সোনা,হীরাসহ নানা দামি সম্পদ পাচার করার জন্য প্রায়ই নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করে পাচারকারীরা। তবে গত তিনদিন ধরে ভারতের মুম্বাই বিমানবন্দরে ধরা পড়া পাচারকারীদের কীর্তি দেখে হতবাক নিরাপত্তারক্ষীরাও। কেউ নুডলসের প্যাকেটে, কেউ আবার শরীরের মধ্যে লুকিয়ে কোটি কোটি টাকা মূল্যের সোনা ও হীরা পাচারের চেষ্টা করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে যায় তাদের কৌশল।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মুম্বাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার রাতে ব্যাঙ্ককগামী বিমান ধরতে আসা এক যাত্রীর স্যুটকেস থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা ও হীরা উদ্ধার করা হয়েছে। ওই যাত্রীর স্যুটকেস খুলে পরীক্ষা করার সময় বেশ কয়েকটি নুডলসের প্যাকেট পাওয়া যয়। সেই প্যাকেট কাটতেই বেরিয়ে আসে সোনা ও হীরা।
ভারতের শুল্ক দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই যাত্রীর কাছ থেকে ৬ কেজি ৮০০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৪ কোটি রুপি। এ ছাড়া ২ কোটি রুপিরও বেশি মূল্যের হীরাও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে কলম্বো থেকে মুম্বইগামী বিমানে এক বিদেশি নাগরিক শরীরের মধ্যে ৩২১ গ্রামের সোনার বার নিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টায় ছিলেন। কিন্তু মুম্বাই বিমানবন্দরে নামতেই নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে ধরা পড়ে যান তিনি।
সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা
মন্তব্য করুন
বিয়ের অনুষ্ঠানে বর জনসম্মুখে কনেকে চুমু দেন। তা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে বরের পরিবারের সদস্যদের বেদম মারধর করেছে কনে পক্ষ। বরের বাবাসহ ৬ জন আহত হন। আর এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বিয়ের মঞ্চে জনসম্মুখে বর কনেকে চুমু দেন। এটা কেন্দ্র করে বর পক্ষ ও কনে পক্ষের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ লেগে যায়।
খবর অনুসারে, বিয়ে বাড়ি যুদ্ধের ময়দানে পরিণত হয়। খবরে বলা হয়েছে, বরের চুমু কাণ্ডে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে তর্কাতর্কি শুরু হয়। হঠাৎ কনের পরিবারের সদস্যরা লাঠি নিয়ে মঞ্চে ওঠেন। বরের পরিবারের সদস্যদের তারা বেদম প্রহার করেন। বরের বাবাসহ ৬ জন আহত হন।
মারামারির একপর্যায়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ সাতজনকে আটক করে নিয়ে যায়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে কনের বাবা তার দুই কন্যার বিয়ের আয়োজন করেন। কোনো সমস্যা ছাড়াই প্রথম বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু দ্বিতীয় বিয়েতে বাধে বিপত্তি। কনের পরিবারের অভিযোগ, বর মঞ্চে কনেকে জোরপূর্বক চুমু দিয়েছে। অন্যদিকে বর বলেন, মালা বদলের পর কনে তাকে চুমু দিতে পীড়াপীড়ি করেন।
স্থানীয় থানার জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা রাজকুমার আগরওয়াল জানান, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে সে অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনশৃঙ্খলা ও শান্তি বিনষ্টের জন্য ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের ঋণের কিস্তি পরিশোধ নিয়ে কোনোভাবেই উদ্বিগ্ন নয় বিশ্বব্যাংক। বরং বাংলাদেশে কর্মসংস্থান বাড়াতে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে চায় সংস্থাটি। অন্তর্বর্তী সরকারকে সব বিষয়ে সহায়তা দিয়ে পাশে থাকতে চায় বিশ্বব্যাংক।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও আইএফসির কান্ট্রি ম্যানেজারের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। তিনি জানান, আমরা বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে জেনেছি। যার ফলে আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতির সংস্কারে কীভাবে সহযোগিতা করবো সেটিও আলোচনা করেছি। কারণ জটিল কিছু সংস্কার বাংলাদেশের প্রয়োজন। এখানে আর্থিক খাতে সংস্কার প্রয়োজন, বাণিজ্যে সংস্কার প্রয়োজন- আমরা এগুলোতে বিনিয়োগে আগ্রহী।
পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন, আমরা এখন এ দেশে বেসরকারি খাতে চাকরির বাজার সৃষ্টিতে কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে যুবকরা এখানে বড় সম্পদ। এছাড়া এখানে জলবায়ু পরিবর্তন অনেক বড় ঝুঁকি, সেখানে অন্তর্বর্তীমূলক বিনিয়োগ প্রয়োজন। আমরা বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদে সম্পর্ক গড়তে কাজ করছি আর আমরা মোটেই বাংলাদেশের ঋণের কিস্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। আমি অনেক দেশে কাজ করার অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, এটি কখনোই আমাদের উদ্বেগের বিষয় নয়।
অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের স্থবির অর্থনীতিকে চালু করার জন্য যত রকমের সহযোগিতা দরকার বিশ্বব্যাংক তা দেবে। আইএফসি ও বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা চেয়েছি আমরা। তারা বলেছে, বাংলাদেশের মানুষের জন্য তারা যে কোনো কিছুই করতে পারে। নিয়মকানুন মেনে তারা বিনিয়োগ করবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শিক্ষার্থীদের জন্য শোক জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। পাশাপাশি এ সময়ে যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা সংস্কারেও পাশে থাকবে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
প্রায় দেড় যুগ ধরে কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামের নারীদের হাতে তৈরি টুপি মধ্য প্রাচ্যে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। বাহারি রঙের সুতা আর রেশমার উপরে আঁকা বিভিন্ন নকশাকৃত বানানো টুপির চাহিদা বেড়েই চলছে। এই টুপি তৈরি করে এখানকার হাজারো নারীদের হয়েছে কর্মসংস্থান, সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা। তবে এমন আয় আর সুনামের গল্পের পিছনে মুল নারী উদ্যোক্তা মোর্শেদা বেগমকে পাড়ি দিতে হয়েছে অনেকটা পথ। বেকার নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করায় নারীদের আইকন হিসেবে পরিচিত তিনি। মোর্শেদা বেগম কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার পাতিলাপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিপুণ হস্ত শিল্প সম্ভার নামে টুপি তৈরির প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তিনি।
জানা গেছে মোর্শেদা বেগম যখন দশম শ্রেণির ছাত্রী, তখন তার বিয়ে হয়। সংসারে অভাব থাকায় ১৯৯৫ সালে বিয়ের পর স্বামী জাবেদ আলীর সঙ্গে চলে যান টাঙ্গাইলে।সেখানে একটি টাওয়াল ফ্যাক্টরিতে কাজ নেন। ভাড়া বাসার পাশে পরিচয় হয় প্রতিবেশি কমলা বেগমের সাথে। কমলা বেগমের টুপি তৈরির কাজ দেখে দেখে রপ্ত করেন কলা-কৌশল। দিনে ফ্যাক্টরির কাজ আর রাতে টুপি বানানো শুরু করে প্রথম টুপি তৈরি করে মজুরি পান ৩৫০ টাকা। পরে তার নিখুঁত কাজ দেখে মুগ্ধ হন এক বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা। প্রথম অর্ডারে ৫০টি টুপি তৈরি করে পেয়েছিলেন ১৭ হাজার টাকা। এরপর ২০০৪সালে মোর্শেদা বেগম নিজ গ্রামে ফিরে আসেন।প্রথমে এলাকার ৭ জন নারীকে নিয়ে শুরু করেন দারিদ্র্য জয়ের সংগ্রাম।তার হাতে বানানো টুপি ২০০৮সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি হচ্ছে। হাতে বানানো টুপি তৈরি করে এখন স্বাবলম্বী মোর্শেদা। তার সফলতার গল্প শুনে দলে দলে অনান্য নারীরা টুপি বানানো কাজে ছুটে আসেন। বর্তমানে তার সাথে প্রায় ৫ হাজার নারী কাজ করছেন।মোর্শেদা বেগম নিজ গ্রাম পাতিলাপুরের নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেন নাই আশপাশে প্রায় ৪০-৫০ টি গ্রামের নারীদের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।বিভিন্ন বয়সী নারী পাশাপাশি পুরুষরাও এ কাজ করে সংসারের আয় যোগাচ্ছেন ।
