১৮মে ভোররাতে চৌদ্দগ্রাম থানায়
কর্মরত এসআই(নিঃ) মোহাম্মদ আলমগীর সঙ্গীয় ফোর্সসহ চৌদ্দগ্রাম থানা এলাকায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র,
মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলের জন্য
বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন ।
ডিউটি করাকালীন সময় গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানার ঘোলপাশা ইশানচন্দ্রনগর দীঘির উত্তর পাড় কাশেম ষ্টোর এর সামনে চেকপোস্ট ডিউটি করাকালে ০১টি কাভার্ডভ্যান আসতে
দেখে সন্দেহ হলে কাভার্ডভ্যান থামানোর সংকেত দিলে পুলিশ দেখতে পেয়ে কাভার্ডভ্যানের
ভিতরে থাকা অজ্ঞাতনামা চালকসহ আরও ২জন কাভার্ডভ্যান থামিয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
তখন আশপাশে উপস্থিত লোকজনের
এর উপস্হিতিতে কাভার্ডভ্যানটি তল্লাশী করে ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় এবং কাভার্ডভ্যানটি
জব্দ করা হয়।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মন্তব্য করুন
বিদেশগামী এক ব্যক্তির টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন-মো. রাজু (৫২) ও মো. নাজমুল (৫০)। গ্রেফতার দুইজন পুলিশ পরিচয়ে বিদেশগামী যাত্রীদের কাছ থেকে ছিনতাই করেন।
বুধবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের কলমিলতা মার্কেটের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
দুপুরে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতার দুজনই পেশাদার ছিনতাইকারী। তাদের বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা রয়েছে। তারা মূলত নিম্নবিত্ত বিদেশগামী যাত্রীদের টার্গেট করেন। যারা শ্রমিক হিসেবে কাজের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে যান তারাই এদের মূল টার্গেট। এসব মানুষ সাধারণত সহজ-সরল। তাই এসব মানুষ আসার সঙ্গে সঙ্গেই প্রথমে তাদের পুলিশ পরিচয়ে ধরেন তারা।
এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল ছিনিয়ে নেন। সাধারণত তারা অল্প টাকা যেমন ৫০০, ১০০০ টাকা ছিনতাই করেন। কারণ অল্প টাকা ছিনতাই করলে ভুক্তভোগী আর অভিযোগ করেন না।
ওসি মহসীন আরো বলেন, বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে আল আমিন নামের একজন সৌদি আরবগামী ব্যক্তি মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ঢাকায় আসেন। এসময় পুলিশ পরিচয়ে তাকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তোলেন রাজু ও নাজমুল। পরে তার কাছে থাকা ১২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। এসময় আল আমিন চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে তাদের আটক করে।
পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে তেজগাঁও থানা পুলিশ তাদের আটক করে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় অর্ধবার্ষিকী জুডিসিয়াল
কনফারেন্স ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকালে কুমিল্লা বিচার
বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের কনফারেন্স রুমে এ কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত
হয়।
এতে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা
জজ (ভারপ্রাপ্ত) নাসরিন জাহান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব (মতামত) উম্মে
কুলসুম।
উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে
বক্তব্য রাখেন- কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ
আবদুল্লাহ আল মামুন, কুমিল্লা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান, কুমিল্লা সিভিল
সার্জন ডা. নাছিমা আকতার, সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-আল-মামুন, অতিরিক্ত
জেলা প্রশাসক ফাহমিদা মুস্তফা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান, GIZ এর
প্রতিনিধি মার্টিনা বারকার্ড। এছাড়াও উন্মুক্ত আলোচনা করেন- সিনিয়র সহকারী জজ ধ্রুবজ্যোতি
পাল, কুমিল্লা (ভারপ্রাপ্ত) জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ আরিফ, কুমিল্লা জেলা জিপি এডভোকেট
তপন বিহারী নাগ ও জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম এবং কুমিল্লা জেলা আইনজীবী
সমিতির সভাপতি ও সাবেক জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লিটন, জেলা আইনজীবী
সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, কোর্ট মালখানা'র এসআই মোঃ
ফারুক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র
কোরআন তেলাওয়াত পাঠ করেন ক্যাশিয়ার মোঃ আতাউল্লাহ এবং গীতা পাঠ করেন লাইব্রেরি সহকারী
যামিনী কুমার নাথ। এরআগে প্রধান অতিথিকে ফুলেল শুভেচছা জানান সিনিয়র সহকারী জজ আয়েশা
বেগম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য
রাখেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক রোজিনা খান।
এছাড়াও আদালতের সাথে অন্যান্য
ডিপার্টমেন্ট এর সংশ্লিষ্ট বিষয় এবং দেওয়ানি মোকদ্দমা সংশ্লিষ্ট সমস্যা / সমাধান উপস্থাপনা
করেন কুমিল্লা যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক তাওহীদা আক্তার ও ফৌজদারি মামলা
সংশ্লিষ্ট সমস্যা/সমাধান উপস্থাপনা করেন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাজহারুল হক।
অনুষ্ঠানে কনফারেন্স সম্পর্কিত
পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন সহকারী জজ মীর মাশহুর আহমেদ।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা
করেন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোঃ ইমাম হাসান ও সহকারী জজ তৌফিকুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন
সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী আইন ও বিচার বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে বুধবার তাকে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এ বিভাগের চলতি দায়িত্ব পালনের ১০ দিনের মাথায় তিনি পূর্ণ দায়িত্ব পেলেন।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একই বিভাগে তিনি যুগ্ম সচিব (প্রশাসন-১) পদে ছিলেন। এর আগে চট্টগ্রাম থেকে তাকে ঢাকায় বদলি করে আনা হয়। তিনি ৮ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি দায়িত্বে ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের সাবেক এই রেজিস্ট্রার জেনারেলকে দেড় মাস আগে জেলা ও দায়রা জজ করে পাঠানো হয়েছিল চট্টগ্রামে। সরকার পরিবর্তনের পর গত ১৩ অগাস্ট তাকে আবার আইন মন্ত্রণালয়ে ফিরিয়ে আনা হয়। তখন এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে আলোচনা ছিল।
এ বিভাগের আগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারকে গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ওএসডি করা হয়েছিল।
বিভিন্ন জেলায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করা নতুন আইন সচিব গোলাম রব্বানী ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৫ সালে তৈরি করা সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের পদটি রাষ্ট্রের পদমর্যাদাক্রম অনুযায়ী জ্যেষ্ঠ সচিবের সমপর্যায়ের। এর আগে তিনি ছিলেন হাই কোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার, যে পদটি মর্যাদার দিক দিয়ে সচিব পর্যায়ের।
আগের সরকার এ বছর ১ জুলাই তাকে রেজিস্টার জেনারেল পদ থেকে সরিয়ে চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে বদলি করে। ক্ষমতার পালাবদলের পর গত ১৩ অগাস্ট তাকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র গোলাম রব্বানী ১৯৯১ সালে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরে জুডিশিয়াল সার্ভিসে নিয়োগ পেয়ে টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জামালপুরের যুগ্ম জেলা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের আইন শাখায় দায়িত্ব পালন করা গোলাম রব্বানী ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর হাই কোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পান।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিবন্ধন না থাকায় প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা সদর এলাকায় মুরাদনগর মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সার্ভিসেস নামে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন সুলতানা নিপা অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. জয়ন্ত, মুরাদনগর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শাহাদাত হোসেন ও মুরাদনগর থানা পুলিশের একটি টিম।
এ নিয়ে জানা গেছে, মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সার্ভিসেস নামের প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধন (লাইসেন্স) বিহীন। এখানে চিকিৎসা সেবা ও রোগ নির্ণয়ের মতো বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার মতো কোনো পরিবেশ নেই। বিভিন্ন রোগের পরীক্ষার নামে নেওয়া হতো অতিরিক্ত টাকা। কেবল তাই নয়, দক্ষ টেকনিশিয়ানও নেই প্রতিষ্ঠানটিতে।এছাড়া ব্যবহার করা হতো মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট।
সোমবার বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের টিম ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারে অভিযানে গিয়ে ওইসব অনিয়ম দেখতে পায়। নিবন্ধন না নিয়ে অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করা হচ্ছিল। পরে প্রতিষ্ঠানটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও গেলে করে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন সুলতানা নিপা বলেন, উপজেলায় লাইসেন্স বিহীন প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত
আহমেদ শুক্রবার প্রথম প্রহরে (রাত ১২ টার পর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে
অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় বলেছেন, বাঙালি জাতি সত্ত্বার
একটি প্রাথমিক স্তম্ভ একুশ। ব্যক্তিগতভাবে এক আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে আমার একুশের
সঙ্গে। আমার মা একজন ভাষা সৈনিক, ভাষা কন্যা।
সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের
নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের বিভাগ ও হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতিবৃন্দ কেন্দ্রীয় শহীদ
মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের বীর
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় দেশের ভাষা আন্দোলনে
শহীদদের অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়, এবং জাতির গৌরবোজ্জ্বল ভাষা আন্দোলনের
ঐতিহ্যকে ধরে রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রধান বিচারপতির মা বাংলাদেশের প্রথম নারী জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনের অবদানের জন্য ২০০২ সালে একুশে পদক লাভ করেন। ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী থাকাবস্থায় তিনি ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারীদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।
মন্তব্য করুন
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় স্বামীর থাপ্পড়ে লাভলী বেগম (৪০) নামে ১ গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী জোবায়েরকে (৪৫) আটক করেছে ।
আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের মোক্তারটারী এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আটক জোবায়ের ওই গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কিছুদিন ধরে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত লাভলী বেগম বাড়িতে চিকিৎসা করছিলেন। বুধবার দুপুরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় জোবায়ের লাভলী দম্পতির। এ সময় শাসন করতে জোবায়ের তার স্ত্রী লাভলী বেগমকে ২টা থাপ্পড় দেন। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে বাড়িতে ফিরে মরদেহের পাশে বসে অনুতপ্তে কান্নায় ভেঙে পড়েন জোবায়ের। খবর পেয়ে আদিতমারী থানা পুলিশ লাভলীর মরদেহ উদ্ধার করে এবং জোবায়েরকে আটক করে।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেছেন, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করা হচ্ছে। নিহতের স্বামী জোবায়েরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তদন্তের পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
সুশৃঙ্খল সুরক্ষিত মহাসড়ক - এ লক্ষ্যকে নিয়ে দিনরাত কাজ করে যায় হাইওয়ে পুলিশ কারণ মূল উদ্দেশ্য থাকে একটাই দিনশেষে সুরক্ষার সাথে বাড়ি ফেরার নিশ্চয়তা সুনিশ্চিতকরণ ।
শনিবার (২০ এপ্রিল ২০২৪) সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলমের নেতৃত্বে কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক কুমিল্লা রিজিয়নের ২২টি হাইওয়ে থানা পুলিশের বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট ডিউটি, অভিযান পরিচালনা এবং স্পিড গান বা স্পিড ডিটেক্টর ব্যবহার সহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় ।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজির নেতৃত্বে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সংশ্লিষ্ট সার্কেল সহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, সাব-ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট সহ সকল পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্স মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বডি ওয়ার্ন ক্যামেরায় সজ্জিত হয়ে সারাক্ষণ লাইভ স্ট্রিমিংয়ে থেকে চেকপোস্ট ডিউটি, অভিযান পরিচালনা ও স্পিড গান ব্যবহার করাসহ আজ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘন কারী গাড়ির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় গাড়ি আটক ও গ্রেফতার করা হয়।
আজকের এই বিশেষ অভিযানের সময় কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নে ফিটনেস বিহীন বাস, ফিটনেস বিহীন পণ্যবাহী ট্রাক সহ সকল ফিটনেস বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
শুধু তাই নয়, পণ্যবাহী গাড়িতে যাত্রী পরিবহন করার অপরাধেও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
পাশাপাশি মহাসড়কে অবৈধভাবে এবং ঝুঁকিপূর্ণভাবে থ্রি হুইলার চালানোর অপরাধে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৪৩টি থ্রি হুইলার আটক, ফিটনেস বিহীন ১টি পিকআপ আটক, দুর্ঘটনায় জড়িত ১টি সাউদিয়া বাস আটক ও গাড়ি ১ ড্রাইভারকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ছাড়াও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘনের অপরাধে বিভিন্ন ধারায় মোট ১৭৩টি প্রসিকিউশন দেওয়া হয় এবং একই সাথে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৬৬ ধারায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত মোটরযান ও গণপরিবহন চালানোর অপরাধে ২৮টি, ৭৫ ধারায় ফিটনেস সনদ ব্যতীত বা মেয়াদ উত্তীর্ণ ফিটনেস সনদ ব্যবহার করে মোটরযান চালানোর অপরাধে ০৬টি, ৮৭ ধারায় নির্ধারিত গতিসীমার অতিরিক্ত গতিতে মোটরযান চালানো বা স্পীড ডিটেক্টরের সাহায্যে মোটরযানের গতি চিহ্নিত অপরাধে ৫৯টি, ৮৯(১) ধারায় কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী মোটরযান নিষিদ্ধ হর্ণ স্থাপন/ব্যবহার ইত্যাদির অপরাধে ০৭টি, ৮৯(২) ধারায় ঝুঁকিপূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষিত মহাসড়কের চলাচলের অনুপোযোগী যান চালনা ইত্যাদির অপরাধে ৫১টি, ৯২(১) ধারায় মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশাবলী সংক্রান্ত (১ম অংশ) অপরাধে ২০টি এবং ৯২(২) ধারায় (২য় অংশ) অপরাধে ০২টি সহ কুমিল্লা রিজিয়ন কর্তৃক বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ১৭৩টি প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়।
হাইওয়ে পুলিশ প্রধান এবং বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো: শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কুমিল্লা রিজিয়ন জোরদার ভাবে স্পিড গান বা স্পিড ডিটেক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে ।
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে হাইওয়ে পুলিশের বডি ওয়ার্ণ ক্যামেরার মাধ্যমে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে অভিযান সংক্রান্ত এ কার্যক্রম কুমিল্লা রিজিয়নে অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে ৮০ কি:মি গতিসীমার মধ্যেই যানবাহন সমূহ চালানোর নির্দেশনা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি সদা সর্বদা থাকবে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ এর । এসময় কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলম উল্টোদিকে গাড়ি চালানো এবং মহাসড়কে থ্রি হুইলার ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল অফিসার ইনচার্জদের নির্দেশ প্রদান করেন।
পাশাপাশি তিনি পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নের্তৃত্ব এবং সংশ্লিষ্ট সকল গাড়ির ড্রাইভারদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি পরিহার এবং ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকা গাড়ি গুলোকেই গতিসীমা মেনে গাড়ি চালানোর জন্য অনুরোধ করেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
সদর দক্ষিন মডেল থানাধীন কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি চোর চক্রের ১জনকে গ্রেফতার করাসহ ৭ টি
চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার করেছে।
সোমবার রাত ০১:৩০ নাগাদ গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিন মডেল থানাধীন কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এসআই (নিঃ)
মোঃ মোরশেদ আলম ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ সদর দক্ষিন মডেল থানার কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায়
পেট্রোল ডিউটি সহ ওয়ারেন্ট তামিল ডিউটি করাকালে জানতে পারেন যে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ
মডেল থানাধীন কোটবাড়ি সালমানপুর দীঘির পূর্বপাড় আবুল হোসেনের গ্যারেজের সামনে রাস্তার
উপর কয়েকজন মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য একত্রিত হয়ে চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়- বিক্রয়
করতেছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সুকৌশলে
ঘটনাস্থল হতে আসামীগণ পালানোর চেষ্টাকালে অফিসার ও ফোর্সের সহয়তায় আসামী মোঃ খোরশেদ
আলম (৩০) কে ০১টি কালো রংয়ের Hero glamour মোটরসাইকেল যার রেজি: নং-কুমিল্লা ল-১১-৫৯৪৮
সহ গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ খোরশেদ আলম
(৩০) কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করাকালে জানা যায় যে, তার সঙ্গীয় অপর আসামীগণ মোঃ শিপু
ওরফে শিল্পা ওরফে শিপা (৩৭), রাকিবুল হাসান
প্রকাশ রিয়াদ (২৭) দ্বয়ের হেফাজতে আরো ০৬ টি চোরাই মোটরসাইকেল রয়েছে ।
গ্রেফতারকৃত আসামীর তথ্য মতে সদর দক্ষিন
মডেল থানাধীন কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির একটি দক্ষ টিম কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান
পরিচালনা করে এবং অভিযানের এক পর্যায়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন বালুতুপা এলাকার
পলাতক আসামী জসিম ও শিপুদ্বয়ের বসত বাড়ির উঠানে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে
পলাতক আসামী জসিম ও শিপু ঘর থেকে বাহির হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে পলাতক আসামীদের বসত-বাড়ী
তল্লাশী করে ৬ টি চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার জব্দ করা হয় ।
উদ্ধারকৃত ৬ টি চোরাই মোটর সাইকেল
-
(i) ০১ টি নীল কালো রংয়ের YAMAHA
FZS V2 150 CC MOTORCYCLE (ii) ০১ টি লাল কালো রংয়ের BAJAJ DISCOVER 110 CC
MOTORCYCLE (iii) ০১ টি লাল কালো রংয়ের HONDA XBLADE 150 CC MOTORCYCLE (iv) ০১ টি
নীল কালো রংয়ের BAJAJ DISCOVER 125 CC MOTORCYCLE (v) ০১ টি কালো রংয়ের TVS RAIDER
125 CC MOTORCYCLE (vi) ০১টি লাল কালো রংয়ের HERO GLAMOUR MOTORCYCLE
উক্ত ঘটনায় সদর দক্ষিণ মডেল থানায় এজাহার
দায়ের করলে সদর দক্ষিণ মডেল থানার মামলা নং-৩০, তারিখ- ২২/০৪/২০২৪ইং ধারা-৪১৩ পেনাল
কোড, রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
চারটি সোনার বারসহ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ডা. এম জেড এ শরীফ নামে এক বিসিএস কর্মকর্তাকে আটক করেছে কাস্টমস। তাকে সোমবার সকাল ১০টার দিকে আটক করা হয়।
এম জেড এ শরীফ ২৭তম বিসিএসের স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা। তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের মুখপাত্র উপ-কমিশনার বদরুজ্জামান মুন্সী বলেন, শারজাহ থেকে এয়ার অ্যারাবিয়ার একটি ফ্লাইট চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে আসে। ওই ফ্লাইটে আসেন বিমানবন্দরে নিয়োজিত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এম জেড এ শরীফের এক আত্মীয়।
নিয়ম অনুযায়ী একজন যাত্রী একটি সোনার বার আনতে পারেন। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ওই আত্মীয় বেশি সোনার বার আনেন। ফ্লাইট থেকে এসব বার এম জেড এ শরীফকে দেন। তারপর এরমধ্যে তিনি চারটি সোনার বার বাইরে পাচার করছিলেন।
এসময় বিমানবন্দরে দায়িত্বপ্রাপ্ত কাস্টমস কর্মকর্তাদের বিষয়টি নজরে এলে এম জেড এ শরীফকে চ্যালেঞ্জ করেন তারা। আর এরপরেই তার দেহ তল্লাশি করে তার কাছ থেকে চারটি বার পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের মুখপাত্র উপ-কমিশনার বদরুজ্জামান মুন্সী এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ।
মন্তব্য করুন
ঢাকার মোহাম্মদপুর থানাধীন সিটি হাউজিং এলাকা থেকে ৯৫৮ বোতল ফেনিসিডিলসহ মাদক সম্রাট মো. সজীব ওরফে ফেন্সি সজীবকে (৩০) আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-২)।
আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শিহাব করিম জানিয়েছেন, জব্দ করা ৯৫৮ বোতল ফেনসিডিলের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। আটক সজীব আন্তঃজেলা মাদক কারবারি এবং মাদকের ডিলার। তার বাড়ি সীমান্তবর্তী জেলা কুমিল্লায় হওয়ায় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে তিনি স্বল্প মূল্যে ফেনসিডিল কিনে এনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছিলেন।
সজীব মোহাম্মদপুর সিটি হাউসিং এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে এসব মাদক মজুদ করতেন। তার সঙ্গে আরও যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিতে গোয়েন্দা কার্যক্রম চলছে। সজিবের বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছেন র্যাবের এই কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন