

র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ
অভিযানে ৪৯৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ।
শনিবার রাতে (০১ জুন ২০২৪ ইং)
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী
অভিযান পরিচালনা করে মোঃ ফারুক (৩২) ও মোঃ
ফাহিম (২১) নামক ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে র্যাব-১১, সিপিসি-২ ।
এ সময় আসামীদ্বয়ের হেফাজত হতে
৪৯৫ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়,
গ্রেফতারকৃত মোঃ ফারুক (৩২) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার ঘোষতল গ্রামের মৃত আব্দুর
রহমান এর ছেলে এবং মোঃ ফাহিম (২১) ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার খামারগাও গ্রামের
মোঃ চান মিয়া এর ছেলে।
গ্রেফতারকৃদের হতে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন
ধরে জব্দকৃত প্রাইভেটকার ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য
ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ, কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট
পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে
আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


মো. আজিজার রহমান, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের খানসামায় রমজানের শুরুতেই সিন্ডিকেটের কারণে নিত্যপণ্যের
দাম লাগামহীন। বিশেষ করে ইফতার সামগ্রীতে ব্যবহৃত বেগুনি, শসা ও লেবু দ্বিগুণের বেশি
দামে বিক্রি হচ্ছে। বাড়তি টাকা না দিলে মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল। সেই সঙ্গে পেঁয়াজ,
কাঁচা মরিচ ও মাছ-মাংসের দামও ঊর্ধ্বমুখী। ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, চার -পাঁচ দিনের ব্যবধানে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেলেও এ
ক্ষেত্রে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়নি। মূলত প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবে বিক্রেতারা
খেয়ালখুশিমতো দাম বৃদ্ধি করছেন।
জানা যায়, রমজানে ইফতার সামগ্রী
তৈরিতে ছোলা, বেগুনি, শসা, কাঁচা মরিচ, লেবু ও ভোজ্যতেলের চাহিদা বেশি থাকে। এর মধ্যে
বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও বেগুনি, শসা ও লেবুর দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
খানসামা উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এখানে প্রকারভেদে বেগুন কেজিপ্রতি ৬০-৭০
টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ২৫-৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতো। তবে বাজারে স্থিতিশীল
রয়েছে খেজুর, ছোলা, চিড়া, মুড়ি, গুড় প্রভৃতি পণ্যের দাম।
শসা কেজিপ্রতি ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি
হচ্ছে, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২৫-৩০ টাকায়। লেবুর হালি গত সপ্তাহে ১৫-২০ টাকায় বিক্রি
হলেও এখন তা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে ২৫-৩০ টাকা বৃদ্ধি
পেয়ে ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ছোলা প্রতি কেজি ১১০-১২০ টাকা, বেসন কেজি মানভেদে
৮০-১২০ টাকায়, চিনি ১২০ টাকা ও খেসারির ডাল ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জানা যায়, রমজান ঘিরে পর্যাপ্ত
আমদানি হলেও বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট চলছে। অধিকাংশ দোকানে বোতলজাত তেল পাওয়া
যাচ্ছে না। যাদের দোকানে পাওয়া যায় সেখানেও নির্ধারিত দামের তুলনায় বেশি রাখা হচ্ছে।
বোতলজাত সয়াবিন তেল সংকটে দাম বাড়িয়ে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে খোলা সয়াবিন
তেল।
অন্যদিকে উপজেলার পাকেরহাট বাজার ঘুরে জানা যায়, ব্রয়লার মুরগি কাটা কেজিপ্রতি ২৭০-২৮০ টাকা, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৭০-৩৮০ টাকা ও লেয়ার কাটা প্রতি কেজি
৪৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। পাল্পা
দিয়ে বাড়ছে মাছের দামও।
দিনমজুর রাসেল রানা জানান, রাজনৈতিক
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভেবেছিলাম এ বছর রমজানে বাজার স্বাভাবিক থাকবে। কিন্তু চাহিদা
বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও বেড়ে যাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গরুর মাংস ৭০০ টাকা দরে
বাজারে বিক্রি হচ্ছিল। সে কারণে মুরগিও বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। বাজারে কোনো মনিটরিং
ব্যবস্থা নেই। সাধারণ মানুষকে বেশি দাম দিয়ে পণ্য কিনতে হয়।
এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সোমবার (৩ মার্চ)দুপুরে খানসামা
উপজেলার পাকের হাট, চেহেলগাজী বাজার, ও খানসামা
বাজারে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)
কামরুজ্জামান সরকার, দিনাজপুর জেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক
মোঃ বোরহান উদ্দিন,পুলিশ ও আনছারসহ মনিটরিং অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিভিন্ন দোকানে পণ্যের দাম,
মান, মূল্য তালিকা, পণ্যের সরবরাহ ইত্যাদি বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়। তবে ধারাবাহিক মনিটরিং
না থাকায় সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন ভুক্তভোগীরা।
দিনাজপুর জেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক
মোঃ বোরহান উদ্দিন বলেন, রমজানে সিন্ডিকেটে যেন পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা না হয় সে জন্য
নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। কোনো ধরনের অনিয়ম হলে সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


পাওনা
৩৬ হাজার টাকা না দেওয়ায় পরকীয়া প্রেমিকের হাতে খুন হয় কুমিল্লা হোমনা উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া
ইউনিয়নের ঘাগুটিয়া গ্রামের শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে
সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
হত্যাকাণ্ডের
পরই রহস্য উদঘাটনে এবং খুনিকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ।
এর একদিন পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে হোমনার শ্রীমদ্দি চরেরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূলহোতা আক্তার হোসেনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আক্তার হোসেন (২৭) হোমনা শ্রীমদ্দি চরের গাঁও এলাকার হক মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর হত্যাকারী আক্তার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, নিহত মাহমুদার সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর মাহমুদা তার পরকীয়া প্রেমিক আক্তার হোসেনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা ধার নিতো। সর্বশেষ আক্তার হোসেনের নিহত মাহমুদার কাছে ৩৬ হাজার টাকা পাওনা ছিল। আক্তার সেই টাকা মাহমুদার কাছে ফেরত চাইলে টাকা ফেরত দেব-দিচ্ছি করে আক্তারকে ঘোরাতে থাকেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কয়েক দফা বাগবিতণ্ডা হয়।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আক্তারকে তার পাওনা টাকা ফেরত দেবেন বলে বাড়িতে ডাকেন মাহমুদা। পরে রাতে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন মাহমুদা, হত্যাকারী আক্তার, মাহমুদার ছেলে সাহাত এবং মাহমুদার ভাতিজি তিশা।
খাওয়া শেষে তিশা ও সাহাত ঘুমিয়ে পড়ে। তখন আক্তার তার পাওনা টাকা ফেরত চাইলে মাহমুদা রাগারাগি করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ফের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে মাহমুদাকে মাথায় আঘাত করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন আক্তার। আর ভাবতে থাকেন তিশা ও সাহাত তো সন্ধ্যায় তাকে দেখেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা যদি আক্তারের কথা বলে দেয় সেই আশঙ্কা থেকে তাদের দুজনকেও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে মরদেহ তিনটি এক খাটের ওপর রেখে পালিয়ে যান তিনি।
হোমনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, তিনজনকে হত্যার ঘটনায় নিহত মাহমুদার বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করার পর ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে নামে পুলিশ। তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ হত্যাকারী আক্তারকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাতে আক্তারকে তার নিজবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার বিকেলে আদালতে তোলা হলে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এর আগে, বুধবার রাতের কোনো একসময় তিনজনকে হত্যা করে মরদেহ একটি খাটের ওপর ফেলে রাখা হয়।
নিহতরা হলেন বড় ঘাগুটিয়া এলাকার মো. শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
এ
ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতেই নিহত মাহমুদার বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি
হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘাতক আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে শনিবার বিকেলে তাকে আদালতে তোলা হয়।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশে ১০ থেকে ১২ হাজার চীনা নাগরিক অবস্থান করছেন। তাদের অনেকে অবৈধভাবে বসবাস করছেন।
চীনে পড়তে গিয়ে প্রতারক চক্রের খপ্পর পড়ে প্রতারণায় জড়ানো তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাকিবুল ইসলাম রাতুল (২৪), আসাদুজ্জামান রাজু (২৯) ও মামুন হাওলাদার (২৭)।
দেশে অবস্থান করা এই চাইনিজরা পেতেছেন বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদ। বাংলাদেশি যেসব শিক্ষার্থীরা চীনে পড়তে যান, তাদের নিয়ে প্রতারণার এই চক্র গড়ে তুলছেন সেই সব চীনা নাগরিকরা। তারা বিভিন্ন অ্যাপস খুলে, জুয়ার সাইট চালিয়ে এবং অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের লোভে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিমানবন্দর থানা এলাকায় অভিযান তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
ডিবি জানায়, ভুয়া সাইট খুলে কোটি কোটি টাকা নেওয়া চক্রের দুই চাইনিজ নাগরিকসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেটির তদন্ত করতে গিয়ে নতুন করে এই চক্রের সন্ধান মেলে। গ্রেপ্তার তিনজন জানিয়েছেন অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের লোভে ফেলে অ্যাপ খুলে জুয়ার সাইট চালিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রে জড়িয়েছিলেন তারা।
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যায়। তার মধ্যে বৃহৎ অংশ চীনে মেডিকেল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য যায়। তাদের একটা বড় অংশ চাইনিজ ভাষায় পারদর্শী হয়ে উঠে এবং চাইনিজ বিভিন্ন প্রতারক চক্রের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে। আর এ চক্রের মূলহোতা হচ্ছে চীনা নাগরিকরা। তারা ভালো বাংলা বা ইংরেজি বলতে পারেন না। তখন চীনে পড়তে চাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের টার্গেট করেন। তারা চাইনিজ ভাষায় পারদর্শী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দিয়ে বিভিন্ন প্রতারণার কাজটি করে আসছেন।
তিনি বলেন, অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের লোভে ফেলে, অ্যাপ ও জুয়ার সাইট খুলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন চীনা নাগরিকরা। কারণ প্রত্যেকটি প্রতারণার সাইটের অ্যাডমিন চীনে।
চক্রটি চীনেও এসব প্রতারণায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাজে লাগায়। আবার কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে প্রতারণা শিখিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। এরপর সেসব শিক্ষার্থীরা বেনামি সিম সংগ্রহ করে বিকাশ নগদসহ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে নেয়।
এ প্রতারণার মূল পরিকল্পনাকারী দুই চাইনিজ গাগা ও চিং চং (Gaga, Chig Chog)। তারা প্রতারণার জন্য চীনে একটি সার্ভার স্থাপন করেছেন। আর সেসব প্রতারণার টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে তাদের দেশে নিয়ে যাচ্ছে।
গ্রেপ্তার তিন শিক্ষার্থীর বিষয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, গ্রেপ্তার রাতুল, রাজু, মামুন বাংলাদেশ থেকে পড়ালেখার জন্য চীনে গিয়ে চাইনিজ ভাষা শিখে প্রতারক চক্রের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে চীনারা তাদের বলে যে তারা কিছু অ্যাপস তৈরি করেছেন। অ্যাপস ব্যবহার করে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। তাদের সেই কার্যক্রমে কিছু বাংলাদেশি সিম, বিকাশ/নগদ অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন। স্বল্প সময়ে অধিক উপার্জনের আশায় এই প্রতারণায় যুক্ত হয়ে চীনা নাগরিকদের বাংলাদেশি সিম বিকাশ/নগদ অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সরবরাহ করে।
প্রতারণার প্রক্রিয়া সম্পর্কে হারুন বলেন, রাতুল, রাজু, মামুন অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং, অনলাইন ফিনান্সিং, বেটি সাইট, সি-ফাইন্যান্স, লোন অ্যাপস, হানি ট্র্যাপে সরাসরি জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতরা চাইনিজ প্রতারক চক্রের হয়ে বাংলাদেশি এজেন্ট হিসাবে কাজ করে আসছিল। চক্রটি মানুষকে অনলাইনে টাকা উপার্জনের কিংবা পার্টটাইম চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়।
মন্তব্য করুন


জেলার মোল্লাহাটে বিয়ে বাড়িতে কনে পক্ষের হামলায় বরের ভগ্নীপতি আজিজুল হক নিহতের ঘটনায় কনের বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে বিকেলে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আছাদুল ইসলাম আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মোল্লাহাট উপজেলার আংড়া গ্রামে কনে পক্ষের হামলায় বরের দুলাভাই নিহত হন। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে উপজেলার আংড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মোল্লাহাট উপজেলার আংড়া গ্রামের শাহদাত মুন্সি ও তার স্ত্রী পপি বেগম। নিহত আজিজুল হক খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার ইছামতি গ্রামের শাহাদাত মোল্লার ছেলে এবং বরের ভগ্নীপতি।
পুলিশ জানায়, মোল্লাহাট উপজেলার গাংনি গ্রামের মোহাম্মাদ আলী গাজীর ছেলের সঙ্গে আংড়া এলাকার শাহাদাত মুন্সির মেয়ের বিয়ের কথা হয়েছিল। বরের পছন্দ হলে বিয়ে হবে এই শর্তে শুক্রবার সন্ধ্যায় কনের বাড়িতে যায় বর পক্ষ। দাতে সমস্যা থাকায় মেয়ে পছন্দ হয়নি বলে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বর হাফিজুর রহমান গাজীসহ অন্যরা চলে আসার চেষ্টা করে। এ সময় কনে পক্ষের হামলায় বরের ভগ্নীপতি আজিজুল হক নিহত হন। পরে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শীলা বেগম বাদী হয়ে মোল্লাহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
বরের বাবা মোহাম্মাদ আলী গাজী বলেন, মেয়ে পক্ষের সঙ্গে কথা ছিল ছেলের যদি মেয়ে পছন্দ হয় তাহলে বিয়ে করবে। ছেলের যখন মেয়ে পছন্দ হয়নি, তখন চলে আসছিলাম। কিন্তু মেয়ে পক্ষ আমাদের ওপর হামলা করে। তাদের হামলায় আমার বড় জামাতা নিহত হয়েছেন। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আশরাফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এজাহার নামীয় দুই জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মন্তব্য করুন


ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ফিরে আসছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুরে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, সেনাবাহিনীকেও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যেন কার্যক্রমগুলো দ্রুত হয়। এছাড়া
সারাদেশে যে মামলাগুলো রয়েছে, এর মধ্যে অনেকগুলোই গ্রহণযোগ্য নয়। সে ক্ষেত্রে আমাদের আহ্বান রয়েছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই যেন মামলাগুলো করা হয়। সেই মামলার ভিত্তিতেই যেন পুলিশসহ প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে ও জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রাষ্ট্রীয় সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে নাহিদ বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের ৬টি সংস্কার কমিটি হয়েছে। বৃহস্পতিবার কমিটির সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে। অক্টোবর মাস থেকেই সংস্কার কমিটির কার্যক্রম শুরু হবে। শিক্ষা ও গণমাধ্যমসহ আরও কিছু সংস্কার কমিশন গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে। কমিশনগুলো সংশ্লিষ্ট ও অভিজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রূপরেখা তৈরি করবে। তখন সব রাজনৈতিক ও সামাজিক পক্ষ মিলেই আমরা রূপরেখা অনুযায়ী সংস্কার কার্যক্রম শুরু করব।
তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের বড় দুর্যোগ এসেছে আমাদের দেশে। আমরা দেখেছি, এ দুর্যোগে দেশের জনগণ সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে। ছাত্ররাসহ একত্রে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জনগণ ও প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, এখন আমরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের কার্যক্রমের দিকেই যাচ্ছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজটি এগিয়ে নিতে আমরা কাজ করছি। পানি কমছে, মানুষজনও আশ্রয়কেন্দ্র থেকে চলে যাচ্ছে। লক্ষ্মীপুরে পানি দেরি করে কমছে, কারণ এখানে খালগুলো দখল হয়ে গেছে। সে খালগুলো যদি দখলমুক্ত করা যায়, তাহলে তা দীর্ঘমেয়াদি সুরাহা হবে। এখানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের গৃহ নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে বরাদ্দ পাঠানো হয়েছে। সে বরাদ্দ অনুযায়ী খুব শিগগিরই গৃহ নির্মাণ করা হবে। জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসনের জন্য শিক্ষা-স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে এ জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করার জন্য সরকার সার্বিকভাবে কাজ করবে।
লক্ষ্মীপুরে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে এসময় উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার, জেলা পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভি দাশ ও সদর মডেল থানার ওসি ইয়াছিন ফারুক মজুমদার প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


রোববার ও সোমবার একটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদ
বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৩।
রোববার জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধান বিচারপতির অভিপ্রায়
অনুযায়ী আপিল বিভাগে রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমানকে কুমিল্লায় বদলি করা
হয়েছে। আর আপিল বিভাগের নতুন রেজিস্ট্রার হয়েছেন রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান।
জুডিসিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের বর্তমান কর্মস্থল থেকে বদলি করে
পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নামের পাশে বর্ণিত পদে প্রেষণে নিয়োগে তাদের
চাকরি প্রধান বিচারপতির অধীনে ন্যস্ত করা হলো।
এদিকে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক
(জেলা জজ) মুহা. হাসানুজ্জামানকে আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার পদে, নওগাঁর অতিরিক্ত
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমতিয়াজুল ইসলাম ও বাগেরহাটের অতিরিক্ত চিফ
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুস সামাদকে হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদে
বদলি করা হয়েছে।
সোমবার জারি করা প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে
পরামর্শক্রমে জুডিসিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের বর্তমান কর্মস্থল থেকে বদলি করে
পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নামের পাশে বর্ণিত পদে ও কর্মস্থলে নিয়োগ বা বদলি
করা হলো।
আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমানকে কুমিল্লার
জননিরাপত্তা অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) পদে, কুমিল্লার
জননিরাপত্তা অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) বেগম মরিয়ম মুন মুঞ্জুরীকে
রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) পদে,
হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো.মিজানুর রহমানকে রাজশাহীর যুগ্ম জেলা জজ
পদে, রাজশাহীর যুগ্ম জেলা জজ মো. আফাজ উদ্দিনকে রংপুরের যুগ্ম জেলা জজ পদে
এবং হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো.শামীম সুফীকে আইন মন্ত্রণালয়ের
সংযুক্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


সেনাসদর মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল
স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মতৎপরতায়
ঢাকাসহ সারাদেশে মব জাস্টিস, চাঁদাবাজি ও হত্যার ঘটনা আগের চেয়ে কমেছে ।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গত ৫০ দিনে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, অপরাধের হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। হটস্পটগুলো সার্বক্ষণিক ২৪ ঘণ্টা নজরদারির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
সারাদেশে মব জাস্টিসের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে
কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, শুধু মব জাস্টিস নয়, চাঁদাবাজি, চুরি, রাহাজানি ও হত্যা
আগের চাইতে কমেছে। গত দুই মাস আগে চাঁদাবাজির অভিযোগ ছিল ২৫০টি, কিন্তু বর্তমানে
কমে ১২০টিতে নেমেছে। চুরি ৮৫০টির মতো হতো, বর্তমানে ৬০০টির নিচে নেমে এসেছে। হত্যা
সাড়ে তিনশো ছিল, বর্তমানে ১২০-তে নেমেছে। সেনাবাহিনীর কর্মতৎপরতাও অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকার মোহাম্মদপুর ও বনানীতে সেনাবাহিনীর কিছু
বিপথগামী সদস্য এবং কিছু অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাদের
বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত
কমিটি গঠন করা হয়েছে। জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। আর যারা অবসরপ্রাপ্ত
সদস্য তাদের দেশের প্রচলিত আইনে বিচার করা হবে। কোনো অন্যায়কে সেনাবাহিনী কখনো
প্রশ্রয় দেয় না। সেনাবাহিনী সবসময় সততার সঙ্গে আছে এবং থাকবে। জনগণের আস্থার জায়গায়
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পাশে পাবেন।
সেনাবাহিনী মাঠে কাজ করতে গিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জের
সম্মুখীন হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী কোনো চ্যালেঞ্জ ফেস করছে
না। তবে আমরা দীর্ঘ ছয় মাস বাইরে নিয়োজিত রয়েছি। অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর
সঙ্গে সমন্বয় করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।
তিনি বলেন, ২৮ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি
পর্যন্ত ৫০ দিনে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ১৭২টি অবৈধ অস্ত্র এবং ৫২৭ রাউন্ড গোলাবারুদ
উদ্ধার করেছে।
এই সময়কালে দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে (মূলত
গাজীপুর, আশুলিয়া ও সাভার এলাকায়) ৮৮টি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং এ ধরনের
পরিস্থিতি থেকে উদ্ভুত ৩০বার মূল সড়ক অবরোধ নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী সক্রিয় ভূমিকা
রেখেছে। কারখানাগুলোকে চালু রাখার জন্য মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ, সংশ্লিষ্ট
মন্ত্রণালয়, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, বিজিএমইএসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে পদক্ষেপ
নিয়েছে। ফলে বর্তমানে দেশের ২ হাজার ৯৭টি পোশাক কারখানার মধ্যে গুটিকয়েক
(বেক্সিমকো গ্রুপ, সাউদার্ন ডিজাইনার'স লিমিটেড, স্বাধীন গার্মেন্টস প্রাইভেট
লিমিটেড এবং সেলফ ইননোভেটিভ ফ্যাশন লিমিটেড) ছাড়া সকল কারখানাই চালু রয়েছে।
শিল্পাঞ্চল ছাড়াও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গত এক
মাসে ৪২টি বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে, যার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
সংক্রান্ত ঘটনা ছিল ১৪টি, সরকারি সংস্থা/অফিস সংক্রান্ত তিনটি, রাজনৈতিক কোন্দল
৯টি এবং অন্যান্য ঘটনা ছিল ১৬টি।
বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ইজতেমা ময়দানে তুরাগ নদীর ওপর ৫টি ব্রিজ স্থাপন, বোম ডিসপোজাল
দলসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল মোতায়েন ও পর্যাপ্ত সংখ্যক সেনাসদস্য যে কোনো উদ্ভূত
পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া রাজধানীর সংস্কার
কর্মকাণ্ড যেমন- অ্যান্টি পলিঘিনি অপারেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে
পরিচালিত খাল পুনরুদ্ধার অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়েছে।
সেনাসদরের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা
রক্ষার পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন সময় যারা আহত হয়েছেন, তাদের
সুচিকিৎসার জন্য সেনাবাহিনী আজ পর্যন্ত তিন হাজার ৮৫৯ জনকে দেশের বিভিন্ন সিএমএইচে
চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে, যার মধ্যে ৪১ জন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দেশের জনগণের জানমাল এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ও স্থাপনার নিরাপত্তা প্রদানসহ সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে এ সমন্বয় ও পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করে কর্মধারা অব্যাহত রাখতে সেনাবাহিনী অঙ্গীকারবদ্ধ বলেও উল্লেখ করেন কর্নেল শফিকুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন


জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা জালিয়াতি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ।
আগামীকাল দ্বিতীয় ধাপের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের (খুলনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ বিভাগ) লিখিত পরীক্ষায় ২০-২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে টিকিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেন তারা।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন-জয়পুরহাটের পাঁচবিবি কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ মো. রুস্তম আলী, মো. ইশান ইমতিয়াজ, গোকুল, বগুড়া সদর এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের রোকনুজ্জামান। গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত লিখিত পরীক্ষার প্রাক্কালে জালিয়াতিচক্রের এ ধরনের প্রলোভনে কান না দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। জালিয়াতি চক্রের কোনো তৎপরতার সন্ধান পাওয়া গেলে নিকটস্থ থানায় অভিযোগের পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, প্রথম পর্বের পরীক্ষার সময়ও এ ধরনের চক্র সক্রিয় ছিল। আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর সজাগ ও সতর্ক ভূমিকার কারণে তাদের অপপ্রয়াস ব্যর্থ হয়েছে। সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় যেকোনো ধরনের অনিয়ম ঠেকানোর জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আগামীকালের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করুন


ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ফেসবুকে সহজে বিদেশে চাকরির প্রলোভনের ফাঁদ পাতা নারী ও শিশুপাচার চক্রের সন্ধান পেয়েছে । রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে দুই কিশোরী নিখোঁজের ঘটনা তদন্তে নেমে এ চক্রের সন্ধান পান গোয়েন্দারা।
চক্রের মাস্টারমাইন্ড আনারুল। আর তার অন্যতম সহযোগী তার আপন বড়ভাই কবির হোসেন। আনারুল এলাকায় গরুর খামারের আড়ালে এ চক্রটি চালিয়ে আসছিলেন। আর কবির গাড়িচালক বেশে চক্রের সংগ্রহ করা নারী ও শিশুদের পাচার করতেন। চক্রটি অন্তত শতাধিক নারীকে পাচার করেছে বলে দাবি করেছে ডিবি।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার ভারতীয় সীমান্তের জিরোপয়েন্ট লাগোয়া গ্রাম কেরাগাছি এলাকার আব্দুল হামিদের দুই ছেলের নেতৃত্বে চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে কম বয়সী নারী ও শিশুদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে সীমান্ত দিয়ে পাচার করে আসছিল। কবির হোসেনকে গ্রেফতার করলেও চক্রের মাস্টারমাইন্ড আনারুল পলাতক।
পাচার হওয়া থেকে উদ্ধার হয়েছেন খুলনা জেলার দৌলতপুর থানার কালিবাড়ি এলাকার জনি হাওলাদারের স্ত্রী সিমা আক্তার ও তার ১০ বছর বয়সী ছেলে নবাব শেখ। মা-ছেলেকে পাচার চক্রের সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় নিয়ে গেলেও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ ফজলে এলাহী ও তার টিমের দক্ষতায় বেঁচে যান তারা।
জানা গেছে, সিমাকে ফেলে স্বামী অন্যত্র চলে যাওয়ায় একমাত্র ছেলেকে নিয়ে শুরু করেন জীবন সংগ্রাম। তিনি ভোমর তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। এই কাজ করে যা আয় হতো তা দিয়ে জীবন বাঁচলেও ছেলের পড়াশোনা করাতে পারছিলেন না। হঠাৎ একদিন ফেসবুকে পড়াশোনাসহ কোনো যোগ্যতা ছাড়াই ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় চাকরির একটি বিজ্ঞাপন দেখতে পান। যোগাযোগ করলেও জানানো হয় পাশের দেশ ভারতে তাকে বাসা বাড়িতে কাজ দেওয়া হবে পাশাপাশি তার ছেলেকে পড়াশোনাও করানো হবে।
আর এভাবেই আকর্ষণীয় বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় যেতে বলা হয়। আর ঘটনাক্রমে চাকরির প্রলোভনে মানবপাচার চক্রের ফাঁদে পড়েন সিমা ও তার ১০ বছর বয়সী ছেলে নবাব শেখ।
উদ্ধার হওয়া সিমা আক্তার বলেন, তার স্বামী অনেক আগে ছেড়ে চলে গেছেন। হঠাৎ একটি চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগ করেন। পরে ভারতীয় একটি নম্বর থেকে একজন ফোন দিয়ে জানতে চায় চাকরি করবো কি না। কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে সেই ব্যক্তি সিমাকে বলেন, আপনাকে একটি বাসায় কাজ দেওয়া হবে। আর আপনার ছেলেকে মাদরাসায় ভর্তি করা হবে। মাসে ২০ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হবে। পরে আমাকে সাতক্ষীরা থেকে ফোন দিয়ে একজন যেতে বলে। আমি গেলে তারা আমাকে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে ডিবি আমাকে উদ্ধার করে ।
পাসপোর্ট, ভিসা ও কোনো ধরনের টাকা ছাড়াই পাচার চক্রের ফাঁদে পা দেওয়া সিমা আরো বলেন, ফোনে তাদের বলেছি আমি টাকা দিতে পারবো না। আমার পাসপোর্ট নেই। কীভাবে যাবো? তখন তারা বলেছে, আপনি আসেন। আমরা সব কিছুর ব্যবস্থা করবো। আপনি ভারত যাওয়ার পর চাকরি করে মাসে মাসে যা পারেন দিয়েন।
এ চক্রের বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে সম্প্রতি দুই কিশোরী নিখোঁজের ঘটনায় একটি মামলা হয়। মামলা তদন্তে নেমে আমরা একটি মানবপাচার চক্রের সন্ধান পাই। যারা ফেসবুকে সহজে টাকা-পয়সা ছাড়াই চাকরি দেওয়ার নামে নারী ও শিশুদের পাচার করে আসছে। এমনকি চক্রের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে খুলনা থেকে এক নারী তার সন্তানকে নিয়ে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার সীমান্ত এলাকায় চলে গেছেন।
তিনি আরো বলেন, চক্রের সদস্যরা তাকে পাচারের উদ্দেশ্যে নোম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় নিয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার কার হয়। তবে যে মামলার তদন্তে নেমে এই চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে সেই দুই মেয়েকে আগেই পাচারকারীরা পাচার করে দিয়েছে। এছাড়া সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় চক্রের অন্যতম হোতা সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার কেরাগাছি এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে কবির হোসেনকে। এরপরই বেরিয়ে আসে চাকরির বিজ্ঞাপনের আড়ালে মানবপাচার চক্রের পরিচয়। দুই ভাই মিলে শতাধিক নারীকে পাচার করেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।
ডিবি আরো জানিয়েছে, কবিরের বিরুদ্ধে তিনটি মানবপাচার মামলা রয়েছে ।
মন্তব্য করুন


৩ সেপ্টেম্বর ছিল অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শেষ দিন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সারাদেশে বিক্ষুব্ধ জনতা বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও হামলা করে। তখন থানা ও ফাঁড়িতে হামলার পর অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা।
গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অস্ত্র উদ্ধারের অভিযানে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের ১৮৫টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযানে ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানানো হয়েছে যে, ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ১৮৫টি। এ সময় ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১১টি রিভলভার, ৫৬টি পিস্তল, ১১টি রাইফেল, ২৫ টি শটগান, ৫টি পাইপগান, ২০টি শুটারগান, ১৩টি এলজি, ২৫টি বন্দুক, একটি একে-৪৭, দুটি গ্যাসগান, একটি চাইনিজ রাইফেল, তিনটি এয়ারগান, চারটি এসবিবিএ, চারটি এসএমজি, দুটি টিয়ার গ্যাস লঞ্চার ও দুটি ত্রি-কোয়াটার।
প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো খুদে বার্তায় জানানো হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে দেশের বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া পুলিশের দুই হাজার ৬৬টি অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। এ ছাড়াও তিন লাখ ২০ হাজার ৬৬০টি গুলি, আট হাজার ৯০৫টি টিয়ারগ্যাস সেল, দুই হাজার ৫৭৬টি সাউন্ড গ্রেনেড, ৭৫১টি টিয়ারগ্যাস গ্রেনেড উদ্ধার হয়নি বলেও জানানো হয়।
মন্তব্য করুন