মোর্শেদা জানান, ফেনীর দুজন ব্যবসায়ীর কাছে তিনি তৈরি করা টুপি বিক্রি করেন। আর এই টুপি মধ্যপ্রাচ্যের বাহারাইন, সৌদি আরব,দুবাইয়ে বিক্রি হয়। ওই ব্যবসায়ীরা তার কাছে রেশমা সরবরাহ করেন। এরপর তিনি নারীদের সঙ্গে নিয়ে স্রেফ সুঁই সুতা দিয়ে তৈরি করেন নানা ধরনের নকশাখচিত টুপি।টুপি তৈরির দেখভাল করতে বিভিন্ন গ্রামে বেতনভুক্ত প্রায় ১৫ জন সুপার ভাইজার রেখেছেন। হাতে বানানো প্রকার ভেদে প্রতিটি টুপি তৈরির জন্য নারীরা পারিশ্রমিক পান ৮০০/১৬০০ টাকা। এতে সুই সুতার খরচ দেড়শ টাকা। প্রতি টুপিতে তিনি কমিশন পান ৭০/৯০ টাকা। প্রতি মাসে ৮/১০ হাজার টুপি বিক্রি করেন তিনি। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে নিপুণ হস্ত সম্ভারের টুপি তৈরির পরিধি আরো বাড়াতে পারবেন বলে জানান তিনি।পাতিলাপুর গ্রামের হাওয়া বেগম জানান,চার বছর আগে মোর্শেদা বেগমের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে টুপি তৈরির কাজ শুরু করেন।এখন তার আর অভাব নেই। সংসারের স্বাভাবিক কাজের পাশাপাশি টুপি তৈরি করে ভালো আয় করছেন তিনি।অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুক্তা খাতুন বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি আমি মোর্শেদা আন্টির টুপি তৈরির কাজ করি।এখান থেকে যা উপার্জন করি।লেখাপড়ার খরচ মিটিয়ে বাবাকে সহযোগিতা করতে পারি। শুধু আমি না আমার মত বিভিন্ন বয়সের নারীরা এখানে কাজ করে ভালো টাকা পাচ্ছেন।
সাত দরগাহ গ্রামের মৌসুমি বলেন, সারা বছর আমরা টুপি তৈরির কাজ করি।বিশেষ করে রমজান মাস ও কোরবানি ঈদের সময় টুপির চাহিদা বেশি থাকে।এসময় টুপি বানিয়ে জন প্রতি ৮/১০হাজার টাকা পাই। কয়েক বছর ধরে পরিবার নিয়ে খুব সুন্দর ঈদ কাটাতে পারছি।
কুড়িগ্রাম বিসিক এর উপ ব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ জোনায়েদ বলেন,পাতিলাপুর গ্রামের নারী উদ্যোক্তা মোর্শেদা বেগমের টুপি মধ্য প্রাচ যাচ্ছে এটি কুড়িগ্রাম জেলার জন্য ভালো খবর।হাজার হাজার নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন তিনি। সরকারি কোন প্রশিক্ষণ, আর্থিক ঋন অথবা তৈরি টুপির বাজারজাত করণে কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হলে কুড়িগ্রাম বিসিক শিল্প মোর্শেদা বেগমকে সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি ।
মন্তব্য করুন
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৩ হাজার
টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের
উপসচিব সুলতানা আক্তার স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
আদেশে বলা হয়, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে
বিভিন্ন রপ্তানিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে তিন
হাজার মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হলো।
সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর
দুপুর ১২টার মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবর (উপসচিব, রপ্তানি-২ শাখা, কক্ষ নম্বর ১২৭,
ভবন-৩, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা) আবেদন করতে বলা হয়েছে। উল্লিখিত
তারিখের পর আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। আর যারা আগেই আবেদন করেছেন তাদের নতুন করে আবেদন
করার প্রয়োজন নেই।
সম্প্রতি ভারতের ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন
সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে এক চিঠিতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিতে অনুরোধ করে।
এর আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
থেকে এ ব্যাপারে সুপারিশ আসতে হয়। তবে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবার ভারতে ইলিশ রপ্তানি
হবে না এমনটিই ইঙ্গিত দিয়েছিল।
গত ১১ আগস্ট মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
ফরিদা আখতার জানিয়েছিলেন, দেশবাসী ইলিশ পাবে না, আর বিদেশে রপ্তানি হবে, এটা হতে পারে
না। আগে দেশকে গুরুত্ব দিতে হবে। এরপর রপ্তানি করা হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারীরা পবিত্র
কাবার গিলাফ পরিবর্তনের কাজে অংশ নিয়েছেন। পবিত্র কাবাঘর দৃষ্টিনন্দন কালো গিলাফে আবৃত
থাকে। প্রতি বছর এ ঘরের গিলাফ পরিবর্তন করা হয়। প্রতিবারের ন্যায় এ বছরও পবিত্র কাবাঘরে
নতুন গিলাফ (কিসওয়া) পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে ইতিহাসে প্রথম গিলাফ পরিবর্তন কার্যক্রমে
মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদ তত্ত্বাবধানকারী কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল নারীরা অংশগ্রহণ
করেছেন।
জেনারেল অথরিটির ভাষ্যমতে, এবারই প্রথম
নারীরা এ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন।
গত ৬ জুলাই হিজরি নববর্ষের প্রথম রাতে
মক্কায় পবিত্র মসজিদুল হারাম প্রাঙ্গণে গিলাফ পরিবর্তনের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। মূলত
গত কয়েক বছর ধরেই কাবার রীতিতে পরিবর্তন এসেছে। হারামাইন পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত
অনুযায়ী হিজরি বর্ষের শুরুতে গিলাফ পরিবর্তনের নিয়ম করা হয়।
চার ঘণ্টাব্যাপী চলমান এ কার্যক্রম
তত্ত্বাবধান করে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের সাধারণ কর্তৃপক্ষ। ইসলামের প্রথম
যুগ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে জিলহজ মাসের ৯ তারিখ আরাফাত দিবসে কাবাঘরের গিলাফ
পরিবর্তনের রীতি ছিল। তবে ২০২২ সাল মোতাবেক ১৪৪৪ হিজরি থেকে কাবার গিলাফ পরিবর্তনের
সময়ে পরিবর্তন আনে সৌদি সরকার। তখন থেকে হিজরি নববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে মহররমের
প্রথম রাতে গিলাফ পরিবর্তন করা হয়।
সৌদি বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে,
মক্কার কিং আবদুল আজিজ কমপ্লেক্সে পবিত্র কাবাঘরের কালো গিলাফ প্রস্তুত করা হয়। সেখানকার
বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদের তত্ত্বাবধানে ১৫৯ জন দক্ষ কারিগর নতুন গিলাফ পরিবর্তনের
কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা প্রথমে কাবাঘর থেকে পুরনো গিলাফ সরিয়ে নেন।
এরপর নতুন গিলাফ স্থাপন করেন।
বার্তা সংস্থা আরো জানায়, গিলাফ তৈরিতে
১২০ কেজি সোনা, ১০০ কেজি রুপা ও এক হাজার কেজি রেশমের সুতা ব্যবহার করা হয়। ওই কাপড়ে
পবিত্র কোরআনের আয়াত ও আল্লাহর গুণবাচক নামের ক্যালিগ্রাফি থাকে। গিলাফের সব কাজ শেষ
করতে ৬ থেকে ৮ মাস সময় লাগে। সব মিলিয়ে ১ হাজার ৩৫০ কেজি ওজন ও ১৪ মিটার উচ্চতার এই
গিলাফ তৈরিতে ব্যয় হয় ২৫ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল বা সাড়ে ছয় মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই গিলাফকে
বিশ্বের ব্যয়বহুল কাপড় বলে মনে করা হয়।
উল্লেখ্য, পবিত্র কাবাঘরের গিলাফে থাকা
কোরআনের আয়াতের ক্যালিগ্রাফি করেন মুখতার আলম নামের এক বাংলাদেশি। তিনি গিলাফ প্রস্তুতকারক
প্রতিষ্ঠান কিং আবদুল আজিজ কমপ্লেক্সে প্রধান ক্যালিগ্রাফার হিসেবে কাজ করছেন। ২০২১
সালে তিনি সৌদি আরবের নাগরিকত্ব লাভ করেন।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে
নিউইয়র্কে যাবেন । এ সফরে তার সঙ্গে থাকবেন ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
আগামী ২২-২৭ সেপ্টেম্বর
পর্যন্ত এ সফর করবেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.
তৌহিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, সাত
সদস্যের প্রতিনিধি দলের মধ্যে রয়েছেন- ড. ইউনূসের মেয়ে দিনা আফরোজ ইউনূস, এসডিজি
বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বাংলাদেশের
বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য,
দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম,
প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব শাব্বীর আহমদ, বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা তিথি।
এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মো. তৌহিদ হোসেন জানান, প্রধান উপদেষ্টা
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যাচ্ছেন সেটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ
অধিবেশনে যোগ দিতে সংক্ষিপ্ত সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.
মুহাম্মদ ইউনূস নিউইয়র্কে যাবেন। তবে তিনি খুব সংক্ষিপ্ত সফর করে চলে আসবেন।
ওয়াশিংটনে গেলে হয়ত আরও
কিছু কাজ হতে পারত কিন্তু তিনি অল্প সময়ে খুব তাড়াতাড়ি নিউইয়র্ক থেকে ফিরে আসবেন।
সেখানে কার সঙ্গে বৈঠক হবে সে বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটা তো
গেলে হবেই। কিছু কিছু কথা বার্তা হচ্ছে। কিছু বৈঠক হবে এটুকু বলতে পারি। তবে
স্পেসিফিক বলতে পারি না। সব ক্ষেত্রে সব হেড অব স্টেট যান এমনটা তো নয়। নিউইয়র্কে
যে ফরমেট সেভাবে হবে। ওয়াশিংটনে তো তিনি যাবেন না।
মন্তব্য করুন
তাইওয়ানে ২০০টিরও বেশি
ভূমিকম্প (আফটারশক) অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬ দশমিক ৩ মাত্রার
শক্তিশালী ভূমিকম্পও ছিল।
আজ (মঙ্গলবার) ভোরে
হুয়ালিয়েনের ফায়ার ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ৩ এপ্রিল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া একটি
হোটেল আবারও কিছুটা ঝুঁকেছে। তবে তাতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
দুটি টেকটোনিক প্লেটের
সংযোগস্থলের কাছেই তাইওয়ানের অবস্থান। এ কারণেই অঞ্চলটি ভূমিকম্পপ্রবণ।
ভূমিকম্পগুলো হুয়ালিয়েনের
বৃহত্তর গ্রামীণ পূর্ব কাউন্টিতে কেন্দ্রীভূত হয়েছিল। এর আগে, গত ৩ এপ্রিল সেখানে
৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তারপর থেকে তাইওয়ানে
শত শত আফটারশক হয়েছে।
২০১৬ সালে তাইওয়ানের
দক্ষিণাঞ্চলে শতাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটে। ১৯৯৯ সালে সেখানে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার
ভূমিকম্পে দুই হাজারেরও বেশি লোক নিহত হন।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে আন্তর্জাতিক
মঞ্চে রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার
রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে
রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাইন অপসারণের কথা স্মরণ
করেন।
তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি বাংলাদেশের
অন্যান্য পণ্যও আমদানি বাড়ানোর আহ্বান জানান। বর্তমানে রাশিয়ায় বাংলাদেশের মোট
রপ্তানির ৯০ শতাংশ তৈরি পোশাক।
বৈঠকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায়
বাংলাদেশে নির্মিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং খাদ্য নিরাপত্তা,
জ্বালানি অনুসন্ধান এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সহায়তা বাড়ানোসহ পারস্পরিক স্বার্থ
সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি আলোচনা করেন।
বাংলাদেশের খাদ্যশস্য এবং সারের বড় একটি অংশ রাশিয়া থেকে আমদানি
করা হয় উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক
অংশীদার।
গত বছর রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন টনেরও বেশি গম
আমদানি করেছে এবং চলতি বছর আমদানির পরিমাণ ইতোমধ্যে ২ মিলিয়ন টন অতিক্রম করেছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত জানান, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি
কোম্পানি গ্যাজপ্রম ভোলা দ্বীপে এবং দেশের অভ্যন্তরে আরও পাঁচটি গ্যাস কূপ
অনুসন্ধান করতে আগ্রহী।
তিনি আরও জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ
চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি আগামী বছর চালু হতে পারে।
তিনি বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশে এলএনজি রপ্তানিতে আগ্রহী।
প্রধান উপদেষ্টা অর্থনৈতিক ও শিক্ষা সহযোগিতা এবং দুই দেশের জনগণের
মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ দফায় দফায় সময় বাড়িয়েও হজের কোটা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে ।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে হজ নিবন্ধন। সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা ৫০০ নির্ধারণ ছিল। হজ এজেন্সিগুলো হজের কোটা পূরণ করতে না পাড়ায় শঙ্কা দেখা দেয় হজযাত্রী পাঠানো নিয়ে।
আর এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার সৌদি সরকারের নিকট অনুরোধ করে সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে কোটা কমানোর জন্য। সৌদি সরকার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোটা অর্ধেক করে ।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এবং এজেন্সিগুলোকে এটি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বছর ২৫০ জন হজযাত্রী থাকলেই সরাসরি হজে পাঠাতে পারবে হজ এজেন্সিগুলো।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কোটা কমানোর চিঠিতে জানিয়েছে, সৌদি সরকার ২০২৪ সালের হজের জন্য বাংলাদেশসহ সব দেশের হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা প্রথমে দুই হাজার জন এবং পরবর্তী সময়ে ৫০০ জন নির্ধারণ করে পত্র প্রেরণ করে। সর্বনিম্ন কোটা ৫০০ জনের পরিবর্তে পূর্বের ন্যায় বাংলাদেশের সব এজেন্সিকে হজযাত্রী প্রেরণের সুযোগ দেওয়ার জন্য ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সৌদি সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, ধর্মমন্ত্রীর নির্দেশে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার সর্বশেষ গত ২৪ জানুয়ারি সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার আবদুল ফাত্তাহ সুলেমান মাশাত এবং হজ অ্যাফেয়ার্স অফিসের মহাপরিচালক ড. বদর আলসোলামির সঙ্গে টেলিফোনে কোটার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানান।
অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ জানুয়ারি ভাইস মিনিস্টারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা ৫০০ জনের পরিবর্তে ২৫০ জন নির্ধারণের কথা ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে জানানো হয়।
এর আগে গত ২৯ নভেম্বর ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে হজ এজেন্সিগুলোকে জানানো হয়, সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হিজরি ১৪৪৫/২০২৪ সনের হজ মৌসুমে অনুমোদিত প্রতিটি হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন ৫০০ জন হজযাত্রী থাকলে ওই এজেন্সি সৌদি আরবে সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে পারবে।
এ বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী কোনো হজ এজেন্সি ২৫০ জন হজযাত্রী থাকলে সরাসরি সৌদি আরবে পাঠাতে পারবে। যেসব এজেন্সির হজযাত্রীর সংখ্যা ২৫০-এর কম সেসব এজেন্সিকে অন্য এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয় করে লিড এজেন্সি নির্ধারণ করে হজযাত্রী পাঠাতে হবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে জানানো হয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের মতো আগামী বছরও (২০২৪ সাল) বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটা ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।এবার হজে যেতে সরকারি-বেসরকারি হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয় গত ১৫ নভেম্বর। গত ১০ ডিসেম্বর নিবন্ধন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নিবন্ধনে সাড়া না পাওয়ায় তিন দফা সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ বাড়ানো নিবন্ধনের আট দিন সময় ১ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
মন্তব্য করুন