কুমিল্লায় দালাল চক্রের সাত সদস্যকে
আটক করেছে সেনাবাহিনী। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে দেবিদ্বার
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান
আদালতের মাধ্যমে তাদের তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)
ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন, ছোট
আলমপুরের এরশাদ মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন, একই গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ মিয়ার মেয়ে নাছিমা
আক্তার, বারুর গ্রামের মৃত ঈসমাইল মিয়ার ছেলে আব্দুল জলিল মিয়া, বারেরা গ্রামের সুলতান
আলীর ছেলে মো. জাকির হোসেন, ওয়াহেদপুর গ্রামের আবুল কাশেম মিয়ার মেয়ে শাহেনা আক্তার,
একই গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. বুলবুল এবং রসুলপুর গ্রামের জিয়াখানের মেয়ে
ফাতেমা আক্তার।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে,
আটক দালাল চক্রের সাত সদস্য রোগীদের ভুল বুঝিয়ে হাসপাতাল থেকে বাইরের বিভিন্ন বেসরকারি
হাসপাতালে নিয়ে যেতেন অপরদিকে হাসপাতালে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ থাকার পরও
তারা বেসরকারি হাসপাতালে উচ্চ মূল্যে পরীক্ষা নিরিক্ষা করাতে বাধ্য করতেন। রোগীরা চিকিৎসা
করাতে রাজী না হলে হয়রানি করতেন চক্রের সদস্যরা।
দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)
ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, দালালেরা সরকারি হাসপাতাল
থেকে তাঁদের কমিশন ভিত্তিক বিভিন্ন ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিচ্ছেন
এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালিয়ে চক্রের সাত সদস্যকে আটক করে।
পরে আটক সাতজনকে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার
কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আলী এহসান বলেন, দালাল চক্রের শতাধিক সদস্য হাসপাতালের স্বাভাবিক
স্বাস্থ্যসেবায় ব্যাহত করছে। তারা দূর থেকে আসা সাধারণ রোগীদের কম টাকায় ভালো চিকিৎসা
দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে সরকারি হাসপাতাল থেকে বাহিরের বিভিন্ন ক্লিনিকে
নিয়ে যায়। এতে সাধারণ রোগীরা ভালো চিকিৎসা পাওয়ার বদলে প্রতারিত হচ্ছেন। ওই দালাল চক্রের
সাত সদস্যকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় কলেজ শিক্ষার্থীকে রাস্তা
থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী মোঃ সাকিব আহম্মেদকে গ্রেফতার করেছে
র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ২০ থেকে
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী থানাধীন মেম্বার
বাড়ীতে কলেজ শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষার্থীর পিতা
বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১ টি মামলা
দায়ের করেন। (যার মামলা নং-২৪, তারিখ-৩০/০৯/২০২৪)।
উক্ত ঘটনায়
জড়িত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায়
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১১ এর অভিযানে
আজ (৫ অক্টোবর) ভোর রাতে নরসিংদী জেলার পলাশ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষক
মোঃ সাকিব আহম্মেদকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো- কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার হাসনাবাদ এলাকার মোঃ রিপন মিয়ার ছেলে মোঃ
সাকিব আহম্মেদ (২৪)।
স্থানীয় সূত্রে
জানা যায়, শিক্ষার্থীর পিতা একজন ব্যবসায়ী। দাউদকান্দি উপজেলার
স্থানীয় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণীতে অধ্যায়নরত ছিল ওই শিক্ষার্থী। কলেজে
যাওয়া আসার সময় গ্রেফতারকৃত আসামী সাকিবের সাথে পরিচয় হয়। এরই প্রেক্ষিতে সাকিব ওই
শিক্ষার্থীকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিবাহের প্রস্তাব
দেয়। উক্ত প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে আসামী সাকিব তাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধামকি সহ অপহরণের
ভয় দেখায় এবং গতিবিধি অনুসরণ করতে থাকে। পরবর্তীতে গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ
আনুমানিক ৯ টায় ওই শিক্ষার্থী কিছু জিনিস কেনার জন্য কুমিল্লা জেলার
দাউদকান্দি থানাধীন হাসনাবাদ এলাকায় পৌছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা আসামী সাকিব ও তার
সহযোগীরা ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মাইক্রোবাস যোগে গাজীপুর
জেলার কোনাবাড়ী থানাধীন মেম্বারবাড়ীতে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব থেকে আসামী সাকিব একটি
রুম ভাড়া করে রাখে এবং গত ২০/০৯/২০২৪ তারিখ হতে ২৭/০৯/২০২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন
সময় ওই শিক্ষার্থীকে ঐ ভাড়া বাসায় আটকে রেখে তার ইচ্ছার
বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে আসামী সাকিব ঐ বাসা থেকে পলায়ন করে আত্নগোপনে
চলে যায় এবং ওই শিক্ষার্থী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার বাসায় যোগাযোগ
করলে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে।
র্যাব জানান,
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী ধর্ষণের ঘটনার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে
তথ্য প্রদান করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীকে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানায়
হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর আয়োজনে শিক্ষকদের নিয়ে ' সিলেক্টেড কোয়ালিটেটিভ রিসার্চ মেথডস' শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর ) দুপুর সাড়ে ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল রুমে প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়।
প্রধান অতিথি ও কর্মশালার প্রশিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করা জরুরি। সেটা ব্যক্তিগত সম্পর্কে হোক, যৌথ গবেষণা বা সাহায্যের মাধ্যমেই হোক আমাদের মধ্যকার সম্পর্ক শক্তিশালী করা দরকার। অর্থাৎ আমাদের রিজিওনাল পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পর্ক তৈরি করা জরুরি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ওভারঅল র্যাংকিং-এ টিকে থাকার প্রধান উপায় হচ্ছে পরস্পরকে সাহায্য করা। এটার জন্য আপনাকে আমার দরকার, আমাকে আপনার দরকার। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগটা সবসময় থাকবে।
বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, কোয়ানটিটেটিভ রিসার্চ করতে এআই অনেক এগিয়ে গেছে। তাই কোয়ালিটেটিভ রিসার্চে হিউমেন ইনভলবমেন্টা বেশি জরুরি। হিউম্যান বিষয়বস্তুগুলো আইডেন্টিফাই করে সেগুলো যথাযথ বিশ্লেষণ করা জরুরি। সেজন্য আমাদের আজকের সেশনটি খুবই দরকারি।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, 'রিসার্চ করার ক্ষেত্রে আমরা কোয়ালিটেটিভ রিসার্চই বেশি করি। কোয়ালিটেটিভ রিসার্চের মাধ্যমে মানুষের চিন্তাভাবনা, মনোভাব, সমাজব্যবস্থা এবং সামাজিক বাস্তবতা বিষয়গুলো খুব সহজে বের করে আনা যায়, কিন্তু কোয়ান্টিটিভ রিসার্চে মানুষ ডাটা কালেকশনে সাপোর্ট কম দেয়। বর্তমান সময়ে মিক্সড মেথডটা খুব জনপ্রিয়। কিন্তু আমাদের কোয়ালিটেটিভ রিসার্চের ডাটা কালেকশন এবং এনালাইসিস এ গ্যাপ রয়েছে। আজকের সেশন করার পর আমরা আরও উদ্বুদ্ধ হবো।'
কর্মশালা অনুষ্ঠানের সভাপতি ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এখন থেকে শিক্ষক নিয়োগের পর তাকে আগে এক সপ্তাহব্যাপী টিচিং এন্ড লার্নিং প্রশিক্ষণ নিতে হবে, যেখানে শিক্ষকতা ন্যূনতম নিয়ম-কানুন শিখানো হবে। এছাড়া একাডেমিক অনেষ্টি সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়া হবে। তারপর ক্লাসে যাবেন। আজকের কোয়ালিটেটিভ রিসার্চের এই সেশনের সাকসেস কামনা করছি এবং যারা অংশগ্রহণ করেছেন আশা করি সবাই ভালোকিছু শিখতে পারবেন।'
কর্মশালায় কো-অর্ডিনেটর হিসেবে ছিলেন আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. খলিফা মোহাম্মদ হেলাল। এছাড়াও বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টর, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের
কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে নগরীর শাসনগাছা এলাকায় অবস্থিত বাদশা মিয়ার বাজারে
নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) উক্ত অভিযানে
২টি দোকানকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং প্রায় ২০১ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং
ব্যাগ জব্দ করা হয়।
অভিযানটি পরিচালনা করেন, কুমিল্লা জেলা
প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার শ্রী রতন কুমার দত্ত। কোর্টে প্রসিকিউশন প্রদান
করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক চন্দন বিশ্বাস এবং পরিদর্শক
জোবায়ের হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট মোঃ রায়হান মোর্শেদ, নমুনা সংগ্রহকারী মোঃ মোবারক হোসেন এবং জেলা পুলিশ সদস্যরা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার তিন উপজেলার পৃথক স্থান থেকে বীমা কর্মীসহ ৩ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আবাসিক ড্রিম হোটেল থেকে এক বীমা কর্মী এবং রবিবার
রাতে সদর দক্ষিন ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা থেকে এক নারীসহ আরো
দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত
করেন।
লাকসাম থানা পুলিশ ও স্থানীয়
সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আবাসিক ড্রিম হোটেল থেকে আলতাফ হোসেন (৩৭) নামের এক ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি প্রগতি ইন্সুরেন্সের রায়পুর শাখার ইনচার্জ ও হিসাবরক্ষক হিসেবে চাকরি করতেন। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুরে সদর উপজেলার ষোলনল শাকচর গ্ৰামে।
অন্যদিকে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বান্দুয়াইন গ্রামের সড়কের পাশে স্থানীয় কমলা বেগম (৫৫) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার বান্দুয়াইন গ্রামের মৃত আয়ুব আলীর স্ত্রী। রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বান্দুইয়ান গ্রামের সড়কের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার জেলখানা বাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের একটি খাল থেকে অজ্ঞাতনামা এ পুরুষের ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
‘বেতার ও জলবায়ূ পরিবর্তন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুমিল্লায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে বিশ্ব বেতার দিবস ২০২৫। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার কুমিল্লার কেন্দ্রে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান ও বিনামূলে মেডিক্যাল ক্যাম্প সহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লার লালমাইয়ে বাংলাদেশ বেতার কুমিল্লার কেন্দ্রের আঙ্গিণা থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বেতার কেন্দ্রের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ বেতার কুমিল্লার কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক নিতাই কুমার ভট্টাচার্য।
পরে বেতার কেন্দ্রের মিলনায়তনে কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক নিতাই কুমার ভট্টাচার্য এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা কেন্দ্রের উপ-আঞ্চলিক পরিচালক মাহফুজার রহমান, উপ-বার্তা নিয়ন্ত্রক তাপস চন্দ্র বোস, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগর শাখার আহবায়ক আবু রায়হান, ও সদস্য সচিব রাশেদুল হাসান সহ অন্যান্যরা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার কাবিলা বাজারে অভিযান চালিয়ে প্রায় তিন কোটি আট লাখ আট হাজার টাকার ভারতীয় অবৈধ আতশবাজি আটক করেছে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)।
আজ
শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম জাহিদ পারভেজ।
বিজিবি সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৩ মার্চ রাত থেকে ১৪ মার্চ ভোর ৫টা পর্যন্ত কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাবিলা বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান চালানো হয়। কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) রতন কুমার দত্ত-এর উপস্থিতিতে বিজিবি ও র্যাব সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টাস্কফোর্স এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মালিকবিহীন অবস্থায় ১৪ লাখ ১৫ হাজার ৪০০টি ভারতীয় অবৈধ আতশবাজি এবং একটি ট্রাক জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় তিন কোটি আট লাখ আট হাজার টাকা।
বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম জাহিদ পারভেজ জানান, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধসহ আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)। এরই অংশ হিসেবে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযানে এসব অবৈধ মালামাল জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত পণ্য বিধি মোতাবেক কাস্টমসে জমা দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা সীমান্তে পৃথক অভিযান চালিয়ে ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) ১ কোটি ২২ লাখ ২ হাজার টাকার ভারতীয় অবৈধ চোরাচালান পণ্য উদ্ধার করেছে। শনিবার দুপুরে জেলার চৌদ্দগ্রাম সীমান্ত থেকে এসব পণ্য উদ্ধার করা হয়। এ সময় বিজিবি ভারতীয় বাজি ও চিংড়ি মাছের রেণুসহ একটি ট্রাক আটক করেছে।
আজ শনিবার দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) তাদের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধসহ আন্তঃ সীমান্ত অপরাধ দমনে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। শনিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আওতাধীন শিবের বাজার বিওপি’র বিশেষ টহলদল দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে সীমান্তের ৫ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিজিবি টহল দল কর্তৃক মালিকবিহীন অবস্থায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪’শ পিস বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় বাজি এবং ৪২ ড্রাম চিংড়ি মাছের রেণুসহ একটি ট্রাক আটক করা হয়। যার মূল্য ১ কোটি ২২ লাখ ২ হাজার টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে। জব্দকৃত মালামাল বিধি মোতাবেক কাস্টমসে জমা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা নগরীর
রাজগঞ্জ বাজার এলাকায় "সাহা মেডিকেল হলে" রোগীর কাছে ৯ টাকার (MRP)
একটি ওষুধ ৮০ টাকায় বিক্রি করায় প্রতিষ্ঠানটিকে
৫০ হাজার টাকা জরিমানা
করেছে ভোক্তা অধিকার।
আজ
রবিবার (১৩ জুলাই) সকালে
অভিযান চালিয়ে সাহা মেডিকেল হলকে একাধিক অনিয়মের অভিযোগে এ জরিমানা করে
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,
কুমিল্লা।
অভিযানে
নেতৃত্বদেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো: কাউছার
মিয়া।
এই
অভিযানে সহযোগিতা করেন জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো: আবুল কালাম আজাদ, অফিস সহকারী
ফরিদা ইয়াসমিন এবং কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি টিম।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে কুমিল্লা মহানগরীর বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে প্রস্তুতিমূলক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁন।
আজ রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার মণ্ডপগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, মণ্ডপে প্রবেশ ও প্রস্থান পথ, সিসি ক্যামেরা স্থাপন, বৈদ্যুতিক সংযোগ ও অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার প্রস্তুতি ঘুরে দেখেন। তিনি পূজা উদযাপন কমিটিকে পুলিশকে সহায়তা করার জন্য দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। স্বেচ্ছাসেবকদেরও সর্বোচ্চ সতর্কতা ও তৎপরতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন তিনি।
পুলিশ সুপার বলেন, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সর্বদা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। পূজাকে ঘিরে কোনো নিরাপত্তার শঙ্কা নেই। তবে গুজব, অপপ্রচার বা উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে সতর্ক থাকতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো তথ্যে প্রতিক্রিয়া না দেখানোর অনুরোধ করছি। তিনি আরও জানান, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যাতে সর্বস্তরের মানুষ শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশে উৎসব উদযাপন করতে পারেন, সে লক্ষ্যে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাশেদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) পংকজ বড়ুয়া, পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা:
বিরোধ হলে শুধু মামলা নয়, লিগ্যাল এইড অফিসে আপোষও হয়" এবং "গরিব দুঃখির মামলার ব্যয়, বাংলাদেশ সরকার দেয়"- এই শ্লোগান সামনে রেখে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে যানবাহনে ষ্টিকার লাগাচ্ছেন কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাহাবুবুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইয়াছির আরাফাত, কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট মোঃ সহিদ উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খন্দকার মিজানুর রহমানসহ কুমিল্লা জজশীপ ও ম্যাজিস্ট্রেসির কর্মরত সকল বিচারকগণ ও জেলা আইনজীবী সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। স্টিকার লাগানো শেষে ২৮ এপ্রিল সোমবার সকালে কুমিল্লা জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি কুমিল্লার আয়োজনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনাসভার মঞ্চের কাজের অগ্রগতি ঘুরে ঘুরে দেখেন কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাহাবুবুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার এফ এম শেফায়েত ছালাম ও ম্যাজিস্ট্রেট ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন সহ কুমিল্লা জজশীপ ও ম্যাজিস্ট্রেসির কর্মরত সকল বিচারকগণ ও জেলা আইনজীবী সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ওই অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বে জেলা জজশীপ ও ম্যাজিস্ট্রেসির সকল বিজ্ঞ বিচারকগন ও জেলা আইনজীবী সমিতির সকল বিজ্ঞ আইনজীবীগণ, অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিচারপ্রার্থী জনসাধারণকে যথাসময়ে উপস্থিতি ও সার্বিক সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করেছেন কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবং কুমিল্লা জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ মাহাবুবুর রহমান।
মন্তব্য করুন