

মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
জাতীয় নাগরিক পার্টি'র (এনসিপি'র) কেন্দ্রীয় সদস্য সালাউদ্দিন জামিল সৌরভ বলেছেন, বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোকে আরও কার্যকর ও জনবান্ধব করার লক্ষ্যে বিভাগ সংখ্যা বৃদ্ধি একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। এই প্রেক্ষাপটে কুমিল্লাকে বিভাগ ঘোষণা করার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই চলমান। দেশের পূর্বাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসেবে কুমিল্লা একটি পূর্ণাঙ্গ বিভাগের মর্যাদা পাওয়ার উপযুক্ততা বহু আগে থেকেই অর্জন করেছে।
১. ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রশাসনিক গুরুত্ব:
কুমিল্লা দেশের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত এবং এর আশপাশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও লাকসাম-নাঙ্গলকোট অঞ্চলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এই অঞ্চলগুলো মিলে একটি স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক বলয় তৈরি করে, যা একটি আলাদা বিভাগের প্রাকৃতিক কাঠামো উপস্থাপন করে।
২. জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয়তা:
কুমিল্লা জেলা নিজেই বাংলাদেশের অন্যতম জনবহুল জেলা। কুমিল্লা অঞ্চল ও আশেপাশের জেলা মিলে জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটির কাছাকাছি। একটি বিভাগের মূল লক্ষ্য হলো প্রশাসনিক সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। ঢাকা বা চট্টগ্রামের মতো বড় বিভাগগুলোর তুলনায় এই অঞ্চলকে একটি আলাদা বিভাগে উন্নীত করলে জনগণের ওপর প্রশাসনিক চাপ কমবে এবং সেবা পৌঁছাবে আরও দ্রুত।
৩. অর্থনৈতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব:
কুমিল্লা প্রাচীন কালে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছিল। ময়নামতি, শালবন বিহার, এবং অন্যান্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এই জেলার সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরে। কুমিল্লা শিল্প, কৃষি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়েও এগিয়ে রয়েছে। এখানকার ইপিজেড, রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প এবং কৃষিপণ্য উৎপাদন উল্লেখযোগ্য। একটি বিভাগীয় শহর হিসেবে কুমিল্লার অর্থনৈতিক সক্ষমতা আরও বাড়বে।
৪. শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে এখানে। একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠা হলে এই অঞ্চলের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি পাবে, উন্নয়ন প্রকল্প আরও কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হবে।
৫. দূরত্ব ও প্রশাসনিক জটিলতা কমবে:
চট্টগ্রাম বিভাগের অংশ হিসেবে বর্তমানে কুমিল্লা অনেক প্রশাসনিক কাজে চট্টগ্রাম নির্ভরশীল। কিন্তু কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব প্রায় ২০০ কিলোমিটার। ফলে সাধারণ মানুষকে বিভাগীয় কাজের জন্য ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিভাগ স্থাপন হলে এই জটিলতা দূর হবে।
৬. জনআকাঙ্ক্ষা ও দীর্ঘদিনের দাবি:
কুমিল্লাকে বিভাগ করার দাবি অনেক পুরনো এবং জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য। এই দাবি শুধু রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক নয়, বরং এটি স্থানীয় মানুষের আত্মপরিচয়, মর্যাদা ও উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের এমন যৌক্তিক দাবি উপেক্ষা করা অনুচিত।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলায় সংসারের খরচ চাওয়ায় মাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাতে উপজেলার সাতানি ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মঞ্জুরা বেগম (৬৫) ওই গ্রামের শান্তি মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শান্তি মিয়ার দুই ছেলে তিন মেয়ে। ছোট ছেলে প্রবাসী বাবুল মিয়া বাহরাইনে থাকেন। আর বড় ছেলে নবীর হোসেন স্থানীয় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। শান্তি মিয়ার বয়স হয়েছে, উপার্জন করতে পারেন না। সাংসারিক খরচের জন্য তাকিয়ে থাকেন দুই ছেলের দিকে। ছোট ছেলে প্রবাস থেকে মাস শেষে টাকা পাঠালেও বড় ছেলে খুব একটা সংসার খরচ দেন না। এতে করে কয়েকদিন পর পরই বড় ছেলে নবীর হোসেনের সঙ্গে তার বাবা মায়ের ঝগড়া লাগতো। এর আগেও কয়েকবার সাংসারিক খরচ নিয়ে নবীর হোসেনের সঙ্গে তার মায়ের কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয়রা বসে সমস্যার সমাধান করেন।
মঙ্গলবার রাতে সংসারের খরচ চাওয়ায় নবীর হোসেন তার মাকে গালিগালাজ করেন। শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে চেয়ার দিয়ে মাকে মারধর করতে শুরু করেন। এই সময় তার বাবা শান্তি মিয়া বাধা দিলে তাকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে মা মঞ্জুরা বেগমকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে মা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তিতাস উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাতেই ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে সকালে পুলিশ এসে মঞ্জুরা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
কুমিল্লা তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষ্ণ কান্তি দাস বলেন, সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন আমরা পাইনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মূল ঘটনা জানা যাবে। আমরা এই বিষয়ে তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় ৪৭ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি।
আজ সোমবার কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার চাঁনপুর এলাকা থেকে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১০ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর আলী এজাজ ।
জানা গেছে, সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার চাঁনপুর এলাকায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বিজিবি। এসময় সীমান্তবর্তী চাঁনপুর এলাকায় বিজিবির অভিযান টের পেয়ে সড়কের পাশে সিএনজি ভর্তি শাড়ি রেখে পালিয়ে যায় চোরাকারবারীরা। পরে একটি সিএনজিকেসহ ৪৫৫ পিস বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় শাড়ি আটক করে। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানিয়েছে বিজিবি।
১০ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর আলী এজাজ জানান, বিজিবির উদ্ধার করা ৪৫৫টি ভারতীয় শাড়ির আনুমানিক মূল্য সাতচল্লিশ লাখ নব্বই হাজার টাকা। আটককৃত পণ্য কাস্টমস এ জমা করার প্রক্রিয়া চলমান।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার তিতাসে পরকীয়ার জের ধরে মো: নজরুল ভূঁইয়া নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রেমিকা ও তার স্বামী। এ ঘটনায় তিতাস থানা পুলিশ প্রেমিকা স্মৃতি ও তার স্বামী মো: হোসেন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহত নজরুল ভূঁইয়া উপজেলার সাহাবৃদ্দি গ্রামের মো: হানিফ ভূঁইয়ার ছেলে। সে পোশায় একজন ট্রাক্টর গাড়ির চালক ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ আগষ্ট রাত ১০ টায় নজরুল ভূঁইয়া (৩৫) দোকানে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরে ৮ আগস্ট নজরুলের পিতা হানিফ ভূইয়া তিতাস থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তিতাস থানা পুলিশ জিডি মুলে নজরুলের ব্যবহৃত মোবাইলের সিম দিয়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নিখোঁজের রহস্য উদঘাটন করে রবিবার (১০ আগস্ট) উপজেলার মজিদপুর গ্রামের মজু মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক মো: হোসেন (৩২) ও তার স্ত্রী স্মৃতিকে (২৭) আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা নজরুলকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ৪ টুকরো করে বস্তাবন্দি করে লাশ খালে ফেলে দিয়েছে বলে স্বীকার করেছে।এই ঘটনায় পুলিশ নিহতের হাত দুটো উদ্ধার করেছে। শরীরের অন্যান্য অংশ উদ্ধারে পুলিশ চেষ্টা করছে।
নিহতের বাবা হানিফ ভূঁইয়া জানান, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদ উল্যাহ বলেন, নজরুল (৬ আগস্ট) রাত আনুমানিক ১০টায় ঘর থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি, পরে (৮ আগস্ট) নজরুলের পিতা হানিফ ভূইয়া থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেছেন, তারই সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আটককৃত সৃতি আক্তারকে শনাক্ত করে তাকে এবং তার স্বামী হোসেনকে রবিবার ভোর রাতে আটক করে থানায় নিয়ে এসে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নজরুলকে কুপিয়ে হত্যা করে চার টুকরো করে চারটি বস্তাবন্দি করে খালে ফেলে দিয়েছে বলে তারা স্বীকার করেছে। তাদের স্বীকারোক্তি মতে পুলিশ নিহতের হাত দুটো খাল থেকে উদ্ধার করেছে। শরীরের অন্যান্য অংশ উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
মন্তব্য করুন


বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও চিকিৎসাধীন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সাথে মতবিনিময় করেছেন ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম।
আজ রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩ টায় প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় সমন্বয়ক, আহত ও চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীরা তাদের স্মৃতিচারণ করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন দাবী উপস্থাপন করেন।
ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের সকল কথা শুনেছি। সকল দাবীই যৌক্তিক। আমাদের এসব দাবী পূরণের তীব্র ইচ্ছা থাকলেও সক্ষমতা কম রয়েছে। দুটি হলের নাম অফিসিয়ালি পরিবর্তন করতে একটু সময়ের দরকার। আবদুল কাইয়ুমের স্মৃতি স্মরণীয় করে রাখার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার ইচ্ছা থাকলেও আমাদের সক্ষমতা সীমিত। কারণ এসব চিকিৎসা অনেক ব্যয় বহুল। তবে আমরা আহতদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার জন্য উপদেষ্টাদের কাছে তা পাঠিয়ে দেবো। সেখান থেকে তাঁরা সাহায্য করবেন বলে আমরা আশাবাদী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সকল দাবী পূরণে চেষ্টা করবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসান উল্যাহ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ৫ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৭ জন।
শুক্রবার (১৭ মে) ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় গাড়ির ভেতর থেকে নিহত পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ত্রিনাথ চন্দ্র সাহা বলেন, ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী রিলাক্স পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ৫ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকা থেকে একজন গর্ভবতী মহিলাকে উদ্ধার করে শহরে নিয়ে আসা হয়।
মঙ্গলবার ৩ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা বৈষম্য বিরতি ছাত্র আন্দোলন রেসকিউ টিমের অভিযানে গর্ভবতী মহিলাকে উদ্ধার করে এনে পরবর্তীতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
শুধু
হাসপাতাল পর্যন্ত আনাই নয় বরং হাসপাতালে নিয়ে আসার পর প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসার ব্যবস্থা
করে দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লার মেডিকেল টিমের সদস্যরা।
এসময় কুমিল্লা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেডিকেল টিম ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন উদ্ধারকারী টিমের সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্ণেল হাসনাত এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যসহ অন্যান্যরা।
সর্বশেষ সূত্রমতে জানা যায়, উদ্ধার করে আনা গর্ভবতী মহিলা দরিদ্র এবং অভিভাবকহীন। তাই তার চিকিৎসার সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করে উক্ত মেডিকেল টিমের কয়েকজন সদস্য।
এবং
উক্ত মহিলার হাসপাতালে অবস্থানকালে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সকল সমস্যা সমাধান এবং সকল
সুযোগ-সুবিধা প্রদানে সবকিছু তদারকির জন্য একটি টিম সার্বক্ষণিক তৎপর আছে ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার বুড়িচংয়ে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মামুনকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মামুন ময়নামতি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ময়নামতি ইউনিয়নের আকাবপুর গ্রামের মো. আব্দুল মান্নানের ছেলে।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বুড়িচং থানার ওসি মোহাম্মদ আজিজুল হক জানান, মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ছিনতাই, ভাঙচুর ও কেন্দ্র দখল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হামলা, মাদক, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ অন্তত ৮ মামলা রয়েছে। ।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক :
শনিবার (২৯ নভেম্বর) সারাদিন সদর ও সদর দক্ষিণ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছে মনিরুল হক চৌধুরী। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া আয়োজন করা হয়।
সকাল ১০ টায় তিনি সদর দক্ষিণ উপজেলার বারোপাড়া ইউনিয়নের বড় ধর্মপুর এলাকায় ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
পরবর্তীতে দুপুর ১২ টায় বিশ্বরোডস্থ কার্যালয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন।
বিকেলে গোলমার্কেট বড় মসজিদে আসরের নামাজ পড়ে মহানগর বিএনপি আয়োজিত দোয়া মিলাদে অংশ নেন। কয়েক হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে মোনাজাত করেন মনিরুল হক চৌধুরী। দেশনেত্রীর সুস্থতা কামনায় মোনাজাতে কাঁদলেন তিনি।
দোয়া মিলাদ শেষে নগরীর কাটাবিল, নুরপুর, গোলমার্কেট এলাকায় ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন।
দোয়া ও লিফলেট বিতরণে অংশ নেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমির, সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফারুক চৌধুরী, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ফয়সালুর রহমান পাভেল, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সিনিয়ার যুগ্ন আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আতিক সেলিম রুবেল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাদিমুল ইসলাম শিশির, সাবেক কাউন্সিলর সেলিম খান, খলিলুর রহমান মজুমদার, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক শিল্পীসহ মহানগর ও দক্ষিণ জেলার নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
জাতীয় নাগরিক পার্টি'র (এনসিপি'র) কেন্দ্রীয় সদস্য সালাউদ্দিন জামিল সৌরভ বলেছেন, বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোকে আরও কার্যকর ও জনবান্ধব করার লক্ষ্যে বিভাগ সংখ্যা বৃদ্ধি একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। এই প্রেক্ষাপটে কুমিল্লাকে বিভাগ ঘোষণা করার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই চলমান। দেশের পূর্বাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসেবে কুমিল্লা একটি পূর্ণাঙ্গ বিভাগের মর্যাদা পাওয়ার উপযুক্ততা বহু আগে থেকেই অর্জন করেছে।
১. ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রশাসনিক গুরুত্ব:
কুমিল্লা দেশের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত এবং এর আশপাশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও লাকসাম-নাঙ্গলকোট অঞ্চলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এই অঞ্চলগুলো মিলে একটি স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক বলয় তৈরি করে, যা একটি আলাদা বিভাগের প্রাকৃতিক কাঠামো উপস্থাপন করে।
২. জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয়তা:
কুমিল্লা জেলা নিজেই বাংলাদেশের অন্যতম জনবহুল জেলা। কুমিল্লা অঞ্চল ও আশেপাশের জেলা মিলে জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটির কাছাকাছি। একটি বিভাগের মূল লক্ষ্য হলো প্রশাসনিক সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। ঢাকা বা চট্টগ্রামের মতো বড় বিভাগগুলোর তুলনায় এই অঞ্চলকে একটি আলাদা বিভাগে উন্নীত করলে জনগণের ওপর প্রশাসনিক চাপ কমবে এবং সেবা পৌঁছাবে আরও দ্রুত।
৩. অর্থনৈতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব:
কুমিল্লা প্রাচীন কালে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছিল। ময়নামতি, শালবন বিহার, এবং অন্যান্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এই জেলার সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরে। কুমিল্লা শিল্প, কৃষি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়েও এগিয়ে রয়েছে। এখানকার ইপিজেড, রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প এবং কৃষিপণ্য উৎপাদন উল্লেখযোগ্য। একটি বিভাগীয় শহর হিসেবে কুমিল্লার অর্থনৈতিক সক্ষমতা আরও বাড়বে।
৪. শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে এখানে। একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠা হলে এই অঞ্চলের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি পাবে, উন্নয়ন প্রকল্প আরও কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হবে।
৫. দূরত্ব ও প্রশাসনিক জটিলতা কমবে:
চট্টগ্রাম বিভাগের অংশ হিসেবে বর্তমানে কুমিল্লা অনেক প্রশাসনিক কাজে চট্টগ্রাম নির্ভরশীল। কিন্তু কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব প্রায় ২০০ কিলোমিটার। ফলে সাধারণ মানুষকে বিভাগীয় কাজের জন্য ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিভাগ স্থাপন হলে এই জটিলতা দূর হবে।
৬. জনআকাঙ্ক্ষা ও দীর্ঘদিনের দাবি:
কুমিল্লাকে বিভাগ করার দাবি অনেক পুরনো এবং জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য। এই দাবি শুধু রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক নয়, বরং এটি স্থানীয় মানুষের আত্মপরিচয়, মর্যাদা ও উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের এমন যৌক্তিক দাবি উপেক্ষা করা অনুচিত।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে ও জেলা ক্রীড়া
সংস্থার সহযোগীতায় মাস ব্যাপী ডেভেলপমেন্ট
কাপ অনূর্ধ্ব ১৫ (বালক) ফুটবল
প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার
(২৫ জানুয়ারি) বিকেলে কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ
দত্ত স্টেডিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন
করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার
সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন।
জেলা
ক্রীড়া অফিসার নাজিম উদ্দিন ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের
সাধারণ সম্পাদক বাদল খন্দকার, জেলা
ফুটবল এসসোয়িশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাহের চৌধুরী সেন্টু ও জেলা ফুটবল
এসোসিয়েশনের সদস্য সারোয়ার জাহান।
প্রশিক্ষক হিসেবে রয়েছেন জেলা ফুটবল দলের কোচ সুজিত হালদার ও মাহাবুবুল আলম তুহিন। মাসব্যাপী প্রশিক্ষণের জন্য ৩০ জন খেলোয়াড়কে বাছাই করা হয়।
মন্তব্য করুন