

কুমিল্লায়
১৪৬ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯
ডিসেম্বর) ভোরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে আসামী ১। মোঃ আলমগীর ও ২। মোঃ
ছাব্বির হোসেন টুটুল নামের দুই জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের
হেফাজত হতে ১৪৬ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। মোঃ আলমগীর (৫১) চট্টগ্রাম জেলার বন্দর থানার পূর্ব নিমতলা (দিয়ারবাড়ী) গ্রামের
মৃত হাজী মোঃ ইউনুস এর ছেলে এবং ২। মোঃ ছাব্বির হোসেন টুটুল (৩৫) একই থানার পূর্ব নিকতলা
(খয়রাতি মাঝির লেন) গ্রামের মোঃ হারুন অর রশিদ এর ছেলে।
র্যাব
জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত ট্রাক ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা
হতে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী
ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির
বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


জাকারিয়া তাহের সুমনকে আহ্বায়ক ও আশিকুর
রহমান মাহমুদ ওয়াসিমকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির
আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিএনপির
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য জানা
যায়। ১ নং যুগ্ম-আহ্বায়ক পদে রয়েছেন সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম ও যুগ্ম-আহ্বায়ক পদে রয়েছেন
আমিরুজ্জামান আমীর।
সদস্য পদে রয়েছেন হাজী আমিন-উর রশীদ
ইয়াছিন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার সদরদক্ষিণ উপজেলার দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সদরদক্ষিণ উপজেলার রামধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রাম ধনপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসার দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে এসব শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।
সদর দক্ষিণ উপজেলার মান্দারী গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মাজুমদার বাড়ীর মরহুম হাজী সিরাজুল ইসলাম মজুমদার ও অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম মজুমদার স্মরণে রোটারি ক্লাব অফ কুমিল্লা সানফ্লাওয়ার এর ব্যবস্থাপনায় "মজুমদার বাড়ির ফাউন্ডেশন" এসব শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করে।
বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রোটারি ক্লাব অফ কুমিল্লা সানফ্লাওয়ার প্রেসিডেন্ট জাহানারা আক্তার কলি, সেক্রেটারি রোটারিয়ান ডাক্তার আবু সায়েম আনসারী, নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আমজাদ হোসেন, মজুমদার বাড়ি ফাউন্ডেশন এর পক্ষে অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মাইনুল ইসলাম মজুমদার টিপু, বাহার মজুমদার, ঐতিহ্য কুমিল্লার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল।রোটারিয়ান পিপি নাসিরুল ইসলাম মজুমদার এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন মহিউদ্দিন মজুমদার।মেজবা মজুমদার। মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবু হানিফ। রামধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালযয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার বেগমসহ অন্যান্য অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
এর আগেও দুর্লভপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও দুর্লভপুর কিন্ডারগার্ডেনে ৩০০জন ছাত্রছাত্রীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।
এসময়
"মজুমদার বাড়ির ফাউন্ডেশন" এর পক্ষ থেকে আনিসুল ইসলাম মজুমদার বাবুল উপস্থিত
ছিলেন।এধারা অব্যাহত থাকবে বলে "মজুমদার বাড়ির ফাউন্ডেশন" এর পক্ষ থেকে
জানানো হয়।
মন্তব্য করুন


এই মুহূর্তে কুমিল্লা গোমতী নদীর পানি বিপদসীমার ১১৩ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ ঘটিকায়)
আপনারা দ্রুত নিরাপদ স্থানে চলে যান। আদর্শ সদর উপজেলার সকল স্কুল কলেজ মাদ্রাসা খোলা আছে। যেটা কাছে সেটাতে উঠে যান। গোমতী নদীর পাড় থেকে দয়া করে দর্শনার্থীগণ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। উপজেলা প্রশাসন আদর্শ সদর, কুমিল্লা।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে জন নিরাপত্তা বিঘ্ন ও রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগে কুমিল্লা জেলা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে ।
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
রাষ্ট্র বিরোধী অপরাধমুলক কার্যকলাপের মাধ্যমে জননিরাপত্তা বিঘ্ন ও এলাকায় বিশৃংখলা সৃষ্টি করা এসব সদস্যের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কুমিল্লা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুল্লাহ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলায় সাপের কামড়ে তানজিনা আক্তার নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।
তিনি হোমনা উপজেলার গোয়ারি ভাঙ্গা এলাকার আলী আহমেদের স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী।
আজ (২৬ জুন) সকালে তাদের নিজ বাড়িতে বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থায় তানজিনাকে সাপে কাটে। তবে সাপটিক কোন প্রজাতির তা জানাতে পারেনি কেউ।
হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, সাপে কাটা তানজিনাকে এন্টিভেনম দেয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু তার পরিবার সেটি না মেনে তাকে এক কবিরাজের কাছে নিয়ে কাজ না হয় আবার হাসপাতালে ফেরার পথেই তার মৃত্যু হয়।
তানজিনার স্বামী আলী আহমেদ বলেন, সকাল আনুমানিক ৭ টায় নিজ
বাড়ির বিছানাতেই শুয়েছিল তানজিনা। এ
সময় তার বাম পায়ে আঙ্গুলে সাপের ছোবল টের পায়। উঠে খাটের নিচে তাকাতেই কালো রঙের একটি সাপকে চলে যেতে দেখে। পরে
তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে তাকে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ সকাল ৮
টায় নিয়ে যাওয়া হয়। উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঔষধ দেওয়ার পর সেখান থেকে
স্থানীয় এক কবিরাজের কাছে
'পানপড়া' খাওয়ানোর
জন্য নিয়ে গেলে সেখান থেকে তানজিনাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ফেরার
পথে তানজিনার শারীরিক অবস্থা আরো অবনতি ঘটলে তাকে আবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নেয়া হয়। হাসপাতালে
নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। তবে কি সাপে কেটেছে
বলতে পারছিনা। তবে সাপটি কালো রঙের ছিল।
হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রাশেদুল ইসলাম বলেন, সাপে কাটা রোগী তানজিনা আসার পর তাকে অ্যান্টিভেনম এর ডোজ শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু সেটি মাঝামাঝি পর্যায়ে থাকাকালীন সময়ে তার পরিবারের লোকজন তাকে এক কবিরাজের কাছে নিয়ে যাবার জন্য জোরাজুরি করে এবং নিয়ে যায়। পরে শুনেছি তাকে মৃত অবস্থায় আবার হাসপাতালে আনা হয়েছে। সাপটি কি ধরনের সেটি তিনি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারেননি।
তবে তিনি জানান, তানজিনাকে কেটেছে তা বিষধর ছিল।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট সাইফুল ইসলাম বলেন, তানজিনাকে যখন নিয়ে আসে তখন তার শরীরে বিষক্রিয়ার বিভিন্ন উপসর্গও দেখা গেছে। তার চোখের পাতা বারবার পড়ে আসছিল এবং গলা শুকিয়ে আসছিল। চিকিৎসকরা তাকে এন্টিভেনম দেয়ার মাঝামাঝি সময়ে তার পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে যায়। পরে আবার হাসপাতালে আনলে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা–০৬ (সদর, সদর দক্ষিণ, সিটি কর্পোরেশন ও সেনানিবাস) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে টানা নয়দিন ধরে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীতে বিশাল মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন বলে আয়োজকরা দাবি করেন।
সন্ধ্যায় টাউন হল মাঠ থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। এরপর মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূবালী চত্বরে এসে সমাবেশ করে। পুরো সমাবেশ ও মিছিলজুড়ে নেতাকর্মীরা শ্লোগান দিতে থাকেন— “কুমিল্লা–৬ জনতার দাবি, ইয়াছিন ভাইয়ের মনোনয়ন এবার চাই”, “ত্যাগীর মর্যাদা দিতে হবে, ইয়াছিন ভাইকে মনোনয়ন দিতে হবে”,
"১৭ বছর যাকে পাই নেতা মোদের ইয়াছিন ভাই", "জেল জুলুম জামিনে যাকে পাই নেতা মোদের ইয়াছিন ভাই", "এই কুমিল্লার মাটি ইয়াছিন ভাইয়ের ঘাটি","এক দুই তিন চার মনির চৌধুরী, কুমিল্লা ছাড়", "উড়ে এসে নমিনেশন, মানি না মানবো না"।
মিছিলের একাধিক অংশে দেখা যায়, নেতাকর্মীরা হাতে মশাল, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে দলের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশে ইয়াছিনকে মনোনয়ন দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।
সমর্থকরা জানান, গত ৩ নভেম্বর রাতে মহাসড়ক অবরোধের মধ্য দিয়ে এই আন্দোলনের সূচনা হয়। পরদিন ৪ নভেম্বর নগরীর কান্দিরপাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় মশাল মিছিল বের করা হয়। ৫ নভেম্বর নারী সমর্থকদের উদ্যোগে নারীদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
৬ নভেম্বর নফল রোজা রেখে সমর্থকেরা সন্ধ্যায় গণ–ইফতারের আয়োজন করেন। ৭ নভেম্বর জুমার নামাজের পর নগরীর বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ৮ নভেম্বর কান্দিরপাড় পূর্বালী চত্বরে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে মনোনয়ন দাবিতে চাপ বাড়ানো হয়।
৯ নভেম্বর কারা–নির্যাতিত বিএনপি নেতাকর্মীদের পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে হাজী ইয়াছিনের পক্ষে মানবিক ও রাজনৈতিক যুক্তি তুলে ধরা হয়। আর ১০ নভেম্বর স্থানীয় তরুণদের উদ্যোগে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বক্তারা ইয়াছিনকে “সৎ, ত্যাগী ও এলাকার উন্নয়ন–বান্ধব নেতা” হিসেবে তুলে ধরে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান।
টানা কর্মসূচির নবম দিনে অনুষ্ঠিত হলো মঙ্গলবারের মশাল মিছিল। নেতাকর্মীদের দাবি, কুমিল্লা–৬ আসনে ত্যাগী, গ্রহণযোগ্য এবং শ্রমীচেতন রাজনীতিক হিসেবে হাজী ইয়াছিনই হচ্ছেন এলাকার মানুষের পছন্দের প্রার্থী।
নেতাকর্মীরা আরও জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৫ কেজি গাঁজা ও ৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৯ মার্চ রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন আলেখারচর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ সুলতান আহমেদ (৪২) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৫ কেজি গাঁজা ও ৪০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সুলতান আহমেদ (৪২) কুমিল্লা জেলার বাঙ্গরা বাজার থানার কড়ইবাড়ী গ্রামের মৃত শিশু মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা ও ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
দেড় কোটি টাকা মূল্যের ৬৪ হাজার পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দ করেছে ৬০ বিজিবি।
শুক্রবার
(৮ নভেম্বর) বিকালে আদর্শ সদর উপজেলার টিক্কারচর এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এক
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সুলতানপুর ব্যাটেলিয়ন (৬০ বিজিবির) অধিনায়ক
লেঃ কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার।
প্রেস
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার দুপুরে সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) মাদক বিরোধী
অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার টিক্কারচর থেকে হতে ১ কোটি ৫৮ লক্ষ
টাকা মূল্যের ভারতীয় নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট ৬৪ হাজার পিস এবং টয়োটা
গাড়ি ১ টি উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ৫ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৭ জন।
শুক্রবার (১৭ মে) ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় গাড়ির ভেতর থেকে নিহত পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ত্রিনাথ চন্দ্র সাহা বলেন, ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী রিলাক্স পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ৫ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন


তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা:
কুমিল্লায় রান্না ঘরে ঢুকে গৃহবধূ শানু বেগম (৫০) কে গলাকেটে হত্যা দায়ে প্রতিবেশী মোঃ দেলোয়ার হোসেন নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। আজ রবিবার (৩১ আগস্ট) কুমিল্লার বিজ্ঞ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইবুনাল ও বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত একমাত্র আসামি মোঃ দেলোয়ার হোসেন হলেন কুমিল্লার সদর উপজেলাধীন ১নং কালীর বাজার ইউনিয়নের হাতিগাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণাকালে আসামি দেলোয়ার হোসেন আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানাযায়- গোয়াল ঘরের জায়গার সীমানা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর ভোরবেলা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের হাতিগাড়া গ্রামের শানু বেগম (৫০) তেলের পিঠা বানানোর সময় প্রতিবেশী দেলোয়ার হোসেন রান্না ঘরে প্রবেশ করার কারণ জানতে চাইলে দেলোয়ার হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে বটি দা দিয়ে শানু বেগমের গলার কন্ঠনালী কেটে কুপিয়ে হত্যা করে ঘর থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রত্যক্ষদর্শী রেহেনা ও জুবায়ের শোর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন আগাইয়া আসিলে তাহাদের সহযোগিতায় দেলোয়ার হোসেনকে আটক করে গাছের সাথে বেঁধে রেখে থানাপুলিশকে খবর দেয় এবং ভিকটিম শানু বেগমকে উদ্ধার করে কুমেক হসপিটালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর মৃতা শানু বেগম এর স্বামী কুমিল্লা কোতয়ালী থানাধীন হাতিগাড়া গ্রামের মৃত বসত আলীর ছেলে মোঃ ফরিদ (৬০) বাদী হয়ে প্রতিবেশী মৃত আব্দুর রহমান এর ছেলে মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৩৬) কে একমাত্র আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করিলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেন এবং আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০২০ সালের ১৯ মে দঃ বিঃ আইনের ৩০২ ধারার বিধানমতে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তৎপর মামলাটি বিচারে আসিলে আসামি দেলোয়ার হোসেন এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় চার্জগঠনক্রমে রাষ্ট্রপক্ষে ১৭জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামি মোঃ দেলোয়ার হোসেন এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত। সেই সাথে আরো ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ০৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মোঃ ইউসুফ আলী বলেন- আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন।
এদিকে, আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোঃ মাসুদ সালাউদ্দিন। তিনি বলেন- এ রায়ে আসামিপক্ষ ক্ষুদ্ধ। আসামিপক্ষ রায়ের কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে আপীল করবেন।
মন্তব্য করুন