

মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লা-৬ ( আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস) আসনে বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরীর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটায় কুমিল্লা জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মু.রেজা হাসানের কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম নেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু, সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট আখতার হোসাইন, কুমিল্লার সরকারি কৌসুলি (পিপি) ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এডভোকেট মো. কাইমুল হক রিংকু, বিএনপি নেতা মাহবুবুল আলম চপল, মোজাহিদ চৌধুরী, আবু বকর সিদ্দিক শিল্পী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এম এম শরীফুল করীম।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রথমবারের মতো সেনাসদরে গেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা সেনাসদরে পৌঁছালে সেনাবাহিনী
প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাঁকে স্বাগত জানান।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে জাতীয় নিরাপত্তার
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি সম্পর্কে ব্রিফ করা হয়। পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক
প্রদত্ত মূল্যবান দিকনির্দেশনাসমূহ সম্মিলিতভাবে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং
বাস্তবায়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালনে অত্যন্ত সহায়ক হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
মো: তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো: জাহাঙ্গীর আলম
চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারি লেফটেন্যান্ট
জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো: মাহবুব হোসেন, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী
প্রধান, পিএসও এএফডি, সামরিক ও অসামরিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং
গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, র্যাব এর মহাপরিচালকগণ
ও সেনাসদরের কর্মকর্তাগণ।
(খবর বাসসের)
মন্তব্য করুন


আবদুল হান্নানের
বাবার নাম আবদুল করিম। তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার চাঁদ উদ্যান এলাকার বাসিন্দা।
গত শুক্রবার
দুপুর ২টা ২৫ মিনিটের দিকে পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ডিআর টাওয়ার ও বায়তুস সালাম
জামে মসজিদের মধ্যবর্তী স্থানে শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত
হন।
র্যাব-২-এর বিপ্লব বড়ই জানান, গুলিবর্ষণের ঘটনায় 'ঢাকা মেট্রো-ল ৫৪-৬৩৭৫' নম্বরের একটি মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছিল। ওই মোটরসাইকেলের মালিক আবদুল হান্নান। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার সন্দেহে গতকাল শনিবার বিকেলে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল খান বলেন, র্যাব একজনকে থানায় হস্তান্তর করেছে এবং জানিয়েছে তিনি হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক বৈঠক মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আমীরে জামায়াত তাঁর বিদেশ সফরের নানা দিক নেতৃবৃন্দের সামনে তুলে ধরেন। আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের সফর দেশ ও জাতির জন্য ফলপ্রসূ হওয়ায় আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রশংসা করা হয় এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের পক্ষ থেকে তাঁকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
বৈঠকে দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ লক্ষ্য করছে যে, জুলাই জাতীয় সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার লক্ষ্যে গণভোট আয়োজনের বিষয়ে সরকার গড়িমসি করছে, যা জাতির জন্য উদ্বেগজনক। কেউ কেউ গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে অনুষ্ঠানের মতো একটি ধারণা পোষণ করছেন। একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে গণভোটের গুরুত্ব মারাত্মকভাবে হ্রাস পাবে। এটি গণভোট প্রক্রিয়াকে অনিশ্চয়তায় ফেলবে। কারণ, জাতীয় নির্বাচনে কোনো ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হলে গণভোটও স্থগিত হয়ে যাবে-যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এই প্রেক্ষাপটে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছে যে, সরকার যেন অবিলম্বে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করে এবং আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোটের আয়োজন করে। পাশাপাশি, ওই গণভোটের ফলাফলের আলোকে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছে।
মন্তব্য করুন


মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে
বৈঠকে করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস। বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ‘পূর্ণ সমর্থন’জানিয়েছেন জো বাইডেন।
মঙ্গলবার ( ২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে জাতিসংঘের
সদর দপ্তরের নির্ধারিত সভা কক্ষে বৈঠকটি হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ভেরিফায়েড
ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পোস্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারকে
‘পূর্ণ সমর্থন’
জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আজ মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের
ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকে ড. ইউনূস বিগত সরকারের আমলে সকল
ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকা ও বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ
অবদানের কথা জো বাইডেনকে জানান।
অধ্যাপক ড. ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, দেশ
পুনর্গঠনে তার সরকারকে অবশ্যই সফল হতে হবে। এসময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন যেকোনো
সাহায্যে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম
অধিবেশনে যোগ দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তাকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব
অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূসকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনে যোগদান করায় শুভেচ্ছা জানিয়েছে
জাতিসংঘ। প্রধান উপদেষ্টা এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এ সফর করছেন যখন বাংলাদেশ জাতিসংঘের
সদস্য পদ লাভের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে
(সাবেক টুইটার) শেয়ার করা ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুইন লুইস এক বার্তায় বলেন,
এ বছর বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে। প্রধান উপদেষ্টা
ড. ইউনূস সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ায় আমার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু
হওয়ার পর ভাষণ দেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বব্যাপী এমন এক
চ্যাঞ্জেলের মুখে রয়েছি যা আগে কখনো দেখিনি। বৈশ্বিকভাবেই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে
হবে। যুদ্ধ বেড়েই চলছে এবং তা শেষ হওয়ার কোনো উপায় দেখছি না।
মঙ্গলবার শুরু হওয়া জাতিসংঘের ৭৯তম
সাধারণ অধিবেশনে বিশ্ব নেতারা এমন এক সময় জড়ো হচ্ছেন, যখন ইউরোপ, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে
সংঘাত বেড়েই চলেছে। এ ছাড়া রয়েছে গাজা যুদ্ধ এবং ইউক্রেন ও সুদানে সংঘাত। আশা করা হচ্ছে
এ অধিবেশনে বিশ্বনেতারা যুদ্ধ বন্ধে তাদের কণ্ঠ জোরালো করবেন।
জানা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো
বাইডেন মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। জাতিসংঘে এটি তার চতুর্থ এবং
শেষ ভাষণ। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এ ভাষণে বাইডেন বর্তমান বৈশ্বিক সংকট তুলে ধরবেন।
ইউএনজিএতে অংশগ্রহণ উপলক্ষে ড. ইউনূস
এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশ সরকারের প্রধান হিসেবে এটি ড. ইউনূসের প্রথম
যুক্তরাষ্ট্র সফর।
মন্তব্য করুন


যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেছেন,
১৯৭৫ সালের সিপাহী-জনতার বিপ্লব এবং ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান একই সামাজিক-রাজনৈতিক
প্রেক্ষাপট থেকে সৃষ্টি হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের সিপাহী-জনতার বিপ্লবের প্রেক্ষাপট ২০২৪
সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটের সঙ্গে অনেকটাই সাদৃশ্যপূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে,
এই দুটি গণআন্দোলনের পেছনের পরিস্থিতির মধ্যে খুব সামান্যই পার্থক্য রয়েছে।
আজ শুক্রবার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে
জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে
‘নভেম্বর থেকে জুলাই : বিপ্লব থেকে বিপ্লবে’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন
তিনি।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেন,
স্বাধীনতার পর একটি ন্যায়ভিত্তিক ও কার্যকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থতা-এই দুই ঘটনার
পটভূমি তৈরি করেছিল। স্বাধীনতার পর যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন, তারা দুর্নীতি
ও লুটপাটে জড়িয়ে পড়েন। এর ফলেই ১৯৭৫ সালের সিপাহী-জনতার বিপ্লবের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়
এবং প্রায় একই পরিস্থিতি ২০২৪ সালেও পুনরাবৃত্তি ঘটে। ১৯৭৫ সালের পর থেকেই বাংলাদেশ
একটি কার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে যাত্রা শুরু করে- যখন দেশ প্রতিষ্ঠানিক গঠন, সামরিক বাহিনীকে
শক্তিশালীকরণ এবং আঞ্চলিক রাজনীতিতে ভূমিকা রাখার মতো কার্যক্রম শুরু করে, এসব বিষয়গুলো
আজও প্রাসঙ্গিক।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের
অবদানের কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান কল্যাণমুখী রাজনীতির
সূচনা করেন এবং একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র কাঠামো গঠনে কাজ করেন। আজও দেশ তাঁর স্থাপিত
ভিত্তির ওপর পরিচালিত হচ্ছে, যা আমাদের রাজনৈতিক ও নীতিগত আলোচনায় প্রতিফলিত হয়।
এ সময় জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক
প্রেক্ষাপট ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড নিয়েও আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
সভাপতি রিফাত রশিদ। আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান
মজিবুর রহমান মঞ্জু, কবি ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদ ফরহাদ মজহার, ড. আবদুল লতিফ মাসুম এবং
লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ
সচিব আলী ইমাম মজুমদার।
সোমবার (১২ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের
জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগ দেওয়া হয়।
১৯৫০ সালে কুমিল্লার নানুয়া দিঘিরপাড়ে
জন্মগ্রহণ করেন আলী ইমাম মজুমদার। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে ১৯৬৯
সালে স্নাতক ও ১৯৭৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
আলী ইমাম মজুমদার ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ
সিভিল সার্ভিসের প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। চাকরিজীবনে তিনি
প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে সহকারী কমিশনার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ
উপজেলা ও জেলায় বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রী
কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিমান
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বও পালন
করেন।
২০১৬ সালে তিনি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল
বাংলাদেশ (টিআইবি)-র ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও ২০২০ সাল থেকে মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব
পালন করছেন।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশে যত টিম আছে, তার মধ্যে পুলিশ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিম বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ সোমবার (১৭ মার্চ) মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে খুব বেশি সময় নেই। আমরা ইতোমধ্যে সাত মাস পার করে এসেছি। আমরা বলছি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। কাজেই কী কী সংস্কার করতে চাই করে ফেলতে হবে।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনারাও সংস্কারের কথা বলেছেন। কারও জন্য অপেক্ষা করে কোনো ফায়দা হবে না। কাজটা করতে হবে এবং সেটা আমাদের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, দেশ বদলাতে হলে একক নির্দেশে নয়, বরং সবাইকে নিয়ে এক একটি টিম হয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশে যত টিম আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিম হলো পুলিশ। সরকার যা কিছুই করতে চায়, শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাত দিয়েই করতে হয়। তারা সব করে দেয় না, তারা পরিবশেটা সৃষ্টি করে। যে পরিবেশটা না থাকলে কোনো কাজই আর হয় না। পুলিশের কথা প্রসঙ্গে বারবার আমরা দুটো শব্দ বলছি- আইনশৃঙ্খলা। পুলিশের হাতেই এটাকে এক্সিকিউট করতে হবে। এই পরিবেশ সৃষ্টি করা না গেলে সরকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, মানুষের অধিকার, নাগরিকের অধিকার- কিছুই থাকে না। আমরা পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গড়তে পারব না। তারাই সম্মুখসারির মানুষ। তারা ক্ষেত্র প্রস্তুত করলেই বাকি জিনিসগুলো হয়। আইনশৃঙ্খলা না থাকলে যত বড় বড় চিন্তাই হোক, যত টাকাই থাকুক, কোনো কাজে আসবে না।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, পুলিশ হবে বন্ধু। কারণ, আমি আইনের পক্ষের মানুষ। আমি আইন প্রতিষ্ঠা করার মানুষ। আইন হলো আমাদের সবার আশ্রয়। পুলিশ হলো আশ্রয়দাতা। আমরা এই ইমেজটা যদি প্রতিষ্ঠিত করতে পারি, মানুষ অতীতের সব কথা ভুলে যাবে।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। এ ছাড়া মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ ও রাজশাহী পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম। এ সময় আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যুবসমাজের জীবন উৎসর্গ এবং অদম্য
নেতৃত্বের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে যুগান্তকারি পরিবর্তন ঘটেছে। একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও
সমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষ্যে তারা জীবন দিয়েছে। তরুণদের এই স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়ে
তুলতে বিদেশী বন্ধুদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
নিউইয়র্ক সময় মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বিদেশী বন্ধুদের উদ্দেশে আরও বলেন, তরুণদের আত্মত্যাগ আমাদের সামনে বড় সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। আমরা এই সুযোগ হারাতে চাই না। বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আমূল পরিবর্তনের মাধ্যমে তরুণরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। এটি বাস্তবায়নে আপনাদের সবার সমর্থন প্রয়োজন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের
সদস্যপ্রাপ্তির ৫০তম বছর উদযাপন উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পাকিস্তানের
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ডোনাল্ড লুসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বাংলাদেশ ১৯৭৪
সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে।
সংবর্ধনা আয়োজনে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আরও ছিলেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ
আবদুল মুহিত, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ,
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি মাহফুজ আলম, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম
প্রমূখ।
অধ্যাপক ইউনূসের
সঙ্গে আলোকচিত্রী ও লেখক শহিদুল আলম শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাগুলো
নিয়ে লেখা দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
শিক্ষার্থীদের
আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। যারা নতুন বাংলাদেশের
স্বপ্ন দেখেছিল আমরা তাদের হতাশ করতে চাই না।
প্রাতিষ্ঠানিক
সংস্কারের মাধ্যমে একটি নতুন নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে তার সরকার কাজ করছে
বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ড. ইউনূস বলেন,
যুবসমাজের সামনে কোন স্বপ্ন ছিল না। স্বৈরাচার তাদের স্বপ্ন ও ভব্যিষতকে ধ্বংস করে
দিয়েছিল। তাই তারা স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে বুলেটের সামনে দাঁড়াতে পিছপা হয়নি।
মন্তব্য করুন


জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কনকচাঁপা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি সামাজিক মাধ্যমে দুটি পৃথক স্ট্যাটাসে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া প্রার্থনা করেছেন এবং তার জীবনের সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
একটি পোস্টে কনকচাঁপা উল্লেখ করেন, খালেদা জিয়াকে “দেশজুড়ে কোটি কোটি সন্তান” মনে করেন। সোমবার আরও একটি সংক্ষিপ্ত স্ট্যাটাসে তিনি জানিয়েছেন, “ফি আমানিল্লাহ! খালেদা জিয়াকে আইসিইউতে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। আল্লাহর রহমতের জন্য দোয়া করুন।” এই পোস্টের পরে অনেকেই খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া জানিয়েছেন।
এর আগে কনকচাঁপা দীর্ঘ একটি পোস্টে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবন, ব্যক্তিগত সংগ্রাম এবং কারাবাসের সময়ের কঠিন অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেছিলেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, ছোট বয়সে পরিবার হারানো, রাজনীতির চূড়ান্ত সময়ের গ্রেফতার, মিথ্যা মামলায় কারাগার, স্লো পয়জনিংয়ের ভয় এবং মৃত্যুভয়—সব পরিস্থিতিতেই খালেদা জিয়া ছিলেন অবিচল ও সাহসী।
কনকচাঁপা আরও বলেন, “অসুস্থ সন্তানের কাছে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকলেও দেশের মানুষকে ভেবে তিনি তা ত্যাগ করেছেন। গুরুতর অসুস্থতা সত্ত্বেও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার প্রস্তাবও গ্রহণ করেননি। তিনি শুধু তার সন্তানের মা নন, সারা দেশে কোটি কোটি মানুষের প্রিয় সন্তান।”
মন্তব্য করুন


নির্বাচনের আগে গ্রাহক প্রতি মোবাইল সিমের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৫তম সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান। বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একজন মোবাইল গ্রাহক তার জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করতে পারেন।
তিনি বলেন, আগামী ৩০ অক্টোবরের পর এনআইডির বিপরীতে মোবাইল গ্রাহক প্রতি সিম নিবন্ধনের সংখ্যা ১০টিতে নামিয়ে আনা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রাহক প্রতি সিমের সংখ্যা আরো কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, একজনের সিমকার্ড ব্যবহার করে অন্যজন অপরাধ করে। এতে করে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এজন্য ব্যক্তি পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশন করা সিমকার্ড কমিয়ে আনা হবে। কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায় সিমটি সেই ব্যক্তির নয়। সেজন্য নির্বাচনের আগে সিমকার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে।
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি আসে নাই। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোতে নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তিনি এ সময় নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভালোভাবে সম্পন্ন হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব “নাসিমুল গনি “, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন