

গভীর
রাতে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়
কম্বল মোড়ানো শিশুটি দেখতে পান পথচারী। এরপর
পুলিশ খবর পেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারের
পর তার পরিচয় শনাক্ত
করে। তারপর মাকে থানায় ডেকে
নিয়ে শিশুটিকে তার কোলে তুলে
দেওয়া হয়।
পুলিশ
জানিয়েছে, রাস্তায় পড়ে থাকা শিশুটির
নাম মালিহা ইসলাম ওহি। তার বয়স
মাত্র ৯ মাস। তার
মায়ের নাম মরিয়ম বেগম।
গত
৪দিন আগে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর
উপজেলার তোরাবগঞ্জ অগ্রণী স্কুলের ক্যাম্পাস থেকে চুরি হওয়া
তাকে চুরি করে নিয়ে
যায় অজ্ঞাত এক নারী।
শিশু
মালিহার মা মরিয়ম বেগম
বলেন, গতরাত ১২ টার আগ
পর্যন্ত আমরা থানায় ছিলাম।
সেখান থেকে বাড়ি আসার
১০ মিনিটের মাথায় থানা থেকে আমাদের
কাছে ফোন আসে। থানায়
গিয়ে আমার মেয়েকে দেখতে
পাই। পরে আমার কাছে
মালিহাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৪
দিন পর আমার মেয়ে আমার
কোলে ফিরেছে। আমার বুকটা ভরে
গেছে। চুরির সঙ্গে যে নারী জড়িত
তাকে যেন গ্রেপ্তার করে
আইনের আওতায় আনা হয়। আমি
তার বিচার দাবি করছি।
কমলনগর
থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল
জলিল বলেন, রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত
আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে
থানার কাছে উপকূল কলেজের
পেছনে মাটির রাস্তা দিয়ে জনৈক পথচারী
ইউছুপ বাড়ি যাওয়ার সময়
কম্বল মোড়ানো একটি শিশুটি দেখতে
পান। তিনি চিৎকার দিয়ে
লোকজন জড়ো করে। পরে
এলাকার লোকজন থানায় খবর দেয়। পুলিশ
গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে এবং তার
পরিচয় নিশ্চিত করে। এর আগে
শিশুর মা থানায় একটি
জিডি করে। সে সূত্রে
পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রাখে।
এদিকে
চুরির সঙ্গে জড়িত নারীকে এখনো
শনাক্ত করা যায়নি।
মন্তব্য করুন


মা ইলিশ রক্ষায় সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে মা ইলিশ শিকারের দায়ে ৯ জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
গতকাল , মঙ্গলবার (০৭ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় পদ্মা নদীর কলাবাগান এলাকা থেকে ৬ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও আনুমানিক ১০ কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়। পরে ইলিশ স্থানীয় দৌলতদিয়া খানকা শরিফের এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ “ ত্রিনাথ সাহা” বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় পদ্মা নদীতে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ জেলেকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন মতে ২টি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের আদালত পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে উদ্ধাকৃত জালগুলো আলামত হিসেবে রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লার
মুরাদনগর উপজেলায় ভোক্তা অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যৌথ অভিযানে আবুল হাসেম ফুড প্রডাক্টকে এক লাখ টাকা জরিমানা
করা হয়েছে।
জাতীয়
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জানিয়েছে, মেয়াদবিহীন
খাদ্য বিক্রি, পোড়া
তেল ব্যবহার, এবং
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণের দায়ে “আবুল হাসেম
ফুড প্রডাক্টস” নামক
প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ১,০০,০০০ টাকা (এক
লাখ) জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে,
ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে সতর্ক করা
হয়েছে।
উক্ত অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ
অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো: কাউছার মিয়া, নিরাপদ খাদ্য
অফিসার মো: জুয়েল মিয়া,
অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন,
এবং নমুনা সংগ্রহকারী মো: সাকিব।
অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ বাজার ও বজ্রপুর এলাকায় ভোক্তা অধিকার বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগে চারটি প্রতিষ্ঠানকে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,কুমিল্লা।
শুক্রবার (২৪ মে) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম এই অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা স্যারনিটারি ইন্সপেক্টর ইসরাইল হোসেন, রাজগঞ্জ ব্যাবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং জেলা পুলিশের একটি টিম।
মন্তব্য করুন


মো:
মাসুদ রানা,কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:
মুড়ি ভাজার কারখানা চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কাদলা গ্রাম। মাহে রমজানকে সামনে রেখে দেশীয় মুড়ি ভাজার কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন ওই গ্রামের পালবাড়ির বাসিন্দারা। এ যেন কারিগরদের ধম নেয়ারও সময় নেই।
সরেজমিনে কাদলা গ্রামের পাল বাড়িতে গিয়ে কয়েকজন মুড়ি ভাজার কারিগরদের সাথে কথা হয়। ওই গ্রামের বিমল পাল,শ্যামল পাল, যুবরাজ,অমর পাল ও অজয় পাল জানান,মুড়ি ভাজা আমাদের বাপ-দাদার ঐতিহ্যগত পেশা হিসেবে মুড়ি ভাজার কাজে আছি। সংসারের হাল ধরার একমাত্র উপার্জনক্ষন ব্যক্তি হিসেবে তারা বংশগত এ পেশার উপরেই নির্ভরশীল রয়েছেন বলেও তারা জানান।
তারা আরো জানান, মুড়ি ভাজতে অনেক পরিশ্রম হয়। বর্তমান যুগে মুড়ির চাহিদা কমে যাওয়ায় তাদের এখানে আগের মতো এখন আর কেউ মুড়ি ভাজতে আসে না। প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ কেজি মুড়ি ২০ টাকা প্রতি কেজি ধরে ভাজা হয় প্রতিটি পরিবারে। প্রতি কেজি মুড়ি তারা ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি করেন। এক সময় এ গ্রামে ২৫টি পরিবার মুড়ি ভাজার কাজে থাকলেও বর্তমানে ৩/৪টি পরিবার মুড়ি ভাজার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। ধানের দাম বেশি হওয়ায় এবং আধুনিক মেশিনে মুড়ি ভাজায় হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদা অনেকটাই কমে গেছে। তবে রমজান আসলে একটু চাহিদা থাকলেও বছরের অন্যান্য সময় অনেকটা অলস সময় কাটাতে হয় তাদের। মুড়ি ভাজতে লবন, বালু লাগলেও এতে সহায়ক হিসেবে মাটির চুলা, লাকরি ও মাটির কড়াইয়ে মুড়ি ভাজা হয়। এতে এক একটি পরিবারের ৪ থেকে ৫ জন সদস্য সার্বক্ষনিক মুড়ি ভাজার কাজে সহায়তা করে থাকেন।
এমনি ভাবে কাদলা পাল বাড়ির অজয় পাল, যুবরাজ পাল, বিমল পাল, দিলিপ পাল, বিষ্ণু পদ পাল, বিমল পালের পরিবারও এ মুড়ি ভাজার কাজ করে তাদের সংসার চালিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। তবে তারা জানান, এ পেশায় আগের মতো চাহিদা না থাকায় এবং লোকজন আগের মতো মুড়ি না ভাজায় বাধ্য হয়ে বংশগত পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে অনেকে।
তাদের দাবি বাপ-দাদার ঐতিহ্যগত এ পেশা বদল করতে চাইলেও পারছে না এবং কাছা-কাছি এলাকায় বৃহৎ বাজার না থাকায় ইচ্ছা করলেও ব্যবসা করতে পারছে না তারা।
বিমল পাল,শ্যামল পাল ও অমর পাল জানান, চলতি বছর এক মন ধান ১৭-১৮শ টাকায় ক্রয় করতে হয়। মুড়ির দাম কম হওয়ায় এবং আগের মতো মানুষের হাতে ভাজা মুড়ি ক্রয়ে আগ্রহ না থাকায় এ পেশায় আমাদের এখন আর পোষে না। আমরা বাপ দাদার ঐতিহ্য পেশায় ধরে রাখলে ভবিষ্যত প্রজন্ম আমাদের ছেলেরা এ পেশায় থাকবে না। তারা আরো জানান, ইচ্ছা করলেই এ পেশা বদল করা যায় না। তাই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা কিংবা এনজিও সংস্থার ঋণ সহায়তা নিয়ে এ পেশাকে এগিয়ে নিতে চান কাদলা গ্রামের মুড়ি ভাজার কারিগড়রা ।
মন্তব্য করুন


ঢাকার আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে কারখানার
স্টাফ, শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং
সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে আশুলিয়ার
শিমুলতলা এলাকার ইউফোরিয়া গার্মেন্টসে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এসময় র্যাবের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের
চেষ্টা করা হয়েছে। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে একটি তৈরি পোশাক কারখানায়।
পুলিশ ও র্যাব জানায়, রবিবার বিকেলে
বকেয়া বেতনসহ ১৬ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছিলো ইউফোরিয়া গার্মেন্টসের শ্রমিকরা।
বিকেলের দিকে স্টাফদের সাথে শ্রমিকদের কথা কাটাকাটি হয়। তার জেরে একপর্যায়ে রাতে
বেধে যায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। এ সময় কারখানাটিতে ভাঙচুর শুরু করে বিক্ষুব্ধ
শ্রমিকরা। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কারখানার এলাকায় গেলে তাদের সাথেও
সংঘর্ষ হয়। এতে শ্রমিক ছাড়াও আহত হয় বেশ কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য। এসময়
শ্রমিকরা র্যাবের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে তাতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে ।
পরে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
মন্তব্য করুন


অনলাইনে ৩০০ ডলার থেকে ১০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করলেই দিনপ্রতি আয় ৬ ডলার থেকে ২০০ ডলার। এছাড়াও এমএলএম পদ্ধতিতে রেফারেন্স বোনাস মিলবে ৩০ ডলার থেকে ১ হাজার ডলার পর্যন্ত।
উচ্চ মুনাফার প্রলোভেনের ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন অনেকে। মিরপুর মডেল থানার এমন একটি মামলার সূত্র ধরে তদন্তে নেমে চারজন সাইবার অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম উত্তর বিভাগ।
গ্রেপ্তাররা হলো—আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৬), মো. ইমরান শেখ (২৮), মো. মাহবুবুর রহমান সাদিক (৩২) ও শাহনেওয়াজ শরীফ শামীম (৩৪)।
গত ৩০ জানুয়ারি ঢাকার সাভার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৫টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি জানায়, উচ্চ রেফারেল কমিশন এবং ৩ মাসে জমা টাকা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে বিপুলসংখ্যক মানুষ এই চক্রের ফাঁদে পা দেয়। বিভিন্ন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক মাসে প্রায় ৬-৭ কোটি টাকা প্রতারক চক্রের সদস্যরা হাতিয়ে নিয়েছেন।
যেভাবে প্রতারণা করতো-
গ্রেপ্তাররা অনলাইনে uscommunitytrad.com সাইটের মাধ্যমে তাদের ইনভেস্টমেন্ট সংগ্রহের মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। তারা সাধারণ গ্রাহকদের উচ্চ হারে মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্কিম প্যাকেজে ইনভেস্টমেন্ট করতে প্রলুব্ধ করেন।
তাছাড়াও একজন বিনিয়োগকারী যদি অন্য কাউকে বিনিয়োগ করাতে পারেন তাহলে প্যাকেজ ভেদে বিভিন্ন রকমের কমিশন দেওয়া হতো। সেখানে রয়েছে তাদের অসংখ্য বিনিয়োগ স্কিম প্যাকেজ।
ডিবি জানায়, প্রতারকরা প্রায় ৬ মাস ধরে সাধারণ মানুষকে অ্যাকাউন্ট তৈরি ও তাতে ক্রিপ্টোকারেন্সির সহায়তায় ডলার ডিপোজিট করতে সহায়তা করতেন। ডিপোজিট করা টাকা ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে দেশের বাইরে পাচার হয়ে যেত। যার প্রভাব পড়ে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন অবৈধ।
যেসব স্কিমে নেওয়া হতো বিনিয়োগ
সিলভার প্যাকেজে ৩০০ ইউএস ডলার বিনিয়োগ করলে বলা হতো প্রতিদিন রিটার্ন পাবে ৬ ইউএস ডলার ও রেফারেল কমিশন ৩০ ইউএস ডলার পাওয়া যাবে এবং এই প্যাকেজের মেয়াদ হবে ১০০ দিন।
গোল্ড প্যাকেজে ৫০০ ইউএস ডলার বিনিয়োগ করলে প্রতিদিন রিটার্ন ১০ ইউএস ডলার ও রেফারেল কমিশন ৫০ ইউএস ডলার পাওয়া যাবে এবং এই প্যাকেজের মেয়াদ হবে ১০১ দিন।
ডায়মন্ড প্যাকেজে ১০০০ ইউএস ডলার বিনিয়োগ করলে প্রতিদিন রিটার্ন ২০ ইউএস ডলার ও রেফারেল কমিশন ১০০ ইউএস ডলার পাওয়া যাবে এবং এই প্যাকেজের মেয়াদ হবে ১০২ দিন।
প্লাটিনাম প্যাকেজে ২০০০ ইউএস ডলার বিনিয়োগ করলে প্রতিদিন রিটার্ন ৪০ ইউএস ডলার ও রেফারেল কমিশন ২০০ ইউএস ডলার পাওয়া যাবে এবং এই প্যাকেজের মেয়াদ হবে ১০৩ দিন।
এক্সক্লুসিভ প্যাকেজে ৫০০০ ইউএস ডলার বিনিয়োগ করলে প্রতিদিন রিটার্ন ১০০ ইউএস ডলার ও রেফারেল কমিশন ১০০০ ইউএস ডলার পাওয়া যাবে এবং এই প্যাকেজের মেয়াদ হবে ১০৪ দিন।
ভিআইপি প্যাকেজে ১০০০০ ইউএস ডলার বিনিয়োগ করলে বলা হতো প্রতিদিন রিটার্ন ২০০ ইউএস ডলার ও রেফারেল কমিশন ১০০০ ইউএস ডলার পাওয়া যাবে। এই প্যাকেজের মেয়াদ ছিল ১০৫ দিন।
ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, চক্রটি আমেরিকান কোম্পানির নাম ধারণ করে উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে এমএলএম স্কিমে বিনিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভোগীরা নির্ধারিত প্যাকেজের আওতায় ডলারের বিপরীতে টাকা বিনিয়োগ করতেন। আর সেই টাকা নিয়ে পলাতক হয়ে যান চক্রের সদস্যরা। এমন একটি অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা চারজনকে গ্রেপ্তার করেছি।
ডিবি সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতারণার নতুন কৌশল হিসেবে চক্রটি নতুন একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হ্যাচারি প্রজেক্টের কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে এক লাখ টাকা করে বিনিয়োগ গ্রহণ করছে। তারা এই টাকার বিপরীতে প্রতি মাসে আট হাজার করে পচিশ মাসে দ্বিগুণ মুনাফাসহ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এটি ছিল তাদের প্রতারণার নতুন একটি ফাঁদ।
গ্রেপ্তারদের মোবাইলে হ্যাচারি প্রজেক্টের নামে অন্য একটি স্কিমের তথ্য পাওয়া গেছে। যার মাধ্যমে লাখ টাকা করে নেওয়া শুরু করেছিলেন তারা।
ডিবিপ্রধান বলেন, আমরা গ্রেপ্তারদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছি। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত তাদের বিষয়ে তথ্য নিয়ে গ্রেপ্তার করা হবে। আর কত সংখ্যক লোকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, বিষয়টি জানার চেষ্টা করা হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের গাংটিয়ারা গ্রামে পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে মাদ্রাসাশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
মৃত ইয়ামিন হোসাইন (৭) উপজেলার গাংটিয়ারা গ্রামের প্রবাসী হেলাল উদ্দিন পাঠানের একমাত্র ছেলে এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
স্থানীরা জানান, বুধবার (১ অক্টেবর) দুপুর ১২টার দিকে মাদ্রাসার পুকুরে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় ইয়ামিন। নিখোঁজের পর মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
বিকাল ৪টার দিকে পুকুরে জাল ফেলে ইয়ামিনকে উদ্ধার করে উপজেলার মাধাইয়া বাজারের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইয়ামিনের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে আসে।
মৃতের মামা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের একমাত্র ভাগিনার মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে পুরো পরিবার। ইয়ামিনের বাবাও একমাত্র ছেলেকে শেষবারের মতো দেখতে বৃহস্পতিবার দেশে ফিরছেন। রাতে ইয়ামিনের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
দেবিদ্বার থানার ওসি শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, পানিতে ডুবে কেউ মারা গেছে এমন তথ্য এখনো পাইনি। সংবাদ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
মন্তব্য করুন


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ছাত্র-জনতার
ওপর হামলা ও গুলির ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা সাহেব আলীকে গ্রেফতার
করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (১৮ মে) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কোরপাই এলাকা থেকে
তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার সাহেব আলী বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
এছাড়াও তিনি বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং মোকাম ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক
সভাপতি।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সাহেব আলীর বিরুদ্ধে গতবছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার
ঘটনায় মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন


ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে দুইটি ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম লণ্ডভণ্ড হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ে শতাধিক বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে চলতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে এলাকা বিদ্যুতবিহীন হয়ে পড়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার পাচুড়িয়া ও বানা ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে এবং উপড়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় সড়কের উপরে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে অন্ধকার হয়ে যায় দুটি ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম।
বানা ইউনিয়নের কঠুরাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসেন জানান, বানা ইউনিয়নের শিরগ্রাম, গড়ানিয়া, পাকুড়িয়া, টাবনী, টোনাপাড়া, শিয়ালদি চরপাড়া, জয়দেবপুর, আউশির হাট, কঠুরাকান্দি, মাজপাড়া, আড়পাড়া গ্রামে ঝড় আঘাত হানে। ঝড়ে কাচাঁ-আধাপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা, পেঁয়াজ, রসুন, মশুরি, ধনিয়া, ধান, গমসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গ্রামগুলোতে বিদ্যুত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেছে।
পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আমিনুর রহমান বলেন, ঝড়ে আমার ঘরবাড়ি, ফসলি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও যুগীবরাট, ভাটপাড়া, চাদড়া, পাচুড়িয়া, দেউলি, চরনারানদিয়া, ধুলজুড়ি, চরভাটপাড়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, বুধবার রাত একটার দিকে ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক কাঁচাপাকা বাড়িঘর ও কয়েকশ গাছপালা উপড়ে যায়। বিস্তীর্ণ জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেন। ঘটনাস্থলে পোঁছে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করা হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুত সমিতির আলফাডাঙ্গা সাব জোনাল অফিসের এজিএম ফাহিম হাসান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সেখানে কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তাঁর ছিড়ে গেছে, কয়েকটি খুঁটি ভেঙ্গে অনেকগুলো আঁকাবাঁকা হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে কাজ চলছে।
এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমীন ইয়াছমীনের মোবাইল নম্বারে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার সীমান্ত এলাকা হতে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) কর্তৃক সর্বমোট ১,৭৪,৬৫০/- (এক লক্ষ চুয়াত্তর হাজার ছয়শত পঞ্চাশ) টাকা মূল্যের ভারতীয় গাঁজা জব্দ।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) নিজস্ব দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধসহ আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে নিয়মিত চোরাচালানী ও মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৫ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ আনুমানিক ১২: ৪৫ ঘটিকায় যশপুর বিওপি’র আওতাধীন লক্ষীপুর পোষ্টের বিশেষ টহলদল সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে বিজিবি টহল দল কর্তৃক সীমান্ত শূন্য লাইন হতে আনুমানিক ২৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বলের ডেবা নামক স্থান হতে মালিক বিহীন অবস্থায় অবৈধ ৪৯.৯০০ কেজি ভারতীয় গাঁজা জব্দ করা হয়। যার সর্বমোট মূল্য- ১,৭৪,৬৫০/- (এক লক্ষ চুয়াত্তর হাজার ছয়শত পঞ্চাশ) টাকা।
মন্তব্য করুন