বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা মহানগরীর উদ্যোগে যাকাত শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(৬ মার্চ) বিকাল ৪ টায় নগরীর গোল্ডেন স্পুন অডিটরিয়ামে মহানগর জামায়াতের আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ এর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ড.আবরার আহমেদ।বিশেষ আলোচক হিসাবে আলোচনা করেন ড.মাসুদুল হক চৌধুরী,আড়াইবাড়ী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতী আমিনুল ইসলাম।
কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতে সেক্রেটারী মু.মাহবুবর রহমান এর সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন,মহানগর জামায়াতে নায়েবে আমীর যথাক্রমে মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন,অধ্যাপক এ কে এম এমদাদুল হক মামুন,মহানগর জামায়াতে কর্মপরিষদ সদস্য এড এয়াকুব আলী চৌধুরী,অধ্যাপক মজিবুর রহমান,কাজী নজীর আহম্মেদ,অধ্যাপক জাকির হোসেন,কাজী মোতাহের আলী দিলাল প্রমুখ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করতে হবে। আল্লাহতাআলার আইন দিয়ে দেশ না চললে কেউ সুখ শান্তি পাবে না। এখানে চুরি, হত্যা রাহাজানিসহ যতধরনের অপকর্ম চলতে থাকবে। ইসলাম মানেই সুবিচার, ইসলাম মানলেই সুবিচার হবে। ইসলাম যতদিন না থাকবে কোথাও সুবিচার কায়েম হবে না। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে ইসলাম কায়েমের মাধ্যমেই সমাজের সকল স্তরে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যারা আল্লাহর বিধান অনুযায়ী সমাজ, রাষ্ট্র ও বিচার বিভাগ চালাবে না তারা কাফের, ফাসেক ও জালেম।
সেমিনার সম্মিলিত সকলের অংশগ্রহণে ইফতার করার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, যারা টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার মাঠ নিয়ন্ত্রণকে
কেন্দ্র করে হতাহতের ঘটনায় জড়িত, তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। এতে ছাড় দেওয়ার
কোনো অবকাশ নেই। খুনিদের কোনো অবস্থায় ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। যারা প্রকৃত দোষী তাদেরকে
আইনের আওতায় আনা হবে।
আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে টঙ্গীতে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের
লক্ষ্যে তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের (জোবায়ের ও সাদ) সাথে বিশেষ আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের
ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম
চৌধুরী বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অন্যায়কারীকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সঠিক তদন্ত
করে আইনের আওতায় আনা হবে। তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপকে অনমনীয় অবস্থান থেকে সরে এসে
ছাড় দিতে হবে। তবেই আমরা একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল বিশ্ব ইজতেমা উপহার দিতে পারব। উপদেষ্টা এ সময় বিশ্ব ইজতেমার মাঠে অনাকাঙ্ক্ষিত
ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফেরাত এবং আহতদের আশু আরোগ্য কামনা করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে বৈঠকে
উপস্থিত ছিলেন ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, তথ্য
ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার
প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল আব্দুল হাফিজ
(অব.), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরীসহ
আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
বলেছেন, লেখাপড়া করে মেধার ভিত্তিতে যেমন ডাক্তার, প্রকৌশলী, অর্কিটেক্ট হতে হবে তেমনি
পেশাদার খেলোয়াড় কিংবা শিল্পী তৈরী করতে হবে। কারণ,একজন পেশাদার খেলোয়াড় কিংবা শিল্পীও
তার পেশার মাধ্যমে পরিবারকে সাহায্য করতে পারেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) লালমনিরহাটের
বড়বাড়ীতে শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে ‘শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪’র ফাইনাল ম্যাচে লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল
প্লাটফর্মে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। এটি ছিল ‘শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল
টুর্নামেন্ট’র
৬ষ্ঠ তম আসর।
তারেক রহমান বলেন, দেশের মানুষ স্বৈরাচার
বিদায় করেছে। এখন দেশ গড়ার পালা। এ প্রত্যয় নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এজন্য আমাদের
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশ গড়তে আমরা ৩১ দফা দিয়েছি। দেশকে নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র
হচ্ছে। আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
আগামীদিনে পেশাদার খেলোয়াড় তৈরী করতে
হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর পাশপাশি ভাল সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও শিল্পী তৈরির কাজ
করতে হবে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে জনপ্রিয় খেলাগুলো বাছাই করে আমরা দেশের তরুণ সমাজের
মধ্যে থেকে আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় তৈরি করবো। বাইরের দেশের খেলোয়াড়ের উপর নির্ভরশীলতা
কমাতে হবে। সবকিছু হবে সরকারিভাবে।
এ প্রসঙ্গে, উদাহরণ হিসেবে শহিদ জিয়ার
আমলের ‘নতুন কুড়ি’
অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ওই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভাল সাংস্কৃতিক
ব্যক্তিত্ব এবং ভাল শিল্পী বের করে আনা। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী
বেবী নাজনীন ‘নতুন কুড়ি’-ই
ফসল।
তিনি বলেন, ‘ঠিক একইভাবে ভাল খেলোয়াড়
বের করে আনতে আমাদেরকে ৮ থেকে ১০ টি খেলা পছন্দ করে এসব খেলার ওপর জোর গুরুত্ব দিতে
হবে। যিনি যে ধরণের খেলায় ভাল করবেন, তাদেরকে সেই খেলায় পারদর্শী করে তুলতে হবে। যাতে
করে আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলোতে আমাদের খোলোয়াড়রাও ভাল ফলাফল বয়ে আনতে পারে।’
বিএনপি’ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যার বলেন,‘জনগণের ভোটে যদি ক্ষমতায় আসতে
পারি তাহলে আমরা সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাজের সাথে-সাথে খেলাধুলা
ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের ওপরও জোর দেব। মেধাবী ডাক্তার, প্রকৌশলী, আর্কিটেক্ট বানানোর
পাশাপাশি ভালো রাজনীতিবিদ, ভালো খেলোয়াড় ও শিল্পী তৈরী করতে পারি সেই চেষ্টা করবো।
তারেক রহমান আরও বলেন, যে ব্যক্তি যে
বিষয়ে মেধাবী, তার মেধাকে মূল্যায়ন করে সেই বিষয়ে দক্ষ করে তোলা হবে। সবাইকে নিয়ে নতুন
বাংলাদেশ তৈরি করবে বিএনপি।
‘আমরা যদি বিভিন্ন খেলায় পেশাদার খেলোয়াড়
এবং ভালো সাংস্কৃতিক কর্মী ও শিল্পী তৈরী করতে পারি’ তাহলে ওইসব ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হবে বলেও
তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, লালমনিরহাটের বড়বাড়ি শহীদ
আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে গত ১২ নভেম্বর শুরু হয় শহীদ জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট। বিএনপির
রংপুর বিভাগের ১০টি সাংগঠনিক দল এতে অংশগ্রহণ করে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় পঞ্চগড় বিএনপি
একাদশ ও রংপুর মহানগর বিএনপি একাদশ’র
মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। টাইব্রেকারে এক শূন্য গোলে পঞ্চগড় জেলা বিএনপি একাদশ
বিজয় লাভ করে।
‘শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪’র ফাইনাল ম্যাচ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি’র
জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস। অনুষ্ঠানে
সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র
রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পদক আসাদুল হাবিব দুলু।
অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী
এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা ফরহাদ হোসেন আজাদ ও ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান অনুষ্ঠানে
বক্তৃতা করেন ।
মন্তব্য করুন
বেসামরিক বিমান পর্যটন ও ভূমি উপদেষ্টা
এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে আনুষ্ঠানিকভাবে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।
আজ রবিবার (২২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার
কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পরিষদের এক বিশেষ সভায় এই শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়।
বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সভায় শোক প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা সর্বসম্মতভাবে গৃহিত হয়।
সভায় রিজওয়ানা হাসান জানান, আগামীকাল
সকাল সাড়ে দশটায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি হামিদুর রহমানের
কবরের পাশে হাসান আরিফকে সমাহিত করা হবে।
সভার শুরুতে উপদেষ্টা হাসান আরিফের
মৃত্যুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ
অন্য উপদেষ্টারা হাসান আরিফের স্মৃতিচারণ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, আজ ছোট ছোট অনেক কথাই মনে পড়ছে, তিনি সবসময় আমাকে মনে করিয়ে দিতেন- আমরা
কিন্তু সমবয়সী। শিশুর মতো সরল ব্যবহার ছিল তার। যতরকম সমস্যা দেখা দিয়েছে, যেখানে কোনো
কোন্দল দেখেছেন, তিনি হাজির হয়েছেন তার সমাধানে। এ এক অপূর্ব লোক, আমাদের মাঝ থেকে
চলে গেলেন।
অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন
আহমেদ বলেন, হাসান আরিফ ছিলেন একজন বিরল ব্যক্তিত্ব এবং সদা হাস্যময়।
অতীতের কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে
পাট বস্ত্র ও নৌপরিবহণ উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ব্যক্তিগতভাবে হাসান আরিফের
মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত।
সমাজকল্যাণ এবং নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ বলেন, এখানে কাজ করতে এসে উনার সঙ্গে একটা সুন্দর সম্পর্ক গড়ে
উঠেছিলো। উনি আমাদের জন্য ছিলেন এক ইতিবাচক প্রেরণা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা
আখতার বলেন, আজকে আমাদের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আমরা হাসান আরিফকে মিস করছি। উনাকে
ছাড়া আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান
খান আইনজীবী হিসেবে হাসান আরিফের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, উনি ছিলেন
মানবাধিকার রক্ষায় সব সময় সোচ্চার।
সভায় আদিলুর রহমান জানান, মানবাধিকার
সংগঠন অধিকারের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি হিসেবেও কাজ করেছেন হাসান আরিফ।
আইন ও বিচার এবং প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা
আসিফ নজরুল বলেন, হাসান আরিফ ছিলেন একজন কর্মনিষ্ঠ ও পরিশ্রমী মানুষ। সবগুলো নথি তিনি
খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন,
হাসান আরিফ কখনো কোনো কাজকে কম গুরুত্বের সঙ্গে নিতেন না।
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর
আলম চৌধুরী বলেন, হাসান আরিফ ছিলেন অমায়িক এক মানুষ, যেকোনো সমস্যা উনার সঙ্গে আলোচনা
করে সমাধান করা যেত।
জ্বালানি ও সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা মুহাম্মদ
ফাওজুল কবির খান বলেন, আমাদের সমাজে বিভেদ অনেক বেশি। এই বিভেদ জোড়া লাগানোর মানুষ
আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। সর্ব মহলে উনার গ্রহণযোগ্যতা ছিল।
১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি
চুক্তি স্বাক্ষরের সময় হাসান আরিফের ভূমিকা স্মরণ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, উনি পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষদের নিয়ে অনেক ভাবতেন। তাঁর মৃত্যুতে
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হলো পার্বত্য অঞ্চলের মানুষদের।
স্থানীয় সরকার ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ
মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে এসে হাসান আরিফকে চিনেছি, উনাকে সব সময় শিক্ষকের
মতো পাশে পেয়েছি।
তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, উনার
সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে একবারও আমাদের বয়সের পার্থক্য বুঝতে পারিনি। তিনি সবার সঙ্গে আন্তরিকভাবে
মিশতেন।
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন,
২০০৮ সালে অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন আয়োজনে আন্তরিকভাবে কাজ করতে দেখেছি উনাকে। এবারও
উনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী পরিষদ
সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, বেসামরিক বিমান সচিব নাসরীন জাহান, ভূমি সচিব এ এস এম সালেহ
আহমেদ।
মন্তব্য করুন
আজ (৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামে যাবেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক
হাসনাত আবদুল্লাহ এবং মুন্সিগঞ্জ যাবেন সমন্বয়ক সারজিস আলম।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তারা এ তথ্য জানান।
গতকাল সমন্বয়ক ফেসবুকে হাসনাত আবদুল্লাহ
জানান, প্রিয় চট্টগ্রামবাসী! আগামীকাল (রোববার) ৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলনের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সফর। এ সফরের অংশ হিসেবে আমাদের একটি সমন্বয়ক
টিম প্রত্যেকটি জেলার অভ্যুত্থান ঘটানো ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করবে।
সফরের প্রথম জেলা হিসেবে আগামীকাল চট্টগ্রামে দুটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। ছাত্র-জনতার
সঙ্গে মতবিনিময় নিয়ে প্রথম সভাটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।
একইদিনে ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময়
নিয়ে দ্বিতীয় সভাটি চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘির ময়দানে বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।
রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ ছাত্র-জনতার সঙ্গে আগামীকাল দেখা হবে, ইনশাআল্লাহ।
মুন্সিগঞ্জে’শিরোনামে আরেকটি স্ট্যাটাস
দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
তিনি ফেসবুকে লেখেন, আগামীকাল রোববার
(৮ আগস্ট) থেকে শুরু হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সফর।
যেখানে আমাদের একটি সমন্বয়ক টিম প্রত্যেকটি জেলার অভ্যুত্থান ঘটানো ছাত্র-জনতার সঙ্গে
মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করবে। ঢাকা বিভাগীয় সফরের প্রথম জেলা হিসেবে আগামীকাল মুন্সিগঞ্জে
সেই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময়
সভা হবে মুন্সিগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে বিকেল ৩টায়। রক্তের বন্ধনে
আবদ্ধ ছাত্র-জনতার সঙ্গে আগামীকাল দেখা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে মজুরি ঘোষণা করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।
পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী, আট হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি পাচ্ছিলেন পোশাকশ্রমিকরা। আগের তুলনায় ন্যূনতম মজুরি বেড়েছে সাড়ে ৪ হাজার টাকা।
আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মালিক ও শ্রমিক পক্ষ এবং নিরপক্ষ প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্রুত নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন শ্রমজীবী মানুষ আন্দোলন করে আসছেন মজুরি বাড়ানোর জন্য। মালিক ও শ্রমিকপক্ষকে নিয়ে মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আলাপ-আলোচনার মধ্যদিয়ে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।মজুরির যদি কোনো তারতম্য হয়ে যায় আমরা শেষ সম্বল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বারস্থ হই সবসময়। উনার মৌখিক নির্দেশে আজকে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ঘোষণা করছি।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের রেশনের দাবি আছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একটি পরিবারের জন্য একটি ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যেই নির্ধারিত থাকবে যতগুলো সদস্য কার্ডটি ব্যবস্থা করতে পারবে। পরবর্তীতে এ কার্ডের মাধ্যমে রেশনিং ব্যবস্থা চালুর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।এখানে শ্রমজীবী মানুষ ও রাষ্ট্রের স্বার্থ আছে। শিল্প বাঁচলে শ্রমিক বাঁচবে। শ্রমিকের সঙ্গে শিল্পও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। উভয়দিক লক্ষ্য রেখেই মজুরি ঘোষণা করা হচ্ছে।
মজুরি ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়বে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আট হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বহাল আছে।
আন্দোলন-অবরোধের কারণে শিল্পাঞ্চলের বাড়িভাড়া মওকুফের জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বরের বেতন নতুন বেতনের আলোকে হবে। গেজেট এখনই করতে দেবে, কোনো সংশোধন থাকলে ১৪ দিনের মধ্যে করবে।
মজুরি ঘোষণার সময় নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তৌফিকুল আরিফ, বিকেএমইএ'র সভাপতি সেলিম ওসমান, বিজিএমইএ'র সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, শ্রমিক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
চালু হয়েছে ‘হেলিকপ্টার রেস্তোরাঁ’। স্থানীয় কাঁচামাল দিয়ে অবিকল হেলিকপ্টার তৈরি করেছেন স্থানীয় ওয়ার্কশপ মিস্ত্রি মো. মেহেদী হাসান ও তার বন্ধুরা।
তার এই হেলিকপ্টারে বসে পাখা ঘোরা অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মুখরোচক খাবারের স্বাদ নিতে পারবেন ভোজনরসিকেরা।
মহান বিজয় দিবসে পটুয়াখালীর ঝাউতলায় শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ‘হেলিকপ্টার রেস্তোরাঁ’র উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ও পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ। উদ্বোধনের পরপরই বহুল আলোচিত রেস্তোরাঁটি দেখতে এর খাবারের স্বাদ নিতে ভিড় জমান স্থানীয়রা।
জানা যায়, পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন ছোটবিঘাই ইউনিয়নের কাজীর হাট বাজারের ওয়ার্কশপমিস্ত্রি মো. মেহেদী হাসান ও তার দুই বন্ধু আরিফ ও আল-আমিন প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ করে নিজেদের ওয়ার্কশপে দীর্ঘ ৭ মাসের প্রচেষ্টায় নির্মাণ করেন হেলিকপ্টারের আদলে এই রেস্তোরাঁটি।
তবে প্রতিকূল পরিবেশেই রেস্তোরাঁটি নির্মাণ করেছিলেন এ তিন যুবক।
মেহেদী হাসান বলেন, যখন এটির পরিকল্পনা করি তখন পরিবার সম্মতি দেয়নি। প্রতিবেশীরা অনেকেই আমাকে পাগল বলেছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে এবং একটু একটু করে যখন কাজীর হাট বাজারের একটি মাঠে হেলিকপ্টারটি বানাতে ও আকৃতি দিতে শুরু করি, তখনই চারিদিকে সাড়া পড়ে যায়।
হেলিকপ্টারটির ভেতরে ২১ জনের আরাম করে বসার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে থাকবে নানা ধরনের খাবারের আইটেম। তিনি এই রেস্তোরাঁ নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় যাবেন এবং মানুষকে খাবার পরিবেশন করবেন। শহরের ঝাউতলা চার লেন সড়কে মেহেদীর এই ‘হেলিকপ্টার রেস্তোরাঁ’ দেখতে শত শত মানুষ ভিড় করছে নিয়মিতই।
মেহেদীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন, তিনি তার এই রেস্তোরাঁকে নিয়ে সারা দেশ ঘুরে বেড়াবেন। দেশের সব জেলার মানুষ যেন তার এই রেস্তোরাঁকে দেখেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী ও শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন বলেন, একজন ওয়ার্কশপমিস্ত্রি যে এত সুন্দর করে সত্যিকারের হেলিকপ্টারের মতোই দেখতে একটি হেলিকপ্টার রেস্তোরাঁ বানিয়েছে - এতে আমরা অবাক হয়ে গেছি। মেহেদীর এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।
পটুয়াখালী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ও পটুয়াখালী পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মেহেদীর মতো এমন উদ্যোক্তাই আমরা চাই। এটি পটুয়াখালীর জন্য একটি গর্বের বিষয়। মেহেদীকে সব ধরনের সহযোগিতা আমরা অব্যাহত রাখব।
মন্তব্য করুন
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বনভূমিতে গারোদের অধিকার সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার।
আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে গারো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ফসল কাটার উৎসব ‘ওয়ানগালা’ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বনবাসীদের সাথে বন বিভাগের দ্বন্দ্ব নিরসনে কাজ করা হবে। এলক্ষ্যে সামাজিক বনায়ন বিধিমালার প্রয়োজনীয় সংশোধনের কাজ চলছে। গারোদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আদিবাসী পরিষদ কাজ শুরু করেছে। মধুপুর বনের বিরোধপূর্ণ সীমানা চিহ্নিত করতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। স্থানীয় উন্নয়ন কার্যক্রমে বনবাসীদের বাইরে রেখে কিছু করা হবে না। বালু দস্যু ও পাথর খেকোদের বিরুদ্ধে ভূমি ও পানি মন্ত্রণালয় একসাথে কাজ করবে। ওয়ানগালা গারো সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিশেষ প্রতীক। এটি আমাদের সমাজে সম্প্রীতির শক্তি বাড়ায়। ওয়ানগালা প্রকৃতি ও মানবসমাজের সম্পর্কের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ফসল কাটার এই সময় প্রকৃতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মুহূর্ত। আমাদের সকলের উচিত পরিবেশ সুরক্ষায় গারোদের মতো প্রাকৃতিক সম্পদের যত্ন নেয়া।
ঢাকা ওয়ানগালা ২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠানে নকমা সীমান্ত চিসিম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এনবিআর সদস্য ফজলুল হক, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য) নাফরিজা শায়মা, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, কবি ও গবেষক পরাগ রিচিল, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি রেজিস্ট্রার মো. শাকির হোসেন, কারিতাস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট এর পরিচালক থিওফিল নকরেক, উন্নয়ন গবেষক ড. বাপন মানখিন, বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল ও কলেজ অধ্যক্ষ ড. মশিউর রহমান, দ্য ক্রিশ্চিয়ান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন সভাপতি হেমন্টো করায়া প্রমুখ।
পরে উপদেষ্টা ওয়ানগালা উপলক্ষে প্রকাশিত বিশেষ ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করেন।
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠেয় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে মিশর।
বাংলাদেশে মিশরের রাষ্টদূত ওমর মোহি আলদিন আহমেদ ফাহমি বুধবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়।
মিশর আয়োজিত অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশনের এই শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, ইরান, পাকিস্তান ও তুরস্কসহ ৮টি উন্নয়নশীল দেশের শীর্ষ নেতাদের একত্রিত করবে।
১৯৯৭ সালের ১৫ জুন ইস্তাম্বুল ঘোষণার মাধ্যমে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে ডি-৮ গ্রুপটি যাত্রা শুরু করে।
ডি-৮ এর প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল বিশ্ব অর্থনীতিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অবস্থানকে শক্তিশালী করা, বাণিজ্যের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা, আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং সদস্য দেশগুলোর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ইত্যাদি।
রাষ্ট্রদূত ফাহমি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় মিশরের চলমান সমর্থন পূর্ণব্যক্ত করে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে জাতির অব্যাহত অগ্রগতির প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন।
ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য বৈচিত্র্য ও উদ্ভাবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে আলোকপাত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া, সদস্য দেশগুলো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং পারস্পরিক প্রবৃদ্ধি উৎসাহিত করতে একসঙ্গে কাজ করবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) লিখিত পরীক্ষায় ২ হাজার ৫৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ফল প্রকাশ করে বলা হয়, আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) লিখিত পরীক্ষা গত ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ২ হাজার ৫৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এছাড়াও তৃতীয় পরীক্ষকের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রাখা হয়েছে ৩৪৫ জনকে।
উত্তীর্ণ প্রার্থীদের এখন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি পরে জানানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে সনদ পেতে তিন ধাপে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।
প্রথমত, আইনের উপর স্নাতক উত্তীর্ণের পরপরই আইনজীবী হিসেবে ন্যূনতম ১০ বছর পেশায় রয়েছেন এমন একজন সিনিয়রের অধীনে ইন্টিমেশন জমা দিতে হয়।
দ্বিতীয়ত, ইন্টিমেশন জমা দেওয়ার পর ছয় মাস অতিক্রম হলে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পূর্ণ করে এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়।
এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা লিখিত পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পান।
আর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভ করেন।
সবশেষে সনদ লাভের পর সংশ্লিষ্ট জেলা বার এ যোগদানের মধ্য দিয়ে আইন পেশা শুরু করতে পারেন।
আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।
মন্তব্য করুন