জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের জেরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ
অভিযানে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ৭ মার্চ রাত সাড়ে দশটার দিকে জমি নিয়ে বিরোধের এক পর্যায়ে কামাল উদ্দিন (৪৩) ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে আব্দুল মালেকের (৬৫) মাথায় আঘাত করেন। আহত অবস্থায় আব্দুল মালেককে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা রাত সাড়ে তিনটায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে চৌদ্দগ্রামের কৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে আটজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কামাল উদ্দিন (৪৩),জয়নুল আবেদিন (৫২), তাহমিনা আক্তার (৩৫), শামসুন্নাহার (৪০), সফুরা খাতুন (৬৫), রোজিনা আক্তার (২২), শাহিদা বেগম (৫৫) ও হাসি (২০)।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দক্ষিণে বন্যাকবলিত এলাকার বাজারগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ফুরিয়ে আসছে ।
আর উঁচু জায়গার বাজারগুলোতে গত কয়েকদিন ধরে শুকনো খাবারের চাহিদা বেড়ে গেছে। আর এতে টান পড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, ডাল, আলু, তেল, পেঁয়াজ, রসুনসহ প্রায় সব পণ্যের। বন্যার কারণে সরবরাহ ঠিকমতো নেই। সে কারণে বাজারগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নেই বললেই চলে।
এছাড়াও জরুরি ওষুধের সংকটও দেখা দিয়েছে। যার কারণে দূর-দূরান্তের বাজারগুলো থেকে চড়া দামে খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ করতে হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক এবং সাধারণ মানুষদের।
চৌদ্দগ্রামের বসুয়ারা গ্রামের আবুল বাশার জানান, এ উপজেলা ফেনী লাগোয়া। কুমিল্লায় সবচেয়ে বেশি বন্যাকবলিত এলাকা চৌদ্দগ্রাম। এখনো ৮০ শতাংশ গ্রাম পানির নিচে। ফেনীর উত্তরাংশ লাগোয়া অনেক গ্রামে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের জীবন কীভাবে চলছে বোঝা যাচ্ছে না। ওইসব এলাকার বাজারগুলোও পানির নিচে। টাকা থাকলেও তারা আজ অসহায়।
নাঙ্গলকোটের করপাতি গ্রামের আরিফ হোসেন বলেন, কোনো বাজারেই খাবার নেই। অনেক দূরে লাকসাম বাজারে গিয়ে শুকনো খাবার সংগ্রহ করছি। সেখানেও চড়া দাম। নাঙ্গলকোটের অনেক দুর্গম এলাকায় ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না। প্রবাসী ও স্থানীয় পেশাজীবীরা সহযোগিতা করছেন। এক সপ্তাহ ধরে মানুষ পানিবন্দি। বাজারেও পণ্য না থাকলে এভাবে আর চালিয়ে নেওয়া যাবে না।
এ উপজেলার আইটপাড়া গ্রামের জাবেদ হোসেন বলেন, শহরের কাছাকাছি এলাকায় মানুষ যথেষ্ট ত্রাণ পাচ্ছেন। আমাদের এলাকা দূরবর্তী হওয়ায় বাইরে থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি না। আমাদের অনেক অনেক ত্রাণ দরকার।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কুমিল্লার লাকসাম, নাঙ্গলকোট, চৌদ্দগ্রাম ও মনোহরগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। প্রায় পাঁচ সেন্টিমিটারের মতো পানি কমেছে ওইসব এলাকায়। অপরদিকে গোমতীর বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বুড়িচংয়ের পর ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। গোমতীর পানি ঢুকছে দেবিদ্বার উপজেলাতেও।
মন্তব্য করুন
রোহিঙ্গা
নাগরিকের ভুয়া পাসপোর্ট তৈরীতে সহায়তাকারী আরো ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৪ টি পাসপোর্টসহ
অন্যান্য কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
গত
১৬ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় রুজুকৃত রোহিঙ্গা নাগরিকের পাসপোর্ট তৈরির
মামলা সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত মুল আসামী রোহিঙ্গা নাগরিক মোঃ ইয়াছির(১৯) কে বিজ্ঞ
আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালতে সে তাকে সহায়তাকারী ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করে জবানবন্দি
প্রদান করে। উক্ত জবানবন্দির সুত্র ধরে কুমিল্লা ডিবি ও কোতয়ালী থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে
অত্র মামলার এজাহারনামীয় ৪ নং আসামী ফয়সাল মিয়া(২৬)কে সহ অত্র মামলায় সন্দিগ্ধ আসামী
মোশারফ(৩৫) ও শরীফ(২৫) কে গ্রেফতার করা হয়। এজাহারনামীয় আসামী ফয়সাল মিয়া(২৬) কে রিমান্ডের আবেদনসহ বিজ্ঞ
আদালতে প্রেরণ করা হয়। আসামী মোশারফ(৩৫)কে কুমিল্লা কোতয়ালী থানাধীন নোয়াপাড়া এলাকা
হতে গ্রেফতারকালে তার প্রতিষ্ঠান আল-মদিনা ট্যুর এ্যান্ড ট্রাভেলস হতে ৬ টি ভুয়া পাসপোর্ট
ও পাসপোর্ট জমার স্লিপ উদ্ধার করা হয়।
এ
সংক্রান্তে কোতয়ালী মডেল থানায় পাসপোর্ট আইনে আলাদা একটি মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
ভুয়া পাসপোর্ট তৈরিতে সহায়তাকারী অপর আসামী কম্পিউটার অপারেটর শরীফ(২৫) কে মুরাদনগর
