কুমিল্লার বিশেষ অভিযানে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন নামা শ্রীপুর দক্ষিণ রামপুর এলাকা হতে ২৫,০০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত বুধবার (৮ নভেম্বর) রাতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন নামা শ্রীপুর দক্ষিণ রামপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২৫,০০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদ্বয় হলোঃ ১। কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার দক্ষিণ বাগালপুর গ্রামের মৃত আবু তাহের এর ছেলে মোঃ নুর ইসলাম (৪২) এবং ২। একই থানার টংগীর পাড় গ্রামের মৃত ছফি আলী এর ছেলে মোঃ ফারুক হোসেন (২৬)।
র্যাব জানান,তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে।গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চলুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই, চল যাই যুদ্ধে- মাদকের বিরুদ্ধে এই স্লোগানে চাঁদপুরের কচুয়ায় মাদক বিরোধী র্যালি ও মিছিল করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ভূঁইয়ারা ও দহুলিয়া গ্রামের যুব সমাজের উদ্যোগে র্যালি ও মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ওই ওয়ার্ডের পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় সামনে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, দিনদিন মাদকের ছোবলে যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। গ্রামের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীকে আটক করে আইনের আওতায় সোপর্দ করতে হবে। মাদক নির্মূলে যুব সমাজের ভূমিকা অপরিসীম। তাই মাদক প্রতিরোধ করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ কাজ করতে হবে।
ভূঁইয়ারা মানবসেবা ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. কবির হোসেনের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস,বিশিষ্ট সমাজসেবক ডা. মাসুদুর রহমান বাবুল,আব্দুল্লাহ আল মামুন,আবুল কালাম,শিক্ষক কামাল হোসেন, ফজলুর রহমান,আব্দুল আলীম,ভূঁইয়ারা উত্তর পাড়া দ্বীনের আলো সংগঠনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ আলী সহ আরো অনেকে।
এসময় ইমাম সফিকুল ইসলাম,হাজী দুলাল মিয়া,ভূঁইয়ারা পশ্চিম পাড়া মানব কল্যান যুব সংগঠনের সভাপতি আল আমিন,লোকমান হোসেন,গোলাম খাজা ভুলু,আব্দুল্লাহ,ইকবাল হোসেন, বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থী আব্দুর রহিম মোল্লা,শাকিব হোসেন ও মেহেদী সাহান সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী লোকজন মাদক বিরোধী র্যালি ও মিছিলে অংশগ্রহন করেন।
মন্তব্য করুন
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরহাজারী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের তের
বাড়ি সমাজের মরহুম আব্দুস সোবহানের ছেলে ইমরোজ হোসেন রিপন (৩৬)। সে একজন জন্মান্ধ
যুবক।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা কোনো বাধাই নয়, এমনটা প্রমাণ করতে যেন তার
লড়াইটা জীবনের প্রথম দিন থেকে শুরু। মনের আলোয় উদ্ভাসিত এ যুবক পেশায় একজন
ইলেকট্রিক ও প্লাম্বার মিস্ত্রি। পাশাপাশি বাড়ির পাশে করছেন ছোট্র একটি ইলেকট্রিক
দোকান। শারীরিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও কারো কাছে হাত না পেতে করছেন ইলেকট্রিক ও
পাইপ ফিটারের কাজ। স্থানীয় এলাকাবাসী তার এমন প্রয়াসে অনুপ্রাণিত। সে যেন নিজের
অনুপ্রেরণা নিজেই।
১৯৮৬ সালে জন্ম গ্রহণ করেন রিপন। সাত ভাই-বোনের মধ্যে সে চতুর্থ।
বর্তমানে তার মা দুই ছেলের সাথে আমেরিকায় থাকেন। আমেরিকা প্রবাসী বড় বোন সুমনা ও
ডাক্তার শাহজান আক্তার এবং ছোট ভাই শিপনের সহযোগিতায় বাবার দিয়ে যাওয়া ঘরে এক ছেলে
এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছে রিপন।
নিজ গ্রামে বিদ্যুতায়ন শুরু হলে নিজের মধ্যে ইলেকট্রিকের কাজ শেখার
স্বপ্ন জাগে। কিন্তু এতে বাধা দেন মা-বাবাও স্থানীয় ইলেকট্রিক মিস্ত্রিরা। এরপর
একা একা নিজেদের বসত ঘরে ইলেকট্রিকের কাজ শিখতে চেষ্টা চালায় রিপন। একপর্যায়ে এ
নিয়ে চেঁচামেচি শুরু করে তার মা-বাবা। এ কারণে ইলেকট্রিকের কাজ করার যন্ত্রপাতি
লুকিয়ে রাখতেন। পরে ঘর থেকে বের হয়ে বারান্দায় চলে যান। সেখানে একাকী দীর্ঘ
চেষ্টার পর আয়ত্ত করে ইলেকট্রিক, প্লাম্বার ও সোলারের কাজ। এরপর তিনি গত ১৮ বছরে
নিজ গ্রামে বেশ কয়েকটি মসজিদসহ ১৫০-২০০টি ঘরের ইলেকট্রিক কাজ সম্পন্ন করেন। এছাড়াও
টুকিটাকি অসংখ্য মেরামতের কাজ করেছেন।
নিজের গ্রামের সকল রাস্তার সাথে তার নাড়ির সম্পর্ক। কারো সহযোগিতা
ছাড়াই রাস্তাঘাটে চলাফেরা করেন। একা একা যান নিজের দোকানে। গোসল থেকে খাবার সবই
করেন নিজে হাতে কারো সাহায্য ছাড়া। এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো সহযোগিতা পাননি রিপন।
রিপনের স্ত্রী শাহিনা আক্তার বলেন, স্বামী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও
অন্যদের থেকে সে পুরোপুরি আলাদা। সে নিজের সকল কাজ নিজে করতে পারে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম শিপন বলেন, দৃষ্টি
প্রতিবন্ধকতা যে স্বপ্ন পূরণের জন্য বাধা নয় তার উজ্জল দৃষ্টান্ত রিপন।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েও অবিরাম কাজের পিছনে ছুটে চলেছেন। দৃষ্টি তার সামনে এগোনোতে
কোনো বাধা হতে পারেনি, উল্টো সে এক অনুপ্রেরণার নাম। ব্যতিক্রমী প্রতিভার অধিকারী
রিপন কারো বোঝা না হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। তার এ উদ্যম ও মনের শক্তি সমাজের
প্রতিটি মানুষের কর্মজীবনকে প্রভাবিত করবে এমনটাই সকলের প্রত্যাশা। তাকে খুব দ্রুত
একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার একতারপুর গ্রাম থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসী একতারপুর গ্রামের মৃত রেজাউল ইসলামের ছেলে রাজন বিশ্বাস (২৮)।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু আজিফ বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার একতারপুর গ্রামের এক নারী রাজনের নামে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে পুলিশ ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেফতার করে।
এসময় তার দেহ তল্লাশি করে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন ও ২ রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। তার নামে থানায় নাশকতা, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু আজিফ বলেন, গ্রেফতারের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ‘আশা’র প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট প্রয়াত মো. সফিকুল হক চৌধুরীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উদ্যোগে পৃথক পৃথক স্থানে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে বিভিন্ন বয়সের তিন শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল নগরীর রেইসকোর্স ও শহরতলীর আড়াইওরা এলাকায় চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি কুমিল্লার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. রেজা মো. সারোয়ার আকবর।
আশা আড়াইওড়া সমন্বিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইব্রাহিম ইবনুল আবিদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডা. এ কে এম আবদুস সেলিম, আশার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সেলিম উদ্দিন, জেলা ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম, শাখা ব্যবস্থাপক গোবিন্দ সাহাসহ আরো অনেকে।
পরে দুইটি ক্যাম্পে বিনামূল্যে এক শতাধিক রোগীর ডায়াবেটিকসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ২শ রোগীকে ফিজিওথেরাপী দেওয়াসহ চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। দিনব্যাপী আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়ার পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি, ব্লাড সুগার পরীক্ষাসহ কিছু রোগীকে ব্লাড প্রেসার নিরুপণের মেশিন প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘আশা’র প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট প্রয়াত মো. সফিকুল হক চৌধুরীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এবং সফিকুল হক চৌধুরীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন
যারা উদ্যমী এবং প্ররিশ্রমী কোন বাধা বিপত্তিই তাদের দমিয়ে রাখতে পারে না। তার এক উজ্জল দৃস্টান্ত শারীরিক প্রতিবন্ধী সজীব। লেখাপড়া শেষ করে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশের সেবা করতে চায় সে। কিন্তু তার এই স্বপ্নে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে দরিদ্রতা। আদেও কি তার এই স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা এবং শিক্ষা জীবন শেষ করে সমাজে মাথা উচু করে দাড়াতে পারবে কিনা এমন দু:শ্চিন্তায় দিন কাটছে তার।
সজীব মহম্মদপুর আমিনুর রহমান ডিগ্রী কলেজের স্নাতক বর্ষের ছাত্র। ২০২০ সালে মহম্মদপুর উপজেলার চৌবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০২২ সালে বিনোদপুর ডিগ্রী কলেজ থেকে এইসএসসি পাস করে এ বছর স্নাতক পাশ কোর্সে ভর্তি হয়েছেন। শিক্ষা জীবন শেষ করে সে শিক্ষক হয়েই শিক্ষার মানোউন্নয়ন এবং সমাজ গঠনে অবদান রাখতে চায়। এখনো প্রর্যন্তু পঙ্গুত্ব এবং অভাব তার শিক্ষার অগ্রযাত্রা কে বাধাগ্রস্থ করতে পারেনি। তবে আদৌকি তার এই স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা এবং শিক্ষা জীবন শেষ করে সমাজে মাথা উচু করে দাড়াতে পারবে কিনা এমন দু:শ্চিন্তায় দিন কাটছে তার পরিবারের।
সজীব মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের খাদুনা গ্রামের হতদরিদ্র কাঠমিস্ত্রী সুনীল মন্ডলের ছেলে। বাবা-মাসহ ৫ সদস্যের সংসারে দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সে মেজো। বড় বোন চন্দ্রিকা মন্ডলের বিয়ে হয়েছে গেছে। ছোট বোন অনিন্দিতা এ বছর এইসএসসি পাস করে অনার্সে ভর্তির অপেক্ষায় আছে। টাকার অভাবে এখনো সে ভর্তি হতে পারেনি। বাবা সুনীল মন্ডল মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কাঠমিস্ত্রীর কাজ করে যা উপার্জন করে তা দিয়ে সংসার চালাতেই হিমসিম খেতে হয়ে। মা স্বপ্না রাণী মন্ডল গৃহীণি।
তিনি বলেন, আমার প্রতিবন্ধী ছেলে এবং মেয়ের লেখাপড়ার জন্য অনেকের কাছে গিয়েছি। অনেকেই সহযোগিতা করেছে। আমি আমার ছেলে এবং মেয়ের লেখা পড়ার জন্য মানুষের বাড়িতেও কাজ করেছি। এতদিন অনেক কষ্টো করে তাদের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে এসেছি কিন্তু এখন আর পারছি না। আমি আমার প্রতিবন্ধী ছেলের জন্য সমাজের সকলের সহযোগিতা চাই। কারন, কারন, সজীবের বাবারও আগের মত কাজ করার শক্তি এখন আর নাই।
বাবা সুনিল মন্ডল বলেন, ছেলের লেখাপড়ার করার ইচ্ছা আমাকে সাহস যোগায় কিন্তু সামর্থের কাছে বারবার হেরে যায় আমি। তবু তার তার ইচ্ছে পূরণে আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তবে সরকারি সহায়তা পেলে আমার ছেলেটা তার শিক্ষা জীবন শেষ করে হয়ত কিছু একটা করতে পারতো। তারপর আবার মেয়েটা বড় হয়ে হয়ে গেছে তাকেও সময় মত বিয়ে দিতে হবে। নানান চিন্তায় মাঝেমধ্যে দিশেহারা হয়ে পড়ি আমি।
প্রতিবন্ধী সজীব মন্ডল বলেন, ছোট বেলায় মায়ের কোলে চড়ে স্কুলে গিয়েছি। বড় হয়ে ভ্যানে। কলেজে উঠলে ভগ্নিপতির সহযোগিতায় একটি ব্যাটারি চালিত হুইল চেয়ার কিনে আসাযাওয়া করতাম। এখনো হুইল চেয়ার চালিয়েই কলেজে আসা যাওয়া করি। নিজের নামে একটি প্রতিবন্ধী ভাতা আছে তা দিয়ে এবং বাবার সহযোগিতায় ডিগ্রীতে ভর্তি হয়েছে। আমার খুব ইচ্ছে লেখাপড়া শেষ করে একজন আদর্শবার শিক্ষক হওয়ার। তার ইচ্ছে পূরণে সে সমাজের মানবিক বিত্তবান এবং সরকারের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।
এ বিষয়ে আমিনুর রহমান ডিগ্রী কলেজের অফিস সহকারি তরুণ কুমার গুহ পিকিং বলেন, উদ্যমি সজীবের আগ্রহের কথা জেনে আমরা সীমিত খরচে তাকে ডিগ্রীতে ভর্তি করে নিয়েছি। অধ্যক্ষ শওকত বিপ্লব রেজা বিকো বলেন, প্রাথমিকভাবে তাকে ভর্তি করে নেওয়া হয়েছে। তাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। ইউএনও পলাশ মন্ডল বলেন, আমি তার খবর পেয়ে অফিসে আসতে বলেছে। তার লেখা পড়া চালিয়ে যেতে সর্বচ্চো সহায়তা দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
ফরিদপুরের সদরপুর থানা থেকে লুট করা
অস্ত্র নিয়ে তিন তরুণ টিকটক করছিলেন। টিকটক করার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় পলাশ
হোসেন (১৮) নামে এক তরুণের।
সোমবার (১২ আগস্ট) ভোর ৬টার দিকে ঢাকার
নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গত ৬ আগস্ট গুলিবিদ্ধ
হন ওই তরুণ।
নিহত পলাশ সদরপুর উপজেলার আটরশি গ্রামের
মোশারফ হোসেনের বড় ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ আগস্ট
সকালে পলাশ তার বাবার হোটেলে কাজ করছিলেন। এ সময় তার দুই বন্ধু সদরপুর সরকারি কালেজের
একাদশ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী পলাশকে হোটেল থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে তারা আড়াই রশি
গ্রামে পলাশের নানা মোসলেম মাতুব্বরের বাড়িতে যান। ওই বাড়ির একটি কক্ষে তারা তিনজন
একত্রিত হয়ে গত ৫ আগস্ট সদরপুর থানা থেকে লুট করে নেওয়া একটি শর্টগান নিয়ে টিকটক ভিডিও
করার জন্য অস্ত্রটি একে অপরের মাথায় তাক করে অভিনয় করতে থাকেন। হঠাৎ শর্টগান থেকে গুলি
বের হয়ে তা পলাশের মাথায় লাগে। গুলির শব্দ এবং পলাশের চিৎকার শুনতে পেয়ে বাড়ির লোকজন
ছুটে যান সেই কক্ষে। সেখানে গিয়ে তারা রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পরে থাকতে দেখেন পলাশকে।
পলাশকে প্রথমে তারা আটরশি বিশ্ব জাকের
মঞ্জিল হাসপাতালে নেন। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান
থেকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে
ফরিদপুর থেকে ঢাকা নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে
ছয় দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার ভোরে মারা যান পলাশ।
স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, পলাশকে
গুলি করা অস্ত্রটি সদরপুর থানা থেকে লুট হওয়া একটি শর্টগান। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের
দিন বিকেলে সদরপুর থানা থেকে ওই শর্টগান লুট করা হয়েছিল। অস্ত্রটি আটরশির একটি পরিত্যক্ত
ভবন থেকে উদ্ধার করে সদরপুরের আনসার বাহিনী এবং সেটি পরে ফরিদপুর সেনাবাহিনীর কাছে
হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনার পর পলাশের ওই দুই বন্ধু ও তাদের
পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপন করায় এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
তবে নিহত পলাশের মা পারুলি আক্তারের
দাবি, সদরপুর থানা থেকে লুট করা অস্ত্র দিয়ে তার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
থানার কাজকর্ম শুরু না হওয়ায় তাৎক্ষণিক এ ব্যাপারে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।
সদরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় পলাশের মা পারুলী আক্তার বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম
উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। পলাশের মরদেহ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের
জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। তদন্ত
করলে জানা যাবে, থানা থেকে লুট করে নেওয়া অস্ত্র দিয়ে বন্ধুরা টিকটক করতে গিয়ে গুলি
বের হয়ে পলাশ মারা গেছেন নাকি এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
মন্তব্য করুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় জুয়া খেলায়
বাধা দেওয়ায় তিনজনকে অস্ত্রাঘাতে আহত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে পৌর এলাকার
খড়মপুরে এ ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে একজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন- মো. রিফাত ,আশীষ খাদেম
আমজাদ। তারা সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের মধ্যে আশীষ খাদেমকে
জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুজন আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা
নিয়েছেন।
ছাত্র আন্দোলনকারীদের সূত্রে জানা গেছে,
খড়মপুর মাজার শরিফের পশ্চিম পাশে ঢাকা-সিলেট রেলপথে জুয়ার আসর বসার খবরে ছাত্ররা ছুটে
যান। সেখানে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাওয়ামাত্রই তাদের ওপর হামলা হয়। একদল লোক সংঘটিত হয়ে
তাদের ওপর হামলা করে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
আহত আমজাদ জানান, মাজারের পশ্চিম পাশে
রেলপথে জুয়ার আসর বসছে জেনে আমরা ১০-১২ জন ওখানে যাই। আমাদের দেখেই ৫০-৬০ জন লোক আমাদের
ওপর চড়াও হয়। আমিসহ তিনজন আহত হয়েছি। পরে স্থানীয় লোকজন আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে
নিয়ে এসেছে।
এ বিষয়ে আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ
সোহেল বলেন, খবর পেয়ে সেনাবাহিনীসহ আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা
প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় দেশের চলমান বন্যা নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এখন পর্যন্ত দুইজন নারীসহ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৪৮ লাখের বেশি মানুষ।
নিহতদের মধ্যে কুমিল্লায় চারজন, ফেনীতে একজন, চট্টগ্রামে চারজন, নোয়াখালীতে একজন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় একজন, লক্ষ্মীপুর একজন এবং কক্সবাজারে তিনজন।
এদিকে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি বেশ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যায় একটি শিশু পাতিলের মধ্যে কাপড় দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় গুটিসুটি মেরে শুয়ে আছে।
পাতিলের ভেতর বন্যার পানিতে ভাসতে দেখে সেখানে থেকে তাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়। অনেকেই ছবিটি শেয়ার করছেন নানা আবেগঘন ক্যাপশন দিয়ে। আবার অনেকেই বলছেন পরিবারের সব সদস্য মৃত।
তবে অনুসন্ধান করে জানা গেছে ভাইরাল হওয়া ছবিটি কুমিল্লার খারাতাইয়া, বুড়িচং এলাকার। ছবিটি তুলেছেন নাজমুল হাসান তপন নামের এক ব্যক্তি।
তিনি জানিয়েছেন, শিশুটির পরিবারের সবাই জীবিত এবং নিরাপদে আছেন।
এর আগে গত বুধবার (২১ আগস্ট) আরেকটি শিশুর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে দেখা গেছে, শিশুটি গলা পর্যন্ত পানির নিচে ডুবে আছে। তার কপালে ভাঁজ এবং অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও ওই ছবি শেয়ার করে বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। তবে রিউমর স্ক্যানারের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি ছিল। রিউমর স্ক্যানারের ফেসবুক পেজ থেকে শিশুর ভাইরাল হওয়া ছবিটিসহ দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, বন্যার বাস্তব দৃশ্য প্রকৃতপক্ষে আরও করুণ। তবে, আমাদের বিশ্লেষণে ভাইরাল ছবিটি এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি।
পোস্টে
আরও বলা হয়, আলোর প্রতিফলন, শিশুটির চোখের অভিব্যক্তি, কপালের ভাঁজ ও ঠোঁটের অস্বাভাবিকতা
ইত্যাদি অসংগতি অনুযায়ী আপাতদৃষ্টিতে অনেকেই ভাইরাল ছবিটিকে এআই জেনারেটেড বলেই ধারণা
করেছেন। তা ছাড়া, এআই ছবি যাচাইয়ের বিভিন্ন ওয়েবসাইটও ছবিটিকে ৬০% থেকে ৯১% পর্যন্ত
এআই বলে ফলাফল দিয়েছে। রিউমর স্ক্যানার টিম হতে MidJourney AI ব্যবহার করে এই একই ধরনের
ছবি পুনরায় তৈরি করার চেষ্টায়ও প্রায় একই ফলাফল পেয়েছি আমরা।
মন্তব্য করুন
জেলা তথ্য অফিস, কুমিল্লার আয়োজনে মঙ্গলবার দাউদকান্দি উপজেলার দাউদকান্দি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)’র আওতায় স্মার্ট বাংলাদেশ ও ভিশন: ২০৪১, সরকারের অর্জিত সাফল্য ও উন্নয়ন পরিকল্পনা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের গুরুত্ব এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধ, মাদক, গুজব, সাম্প্রদায়িকতা, অপপ্রচার,অপরাজনীতি এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ বিষয়ে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সিনিয়র তথ্য অফিসার নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,দাউদকান্দি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: আহসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাকটর উম্মে কুলসুম, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইদা সুলতানা, দাউদকান্দি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুল কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন ও দাউদকান্দি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মেছবাহ উদ্দিন সরকার। নারী সমাবেশের পূর্বে চলচ্চিত্র প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তাগন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মান করতে সক্ষম হয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল আপনারা পাচ্ছেন। এখন স্কুল-কলেজে ভর্তির জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম যেতে হয় না। বাড়িতে বসে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়। মোবাইল এ্যাপসের মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা চলে আসে, স্কুলে উপবৃত্তির টাকা মোবাইলে চলে আসে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারী সমাজের ভূমিকা অপরিসীম, শিক্ষার ক্ষেত্রেও নারীর ভূমিকা অপরিসীম। অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে গুজব, সাম্প্রদায়িকতা, অপরাজনীতি, অপপ্রচারকে প্রতিরোধ করতে হবে। উন্নত রাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলন ও বিনা মূল্যে বই বিতরণসহ শিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের উপযোগী মানুষ হিসেবে সন্তানদের গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। বক্তাগন মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ এর প্রতি জিরো টলারেন্সের কথা উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে মানুষকে এই অপারাধ গুলির বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেন।
মন্তব্য করুন
বরিশালে টিসিবির গ্রাহকদের জন্য নির্ধারিত ৫১ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের টিসিবির সিল তুলে বাইরে অতিরিক্ত দামে বিক্রির চেষ্টাকালে ১ ডিলারকে হাতেনাতে ধরে সেইসঙ্গে টিসিবির ওই ৫১ লিটার তেল জব্দের পাশাপাশি ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
জানা যায়, তেলের বোতলগুলো টিসিবির কার্ডধারি গ্রাহকদের মধ্যে বিক্রির কথা ছিল। কিন্তু সেই টিসিবির তেল গ্রাহকদের না দিয়ে উল্টো টিসিবির সিল তুলে বেশি দামে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়।
শনিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিশাল নগরের বিএম কলেজ এলাকার টিপু এন্টারপ্রাইজে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় বিভিন্ন ব্রান্ডের বোতলজাত ৫১ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয় টিসিবির সিল কাটা অবস্থায়।
অভিযুক্ত দোকান মালিক ও টিসিবির ডিলার আরিফুর রহমান বলেন, নগরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের টিসিবির ডিলার তিনি। যে তেলের বোতলগুলো বিক্রি হয়নি সেগুলোর সিল ভুল বসত কেটেছে তার কর্মচারী। বাইরে বেশিদামে বিক্রির জন্য এমন কাণ্ড ঘটানো হয়নি বলেও দাবি তার।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী জানান, অতিরিক্ত মুনাফার আশায় এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে দোকানদার। বিভিন্ন ব্রান্ডের ৫১ লিটার সয়াবিন তেল জব্দের পাশাপাশি ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এছাড়া টিসিবির সঙ্গে কথা বলে ডিলারের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী।
মন্তব্য করুন