে যেতে পারেন।
লরেন
ড্রেয়ার অধ্যাপক ইউনুসের আইডিয়ার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আপনি যে দৃষ্টান্ত তৈরি
করছেন, তা নিয়ে অন্য নেতাদের সঙ্গে আমরা কথা বলতে পারি। আমরা বলবো-অধ্যাপক ইউনূস যদি
নিজের দেশে এগুলো করতে পারেন, তাহলে আপনারাও আপনার দেশে করতে পারেন।
তিনি
দুর্নীতির বিরুদ্ধে অধ্যাপক ড. ইউনূসের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, সরকারি সেবাগুলো দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আপনি যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমি প্রায়ই বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করি, তাই জানি দুর্নীতি কীভাবে একটি গুরুতর সমস্যা হতে পারে। প্রযুক্তির মাধ্যমে সেবা বিকেন্দ্রীকরণ এবং সুশাসন নিশ্চিত করা একটি অর্থবহ দৃষ্টিভঙ্গি।
বৈঠকে
উপস্থিত ছিলেন, স্পেসএক্সের গ্লোবাল এনগেজমেন্ট কনসালট্যান্ট রিচার্ড গ্রিফিথস, বাংলাদেশের
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি
বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এবং বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী
আশিক মাহমুদ বিন হারুন প্রমুখ।
(সূত্র-
বাসস)
মন্তব্য করুন
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সংস্কার কার্যক্রম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
ইউরোপীয় এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের পরিচালক পাওলা পাম্পালোনি আজ ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতকালে বাংলাদেশকে সমর্থনে ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রস্তুতির কথা জানান।
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি প্রধান মাইকেল মিলার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যভূক্ত ২৭টি রাষ্ট্রের সমর্থন নিশ্চিত করে পাম্পালোনি প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ‘আমাদের বার্তা খুবই স্পষ্ট। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আপনাদের পাশে আছে। আমরা আপনাদের সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন দিতে চাই।’
পাম্পালোনি বলেন, সংস্কারের জন্য অর্থের কোনো ঘাটতি হবে না এবং বাংলাদেশ সরকারের এই কাজ সম্পাদনের জন্য তারা প্রযুক্তিগত সহায়তাও দেবে।
এই সমর্থনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করায় প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা স্মরণ করে ড. ইউনূস বলেন, তারা সেসময় বাংলাদেশের প্রতি সমর্থনের বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ভন ডার লেয়েন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
পাম্পালোনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং আর্থিক সহায়তা দিয়ে অনেক দেশের পাশে এভাবে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া আপনার বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনেছি এবং বুঝতে পেরেছি যে এখন বাংলাদেশে আমাদের কাজ করার মতো একজন আছেন। আপনাকে একা অনুভব করতে হবে না। আমরা সত্যিই আপনাকে সমর্থন দিতে আগ্রহী।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা বাংলাদেশকে আরও বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে করে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।
রাষ্ট্রদূত মিলার প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশে আরও ব্যবসায় সুযোগ খুঁজে বের করার লক্ষ্যে আগামী জানুয়ারিতে এই দেশ সফর করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে শ্রম অধিকার সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করেন এবং বলেন, এর ফলে আরও বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত হবে।
তিনি ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে শ্রম অধিকারের বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখব। এখানে কোনো লুকোচুরি হবে না। আমরা আর লুকোচরির খেলা খেলতে চাই না।’
ইইউ কর্মকর্তারা বিভিন্ন খাতে সংস্কারের ক্ষেত্রে অধ্যাপক ইউনুসের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন।
পাম্পালোনি বলেন, ‘এই প্রথম আমরা দেখছি এমন কিছু রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি আপনি নির্ধারণ করেছেন, যা নিয়ে আগে আমরা কথা বলেছি। সুতরাং আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখছি।’
প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে নেপাল এবং ভারতের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, নেপালে বিশাল জলবিদ্যুৎ রয়েছে যা অপচয় হচ্ছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু সহায়তা পেলে নেপাল, বাংলাদেশ এবং ভারত সবাই এতে লাভবান হতে পারে।
অধ্যাপক ইউনূস ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি বাংলাদেশের যুবসমাজের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান এবং দক্ষিণ এশীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের মেয়েদের সাম্প্রতিক অর্জনের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘তারা খেলতে গেছে এবং জয় করেছে, একবার নয়, বরং দু'বার।’
তিনি আরও অনুরোধ করেন যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেন একটি ইউরোপীয় ফুটবল দল পাঠায় যা বাংলাদেশের মেয়েদের অনুপ্রাণিত করবে।
মন্তব্য করুন
ভিয়েতনামে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের
হ্যানয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস টাইফুন ইয়াগি সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে হ্যানয়ের
বাংলাদেশ দূতাবাস ভিয়েতনামে বসবাসরদের জন্য সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভিয়েতনামে
বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিকদের সদয় জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, শক্তিশালী টাইফুন
ইয়াগি ইতোমধ্যে ভিয়েতনামে আঘাত হানতে শুরু করেছে এবং তার প্রভাবে আগামী ২ দিন উত্তর
ও মধ্য-ভিয়েতনামে ভারী বর্ষণ এবং বন্যা সংঘঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জরুরি মুহূর্তে
সব-প্রকার দোকান-পাট বন্ধ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বিধায় আপদকালীন সময়ের জন্য প্রয়োজনীয়
খাবার ও ওষুধ সংগ্রহে রাখা যেতে পারে। টাইফুন আক্রান্ত এলাকায় ভ্রমণ না করে এই সময়ে
নিরাপদে যার যার বাসস্থানে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হলো। আপডেটের জন্য স্থানীয়
সংবাদ মনিটর করুন। ভিয়েতনামের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে বিধায় ভিয়েতনাম ভ্রমণে ইচ্ছুক বাংলাদেশি নাগরিককে এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে ভ্রমণ
করার জন্য অনুরোধ করা হলো। বাংলাদেশ দূতাবাস, আগামী সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) যথারীতি
খোলা থাকলেও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে স্বাভাবিক সেবা প্রদানে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এমতাবস্থায়
জরুরি প্রয়োজনে দূতাবাসের নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
দূতাবাসে যোগাযোগের নম্বর : +৮৪-৮৯৬৩২১৮৬৮ (দূতালয় প্রধান)
টাইফুন ইয়াগি কালীন জরুরি সাহায্যের
জন্য ভিয়েতনামের নিম্নের নম্বরে যোগাযোগ করুন-
১১২ (জীবন বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকি দেখা দিলে)
১১৩ (পুলিশ সহায়তা)
১১৫ (এম্বুলেন্স সহায়তা)
মন্তব্য করুন
গত ৪ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। প্রেসিডেন্ট গভীররাতে গোটা সিয়ারা লিওন যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন এই জরুরি অবস্থার নেপথ্যে একমাত্র কারণ কুশ নামক মাদকের ব্যবহার।
মানুষের
হাড় জোগাড় করতে মাদক প্রস্তুতকারকেরা হানা দিচ্ছেন কবরস্থানে। কবর খুঁড়ে বার করে
আনা হচ্ছে মানুষের কঙ্কাল। তার পর সেই কঙ্কালের হাড় গুঁড়ো করে অন্যান্য প্রয়োজনীয়
পদার্থের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করে ফেলা হচ্ছে কুশ। সিগারেট, বিড়ি বা গাঁজার মতো এই মাদক
সেবন করছেন সিয়েরা লিওনের বাসিন্দারা।
শুধু জরুরি অবস্থা জারি করে নিশ্চিন্ত হতে পারেননি সে দেশের প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাদা বায়ো, কবরস্থান গুলিতে মোতায়েন করতে হয়েছে সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী।পশ্চিম আফ্রিকার সিয়েরা লিওন নামক ছোট্ট দেশটির কাছে এখন হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই মাদক। এক জাতীয় মাদকের ব্যবহার রুখতে জারি করা হল জরুরি অবস্থা।
হাজার
হাজার মানুষ ছুটছেন এই মাদকের পিছনে। ভয়াবহতা আর তৈরির প্রক্রিয়ার জন্য একে ‘পিশাচ
মাদক’ও বলা হয়।সিয়েরা লিওনে এখন আতঙ্কের কারণ কুশ। কুশ এক ধরনের মাদক। কিন্তু সে দেশের
বেশির ভাগ নাগরিকের কাছেই কুশ যেন ‘অমৃত’।
এই
কুশের দাম বেশ কম। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, মাত্র ৮০০ টাকার মাদক কিনে
বেশ কয়েক জন নেশা করেন। তবে যে দেশের বার্ষিক আয় মাত্র ৪২ হাজার টাকা, সে দেশের মানুষের
কাছে কুশ এক বিলাসিতা। কিন্তু নেশার টানে সেই বিলাসিতার জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন
হাজার হাজার যুবক।
যে
সব পদার্থ মিশিয়ে কুশ তৈরি করা হয়, তা চিকিৎসকদের আরও বেশি করে চিন্তায় ফেলেছে। অনেকেই
এই মাদককে ‘মৃত্যুফাঁদ’ বলেও উল্লেখ করছেন। বহু প্রচার করেও এই মাদক ব্যবহার থেকে দেশের
মানুষকে বিরত করতে পারেনি প্রশাসন। দেশে তাই জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া কোনও রাস্তা
ছিল না বলে দাবি করেছেন বায়ো।
এই
মাদক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় সালফার। আর এই সালফার জোগাড় করতেই প্রয়োজন পড়ছে মানুষের
হাড়! হাড় গুঁড়ো করে মাদকে মেশানো হচ্ছে।কুশ বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ মিশিয়ে
তৈরি করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে ফেন্টানাইল, গাঁজা, ফর্মালডিহাইড জাতীয় দ্রব্য।
গভীর
রাতে গোটা সিয়েরা লিওন যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস জরুরি অবস্থা ঘোষণা
করেন। এই জরুরি অবস্থার নেপথ্যে একমাত্র কারণ কুশ! তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে বিধ্বংসী
সিন্থেটিক মাদক কুশের অপব্যবহারের কারণে আমাদের দেশ অস্তিত্বগত সঙ্কটে ভুগছে। এই মাদক
এক মৃত্যুফাঁদ। মানুষ এই মাদক সেবন করে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’’
জুলিয়াস
সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে ভাবেই হোক কুশ ব্যবহার আটকাবেই তারা।কবর থেকে কঙ্কাল চুরি
আটকাতে কবরস্থানের চারপাশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছে সিয়েরা লিওন সরকার। সন্দেহভাজন
কোনও ব্যক্তিকে দেখলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে।
বর্তমানে
গোটা দেশ যেন নেশায় আচ্ছন্ন। বছর কয়েক আগেও এই দেশের অবস্থা এমন ভয়াবহ ছিল না। বিশেষজ্ঞদের
মতে, এই মাদক এক বার সেবন করলে তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশে বেকারত্বের
হার প্রায় ৬০ শতাংশ। দু’বেলা পেটভরা খাবার জোগাতে হিমশিম খান বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু
খাবারের থেকেও কুশ সেবনের প্রবণতা বেশি। আর তা কেনার জন্য অর্থ জোগাড় করতে অপরাধ জগতে
পা দিচ্ছেন অনেকেই।যে ব্যক্তি এই মাদক সেবন করেন, তিনি কয়েক ঘণ্টা নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে
থাকেন। বিশেষত, তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই এই মাদক সেবনের প্রবণতা বেশি।
কুশ
ব্যবহারের ফলে স্নায়ু শিথিল হয়ে যায়। স্বাভাবিক চিন্তাভাবনার শক্তি হারিয়ে ফেলেন সেবনকারী।
তবে কুশে ব্যবহৃত ফেন্টানাইলের মতো দ্রব্যগুলির নেতিবাচক প্রভাব ভয়ঙ্কর।
২০২০
সালেও সিয়েরা লিওনে এই মাদকের ব্যবহার এতটা ছিল না। সরকারি এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী,
২০২০ সালে গোটা দেশে কুশ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৭। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে
দাঁড়ায় ১ হাজার ১০১।
২০২০
থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই মাদক ব্যবহার বেড়েছে চার হাজার শতাংশ। তাঁদের মধ্যে বেশির
ভাগই পুরুষ। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সিরাই এই মাদকে আসক্ত হচ্ছেন বেশি।
এই
মাদকের ফলে সিয়েরা লিওনে বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যুর হার। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, সে দেশের
হাসপাতালগুলিতে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ৬৩ শতাংশই কুশ মাদকে আসক্ত। এই মাদকে আসক্ত
অসুস্থ হয়ে পড়া ব্যক্তিদের বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম।
চিকিৎসকদের
মতে, কুশ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন হৃদ্যন্ত্র, মস্তিষ্ক, লিভার, কিডনি এবং ফুসফুসে
সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে। ফলে এক বা একাধিক অঙ্গ বিকল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। প্রধানত
অঙ্গ বিকল হয়েই মৃত্যু হয় কুশ মাদকে আসক্ত ব্যক্তির।
এই
জরুরি অবস্থার নেপথ্যে একমাত্র কারণ কুশ নামক মাদকের এক জাতীয় মাদকের ব্যবহার রুখতে
জারি করা হল জরুরি অবস্থা। পশ্চিম আফ্রিকার সিয়েরা লিওন নামক ছোট্ট দেশটির কাছে এখন
হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই মাদক। শুধু জরুরি অবস্থা জারি করে নিশ্চিন্ত হতে পারেননি সে
দেশের প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাদা বায়ো, কবরস্থানগুলিতে মোতায়েন করতে হয়েছে সশস্ত্র নিরাপত্তা
বাহিনী।
সিয়েরা
লিওনে এখন আতঙ্কের কারণ কুশ। কুশ এক ধরনের মাদক। কিন্তু সে দেশের বেশির ভাগ নাগরিকের
কাছেই কুশ যেন ‘অমৃত’। হাজার হাজার মানুষ ছুটছেন এই মাদকের পিছনে। ভয়াবহতা আর তৈরির
প্রক্রিয়ার জন্য একে ‘পিশাচ মাদক’ও বলা হয়।
যে
সব পদার্থ মিশিয়ে কুশ তৈরি করা হয়, তা চিকিৎসকদের আরও বেশি করে চিন্তায় ফেলেছে। অনেকেই
এই মাদককে ‘মৃত্যুফাঁদ’ বলেও উল্লেখ করছেন। বহু প্রচার করেও এই মাদক ব্যবহার থেকে দেশের
মানুষকে
বিরত করতে পারেনি প্রশাসন। দেশে তাই জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া কোনও রাস্তা ছিল না
বলে দাবি করেছেন বায়ো।
গত ৪ এপ্রিল গভীর রাতে গোটা সিয়েরা লিওন যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। এই জরুরি অবস্থার নেপথ্যে একমাত্র কারণ কুশ! তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে বিধ্বংসী সিন্থেটিক মাদক কুশের অপব্যবহারের কারণে আমাদের দেশ অস্তিত্বগত সঙ্কটে ভুগছে। এই মাদক এক মৃত্যুফাঁদ। মানুষ এই মাদক সেবন করে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’’কুশ বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ মিশিয়ে তৈরি করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে ফেন্টানাইল, গাঁজা, ফর্মালডিহাইড জাতীয় দ্রব্য। শুধু তা-ই নয়, এই মাদক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় সালফার। আর এই সালফার জোগাড় করতেই প্রয়োজন পড়ছে মানুষের হাড়! হাড় গুঁড়ো করে মাদকে মেশানো হচ্ছে।
মানুষের হাড় জোগাড় করতে মাদক প্রস্তুতকারকেরা হানা দিচ্ছেন কবরস্থানে। কবর খুঁড়ে বার করে আনা হচ্ছে মানুষের কঙ্কাল। তার পর সেই কঙ্কালের হাড় গুঁড়ো করে অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদার্থের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করে ফেলা হচ্ছে কুশ। সিগারেট, বিড়ি বা গাঁজার মতো এই মাদক সেবন করছেন সিয়েরা লিওনের বাসিন্দারা।কবর থেকে কঙ্কাল চুরি আটকাতে কবরস্থানের চারপাশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছে সিয়েরা লিওন সরকার। সন্দেহভাজন কোনও ব্যক্তিকে দেখলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। জুলিয়াস সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে ভাবেই হোক কুশ ব্যবহার আটকাবেই তারা।
বছর কয়েক আগেও এই দেশের অবস্থা এমন ভয়াবহ ছিল না। বর্তমানে গোটা দেশ যেন নেশায় আচ্ছন্ন। যে ব্যক্তি এই মাদক সেবন করেন, তিনি কয়েক ঘণ্টা নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকেন। বিশেষত, তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই এই মাদক সেবনের প্রবণতা বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মাদক এক বার সেবন করলে তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়।পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশে বেকারত্বের হার প্রায় ৬০ শতাংশ। দু’বেলা পেটভরা খাবার জোগাতে হিমশিম খান বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু খাবারের থেকেও কুশ সেবনের প্রবণতা বেশি। আর তা কেনার জন্য অর্থ জোগাড় করতে অপরাধ জগতে পা দিচ্ছেন অনেকেই।
কুশ
ব্যবহারের ফলে স্নায়ু শিথিল হয়ে যায়। স্বাভাবিক চিন্তাভাবনার শক্তি হারিয়ে ফেলেন সেবনকারী।
তবে কুশে ব্যবহৃত ফেন্টানাইলের মতো দ্রব্যগুলির নেতিবাচক প্রভাব ভয়ঙ্কর।এই
মাদকের ফলে সিয়েরা লিওনে বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যুর হার। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, সে দেশের
হাসপাতালগুলিতে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ৬৩ শতাংশই কুশ মাদকে আসক্ত। এই মাদকে আসক্ত
অসুস্থ হয়ে পড়া ব্যক্তিদের বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম।
২০২০ সালেও সিয়েরা লিওনে এই মাদকের ব্যবহার এতটা ছিল না। সরকারি এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে গোটা দেশে কুশ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৭। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ১০১।
২০২০
থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই মাদক ব্যবহার বেড়েছে চার হাজার শতাংশ। তাঁদের মধ্যে বেশির
ভাগই পুরুষ। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সিরাই এই মাদকে আসক্ত হচ্ছেন বেশি।
চিকিৎসকদের মতে, কুশ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন হৃদ্যন্ত্র, মস্তিষ্ক, লিভার, কিডনি এবং ফুসফুসে সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে। ফলে এক বা একাধিক অঙ্গ বিকল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। প্রধানত অঙ্গ বিকল হয়েই মৃত্যু হয় কুশ মাদকে আসক্ত ব্যক্তির।
এই কুশের দাম বেশ কম। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, মাত্র ৮০০ টাকার মাদক কিনে বেশ কয়েক জন নেশা করেন। তবে যে দেশের বার্ষিক আয় মাত্র ৪২ হাজার টাকা, সে দেশের মানুষের কাছে কুশ এক বিলাসিতা। কিন্তু নেশার টানে সেই বিলাসিতার জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার যুবক।
মন্তব্য করুন