কোম্পানীগঞ্জ এলাকায় নকিব ট্রাভেলস হতে গ্রেফতারকালে তার প্রতিষ্ঠান হতে ৮ টি ভুয়া
পাসপোর্ট ও কিছু পাসপোর্ট জমার কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। অভিযানকালে প্রতিষ্ঠানের মালিক
নাসির উল্ল্যাহ(২৮) কৌশলে পালিয়ে যায়। এ সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদ্বয়ের
বিরুদ্ধে মুরাদ নগর থানায় পাসপোর্ট আইনে অপর একটি মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৩৯০
বোতল ফেন্সিডিল’সহ
০১ জন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে
র্যাব-১১,
সিপিসি- ২
কুমিল্লা।
র্যাব জানায়, রোববার দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর বিশেষ অভিযানে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ মডেল থানার উত্তর রামপুর এলাকা থেকে ৩৯০ বোতল ফেন্সিডিলসহ মোঃ সেলিম (৩৭) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় ফেন্সিডিল পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী সেলিম (৩৭) চট্টগ্রাম জেলার ডাবলমুরিং থানার জিলানী কলোনী গ্রামের মকবুল আহমদ এর ছেলে।
র্যাব-১১,
সিপিসি-২,
কুমিল্লার
কোম্পানী
অধিনায়ক
উপ-পরিচালক
লেঃ
কমান্ডার
মাহমুদুল
হাসান
জানান,
গ্রেফতারকৃত
আসামী
দীর্ঘদিন
ধরে
কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী
এলাকা
হতে
মাদকদ্রব্য
ফেন্সিডিল
সংগ্রহ
করে
কাভার্ড
ভ্যান
যোগে
দেশের
বিভিন্ন
জেলায়
মাদক
ব্যবসায়ী
ও
মাদক
সেবীদের
নিকট
পাইকারি
ও
খুচরা
মূল্যে
বিক্রয়
করে
আসার
কথা
স্বীকার
করে।
তার
বিরুদ্ধে
সদর
দক্ষিণ
থানায়
আইনানুগ
ব্যবস্থা
গ্রহণ
করা
হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম ও সদস্য আমিরুজ্জামান আমির কে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান দক্ষিণ জেলা যুবদল নেতা আকিবুর রহমান আকিব। এসময় মহানগর বিএনপির আহবায়ক উৎবাতুল বারী আবু উপস্থিত ছিলেন। যুবদল নেতা আকিবুর রহমান আকিব জানান মহানগর বিএনপির আহবায়ক উৎবাতুল বারী আবুর সার্বিক দিক নির্দেশনা ও নেতৃত্বে তিনি রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে যাবেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলায় পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
শনিবার কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে চিফ জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কুমিল্লার আয়োজনে কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ
হাসান সিজেএ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ, কুমিল্লা
(ভারপ্রাপ্ত) নাসরিন জাহান।
উক্ত কনফারেন্সে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়, কুমিল্লার সার্বিক
কার্যক্রম সন্তোষজনক মর্মে অভিনন্দন জানানো হয় ।
সন্তোষজনক এ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান
(সিজেএ), কুমিল্লা মহোদয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী
ইমরুল হাসান এর হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্বাস উদ্দিন এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন
জেলা প্রশাসক খন্দকার মুঃ মুশফিকুর রহমান, হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত
ডিআইজি মো: খাইরুল আলম, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম বার, পিবিআই কুমিল্লা
জেলার পুলিশ সুপার, মো. মিজানুর রহমান, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের কুমিল্লা ইউনিটের পুলিশ
সুপার, একেএম জহিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ শামছুল তাবরীজ, সিভিল সার্জন
ডাঃ নাছিমা আকতার, জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম, জেলা আইনজীবী সমিতির
সভাপতি এডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লিটন ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর
আলম ভূঁইয়া এবং কুমিল্লা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতের অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট
মোঃ জসিম উদ্দিন আবাদ।
অনুষ্ঠানে বিজ্ঞ সিজিএম পারস্পরিক সহযোগীতার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ন্যায়
বিচার নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করা হয় ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের পাশের ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত রাখতে ও মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল প্রতিরোধে বাংলাদেশ
সেনাবাহিনী ও হাইওয়ে পুলিশ যৌথভাবে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে।
এ সময় মহাসড়কের পাশের ফুটপাতের অবৈধ
স্থাপনা ও দোকানপাট উচ্ছেদ, মহাসড়কে অবৈধভাবে চলাচলকারী থ্রি-হুইলার ও বৈধ কাগজপত্র
বিহীন মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। পরে এ সংক্রান্তে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মিয়াবাজার হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা
গেছে, গত সপ্তাহে মহাসড়কের পাশের ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত রাখতে জনস্বার্থে হাইওয়ে পুলিশের
পক্ষ থেকে বিশেষ প্রচারনা করা হয়। প্রচারনা শেষে আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকাসহ মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা
হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন সড়ক আইন ভঙ্গের দায়ে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মোট ২৫টি মামলা
করা হয়।
যৌথ এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর চৌদ্দগ্রাম ক্যাম্প কমান্ডার মেজর রিফায়েত তারেক মজুমদার, হাইওয়ে পুলিশের
সার্জেন্ট মো: হাসান, মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক মো: নজরুল
ইসলাম সহ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-সদস্যবৃন্দ ও মিয়াবাজার হাইওয়ে থানা
পুলিশের একটি টিম।
এ অভিযানের বিষয়ে মিয়াবাজার হাইওয়ে
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: জসিম উদ্দিন বলেন, মহাসড়কের পাশের ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত
রাখতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং থ্রি-হুইলার বন্ধে
যৌথবাহিনী সোমবার বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বিভিন্ন অপরাধে মোট ২৫টি মামলা
দায়ের করা হয়েছে। মহাসড়ক অবৈধ দখল ও যানজটমুক্ত রাখতে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত দুই কিশোরের লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কাজের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে গতকাল শনিবার (২৬ অক্টোবর) তাদের লাশ কবর থেকে তোলা করা হয়েছে।
তারা হলেন, দাউদকান্দির সুকিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে মো. রিফাত (১৬)। রিফাত উপজেলার সুন্দলপুর হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। অপরজন দিনমজুর মো.বাবু মিয়া (২৩)। বাবু মিয়া উপজেলার তুজারভাঙ্গা গ্রামের অটোরিকশা চালক আব্দুল মান্নানের ছেলে।
গত ৪ আগস্ট দাউদকান্দিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রিফাত বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। ওইদিন রাতেই মারা যান রিফাত। পরদিন রিফাতের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করে তার পরিবার।
এ ঘটনার ১৪ দিন পর ১৮ আগস্ট রিফাত হোসেনের মামা পরিচয়ে আব্দুর রাজ্জাক ফকির বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর রিফাত হত্যার ঘটনায় কুমিল্লার আদালতে আরেকটি হত্যা মামলা করেন তার মা নিপা বেগম। মামলাটির তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
দুই মামলাতেই সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন, পৌর মেয়র নাইম ইউসুফ সেইন-সহ ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের চার শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে, গত ৫ আগস্ট বিকেলে দাউদকান্দি মডেল থানার সামনে দিনমজুর মো. বাবু মিয়া (২৩) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাকে দাফন করা হয়। নিহত দিনমজুর বাবুর প্রতিবেশী লিটন আহম্মেদ পাভেল বাদী হয়ে ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না থাকায় আদালতের নির্দেশে তাদের দুজনের লাশ উত্তোলন করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তাদের লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন, দাউদকান্দি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক হারুনুর রশিদ।
দাউদকান্দি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশে আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আবার লাশ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
মন্তব্য করুন
পৃথক দুইটি অভিযানে ৩০ কেজি গাঁজা ও ৫০ বোতল ফেন্সিডিল’সহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
(০২ জুলাই) তারিখ রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মোঃ শাহিন উদ্দিন (২৫) এবং ২। মনি আক্তার (২৯) নামক ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ১০ কেজি গাঁজা, ৫০ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে (০২ জুলাই) দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন মাঝিগাছা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী মোঃ বিল্লাল হোসেন (২৩) নামক ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীর হেফাজত হতে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ শাহিন উদ্দিন (২৫) কক্সবাজার জেলার সদর থানার মধ্যম মাইজপাড়া গ্রামের শামসুল আলম এর ছেলে, ২। মনি আক্তার (২৯) নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার গুরুবদী গ্রামের হানিফ মিয়া এর মেয়ে এবং ৩। মোঃ বিল্লাল হোসেন (২৩) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার ভরজালা গ্রামের মৃত আলী আকবর এর ছেলে। আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা ও ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার ২০২৪-২০২৫ সনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির কার্যালয়ে সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এতে ৫১৭জন ভোটারের মধ্যে ৪২৮জন ভোটার গোপন ব্যালট পেপার এর মাধ্যমে তাদের সুনিশ্চিত মতামত প্রদান করেন।
ওই নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির এনরোলমেন্ট সেক্রেটারি এডভোকেট মোঃ মনির হোসেন পাটোয়ারী এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট মাহাবুল আলম রিমন। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির সাবেক সভাপতি মোঃ আব্দুল বারী সরদার (বারেক) এবং সহকারী নির্বাচন কমিশন সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম ও মোঃ আবুল কালাম আজাদ। এছাড়াও নির্বাচন পরিচালনা করেন বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতির উচ্চ পরিষদের সদস্য মোঃ এমদাদ হোসেন ও আবুল খায়ের খোকন। এসময় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাকির হোসেন, রিক্রিয়েশন সেক্রেটারি এডভোকেট আছিয়া মাহজাবিন খান নিশু, সাবেক এনরোলমেন্ট সেক্রেটারি এডভোকেট মোঃ এনামুল হক সরকার, এডভোকেট মোসাঃ কামরুন্নাহার ও এডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার প্রমুখ।
ওই নির্বাচনে ১৫টি পদের মধ্যে দু'টি পদে গোপন ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের দ্বিতীয় তলায় ৭নং হল রুমে ভোট গণনা শুরু হয় আর শেষ হয় রাত ৯টায়। ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির এনরোলমেন্ট সেক্রেটারি এডভোকেট মোঃ মনির হোসেন পাটোয়ারী।
ওই নির্বাচনে সভাপতি পদে মোঃ নুরুল ইসলাম ২২৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ ওমর ফারুক পেয়েছেন ১৮০ ভোট ও সহ-সাধারণ সম্পাদক (সিভিল কোর্ট) পদে মোঃ সামছুল আলম ২৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ আতাউর রহমান সরকার মাসুদ পেয়েছেন ১৫১ ভোট।
ভোট গণনার সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাকির হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট মাহাবুল আলম রিমন ও এডভোকেট মোসাঃ কামরুন্নাহার, এডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার, জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির সাবেক সভাপতি আবু তাহের কালন, সাবেক সভাপতি মোঃ এমদাদ হোসেন, সাবেক সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান (মজিব), সাবেক সভাপতি মোঃ আবুল খায়ের (খোকন) ও সাবেক সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনসহ জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির প্রায় শতাধিক সদস্য।
এ ছাড়াও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সহ-সভাপতি পদে মোঃ শহিদুল হক লিটন, সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ হোসেন মিয়া, সহ-সাধারণ (ফৌজদারি কোর্ট) পদে মোঃ হরমুজ আলী সরকার, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক পদে মোঃ জসিম উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক পদে মোঃ লিটন মিয়া মুন্সি, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোঃ মনিরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক পদে মোঃ মাহাবুব আলম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মোঃ শাহজাহান মিয়া এবং সদস্য পদে মোঃ নুরুল ইসলাম, মোঃ শাহাদাত হোসেন, মোঃ খোরশেদ আলম, মোঃ আবুল কাশেম ও মোঃ জহিরুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৪ কেজি গাঁজা, ৫০ বোতল ফেন্সিডিল
ও ২৪ ক্যান বিয়ারসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গতকাল (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ
মডেল থানাধীন লক্ষীপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ জহিরুল
ইসলাম কামরুল এবং ২। মিজান নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের
কাছ থেকে ৪ কেজি গাঁজা, ৫০ বোতল ফেন্সিডিল, ২৪ ক্যান বিয়ার ও মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত
একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ জহিরুল ইসলাম
কামরুল (২৪) কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার টামটা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্না এর ছেলে
এবং ২। মিজান (৩১) একই গ্রামের মৃত সামসু মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত সিএনজি ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা, ফেন্সিডিল ও বিয়ার সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন