

চলতি
বছর (২০২৩) এর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডে
গড় পাসের হার ৭৮.৬৪ শতাংশ।
রোববার
(২৬ নভেম্বর) সকাল ১১টায় ওয়েবসাইট ও স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফল প্রকাশ করা হয়।
এর
আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী
ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও বোর্ড চেয়ারম্যানরা।
ফলাফলে
দেখা যায়, সব শিক্ষাবোর্ড মিলিয়ে পরীক্ষায় মোট পাস করেছেন ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ জন পরীক্ষার্থ।
শুধু ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৫.৯ শতাংশ।
দুপুর
২টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে
ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এ
বছর ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড মিলিয়ে ১১টি বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায়
অংশ নিতে ফরম পূরণ করেছিলেন ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ৬
লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন।
মন্তব্য করুন


বিপ্লবোত্তর নতুন বাংলাদেশে সবাইকে
ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেছেন, এই নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সব মানুষকে একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে
আবদ্ধ করা। গত ০৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের
মধ্য দিয়ে আমরা এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এই নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সব
মানুষকে একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র
বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা
করেছি। এই নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সব মানুষকে একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ
করা। পরিবারে মতভেদ থাকবে, বাকবিতণ্ডা হবে,কিন্তু আমরা কেউ কারও শত্রু হবো না। কাউকে তার মতের জন্য শত্রু মনে করব না। কাউকে ধর্মের
কারণে শত্রু মনে করব না। আমরা সবাই সমান। কেউ কারো ওপরে না এবং কেউ কারো নিচে না এই
ধারণা আমরা জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। বৈষম্যহীন, শোষণহীন, কল্যাণময় এবং মুক্ত
বাতাসের রাষ্ট্রের যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন, আমি তাদের
সেই স্বপ্ন পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা এখন থেকেই বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়তে চাই যেন এই
দেশে জনগণই সত্যিকার অর্থে সব ক্ষমতার উৎস হয়। বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে একটি মানবিকও
কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে সমাদৃত হয়। আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব।
আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি হবে পারস্পরিক সম্মান, আস্থা, বিশ্বাসও সহযোগিতা। জলবায়ু
সংকট মোকাবিলায় এবং বৈশ্বিক শান্তি ও অর্থনীতি সুসংহত করণে আমাদের একত্রে কাজ করতে
হবে। তাই, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
তরুণদের সৃজনশীলতার বিকাশের ওপর গুরুত্বারোপ
করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের তরুণ সমাজ সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও যেন
মেধার ভিত্তিতে নিজ নিজ সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে দেশ গঠনে অবদান রাখতে পারে আমাদের
সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের
আগে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অধ্যাপক ইউনূসের
সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিন বাহিনী প্রধান।
মন্তব্য করুন


যা কিছুই ঘটুক না কেন, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কাজে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় সেনাপ্রধান তার কার্যালয়ে বসে রয়টার্সকে দেওয়া এক বিরল সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান।
তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১৮ মাসের মধ্যে যেন নির্বাচন হতে পারে, সে জন্য তিনি যেকোনো পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেবেন।
আগস্টের শুরুতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করেন। পরে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান রয়টার্সকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর তার পূর্ণ সমর্থন আছে। সামরিক বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত করার একটি পথের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আমি তাকে (মুহাম্মদ ইউনূস) সমর্থন করব। পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন। যেন তিনি তার কাজ সম্পন্ন করতে পারেন।
মুহাম্মদ ইউনূস দেশের বিচার বিভাগ, পুলিশ, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ হওয়া উচিত। তবে ধৈর্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।
সেনাপ্রধান বলেন, যদি আপনি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, আমি বলব, এ সময়ের মধ্যে আমাদের একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যাওয়া উচিত।
বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ এবং প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এর আগে আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা নেওয়ার তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানায়।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনাপ্রধানের প্রতি সপ্তাহেই বৈঠক হচ্ছে। তাদের মধ্যে বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে। অশান্ত পরিস্থিতির পর দেশকে স্থিতিশীল করতে সরকারের প্রচেষ্টায় সামরিক বাহিনীর সমর্থনের কথা উল্লেখ করেন সেনাপ্রধান।
তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত, যদি আমরা একসঙ্গে কাজ করি, তবে ব্যর্থ হওয়ার কোনো কারণ নেই।
মন্তব্য করুন


আবহাওয়া অফিস জানায় কনকনের শীতের মাঝেই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির আভাস আছে। এ সময় রাত ও দিনের তাপমাত্রা কমবে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) আবহাওয়া অফিস এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানায়, বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার শুরুর দিকে দেশের উত্তরাংশে হালকা বৃষ্টি/গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ের শেষের দিকে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, বর্তমানে উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
এ অবস্থায় রোববার (০৫ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সে. বৃদ্ধি পেতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে সারাদেশের কোথাও কোথাও দিবাভাগে শীতের অনুভূতি বিরাজমান থাকতে পারে।
রোববার সকাল থেকে সোমবার (০৬ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে সারাদেশের কোথাও কোথাও দিবাভাগে শীতের অনুভূতি বিরাজমান থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন


টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বেতর (তারাবাড়ি) এলাকায় রংপুর এক্সপ্রেসের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে বন্ধ রয়েছে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল।
২১ নভেম্বর মঙ্গলবার এ ঘটনাটি ঘটে ভোর ৪টা ৫৭ মিনিটে।
টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছালাম বলেন, উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভোরে বেতর এলাকায় পৌঁছালে একটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
বগিটি যাত্রীদের মালামাল বহনকারী ছিল। এতে বন্ধ রয়েছে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল। ঢাকা থেকে রওয়ানা দিয়েছে উদ্ধারকারী ট্রেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন বাতিসা বৈদ্য বাজার এলাকা হতে ৫০ কেজি গাঁজা’সহ ৩জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
নিয়মিত টহলের অংশ হিসাবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন বাতিসা বৈদ্য বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে ৫০ কেজি গাঁজা’সহ তিনজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলো: কক্সবাজার জেলার সদর থানার পাহাড়তলী গ্রামের রশিদ আলম এর ছেলে মোঃ হাশেম (২০), একই গ্রামের মৃত ফয়েজ আহমেদ এর ছেলে মোঃ ফয়সাল (৩০) এবং একই থানার বৈদ্যঘোনা গ্রামের আব্দুল হাকিম এর ছেলে মোঃ জাহেদ হোসেন (২৭)। এসময় মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ জব্দকৃত মাইক্রোবাস ব্যবহার করে কক্সবাজার, কুমিল্লা’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাঁজা’সহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


সিরাজগঞ্জ অভিযান চালিয়ে ১৬০ কেজি গাঁজা ও একটি ট্রাকসহ ৪ মাদক কারবারিকে আটক করেছে সিরাজগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরে এ তল্লাশি অভিযান চালানো হয় সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায়।
আটককৃতরা হলো: নারায়ণগঞ্জ জেলা সদরের সৈয়দপুর টানবাজার রেলীবাগান এলাকার মো. আক্কাস মিয়ার ছেলে মো. অপু মিয়া (৩৩), লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার বাড়াইপাড়া কালিবাড়ী গ্রামের মৃত কালু শেখের ছেলে মো. আতিকুল ইসলাম (৪০), সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোড়াচরা পূর্বপাড়া গ্রামের মো. ফজল শেখের ছেলে মো. নাজমুল শেখ (২৬) ও কামারখন্দ উপজেলার কর্ণসূতী গ্রামের মৃত মাজেম আলী শেখে ছেলে মো. আব্দুল লতিফ শেখ (৫১)।
সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুলহাজ উদ্দীন জানায়, পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মণ্ডলের তথ্য ও দিক নির্দেশনায় সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান চলে। হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় ভোর ৩টা ২০ মিনিটে পাবনাগামী একটি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে ব্যাক বডি থেকে ১৬০ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় ট্রাকে থাকা ৪ মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে অন্তত এক লাখ শ্রমিক নিয়োগের
কথা জানিয়েছে জাপানি কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯
মে) টোকিওতে বাংলাদেশ সেমিনার অন হিউম্যান রিসোর্সেস’
শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন,
জাপানে বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সব কিছু করবে।
এটা আমার জন্য সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ও প্রেরণার দিন। এটি শুধু
কাজ করার জন্য নয়, বরং জাপানকে জানারও দ্বার উন্মোচন করবে বাংলাদেশের মানুষের জন্য।
সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টা দুটি সমঝোতা স্মারকের সাক্ষী হন।
প্রথমটি বাংলাদেশের ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিএমইটি)
ও কাইকম ড্রিম স্ট্রিট (কেডিএস)-এর মধ্যে, যার একটি জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ;
দ্বিতীয়টি বিএমইটি ও জাপানের ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট
কম্বাইন্ড কোঅপারেটিভস (জাপানে ৬৫টির বেশি কোম্পানির একটি ফেডারেশন) এবং জেবিবিআরএ
(জাপান বাংলা ব্রিজ রিক্রুটিং এজেন্সি)-র মধ্যে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এই অনুষ্ঠানটি একটি দ্বার উন্মোচনের প্রতীক।
তিনি উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ ১৮ কোটি মানুষের দেশ,
যার অর্ধেকই ২৭ বছরের নিচে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের কাজ হলো তাদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া।
শিজুওকার কর্মপরিবেশ উন্নয়ন সমবায়ের তত্ত্বাবধায়ক সংস্থার
প্রতিনিধি পরিচালক মিতসুরু মাতসুশিতা বলেন, ‘অনেক জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশিদের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করছে
এবং তিনি বিশ্বাস করেন যে এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশি মেধাবীদের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের প্রতিভা
লালন করা আমাদের দায়িত্ব।
এনবিসিসি চেয়ারম্যান মিকিও কেসাগায়ামা স্মরণ করেন যে প্রায়
১৪ বছর আগে অধ্যাপক ইউনূস জাপানে এসেছিলেন এবং ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে নারীদের
সহায়তার গল্প বলেছিলেন।
তিনি বলেন, আমাদের ফেডারেশন তরুণ ও দক্ষ শ্রমিকের জন্য বাংলাদেশকে একটি
সম্ভাবনাময় উৎস হিসেবে দেখছে। তারা উভয় দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী পাঁচ বছরে আমরা এক লাখ বাংলাদেশি শ্রমিককে স্বাগত
জানাতে প্রস্তুত।
ওয়াতামি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট মিকি ওয়াতানাবে জানান,
বাংলাদেশে তাদের প্রতিষ্ঠিত একটি স্কুল প্রতিবছর ১৫০০
শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেয়, এবং তারা এই সংখ্যা ৩০০০-এ উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা গ্রহণকারীরা জাপানের চাকরির
বাজারে প্রবেশ করতে পারবে।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেইনি অ্যান্ড স্কিল্ড ওয়ার্কার
কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (জেইটিসিও) চেয়ারম্যান হিরোআকি ইয়াগি জাপানের শ্রমবাজারে
বাংলাদেশিদের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনও ভাষা শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে।
জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের (এমএইচএলডব্লিউ) প্রতিমন্ত্রী
নিকি হিরোবুমি বলেন, জাপানে জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে এবং সে কারণে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সহায়তা
প্রয়োজন হবে।
তিনি বলেন, এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, জাপানের জন্যও একটি আশাব্যঞ্জক দিক হতে পারে।’
স্বাগত বক্তব্যে জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী
বলেন,
২০৪০ সালের মধ্যে জাপানে শ্রমিক সংকট এক কোটি ১০ লাখ
পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। বাংলাদেশ এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আরও দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে পারে।
মন্তব্য করুন


নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের তথ্য সংরক্ষণ ও রিপোর্ট কার্ড তৈরির অ্যাপ ‘নৈপুন্য’ আগামী শনিবার (৪ নভেম্বর) উন্মুক্ত করা হবে।আর এ অ্যাপটি রেজিস্ট্রেশন করতে সব স্কুলকে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।একইসঙ্গে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের তথ্য সংগ্রহের অ্যাপটি ব্যবহারের গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। আদেশ ও গাইডলাইনটি মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তা ও সরকারি-বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।
আগামী শনিবার থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত এ অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন প্রধান শিক্ষকরা।
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালুকৃত মূল্যায়ন পদ্ধতিতে শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়নের তথ্য সংরক্ষণ ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুতের সুবিধার্থে এটুআইয়ের কারিগরি সহায়তায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ‘নৈপুণ্য’ নামে একটি অ্যাপ উন্নয়ন করা হয়েছে। অ্যাপটি আগামী ৪ নভেম্বর সকাল ১০ টা থেকে উন্মুক্ত করা হবে।
'নৈপুণ্য' অ্যাপটির ওয়েব ভার্সন ব্যবহার সংক্রান্ত একটি গাইডলাইন বা নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আগামী ৪ থেকে ৮ নভেম্বরের মধ্যে ‘নৈপুণ্য’ অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে অ্যাপটিতে রেজিস্ট্রেশন করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছে অধিদপ্তর।
মন্তব্য করুন


যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, কমনওয়েলথ চার্টার হলো বিশ্বের ৫৬টি দেশের
২.৭ বিলিয়ন মানুষের নৈতিক দিকনির্দেশনা। এই চার্টারের মূল্যবোধগুলো অবমূল্যায়িত হলে
একটি দেশের জন্য ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে। তাই এই কর্মশালা শুধু সময়োপযোগী নয়, অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের তরুণরা এই চার্টার সম্পর্কে জানলে তারা জাতি গঠনে আরও দক্ষভাবে
অবদান রাখতে পারবে।
গত ২৩ ও ২৪ জুন ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই
দিনব্যাপী এক কর্মশালায় উদ্বোধনী বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় কমনওয়েলথ সচিবালয় কর্মশালার আয়োজন করে ।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশে যত টিম আছে, তার মধ্যে পুলিশ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিম বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ সোমবার (১৭ মার্চ) মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে খুব বেশি সময় নেই। আমরা ইতোমধ্যে সাত মাস পার করে এসেছি। আমরা বলছি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। কাজেই কী কী সংস্কার করতে চাই করে ফেলতে হবে।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনারাও সংস্কারের কথা বলেছেন। কারও জন্য অপেক্ষা করে কোনো ফায়দা হবে না। কাজটা করতে হবে এবং সেটা আমাদের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, দেশ বদলাতে হলে একক নির্দেশে নয়, বরং সবাইকে নিয়ে এক একটি টিম হয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশে যত টিম আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিম হলো পুলিশ। সরকার যা কিছুই করতে চায়, শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাত দিয়েই করতে হয়। তারা সব করে দেয় না, তারা পরিবশেটা সৃষ্টি করে। যে পরিবেশটা না থাকলে কোনো কাজই আর হয় না। পুলিশের কথা প্রসঙ্গে বারবার আমরা দুটো শব্দ বলছি- আইনশৃঙ্খলা। পুলিশের হাতেই এটাকে এক্সিকিউট করতে হবে। এই পরিবেশ সৃষ্টি করা না গেলে সরকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, মানুষের অধিকার, নাগরিকের অধিকার- কিছুই থাকে না। আমরা পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গড়তে পারব না। তারাই সম্মুখসারির মানুষ। তারা ক্ষেত্র প্রস্তুত করলেই বাকি জিনিসগুলো হয়। আইনশৃঙ্খলা না থাকলে যত বড় বড় চিন্তাই হোক, যত টাকাই থাকুক, কোনো কাজে আসবে না।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, পুলিশ হবে বন্ধু। কারণ, আমি আইনের পক্ষের মানুষ। আমি আইন প্রতিষ্ঠা করার মানুষ। আইন হলো আমাদের সবার আশ্রয়। পুলিশ হলো আশ্রয়দাতা। আমরা এই ইমেজটা যদি প্রতিষ্ঠিত করতে পারি, মানুষ অতীতের সব কথা ভুলে যাবে।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। এ ছাড়া মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ ও রাজশাহী পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম। এ সময় আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন