বরিশাল জেলায় বানারীপাড়ায় ৭ম শ্রেণিপড়ুয়া কিশোরী জান্নাতুলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজন ও স্থানীয়দের দাবি, তার মা প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ায়, চক্ষুলজ্জায় সে আত্মহত্যা করেছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাথরুমে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত জান্নাতুল (১৩) বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড ধারালিয়া গ্রামের বাসিন্দা, সৌদিপ্রবাসী নাসির উদ্দিন পাপনের মেয়ে। সে ধারালিয়া সৈয়দ বজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পুলিশ, স্বজন ও স্থানীয়রা বলছে, জান্নাতুলের মা শান্তা আক্তার সোমবার (১০ জুন) রাতের কোনো এক সময় তার প্রেমিকের হাত ধরে চলে যান। মঙ্গলবার সকালে জান্নাতুল ঘুম থেকে উঠে ঘরে দেখতে না পেয়ে, সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করে মায়ের সন্ধান পায়নি। তার আপত্তি সত্ত্বেও মায়ের অনৈতিক সম্পর্কের কথা জানতেন জান্নাতুল। সমাজে নানা জনের নানা কথা শুনতে হবে ভেবে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জান্নাতুলের দাদি ফিরোজা বেগম জানান, ছেলে সৌদি থাকাবস্থায় জান্নাতের মা শান্তা তাদের সঙ্গেই থাকতেন। ওই ঘরে দুটি সন্তান রয়েছে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টি জানার পর তাকে বারবার ওই পথ থেকে সরে আসার জন্য বলা হয়। কিন্তু কোনোভাবেই সে কথা শুনতো না। এ কারণে তাদের ঘর ছেড়ে ভাড়া বাসায় গিয়ে ওঠে। সর্বশেষ সোমবার শান্তার বাসায় বেড়াতে যান তিনি। বাড়িতে আসার সময় ছোট নাতিকে নিয়ে তার সঙ্গে নিয়ে আসেন। মঙ্গলবার সকালে খবর পান তার বড় নাতনি জান্নাত গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার মাকেও পাওয়া যাচ্ছে না। আমার নাতনি মেধাবী ছিল। সকালে ঘুম থেকে ওঠে মাকে না দেখে সে বুঝতে পারে তার মা প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে। লোকলজ্জায় জান্নাত বাথরুমে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ধারণা করছি। বেলা ১২টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় বানারীপাড়া থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে জান্নাতুলের বাবা, সৌদিপ্রবাসী নাসির উদ্দিন পাপন মোবাইল ফোনে জানান, গত কয়েক মাস আগে বেতাল গ্রামের নাঈম নামের এক যুবককে গভীর রাতে নিজ ঘরে মায়ের সঙ্গে দেখে ফেলে তার মেয়ে। পরে লোকলজ্জার ভয়ে মেয়ে জান্নাতুল মাকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য তার কাছে আকুতি জানায়।
এ বিষয়ে বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মাইনুল ইসলাম বলেন, নিহত জান্নাতুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম মর্গে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
সদর দক্ষিণের সোয়াগঞ্জ বাজার এলাকায় ইফতারির বাজার, মৌসুমি ফলসহ নিত্যপণ্যের
বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা।
রোববার (২৪ মার্চ) ভোক্তা-অধিকার বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। পঁচা-বাসি এবং রং যুক্ত খাবার জব্দ করে ধ্বংস করা। অভিযানে ভোক্তা সাধারণের মাঝে যৌক্তিক মূল্যে তরমুজ বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়।
এ
তদারকি অভিযানের সময় ব্যবসায়ীদের ক্রয়-বিক্রয়ের ভাউচার যাচাই করা হয়। ন্যায্যমূল্যে
পণ্য বিক্রয় করতে, দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করতে, মানুষের স্বাস্থ্যের
জন্য ক্ষতিকর এমন অপদ্রব্য না মেশাতে এবং মেয়াদহীন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়
ও সংরক্ষণ না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জাতীয়
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলার সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলামের
নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ইসরাইল হোসেন এবং
জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন সাওয়ালপুর এলাকা হতে ১২৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ১৩ জানুয়ারী ২০২৪ইং তারিখ রাতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন সাওয়ালপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ১২৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলোঃ কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার পশ্চিম জালুয়াপাড়া গ্রামের মোঃ মানিক মিয়া এর ছেলে মোঃ জসিম উদ্দিন (৪৫)।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। সে দীর্ঘদিন যাবত কুমিল্লা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফেন্সিডিল সহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সহবরাহ করে আসছিল। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৩৪৭ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৮ সেপ্টেম্বর রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২
এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
ময়নামতি এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ মনিরুজ্জামান মনির এবং
২। মোঃ সজিব (২৭) নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ
থেকে ৩৪৭ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা
হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ মনিরুজ্জামান
মনির (৩০) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার কালিকাপুর গ্রামের মোঃ মানিক মিয়া এর ছেলে
এবং ২। মোঃ সজিব (২৭) একই গ্রামের মোঃ নুরু মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কাভার্ড ভ্যান যোগে দেশের
বিভিন্ন জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে
আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা
করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত
আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কৃষিতে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেয়ার
জন্য ২০১৯ সালের নীতিমালা অনুযায়ী কৃষি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে
সিআইপি'র সমমর্যাদায় Agricultural Important
Person এআইপি প্রবর্তন করেন সরকার।
২০২১ সালের এআইপি খেতাবে
ভূষিত হয়েছেন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার
আদমপুর গ্রামের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার প্রাপ্ত
কৃষি পরিবেশ সমাজ উন্নয়ন সংগঠক, অধ্যাপক এম এ মতিন (মতিন সৈকত)।
২০২১ সালের পদকটি আগামী ৭
জুলাই ২০২৪ইং তারিখে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে মতিন সৈকত সহ অনান্য এআইপিদের
সন্মাননা সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।
তিনি চার দশক ধরে কৃষি পরিবেশ
সমাজ উন্নয়নে বৈপ্লবিক অবদান রাখছেন। কৃষি উদ্ভাবন জাত/প্রযুক্তি বিভাগে মতিন সৈকত-কে
এআইপি সম্মাননা দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত হয়।
এআইপিগণ সিআইপিদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এর মধ্যে রয়েছে-
মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রশংসাপত্র, বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাশ, বিভিন্ন
জাতীয় অনুষ্ঠানে নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ, বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে ভ্রমণকালীন সরকার
পরিচালিত গণপরিবহনে আসন সংরক্ষণ অগ্রাধিকার, ব্যবসা/দাফতরিক কাজে বিদেশে ভ্রমণের জন্য
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসা প্রাপ্তির নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ্য করে
Letter of Introduction ইস্যু করবে, নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সরকারি
হাসপাতালের কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার এবং বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার
সুবিধা পাবেন।
মতিন সৈকত একজন বহুমুখী সৃজনশীল
উদ্ভাবক-উদ্যোক্তা। সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি
স্বরূপ তিনি ১৯৮৭ সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতির
অভিনন্দন পত্র পেয়েছেন। পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ব্যাবহার এবং সম্প্রসারণে
অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১০ এবং ২০১৭ সালে মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী মতিন সৈকত-কে দুইবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক এবং পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যাক্তিগত ক্যাটাগরিতে
২০২১ সালে জাতীয় পরিবেশ পদক প্রদান করেন।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে
মতিন সৈকত ছয়বার সরকারিভাবে চট্টগ্রাম বিভাগে শীর্ষ স্থান অর্জন করেন। বিষমুক্ত ফসল,
নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে মতিন সৈকত নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।
বেকারত্ব দূরীকরণ, কর্মসংস্থান
সৃষ্টিতে সমবায় ভিত্তিতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মতিন সৈকত সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে গড়ে তুলেন
আপুসি, আপুবি, বিসমিল্লাহ, আদমপুর আদর্শ মৎস্য চাষ প্রকল্প।
প্লাবন ভূমিতে মৎস্য চাষে
দাউদকান্দি মডেল এবং নিরাপদ খাদ্য উপজেলা দাউদকান্দি মডেলের অন্যতম অংশীজন তিনি। সারাদেশে
বোরোধান উৎপাদন করতে সেচের পানির জন্য কৃষককে যখন ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা বিঘাপ্রতি সেচ
খরচ দিতে হয়। সেখানে মতিন সৈকত বিঘাপ্রতি এককালীন
মৌসুমব্যাপী মাত্র দুইশ টাকার বিনিময়ে ত্রিশ বছর যাবত বোরোধান লাগানো থেকে পাকা ধান
কাটা পর্যন্ত যার যতোবার সেচের পানির প্রয়োজন ততোবারই সেচের পানি সরবরাহ করে জাতীয়
দৃষ্টান্ত স্হাপন করেন।
বোরোধানের জমিতে ধান উৎপাদনের
পাশাপাশি মৎস্য চাষ করে বিঘাপ্রতি ১০/ ১৫ হাজার
টাকা মুনাফা পাচ্ছেন কৃষক। মতিন সৈকতের দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে সরকার কালাডুমুর নদী পূনঃখনন
করে দিয়েছেন।
এছাড়া মতিন সৈকত খাল-নদী
পূনঃখনন জলাভূমি সংরক্ষণ, বন্যপ্রাণী, পাখি
প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কাজ করছেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা
হয় -
তিনি নিজ এলাকা দাউদকান্দি কুমিল্লায় ২০০৬ সালে ১০,০০০ কৃষক নিয়ে আইপিএম-আইসিএম
ক্লাব গঠন করেন। তার এ উদ্যোগের ফলে ২০১৭ বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) দাউদকান্দি
উপজেলাকে বিষমুক্ত নিরাপদ খাদ্য উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করে। তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ
তিনি ২০১০ ও ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক এবং ২০২১ সালে জাতীয় পরিবেশ পদক পেয়েছেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নগর ভিত্তিক পানিচক্রের টেকসই রূপান্তর নিয়ে পরিকল্পনা কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
সোমবার কুমিল্লার হোটেল এলিট প্যালেসের লোটাস হলে উক্ত পরিকল্পনা কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাক্তার তাহসিন বাহার।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামসুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট ম্যানেজার পেট্রেসিয়া সোলরঝানো।
বাংলাদেশ নেদারল্যান্ড দূতাবাসের অর্থায়নে নগরভিত্তিক পানিচক্রের টেকসই রূপান্তর
প্রকল্প নিয়ে দুই দিনব্যাপী এই পরিকল্পনা কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার মুরাদনগরে ফুটবল খেলতে গিয়ে বজ্রপাতের শব্দে অজ্ঞান হয়ে এক শিক্ষার্থী
প্রাণ হারিয়েছে। তার নাম সিয়াম । বয়স হয়েছিলো ১৪ বছর ।
শনিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উত্তর ত্রিশ এলাকার বালুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সিয়াম মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর ত্রিশ গ্রামের প্রবাসী
হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
জানা যায়, সকালে সিয়াম বন্ধুদের সাথে নিয়ে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে ত্রিশ গ্রামের
বালুর মাঠে গিয়েছিলো। তাদের খেলা চলাকালিন সময়ে মাঠে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে সিয়াম
মাঠেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর কর্তব্যরত
চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এনামুল হক বলেন,
‘সকালে বাড়ির পাশের মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে যায় সিয়াম। এ সময় আচমকা ঝড়-বৃষ্টি
ও বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতে কিশোর সিয়াম গুরুতর আহত হয়। সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে
মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সিয়ামের শরীরে পুড়ে যাওয়ার মতো কোনো
চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ইসিজি) করার পর তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত
হয়েছি।’
১৫ নম্বর নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো.জাকির হোসেন বলেন,
‘সিয়াম কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। বজ্রপাতের শব্দে
ঘটনাস্থলেই সে জ্ঞান হাড়িয়ে ফেলে। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা
করেন।’
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৬ কেজি গাঁজাসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গতকাল (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ
থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ রনি ভূইয়া
কে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর হেফাজত হতে ০৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ রনি ভূইয়া (৩৯)
নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার বুরুন্দী গ্রামের মোঃ বাদল ভূইয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী
ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির
বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার ২০২৪-২০২৫ সনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির কার্যালয়ে সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এতে ৫১৭জন ভোটারের মধ্যে ৪২৮জন ভোটার গোপন ব্যালট পেপার এর মাধ্যমে তাদের সুনিশ্চিত মতামত প্রদান করেন।
ওই নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির এনরোলমেন্ট সেক্রেটারি এডভোকেট মোঃ মনির হোসেন পাটোয়ারী এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট মাহাবুল আলম রিমন। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির সাবেক সভাপতি মোঃ আব্দুল বারী সরদার (বারেক) এবং সহকারী নির্বাচন কমিশন সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম ও মোঃ আবুল কালাম আজাদ। এছাড়াও নির্বাচন পরিচালনা করেন বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতির উচ্চ পরিষদের সদস্য মোঃ এমদাদ হোসেন ও আবুল খায়ের খোকন। এসময় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাকির হোসেন, রিক্রিয়েশন সেক্রেটারি এডভোকেট আছিয়া মাহজাবিন খান নিশু, সাবেক এনরোলমেন্ট সেক্রেটারি এডভোকেট মোঃ এনামুল হক সরকার, এডভোকেট মোসাঃ কামরুন্নাহার ও এডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার প্রমুখ।
ওই নির্বাচনে ১৫টি পদের মধ্যে দু'টি পদে গোপন ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের দ্বিতীয় তলায় ৭নং হল রুমে ভোট গণনা শুরু হয় আর শেষ হয় রাত ৯টায়। ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির এনরোলমেন্ট সেক্রেটারি এডভোকেট মোঃ মনির হোসেন পাটোয়ারী।
ওই নির্বাচনে সভাপতি পদে মোঃ নুরুল ইসলাম ২২৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ ওমর ফারুক পেয়েছেন ১৮০ ভোট ও সহ-সাধারণ সম্পাদক (সিভিল কোর্ট) পদে মোঃ সামছুল আলম ২৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ আতাউর রহমান সরকার মাসুদ পেয়েছেন ১৫১ ভোট।
ভোট গণনার সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাকির হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট মাহাবুল আলম রিমন ও এডভোকেট মোসাঃ কামরুন্নাহার, এডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার, জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির সাবেক সভাপতি আবু তাহের কালন, সাবেক সভাপতি মোঃ এমদাদ হোসেন, সাবেক সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান (মজিব), সাবেক সভাপতি মোঃ আবুল খায়ের (খোকন) ও সাবেক সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনসহ জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির প্রায় শতাধিক সদস্য।
এ ছাড়াও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সহ-সভাপতি পদে মোঃ শহিদুল হক লিটন, সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ হোসেন মিয়া, সহ-সাধারণ (ফৌজদারি কোর্ট) পদে মোঃ হরমুজ আলী সরকার, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক পদে মোঃ জসিম উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক পদে মোঃ লিটন মিয়া মুন্সি, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোঃ মনিরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক পদে মোঃ মাহাবুব আলম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মোঃ শাহজাহান মিয়া এবং সদস্য পদে মোঃ নুরুল ইসলাম, মোঃ শাহাদাত হোসেন, মোঃ খোরশেদ আলম, মোঃ আবুল কাশেম ও মোঃ জহিরুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় রোটার্যাক্ট ক্লাব অব ময়নামতির উদ্যোগে অসহায় দুঃস্থ ও পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার রাতে কুমিল্লা রেলওয়ে ষ্টেশনের অসহায় দুঃস্থ ও পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রোটার্যাক্ট ক্লাব অব ময়নামতির সভাপতি রো. মো. নাজমূল হুদা, রোটার্যাক্ট ক্লাব অব ময়নামতির সেক্রেটারি রো. হাসান মাহমুদ তারেক সহ আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন
১৬ কেজি গাঁজাসহ ডিএনসি-কুমিল্লার হাতে
আটক ০২ নারী।
ডিএনসি কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী
ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্বাবধানে ও উপপরিদর্শক মো: মুরাদ হোসেন এর নেতৃত্বে ১৪ ফেব্রুয়ারি
২০২৫ তারিখ সকাল ০৮:০০ ঘটিকায় কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন নিমসার এলাকায় কুমিল্লা
টু ঢাকাগামী এশিয়া ট্রান্সপোর্ট নামীয় বাসে তল্লাশি করে ১৬ কেজি গাঁজাসহ মোসা: রুনু
আক্তার(৩৭) ও আঞ্জুমান আক্তার সুমাইয়া(২০) কে আটক করা হয়।
আটককৃত আসামি রুনু আক্তার (৩৭) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার মুরাদপুর মৃত চারু মিয়ার মেয়ে।
অপর আসামী আঞ্জুমান আক্তার সুমাইয়া(২০) কোতয়ালী থানার মৃত সুমন মিয়ার মেয়ে এবং রাব্বি
হোসেনের স্ত্রী।
জানা যায়, অল্প
সময়ে অধিক উপার্জনের লোভে তারা বারবার মাদক বহনের কাজে জড়িয়ে পড়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
চোখ ফাঁকি দেয়ার জন্য মাদক ব্যবসায়ীরা কৌশল হিসেবে মহিলাদের মাদক বহনের কাজে ব্যবহার করছেন।
আসামীদের বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক মো: মুরাদ
হোসেন বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় নিয়মিত মামলা
দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন