

কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় রেললাইনের পাশে দুলাল হোসেন নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড় নেয়। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাব-১১ অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। একই সঙ্গে লাশ গুমে ব্যবহৃত একটি নোহা গাড়িও উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, গত ১০ সেপ্টেম্বর সকালে লালমাই উপজেলার পেরুল এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে মাথায় জখম ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্নসহ অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে লাকসাম রেলওয়ে পুলিশ। পরে নিহতের পরিচয় শনাক্ত হয়—তিনি কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার ভল্লবপুর গ্রামের জব্বর মালের ছেলে দুলাল হোসেন (৩৫)।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এরপর র্যাব-১১ এর একটি চৌকস দল ১৫ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার, লাকসাম এবং ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে দুলাল হত্যা মামলার সঙ্গে জড়িত সাতজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, মোঃ ফারুক (৪৫), মোঃ মফিজুল ইসলাম (৪৫), তাজুল ইসলাম (৪২), রুবেল আহাম্মেদ (৩৯), আবুল হাসেম (৩৪), মরিয়ম (৩৭) এবং ফাতেমা আক্তার সিনথিয়া (১৯)।
র্যাব জানায়, প্রায় ছয় মাস আগে দুলালের সঙ্গে ফাতেমা আক্তার সিনথিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই দুলাল স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। এ সময় সিনথিয়ার সঙ্গে ইমুতে পরিচয় হয় দুবাইপ্রবাসী আবুল হাসেমের, যা পরবর্তীতে পরকীয়ায় রূপ নেয়।
দুলালের সঙ্গে ডিভোর্সের পর সিনথিয়া হাসেমকে বিয়ে করে। কিন্তু দুলাল তা মেনে নেয়নি; হাসেমের অনুপস্থিতিতে প্রায়ই সিনথিয়ার বাসায় গিয়ে ভীতি প্রদর্শন করত।
এ পরিস্থিতিতে সিনথিয়া, তার বর্তমান স্বামী হাসেম ও পরিবারের অন্য সদস্যরা মিলে দুলালকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
ঘটনার দিন সিনথিয়া স্বামী হাসেমের পরামর্শে দুলালকে ঘুমের ওষুধ মেশানো জুস খাওয়ায়। দুলাল অচেতন হয়ে পড়লে গ্রেফতারকৃত আসামিরা মিলে তাকে আঘাত করে এবং শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে লাশ গুম করার জন্য ড্রাইভার রুবেল নোহা গাড়িতে করে লাশ লালমাই রেললাইনের পাশে ফেলে আসে।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তাদের থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন


ফাতেমাতুজ জোহরা তন্বী, প্রতিবেদক:
নিটোল
পায়ে রিনিক ঝিনিক,পায়েলখানি বাজে
মাদল
বাজে সেই সংকেতে
শ্যামা
মেয়ে নাচে...
এস
ডি বর্মণের কণ্ঠে সেই প্রখ্যাত গান। বলছিলাম উপমহাদেশের সংগীতের রাজপুত্র কুমার শচীন
দেববর্মণের কথা।
শচীন
দেববর্মণ (১ অক্টোবর, ১৯০৬-৩১ অক্টোবর, ১৯৭৫) বিংশ শতাব্দীতে ভারতীয় বাংলা ও হিন্দী
গানের কিংবদন্তীতুল্য ও জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার, গায়ক ও লোকসঙ্গীত। আগরতলার বাসিন্দা হলেও শচীন দেবের শৈশব কেটেছে কুমিল্লায়
এবং শেষ জীবন মুম্বাইতে। তাঁর সহধর্মিণী মীরা দেবী এবং একমাত্র পুত্র রাহুল দেববর্মনও
মুম্বাই চিত্রজগতের প্রতিষ্ঠিত কণ্ঠশিল্পী।প্রায়শ তাঁকে এস ডি বর্মণ হিসেবেই উল্লেখ
করা হয়। কিছুটা অনুনাসিক কণ্ঠস্বরের জন্য তিনি তার শ্রোতাদের কাছে বিশেষভাবে পরিচিত।
প্রায় একশো বছর পার করেও বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে তার কালোত্তীর্ণ গানের আবেদন
কিছুমাত্র লঘু হয়নি। কেবল সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে নয়, গীতিকার হিসাবেও তিনি সার্থক।
তিনি বিভিন্ন চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর পুত্র রাহুল
দেববর্মণ ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। তাঁর ছাত্রী এবং পরবর্তীতে
সহধর্মিনী মীরা দেববর্মণ গীতিকার হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি রবি গুহ মজুমদার এর
অনেক গানে সুর দিয়েছেন এবং তা শিল্পে রূপান্তরিত করেছেন। তিনি ২ বার (১৯৫৫ ও ১৯৭৪)
সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং ১৯৭০ সালে শ্রেষ্ঠ নেপথ্য গায়ক হিসেবে
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত) লাভ করেন।
শচীন
দেব বর্মণ তার যুগের তুলনায় অনেকাংশে আধুনিক ছিলেন। তার অনেক গানই আজকাল রিমিক্স হচ্ছে
এবং জনপ্রিয়তাও পাচ্ছে। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানছেন না, গান গুলোর আসল
সুরকার এবং গায়ক শচীন দেববর্মণ। শচীন দেব অনেক বাংলা গানে সুর দিয়েছেন। ১৯৩৪ সালে
নিখিল ভারত সঙ্গীত সম্মিলনে গান গেয়ে তিনি স্বর্ণপদক লাভ করেন। ১৯৩৭ সাল থেকে পরপর
কয়েকটি বাংলা ছায়াছবিতে তিনি সঙ্গীত পরিচালনা করেন। এক্ষেত্রে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য
ছায়াছবি হলো: রাজগী, ছদ্মবেশী, জীবন-সঙ্গিনী, মাটির ঘর ইত্যাদি। তার বিখ্যাত কিছু
গান যেমন-
শোনো
গো দখিন হাওয়া
হৃদয়ে
দিয়েছো দোলা
কে
যাসরে
ঝিল
মিল ঝিল মিল
তুমি
আর নেই সেই তুমি
রজ্গীলা
তুমি
এসেছিলে পরশু ইত্যাদি।
প্রতি
বছর দু-তিন দিন জুড়েই পালিত হয় 'শচীন মেলা'। স্নিগ্ধতা এবং ঐতিহাসিক স্থাপনা ব্যাখ্যা
দেয় সোনালী অতীতের। শচীন দেববর্মণের মতো মানুষরা অমর প্রজন্মের পর প্রজন্মে।
বাংলা ও হিন্দি গানের কিংবদন্তি সুরকার শচীন দেববর্মণ এর জন্মভিটা কুমিল্লার দক্ষিণ চর্থায়। একসময় রাজবাড়ি হলেও এখন সেটি ইতিহাসের কান্না বয়ে চলা এক পরিত্যক্ত ভবন।
সরকারি উদ্যোগে ‘সংস্কৃতি কমপ্লেক্স’ গড়ে তোলার কথা বলা হলেও বাস্তবে বাড়িটি পড়ে আছে অযত্নে-অবহেলায়।
আমরা কি তবে শচীন কর্তার সুরের স্মৃতি হারাতে বসেছি?
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
আসন্ন ঈদ-উল আযহা ২০২৫ উপলক্ষ্যে পশুরহাটের ইজারাদারদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।
শনিবার (৩১ মে ) বেলা ১১ টায় কুমিল্লার পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেট শহীদ আরআই এ.বি.এম আবদুল হালিম মিলানায়তনে আসন্ন ঈদ-উল আযহা ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে পশু হাটের ইজারাদারদের সাথে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন ।
উক্ত মতবিনিময় সভায় কুমিল্লা জেলার ১৮টি থানার পশুর হাটের ইজারাদারগণ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত আলোচনা সভায় পশু হাটের ইজারাদারগণ তাদের বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধা ও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে মতামত ব্যক্ত করেন। পরবর্তীতে পুলিশ সুপার পশুর হাট সংক্রান্তে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি ও হয়রানি রোধ, জালটাকা সনাক্তের জন্য মেশিন স্থাপন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়সহ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, কুমিল্লার ১৮টি থানা এলাকায় এই বছর স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে সর্বমোট ৪০৯টি পশুর হাট বসবে।
উক্ত মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) রাশেদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শামীম কুদ্দুস ভূঁইয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ সাইফুল মালিকসহ কুমিল্লা জেলার সকল সার্কেল অফিসার এবং সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার
চৌদ্দগ্রামে র্যাব পরিচয়ে সিএনজি অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পর জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে
সিএনজিসহ ছিনতাইকারীকে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ। গত ১৭ই জুন রাত ১১ টায় চৌদ্দগ্রাম থেকে
সিএনজি অটোরিক্সাটি উদ্ধার করা হয়।
মিয়াবাজার
হাইওয়ে থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের সার্কেল এডিশনাল এএসপি খায়রুল
জানায়, গত ১৫ই জুন পদুয়ার বাজার থেকে বুচ্চি ভাঙ্গড্ডা সড়কে যাত্রী পরিচহন করা সিএনজি
অটোরিকশায় যাত্রীবেশে উঠেন আল মাহফুজ হৃদয়। পথিমধ্যে চালকের সাথে আলাপকালে চালক মনির
হোসেনকে র্যাব ১১ কুমিল্লা শাকতলার গোয়েন্দা অফিসার হিসেবে পরিচয় দেন। একপর্যায়ে সরকারী
বাহিনীর ডিউটি করেছেন কি না চালকের জানতে চান এবং তার মোবাইল নাম্বারটি সংগ্রহ করে
নেন। ১৬ তারিখ কল করে চালককে ১৭ তারিখ জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলেন। এবং চালকের
সাথে দুই হাজার টাকা ভাড়া চুক্তি হয়। ১৭ তারিখ বিকেলে চালক মনির হোসেন জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ড
থেকে আল মাহফুজকে নিয়ে মিয়াবাজার যাওয়ার পথে শুয়াগাজি বাজার নামক স্থানে পৌঁছালে আল
মাহফুজ মোবাইলে অন্যের সাথে কথা বলে অন্য জায়গায় আকস্মিক অভিযানের কথা বলে গাড়ি ঘুরিয়ে
রাজেশপুর ইকোপার্কে নিয়ে যায়। এরপর সহযোগীদের নিয়ে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চালককে
দুটি গামছা দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে অটোরিকশা নিয়ে চলে যায়।
সিএনজি
চালক মনির হোসেন বলেন, বৃষ্টির মধ্যে অন্ধকারে গাছের সাথে বেঁধে রাখা অবস্থায় আধা ঘন্টা
চেষ্টার পর বাঁধন খুলতে সক্ষম হই। পাশ্ববর্তী এক বাড়িয়ে সাহায্য না পেয়ে দেড় কিলোমিটার
দূরে স্থানীয় একটি বাজারে গিয়ে গাড়ির মালিক আমার বড় ভাইকে কল করে ছিনতাইয়ের ঘটনা জানাই।
আমার ভাই তৎক্ষণাৎ গাড়ির সেল সেন্টারে কল দিলে তারা গাড়িতে থাকা জিপিএস ট্র্যাক করে
গাড়ির অবস্থান নির্ণয় করে। সাথে সাথে হাইওয়ে পুলিশের মোবাইল টিমকে জানালে চৌদ্দগ্রামে
মহাসড়কের ডলি রিসোর্টের সামনে থেকে গাড়িসহ কথিত র্যাবের গোয়েন্দা শাখার অফিসার ছিনতাইকারী
আল মাহফুজকে আটক করে তারা।
মিয়াবাজার
হাইওয়ে থানার ওসি সাহাবুদ্দিন জানান, ছিনতাইকারী আল মাহফুজের বিরুদ্ধে রংপুর ও কুমিল্লায়
দুটি মামলা রয়েছে। তাকে প্রধান আসামী করে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১০ কেজি গাঁজাসহ
একজনকে আটক।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার
উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সহকারী উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ মনির হোসেন এর নেতৃত্বে ডিএনসি- কুমিল্লা
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে চান্দিনা থানাধীন চান্দিনা উপজেলা মোড় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের
দক্ষিণ পাশে রাস্তার উপর থেকে ১০ কেজি গাঁজাসহ আসামী মো: জীবনকে আটক করে।
আটককৃত আসামী হলো- শরিয়তপুর জেলার চরপায়াতলী
এলাকার মৃত নুরুজ্জামান এর ছেলে মো: জীবন (২৩)।
আসামীদের বিরুদ্ধে সহকারী উপপরিদর্শক
মোহাম্মদ মনির হোসেন বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ৩৬(১) সারণীর ১৯(খ)
ধারায় চান্দিনা থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মন্তব্য করুন


পাওনা
৩৬ হাজার টাকা না দেওয়ায় পরকীয়া প্রেমিকের হাতে খুন হয় কুমিল্লা হোমনা উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া
ইউনিয়নের ঘাগুটিয়া গ্রামের শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে
সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
হত্যাকাণ্ডের
পরই রহস্য উদঘাটনে এবং খুনিকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ।
এর একদিন পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে হোমনার শ্রীমদ্দি চরেরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূলহোতা আক্তার হোসেনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আক্তার হোসেন (২৭) হোমনা শ্রীমদ্দি চরের গাঁও এলাকার হক মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর হত্যাকারী আক্তার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, নিহত মাহমুদার সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর মাহমুদা তার পরকীয়া প্রেমিক আক্তার হোসেনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা ধার নিতো। সর্বশেষ আক্তার হোসেনের নিহত মাহমুদার কাছে ৩৬ হাজার টাকা পাওনা ছিল। আক্তার সেই টাকা মাহমুদার কাছে ফেরত চাইলে টাকা ফেরত দেব-দিচ্ছি করে আক্তারকে ঘোরাতে থাকেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কয়েক দফা বাগবিতণ্ডা হয়।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আক্তারকে তার পাওনা টাকা ফেরত দেবেন বলে বাড়িতে ডাকেন মাহমুদা। পরে রাতে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন মাহমুদা, হত্যাকারী আক্তার, মাহমুদার ছেলে সাহাত এবং মাহমুদার ভাতিজি তিশা।
খাওয়া শেষে তিশা ও সাহাত ঘুমিয়ে পড়ে। তখন আক্তার তার পাওনা টাকা ফেরত চাইলে মাহমুদা রাগারাগি করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ফের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে মাহমুদাকে মাথায় আঘাত করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন আক্তার। আর ভাবতে থাকেন তিশা ও সাহাত তো সন্ধ্যায় তাকে দেখেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা যদি আক্তারের কথা বলে দেয় সেই আশঙ্কা থেকে তাদের দুজনকেও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে মরদেহ তিনটি এক খাটের ওপর রেখে পালিয়ে যান তিনি।
হোমনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, তিনজনকে হত্যার ঘটনায় নিহত মাহমুদার বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করার পর ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে নামে পুলিশ। তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ হত্যাকারী আক্তারকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাতে আক্তারকে তার নিজবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার বিকেলে আদালতে তোলা হলে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এর আগে, বুধবার রাতের কোনো একসময় তিনজনকে হত্যা করে মরদেহ একটি খাটের ওপর ফেলে রাখা হয়।
নিহতরা হলেন বড় ঘাগুটিয়া এলাকার মো. শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
এ
ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতেই নিহত মাহমুদার বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি
হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘাতক আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে শনিবার বিকেলে তাকে আদালতে তোলা হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫
উপলক্ষে অমর একুশে বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে।
কুমিল্লা জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে আয়োজিত আজকের এই অমর একুশে বইমেলার শুভ উদ্বোধন করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার।
২১ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে কুমিল্লা জেলা
প্রশাসনের আয়োজনে আয়োজিত এই বইমেলায় আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠানের পাশাপাশি গ্রাফিতি এবং তথ্যচিত্র প্রদর্শনী হয়।
২১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী উক্ত বইমেলা চলবে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আজকের অমর একুশে বইমেলায় স্টলের সংখ্যা ১৫টি।
উক্ত মেলায় দেশসেরা অনেকগুলো প্রকাশনীর পাশাপাশি থাকছে কুমিল্লার জনপ্রিয় সব বুকশপ।পাশাপাশি থাকছে পিঠা ও ক্যানভাসের স্টল।
জুলাই গণহত্যার তথ্যচিত্র নিয়ে ও থাকছে বইমেলাটিতে থাকছে বিশেষ প্রদর্শনী।
আজকের এই মেলায় আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জিলা স্কুল এর প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান,বাংলাদেশ জাতী়য়তাবাদী দল,কুমিল্লা সদর দক্ষিণ এর বিএনপি সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, কুমিল্লা জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন রুবেল, কুমিল্লা মহানগর এর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর আহবায়ক আবু রায়হান, কুমিল্লা জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক ইমপা ফারহাসহ অন্যান্যরা।
উদ্বোধন শেষে একটি মনোজ্ঞ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং পরবর্তীতে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মহাসড়কের
পাশে হোটেলে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ও গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আবদুল কুদ্দুস প্রকাশ তেল
কুদ্দুসকে আটক করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
এ সময় মো. ইয়াছিন, কামাল
উদ্দিন ও মীর হোসেন নামে তিন সহযোগীকেও আটক করা হয়। আজ রোববার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গুলজার আলম।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত রাতে সেনাবাহিনী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছুফুয়া এলাকার ইসলামিয়া
ট্রাক হোটেলে অভিযান চালায়। অভিযানকালে ৪৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, সাড়ে ৪ কেজি গাঁজা
ও নগদ ৮৮ হাজার ৫৪০ টাকাসহ ঘোলপাশা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস
প্রকাশ তেল কুদ্দুস, তার সহযোগী মো. ইয়াছিন, কামাল উদ্দিন ও মীর হোসেনকে আটক করা হয়।
কুদ্দুস আমানগন্ডা গ্রামের মৃত এরশাদ উল্যাহর ছেলে।
চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক(তদন্ত) গুলজার আলম বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী এক্সপ্রেস ট্রেন কুমিল্লায় লাইনচ্যুত হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কুমিল্লা সদর উপজেলার রসুলপুর রেলস্টেশনের সিগন্যাল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আউটার
রেলওয়ের কুমিল্লা অঞ্চলের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) লিয়াকত আলী মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ট্রেনটির ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়েছে। ফলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী রেলপথে ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাকসাম জংশন থেকে একটি উদ্ধারকারী ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
লিয়াকত আলী আরও বলেন, "উদ্ধার কাজ শেষ হলে বিকল্প ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হবে এবং রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।”
এ ঘটনায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দ্রুত ট্রেন চলাচল করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন


দীর্ঘ ৩২ বছরের চাকরিজীবনের ইতি টানেন চান্দিনা থানায় কর্মরত সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নি.) মো. অহিদ উল্যাহ। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় সহকর্মীরা তাকে দিয়েছেন রাজকীয় বিদায়। মো. অহিদ উল্যাহকে থানা থেকে ফুল সজ্জিত গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দেন সহকর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চান্দিনা থানায় আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাবেদুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা।
মো. অহিদ উল্যাহ কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের কুরছাপ গ্রামের আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে। তিনি ১৯৯৩ সালে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী উপপরিদর্শক পদ লাভ করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে চাঁদপুর, ফেনী, লক্ষ্মীপুর জেলাসহ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
চাকরিজীবনের সায়াহ্নে এসে নিজের পার্শ্ববর্তী থানা চান্দিনা থানায় কর্মরত ছিলেন।
সহকর্মীদের এমন ভালোবাসায় আবেগাপ্লুত হয়ে অহিদ উল্যাহ জানান, বাংলাদেশ পুলিশে দায়িত্ব পালন করতে পেরে আমি গর্বিত। এই ইউনিফরম আমার পরিচয়, আর মানুষের সেবা ছিল আমার অঙ্গীকার। সহকর্মীদের ভালোবাসা ও সম্মান আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি।
বিদায় অনুষ্ঠানে ওসি জাবেদুল ইসলাম জানায়, মো. অহিদ উল্যাহ একজন সৎ ও দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। তার পেশাদারি এবং সদাচরণ আমাদের জন্য অনুকরণীয় উদাহরণ হয়ে থাকবে।
মন্তব্য করুন


র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর অভিযানে ১৪.৫ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।
আজ মঙ্গলবার সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন গাজীপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে রিমন (৩১) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১৪.৫ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী রিমন (৩১) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার দৌলতপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন