সোনা,হীরাসহ নানা দামি সম্পদ পাচার করার জন্য প্রায়ই নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করে পাচারকারীরা। তবে গত তিনদিন ধরে ভারতের মুম্বাই বিমানবন্দরে ধরা পড়া পাচারকারীদের কীর্তি দেখে হতবাক নিরাপত্তারক্ষীরাও। কেউ নুডলসের প্যাকেটে, কেউ আবার শরীরের মধ্যে লুকিয়ে কোটি কোটি টাকা মূল্যের সোনা ও হীরা পাচারের চেষ্টা করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে যায় তাদের কৌশল।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মুম্বাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার রাতে ব্যাঙ্ককগামী বিমান ধরতে আসা এক যাত্রীর স্যুটকেস থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা ও হীরা উদ্ধার করা হয়েছে। ওই যাত্রীর স্যুটকেস খুলে পরীক্ষা করার সময় বেশ কয়েকটি নুডলসের প্যাকেট পাওয়া যয়। সেই প্যাকেট কাটতেই বেরিয়ে আসে সোনা ও হীরা।
ভারতের শুল্ক দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই যাত্রীর কাছ থেকে ৬ কেজি ৮০০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৪ কোটি রুপি। এ ছাড়া ২ কোটি রুপিরও বেশি মূল্যের হীরাও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে কলম্বো থেকে মুম্বইগামী বিমানে এক বিদেশি নাগরিক শরীরের মধ্যে ৩২১ গ্রামের সোনার বার নিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টায় ছিলেন। কিন্তু মুম্বাই বিমানবন্দরে নামতেই নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে ধরা পড়ে যান তিনি।
সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা
মন্তব্য করুন
মুরাদুল ইসলাম মুরাদ,
কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রামের
অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে সস্ত্রীক ভুটান ফিরে গেলেন রাজা জিগমে খেসার নাময়িগেল
ওয়াংচুক। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে জেলার সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন
শেষে ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন তিনি। কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন
শেষে সস্ত্রীক ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন রাজা জিগমে খেসার নাময়িগেল ওয়াংচুক।
কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন শেষে সস্ত্রীক ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা
শুরু করেছেন রাজা জিগমে খেসার নাময়িগেল ওয়াংচুক।
এর
আগে বৃহস্পতিবার সার্কিট হাউজ থেকে দুপুর ১ টা ২০ মিনিটে ধরলার পাড়ের অর্থনৈতিক অঞ্চলে
যান এবং পনের মিনিট স্থানটি পরিদর্শনের পাশাপাশি বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ
হারুনসহ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এর
পরে রাজা সড়ক পথে সোনাহাট স্থলবন্দরের দিকে রওয়ানা দেন। রাজা সড়ক পথে দুপুর ১২ টা ১৫
মিনিটে সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে কুড়িগ্রাম
সার্কিট হাউজে এসে পৌঁছান।
কুড়িগ্রামের
জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ জানান, ভুটানের রাজা দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সার্কিট হাউজে অবস্থান
করেন। এরমধ্যে তিনি দুপুরের খাবার সেরে নেন। এরপর দুপুর দেড়টায় তিনি ধরলার পাড়ের কুড়িগ্রাম
সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকায় ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত
জায়গা পরিদর্শন করেন। সেখানে রাজা পনের মিনিট অবস্থানের পর সড়ক পথে জেলার ভূরুঙ্গামারী
উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করেন। স্থলবন্দরে বিশেষ ইমিগ্রেশনের
মাধ্যমে ভারত হয়ে নিজ দেশ ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন রাজা। বাংলাদেশ-ভুটান দুদেশের
যৌথ উদ্যোগে ধরলা পাড়ে ২১৯ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হবে জিটুজি ভিত্তিতে এ বিশেষ অর্থনৈতিক
অঞ্চল। রাজার আগমনকে ঘিরে সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন করে প্রশাসন। ভুটানের রাজার আগমনে
কয়েক স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম
চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট আব্দুল আজিজ জানান, ধরলার পাড়ে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল
গড়ে তোলা হলে সড়ক, নদী ও রেল পথের সুবিধা মিলবে। এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি
অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।
এ
সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কুড়িগ্রাম ৪- আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান পলাশ
সহ আরও অনেকেই।
মন্তব্য করুন
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দুবাইয়ে দ্য ওয়ার্ল্ড পুলিশ সামিট-২০২৪ এ যোগ দিতে দুবাই গেলেন ।
আইজিপি দুবাইয়ে ৫ থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় দ্য ওয়ার্ল্ড পুলিশ সামিটে অংশগ্রহণ করবেন। সামিটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুলিশ প্রধান এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করছেন।
সোমবার (৪ মার্চ) রাতে সরকারি সফরে দুবাইয়ের উদ্দেশে তিনি ঢাকা ছেড়েছেন।
বাংলাদেশের পুলিশ প্রধান সম্মেলনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পুলিশ প্রধান এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বৈঠকে অংশ নেবেন।
আইজিপি সম্মেলন শেষে আগামী ৮ মার্চ দেশে ফিরার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের উত্তর উপকূলে একটি ফেরি ডুবে ৯০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন।
সোমবার (৮ এপ্রিল) স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, নামপুলা প্রদেশের কর্মকর্তারা বলেছেন, ফেরিতে ১৩০ জনের মতো আরোহী ছিলেন। কলেরার প্রকোপ থেকে বাঁচতে তারা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র রওনা হয়েছিলেন। আরোহীদের মধ্যে পাঁচজনকে ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নামপুলা সেক্রেটারি অব স্টেট জেইম নেটো বলেছেন, এসব মানুষ কলেরার প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে ফেরিতে অনেক মানুষ উঠে পড়ে। এই জন্য একপর্যায়ে এটি ডুবে যায়। নিহতদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ইতিমধ্যে ,এই ঘটনার অনেক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সমুদ্রসৈকতে মানুষের লাশ সারি সারি করে রাখা হয়েছে। তবে এসব ভিডিওয়ের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।
পর্তুগিজ টিভি আরটিপি জানিয়েছে, ফেরিটি লুঙ্গা থেকে মোজাম্বিক দ্বীপে যাচ্ছিল।
গত বছরের জানুয়ারি থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে কলেরার ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব দেশের মধ্যে মোজাম্বিকের নামপুলা প্রদেশে সবচেয়ে বাজেভাবে কলেরা প্রকোপ দেখা দিয়েছে।
ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, মোজাম্বিকের বিগত ২৫ বছরের ইতিহাসে এবারই সবচেয়ে ভয়াবহভাবে কলেরা ছড়িয়ে পড়েছে। গত বছরের অক্টোবর থেকে দেশটিতে ১৩ হাজার ৭০০ জনের কলেরা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া এই সময়ে কলেরা আক্রান্ত হয়ে ৩০ জনের মৃত্যুর হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ইতালি প্রবাসী ফুটবলার ফাহমিদুল ইসলামকে প্রাথমিক ক্যাম্পে ডেকেও দেশে আনা হয়নি। এ নিয়ে দেশের ফুটবলে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আর সমর্থকদের মধ্যে তৈরি হওয়া এ ক্ষোভ গড়িয়েছে আন্দোলনেও।
এমন পরিস্থিতিতে
রাজধানীর নগর ভবনে আজ দুপুর আড়াইটায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ
মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ ফুটবলের নতুন সম্ভাবনা
হামজা চৌধুরী। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত হয়ে চলমান সঙ্কট নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টার
সঙ্গে আলোচনায় বসেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
এসময় ক্রীড়া উপদেষ্টা
সমর্থকদের পক্ষ থেকে আসা অভিযোগ সম্পর্কে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘ফুটবল ফেডারেশনে
সিন্ডিকেট করার কোনো সুযোগ নেই। যোগ্যতা অনুযায়ী সবাই যার যার জায়গা করে নেবে, এমন
কোন কিছুর আভাস মিললে ব্যবস্থা নেবে ফেডারেশন। ফাহমিদুলকে আমরা বাদ দিয়ে দেইনি। তবে
ওকে আমরা আরও সময় দিতে চেয়েছি। আগামী জুনেই ঘরের মাঠে বাংলাদেশের ম্যাচ রয়েছে,
খুব শিগগিরই হয়তো তাকে আমরা মাঠে দেখতে পারি। সমর্থকদের এতটুকু বলবো, হতাশ হওয়ার
কিছু নেই।
আন্দোলনের
সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, স্বজনপ্রীতি ও সিন্ডিকেটের কারণেই নেওয়া হয়নি ফাহমিদুলকে।
আলোচনায় সিন্ডিকেট নিয়ে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আনা অভিযোগ এবং ফাহমিদুলের বাদ পড়া প্রসঙ্গে ক্রীড়া
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘দেশের স্বার্থেই যোগ্য খেলোয়াড়দের বঞ্চিত করার কোনো
সুযোগ নেই। প্লেয়ার সিলেকশনে যেনো স্বজনপ্রীতি বা সিন্ডিকেটের শিকার কেউ না হোন সে
বিষয়ে বাফুফেকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এ বিষয়ে দুর্নীতির প্রমাণ পেলে জড়িতদের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। ’
যে কোনো সঙ্কট
মোকাবিলায় বাফুফেকে আরো সুদৃঢ় পদক্ষেপ নিয়ে দেশের ফুটবলকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার
আহ্বান জানান আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আলোচনায় বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের প্রতি আধুনিক ধারার দৃষ্টিভঙ্গি এবং আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসার প্রয়াসকে প্রশংসিত করে ক্রীড়া উপদেষ্টাকে সাধুবাদ জানান হামজা। বাংলাদেশ ফুটবলকে নিয়ে নতুন সম্ভাবনার কথা শুনিয়ে হামজা চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসায় আমি আপ্লুত, দেশের ফুটবলকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমার আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে।
মন্তব্য করুন
গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে প্রতিদিনই যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন মানুষ। সম্প্রতি নাক দিয়ে সুর বাজিয়ে রেকর্ডে নাম যুক্ত করেছেন কানাডার অন্টারিওর বাসিন্দা লুলু লোটাস।
লুলু লোটাস তার নাক দিয়ে ৪৪.১ ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দ উৎপন্ন করতে পারেন। তিনিই এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে জোরে নাকের শিস তৈরি করা ব্যক্তি।
লুলু ৭ বছর বয়সে প্রথম তিনি তার এই দক্ষতা আবিষ্কার করেন। তিনি লক্ষ্য করেন তিনি তার নাক দিয়ে বিভিন্ন সুর তৈরি করতে পারছেন। যা তিনি তার স্কুলের শিক্ষক ও সহপাঠীদের সঙ্গে মজা করার জন্য ব্যবহার করতেন। ক্লাসে যখন সবাই বাঁশির সুর শুনে তার উৎস খুঁজতে শুরু করতো তখন তার খুবই মজা লাগত।
লুলু তার নাক থেকে বাতাসের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে তার গলার পেশী ব্যবহার করে নাক দিয়ে শব্দ করতে পারেন। মুখ খোলা থাকলে মুখ থেকে শব্দ বের হয়। আর যদি মুখ বন্ধ করেন তাহলে নাক দিয়ে শব্দ বের হয়।
স্টিভ আওকির ডকুমেন্টারি দেখার পর লুলুর রেকর্ড করার ইচ্ছা জাগে। স্টিভ আওকি গত বছর গিনেস বুকে নাম লেখান সবচেয়ে বেশি ভ্রমণকারী সংগীতশিল্পী হিসেবে। এরপর লুলু খুঁজতে থাকেন এমন কেউ রেকর্ড করেছে কি না এখন পর্যন্ত, যিনি নাক দিয়ে শিস বাজাতে পারেন। অবশেষে তিনি এই রেকর্ডটি করতে সক্ষম হয়েছেন।
সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড অব রেকর্ড
মন্তব্য করুন
অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে বিট্রিশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন।
বুধবার (২১ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশে নিযুক্ত বিট্রিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এসময় ড. ইউনূস পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতা চান।
বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আমরা বৈশ্বিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জানি যে শেখ হাসিনা সরকারের সময় বাংলাদেশ থেকে প্রচুর টাকা পাচার হয়ে গেছে। যুক্তরাজ্যে বিপুল সংখ্যক মানুষ বড়িঘর করেছেন। পাচার হওয়া এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কিভাবে ফেরত আনা যায় সে বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন ড. ইউনূস।’
তিনি বলেন, সরকার পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এনে দেশ পুর্নগঠনের কাজে লাগাতে চায়।
বুধবার বিট্রিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক ছাড়াও জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সীমিত ডিকার্বনাইজেশন সক্ষমতা সম্পন্ন
বেশিরভাগ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের সবুজ শিল্প বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক ও প্রযুক্তিগত
সহায়তা প্রয়োজন। বাংলাদেশ সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও রেয়াতি ডিকার্বনাইজেশন
ফাইন্যান্সের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কাজে লাগিয়ে ক্লাইমেট ক্লাবের সাথে কাজ
করতে ইচ্ছুক।
এখানে
প্রাপ্ত একটি বার্তায় বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯ সম্মেলনে
জার্মানি ও চিলি আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের জলবায়ু ক্লাব নেতাদের সভায় বক্তব্য রাখছিলেন।
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন আরো বেশি দ্রুত
ও টেকসই উপায়ে হ্রাস এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন ৪৩ শতাংশ
কমাতে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-শূন্যে পৌঁছানোর জন্য উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে
সীমাবদ্ধ করতে ব্যাপক আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।
তিনি
বিশেষ করে উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোতে প্রমাণিত কম নির্গমন প্রযুক্তি
প্রদর্শন ও স্থাপন করার আহ্বান জানান।
তিনি
বলেন, অনেক ডিকার্বনাইজেশন প্রযুক্তির জন্য উলে¬খযোগ্য অগ্রিম বিনিয়োগের প্রয়োজন। অর্থায়নের
সীমিত সুযোগ রয়েছে এমন দেশ বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো সবচেয়ে দুর্বল উন্নয়নশীল দেশগুলোতে
এ ধরণের অধিক মূলধন বিনিয়োগ করা শিল্পের জন্য একটি বাধা হতে পারে।
প্রধান
উপদেষ্টা বাংলাদেশের মতো উদীয়মান উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতের শিল্পের জন্য
রেয়াতি অর্থের সুযোগ লাভকে উৎসাহিত করে শিল্প ডিকার্বনাইজেশনের ক্ষেত্রে অর্থায়নের
জন্য আর্থিক ব্যবস্থার বিকাশের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি
বলেন, প্যারিস চুক্তির আর্টিকেল ৬.৮ এর অধীনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, সক্ষমতা বৃদ্ধি
এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
আমদানিতে
সুষম কার্বন খরচ আরোপ করে একটি সুষম ক্ষেত্র তৈরি করতে কার্বন মূল্য নির্ধারণ বা সীমা
সমন্বয় করের ওপর আন্তর্জাতিক চুক্তির উপর জোর দিয়ে, ২০০৬ সালের নোবেল পিস লরিয়েট বলেন,
স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে (এলডিসি) তাদের বিশেষ পরিস্থিতি ও উন্নয়ন চাহিদার প্রেক্ষিতে
অগ্রাধিকারমূলক ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে।
শিল্পের
ডিকার্বনাইজেশন সম্পর্কে তিনি বলেন, কার্বন নির্গমন বিশ্বব্যাপী স্বল্প-কার্বন প্রযুক্তি
ভিত্তিক উদ্ভাবনের জন্য প্রণোদনা কমিয়ে দিতে পারে, কারণ কিছু খাত টেকসই ব্যবস্থা অনুশীলনের
তুলনায় ব্যয়কে অগ্রাধিকার দিতে পারে।
অধ্যাপক
ইউনূস বলেন, ‘এসব ঝুঁকি প্রশমিত করার জন্য, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার সাথে ডিকার্বনাইজেশন
প্রচেষ্টার ভারসাম্য বজায় রাখতে কার্বন সীমা সমন্বয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মতো নীতিগুলি
অপরিহার্য।’
তিনি আরো বলেন, অন্যদিকে, এসব নীতি বাংলাদেশের মতো বিশেষভাবে দুর্বল উন্নয়নশীল দেশের কোম্পানিগুলির প্রতিযোগিতামূলকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। অধিক নির্গমন নীতির কারণে উচ্চ উৎপাদন খরচের প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী তাদেরকে কম প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে।
তিনি
আরো বলেন, ‘অতএব, স্বল্পোন্নত দেশগুলির জন্য তাদের বিশেষ পরিস্থিতি ও উন্নয়ন চাহিদার
কারণে অগ্রাধিকারমূলক ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে।’
প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, খণ্ডিত উপায়ে উচ্চাভিলাষী প্রশমন নীতিগুলো শিল্প কর্মকা-কে এমন অঞ্চলে
নিয়ে যাচ্ছে যেখানে কার্বন মূল্যের কোনো নীতি নেই বা কম কঠোর, যা কার্বন নির্গমনের
দিকে ধাবিত করে এবং এইভাবে সামগ্রিক বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন হ্রাসের বৈশ্বিক লক্ষ্যকে
বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
তিনি
বলেন, ইইউ প্রস্তাবিত কার্বন বর্ডার অ্যাডজাস্টমেন্ট মেকানিজম (সিবিএএম) রপ্তানিকৃত
পণ্যগুলোতে নির্গমনের মান পরোক্ষভাবে প্রয়োগ করে এবং কার্বন নির্গমন প্রতিরোধ করে সংশ্লিষ্ট
দেশগুলোকে তাদের জলবায়ু নীতি শক্তিশালী করতে উৎসাহিত করতে পারে।
তিনি
আরও বলেন, একটি ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবর্তনকে সমর্থন করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক
প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ও উদীয়মান বাজারে নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা
প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন
বেনাপোল স্থলবন্দরের গুরুত্বের কারনে যাত্রীদের দাবির মুখে এবার বেনাপোল-মোংলা রেলপথে আজ থেকে যাত্রী সেবা শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। আপাতত দিনে একটি ও সপ্তাহে ৬ দিন রেল চলবে এ রুটে। সময় ও অর্থ সাশ্রয়ে এপথে উপকৃত হবেন যাত্রীরা।
জানা যায়, বেনাপোল রুটে যাত্রী সেবা বাড়াতে ব্যবসায়ী ও পাসপোর্টধারীদের দাবির মুখে
রেল কর্তৃপক্ষ বেনাপোল-খুলনা-মোংলা রুটে চালু করেছে যাত্রী সেবা।
ট্রেন চলাচলের জন্য চার হাজার
কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত নতুন রেলপথ এখন পুরোপুরি প্রস্তুত।
‘নতুন এই রুটে ‘মোংলা কমিউটার’ নামে একটি ট্রেন চলাচল করবে। খুলনা থেকে যশোর হয়ে বেনাপোল
পর্যন্ত চলাচল করে বেতনা এক্সপ্রেস নামে একটি লোকাল ট্রেন। সেই ট্রেনটি ফেরার পথে খুলনার
ফুলতলা জংশন থেকে মোংলার দিকে যাত্রা করবে, তখন ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত ট্রেনটি
‘মোংলা কমিউটার’ নাম ধারণ করে চলবে।
ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন
মঙ্গলবার।
খুলনা থেকে ভোর ৬টায় বেনাপোলে
পৌঁছাবে সকাল সাড়ে ৮ টায় । পরে বেনাপোল থেকে ৯ টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে মোংলা পৌঁছাবে
দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে। পরে দুপুর ১ টায় মোংলা থেকে ছেড়ে ট্রেনটি বেনাপোল পৌছাবে বিকাল
সাড়ে ৪ টায়।
২০১০ সালে একনেকে অনুমোদনের
প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
দীর্ঘ ৯১ কিলোমিটার নতুন এ রেলপথে ৫.১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রেলসেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া ১১টি প্লাটফর্ম, ১০৭টি কালভার্ট, ৩১টি ছোট ব্রিজ ও ৯টি আন্ডারপাসের নির্মাণ সম্পন্ন।
বেনাপোল বন্দরের ব্যবসায়ী নেতা আমিনুল হক জানান, বানিজ্যিক কারনে মোংলা বন্দর। যেতে হয়। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকায় দ্রুত পণ্য খালাস কাজে বিঘ্ন ঘটতো। এখন রেল সেবা চালুতে দ্রুত পণ্য খালাসে সহায়ক হবে।
বেনাপোল রেল নিরাপত্তা বাহিনীর ইনচার্জ আসাদুজ্জামান রানা জানান, বেনাপোল-মোংলা রেল সেবা চালুতে বেনাপোল আন্তর্জাতিক রেল ষ্টেশনের ব্যস্তত বাড়বে। এতে যাত্রীদের নিরপত্তা ব্যবস্থাও বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক রেল ষ্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, বেনাপোল ও মোংলা বন্দরের গুরুত্ব বিবেচনা করে মোংলা কমিউটার চালু হয়েছে। বেনাপোল রেল স্টেশন থেকে সকাল ১০টায় ৭১৬ জন যাত্রী নিয়ে মংলার উদ্দেশ্যে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বাংলাদেশে আরো মার্কিন বিনিয়োগকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেছেন, তার সরকার বিদেশি বিনিয়োগ
আকর্ষণ এবং দেশের ব্যবসায় পরিবেশ উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকায় তিনি
একটি মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে বলেন, ‘আপনারা সঠিক সময়ে এদেশে এসেছেন।’
এক্সিলারেট এনার্জির প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা (সিইও) এবং ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্টিভেন কোবোসের
নেতৃত্বে মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণ
করায় প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা করে স্টিভেন কোবোস বলেন, এটি বাংলাদেশে ব্যবসায় আস্থা
বাড়াবে।
তিনি বলেন, ‘আপনার দায়িত্ব গ্রহণের
পর থেকে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর বাংলাদেশে আগ্রহ অনেক বেড়েছে।’
কোবোস আরো জানান, ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস
কাউন্সিলের সদস্যসহ শীর্ষস্থানীয় মার্কিন কোম্পানিগুলো দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশে ব্যবসার
সম্ভাবনা নিয়ে অনেক আগ্রহী।
এক্সিলারেট এনার্জির সিইও কোবোস বলেন,
তার কোম্পানি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে এবং কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে আরো বিনিয়োগের পরিকল্পনা
করছে।
তিনি বলেন, কোম্পানিটি দেশে তরলীকৃত
প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ বৃদ্ধি করতে চায়। বর্তমানে এক্সিলারেট বাংলাদেশের
দুটি অফশোর ফ্লোটিং স্টোরেজ এবং রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটে (এফএসআরইউ) বিনিয়োগ করেছে, যা
প্রতিদিন ১.১ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। দেশের দৈনিক গ্যাস সরবরাহের প্রায় ৩৪
শতাংশ এখান থেকে আসে।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের
সময় প্রধান উপদেষ্টা ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
সেখানে এ সংগঠনের ৫০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে কিছু শীর্ষস্থানীয় আমেরিকান
বহুজাতিক কোম্পানিও ছিল। ড. ইউনূস উপস্থিত মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের
আমন্ত্রণ জানান।
সাক্ষাৎকালে স্টিভেন কোবোসের সঙ্গে
প্রতিনিধিদলে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ এক্সিলারেট এনার্জির
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছিলেন। পিটার সম্প্রতি এক্সিলারেট এনার্জিতে স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজার
হিসেবে যোগদান করেছেন। এছাড়া প্রতিনিধিদলে কোম্পানিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেরেক ওয়ং
ও র্যামন ওয়াংডি এবং বাংলাদেশের আবাসিক ব্যবস্থাপক হাবিব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ও জ্বালানি সচিব সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভারতের সাথে আমদানিকৃত ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর ১৬৫০ মেট্রিক টন পিঁয়াজ সিরাজগঞ্জে এসে পৌঁছেছে। চুক্তিকৃত ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের প্রথম চালান এটি।
এর আগে, গতকাল রবিবার (৩১ মার্চ) বিকেলে ভারত থেকে ৪২টি রেলওয়ে ওয়াগনে এ পিঁয়াজ চুয়াডাঙ্গার দর্শনা এসে পৌছায়। এরপর কাগজ পত্র যাছাই বাচাই শেষে রাত্রে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্য রওনা হয়।
সোমবার(১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পেয়াজ নিয়ে সিরাজগঞ্জ বাজার রেল ইয়ার্ডে পৌঁছায় রেলওয়ে ওয়াগনগুলো। সকাল ৯টা থেকে পিঁয়াজ খালাস করা শুরু হয়। খালাসকৃত পিঁয়াজ ঢাকা, গাজিপুর ও চট্টগ্রামের নির্দিষ্ট জায়গা থেকে টিসিবি এর মাধ্যমে ভোক্তাদের কাছে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রিকরা হবে। এতে প্রায় ৩০টি জেলায় পিঁয়াজের মুল্য স্থিতিশীল হবে।
টিসিবি ডিলার আব্দুর রব রাইস এজেন্সির মোহাম্মদ সাইদুর রহমান জানিয়েছেন, তিনি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিনের নিয়মিত ডিলার। টিসিবির নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত স্থান থেকে ভোক্তাদের মাঝে ৪০ টাকা করে পিঁয়াজ বিক্রি করা হবে এবং একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ ২ কেজি করে নিতে পারবেন।
টিসিবি'র অতিরিক্ত পরিচালক গোলাম খোর্শেদ জানিয়েছেন, বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে ভারত সরকারের সাথে টিসিবির কর্তৃক ৫০ হাজার মেট্রিক টন আমদানির প্রথম চুক্তি হিসাবে ১৬৫০ মেট্রিক টন পিঁয়াজ সিরাজগঞ্জে পৌছানোর পর ডিলারদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। তার মধ্যে ১০০০ মেট্রিক টন পিঁয়াজ ঢাকা জেলায় ১০০ জন ডিলার এবং বাকী ৬৫০ মেট্রিক টন পিঁয়াজ গাজিপুর ও চট্রগ্রামে পর্যায়ক্রমে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
মন্তব্য করুন