নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এবার ধস নেমেছে। এবার বোর্ডটিতে পাসের হার মাত্র ৪৮.৮৬ শতাংশ। যা গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এবার কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের নয় কলেজে কেউ পাস করেনি৷ অপরদিকে শতভাগ পাস করেছে ৫টি কলেজ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর শামছুল ইসলাম সকাল ১০টায় এ ফল ঘোষণা করেন।
২০২১ সালে কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯৭ দশমিক ৪৯, ২০২২ সালে ৯০ দশমিক ৭২, ২০২৩ সালে ৭৫ দশমিক ৩৯, ২০২৪ সালে ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ।
এবার এইচএসসি পরীক্ষায় মোট ১ লাখ ১ হাজার ৯৯৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৪৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ শিক্ষার্থী।
বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার সবচেয়ে বেশি। এ বছর বিজ্ঞান বিভাগে অংশ নেয় ২৬ হাজার ২৭৪ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ১৬ হাজার ২৫১ জন পাস করেছে। পাসের হার ৬২ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
মানবিক বিভাগে ৪৮ হাজার ১২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২০ হাজার ৫৯০ জন। পাসের হার ৪৪.০৮ শতাংশ।
বিজনেস স্টাডিজে (ব্যবসায় শিক্ষা) অংশ নেয় ২৭ হাজার ৫৯৪ জন পরীক্ষার্থী; এর মধ্যে ১১ হাজার ৮১৬ জন পাস করেছে। যা ৪৩ দশমিক ৯০ শতাংশ।
তবে এ বছরের ফলে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেক ভাল করেছে। এবারের ফলে ছেলেদের পাসের হার ৪২ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং মেয়েদের পাসের হার ৫৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। জিপিএ-৫-এ এগিয়ে আছে মেয়েরা। ছেলেদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৫৮ জন আর এবার মেয়েদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৭৪৯ জন শিক্ষার্থী।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লা শহরের আদর্শ সদর উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে এক মানবপাচারকারী ও পাসপোর্ট দালালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১টা ৩০ মিনিটে কুমিল্লা আদর্শ সদর ক্যাম্পের সেনা টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. সাজেদুল ইসলাম (৩৫)। তিনি কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার হালিমা নগর নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
এ সময় তার কাছ থেকে ৫২টি পাসপোর্ট, অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ৩টি, বাটন মোবাইল ফোন ১টি উদ্ধার করা হয়।
সাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানবপাচার, পাসপোর্ট জালিয়াতি, চাঁদাবাজি, অপহরণ এবং অস্ত্র রাখাসহ নানা অপরাধে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যেই তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
সেনাবাহিনী জানায়, অভিযান শেষে গ্রেপ্তার আসামি ও জব্দ সামগ্রী কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে কুমিল্লা মহানগরীর বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে প্রস্তুতিমূলক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁন।
আজ রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার মণ্ডপগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, মণ্ডপে প্রবেশ ও প্রস্থান পথ, সিসি ক্যামেরা স্থাপন, বৈদ্যুতিক সংযোগ ও অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার প্রস্তুতি ঘুরে দেখেন। তিনি পূজা উদযাপন কমিটিকে পুলিশকে সহায়তা করার জন্য দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। স্বেচ্ছাসেবকদেরও সর্বোচ্চ সতর্কতা ও তৎপরতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন তিনি।
পুলিশ সুপার বলেন, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সর্বদা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। পূজাকে ঘিরে কোনো নিরাপত্তার শঙ্কা নেই। তবে গুজব, অপপ্রচার বা উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে সতর্ক থাকতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো তথ্যে প্রতিক্রিয়া না দেখানোর অনুরোধ করছি। তিনি আরও জানান, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যাতে সর্বস্তরের মানুষ শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশে উৎসব উদযাপন করতে পারেন, সে লক্ষ্যে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাশেদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) পংকজ বড়ুয়া, পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের উনকোট গ্রামে বিশেষ অভিযানে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী।
আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোর প্রায় ৪ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
গ্রেফতারকৃত মোহাম্মদ রাকিব হোসেন চৌদ্দগ্রামের উনকুট গ্রামের তাজুল ইসলামের পুত্র।
অভিযানের সময় আসামির কাছ থেকে দুটি ওয়াকিটকি সেট, দুটি ওয়াকিটকি চার্জার, একটি লাঠি ও একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন
আশা রহমান :
চলতি বছরে অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশে এসএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন ৭৮১ জনের ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ২০৪ জনও ফেল থেকে পাস করেছেন।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল ১০টায় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো: আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে পুনর্নিরীক্ষণের এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার বিভিন্ন বিষয়ে ৩০ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষার্থী ৭৫০৮৫টি উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের জন্য অনলাইনে আবেদন করে। এরমধ্যে ৭৮১ জনের ফল পরিবর্তন হয়। এরমধ্যে ৭৭ জন নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। আর ২০৪ জন ফেল থেকে পাস করেন এবং ৫০০ জনের গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো: নিজামুল করিম বলেন, আবেদনের উত্তরপত্রগুলো পুনর্নিরীক্ষণের নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফলাফল পরিবর্তন হওয়া শিক্ষার্থীরা ১২ ও ১৩ জুন কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। আর ১৩ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত অনলাইনে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন গ্রহণ করা হয়। এ বছর কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের পাসের হার ছিল ৭৯.২৩।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১২৫ বোতল ফেন্সিডিল ও একটি
কাভার্ডভ্যান গাড়ীসহ চারজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে চৌদ্দগ্রাম থানার পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাত ২ টা ৪৫ মিনিটে
চৌদ্দগ্রাম থানায় কর্মরত এসআই (নিঃ) মোহাম্মদ আলমগীর সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
চৌদ্দগ্রাম থানাধীর সুজাতাপুর লাকি হোটেলের পশ্চিম পাশে ঢাকা-চট্টগ্রামগামী মহাসড়কে
একটি কাভার্ডভ্যান তল্লাশী করে ১২৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ মোরশেদ আলম
সোহেল, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ সাদ্দাম হোসেন ও মোঃ ওমর ফারুককে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো-১। খাগড়াছড়ি
জেলার মানিকছড়ি থানাধীন যোগ্যছোলা ৬নং ওয়ার্ড এলাকার খোরশেদ আলম এর ছেলে মোঃ মোরশেদ
আলম সোহেল (২৫), ২। নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানাধীন সাং—মাছিমপুর, ০৪নং ওয়ার্ড, ১৬নং
নেওয়াজপুর ইউপি এলাকার হাজী তোফায়েল আহমেদ এর ছেলে মোঃ আলাউদ্দিন (৩৮), ৩।খাগড়াছড়ি
জেলার মানিকছড়ি থানাধীন সাং—যোগ্যছোলা, (চেয়ারম্যানপাড়া) ৬নং ওয়ার্ড, ৩নং যোগ্যছোলা
ইউপি এলাকার মোঃ সাজু মিয়ার ছেলে মোঃ সাদ্দাম হোসেন (২৫), ৪। চট্টগ্রাম জেলার ভুজপুর
থানাধীন পশ্চিম সাপমারা এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোঃ ওমর ফারুক (১৯)।
উক্ত ঘটনায় কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম
থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
ক্লুলেস শরীফ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, মূলহোতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার এবং হত্যাকান্ডে
ব্যবহৃত মালামাল উদ্ধার করেছে বরুড়া থানা পুলিশ।
গত
২৭ মার্চ সকালে বরুড়া থানাধীন বরুড়া পৌরসভাস্থ শালুকিয়া এলাকায় শরীফ হোসেন(৩৫) এর মৃত
দেহ তার ঘরে মাটিতে পড়া অবস্থায় ছিলো।
মৃত
শরীফ হোসেন এর মা রৌশন আরা বেগম থানায় এজাহার দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করেন এসআই(নিঃ)
নাজিম উদ্দিন।
ভিকটিম
শরীফ হোসেন(৩৫) এর লাশ পাওয়ার পর হতে পুলিশ সুপার, কুমিল্লার সার্বিক দিক নির্দেশনায়
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ,কে,এম এমরানুল হক মারুফ, সদর দক্ষিণ সার্কেল, কুমিল্লার
তত্ত্বাবধানে বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ, মোঃ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী, এসআই(নিঃ) নাজিম
উদ্দিনসহ বরুড়া থানা পুলিশের একটি চৌকস টীম তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন।
তবে
নিহতের পরিবার ও এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে হত্যাকান্ডের কোন যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছিল
না। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের
শনাক্তের জন্য বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জসহ টীম বরুড়া বারবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও
জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তদন্ত কার্যক্রমের একপর্যায়ে হত্যাকান্ডে জড়িত
আসামী ১। আরিফ হোসেন(২২), ২। মোঃ নাছির উদ্দিন(৪৩), ৩। মিসেস খুকী আক্তার(৩৫) কে গ্রেফতার
করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। ১নং আসামী মৃত
শরীফ হোসেন এর ছোট ভাই, ৩নং আসামী মৃত শরীফ হোসেনের বড় বোন এবং ২নং আসামী ৩নং আসামীর
স্বামী।
গ্রেফতারকৃত
আসামীরা হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানান, মৃত শরীফ হোসেন উচ্ছৃঙ্খল
জীবন যাপন করত। সে মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল। এলাকার লোকজন তাকে
ভয় পেতো। মৃত শরীফ হোসেন তার মাকে প্রায় সময়ই গালিগালাজ ও মারধর করত। ছোট ভাই আরিফ
হোসেনের সাথেও তার ঝগড়াঝাটি ছিল। কিছুদিন আগে আরিফ হোসেন এর একটি অটোরিক্সা শরীফ হোসেন
জোরপূর্বক বিক্রি করে। ইহাকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তাছাড়া
মৃত শরীফ হোসেন এলাকার লোকজনের বিভিন্ন রকম ক্ষতি করায় ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন তার বড় বোন
খুকি আক্তার এর নিকট বিচার প্রার্থী হলে বড় বোন শরীফ হোসেনকে শাসন করার জন্য বিভিন্ন
কথাবার্তা বলত। ফলে মৃত শরীফ হোসেন বোনকে শক্র মনে করত। এমনকি বোনকে বিভিন্ন রকম হুমকি
দিতো। মৃত শরীফ হোসেনের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে বড় বোন খুকি আক্তার, বোনের স্বামী মোঃ
নাছির উদ্দিন ও ছোট ভাই আরিফ হোসেন তাদের একজন প্রতিবেশীকে নিয়ে পরিকল্পনা করে যে,
শরীফ হোসেনকে মারপিট করে পঙ্গু করে ঘরে বসিয়ে খাওয়াইবে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামীগন
গত ২৬/০৩/২০২৪খ্রিঃ তারিখ দিবাগত রাত ১টায় ঘটিকার সময় বরুড়া থানাধীন বরুড়া পৌরসভাস্থ
শালুকিয়া সাকিনের শঙ্কু ডাক্তারের পুকুর পাড়ে নির্জনস্থানে শরীফ হোসেনকে একা পেয়ে আসামীদের
হাতে থাকা রড, দা ও টর্চ লাইট দিয়ে শরীফ হোসেনের মাথা, হাত, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে
পিটিয়ে গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত ও ফুলা জখম করে। তারপর শরীফ হোসেনের হাত পা বেধে আসামী
নাছির উদ্দিনের বাড়ির উঠানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর শরীফ হোসেনকে আবারও মারপিট
করে। তারপর শরীফ হোসেন দুর্বল হয়ে গেলে আসামীগন হাত পা বাঁধা অবস্থায় শরীফ হোসেনকে
তার ঘরে মাটিতে ফেলে আসে। সকালে আসামীরা জানতে পারে শরীফ হোসেন মারা গেছে। সংবাদ পেয়ে
আসামীরা শরীফ হোসেনকে দেখতে যায়।
হত্যাকান্ডে
আসামীদের ব্যবহৃত দা, রড, টর্চ লাইট উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ
জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী ১।
আরিফ, ২। নাছির এর ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
দীর্ঘ ৩২ বছরের চাকরিজীবনের ইতি টানেন চান্দিনা থানায় কর্মরত সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নি.) মো. অহিদ উল্যাহ। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় সহকর্মীরা তাকে দিয়েছেন রাজকীয় বিদায়। মো. অহিদ উল্যাহকে থানা থেকে ফুল সজ্জিত গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দেন সহকর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চান্দিনা থানায় আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাবেদুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা।
মো. অহিদ উল্যাহ কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের কুরছাপ গ্রামের আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে। তিনি ১৯৯৩ সালে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী উপপরিদর্শক পদ লাভ করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে চাঁদপুর, ফেনী, লক্ষ্মীপুর জেলাসহ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
চাকরিজীবনের সায়াহ্নে এসে নিজের পার্শ্ববর্তী থানা চান্দিনা থানায় কর্মরত ছিলেন।
সহকর্মীদের এমন ভালোবাসায় আবেগাপ্লুত হয়ে অহিদ উল্যাহ জানান, বাংলাদেশ পুলিশে দায়িত্ব পালন করতে পেরে আমি গর্বিত। এই ইউনিফরম আমার পরিচয়, আর মানুষের সেবা ছিল আমার অঙ্গীকার। সহকর্মীদের ভালোবাসা ও সম্মান আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি।
বিদায় অনুষ্ঠানে ওসি জাবেদুল ইসলাম জানায়, মো. অহিদ উল্যাহ একজন সৎ ও দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। তার পেশাদারি এবং সদাচরণ আমাদের জন্য অনুকরণীয় উদাহরণ হয়ে থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা নগরীর সাত্তার খান শপিং কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে বিভিন্ন চামড়া জাত উৎপাদিত পন্য সামগ্রী বিক্রি করা জনপ্রিয় শপ স্যাচল মার্ট এর দ্বিতীয় শাখার (জুতা সামগ্রী) উদ্বোধন হয়েছে।
আজ শনিবার ( ১৬ আগস্ট) দুপুরে নগরীর সাত্তার খান শপিং কমপ্লেক্স এর তৃতীয় তালায় দোয়া ও মোনাজাত এর মাধ্যমে উক্ত শপ এর উদ্বোধন করা হয়।
দোয়া ও মোনাজাতে উপস্থিত ছিলেন সাত্তার খান শপিং কমপ্লেক্সে কমিটির সভাপতি, সহ-সভাপতিসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মার্কেট মসজিদের খতিব।
এ সময় স্যাচল মার্ট এর স্বত্বাধিকারী তুহিন আলম, নুর মোহাম্মদ জানান, সাত্তার খান কমপ্লেক্স এর শপ স্যাচল মার্ট দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার বাসীর জনপ্রিয় মুখ হিসেবে পরিচিত লাভ করে আসছে। আমরাও সুনামের সাথে ব্যবসার কাজ পরিচালনা করতেছি। আমাদের আগে ছিল চামড়া জাত পণ্য যেমন লেডিস ব্যাগ, স্কুল কলেজ পড়ুয়া সকলের জন্য ছোট বড় ব্যাগ, ছোট-বড় ট্রলি ব্যাগ,বেল্ট, ওয়ালেট সহ অন্যান্য সামগ্রী কিন্তু ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে আজকে থেকে আমরা বিভিন্ন রকমের জুতার সামগ্রী নিয়ে স্যাচল মার্ট এর দ্বিতীয় শাখা উদ্বোধন করেছি। বিশেষত স্যাচল মার্ট এর বেশিরভাগ পণ্য সামগ্রী চায়না থেকে ইমপোর্ট করা। তাই আমরা পণ্য সামগ্রীর কোয়ালিটি মেইনটেইন করে থাকি।
স্যাচল মার্ট এর বিক্রয় কর্মী জানান, আমাদের নতুন জুতার কালেকশনে রয়েছে স্লিপার, ব্লক হীল, পেন্সিল হিল, বেলেন্স হিল, ডক্টর সেন্ডেল, ডক্টর সু, কোট সু, পার্টি সু, রাফ ইউজ ও বাচ্চাদের জন্য সকল আইটেম।
উল্লেখ্য, আজ এবং আগামীকাল সকল ৩০% ও শর্তপ্রযোজ্যে ৫০% ডিসকাউন্ট চলমান থাকবে, এছাড়া ও দ্রুত সময়ের মধ্যে অনলাইনে বিক্রয় করা যাবে। অনলাইনে ক্রয় করতে স্যাচল মার্ট ফেসবুক পেজ ফলো করুন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মহিউদ্দিন
(৩০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে ডান হাত কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার
দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের ওলানপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মহিউদ্দিন পেশায় একজন রং মিস্ত্রি ছিলেন। তিনি
ওলাপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
মহিউদ্দিনের মা মনোয়ারা বেগম বলেন,
আমার ছেলে মহিউদ্দিন দিনমজুর হিসেবে যখন যে কাজ পেতো, তাই করতো। আমার ছেলে রাজনৈতিক
কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না। তার কোনো শক্রও ছিল না। কিন্তু কে বা কারা দিনদুপুরে
বসতবাড়িসংলগ্ন মসজিদের কাছে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে তার ডান হাত বিচ্ছিন্ন করে
নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডা: জান্নাতুল
নাঈম জানান, মহিউদ্দিনকে মৃত অবস্থায় আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছে। তাঁর
ডান হাত পাওয়া যায়নি। কনুইয়ের ওপর থেকে হাত বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। হাত বিচ্ছিন্ন করার
পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর মাথা ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন
অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ
(পরিদর্শক) রোমেন বড়ুয়া বলেন, ধারণা করা হচ্ছে মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধের জেরে এ
হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। তদন্তের পরে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের
জন্য কুমিল্লায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক
সাইদুল ইসলাম বলেন, কে বা কারা হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। হত্যাকারীরা তার
ডান হাত নিয়ে গেছে। লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে
পাঠানো হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন