

শনিবার রাতে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা একটি টিম কুমিল্লা জেলার সকল থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও বিশেষ অভিযান ডিউটি করাকালীন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার আমতলী এলাকার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা গামী মহাসড়কের রাস্তার উপর হতে ২৬ কেজি গাঁজাসহ ১জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম মোঃ আরিফুল ইসলাম (২০), পিতা-এরশাদ মিয়া।
আসামী কুমিল্লা জেলার মুরাদপুর থানার দিলালপুর গ্রাম নিবাসী।
উক্ত ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের ঋণের কিস্তি পরিশোধ নিয়ে কোনোভাবেই উদ্বিগ্ন নয় বিশ্বব্যাংক। বরং বাংলাদেশে কর্মসংস্থান বাড়াতে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে চায় সংস্থাটি। অন্তর্বর্তী সরকারকে সব বিষয়ে সহায়তা দিয়ে পাশে থাকতে চায় বিশ্বব্যাংক।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও আইএফসির কান্ট্রি ম্যানেজারের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। তিনি জানান, আমরা বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে জেনেছি। যার ফলে আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতির সংস্কারে কীভাবে সহযোগিতা করবো সেটিও আলোচনা করেছি। কারণ জটিল কিছু সংস্কার বাংলাদেশের প্রয়োজন। এখানে আর্থিক খাতে সংস্কার প্রয়োজন, বাণিজ্যে সংস্কার প্রয়োজন- আমরা এগুলোতে বিনিয়োগে আগ্রহী।
পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন, আমরা এখন এ দেশে বেসরকারি খাতে চাকরির বাজার সৃষ্টিতে কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে যুবকরা এখানে বড় সম্পদ। এছাড়া এখানে জলবায়ু পরিবর্তন অনেক বড় ঝুঁকি, সেখানে অন্তর্বর্তীমূলক বিনিয়োগ প্রয়োজন। আমরা বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদে সম্পর্ক গড়তে কাজ করছি আর আমরা মোটেই বাংলাদেশের ঋণের কিস্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। আমি অনেক দেশে কাজ করার অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, এটি কখনোই আমাদের উদ্বেগের বিষয় নয়।
অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের স্থবির অর্থনীতিকে চালু করার জন্য যত রকমের সহযোগিতা দরকার বিশ্বব্যাংক তা দেবে। আইএফসি ও বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা চেয়েছি আমরা। তারা বলেছে, বাংলাদেশের মানুষের জন্য তারা যে কোনো কিছুই করতে পারে। নিয়মকানুন মেনে তারা বিনিয়োগ করবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শিক্ষার্থীদের জন্য শোক জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। পাশাপাশি এ সময়ে যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা সংস্কারেও পাশে থাকবে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন


তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা
নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, সেন্সরবোর্ড পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন
আইন অনুযায়ী সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠন করা হবে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে
সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এবং জুরি বোর্ডের নবনির্বাচিত কমিটির
সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা
নাহিদ ইসলাম বলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এবং জুরি
বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আজ (বুধবার) দুই কমিটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল। সেন্সর বোর্ড
নিয়ে আমরা কিছু আলোচনা করেছি। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশনের আইনের গেজেট
হয়েছিল। এখন পর্যন্ত সেই গেজেটের বিধিমালা তৈরি হয়নি। বিগত সময়েও যে সেন্সর বোর্ড গঠন
করা হয়েছিল সেটিও কিন্তু ১৯৬৩ সালের যে আইন সে আইন অনুযায়ী করা হয়েছিল। ২০২৩ সালে যেহেতু
একটি আইনের গেজেট হয়ে গেছে সেটি পর্যালোচনা করে সবার মতামতের ভিত্তিতে সেন্সর যে শব্দটি
সেটিকে বাদ দিয়ে দিচ্ছি। আমাদের যে ২০২৩ সালের আইন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন
আইন তা অনুযায়ী দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দিয়ে সার্টিফিকেশন বোর্ডটাকে পুনর্গঠন
করবো। ২০২৩ সালে যে আইন রয়েছে সেটি অনেক ত্রুটিপূর্ণ, সেগুলো নিয়ে আজ আলোচনা হয়েছে।
সেই আইনটিও নানা অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে সংশোধনের জন্য আমরা কাজ করবো। সে প্রস্তাবনা
তৈরি করা হবে। যেহেতু প্রচুর সিনেমা পেন্ডিং রয়েছে সেগুলোকে দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা
করার জন্যই যে সার্টিফিকেশন বোর্ড সেটি পুনর্গঠন করা হবে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন
আইন অনুযায়ী সার্টিফিকেশন বোর্ড করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দিয়ে একটা সার্টিফিকেশন
বোর্ড করবো, সেন্সরবোর্ডকে পুনর্গঠন করে।
কেন এটি পরিবর্তন করতে হচ্ছে জানতে
চাইলে তিনি বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র জগতের যারা আছেন তারা দীর্ঘদিন ধরে সেন্সরশিপের
বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। তাদের এক ধরনের একটিভিজমের জন্যই কিন্তু সার্টিফিকেশন আইনের
কথা ভাবা হয়েছিল বিগত সময়ে। নতুন আইন অনুযায়ী আমরা ছবি পরিচালনার কাজগুলো চলমান রাখবো।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন , কুমিল্লা প্রতিনিধি
বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় কুমিল্লায় চলছে ধারাবাহিক বিশেষ প্রার্থনা, কুরআন খতম, খাবার বিতরণ ও সদকার কর্মসূচি। স্থানীয় নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে টানা আটদিন ধরে এ আয়োজন রাজধানীর বাইরে অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয়–মানবিক উদ্যোগ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, সাবেক সংসদ সদস্য এবং কুমিল্লা-৬ আসনের জননেতা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের উদ্যোগে এ ধারাবাহিক কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। তার সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিদিন কুরআন তেলাওয়াত, বিশেষ মোনাজাত, খাবার বিতরণ এবং বিভিন্ন এতিমখানায় গবাদিপশু সদকার আয়োজন করা হচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনায় এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) কান্দিরপাড় বিএনপি কার্যালয়ে দিনব্যাপী কুরআন খতম অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে অনুষ্ঠিত বিশেষ দোয়ায় দেশনেত্রীর দীর্ঘায়ু, রোগমুক্তি এবং দেশের শান্তি–স্থিতিশীলতা কামনা করা হয়। এর আগে দুপুরে বিভিন্ন এতিমখানার শিশুদের খাবার পরিবেশন করা হয়। অংশগ্রহণকারী নেতারা জানান, মানবিক এই আয়োজনে কুমিল্লার মানুষ ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত হচ্ছেন, যা দেশনেত্রীর প্রতি জনগণের ভালোবাসার প্রতিফলন।
দলীয় কার্যালয়ে দোয়ার অনুষ্ঠানে বক্তব দেন সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এসএ বারী সেলিম, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান ছুটি, মাহবুবুর রহমান দুলাল, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম রায়হান, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, কুমিল্লা মহানগর কৃষকদলের আহবায়ক কাজী শাহিনুর, মহানগর যুবদলের সদস্য–সচিব রুমান হাসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মেরাজ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আমিরুল পাশা সিদ্দিকী রাকিব, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব ফরিদ উদ্দিন শিবলু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য–সচিব এ কে এম শাহেদ পান্না, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ রানাসহ অন্যরা।
জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান বিপ্লব এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সালমান সাইদ, মহানগর মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন, যুবদল নেতা মনছুর নিজামী, মশিউর রহমান সজিব, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কাজী জোবায়ের আলম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক ধীমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন রবিন, মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেনসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
নেতারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও রাজনীতির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাই তার রোগমুক্তি প্রত্যাশায় কুমিল্লা বিএনপি ও অঙ্গ–সংগঠনগুলো মানবিক ও ধর্মীয় কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। দোয়া–মোনাজাতে অংশ নেওয়া সাধারণ মানুষও দেশনেত্রীর সুস্থতা কামনায় আন্তরিক প্রার্থনা করেন।
মন্তব্য করুন


হাসপাতালের সাদা অ্যাপ্রন গায়ে, গলায় ঝোলা স্টেথোস্কোপ—দেখলে সাধারণ চিকিৎসকের মতোই মনে হয় তাঁকে। কিন্তু তাঁর চলাফেরা, চোখেমুখের উত্তেজনা এবং রোগীদের প্রতি আলাদা দায়িত্ববোধ তাঁকে বাকিদের থেকে খানিকটা আলাদা করে দেয়। গুজরাতের ভাবনগর জেলায় স্যার টি জেনারেল হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে নতুন রোগী আনা মাত্রই ছোট্ট শরীরে দ্রুত পদক্ষেপে এগিয়ে গেলেন তিনি। স্ট্রেচারের পাশে দাঁড়িয়ে নিজে দেখার বদলে দুই ইন্টার্ন ডাক্তারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে দিলেন, তারপর ধীরগতিতে নিজের চেম্বারের দিকে রওনা হলেন।এই সময় রোগীর স্বজনদের মধ্যে কৌতূহল ছড়িয়ে পড়ে। কারণ সবার চোখে একই বিস্ময়—ডাক্তারটির উচ্চতা স্ট্রেচারের উচ্চতার চেয়েও কম! কিন্তু তাঁদের বিস্ময় বা সংশয়কে গুরুত্ব দেওয়ার ফুরসত না নিয়েই তিনি নিজের কাজে ফিরে যান। তিনি গণেশ বরইয়া—মাত্র ২৫ বছর বয়সী, উচ্চতা তিন ফুট, তবু নামের পাশে গর্বের সঙ্গে লেখা ‘এমবিবিএস’। জন্মগতভাবে শারীরিকভাবে ৭২ শতাংশ অক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি চিকিৎসা বিজ্ঞানে ডিগ্রি অর্জন করেছেন। নিরক্ষর কৃষক বাবার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন তিনি পূরণ করেছেন নিজের অধ্যবসায় ও মনোবলের জোরে।ভাবনগরের গোরখি গ্রামের দরিদ্র পরিবারে জন্ম গণেশের। বাবা-মায়ের অষ্টম সন্তান এবং পরিবারের প্রথম ছেলে হওয়ায় জন্মের পর থেকেই তাকে ঘিরে নানা আশা ছিল। কিন্তু জন্ম থেকেই তিনি বামনত্বে (dwarfism) ভুগছিলেন; গ্রোথ হরমোনের ঘাটতিতে হাঁটাচলাতেও ছিল সমস্যা। রোগ ধরা পড়ার পর অনেকে মনে করেছিলেন—গণেশের ভবিষ্যৎ হয়তো খুব সীমিত। তবু পরিবার তাঁকে কখনো ছাড়েনি, ভালোবাসায় আচ্ছন্ন রেখেছিল সবসময়।শৈশবের এক ভয়ংকর ঘটনাও আজও তাঁর মনে গেঁথে আছে। যখন তাঁর বয়স মাত্র ১০, কয়েকজন সার্কাসকর্মী এসে পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে তাঁকে কিনে নিতে চেয়েছিল। যুক্তি ছিল—গণেশের ভবিষ্যৎ সার্কাসেই সীমাবদ্ধ, অন্য কোথাও তার জায়গা নেই। কিন্তু তাঁর বাবা দৃঢ়ভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেন। ছেলে যেন পৃথিবীর আলো ছায়ায় নিজের পথ তৈরি করতে পারে—এই বিশ্বাসেই তিনি সার্কাসদলকে তাড়িয়ে দেন। এরপর গণেশকে আরও বেশি আগলে রাখেন পরিবার। দিদিরা কোলে করে স্কুলে নিয়ে যেত, বাবা মাঝে মাঝে কাঁধে বসিয়ে পথ চলতেন। ছোট বয়সেই গণেশ বুঝে যায়—অক্ষমতা তার জীবনের অংশ হলেও তা তাকে থামাতে পারবে না। উচ্চতা না বাড়লেও তাকে ‘বড়’ হতেই হবে।তিনি নিজেই বলেন, “জীবনের পথে এগোতে অনেকের সহায়তা আমার প্রয়োজন ছিল, তা ছোটবেলাতেই বুঝেছিলাম। অনেকেই আমাকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের স্নেহ ও সাহায্য ছাড়া আমি এতটা দূর আসতে পারতাম না।”
আজ গণেশ বরইয়া সেই প্রমাণ যে শারীরিক সীমাবদ্ধতা নয়, মানুষের মনোবলই নির্ধারণ করে তার সাফল্যের পথ। তাঁর তিন ফুট শরীর হলেও স্বপ্নের বিস্তার আকাশছোঁয়া।
মন্তব্য করুন


সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে । বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহার করা গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে গেজেট জারি করা হয়েছে। নতুন এ দাম চলতি ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই কার্যকর ধরা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ১৮ জানুয়ারি আবাসিক, সিএনজিচালিত যানবাহন, সার ও চা শিল্পে ব্যবহার ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল, যা ওই বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কার্যকর হয়।
সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য গ্যাসের পূর্ব মূল্য ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা যা বাড়িয়ে বর্তমান মূল্য করা হয়েছে ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা।
ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট, স্মল পাওয়ার প্ল্যান্ট ও বাণিজ্যিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ছিল প্রতি ঘনমিটার ৩০ টাকা। এক্ষেত্রেও ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে সেটা ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভতুর্কি সমন্বয়ে বিদ্যুতের সঙ্গে গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে । গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, গ্যাসের দাম সমন্বয় গ্রাহক পর্যায়ে হচ্ছে না। বিদ্যুতের পর্যায় হচ্ছে। গ্যাসের আবাসিক পর্যায়ে ব্যবহারের ক্ষেত্রে দাম বাড়ছে না। শিল্পেও গ্যাসের দাম বাড়ছে না। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে যে গ্যাস দেওয়া হয় সেখানে আমরা কিছুটা সমন্বয় করছি।
তিনি বলেন যে গ্যাস বিদ্যুতে দেওয়া হয় সেখানে প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা বাড়বে, অর্থাৎ এটা ইন্টারনাল।
এ বছর বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ৪৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি আসবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি ক্ষেত্রে ৬ হাজার কোটি টাকার মতো ভর্তুকি আসবে। এগুলো আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমরা সমন্বয়ে যাবো।
মন্তব্য করুন


মানুষ
প্রায়ই ধরে নেয় যে বিড়াল আর কুকুর শত্রু। অবশ্য, কিছু কুকুর আর কিছু বিড়াল একসঙ্গে
না চললেও, অনেকেই আবার দারুণ বন্ধু হতে পারে। এমনকি কিছু কুকুর নিজের জীবন ঝুঁকিতে
ফেলে ফেলাইন বন্ধুকে বাঁচাতেও প্রস্তুত থাকে।
কয়েক বছর আগে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক সিটির কাছে একটি প্রতিরক্ষা শিল্প ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। আগুন ও ধোঁয়া আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে, অনেক মানুষ বিপদের মধ্যে পড়ে। লোকজন জ্বলন্ত ভবন থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসার সময় তাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে নিতে নিশ্চিত হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, বিশৃঙ্খলার মধ্যে কিছু পোষ্য পিছনে রয়ে গিয়েছিল।
বিস্ফোরণের
ধোঁয়া মাইলের পর মাইল ছড়িয়ে পড়ে, আশেপাশের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক মানুষকে
বাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়, যার মধ্যে একজন মানুষ ও তার কুকুরও ছিল—তাদের
বাড়িতেও আগুন লেগেছিল। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর কুকুরটির দড়ি খুলে দেওয়া হয়, কিন্তু
মানুষটি চিন্তিত ছিল না, কারণ কুকুরটি পালিয়ে যাওয়ার মত নয়।
কুকুরটি
কিছুক্ষণ সামনের উঠানে দাঁড়িয়ে রইল, কিন্তু তারপরই বুঝতে পারল কিছু একটা ভুল হচ্ছে।
মালিকের বিস্ময়ের মধ্যেই কুকুরটি বাড়ির দিকে দৌড়াতে শুরু করল, যদিও আগুন ক্রমেই
বাড়ছিল।
কুকুরটি
দৌড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার মালিক আতঙ্কে তাকে ডাকতে লাগল। কিন্তু সাধারণত বাধ্য
কুকুরটি এবার কোনোভাবেই কথা শুনল না। সে জানত, আরও জরুরি কিছু করার আছে। কেউ কিছু বুঝে
ওঠার আগেই সে ফিরে গেল জ্বলন্ত বাড়ির ভেতরে। তখনই মালিক বুঝলেন—ঘরের
ভেতরে আরেকটি লোমশ বন্ধু রয়ে গেছে, যে হয়তো বের হতে পারেনি।
কুকুরটি
আগুন থেকে তার সেরা বন্ধুকে উদ্ধার করে । কুকুরটি যখন আগুনের মধ্যে ঢুকল, মালিক ও প্রতিবেশীরা
শ্বাস আটকে তাকিয়ে রইল। পরিস্থিতি কুকুরটির পক্ষে ছিল না, কিন্তু কেউই খারাপ কিছু
ভাবতে চাইছিল না।
কিন্তু
কয়েকটি দীর্ঘ, ভয়ঙ্কর মুহূর্তের পর কুকুরটি বেরিয়ে এলো—তার
দাঁতের মাঝে আলতো করে ধরা একটি ছোট্ট বিড়ালছানা। সে জ্বলন্ত বাড়ি থেকে বিড়ালছানাটিকে
তুলে এনে নিরাপদে নিয়ে আসে। কুকুর আর বিড়ালছানার সম্পর্ক ঠিক কী ছিল তা স্পষ্ট নয়,
তবে তারা একই বাড়ি থেকে এসেছে বলে ধরে নেওয়া যায় যে তারা পরিবার।
সেই
ক্ষুদে বিড়ালছানাটি সত্যিই ভাগ্যবান, কারণ তার দেখভালের জন্য এমন সাহসী কুকুর ছিল।
যদি কুকুরটি নিজের জীবনকে ঝুঁকিতে না ফেলত, তাহলে বাড়িটি পুরোপুরি পুড়ে যাওয়ার আগেই
বিড়ালছানাটি হয়তো বেরোতে পারত না। নিজের ছোট্ট বন্ধুকে বাঁচাতে সে প্রাণপণ চেষ্টা
করেছে। সত্যিকারের বীর সে!
মন্তব্য করুন


সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকদের নিজ উপজেলা বা থানা (একই উপজেলা/থানার ভেতর) অনলাইন বদলি শুরু হয়েছে যা চলবে আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ৩০ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষকরা অনলাইনে আবেদন করবেন। ২ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক কর্তৃক যাচাই সম্পন্নকরণ এবং ৩ ও ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক যাচাই সম্পন্নকরণ হবে।
৫-৭ এপ্রিল পর্যন্ত উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক যাচাই ও অগ্রায়ন সম্পন্নকরণ, ৮-১৪ এপ্রিল পর্যন্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কর্তৃক সহকারী শিক্ষকের যাচাই ও অনুমোদন এবং প্রধান শিক্ষকের। যাচাই ও অগ্রায়ন সম্পন্নকরণ; ১৫-১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিভাগীয় উপপরিচালক কর্তৃক যাচাই ও অনুমোদন সম্পন্ন করবেন।
এতে আরও বলা হয়, শিক্ষকদের সর্বোচ্চ ৩টি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে পছন্দ করবেন। তবে কোনো শিক্ষকের একাধিক পছন্দ না থাকলে শুধুমাত্র ১ বা ২টি বিদ্যালয় পছন্দ করতে পারবেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বদলির আদেশ জারি হলে তা বাতিল করার জন্য পরবর্তীতে কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
যাচাইকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর জারিকৃত সর্বশেষ 'সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা (সংশোধিত) ২০২৩ অনুযায়ী আবেদনকারীর আবেদন ও অন্যান্য কাগজপত্রাদি যাচাই করে অগ্রায়ণ করবেন।
যাচাইকারী কর্মকর্তা সতর্কতার সঙ্গে সংযুক্ত তথ্য ও কাগজপত্রাদি যাচাই করবেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বদলির আদেশ জারি হলে তা বাতিল করার জন্য পরবর্তীতে কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
আবেদনকারীর পছন্দক্রম অনুযায়ী বদলি হওয়ার নিশ্চয়তা নেই। একাধিক আবেদনকারীর ক্ষেত্রে যোগ্য আবেদনকারীকে সফটওয়্যারের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনায় নির্বাচিত করা হয় বিধায় কোনো রকম হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত রিপাবলিক অব কসোভোর রাষ্ট্রদূত মি. লুলজিম প্লানা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
আজ সোমবার সকাল ৯টায় রাজধানীর বসুন্ধরাস্থ আমিরে জামায়াতের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রদূত বৈঠকের শুরুতেই আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং তার পরিপূর্ণ সুস্থতা কামনা করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশে বিরাজমান সার্বিক পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশ ও কসোভোর দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে তারা খোলামেলা আলোচনা করেন। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রতি কসোভোর দৃঢ় সমর্থন থাকবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
মন্তব্য করুন


জামালপুরের মাদারগঞ্জে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার (০১ ডিসেম্বর) আনুমানিক দুপুর ২টার দিকে পৌর শহরের জোনাইল বাজারের উত্তরপাশে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত জামায়াত নেতা পরাগ আহমেদ জোনাইল পূজাঘাঁটি এলাকার বাসিন্দা ও পৌরসভার ০৯ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি। ফায়ার সার্ভিস ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্র জানা গেছে, বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত৷ এতে সেমিপাকা ঘরসহ আসবাবপত্র মিলে ১৬-১৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ওই জামায়াতের নেতা।
তিনি বলেন, আমি একটি বেসরকারি হাইস্কুলে চাকরি করি৷ দুপুর ২টার দিকে আমার কাছে স্ত্রী ফোন দিয়ে জানায় বাড়িতে আগুন লেগেছে। আমি আসতেই দেখি আমার বাসার ০২ রুমে থাকা সব আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে৷ আমার স্ত্রী আমার ছেলেকে নিয়ে কোনোমতে প্রাণ নিয়ে রুমে থেকে বের হতে পেরেছেন। স্ত্রীর কাছে শুনলাম বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত৷ প্রতিবেশী ও পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি আগুন লাগার খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে জানানো হয়। খবর পাওয়ার ৮ মিনিট পরেই তারা ঘটনাস্থলে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে৷ পরিবারটি খুবই অসহায়। সরকার তাদের সহযোগিতার হাত বাড়ালে পরিবারটির উপকার হতো। অগ্নিকাণ্ডের খবরে ছুটে আসেন পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা আতিকুর রহমান সেলিম। তিনি দল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ওই নেতার পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
মাদারগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, দুপুরে আগুন লাগার খবর পাই৷ আমাদের স্টেশন থেকে ঘটনাস্থল অতি কাছে হওয়ায় ৫ মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল সেখানে পৌঁছায়৷ পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কিন্তু ততক্ষণে বাসা ও ২ রুমের ভেতরে থাকা সব আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।
মন্তব্য করুন


চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১৬ অক্টোবর প্রকাশ হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভায় প্রাথমিকভাবে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট তথ্য মতে জানা গেছে, চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফল আগামী ১৬ অক্টোবর প্রকাশের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পেলে ওইদিন একযোগে সব বোর্ডের ফল প্রকাশ করা হবে।
গত ১৯ আগস্ট এবারের এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২১ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
পাবলিক পরীক্ষা আইন অনুযায়ী—লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়।
এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় বসেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ ছাত্রী। সারা দেশে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়।
মন্তব্য করুন