

গভীর
রাতে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়
কম্বল মোড়ানো শিশুটি দেখতে পান পথচারী। এরপর
পুলিশ খবর পেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারের
পর তার পরিচয় শনাক্ত
করে। তারপর মাকে থানায় ডেকে
নিয়ে শিশুটিকে তার কোলে তুলে
দেওয়া হয়।
পুলিশ
জানিয়েছে, রাস্তায় পড়ে থাকা শিশুটির
নাম মালিহা ইসলাম ওহি। তার বয়স
মাত্র ৯ মাস। তার
মায়ের নাম মরিয়ম বেগম।
গত
৪দিন আগে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর
উপজেলার তোরাবগঞ্জ অগ্রণী স্কুলের ক্যাম্পাস থেকে চুরি হওয়া
তাকে চুরি করে নিয়ে
যায় অজ্ঞাত এক নারী।
শিশু
মালিহার মা মরিয়ম বেগম
বলেন, গতরাত ১২ টার আগ
পর্যন্ত আমরা থানায় ছিলাম।
সেখান থেকে বাড়ি আসার
১০ মিনিটের মাথায় থানা থেকে আমাদের
কাছে ফোন আসে। থানায়
গিয়ে আমার মেয়েকে দেখতে
পাই। পরে আমার কাছে
মালিহাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৪
দিন পর আমার মেয়ে আমার
কোলে ফিরেছে। আমার বুকটা ভরে
গেছে। চুরির সঙ্গে যে নারী জড়িত
তাকে যেন গ্রেপ্তার করে
আইনের আওতায় আনা হয়। আমি
তার বিচার দাবি করছি।
কমলনগর
থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল
জলিল বলেন, রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত
আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে
থানার কাছে উপকূল কলেজের
পেছনে মাটির রাস্তা দিয়ে জনৈক পথচারী
ইউছুপ বাড়ি যাওয়ার সময়
কম্বল মোড়ানো একটি শিশুটি দেখতে
পান। তিনি চিৎকার দিয়ে
লোকজন জড়ো করে। পরে
এলাকার লোকজন থানায় খবর দেয়। পুলিশ
গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে এবং তার
পরিচয় নিশ্চিত করে। এর আগে
শিশুর মা থানায় একটি
জিডি করে। সে সূত্রে
পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রাখে।
এদিকে
চুরির সঙ্গে জড়িত নারীকে এখনো
শনাক্ত করা যায়নি।
মন্তব্য করুন


রফিকুল ইসলাম বাবু, চাঁদপুর:
চাঁদপুরে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের আয়োজনে বৃক্ষ মেলা ২০২৪ উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই বৃক্ষ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জিএম মোহাম্মদ কবির, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডঃ মোঃ সাফায়েত আহমেদ সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়। এছাড়াও দর্শনার্থী ও বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মেলায় মোট চাঁদপুর জেলার২২ টি স্টল অংশগ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন


নিজ কৃষি খামারে কাজ করতে গিয়ে পঁয়ত্রিশ বছরের যুবক মো. সুমন (৩৫) কে সাপে কাটে।
খামারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতাল থেকে পালিয়ে ওঝার কাছে সেই সাপে কাটা রোগী।
চমেকে রোগীতে যথারীতি ভর্তি করালেও মায়ের আকুতি মিনতি আর নানা হুমকিতে গ্রামের উদ্দেশ্যে আবারো হাসপাতাল ছাড়ে সাপে কাটা সুমন। জানা যায়, ওঝার কাছে চিকিৎসা করতেই মূলত রোগীকে চমেক ছাড়তে বাধ্য করেন তাঁর মা শাহিদা বেগম (৫০)। শাহিদার একমাত্র ছেলে মো. সুমন।
গত সোমবার (২৫ মার্চ) রাত ১২ টার দিকে বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চর মেঘা এলাকার খামারবাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দপুরের চেয়ারম্যান বেল্লাল মোল্লা।
ঘটনা সুত্রে জানা যায়, সুমনের বাড়ি মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার রাজাপুর হলেও সুমন বসবাস করতেন মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠা গোবিন্দপুর ইউনিয়নে। মেঘনা নদীর করাল ভাঙ্গনে গোবিন্দপুর ইউনিয়ন এখন বিলিন প্রায়। সব দিকে চর এলাকা।
ঘটনার দিন গত সোমবার (২৫ মার্চ) রাত ১২ টার দিকে সুমন নতুন চর এলাকায় নিজ খামারে কাজ করছিলেন। খামারটিতে গরু লালন পালন ও ডাল চাষ করতেন। এলাকাটি ঝোপঝাড় জঙ্গলে ভরপুর ছিল। রাতে সুমন জমিতে কাজ করতে গেলে হঠাৎ পায়ে কামড় দেয় বিষধর চন্দ্রবোড়া (রাসেলস ভাইপার) সাপ। কয়েক ঘন্টার মধ্যে গলা দিয়ে রক্ত পড়ে সুমনের। দ্রুতই আত্মীয় স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে নোয়াখালী হাসপাতাল হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
পরে সাপে কাটা রোগী হাসপাতাল ছেড়ে ওঝার কাছে নিতে সিট কেটে দেন। এ ঘটনা শোনে চমেক হাসপাতালের ১৬ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অন্যান্য রোগিরাও হতভম্ব হয়ে পড়েন। কেননা, চট্টগ্রাম বিভাগে সাপে কাটা রোগীর একমাত্র ভরসা হচ্ছে চমেক হাসপাতাল। এখানেই দেওয়া হয় সাপে কাটা রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা। রয়েছে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম টিকা ও আইসিইউ ব্যবস্থা।
হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ সাপে কাটা মো. সুমনকে চমেকে ভর্তি করেন তাঁর খালু মোহাম্মদ খলিল। ভর্তি করানোর পর ডাক্তারেরা নিশ্চিত হন সুমনকে চন্দ্রবোড়া সাপে কামড় দিয়েছেন। কিডনিতে সমস্যা হয়েছে। ফলে, দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া হয় রোগীকে। কিন্তু চিকিৎসা শুরুর ১২ ঘন্টা না যেতেই রোগীর সিট কেটে গ্রামের উদ্দেশ্যে দৌঁড় দিলেন খলিল।
পরে রোগীর বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, রোগী হাসপাতাল ছেড়ে মূলত ওঝার কাছে গেছেন। সাপে কাটা রোগী সুমনের মা শাহিদা বেগমকে নাকি পাশের বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন ছেলেকে ওঝার কাছে চিকিৎসা করাতে। এই ধারণায় পেয়ে বসে শাহিদা বেগমকে। ছেলেকে যেকোন মূল্যে হাসপাতাল থেকে ওঝার কাছে পৌঁছাতেই চাপ দেন রোগীর এ্যাটেনডেন্ট হিসেবে আসা খালু মোহাম্মদ খলিলকে। এতেই ঘটে বিপত্তি।
স্থানীয় সুত্র জানায়, সুমন গোবিন্দপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের ফজলে করিম হাওলাদারের ছেলে। সুমনের এক ছেলে, এক মেয়ে। বর্তমানে তাঁর পরিবারের সবাই অসুস্থ। সুমনকে সাপে কামড় দিয়েছে এ খবরে তাঁর স্ত্রী রিক্তা বেগমও পাগলপ্রায়।
গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আসলাম রোগীর এ্যাটেনডেন্ট খলিলের বরাত দিয়ে বলেন, 'সুমনের মা সরাসরি খলিলকে হুমকি দিয়েছেন। সুমন মারা গেলে তাঁকে আসামি করে মামলা করবে। সুমনকে যেন তাড়াতাড়ি ওর মায়ের কাছে পৌঁছায় দেন। এ কথা শোনে মূলত খলিল সাপে কাটা রোগীকে চমেকে ভর্তি করলেও পরে কোন মতে রোগী নিয়ে পালিয়ে যান।'
গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেল্লাল মোল্লা বলেন, 'ঘটনাটি কেউ আমাকে জানায়নি। আমি খবর নিচ্ছি। বর্তমান যুগে যেখানে চিকিৎসা বিজ্ঞান এত উন্নত হয়েছে সেখানে এখনও ওঝার ঝাঁড় ফুক বিশ্বাস করা দুর্ভাগ্যজনক। মানুষকে সচেতন হওয়া দরকার।'
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডাঃ অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, 'আমরা যতটুকু জেনেছি রোগীকে চন্দ্রবোড়া (রাসেলস ভাইপার) সাপে কেটেছে। অলরেডি চামড়ার নিচে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি রোগীকে হাসপাতালে রাখতে। কিন্তু রোগীর মা কিছুতেই রাজি ছিলেন না। রোগীকে নিয়ে গেলেন। বিষয়টি রোগীর এলাকার মেম্বার, চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কোন ওঝা যদি মাকে প্রলুব্ধ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
বণ্যপ্রাণী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মো. আবু সাইদ বলেন, 'সাপে কামড়ানোর পর যারা আগে ওঝার কাছে যান, তাদের মধ্যে মারা যাওয়ার হার বেশি। সময় মতো হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করালে রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। সাপে কামড়ানোর পর ৬১ শতাংশ মানুষ যান ওঝার কাছে। আর ৩৫ শতাংশ মানুষ যান হাসপাতালে।সাপে কামড়ানোর পর প্রথম ১০০ মিনিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য দ্রুত হাসপাতালের বিকল্প নেই।'
মানুষের শরীরের ওপর সাপের বিষের প্রভাব নিয়ে পিএইচডি করা গবেষক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এম এ ফয়েজ জানান, 'সাপের দংশনের শিকার মানুষের প্রাণ বাঁচানোর পথে অন্যতম অন্তরায় অপচিকিৎসা। কেননা, অধিকাংশ সময় রোগীকে হাসপাতালে না নিয়ে, যাওয়া হয় ওঝা বা বৈদ্যের কাছে। এতে রোগীর মৃত্যু ও পঙ্গুঝুঁকি বাড়ছে। এ কারণে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি অপচিকিৎসা রোধে আইন প্রণয়ন করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোট আলমপুরে বিদুৎপৃষ্ট হয়ে মোঃ তুহিন (১৬) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার দিবাগত রাত ১২ টা ৩০ মিনিটে পৌর এলাকার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। সে ছোটআলমপুর উত্তর পাড়ার “মোঃ ফারুক হোসেন”এর মেজো ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোটআলমপুর উত্তর পাড়ার বাচ্চু মিয়ার বাড়ির মোঃ ফারুক হোসেন এর মেজো ছেলে মোঃ তহিন পেশায় একজন দোকান কর্মচারী। প্রতিদিনের মত রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যায় এবং বাড়ির পাশে বন্ধুদের সাথে ব্যাডমিন্টন খেলে। খোলা শেষ হলে বাড়িতে গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে যায়। ওই সময় তার রুমের ফ্যানের লাইন নষ্ট দেখে তা মেরামত করতে গিয়ে বিদুৎপৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয় তুহিন। পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিদুৎপৃষ্ট তুহিনের বাবা“ মোঃ ফারুক হোসেন” বলেন, তুহিন রাতে ঘুমাতে গেলে দেখে তার রুমের ফ্যান চলে না। এক পর্যায়ে দেখে বৈদুতিক তার ছিড়ে সমস্থ ঘরে আর্থিং হয়ে আছে। এ সময় সে লাইন মেরামত করতে গিয়ে বিদুৎপৃষ্ট হয়। আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলে আমার ছেলে আর নেই।
এ ব্যপারে দেবিদ্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মাঈনউদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ আমরা পাইনি। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক আবু হানিফ কাজী কে অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
সোমবার বিকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজের প্রধান সমন্বয়কারী ও আশেক আলী খান স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমানের উদ্যোগে ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও মাধ্যমিক শিক্ষা পরিবারের আয়োজনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরে অফিস সহায়ক আবু হানিফ কাজী কে রাজকীয় ভাবে গাড়ি চড়ে চাঁদপুরে প্রেরন করা হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আলী আশ্রাফ খানের সভাপতিত্বে ও আশ্রাফপুর আহসানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন সোহাগের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কেএম মো. সোহেল রানা, আশেক আলী খান স্কুর এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো: মিজানুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শহীদ উল্যাহ পাটওয়ারী, কচুয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রাকিবুল হাসান, তেতৈয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম পাটওয়ারী, সিংআড্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র দাস, মনোহরপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম, শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার কর, চাঁদপুর এমএ খালেক মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন, মনপুরা বাতাবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা ও কচুয়া ক্যামিব্রয়ান স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আমির হোসেন মজুমদার প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। পরে রাজকীয় ভাবে গাড়িতে চড়ে তার নিজ বাড়ি চাঁদপুরে পাঠানো হয়।
মন্তব্য করুন


রোজায়
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন,
সেনাবাহিনী, ভোক্তা অধিকার ও বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর।
সোমবার
বেলা ১১টা থেকে ২টা পযন্ত কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছারের নেতৃত্বে কুমিল্লা
নগরীর রাজগঞ্জসহ খুচরা বাজারে তদারকি এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এসময়
রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা পণ্যের মধ্যে মাছ,মাংস, মুরগি, সয়াবিন তেল ও লেবুসহ
বিভিন্ন পণ্যের ক্রয় ও বিক্রয়ের ভাউচার মনিটরিং করা হয় ।
এসময়
ব্যবসায়ীদের সাবধান করে জেলা প্রশাসক বলেন যাতে অধিক মুনাফার লোভে ভোক্তার সঙ্গে
প্রতারণা না করা হয় ।
জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার
বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে প্রতিদিন দুটি টিম নগরীতে বাজার দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে
কাজ করছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করা
হচ্ছে।
একই সময় খুচরা বাজারের দেশি ও বিদেশী ফল এবং সবজিতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ফরমালিন আছে কিনা তা ভ্রাম্যমাণ ল্যাবের মাধ্যমে পরীক্ষা করেছে বিএসটিআই। যাতে করে রমজান মাসে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয় সেই বিষয়ে এ পরীক্ষা কার্যক্রম বিএসটিআইয়ের।
অভিযানে বিএসটিআই কুমিল্লার উপ-পরিচালক কে এম হানিফ, ভোক্তা অধিকার কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মোঃ কাউছার মিয়াসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরহাজারী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের তের
বাড়ি সমাজের মরহুম আব্দুস সোবহানের ছেলে ইমরোজ হোসেন রিপন (৩৬)। সে একজন জন্মান্ধ
যুবক।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা কোনো বাধাই নয়, এমনটা প্রমাণ করতে যেন তার
লড়াইটা জীবনের প্রথম দিন থেকে শুরু। মনের আলোয় উদ্ভাসিত এ যুবক পেশায় একজন
ইলেকট্রিক ও প্লাম্বার মিস্ত্রি। পাশাপাশি বাড়ির পাশে করছেন ছোট্র একটি ইলেকট্রিক
দোকান। শারীরিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও কারো কাছে হাত না পেতে করছেন ইলেকট্রিক ও
পাইপ ফিটারের কাজ। স্থানীয় এলাকাবাসী তার এমন প্রয়াসে অনুপ্রাণিত। সে যেন নিজের
অনুপ্রেরণা নিজেই।
১৯৮৬ সালে জন্ম গ্রহণ করেন রিপন। সাত ভাই-বোনের মধ্যে সে চতুর্থ।
বর্তমানে তার মা দুই ছেলের সাথে আমেরিকায় থাকেন। আমেরিকা প্রবাসী বড় বোন সুমনা ও
ডাক্তার শাহজান আক্তার এবং ছোট ভাই শিপনের সহযোগিতায় বাবার দিয়ে যাওয়া ঘরে এক ছেলে
এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছে রিপন।
নিজ গ্রামে বিদ্যুতায়ন শুরু হলে নিজের মধ্যে ইলেকট্রিকের কাজ শেখার
স্বপ্ন জাগে। কিন্তু এতে বাধা দেন মা-বাবাও স্থানীয় ইলেকট্রিক মিস্ত্রিরা। এরপর
একা একা নিজেদের বসত ঘরে ইলেকট্রিকের কাজ শিখতে চেষ্টা চালায় রিপন। একপর্যায়ে এ
নিয়ে চেঁচামেচি শুরু করে তার মা-বাবা। এ কারণে ইলেকট্রিকের কাজ করার যন্ত্রপাতি
লুকিয়ে রাখতেন। পরে ঘর থেকে বের হয়ে বারান্দায় চলে যান। সেখানে একাকী দীর্ঘ
চেষ্টার পর আয়ত্ত করে ইলেকট্রিক, প্লাম্বার ও সোলারের কাজ। এরপর তিনি গত ১৮ বছরে
নিজ গ্রামে বেশ কয়েকটি মসজিদসহ ১৫০-২০০টি ঘরের ইলেকট্রিক কাজ সম্পন্ন করেন। এছাড়াও
টুকিটাকি অসংখ্য মেরামতের কাজ করেছেন।
নিজের গ্রামের সকল রাস্তার সাথে তার নাড়ির সম্পর্ক। কারো সহযোগিতা
ছাড়াই রাস্তাঘাটে চলাফেরা করেন। একা একা যান নিজের দোকানে। গোসল থেকে খাবার সবই
করেন নিজে হাতে কারো সাহায্য ছাড়া। এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো সহযোগিতা পাননি রিপন।
রিপনের স্ত্রী শাহিনা আক্তার বলেন, স্বামী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও
অন্যদের থেকে সে পুরোপুরি আলাদা। সে নিজের সকল কাজ নিজে করতে পারে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম শিপন বলেন, দৃষ্টি
প্রতিবন্ধকতা যে স্বপ্ন পূরণের জন্য বাধা নয় তার উজ্জল দৃষ্টান্ত রিপন।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েও অবিরাম কাজের পিছনে ছুটে চলেছেন। দৃষ্টি তার সামনে এগোনোতে
কোনো বাধা হতে পারেনি, উল্টো সে এক অনুপ্রেরণার নাম। ব্যতিক্রমী প্রতিভার অধিকারী
রিপন কারো বোঝা না হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। তার এ উদ্যম ও মনের শক্তি সমাজের
প্রতিটি মানুষের কর্মজীবনকে প্রভাবিত করবে এমনটাই সকলের প্রত্যাশা। তাকে খুব দ্রুত
একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসন থানার কড্ডা বাজার এলাকার ব্রিজে ১টি বাস উল্টে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কড্ডা ব্রিজের ওপর।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ১টি বাস ব্রিজের রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। চালক ও হেলপার বাসের ভেতর থেকে তুরাগ নদে পড়ে যান। বাসের যাত্রীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। গুরুতর আহত হয়েছেনবাসের চালক ও হেলপার।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সিদ্দিক বলেন, এ ঘটনায় অন্তত ১০-১৫ জন আহত হয়েছে। তাৎক্ষণিক পরিচয় জানা যায়নি তাদের। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। বাসটি ব্রিজ থেকে সরানোর কাজ করছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় বিএসটিআই, কুমিল্লা ও উপজেলা প্রশাসন, সদর দক্ষিণ, কুমিল্লার যৌথ উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পরিচালিত অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে 'মুড়ি' পণ্যের গুণগত মান সনদ গ্রহণ ব্যতীত প্রস্তুত, বিক্রয়-বিতরণ করায় "বিএসটিআই আইন-২০১৮" অনুযায়ী কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ এর বেলতলীর কৃষ্ণপুরে মেসার্স খোরশেদ চিড়া ও মুড়ি মিল প্রতিষ্ঠানটিকে ২৫,০০০ (পঁচিশ হাজার টাকা) এবং কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ এর গোপিনাথপুরের মেসার্স মমতা মুড়ি মিল প্রতিষ্ঠানটিকে "বিএসটিআই আইন-২০১৮" এবং "ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন-২০১৮" অনুযায়ী ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার টাকা) অর্থদণ্ড করা হয়।
উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত সদর দক্ষিণ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সৈয়দ রেফাঈ আবিফ এর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।
প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিএসটিআই, কুমিল্লা অফিসের কর্মকর্তা জনাব ইকবাল আহম্মদ, ফিল্ড অফিসার (সিএম) এবং প্রকৌ: আরিফ উদ্দিন প্রিয়, পরিদর্শক (মেট্রোলজি)।
জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন


শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মো. আবদুল মান্নান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান,মহাসড়কে চলন্ত গাড়িতে রড ছুঁড়ে ডাকাতি করতে ওত পেতে থাকা আন্তজেলা ডাকাতদলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার করার বিষয়ে পুলিশ সুপার জানান, গতকাল শুক্রবার দিনগত রাত আড়াইটায় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলার তীরচর এলাকা থেকে আন্তজেলা ডাকাতদলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এসময় তাদের সাথে থাকা বাকি ১০ ডাকাত পালিয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মংনেথোয়াই মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. আশফাকুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক ও ডিবি) নাজমুল হাসানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
গ্রেপ্তারকৃত আন্ত:জেলা ডাকাতদলের সদস্যরা হলেন কুমিল্লার তিতাস উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকার হযরত আলী , একই গ্রামের মো. হাসান , চান্দিনা উপজেলার বাগমারা গ্রামের রুহুল আমিন , একই উপজেলার পরচঙ্গা গ্রামের মো. কাউছার ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার পূর্ব পোমকাড়া গ্রামের মো. জহির। বিভিন্ন অপরাধে জহিরের বিরুদ্ধে ১৩টি, হযরত আলীর বিরুদ্ধে আটটি ও কাউছারের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে।
ডাকাতি করার কৌশল নিয়ে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা মহাসড়কে লোহার রড নিয়ে ওত পেতে থাকে। তারা দুটি গ্রুপে থাকে। এক দল চলন্ত গাড়িতে রড ছুড়ে মারে। গাড়িটি থামলে অন্য গ্রুপ যাত্রীদের আতংকিত করে ডাকাতি করে ।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার পারুয়ারা দাখিল মাদ্রাসার সামনে ফারজানা পরিবহনের একটি বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রবাস ফেরত এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।
আজ রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম ইব্রাহীম সরকার (৩২)। তিনি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের সরকারবাড়ীর বাসিন্দা। সম্প্রতি তিনি বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুরাদনগরগামী ফারজানা পরিবহনের একটি দ্রুতগামী বাস পারুয়ারা দাখিল মাদ্রাসার সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়। এতে সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে বাসের নিচে ঢুকে যায় এবং ঘটনাস্থলেই যাত্রী ইব্রাহীম সরকার মারা যান। গুরুতর আহত চারজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে সাময়িক যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, “দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাস ও সিএনজি জব্দ করেছি এবং নিহতের মরদেহ হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত ইব্রাহীম সরকার একজন প্রবাস ফেরত ছিলেন বলে জানা গেছে। বাসচালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে, তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।”
তিনি আরও জানান, বেপরোয়া গতির কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে গ্রামে শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে।
মন্তব্য করুন