আওয়ামী লীগ
সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে।
এর পরিণতি ভালো হবে না।
২৩ নভেম্বর
বেলা ১০ টায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে শুরু হওয়া দলের সংসদীয় মনোনয়ন
বোর্ডের সভার সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী
বলেন, বিএনপি জামায়াত নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলেও আওয়ামী লীগের শক্তি দেশের জনগণ।
কেউ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবে না তার।
আওয়ামী লীগ
সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৪ সালে আত্মবিশ্বাস ছিল না বলেই জ্বালাও-পোড়াও করে নির্বাচনে
আসেনি তারা । ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে অপবাদ দিয়েছে কিন্তু কেউ এখন পর্যন্ত অনিয়মের
একটি সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
বৈঠকে সভাপতিত্ব
করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভার প্রথম
দিনে কয়েকটি বিভাগের সংসদীয় আসনগুলোর মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে। পর্যায়ক্রমে ৩০০ সংসদীয়
আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে আগামী কয়েক দিন বৈঠক করবে আওয়ামী লীগ।
আসন্ন জাতীয়
সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেতে ৩০০ আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন
৩ হাজার ৩৬২ জন। প্রতি আসনের জন্য গড়ে ১১ জন ফরম কিনেছেন।
মন্তব্য করুন
চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার(১৩ ফেব্রুয়ারী) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার কার্যালয় থেকেও স্মরণ করিয়ে দেওয়া দরকার। প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয় যেন এ বিষয়ে একটু নজর দেয়। প্রতিটি মন্ত্রণালয় যেসব প্রকল্পগুলো অল্প খরচ করলেই শেষ হয়ে যাবে, সম্পূর্ণ হয়ে যাবে, সেগুলো দ্রুত সম্পন্ন করে ফেলা। প্রকল্প সম্পন্ন করে ফেললে আমরা নতুন প্রকল্প নিতে পারবো। কিছু কিছু প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সেগুলোও দ্রুত শেষ করা উচিত। দ্রুত শেষ না করলে খরচও বাড়ে, কালক্ষেপণও হয়। সেটা যেন না হয়।
প্রকল্প নেওয়ার সময় গুরুত্ব বিবেচনা করে বাছাই করার নির্দেশ দিয়ে টানা চারবারের সরকারপ্রধান বলেছেন, আর্থ-সামাজিক উন্নতির জন্য যে প্রকল্পগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য সেগুলো আমাদের নিতে হবে। প্রকল্প বাছাই করার সময় সেটা আমাদের দেখা দরকার।যার ফলে আমাদের যে লক্ষ্যটা আছে সেটা আমরা অর্জন করতে পারি।
মন্তব্য করুন
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি দূর করার লক্ষ্যে বাংলাদেশে অভিযোজন ও প্রশমন উভয়
ক্ষেত্রে উপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ভবিষ্যৎ
প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে চাই। এজন্য প্রয়োজন অভিযোজন
সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, সহিষ্ণুতা শক্তিশালী করা এবং ঝুঁকি হ্রাসে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ
গ্রহণ করা।
সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ)
এক্সপো’ এবং ‘বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্বের (বিসিডিপি)’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে
তিনি বলেন, কার্বন নিঃসরণের কারণে বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম
উল্লেখ করে তিনি বলেন, বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের অবস্থান ০.৪৮ শতাংশের
কম হলেও, এর নেতিবাচক প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহের মধ্যে
আমরা অন্যতম।
তিনি আরও বলেন, উন্নত দেশগুলো ব্যাপক কার্বন নিঃসরণের মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণতা
বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখে চলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে রক্ষা করা
তাদের নৈতিক দায়িত্ব।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি থাকাকালে
অভিযোজন এবং প্রশমন কার্যক্রমে উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার
প্রদানের বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য বার বার আহ্বান জানিয়েছি। আমার প্রত্যাশা, উন্নত
দেশসমূহ তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশসহ জলবায়ু
পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের হুমকিতে থাকা অন্যান্য দেশগুলো যাতে অব্যাহতভাবে আর্থিক,
বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পায় সেজন্য আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ধনী দেশগুলোর
প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
এসময় প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় আরো কয়েকটি বিষয়
তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- কার্বন-নির্গমনকারী দেশগুলোকে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি
১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে তাদের নির্গমন হ্রাস করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ
নিতে হবে। উন্নত দেশগুলোর দ্বারা জলবায়ু তহবিলে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পূরণ
করতে হবে। অভিযোজন এবং প্রশমনের মধ্যে তা সমানভাবে বণ্টন করতে হবে। উন্নত দেশগুলোকে
উন্নয়নশীল দেশে প্রযুক্তি স্থানান্তরের পাশাপাশি সবচেয়ে কার্যকর জ্বালানি সমাধানে এগিয়ে
আসতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের সময়, সংশ্লিষ্ট দেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকার
তাদের ক্ষতি অনুসারে বিবেচনা করা উচিত।
পাশাপাশি যুদ্ধের পেছনে অর্থ ব্যয় না করে, তা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যয়
করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের পেছনে অর্থ ব্যয় না করে, তা
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যয় করুন।
সুনির্দিষ্ট তহবিল ও অতিরিক্ত আর্থিক সংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণে ধনী দেশ এবং
আন্তর্জাতিক সকল সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৭ বছরে
ন্যাপের গৃহীত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রায় ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রয়োজন ।
সবশেষে জলবায়ু সমস্যা সমাধানে সকলের সমানভাবে অংশগ্রহণে গুরত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদী-ভাঙন, বন্যা এবং খরার
কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব সব দেশকে ভাগ করে নিতে হবে ।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত ‘মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন ।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর সরকারপ্রধান হিসেবে এটি ছিল তার প্রথম কোনো রাষ্ট্রীয় সফর।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানি যান প্রধানমন্ত্রী। মিউনিখে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠক করেন।
প্রধানমন্ত্রী জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি এবং ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
এছাড়া ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর ও যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বর্তমান পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী লর্ড ক্যামেরন এবং জার্মান ফেডারেল অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়নমন্ত্রী সভেনজা শুলজেও শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
মন্তব্য করুন
শান্তি ফর্মুলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের সাইড লাইনে বৈঠকে তিনি এই সহযোগিতা চান।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে কনফারেন্স ভেন্যু হোটেল বেইরিশার অব-এ অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি বাংলাদেশের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের সঙ্গে দেখা করেছি। আমরা শান্তি ফর্মুলার ওপর ভিত্তি করে একটি ন্যায়সঙ্গত শান্তির জন্য ইউক্রেনের দৃষ্টিভঙ্গি, সেইসঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি।
তিনি আরো বলেন, আমি বাংলাদেশকে ফর্মুলা বাস্তবায়ন এবং গ্লোবাল পিস সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৪-এ যোগ দিতে তিন দিনের এক সরকারি সফরে ১৫ ফেব্রুয়ারি মিউনিখে পৌঁছেন। সফর শেষে ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক অভিনন্দন বার্তায় চেক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘চেক প্রজাতন্ত্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তা আমি গভীরভাবে মূল্যায়ন করি এবং আমি বিশ্বাস করি আমরা আমাদের উভয় দেশের পারস্পরিক স্বার্থে তা আরও গভীর ও জোরদার ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখব।’তিনি শেখ হাসিনাকে অভিন্ন স্বার্থে সকল ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক স্তরে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে আরও উন্নয়ন সহযোগিতার বিষয়ে তার দেশের আগ্রহের আশ্বাস দেন।
চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে আপনার দাবিকৃত কাজের সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করছি।’
সূত্র: বাসস
মন্তব্য করুন
আসন্ন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটদানে বাধা দিলে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল
কাদের বলেন, ৭ জানুয়ারি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া হবে। ভোট দিতে
কেউ বাধা দিলে তাদের প্রতিহত করা হবে।
শুক্রবার
(৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দলটির তেজগাঁও কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে
এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল
কাদের বলেন, হরতাল হলো একটা মরিচা ধরা হাতিয়ার, এ অস্ত্র বিএনপি আগেও ব্যবহার করেছে।
তাতে লাভ হয়নি। এবারও হবে না৷ ৭ জানুয়ারি সবাই ভোটকেন্দ্রে আসবে। তারা নির্ভয়ে ভোট
দেবে। ওইদিন যারাই বাধা দেবে তাদেরই প্রতিরোধ করা হবে। কত আসন পাবে তা এখনই বলতে চাই
না। তবে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে। আর ভোটের ফলই বলে দেবে কারা বিরোধী দলে যাবে।
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডে ভয়াবহ আগুনে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপ্রধান শোকবার্তায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
প্রধানমন্ত্রী আহতদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দেন। এ ছাড়া, আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার(২৯ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন।
মন্তব্য করুন
আমরা বিশ্বাস করি, তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি। আমরা সেই তারুণ্যকেই স্মার্ট তরুণ সমাজ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়তে চাই। কারণ আমাদের লক্ষ্য আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মাদারীপুর জেলার কালকিনি জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দিন বদলের সনদ দিয়েছিলাম। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে শুরু করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সবদিকে আজ বাংলাদেশ উন্নয়ন করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলবো। একটা স্মার্ট পপুলেশন, আমাদের সরকার হবে স্মার্ট, আমাদের ইকোনমি হবে স্মার্ট, আমাদের সমাজ হবে স্মার্ট।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা-দীক্ষায় এ দেশের জনগণ যেন প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যেতে পারে। আর আজকের তরুণরাই হবে ২০৪১ সালের সৈনিক। তারাই চালাবে এই দেশ। সেভাবেই নিজেদের তৈরি করে তুলতে হবে।
নতুন ভোটারদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা এবার প্রথমবারের মতো ভোটার হয়েছে তাদের আমি অনুরোধ করবো, নৌকা মার্কায় ভোট দিতে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যাতে অব্যাহত থাকে। এটাই আমাদের লক্ষ্য।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মাদারীপুরে আমাদের যারা প্রার্থী তাদের ভোট দেবেন। আমি নৌকা মার্কায় ভোট চাই। কারণ, নৌকাই উন্নয়ন, নৌকাই দেবে সব। নৌকা ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই। এই নৌকা নূহু নবীর নৌকা। যে নৌকা মহাপ্লাবন থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করেছিল। এই নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এই নৌকাই বাংলাদেশের উন্নয়নের একমাত্র হাতিয়ার।'
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের
সঙ্গে বসেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৬ নভেম্বর দুপুরে এ
বৈঠক শুরু হয়।
সকাল থেকে নিরাপত্তাবেষ্টনী পার হয়ে সারিবদ্ধভাবে গণভবনে প্রবেশ করেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে ভেবেই উচ্ছ্বসিত ছিলেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।
গত শনিবার (২৫ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সব সদস্য ও মনোনয়নপ্রত্যাশী সব প্রার্থীকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, মনোনয়নপত্রের রিসিভ কপি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইন ফরমের ফটোকপিসহ যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানান।
তাছাড়া গত শনিবার(২৫ নভেম্বর) থেকে টানা চারদিন মনোনয়নপত্র বিক্রি এবং জমা নেয় আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার(২৩নভেম্বর) থেকে টানা তিনদিন মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক হয়। আজ বিকেলে বৈঠক শেষে দলীয় কার্যালয়ে নাম ঘোষণার মাধ্যমে এই পর্ব শেষ হবে।
মন্তব্য করুন
সোমবার (১৩ মে) সকালে গণভবনে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ।
এসময় হজযাত্রীদের সবাই যাতে
পবিত্র হজ পালন করতে পারেন সে জন্য ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়াতে সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান
জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম তাকে (প্রধানমন্ত্রী) উদ্ধৃত করে বলেন,
সৌদি আরবের উচিত হজযাত্রীদের জন্য ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানো, যাতে তারা পবিত্র হজ
পালন করতে পারেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর বিষয়টি উত্থাপন করেছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, যেসব হজযাত্রী
এখনো হজ পালনের জন্য ভিসা পাননি তাদের ভিসা দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন তিনি। বিভিন্ন জটিলতায়
সৌদি আরব থেকে এখনও ভিসা পাননি ১০ হাজারের বেশি হজযাত্রী।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে
কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নে তার দেশের বিনিয়োগকারী ও কোম্পানির আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং
সে সব প্রকল্পের একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, যাচাই-বাছাই
এবং পরীক্ষা শেষে বাংলাদেশ পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে এবং এ প্রসঙ্গে তিনি তাকে আশ্বস্ত
করেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।
সৌদি রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, তার দেশে প্রায় ৩২ লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন যারা বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন।
প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবে
বসবাসরত বাংলাদেশিদের বৈধ পন্থায় ঢাকায় রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করার পদক্ষেপ নেওয়ার
জন্য রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি
শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, অ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন
এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন