কুমিল্লা জেলায় পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
শনিবার কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে চিফ জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কুমিল্লার আয়োজনে কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ
হাসান সিজেএ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ, কুমিল্লা
(ভারপ্রাপ্ত) নাসরিন জাহান।
উক্ত কনফারেন্সে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়, কুমিল্লার সার্বিক
কার্যক্রম সন্তোষজনক মর্মে অভিনন্দন জানানো হয় ।
সন্তোষজনক এ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান
(সিজেএ), কুমিল্লা মহোদয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী
ইমরুল হাসান এর হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্বাস উদ্দিন এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন
জেলা প্রশাসক খন্দকার মুঃ মুশফিকুর রহমান, হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত
ডিআইজি মো: খাইরুল আলম, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম বার, পিবিআই কুমিল্লা
জেলার পুলিশ সুপার, মো. মিজানুর রহমান, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের কুমিল্লা ইউনিটের পুলিশ
সুপার, একেএম জহিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ শামছুল তাবরীজ, সিভিল সার্জন
ডাঃ নাছিমা আকতার, জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম, জেলা আইনজীবী সমিতির
সভাপতি এডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লিটন ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর
আলম ভূঁইয়া এবং কুমিল্লা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতের অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট
মোঃ জসিম উদ্দিন আবাদ।
অনুষ্ঠানে বিজ্ঞ সিজিএম পারস্পরিক সহযোগীতার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ন্যায়
বিচার নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করা হয় ।
মন্তব্য করুন
চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে অর্থ আত্মসাৎকারী সংঘবদ্ধ এই প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।
সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে চাকরির বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর সক্রিয় হয়ে উঠতো একটি প্রতারক চক্র। চক্রের সদস্যরা মাঠকর্মী সেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে যে কোনো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিতো। এভাবে প্রার্থীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়ার মাধ্যমে গত কয়েক বছরে চক্রটি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
ডিবি জানিয়েছে, রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, পররাষ্ট্র অধিদপ্তর, বিআরটিসি, বিএডিসি, সচিবালয়, ব্যাংক, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস এবং বিশেষ বাহিনীর সিভিল পদে চাকরির বিজ্ঞাপন বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসার পর একটি প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠে। সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করত একটি চক্র। চক্রটি প্রত্যেক চাকরিপ্রত্যাশীর কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও এখন পর্যন্ত কাউকে চাকরি দিতে পারেনি। এভাবে গত কয়েক বছরে তারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. ফরিদুল ইসলাম (২৯), মো. নাসির চৌধুরী (৪৫), মো. নাসিম মাহমুদ (৪৩) ও জুয়েল রানা (৪৫)। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত চারটি মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু ভুয়া নিয়োগপত্র, চেক ও স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেফতাররা বেশ কিছুদিন ধরে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে দেখিয়ে প্রদানের মাধ্যমে সাধারণ চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। অনুসন্ধানে এই চক্রের বিভিন্ন ধাপ লক্ষ্য করা যায়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, কোনো চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেই এই চক্রের সদস্যরা মাঠকর্মী সেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে যে কোনো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মতো তাদের হাতে লোক রয়েছে বলে আশ্বস্ত করতো। চাকরিপ্রার্থীরা তাদের প্রস্তাবে রাজি হলে ব্লু ব্যাংক চেক, ব্ল্যাংক স্ট্যাম্প ও সিভি সংগ্রহ করার পাশাপাশি প্রত্যেকের কাছ থেকে অগ্রিম হিসেবে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা নিতো।
ডিবিপ্রধান আরো বলেন, মাঠকর্মী তার কমিশনের নির্দিষ্ট টাকা রেখে বাকি টাকা ও সিভি ফিল্ড পর্যায়ের সাব-এজেন্টের কাছে পাঠাতো। এরপর সাব-এজেন্ট সেই টাকা ও সিভি গ্রহণ করে সব চাকরিপ্রার্থীকে নির্দিষ্ট দিনে ভাইভার কথা বলে ঢাকাস্থ এজেন্টের কাছে পাঠাতো। পরে ঢাকাস্থ এজেন্ট আবাসিক হোটেলের রুমে বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আশপাশের কোনো একটি চায়ের দোকানে চাকরিপ্রার্থীদের ভাইভা পরীক্ষা নিতো। ভাইভাতে উত্তীর্ণ হয়েছে বলে প্রার্থীর কাছ থেকে ওইদিন চুক্তির ৫০ শতাংশ টাকা নিয়ে নিতো। এরপর চক্রের আরেক সদস্য চুক্তির বাকি টাকা গ্রহণ করে প্রার্থীকে নির্দিষ্ট চাকরিতে দিনে যোগদানের কথা উল্লেখ করে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একটি ভুয়া আইডি কার্ড দিয়ে পুরো টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হয়ে যেতো। অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, পরবর্তী সময়ে চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগপত্রে উল্লেখিত তারিখে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগদান করতে গেলে জানতে পারেন, প্রতারক চক্রের দেওয়া নিয়োগপত্র আর আইডি কার্ডটি ভুয়া। ততোদিনে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকার মতো। পরে চক্রটি নিজেদের মধ্যে চুক্তির টাকা ভাগাভাগি করে নিতো।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানায়, চক্রটি গত দু-তিন বছর ধরে এভাবে চাকরিপ্রত্যাশীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। তাদের ব্যবহৃত হোয়াটঅ্যাপ/মেসেঞ্জারে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তারা বিভিন্ন চাকরিপ্রত্যাশীদের বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, পররাষ্ট্র অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিআরটিসি, বিএডিসি, এলজিইডি, সচিবালয়, বিভিন্ন ব্যাংক, প্রাথমিকের পিয়ন, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস ও ওয়াসার আউটসোর্সিং এবং বিশেষ বাহিনীর সিভিল পদে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিতো।
গ্রেফতার এ চক্রে জুয়েল রানা ফিল্ড পর্যায়ে মাঠকর্মী, নাসিম মাহমুদ ফিল্ড পর্যায়ের সাব-এজেন্ট ও নাসির চৌধুরী ঢাকাস্থ সাব-এজেন্ট এবং চক্রের মূলহোতা হিসেবে ফরিদুল ইসলামের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।
১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর মামলা করেন এক ভুক্তভোগী । মামলার বাদীকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এমএলএসএস পদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। নিয়োগপত্র নিয়ে তিন মাস পরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে যোগদানের জন্য গেলে জানতে পারেন নিয়োগপত্রটি ভুয়া। পরবর্তী সময়ে আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করতে গেলে তাদের ব্যবহৃত সব মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। মামলার বাদী প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
ডিবি-সাইবারের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল হক বলেন, চক্রটি গত কয়েক বছরে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা কারে নিলেও কারও চাকরি দিতে পারেনি। পত্রিকায় চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে শুধু সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে। চাকরির ক্ষেত্রে কারও সঙ্গে কোনো লেনদেন করা যাবে না।
তিনি বলেন, গ্রেফতারদের বিরূদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আসামিদের ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সেনাসদর মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল
স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মতৎপরতায়
ঢাকাসহ সারাদেশে মব জাস্টিস, চাঁদাবাজি ও হত্যার ঘটনা আগের চেয়ে কমেছে ।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গত ৫০ দিনে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, অপরাধের হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। হটস্পটগুলো সার্বক্ষণিক ২৪ ঘণ্টা নজরদারির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
সারাদেশে মব জাস্টিসের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে
কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, শুধু মব জাস্টিস নয়, চাঁদাবাজি, চুরি, রাহাজানি ও হত্যা
আগের চাইতে কমেছে। গত দুই মাস আগে চাঁদাবাজির অভিযোগ ছিল ২৫০টি, কিন্তু বর্তমানে
কমে ১২০টিতে নেমেছে। চুরি ৮৫০টির মতো হতো, বর্তমানে ৬০০টির নিচে নেমে এসেছে। হত্যা
সাড়ে তিনশো ছিল, বর্তমানে ১২০-তে নেমেছে। সেনাবাহিনীর কর্মতৎপরতাও অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকার মোহাম্মদপুর ও বনানীতে সেনাবাহিনীর কিছু
বিপথগামী সদস্য এবং কিছু অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাদের
বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত
কমিটি গঠন করা হয়েছে। জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। আর যারা অবসরপ্রাপ্ত
সদস্য তাদের দেশের প্রচলিত আইনে বিচার করা হবে। কোনো অন্যায়কে সেনাবাহিনী কখনো
প্রশ্রয় দেয় না। সেনাবাহিনী সবসময় সততার সঙ্গে আছে এবং থাকবে। জনগণের আস্থার জায়গায়
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পাশে পাবেন।
সেনাবাহিনী মাঠে কাজ করতে গিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জের
সম্মুখীন হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী কোনো চ্যালেঞ্জ ফেস করছে
না। তবে আমরা দীর্ঘ ছয় মাস বাইরে নিয়োজিত রয়েছি। অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর
সঙ্গে সমন্বয় করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।
তিনি বলেন, ২৮ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি
পর্যন্ত ৫০ দিনে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ১৭২টি অবৈধ অস্ত্র এবং ৫২৭ রাউন্ড গোলাবারুদ
উদ্ধার করেছে।
এই সময়কালে দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে (মূলত
গাজীপুর, আশুলিয়া ও সাভার এলাকায়) ৮৮টি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং এ ধরনের
পরিস্থিতি থেকে উদ্ভুত ৩০বার মূল সড়ক অবরোধ নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী সক্রিয় ভূমিকা
রেখেছে। কারখানাগুলোকে চালু রাখার জন্য মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ, সংশ্লিষ্ট
মন্ত্রণালয়, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, বিজিএমইএসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে পদক্ষেপ
নিয়েছে। ফলে বর্তমানে দেশের ২ হাজার ৯৭টি পোশাক কারখানার মধ্যে গুটিকয়েক
(বেক্সিমকো গ্রুপ, সাউদার্ন ডিজাইনার'স লিমিটেড, স্বাধীন গার্মেন্টস প্রাইভেট
লিমিটেড এবং সেলফ ইননোভেটিভ ফ্যাশন লিমিটেড) ছাড়া সকল কারখানাই চালু রয়েছে।
শিল্পাঞ্চল ছাড়াও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গত এক
মাসে ৪২টি বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে, যার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
সংক্রান্ত ঘটনা ছিল ১৪টি, সরকারি সংস্থা/অফিস সংক্রান্ত তিনটি, রাজনৈতিক কোন্দল
৯টি এবং অন্যান্য ঘটনা ছিল ১৬টি।
বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ইজতেমা ময়দানে তুরাগ নদীর ওপর ৫টি ব্রিজ স্থাপন, বোম ডিসপোজাল
দলসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল মোতায়েন ও পর্যাপ্ত সংখ্যক সেনাসদস্য যে কোনো উদ্ভূত
পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া রাজধানীর সংস্কার
কর্মকাণ্ড যেমন- অ্যান্টি পলিঘিনি অপারেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে
পরিচালিত খাল পুনরুদ্ধার অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়েছে।
সেনাসদরের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা
রক্ষার পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন সময় যারা আহত হয়েছেন, তাদের
সুচিকিৎসার জন্য সেনাবাহিনী আজ পর্যন্ত তিন হাজার ৮৫৯ জনকে দেশের বিভিন্ন সিএমএইচে
চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে, যার মধ্যে ৪১ জন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দেশের জনগণের জানমাল এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ও স্থাপনার নিরাপত্তা প্রদানসহ সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে এ সমন্বয় ও পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করে কর্মধারা অব্যাহত রাখতে সেনাবাহিনী অঙ্গীকারবদ্ধ বলেও উল্লেখ করেন কর্নেল শফিকুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মাদরাসার শিক্ষার্থী নিখোঁজের ৯ দিন পর বাড়ির পাশের ধান ক্ষেত থেকে বস্তাবন্দি দ্বিখণ্ডিত গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহটি পচে যাওয়ায় মাথার খুলি শরীরের হাড়গুলো বস্তায় পাওয়া গেছে। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া বলা যাচ্ছে না এটা ওই নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ কিনা।
সোমবার (৩ জুন) সকালে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলিয়াপূর্বপাড়া এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এরআগে ওইগ্রামের সুমন মিয়ার মেয়ে এবং স্থানীয় হাফিজিয়া মাদরাসা ও নুরানী কিন্ডারগার্টেনের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী নওশিন ইসলাম শর্মিলা (১০) গত ২৬ মে দুপুরে নিখোঁজ হয়। ওই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার পর তাকে উদ্ধারে থানায় সাধারন ডায়রী করেন শর্মিলার বাবা সুমন মিয়া।
এদিকে ধানক্ষেতে শিশু শিক্ষার্থীর বস্তাবন্দি দ্বিখন্ডিত গলিত মরদেহ উদ্ধার হওয়ার খবরে আশপাশের শতশত মানুষ সেটি দেখতে ভীড় করেছে। এছাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারসহ জেলার উধ্বর্তন কর্মকর্তারা।
শর্মিলার চাচা কাইয়ুম মিয়া জানান, এটি শর্মিলার লাশ কি না আমরা এখনও শনাক্ত করতে পারিনি। লাশের অধিকাংশ পচে গেছে, কুকুরে টানাটানি করে সমস্ত দেহ লন্ডভন্ড করে ফেলেছে। তবে তার পড়নের লাল পায়জামার অংশ দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটিই শর্মিলার দেহ।
নিহত শর্মিলার বাবা সুমন মিয়া বলেন, কারোর সাথে কোন শত্রুতা নেই। কেউ টাকা পয়সাও পায় না। মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর কেউ মুক্তিপণ বা টাকা পয়সা চায়নি। বাড়ির আশপাশসহ বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেও তার সন্ধান পায়নি। এরপর ৩ জুন সকালে বাড়ির পাশে ধান ক্ষেতে বস্তাবন্দি মরদেহ দেখে লোকজন খবর দেয়। এরআগে ওই বস্তাটি কুকুর টানাটানি করছিল। যে নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তার কঠোর শাস্তি দাবী করি।