যে সকল ব্যক্তি নিরক্ষর, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ছবির নিচে টিপসই (আঙুলের ছাপ) প্রদর্শিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিস্টেম ম্যানেজারকে নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
ইসির এনআইডি মহাপরিচালক মো. মাহবুব আলম তালুকদার নির্দেশনাটি ইতোমধ্যে এনআইডি পরিচালককেও (অপারেশনস) পাঠিয়েছেন।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো উপজেলায় বদলি জনিত কারণে পদ ফাঁকা হলে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে কর্মকর্তা পদায়ন করতে হবে। প্রয়োজনে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতিকল্প কর্মকর্তা পদায়ন করতে হবে। অর্থাৎ পদ ফাঁকা রাখা যাবে না।
এছাড়া নতুন ভোটার নিবন্ধনে ডাকঘর এন্ট্রি সংক্রান্ত সমস্যা নিরসন করা, নতুন ভোটার শনাক্তকারীর এনআইডি ডাটাবেজে রাখা ও তদন্ত দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে।
অন্যদিকে নিরক্ষর ভোটারের এনআইডিতে ছবির নিচে আঙুলের ছাপ, ভোটার স্থানান্তরের জন্য আবেদনকারীর সশরীরে উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, বিদেশে অবস্থিত মিশন হতে সংগৃহীত জন্ম সনদে মুদ্রণজনিত ত্রুটি নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জাানায়, নিরক্ষর ব্যক্তিদের এনআইডিতে স্বাক্ষর নিয়ে সমস্যা দীর্ঘ দিনের। অনেকে আবেদনে স্বাক্ষর না পারলেও কোনো একটা স্বাক্ষর করে দেন৷ কিন্তু পরবর্তীতে সেটা আর মেলে না৷ আবার যারা স্বাক্ষর করেন না, তাদের জন্যও কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই এখন থেকে এনআইডিতে ছবির নিচে নিরক্ষরদের আঙুলের ছাপ প্রদর্শিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, দেশে গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে।
আমাদের চার হাজার এমসি গ্যাস দরকার। সেখানে আমরা তিন হাজার এমসি গ্যাস পাচ্ছি। প্রয়োজনে আমাদের গ্যাস আমদানি করতে হচ্ছে। এটার জন্য প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় হয়। তাই এ মুহূর্তে বাসা-বাড়িতে গ্যাস দেওয়া হবে, এটা আমাদের জন্য একটি মিথ্যা আশ্বাস।
রোববার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট কুপ) খনন কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
বাসা-বাড়িতে গ্যাস সরবরাহের প্রসঙ্গ টেনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, তবে ভবিষ্যতে গ্যাস সরবরাহ বাড়লে তখন এ বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা হবে। বিবিয়ানার পরে এখনো দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্যাস কোনো কুপে পাওয়া যায়নি।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, দেশে লুটপাট হয়েছে এটা আপনারা সবাই জানেন। অন্তর্বর্তী সরকারে থেকে আমরা দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থাকব। আমাদের অনুসরণ করে আমাদের সচিবরা দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থাকবেন। আগে গ্যাসের দাম সরকার নির্ধারণ করতো। এখন আর সরকার করে না। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলারিটি কমিশন গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে থাকেন। তারা গ্রাহক ও যারা এলপি গ্যাস আমদানি করে থাকে তাদের সঙ্গে কথা বলে বোতলজাত গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে থাকে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আবদুল্লাহ আল ফারুকসহ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশসন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি, শ্রমিক সংকট নিরসন, সময় অপচয়রোধ ও অতিরিক্ত খরচ রোধে চাঁদপুরের কচুয়ায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদের উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার প্রসন্নকাপ গ্রামের মাঠে রাইসপ্লান্টারের মাধ্যমে জমিতে ধানের চারা রোপন করে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন,উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মেজবাহ উদ্দিন।
এ উপলক্ষে আয়োজিত কৃষক সমাবেশে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ আবু তাহের, এসিল্যান্ড বাপ্পি দত্ত রনি, ওসি এম আব্দুল হালিম প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ওসমান গণি।
আয়োজকরা জানায়, সরকারিভাবে কৃষি প্রণোদনার আওতায় প্রসন্নকাপ গ্রামের ৮০ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হবে। এই পদ্ধতিতে বীজতলা ও ধানের চারা রোপণে ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি। ফলে কৃষিতে খুলছে এক নতুন দুয়ার।
তাছাড়া প্রচলিত রীতিতে বীজতলা তৈরি না করে জমি ও সময় অপচয়রোধে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের যুগোপযোগী পদ্ধতি হচ্ছে সমলয় চাষ। স্বল্প জমিতে প্লাস্টিকের ফ্রেম বা ট্রেতে লাগানো যায় ধানের বীজ। ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে চারা হয়। রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ করলে সময় কম লাগবে।' এতে উৎপাদন খরচ ও শ্রমিক সংকট দূর হবে। কৃষকরা আরও বেশী লাভবান হবেন।
এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেহেদী হাসান,উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফারুকুল ইসলাম,শম্ভু নাথ,অমল সরকার,প্রসন্নকাপ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিবাস চন্দ্র গোপ,কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আতাউল করিম, সাধারন সম্পাদক এমদাদ উল্যাহ,ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, বিএনপি নেতা সাইফুর রহমান বাহাদুর সহ এলাকার কৃষক-কৃষানী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
যে সকল ব্যক্তি নিরক্ষর, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ছবির নিচে টিপসই (আঙুলের ছাপ) প্রদর্শিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিস্টেম ম্যানেজারকে নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
ইসির এনআইডি মহাপরিচালক মো. মাহবুব আলম তালুকদার নির্দেশনাটি ইতোমধ্যে এনআইডি পরিচালককেও (অপারেশনস) পাঠিয়েছেন।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো উপজেলায় বদলি জনিত কারণে পদ ফাঁকা হলে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে কর্মকর্তা পদায়ন করতে হবে। প্রয়োজনে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতিকল্প কর্মকর্তা পদায়ন করতে হবে। অর্থাৎ পদ ফাঁকা রাখা যাবে না।
এছাড়া নতুন ভোটার নিবন্ধনে ডাকঘর এন্ট্রি সংক্রান্ত সমস্যা নিরসন করা, নতুন ভোটার শনাক্তকারীর এনআইডি ডাটাবেজে রাখা ও তদন্ত দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে।
অন্যদিকে নিরক্ষর ভোটারের এনআইডিতে ছবির নিচে আঙুলের ছাপ, ভোটার স্থানান্তরের জন্য আবেদনকারীর সশরীরে উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, বিদেশে অবস্থিত মিশন হতে সংগৃহীত জন্ম সনদে মুদ্রণজনিত ত্রুটি নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জাানায়, নিরক্ষর ব্যক্তিদের এনআইডিতে স্বাক্ষর নিয়ে সমস্যা দীর্ঘ দিনের। অনেকে আবেদনে স্বাক্ষর না পারলেও কোনো একটা স্বাক্ষর করে দেন৷ কিন্তু পরবর্তীতে সেটা আর মেলে না৷ আবার যারা স্বাক্ষর করেন না, তাদের জন্যও কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই এখন থেকে এনআইডিতে ছবির নিচে নিরক্ষরদের আঙুলের ছাপ প্রদর্শিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় বাকি বিল্লাহ (৩৫) উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফেরী করে বিক্রি করেন নানান জিনিসপত্র। খেলনা থেকে শুরু করে নারীদের বিভিন্ন প্রসাধনীসহ নানান বাহারী রকমের সামগ্রী বিক্রি করেন তিনি। বাকী বিল্লাহ জীবন সংগ্রামে জীবিকা নির্বাহের যুদ্ধে এখনো ঠিকে আছেন তিনি। প্রতিদিন ৪শ থেকে ৫শ টাকা বিক্রি করেন। যা আয় হয়,তাই দিয়ে সংসার চলে তার। সে হবিগঞ্জের বানিয়াচোং উপজেলার সুজাতপুর গ্রামের অধিবাসী মৃত. সফিক মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, কচুয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রামীন জনপদে ফেরিওয়ালাদের আনাগোনা খুবই কম। এক সময় উপজেলার প্রতিটা গ্রামেই ফেরিওয়ালাদের বিচরন ছিলো চোখে পড়ার মতো। ফেরি ওয়ালারা বিক্রি করত জিনিসপত্র। তবে ফেরিওয়ালারা বিভিন্ন জিনিসপত্রের বিনিময়ে ক্রেতাদের নিকট থেকে পুরাতন পরিত্যক্ত মালামাল নিয়ে যেতো। গ্রামের শিশু থেকে শুরু করে বয়বৃদ্ধরাও ফেরি ওয়ালাদের হাক ডাক শোনার সাথে সাথে পরিত্যক্ত প্লাষ্টিক এবং লৌহজাত পন্য নিয়ে ছুটে যেতো ফেরিওয়ালাদের নিকট। কালের বিবর্তনে গ্রামীন জনপদ থেকে সেই ফেরিওয়ালাদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। আধুনিক জীবন ব্যবস্থার সবকিছুর পরিবর্তন হলেও প্রত্যান্ত অঞ্চলের গ্রামগুলোতে আজও ফেরিওয়ালাদের দেখা যায়। যুবক বাকী বিল্লাহ ছুটে চলেছেন গ্রামের মেঠো পথ ধরে। কচুয়ার প্রতিটি গ্রামে প্রতিদিন এভাবেই তাকে ছুটে চলতে হয়। অকালে পিতাকে হারানোর পর তিনি ছোট বেলা থেকেই ফেরি করে সংসার চালান। বিবাহিত জীবনে তার স্ত্রী ও একটি পুত্র সন্তান রয়েছে ।
ফেরিওয়ালা বাকী বিল্লাহ জানান, গৌরিপুর থাকেন তিনি। প্রতিদিন গৌরিপুর থেকে কাধেঁ করে ফেরির মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় যান। তার বাশির ডাকে শিশু থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষেরা ভিড় করেন। পরে কথার ধরনের ক্রেতারা মালামাল ক্রয় করেন। প্রতিদিন ৪শ থেকে ৫শ টাকা বিক্রি করলে তার ৩শ টাকা আয় হয়। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ফেরিওয়ালারা আরো ব্যাপক আকারে সুবিধা পাবেন বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, রাতের আকাশের এই নক্ষত্র দেখতে অনেকটা ধোঁয়াসদৃশ। প্রায় এক দশক পর রাতের এই নক্ষত্রের দেখা পাওয়া গেছে।
জানুয়ারির ২৫ তারিখের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের সৌর-গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি (আরএএস)।
নতুন সন্ধান পাওয়া বিশালাকার এ নক্ষত্রের অবস্থান মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কাছাকাছি। নক্ষত্রগুলো দশকের পর দশক ধরে অনাবিষ্কৃত ছিল। সৌরজগতে যুগ যুগ ধরে এদের অবস্থান রয়েছে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে এবারই প্রথম সৌরজগতে এমন নক্ষত্রের খোঁজ পাওয়া গেছে। সৌরজগতে এমন প্রায় ১০০ কোটি নক্ষত্র রয়েছে, যা খালি চোখে দেখা যায় না। চিলির আন্দিজের এক এলাকা থেকে টেলিস্কোপের সাহায্যে এ পর্যবেক্ষণ চালিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র: সিএনএন
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে আগামী ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের প্রচারণা ও মিছিল করার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনার আলোকে মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে।
এতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৮ অনুসারে কোনো নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণ শুরুর আগের ৪৮ ঘণ্টা এবং ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোনো জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা তাতে যোগদান এবং কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা আয়োজন বা তাতে যোগদান না করার বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টায়। এ হিসাবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ৯ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
পরিপত্রে আরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ভোটকেন্দ্রের ৪শত গজের মধ্যে কোনো প্রার্থী নির্বাচন ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবে না।
মন্তব্য করুন
যারা নতুন ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, তাদের তথ্যে কোনো ভুল বা কারো কোনো দাবি আপত্তি থাকলে আগামী ১৭ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ সংক্রান্ত আবেদন নেবেন।
ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে পাঠিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন সহায়তা শাখা-২’র সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী।
গত ২ জানুয়ারি হালনাগাদ করা ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর ভুল-ভ্রান্তি বা কারো কোনো দাবি আপত্তি থাকলে আবেদন করতে হবে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে। ৩০ জানুয়ারির মধ্যে দাবি আপত্তিগুলোর নিষ্পত্তি করা হবে। আর ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানায়, হালনাগাদের আগে ভোটার ছিল ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। নতুন করে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জন। এ হিসেবে ভোটার সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন। ভোটার বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, দাবি আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এই সময়ের মধ্যে কারো কোনো দাবি বা আপত্তি থাকলে তা জানাতে পারবেন। ১৭ জানুয়ারি দাবি আপত্তি জানানোর শেষ সময়।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশাকে উপক্ষো করেই জমি তৈরি করে বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করেছেন চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কৃষকরা। কৃষকদের আশা, আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার তারা বোরো ধানের বাম্পার ফলন পাবেন। গেল বছরের তুলনায় এ বছর বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় কচুয়া প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ইরি-বোরো ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। ফলে উপজেলার গ্রামাঞ্চল কিংবা পৌরসভার আবাদী ও অনাবাদী জমিতে ব্যাপকহারে বোরো ধান চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
এদিকে শ্যালো মেশিন কিংবা পাম্পের সাহায্যে জমিতে পানি দিয়ে ধান রোপণের জন্য জমি উপযোগী করে তুলছেন বেশিরভাগ কৃষক। অধিকাংশ জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করা ও বীজতলা থেকে ধানের চারা উত্তোলন করে জমিতে রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন চাষিরা।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১২ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ হাজার ২০০ হেক্টর জমি।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে দেখা যায় ইরি-বোরো রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তবে পালাখাল, সাচার, বিতারা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পুরোদমে বোরো ধান রোপণ শুরু হয়েছে। গেলো বোরো মৌসুমে ধানের দাম বেশি পাওয়ায় এবারও দাম ভালো পাওয়ার আশায় আছেন চাষিরা।
পালাখাল গ্রামের ধান চাষী ফজল হক ও ফজলু মিয়া সহ অনেকেই জানান, ধানের দাম বাজার বেশি থাকায় বোরো রোপণ করছি অধিকাংশ জমিতে। আরও অনেক জমিতে রোপণ করা বাকি আছে। বাজারের ধানের দাম বেশি। তাই বোরো ধান চাষ বেশি আবাদ করবেন বলে জানান তারা।
দোয়াটি গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম ও আবুল হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে আমরা অনেক জমিতে বোরো ধানের চারা রোপন করেছি, বাকী জমি গুলোতে পর্যায়ক্রমে রোপন করা হবে। আশা করছি এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকলে এবং ধানের ফলন ভালো হলে দাম পাওয়া যাবে।
এব্যাপারে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মেজবাহ উদ্দিন জানান, চলতি মৌসুমে ধানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বোরো চাষে কৃষকরা বেশি আগ্রহী হচ্ছেন। তবে এ বছর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রোপণ হতে পারে বলেও জানান তিনি। তাছাড়া বোরো আবাদে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
তামিলনাড়ুর রঙ্গনাথস্বামী মন্দিরে পুজো দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিরুচিরাপল্লিতে এমনই নানা মেজাজে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীকে। একটি হাতির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। দেখা গিছে, মন্দিরের হাতির শুঁড়ে তিনি মাউথঅর্গ্যান তুলে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে মাউথঅর্গ্যান বাজিয়ে শুনিয়েছে হাতিটি। তার শুঁড়ে হাতও বুলিয়ে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর হাতেই হতে চলেছে অযোধ্যার মন্দিরে রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’। উদ্বোধন অনুষ্ঠানের রাজকীয় আয়োজন করা হয়েছে। সাজ সাজ রব গোটা অযোধ্যায়। উদ্বোধনের আগে বিশেষ ব্রত পালন করছেন মোদী। তার আগে তামিলনাড়ুর মন্দিরে পুজো দিলেন তিনি।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস ও জমঈয়তে শুব্বানে আহলে হাদীস।
তাদের যৌথ উদ্যোগে দহুলিয়া গ্রামে অবস্থিত জামিআ দারুত তাওহীদ একাডেমী মাদ্রাসা মাঠে সকালে এলাকার গরীব ও অসহায় শীতার্ত পরিবার এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
উদ্যোক্তারা জানান, অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়। এ ধরনের উদ্যোগ এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর শীত নিবারণে সহায়ক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
এসময় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস চাঁদপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি শায়েখ আকরামুজ্জামান,সেক্রেটারী হাজী মো. দুলাল মিয়া, সহ-সেক্রেটারী আব্দুল মালেক মিয়াজী সহ আরো অনেকে।
এসময় জামিআ দারুত তাওহীদ মাদ্রাসার সহ-সেক্রেটারী সাইফুল ইসলাম, বিএনপি নেতা মজুল হক, মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক রিয়াদ হোসেন, সহকারী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, ওমর ফারুক, ফরিদ হোসেন, সমাজেসবক শাহ জালাল মিয়া, হাজী আব্দুল জাব্বার, মতিন মিয়া সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন