

শনিবার রাতে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা একটি টিম কুমিল্লা জেলার সকল থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও বিশেষ অভিযান ডিউটি করাকালীন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার আমতলী এলাকার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা গামী মহাসড়কের রাস্তার উপর হতে ২৬ কেজি গাঁজাসহ ১জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম মোঃ আরিফুল ইসলাম (২০), পিতা-এরশাদ মিয়া।
আসামী কুমিল্লা জেলার মুরাদপুর থানার দিলালপুর গ্রাম নিবাসী।
উক্ত ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরাতে ভারতের কাছে পাঠানোর চিঠি প্রস্তুত হচ্ছে। নোট ভারবালের মাধ্যমে এই চিঠি পাঠানো হবে।
আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কয়েকজন সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ তথ্য জানান। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরত চেয়ে ভারতকে চিঠি এখনো পাঠানো হয়নি। তবে চিঠি প্রস্তুত হচ্ছে। আজকেই পাঠানো হতে পারে। রায়ের কপি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঠাবে না। শুধু নোট ভারবালের মাধ্যমে রায়ের বিষয়টি জানিয়ে শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের অনুরোধ করা হবে। এর আগে গতকাল সোমবার তিনি জানিয়েছিলেন, দুই আসামিকে ফেরাতে রাতে বা মঙ্গলবার সকালে চিঠি পাঠানো হবে। এর আগে হাসিনাকে ফেরাতে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, তার জবাব আসেনি। তবে এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। এখন শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের (ভারত) সঙ্গে আমাদের চুক্তিও আছে। তাকে ফেরত আনতে অফিসিয়ালি আমরা চিঠি দেব।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল
সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই বৈঠক চলে।
বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের গত এক মাসের
কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করা হয়। এ ছাড়াও আগামীতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করণীয় নিয়েও আলোচনা
করেন উপদেষ্টারা। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে
বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন


এখন থেকে পাসপোর্ট পেতে আর পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রয়োজন হবে না। জাতীয় পরিচয় পত্রের (এনআইডি) ভিত্তিতে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো এ সংক্রান্ত নির্দেশনার সারসংক্ষেপ এ বলা হয়, পুলিশ ভেরিফিকেশন যথাসময়ে না পাবার কারণে বা পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় অনাবশ্যক কাগজপত্র যাচাইয়ের কারণে আবেদনকারীরা প্রায়শই ভোগান্তিতে পরার অভিযোগ পাওয়া যায়।
মূলত পাসপোর্টের আবেদনকারীর ভোগান্তি হ্রাস এবং যথাসময়ে পাসপোর্ট প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন ব্যবস্থা তুলে দেয়ার জন্য অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এ অনুশাসন দিয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়, নতুন পাসপোর্ট এর আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য যাচাই করে আবেদনকারীকে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট প্রদান করতে হবে।
এছাড়া বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিক ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য পাসপোর্টের নতুন আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্যে যাচাই করে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট প্রদান করতে হবে।
মন্তব্য করুন


স্থানীয়
সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব
ভূঁইয়া বলেছেন, সমন্বিত উদ্যোগে মাত্র ১২ ঘণ্টারও কম সময়ে সম্পন্ন হয়েছে রাজধানী ঢাকার
বিস্তৃত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম।
উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ বলেন, যারা ঘামের বিনিময়ে এই শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখেন, তাঁরা আমাদের নীরব
নায়ক। ১২ ঘণ্টারও কম সময়ে পরিচ্ছন্ন ঢাকা-এটাই কর্মের শক্তি, এটাই নিষ্ঠার গল্প। তারা
প্রচারে নেই, তবে তাদের কাজই শহরের মুখ। কোরবানির ঈদের আসল বীরদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।
উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ তার ভেরিফাইড ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের
সমন্বিত উদ্যোগে মাত্র ১২ ঘণ্টারও কম সময়ে সম্পন্ন হয়েছে বিস্তৃত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম।
এটি শুধু দক্ষতা ও কর্মদক্ষতার প্রতিফলন নয়, বরং জনকল্যাণে নিবেদিত স্থানীয় সরকারের
দায়িত্বশীলতা ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের বাস্তব প্রমাণ।
এর
আগে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সরেজমিনে অংশ নেন স্থানীয়
সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ২০ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মীর
অক্লান্ত পরিশ্রম এবং নগরবাসীর দায়িত্ববোধের প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
সেবা
কার্যক্রমে যুক্ত প্রত্যেক পরিচ্ছন্নতা যোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের জন্য বিশেষ
খাবার ও প্রণোদনার কথাও বলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ ঈদুল আযহা উদযাপন শুরুর প্রাক্কালে বলেন, কোরবানির আনন্দ হোক সুস্থ, পরিচ্ছন্ন
ও পরিবেশবান্ধব। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা এবং জনগণের সমন্বিত
প্রচেষ্টায়, আমরা পারি ঈদের দিনকেও পরিচ্ছন্ন রাখতে। ত্যাগের এই দিনে আমাদের দায়িত্ব
কেবল কোরবানিতেই শেষ নয়, পরিবেশ রক্ষা করাটাও বড় ইবাদত।।আসুন সবাই মিলে নিজ নিজ এলাকার
কোরবানির বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে ফেলি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়ি।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন , কুমিল্লা প্রতিনিধি ;
কুমিল্লার চান্দিনায় ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি শাখায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার সকাল পৌঁনে ৮টায় উপজেলা সদরের মধ্য বাজার জয়নাল সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ব্র্যাক ব্যাংকের সার্ভার কক্ষ থেকে ওই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। এতে দিন ব্যাপী গ্রাহক সেবা বন্ধ।
এতে আইটি শাখার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ, বৈদুতিক তার ক্ষতিগ্রস্থ হলেও অন্যান্য কক্ষ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ব্যাংকের লকার অক্ষত রয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান- ব্যাংক খোলার আগে কর্তব্যরত নিরাপত্তা প্রহরী হঠাৎ ব্যাংকের ভিতরে আগুনের সূত্রপাত টের পেয়ে কর্মকর্তাদের ও ফায়ার সার্ভিসে ফোন করেন। খবর পেয়ে ব্যাংক কর্মকর্তারা এসে ব্যাংক খোলেন এবং সকাল সোয়া ৮টা থেকে চান্দিনা ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। প্রায় চার ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নির্বাপন হয়।
ব্যাংকটির ম্যানেজার মো. রফিকুল ইসলাম খাঁন জানান- আমাদের ব্যাংকের সার্ভার কক্ষে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ওই কক্ষে থাকা বৈদ্যুতিক তাঁর সহ যন্ত্রাংশগুলো পুরে প্রচন্ড ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। তাৎক্ষনিক ভাবে ফায়ার সার্ভিস ও পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। খুব কম সময়ের মধ্যে আগুন নির্বাপন করা সম্ভব হলেও ধোঁয়া বের করতে অন্তত চার ঘন্টা সময় লাগে। এতে ওই সার্ভার কক্ষের কিছু যন্ত্রাংশ ও বৈদ্যুতিক তার নষ্ট হলেও বড় ধরণের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছি। অগ্নিকান্ডের ফলে ব্যাংকের সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
চান্দিনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ইমাম হোসেন পাটোয়ারী জানান- প্রাথমিক ভাবে বৈদ্যুতিক সক সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে অগ্নিকান্ডের মূল ঘটনা, ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।
মন্তব্য করুন


আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আজ (শুক্রবার) থেকে ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী চলাচল করবে।
৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন সম্পর্কে জানা যায়, ঈদুল ফিতরে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (১ ও ৩) চট্টগ্রাম-চাঁদপুর; চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (২ ও ৪) চাঁদপুর-চট্টগ্রাম; ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল (৫ ও ৬) চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম; দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল (৭ ও ৮) ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এবং ঈদের পরে ৫ দিন চালানো হবে।
কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল (৯ ও ১০) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ঈদের আগে (৮ ও ৯) এপ্রিল ও ঈদের পরের দিন থেকে ৩ দিন চলাচল করবে।
এছাড়া শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (১১ ও ১২) ভৈরব বাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব বাজার; শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (১৩ ও ১৪) ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শুধু ঈদের দিন চলাচল করবে।
ঈদ স্পেশাল (১৫ ও ১৬) জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে ঈদের আগে ৭-৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৩ দিন এবং ঈদের পরের দিন থেকে ৩ দিন চলাচল করবে।
কিন্তু ঈদুল ফিতরের দিন সব আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে বিশেষ সিদ্ধান্তে দু-একটি কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে। তবে কোন কোন ট্রেন চলবে তা ঈদের দুই দিন আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ আলম কিরণ শিশির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঈদের দিন সব আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে কয়েকটি কমিউটার ও মেইল ট্রেন চলাচল করবে। তবে রেলওয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, মেইল ট্রেনের মধ্যে শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চট্টগ্রাম মেইল চলাচল করবে।
মন্তব্য করুন


দেশের
বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তিনি উপদেষ্টা পরিষদের
সদস্যদের বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত কেবিনেট সভায় এই নির্দেশনা দেন
তিনি।
দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে
উপদেষ্টারা এই জেলাগুলো পরিদর্শন করবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস
ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আজ কেবিনেট বৈঠকে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা
হয়েছে এবং ড. ইউনূস উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনের কথা
বলেছেন।’
তিনি আরো জানান, ১০ জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে এবং সর্বশেষ হিসাবে ৩৬ লাখ মানুষ
বন্যাকবলিত হয়েছে।
আবহাওয়া
অধিদপ্তরকে উদ্ধৃত করে শফিকুল আলম জানান, দীর্ঘ সময় ধরে অতিবৃষ্টির কারণে বন্যা
পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
মন্তব্য করুন


সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে
আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা
গর্বিত।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে
ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, আজকে আমরা বিশেষভাবে সৌভাগ্যবান এবং সম্মানিত যে, বাংলাদেশের তিনবারের
নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী
বেগম খালেদা জিয়া আজ এখানে আমাদের মাঝে উপস্থিত আছেন। এক যুগ ধরে তিনি এই মহাসম্মেলনে
অংশগ্রহণের সুযোগ পান নাই। আজকে সুযোগ পেয়েছেন, আমরা সবাই আনন্দিত এবং গর্বিত। আমরা
এই সুযোগ দিতে পেরেছি আপনাকে। শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও এই বিশেষ দিবসে সবার সঙ্গে
শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আমরা তার আশু রোগ মুক্তি কামনা করছি। এবং এই
অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে স্বাগত জানাচ্ছি।
দীর্ঘ এক যুগ পর সশস্ত্র বাহিনী দিবস
উপলক্ষে সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী
বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে সর্বশেষ ২০১২ সালে সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন
তিনি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মুহাম্মদ
ইউনূস এবং খালেদা জিয়া পাশাপাশি বসেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়া কুশল
বিনিময় করেন। খালেদা জিয়াকে বেশ উৎফুল্ল দেখা যায় এবং তাদের হাস্যোজ্জ্বল কথাবার্তা
বলতে দেখা যায়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘুরে ঘুরে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
জানা গেছে, এবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস
উপলক্ষে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির ২৬ নেতাকে সেনাকুঞ্জে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর
এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা
বিদেশে নিয়ে যাওয়ার মতো নয় বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তবে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার ব্যাপারে ভিসা ও যোগাযোগসংক্রান্ত
কাজ এগিয়ে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন এই বিএনপি নেতা।
আজ
শনিবার ( ২৯ নভেম্বর ) গুলশানে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে
তিনি এ কথা জানান।
মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা
সংকটাপন্ন।
বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসক দ্বারা তার চিকিৎসা চলছে। আমেরিকার জন হপকিন্স এবং লন্ডন ক্লিনিকের বিশিষ্ট
চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা করছেন। গতকাল রাতে বেশ সময় নিয়ে তারা বোর্ড সভা করেছেন। নিজেদের
মেডিক্যাল বোর্ডে তারা কালকে মতামত দিয়েছেন চিকিৎসাটা কী ধরনের হবে এ বিষয়ে।
বিএনপি
চেয়ারপারসনের বিদেশে নেওয়া প্রসঙ্গে এ সময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তাকে বিদেশে নেওয়া
প্রয়োজন। এ বিষয়ে তারা বলছেন যে হয়তো নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু তার এখন যে শারীরিক
যে অবস্থা সে অবস্থায় তাকে বিদেশ নেওয়ার মতো কোনো শারীরিক অবস্থায় নেই। শারীরিক অবস্থা
স্ট্যাবল হলে তখন চিন্তা করে দেখা হবে তাকে নেওয়া সম্ভব হবে কি না।’
মির্জা
ফখরুল বলেন, ‘তবে বিদেশে নেওয়ার জন্য যেসব বিষয় প্রয়োজন যেমন ভিসা, যেসব দেশে যাবে
সেসব দেশের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে এবং সেগুলো মোটামুটি
কাজ এগিয়ে আছে। অর্থাৎ যদি প্রয়োজন হয়, যদি দেখা যায় শি ইজ রেডি টু ফ্লাই, তখন তাকে
নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব হবে।’
এ
সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে আমি দেশের সাধারণ মানুষের কাছে
একটি বার্তা পৌঁছে দিতে চাই—বিএনপি চেয়ারপারসন ও দেশনেত্রীর অসুস্থতার
খবরে পুরো দেশবাসী উদ্বিগ্ন। অনেকেই হাসপাতালের সামনে আসছেন ভিড় করছেন। এতে করে খালেদা
জিয়াসহ অন্য রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং ডাক্তাররাও বিরক্তবোধ
করছেন। আমি সবাইকে ভিড় না করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন


আগামীতে আইনকানুন এবং সংস্কারের মাধ্যমে
নির্বাচনে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
তিনি বলেছেন, নির্বাচনে কেউ জিতলে পরাজিত
বা অন্যরা আর সন্দেহ করবে না। ভাববে না যে, কলকাঠি নেড়ে কাউকে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার (ফেব্রুয়ারি ১৫) রাজধানীর
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি এসব কথা
বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নতুন বাংলাদেশ
মানে নতুন নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার গঠন হবে তার ব্যাপারে কেউ প্রশ্ন
তুলবে না। সেটার ব্যাপারে আইনকানুন সবার জানা থাকবে, এটা নড়চড় করার উপায় কারো থাকবে
না। আইনকানুন বানানোর পরে সেটা নড়চড় করার সুযোগ থাকবে না সেজন্যই এত বড় কমিশন করতে
হয়েছে। এই যে আইনকানুন, নীতিমালা বানিয়ে দেব। একবার বানিয়ে দিলে তারপর থেকে চলতে থাকবে।
একটা ট্র্যান্সপারেন্ট খেলা হবে। খেলায় জিতলে কেউ সন্দেহ করবে না যে কেউ জিতিয়ে দিয়েছে।
এতো ট্রান্সপারেন্ট যে, কেউ সন্দেহ করবে না।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, এখন
যে খেলা চলছে, ঠিকমতো জিতলেও সন্দেহ করে। বলে কিছু একটা কলকাঠি নেড়ে করেছে। এই কলকাঠি
নাড়ার বিষয়টি আমাদের মনের ভেতর গেঁথে গেছে। কলকাঠি ছাড়া যে দেশ একটা নিয়মে চলতে পারে
সেটা আমরা ভুলে গেছি।
সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি
বলেন, এটা সবার স্বপ্ন। এই স্বপ্ন আমরা এমন মজবুতভাবে বানাব যা সবাই মেনে চলবে। এই
মেনে চলার মাধ্যমে আমরা একটা সুন্দর সমাজ, সুন্দর রাষ্ট্র উপহার দিতে পারব। সেই উদ্দেশ্যেই
আজকের সভা।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রচণ্ড
সুযোগ এখন। সুযোগ এজন্যই যে, আমাদের মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টি হলে আমরা সেগুলো কাজে লাগাতে
পারি এমন পর্যায়ে আছি আমরা। একবার কাজে লাগালে সেটা বংশ, প্রজন্ম ও পরম্পরায় সেটা চলতে
থাকবে। একটা সুন্দর দেশ আমরা পাব। এই ভাবনা থেকেই আমরা এগুলো গ্রহণ করব।
অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন অধ্যায় শুরু
হয়েছে মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসে প্রথম ইনিংস
বা প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে। আজ রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো।
আলোচনাটা কত সুন্দর হবে, কত মসৃণ হবে সেটা আপনাদের ওপর নির্ভর করবে। আমাদের পক্ষ থেকে
আমরা সুপারিশগুলো উপস্থাপন করবো। কমিশনের সদস্যরা এখানে রয়েছেন এগুলো ব্যাখ্যা করার
জন্য, চাপিয়ে দেওয়ার জন্য না। চাপানোর ক্ষমতা আমাদের নাই। আমরা শুধু আপনাদের বোঝানোর
জন্য।
সংস্কার বাস্তবায়ন সবার দায়িত্ব উল্লেখ
করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আপনাদের সহযোগিতা চাই এটা বলব। কারণ, এটা
আপনাদের কাজ। এটা আমার কাজ না, একার কাজ না। যেহেতু আপনারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন
আপনাদের বলতে হবে সমাজের কল্যাণে কোন কোন জিনিস করতে হবে, কীভাবে করতে হবে। যেটা এক্ষুণি
করা যাবে বলবেন। যেটা এক্ষুণি করা দরকার, সামান্য রদবদল থাকলে সেটা করে দেন। আমরা শুধু
সাচিবিক কাজগুলো আপনাদের করে দিলাম। আমরা একটা লন্ডভন্ড অবস্থার মধ্য দিয়ে দায়িত্ব
নিয়েছি। চেষ্টা করেছি এটাকে কোনোরকমে সফল করতে। এই ৬ মাসের যে অভিজ্ঞতা সেটা আমাদের
সবাইকে প্রচণ্ড সাহস দেবে। এই ৬ মাসের অভিজ্ঞতা হলো, দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ,
রাজনৈতিক ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সবাই সমর্থন দিয়েছে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে।
কাজেই আমরা প্রথম পর্বের পর দ্বিতীয় পর্বে এলাম। ২য় পর্বে যেন আমরা আনন্দের সঙ্গে,
খুশি মনে সম্পন্ন করতে পারি।
মন্তব্য করুন