সুজন মজুমদার,বরুড়া:
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ইংরেজি ১ম পত্র
পরীক্ষার দিন তাদের বহিষ্কার করে উপজেলা প্রশাসন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নু এমং মারমা মং। তবে তিনি বহিষ্কার হওয়া পরীক্ষার্থীদের
নাম প্রকাশ করেননি।
বরুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)
নু এমং মারমা মং জানান, বৃহস্পতিবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ৩য় দিন বরুড়া উপজেলার
বরুড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ কেন্দ্র, আড্ডা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্র এবং বরুড়া সুন্নিয়া
কামিল মাদরাসা কেন্দ্র পরিদর্শন করে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় বরুড়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা
কেন্দ্রে ৮ জন পরীক্ষার্থীকে তল্লাশি করে ৮টি মোবাইল ও নকল, শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ
কেন্দ্রে ১ জন পরীক্ষার্থীকে তল্লাশি করে ১টি মোবাইল ও নকল এবং আড্ডা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে
২ জন পরীক্ষার্থীকে তল্লাশি করে মোবাইল ফোন ও নকল পাওয়া যায়। এ সময় নকল ও মোবাইল ফোন
পাওয়া পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা স্থগিত করে তাদের সবাইকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নকলের বিরুদ্ধে জিরো
টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। বরুড়া উপজেলা প্রশাসনের নকল বিরোধী অভিযান সব সময় অব্যাহত
থাকবে। শিক্ষার্থীরা হলে কীভাবে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করল সেটি তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট
কেন্দ্রের শিক্ষক ও সচিবদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধেও
ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার সীমান্ত এলাকা থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভারতীয় সিটিরিজিন হাইড্রোক্লোরাইড ট্যাবলেট আটক করেছে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)।
রোববার দুপুরে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিয়মিত চোরাচালান প্রতিরোধ ও আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনের অংশ হিসেবে ৯ আগস্ট আদর্শ সদর উপজেলার বিবিরবাজার বিওপি’র কটকবাজার পোস্টের বিশেষ টহলদল সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে সীমান্তের প্রায় ৭ কিলোমিটার ভেতরে পালপাড়া এলাকায় মালিকবিহীন অবস্থায় ৩ লাখ ৩১ হাজার ২০০টি অবৈধ ভারতীয় সিটিরিজিন হাইড্রোক্লোরাইড ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। এসব ট্যাবলেটের বাজারমূল্য ৪৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।
জব্দকৃত ট্যাবলেটগুলো বিধি মোতাবেক কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিজিবি জানায়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলায় সাপের কামড়ে তানজিনা আক্তার নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।
তিনি হোমনা উপজেলার গোয়ারি ভাঙ্গা এলাকার আলী আহমেদের স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী।
আজ (২৬ জুন) সকালে তাদের নিজ বাড়িতে বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থায় তানজিনাকে সাপে কাটে। তবে সাপটিক কোন প্রজাতির তা জানাতে পারেনি কেউ।
হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, সাপে কাটা তানজিনাকে এন্টিভেনম দেয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু তার পরিবার সেটি না মেনে তাকে এক কবিরাজের কাছে নিয়ে কাজ না হয় আবার হাসপাতালে ফেরার পথেই তার মৃত্যু হয়।
তানজিনার স্বামী আলী আহমেদ বলেন, সকাল আনুমানিক ৭ টায় নিজ
বাড়ির বিছানাতেই শুয়েছিল তানজিনা। এ
সময় তার বাম পায়ে আঙ্গুলে সাপের ছোবল টের পায়। উঠে খাটের নিচে তাকাতেই কালো রঙের একটি সাপকে চলে যেতে দেখে। পরে
তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে তাকে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ সকাল ৮
টায় নিয়ে যাওয়া হয়। উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঔষধ দেওয়ার পর সেখান থেকে
স্থানীয় এক কবিরাজের কাছে
'পানপড়া' খাওয়ানোর
জন্য নিয়ে গেলে সেখান থেকে তানজিনাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ফেরার
পথে তানজিনার শারীরিক অবস্থা আরো অবনতি ঘটলে তাকে আবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নেয়া হয়। হাসপাতালে
নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। তবে কি সাপে কেটেছে
বলতে পারছিনা। তবে সাপটি কালো রঙের ছিল।
হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রাশেদুল ইসলাম বলেন, সাপে কাটা রোগী তানজিনা আসার পর তাকে অ্যান্টিভেনম এর ডোজ শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু সেটি মাঝামাঝি পর্যায়ে থাকাকালীন সময়ে তার পরিবারের লোকজন তাকে এক কবিরাজের কাছে নিয়ে যাবার জন্য জোরাজুরি করে এবং নিয়ে যায়। পরে শুনেছি তাকে মৃত অবস্থায় আবার হাসপাতালে আনা হয়েছে। সাপটি কি ধরনের সেটি তিনি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারেননি।
তবে তিনি জানান, তানজিনাকে কেটেছে তা বিষধর ছিল।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট সাইফুল ইসলাম বলেন, তানজিনাকে যখন নিয়ে আসে তখন তার শরীরে বিষক্রিয়ার বিভিন্ন উপসর্গও দেখা গেছে। তার চোখের পাতা বারবার পড়ে আসছিল এবং গলা শুকিয়ে আসছিল। চিকিৎসকরা তাকে এন্টিভেনম দেয়ার মাঝামাঝি সময়ে তার পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে যায়। পরে আবার হাসপাতালে আনলে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে একাধিক কাভার্ডভ্যান দুর্ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশের একটি টহল গাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এতে একজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকাল আনুমানিক ৯টা ১৫ মিনিটে দাউদকান্দি থানাধীন পুঠিয়া এলাকায় চট্টগ্রামমুখী লেইনে চলন্ত কাভার্ডভ্যান (নং- চট্টমেট্টো-ট-১১-৮৮৪২)-কে একই দিকে আসা আরেক কাভার্ডভ্যান (নং- চট্টমেট্টো-ট-১১-৪১১৬) পেছন থেকে ধাক্কা দিলে উভয় গাড়ি রাস্তার পাশে নিচে পড়ে যায়।
ঘটনার পর ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের মোবাইল টিম, যার নেতৃত্বে ছিলেন সার্জেন্ট নাদিম, সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেন। ঠিক সেই সময় ঢাকাগামী একটি দ্রুতগামী কাভার্ডভ্যান (নং- ঢাকামেট্টো-ট-২২-৩৫৮১) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুলিশের দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপ ভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে দুইটি যানবাহনই রাস্তার নিচে পড়ে যায় এবং পুলিশের গাড়িটি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ দুর্ঘটনায় পুলিশের গাড়িতে থাকা কনস্টেবল সাগর ইসলাম গুরুতর জখম হন। তাঁর ডান পা ভেঙে গেলে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয় এবং সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কাভার্ডভ্যানের চালককে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে রেকার দিয়ে উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে এবং বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জোনাইদ চৌধুরী জানিয়েছেন, পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত দুটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করতে গেলে অন্য একটি কাভার্ড ভ্যান পুলিশের গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এতে একজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে। গাড়িগুলিকে উদ্ধারসহ এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার দেবিদ্বারে শ্বশুরবাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার হওয়া করিম ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, স্ত্রী তাছলিমা বেগমের পরিকল্পনায় তার তিন ভাই ইসরাফিল, গোলাম হাক্কানী ও মোজাম্মেল হক মিলে করিম ভূঁইয়াকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখেন।
আজ রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, আগের দিন শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার আমলী আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন চার ঘাতক।
পুলিশ জানায়, নিখোঁজের একমাস পাঁচদিন পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের শ্বশুর বাড়ির একটি টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় করিম ভূঁইয়ার (৪৮) গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত করিম ভূঁইয়া উপজেলার বড়শালঘর গ্রামের মন্ত্রীবাড়ি এলাকার মৃত আবুল কাশেম ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি গত ১৩ আগস্ট সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
গ্রেপ্তারদের জবানবন্দী সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট রাতে স্ত্রী তাছলিমা বেগমের পরিকল্পনায় মাদক সেবনের লোভ দেখিয়ে করিমকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নেন শ্যালক ইসরাফিল। সেখানে প্রথমে তিন ভাই মিলে তাকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করেন। এ সময় তার মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় স্ত্রী তাছলিমা সেই রক্ত মুছে ফেলেন। পরে বড় ভাইয়ের বিল্ডিংয়ের টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্কে মরদেহ ফেলে দেওয়ার কথা বলা হয়। তিনি রাজি না হওয়ায় প্রথমে মরদেহ বাড়ির পাশের খালে ফেলে দেওয়া হয়। সকালে মরদেহ ভেসে উঠলে আবারও স্ত্রী এবং ভাইয়েরা মিলে খাল থেকে তুলে এনে হাত-পা বেঁধে বড় ভাইয়ের টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেন।
মরদেহ উদ্ধারের পর নিহতের বড় ভাই আমির হোসেন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় ঘাতক স্ত্রী তাছলিমা বেগম ও তার তিন ভাই ইসরাফিল, গোলাম হাক্কানী ও মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে তারা শনিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল উদ্দিনের আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দেন।
দেবিদ্বার থানার ওসি সামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, স্ত্রী তাছলিমার পরিকল্পনায় মাদক সেবনের লোভ দেখিয়ে ভালো ব্যবহার করে ডেকে নিয়ে তিন ভাইসহ চারজনে মিলে করিম ভূঁইয়াকে হত্যা করে। নিহতের ভাই আমির হোসেন থানায় সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে। পরে সন্দেহভাজন আসামিদের ওপর নজরদারি ও গ্রেপ্তারের ভিত্তিতেই মরদেহ উদ্ধার এবং হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়। নিহত করিম ভুইয়া প্রায় স্ত্রী তাছলিমা বেগম ও মেয়েকে পাশবিক নির্যাতন করতেন। এতে তারা অতিষ্ঠ হয়ে এ হত্যাকান্ডটি ঘটায়।
মন্তব্য করুন
কৃষিতে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেয়ার
জন্য ২০১৯ সালের নীতিমালা অনুযায়ী কৃষি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে
সিআইপি'র সমমর্যাদায় Agricultural Important
Person এআইপি প্রবর্তন করেন সরকার।
২০২১ সালের এআইপি খেতাবে
ভূষিত হয়েছেন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার
আদমপুর গ্রামের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার প্রাপ্ত
কৃষি পরিবেশ সমাজ উন্নয়ন সংগঠক, অধ্যাপক এম এ মতিন (মতিন সৈকত)।
২০২১ সালের পদকটি আগামী ৭
জুলাই ২০২৪ইং তারিখে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে মতিন সৈকত সহ অনান্য এআইপিদের
সন্মাননা সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।
তিনি চার দশক ধরে কৃষি পরিবেশ
সমাজ উন্নয়নে বৈপ্লবিক অবদান রাখছেন। কৃষি উদ্ভাবন জাত/প্রযুক্তি বিভাগে মতিন সৈকত-কে
এআইপি সম্মাননা দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত হয়।
এআইপিগণ সিআইপিদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এর মধ্যে রয়েছে-
মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রশংসাপত্র, বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাশ, বিভিন্ন
জাতীয় অনুষ্ঠানে নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ, বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে ভ্রমণকালীন সরকার
পরিচালিত গণপরিবহনে আসন সংরক্ষণ অগ্রাধিকার, ব্যবসা/দাফতরিক কাজে বিদেশে ভ্রমণের জন্য
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসা প্রাপ্তির নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ্য করে
Letter of Introduction ইস্যু করবে, নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সরকারি
হাসপাতালের কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার এবং বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার
সুবিধা পাবেন।
মতিন সৈকত একজন বহুমুখী সৃজনশীল
উদ্ভাবক-উদ্যোক্তা। সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি
স্বরূপ তিনি ১৯৮৭ সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতির
অভিনন্দন পত্র পেয়েছেন। পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ব্যাবহার এবং সম্প্রসারণে
অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১০ এবং ২০১৭ সালে মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী মতিন সৈকত-কে দুইবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক এবং পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যাক্তিগত ক্যাটাগরিতে
২০২১ সালে জাতীয় পরিবেশ পদক প্রদান করেন।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে
মতিন সৈকত ছয়বার সরকারিভাবে চট্টগ্রাম বিভাগে শীর্ষ স্থান অর্জন করেন। বিষমুক্ত ফসল,
নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে মতিন সৈকত নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।
বেকারত্ব দূরীকরণ, কর্মসংস্থান
সৃষ্টিতে সমবায় ভিত্তিতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মতিন সৈকত সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে গড়ে তুলেন
আপুসি, আপুবি, বিসমিল্লাহ, আদমপুর আদর্শ মৎস্য চাষ প্রকল্প।
প্লাবন ভূমিতে মৎস্য চাষে
দাউদকান্দি মডেল এবং নিরাপদ খাদ্য উপজেলা দাউদকান্দি মডেলের অন্যতম অংশীজন তিনি। সারাদেশে
বোরোধান উৎপাদন করতে সেচের পানির জন্য কৃষককে যখন ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা বিঘাপ্রতি সেচ
খরচ দিতে হয়। সেখানে মতিন সৈকত বিঘাপ্রতি এককালীন
মৌসুমব্যাপী মাত্র দুইশ টাকার বিনিময়ে ত্রিশ বছর যাবত বোরোধান লাগানো থেকে পাকা ধান
কাটা পর্যন্ত যার যতোবার সেচের পানির প্রয়োজন ততোবারই সেচের পানি সরবরাহ করে জাতীয়
দৃষ্টান্ত স্হাপন করেন।
বোরোধানের জমিতে ধান উৎপাদনের
পাশাপাশি মৎস্য চাষ করে বিঘাপ্রতি ১০/ ১৫ হাজার
টাকা মুনাফা পাচ্ছেন কৃষক। মতিন সৈকতের দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে সরকার কালাডুমুর নদী পূনঃখনন
করে দিয়েছেন।
এছাড়া মতিন সৈকত খাল-নদী
পূনঃখনন জলাভূমি সংরক্ষণ, বন্যপ্রাণী, পাখি
প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কাজ করছেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা
হয় -
তিনি নিজ এলাকা দাউদকান্দি কুমিল্লায় ২০০৬ সালে ১০,০০০ কৃষক নিয়ে আইপিএম-আইসিএম
ক্লাব গঠন করেন। তার এ উদ্যোগের ফলে ২০১৭ বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) দাউদকান্দি
উপজেলাকে বিষমুক্ত নিরাপদ খাদ্য উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করে। তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ
তিনি ২০১০ ও ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক এবং ২০২১ সালে জাতীয় পরিবেশ পদক পেয়েছেন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা :
কুমিল্লা শাসনগাছা এলাকায় সেনাবাহিনী চেকপোস্ট স্থাপন করে অভিযান পরিচালনাকালে চারটি মোটরবাইক চালককে মামলা দেওয়া হয়। এ সময় তাদের ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও ১৫ টি মোটরসাইকেল,
একটি মারুতি এবং একটি প্রাইভেট কারের কাগজপত্র না থাকার কারণে জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে
নেওয়া হয়েছে।
সমাজসেবা (ব্যাটালিয়ন সদর) সেনাবাহিনী ক্যাম্প শাসনগাছা এলাকায় আজ মঙ্গলবার দুপুর ২ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত একটি চেকপোস্ট স্থাপন করে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সেনাবাহিনী ক্যাম্প সূত্র এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা মাধাইয়ায় আদাভর্তী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে আব্দুল খালেক নামে একজন পথচারী নিহত হয়েছে।
ঘটনার পর নিহতের লাশ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায় স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ভোর পাঁচটার দিকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে উপজেলার মাধাইয়া অংশে বাঁশ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবদুল খালেক পার্শ্ববর্তী দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বেতুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিন পেশায় কসাই।
স্থানীয় বাঁশ ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলাম জানান, ভোর পাঁচটার দিকে আবদুল খালেক গরু জবাই করতে মহাসড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আদা ভর্তি একটি ট্রাক ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালেককে চাঁপা দিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় খালেক। এ সময় খবর পেয়ে স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে ট্রাকের নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা সদরের আমড়াতলী ইউনিয়নের উত্তর
রসুলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মানাধীন সেপটিক ট্যাংকিতে পড়ে তিন বছর বয়সী মোছা.
নুরী নামে এক শিশু নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেলে রসুলপুর
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী
ইউনিয়নের প্রবাসী মোহাম্মদ রিজানের কন্যা মোছা. নুরী।
কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক
তদন্ত শিবেন বিশ্বাস নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার
বিকালে তার মায়ের সাথে নানা বাড়ি বেড়াতে যাবার কথা ছিল। দুই মাসের বেশী সময় ধরে
উত্তর রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংকির জন্য গর্ত করে ফেলে রাখে
ঠিকাদার। কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনি ছাড়াই ফেলে রাখা হয় সেপটিক ট্যাংকের জন্য করে রাখা
গর্তটি। বৃষ্টির পানিতে পুরো হয়ে যাওয়ায় ওই শিশু কন্যা পড়ে যায় গর্তে। বৃহস্পতিবার
দুপুর ২টার দিকে নুরের লাশ ভেসে উঠে ওই গর্তের পানিতে।
রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা শামীম আহমেদ
জানান, কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী ছাড়াই ফেলে রাখা হয় সেপটিক ট্যাংকের জন্য করে রাখা গর্তটি।
বৃষ্টির পানিতে পুরো হয়ে যাওয়ায় ওই শিশুটি পড়ে যায় গর্তে। পরে দুপুর ২টার দিকে নুরীর
মরদেহ ভেসে ওঠে ওই গর্তে।
উত্তর রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. স্বপন আহমেদ জানান, আমরা বারবার ঠিকাদারকে বলেছিলাম যেন
সেপটিক ট্যাংকের নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার জন্য। উনি কেন এটা করলেন না, আমার বোধগম্য
নয়। আমরা উপজেলা চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি যাথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস
দিয়েছেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার পুলিশ
পরিদর্শক তদন্ত শিবেন বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। আমরা পরিবারের অভিযোগের
ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১২২ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজন
মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গতকাল (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলা গোয়েন্দা
শাখা, কুমিল্লার একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুড়িচং থানার চড়ানল এলাকার কুমিল্লা-টু-কসবাগামী
রাস্তার উপর হতে ১২২ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ী ছাব্বির হোসেন শুভ ও মোঃ
সোহাগকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: কুমিল্লা
জেলার বুড়িচং থানার পাঁচোড়া (আসকার বাড়ী) এলাকার মৃত আলম খান এর ছেলে ছাব্বির হোসেন
শুভ (২৫) এবং মৃত কবির হোসেন এর ছেলে মোঃ সোহাগ (২৭)।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা
দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১২৫ বোতল বিদেশী মদসহ একজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গতকাল (৫ জুলাই) বিকালে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল
থানাধীন রাজমঙ্গলপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ ইয়াসিন (২০)
নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১২৫ বোতল বিদেশী মদ
উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ ইয়াসিন (২০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার রাজমঙ্গলপুর গ্রামের মৃত আবু তাহের এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য বিদেশী মদ সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী
ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির
বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন