সম্প্রতি স্যামসাংয়ের আনপ্যাকড ইভেন্টে গ্যালাক্সি এস২৪ সিরিজের ফোনের সঙ্গে এসেছে বেশ অবাক করার মতো ছোট এক গ্যাজেটের ঘোষণা, যার নাম - গ্যালাক্সি রিং।
একেবারেই নতুন এই গ্যাজেট প্রসঙ্গে স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্সের ডিজিটাল হেলথ বিভাগের প্রধান ডা. মান পাক-এর সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট যদিও এ গ্যাজেট সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ এখনও জানা যায়নি। তবে, স্যামসাং যে ফিচারগুলো নিয়ে কাজ করছে তা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ।
ডা. পাক বলেন , স্যামসাং হেলথ-এ আমাদের ভূমিকা হল স্বাস্থ্যসেবাকে সহজ করা। পাশাপাশি, স্বাস্থ্য বিষয়ে মানুষ কোথায় রয়েছে, তাদেরকে সে পথটি বুঝতে সাহায্য করা । পরিবর্তনশীল খরচের ফলে স্বাস্থ্যসেবা আজকাল বাড়িতেই চলে আসছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে এটি দ্রুত হচ্ছে। তবে, আমি মনে করি এটা অন্যান্য জায়গায়ও ঘটে। আমাদের একটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেটি মূলত খরচের কারণে, কর্মশক্তির ঘাটতিও একটি কারণ। আমরা মনে করি আমাদের ডিভাইসের পোর্টফোলিও নিয়ে অনন্য একটি জায়গায় রয়েছি আমরা। এমনসব স্বাস্থ্য ফিচার যেগুলো মানুষ ঘরে বসেই ব্যবহার করতে পারবে সেগুলো বাজারে আনার এটিই উপযুক্ত সময় হিসেবে স্যামসাং বিশ্বাস করে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট। তবে স্বাস্থ্যবিষয়ক ডিভাইসের কিছু ঘাটতিও রয়েছে। এটা ঠিক যে একটি স্মার্টওয়াচ সকালে নিশ্চিত করে বলতে পারে যে, গতরাতে ঘুম ভাল হয়েছে কি হয়নি। কিন্তু সঠিক সিদ্ধান্তের জন্য এটি যথেষ্ট তথ্য নাও হতে পারে বলে লিখেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
ডা. পাক আরো বলেন,লোকজন বলছেন তারা কীভাবে ঘুমাচ্ছেন বা ব্যায়াম করছেন সেটির ধারণা পাওয়ার বিষয়টি দারুণ। ঘুমের বিষয়টি আমরা বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। কোরিয়ান এফডিএ আমাদের স্লিপ অ্যাপনিয়া (নিদ্রাহীনতা) স্ক্রিনিং সনাক্তকরণ অনুমোদন করেছে। আমাদের চারটি নতুন সূচক রয়েছে যা আমরা ঘুমের সময় ট্র্যাক করছি, হার্ট রেট বা হৃদস্পন্দন, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার, রাতের চলাচল ও ঘুমের বিলম্ব। আমরা যা বুঝতে পেরেছি তা হল, ঘুমের সময় যখন আমরা মাপি যে কীভাবে হৃদস্পন্দন বা রক্তচাপ কমে যায়, সেগুলো কেবল আপনার ঘুমের গুণমান নয় আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যেরও ইঙ্গিত দেয়। আমরা মনে করি, এগুলো অসুখের সম্ভাব্য প্রাথমিক হস্তক্ষেপের সূচক, আর ডাক্তারদের কাছে এসব তথ্য নেই।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেছেন ডা. পাক। এটি অনেক কিছুই বদলে দিতে পারে এমন ধারণা প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, আমি মনে করি না ডাক্তাররা কখনই পুরোপুরি চলে যাবেন। তবে, আমি মনে করি ডাক্তাররা এআই ব্যবহার করছেন না এমন দিন সম্ভবত সময়ের সঙ্গে চলে যাবে। কারণ, এআই এখন যথেষ্ট পরিপক্ক। আপনি যদি এটির সুবিধা না নেন তবে আপনি সঠিক দক্ষতা পাবেন না।
ইন্ডিপেনডেন্ট এর প্রতিবেদন অনুসারে, আলোচনার এক পর্যায়ে ড. পাক গ্যালাক্সি রিং-এর বেশকিছু প্রোটোটাইপ সংস্করণ দেখান। এগুলো প্রোটোটাইপ হওয়ায় রং, উপাদান থেকে শুরু করে নকশাও পরিবর্তন হতে পারে বলে জানান তিনি। প্রোটোটাইপগুলো এক ডজন ভিন্ন আকারে ও সোনালী আর কালোসহ চারটি ভিন্ন রঙের ছিল। রিংগুলোর বাইরের প্রান্ত কিছুটা অবতল, স্পর্শে যেটি দারুণ আকর্ষণীয় লাগে বলে লিখেছে ইন্ডিপেনডেন্ট। এটি হালকা ও আরামদায়কও, ফলে রাতে পরার জন্য এটি স্মার্টওয়াচের চেয়ে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য।
রিং বা আংটি জাতীয় কোনোকিছুর মূল সুবিধা হল, এটি মনোযোগ ভাঙার মতো কোনো স্ক্রিন বা তেমন ওজন ছাড়াই সবসময়ে শরীরের সঙ্গে লেগে থাকতে পারে। কেউ এ আংটি পরে থাকলে এটি নিঃশব্দে ক্রমাগতভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে বলে উঠে এসেছে ওই প্রতিবেদনে। ড. পাক বলেন, এসব পরার মতো গ্যাজেট আমাদের এমনভাবে তথ্য বা প্রসঙ্গ দিতে পারে যা আমরা আগে কখনোই ভাবিনি। আমরা ডাক্তারের চেম্বারে যাই, রক্তচাপ পরীক্ষা করি। আবার ছয় মাস বা এক বছর পর ফিরে এসে আরেকটি পরীক্ষা করি।
বাস্তবে, এখানে অনেক প্রসঙ্গ বা তথ্য রয়েছে যা ডাক্তাররা বা ব্যক্তি নিজে জানলেই বদলাবে। আর মৌলিকভাবে এটি আমাদের কিছু ব্যবস্থাপনা ও জীবনধারার পছন্দ বা বিকল্পকে পরিবর্তন করবে। প্রথমবারের মতো এটি আমাদের পরিবর্তনের উপায় ও সুযোগ দিচ্ছে যা আগে সম্ভব ছিল না। এই ধরনের প্রযুক্তি আমাদের স্বাস্থ্যসেবায় প্রান্তিক গ্রাহক পর্যায়টি বুঝতে সাহায্য করছে।
মন্তব্য করুন
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, আসন্ন রমজানে ও গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ইতোমধ্যে সব ধরনর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে যমুনা সেতু পশ্চিম সিরাজগঞ্জ সয়দাবাদ ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট পরির্দশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি, গ্যাস, কয়লা ক্রয়ের ডলার সংস্থান ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর বাৎসরিক মেইনটেন্যান্স সম্পন্ন করা হয়েছে। কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যদি অনাকাঙ্খিত কোনো ঘটনা না ঘটে তাহলে এবার বিদ্যুতের কোন সমস্যা হবে না।
এ
সময় জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. ফারুখ হোসেন, সিরাজগঞ্জ ৬৮
মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্লান্টের প্রকল্প পরিচালক মো. তানভীর রহমানসহ বিদ্যুৎ বিভাগের
কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
সেনাপ্রধান
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত কোনো অ্যাকাউন্ট নেই।
বৃহস্পতিবার
(৫ সেপ্টম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য
জানিয়ে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধানের ব্যক্তিগত কোনো অ্যাকাউন্ট নেই।
সাথে
আরো বলা হয় যে, এ অবস্থায় সেনাবাহিনী প্রধানের পরিচয় বা ছবি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
কোনো ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচারিত পোস্ট দেখে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আইএসপিআর থেকে
অনুরোধ করা হয়।
মন্তব্য করুন
বগুড়া শহরের সাতমাথায় তিনতলা টেলিফোন ভবনটি বুয়েট কর্তৃক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে ।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) জানিয়েছে, ভবন স্থানান্তরের জন্য বগুড়া শহর ও উপজেলাগুলোতে তিন দিনের জন্য টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকবে।
বিটিসিএল এর উপ-মহাব্যবস্থাপক (টেলিকমের) কার্যালয় থেকে টেলিফোন ও ইন্টারনেট বন্ধের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই ভবন থেকে সুইচ রুমের যাবতীয় যন্ত্রপাতি অন্যত্র স্থানান্তর করা হবে। এ কারণে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টা বগুড়া শহর, উপজেলাসমূহ এবং জয়পুরহাট জেলায় বিটিসিএল কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেতার ও গ্রন্থাগারে সংযোগকৃত ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, এ অফিসের আওতায় টেলিফোন (AGW) কপার ক্যাবলের মাধ্যমে দেয়া সংযোগ বগুড়া শহরে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ বিকেল ৫টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি ঘোষিত এই সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে জানায় সংস্থাটি। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করে দুঃখ প্রকাশ করেছে বিটিসিএল।
মন্তব্য করুন
বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষে ১০ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাকটিকিট এবং ১০ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করা হয় দিবসটি উপলক্ষে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে উপদেষ্টা স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন।
দিবসটি উপলক্ষে এক বিবৃতিতে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
অনুষ্ঠানে ডাক বিভাগের দুর্লভ ডাকটিকিটের ছবি সংবলিত বিশেষ অ্যালবাম ‘ন্যাচারাল বিউটি অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ অব বাংলাদেশ পোস্টেজ স্টাম্পাস’র মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম শাহাব উদ্দীনসহ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে ১০ থেকে ১২ হাজার চীনা নাগরিক অবস্থান করছেন। তাদের অনেকে অবৈধভাবে বসবাস করছেন।
চীনে পড়তে গিয়ে প্রতারক চক্রের খপ্পর পড়ে প্রতারণায় জড়ানো তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাকিবুল ইসলাম রাতুল (২৪), আসাদুজ্জামান রাজু (২৯) ও মামুন হাওলাদার (২৭)।
দেশে অবস্থান করা এই চাইনিজরা পেতেছেন বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদ। বাংলাদেশি যেসব শিক্ষার্থীরা চীনে পড়তে যান, তাদের নিয়ে প্রতারণার এই চক্র গড়ে তুলছেন সেই সব চীনা নাগরিকরা। তারা বিভিন্ন অ্যাপস খুলে, জুয়ার সাইট চালিয়ে এবং অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের লোভে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিমানবন্দর থানা এলাকায় অভিযান তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
ডিবি জানায়, ভুয়া সাইট খুলে কোটি কোটি টাকা নেওয়া চক্রের দুই চাইনিজ নাগরিকসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেটির তদন্ত করতে গিয়ে নতুন করে এই চক্রের সন্ধান মেলে। গ্রেপ্তার তিনজন জানিয়েছেন অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের লোভে ফেলে অ্যাপ খুলে জুয়ার সাইট চালিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রে জড়িয়েছিলেন তারা।
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যায়। তার মধ্যে বৃহৎ অংশ চীনে মেডিকেল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য যায়। তাদের একটা বড় অংশ চাইনিজ ভাষায় পারদর্শী হয়ে উঠে এবং চাইনিজ বিভিন্ন প্রতারক চক্রের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে। আর এ চক্রের মূলহোতা হচ্ছে চীনা নাগরিকরা। তারা ভালো বাংলা বা ইংরেজি বলতে পারেন না। তখন চীনে পড়তে চাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের টার্গেট করেন। তারা চাইনিজ ভাষায় পারদর্শী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দিয়ে বিভিন্ন প্রতারণার কাজটি করে আসছেন।
তিনি বলেন, অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের লোভে ফেলে, অ্যাপ ও জুয়ার সাইট খুলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন চীনা নাগরিকরা। কারণ প্রত্যেকটি প্রতারণার সাইটের অ্যাডমিন চীনে।
চক্রটি চীনেও এসব প্রতারণায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাজে লাগায়। আবার কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে প্রতারণা শিখিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। এরপর সেসব শিক্ষার্থীরা বেনামি সিম সংগ্রহ করে বিকাশ নগদসহ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে নেয়।
এ প্রতারণার মূল পরিকল্পনাকারী দুই চাইনিজ গাগা ও চিং চং (Gaga, Chig Chog)। তারা প্রতারণার জন্য চীনে একটি সার্ভার স্থাপন করেছেন। আর সেসব প্রতারণার টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে তাদের দেশে নিয়ে যাচ্ছে।
গ্রেপ্তার তিন শিক্ষার্থীর বিষয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, গ্রেপ্তার রাতুল, রাজু, মামুন বাংলাদেশ থেকে পড়ালেখার জন্য চীনে গিয়ে চাইনিজ ভাষা শিখে প্রতারক চক্রের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে চীনারা তাদের বলে যে তারা কিছু অ্যাপস তৈরি করেছেন। অ্যাপস ব্যবহার করে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। তাদের সেই কার্যক্রমে কিছু বাংলাদেশি সিম, বিকাশ/নগদ অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন। স্বল্প সময়ে অধিক উপার্জনের আশায় এই প্রতারণায় যুক্ত হয়ে চীনা নাগরিকদের বাংলাদেশি সিম বিকাশ/নগদ অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সরবরাহ করে।
প্রতারণার প্রক্রিয়া সম্পর্কে হারুন বলেন, রাতুল, রাজু, মামুন অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং, অনলাইন ফিনান্সিং, বেটি সাইট, সি-ফাইন্যান্স, লোন অ্যাপস, হানি ট্র্যাপে সরাসরি জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতরা চাইনিজ প্রতারক চক্রের হয়ে বাংলাদেশি এজেন্ট হিসাবে কাজ করে আসছিল। চক্রটি মানুষকে অনলাইনে টাকা উপার্জনের কিংবা পার্টটাইম চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়।
মন্তব্য করুন
comilla 24 tv নাম এবং লোগো ব্যবহার করে এই লিংক থেকে -https://www.facebook.com/groups/187949246516254/?ref=share&mibextid=KtfwRi ফেইক আইডি ফেসবুক গ্রুপ খুলে একটি চক্র রাষ্ট্রীয় বিরোধিতা সহ অসামাজিক ভিডিও পোস্ট দিচ্ছে যা আইনগত অপরাধ।
কুমিল্লা টুয়েন্টিফোর টিভির নামে কপিরাইট ও লোগো ট্রেডমার্কস সনদ আছে।
আমাদের কুমিল্লা টুয়েন্টিফোর টিভির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ এবং গ্রুপ লিংক এখানে দিয়ে দেয়া হলো।
অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ -https://www.facebook.com/cumilla24?mibextid=ZbWKwL
অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপ-https://www.facebook.com/groups/122431828435836/?ref=share&mibextid=NSMWBT
আমরা কুমিল্লা টুয়েন্টিফোর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিয়ে কাজ করি এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করি। শুধু মুখে নয়, কুমিল্লা টুয়েন্টিফোর হলো এক ঝাঁক তরুণ সাংবাদিক যাদের হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু।
যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই। যদি রাজপথে আবার মিছিল হতো বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চাই! তবে বিশ্ব পেত এক মহান নেতা, আমরা পেতাম ফিরে জাতির পিতা। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে জাতির পিতা যুগ-যুগান্তর বসবাস করেন। দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই বাংলাদেশকে পৃথিবীর মানচিত্রে একটি নক্ষত্র তৈরী করেছেন। আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ছোঁয়া।
কিন্তু দুঃখের বিষয় , এই দেশে ভালো কিছু করলেই ষড়যন্ত্র শুরু করে বিভিন্ন চক্র।
এই ভুয়া ফেসবুক গ্রুপ এর লিংক https://www.facebook.com/groups/187949246516254/?ref=share&mibextid=KtfwRi নিয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে এবং কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ বরাবর একটি অভিযোগ করা হয়েছে ।
বিষয়টি নিয়ে সম্মানিত কুমিল্লা পুলিশ সুপার মহোদয় এর নিকট সহযোগিতা চাচ্ছি। সাথে সাংবাদিক সহকর্মী বন্ধুদের নিকট এই লিংক এর তথ্য এবং রিপোর্ট দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ ।
নিবেদক-কুমিল্লা টুয়েন্টিফোর টিভির পরিবার।
মন্তব্য করুন
জনগণের চাহিদার কথা বিবেচনা করে মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর জন্য বাংলালিংক প্রতিনিধিদের আহ্বান জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিসকক্ষে বাংলালিংক প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে এলে একথা বলেন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, তরুণ প্রজন্মের চাহিদার প্রেক্ষিতে ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর পাশাপাশি সব মোবাইল অপারেটরদের মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর চেষ্টা করতে হবে।
ভিওন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কান টার্জিওগ্লু বাংলাদেশে সিম কার্ডের ট্যাক্স কমানোর কথা বললে উপদেষ্টা বলেন, ট্যাক্সের সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয় জড়িত, তাই এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন কান টার্জিওগ্লু।
বাংলালিংকের চিফ লিগ্যাল অফিসার জাহারাত আদিব চৌধুরী জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন টফির ব্যবহারে বিভিন্ন বাঁধার কথা উল্লেখ করলে উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এ সময় বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক এস, প্রধান কর্পোরেট ও নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা তাইমুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়বিষয়ক উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, কোনো ধরনের আগাম সতর্কতা এবং প্রস্তুতির সুযোগ না দিয়ে বাঁধ খুলে দিয়ে ভারত অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে বলে ।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টাদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, উজানের পানি এসে বাংলাদেশে বন্যা সৃষ্টি করছে। এভাবে বাঁধ খুলে দেওয়ার মাধ্যমে ভারত অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে এবং অসহযোগিতা করছে। আশা করি, ভারত দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের জনগণবিরোধী এ ধরনের নীতি থেকে সরে আসবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ রক্ষায় দুই দেশের জনগণকে সুষ্ঠু সমাধানের পথ বের করতে হবে। ন্যায্যতার ভিত্তিতে যেন বাংলাদেশ-ভারত রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক প্রতিস্থাপন করা হয়।
এ সময় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের সব সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তি এবং জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান নাহিদ ইসলাম।
তিনি
বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মতো বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে
হবে। সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়ীদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
মন্তব্য করুন
ইন্দোনেশিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে
আইফোন ১৬ ও অ্যাপলের নতুন সকল পণ্য নিষিদ্ধ করেছে সরকার। দেশটিতে দেওয়া বিনিয়োগের
প্রতিশ্রুতি পূরণ না করায় অ্যাপলের বিরুদ্ধে এমন অবস্থান নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে
ইকোনোমিক টাইমস।
ইন্দোনেশিয়ার আইন
অনুযায়ী, সেদেশে কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মোট ক্রয় বাজেটের ৪০ শতাংশ স্থানীয় পণ্য
বা সেবায় ব্যয় করতে হবে। আইন মানতে দেশটিতে মোট ১০৯ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি
দিয়েছিল অ্যাপল। ৪০ শতাংশ কোটা পূরণে ইন্দোনেশিয়ায় অ্যাপল একাডেমি নামে একটি গবেষণা
প্রতিষ্ঠান করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
কিন্তু এ বিষয়ে সরকার
বলছে, অ্যাপল সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। ১০৯ মিলিয়ন নয়, বিনিয়োগ করেছে ৯৫
মিলিয়ন ডলার। জবাবে অ্যাপলের পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার। আইফোন
১৬, অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ১০-এর মতো এই কোম্পানির সকল নতুন পণ্যকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে
তারা।
জানা গেছে, আইফোনের
ইএমইআই সার্টিফিকেট আটকে দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। মানে আইনিভাবে কেউ নতুন আইফোন ব্যবহার
করতে পারবে না। কারো হাতে আইফোন ১৬ দেখা গেলে সেটা কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ করা
হয়েছে।
আইফোন ১৬ বাজারে আসে
গত সেপ্টেম্বরে। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত এই ফোনের প্রায় ৯ হাজার সেট
ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশ করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা ২৮
কোটির কিছু বেশি। এই জনসংখ্যার একটি বড় অংশই প্রযুক্তিপ্রেমী। যে কোনো নতুন গেজেট
এলেই সেটির প্রতি আগ্রহী হন তারা। এ কারণে দেশটিতে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার বরাবরই
চাঙ্গা। দেশটিতে বর্তমানে শত শত কোম্পানি রয়েছে যারা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স এবং প্রযুক্তিগত
পণ্যের যন্ত্রাংশ প্রস্তুত করে। ইন্দোনেশিয়ায় অ্যাপল শাখা খোলে ২০১৮ সালে। তবে এ শাখায়
এখনও কোনো আইফোন বা অন্য কোনো ফোন ম্যানুফ্যাকচারের কাজ হয়নি।
মন্তব্য করুন
ই-পাসপোর্ট পরিষেবায় পুলিশ ভেরিফিকেশন পদ্ধতি বাতিল করা
হয়েছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এক পরিপত্র জারির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
সুরক্ষা সেবা বিভাগ। এর মাধ্যমে এখন থেকে কোনো প্রার্থীকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র বা ন্যাশনাল
আইডি (এনআইডি) কার্ডে থাকা তথ্য অনুযায়ী সরাবরাহ করা হবে ই-পাসপোর্ট।
এদিকে
অপ্রাপ্তবয়স্ক ও প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের অধিকাংশ সময়ই জাতীয় পরিচয়পত্র করার সুযোগ
থাকে না। এ জন্য এই দুই শ্রেণির নাগরিকদের পাসপোর্টের ক্ষেত্রে তাদের আবেদন নিরীক্ষার
মাপকাঠি হবে অনলাইনে নিবন্ধনকৃত জন্ম নিবন্ধন সনদ। এবার তাহলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ছাড়া
ই-পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া জেনে নেয়া যাক।
কাদের জন্য কোন নথি
প্রয়োজন
ই-পাসপোর্ট পেতে আবেদনকারীদের বয়স
অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নথি দিতে হবে:
১৮ বছরের নিচে: অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম নিবন্ধন সনদ (BRC,
ইংরেজি ভার্সন)।
১৮-২০ বছর: এনআইডি কার্ড বা
অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম নিবন্ধন সনদ (BRC, ইংরেজি ভার্সন)
২০ বছরের বেশি: শুধুমাত্র এনআইডি কার্ড। তবে বিদেশি
মিশনের মাধ্যমে আবেদনকারীরা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ জমা দিতে পারবেন।
শিশুদের ক্ষেত্রে: পিতা-মাতার এনআইডি কার্ড।
ঠিকানার প্রমাণ: সাম্প্রতিক ইউটিলিটি বিল (গ্যাস, বিদ্যুৎ
বা পানি)।
বিশেষ পরিস্থিতি: দত্তক বা অভিভাবকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অনুমোদন।
পেশাভিত্তিক প্রয়োজনীয় নথি
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার: সংশ্লিষ্ট কারিগরি
সনদপত্র।
শিক্ষার্থী: সর্বশেষ শিক্ষাগত
যোগ্যতার সনদ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়নপত্র/স্টুডেন্ট আইডি
বেসরকারি চাকরিজীবী: প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক প্রত্যয়নপত্র।
সরকারি চাকরিজীবী: সরকারি আদেশ (জিও), অনাপত্তি পত্র (এনওসি),
প্রত্যয়নপত্র, পিআরএল অর্ডার বা পেনশন বই।
কৃষক: জমির পর্চা।
ব্যবসায়ী: ট্রেড লাইসেন্স।
আবেদনের সময় জমা দিতে হবে
বায়োমেট্রিকের জন্য
নির্ধারিত সময়সহ আবেদনপত্রের সারাংশ (প্রিন্ট কপি)।
অনলাইনে নিবন্ধিত পূর্ণ
আবেদনপত্র (প্রিন্ট কপি)।
পাসপোর্ট ফি জমার রশিদ।
৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য
ল্যাব-প্রিন্টেড সদ্য তোলা ছবি (গ্রে ব্যাকগ্রাউন্ডে)।
ধারাবাহিকভাবে
ই-পাসপোর্টের আবেদনের নিয়ম :
অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ : প্রথমেই ইন্টারনেট ব্রাউজার
ওপেন করে সরাসরি www.epassport.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপর
‘অ্যাপ্লাই অনলাইন’ ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। এবা আঞ্চলিক ই-পাসপোর্ট কার্যালয় নির্ধারণ
করতে হবে। স্ক্রিনে ড্রপ ডাউন লিস্ট থেকে প্রার্থীর অবস্থানরত জেলা ও থানার নাম নির্বাচন
করতে হবে। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অধিভুক্ত ই-পাসপোর্ট কার্যালয়ের নাম নির্ধারিত হবে।
এছাড়া
আলাদাভাবে নিকটস্থ ই-পাসপোর্ট কার্যালয় চেনার জন্য প্রবেশ করতে পারেন এই লিঙ্কে- https://dip.gov.bd/site/page/4d4ea063-50df-46ee-a326-492d8ef2dbb0/-।
পাসপোর্ট
অফিস নির্ধারণের পর ই-পাসপোর্ট অনলাইন নিবন্ধন পোর্টালে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এ জন্য
প্রয়োজন একটি ই-মেইল ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর দিয়ে
একটি ব্যতিক্রম পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে। তারপর অ্যাকাউন্ট খোলা হলে পরবর্তীতে ই-মেইল
বা মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে পারবেন।
আবেদন
ফর্মের প্রতিটি তথ্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী উল্লেখ করতে হবে। ন্যূনতম তারকা
চিহ্নিত তথ্যগুলো অবশ্যই সফলভাবে প্রদানের পর পাসপোর্ট ফি প্রদানের অপশন আসবে। ফি তাৎক্ষণিকভাবে
অনলাইনে পরিশোধ করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রশিদ নম্বর সংযুক্ত হবে। পরবর্তীতে বায়োমেট্রিক
নিবন্ধনের জন্য দিনক্ষণ নির্ধারণ করতে হবে। স্ক্রিনে প্রদর্শিত ক্যালেন্ডার থেকে উপলব্ধ
তারিখগুলো থেকে পছন্দসই একটি তারিখ নির্ধারণ করতে পারবেন প্রার্থী। এরপরই চূড়ান্ত পর্যায়,
যেখানে সাবমিট সম্পন্ন করার পর অ্যাপয়েনমেন্টসহ পুরো আবেদনের একটি সামারি প্রদর্শিত
হবে। এই সামারি এবং সাবমিটকৃত পুরো অনলাইন নিবন্ধনের প্রিন্ট কপি অন্যসব কাগজপত্রের
সঙ্গে সংযুক্তি হিসেবে জমা দিতে হবে।
ই-পাসপোর্ট ফি পরিশোধ: ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে
ফি পরিশোধের জন্য পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের অনুমোদিত কিছু পেমেন্ট সিস্টেম রয়েছে।
এসব হচ্ছে- ভিসা, মাস্টার ও অ্যামেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড, বিকাশ, নগদ, রকেট, ইউপে,
ডিমানি, ওকে ওয়ালেট এবং এমবিএল রেইন্বো। আর অনুমোদিত ব্যাংকগুলো হচ্ছে- ব্যাংক এশিয়া,
ব্র্যাক ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, আরব-বাংলাদেশ
ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক এবং মিডল্যান্ড ব্যাংক।
৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদনের খরচ: পাসপোর্ট বইয়ের পৃষ্ঠা, পাসপোর্টের
মেয়াদ ও বিতরণের সময়সীমার ভিত্তিতে ফি ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। মূলত রেগুলার, এক্সপ্রেস
এবং সুপার এক্সপ্রেস, এই তিন ক্যাটাগরিতে সরবরাহ করা হয় ই-পাসপোর্ট।
অধিকতর
দ্রুত সময়ে পাসপোর্ট পাওয়ার মাধ্যম হচ্ছে সুপার এক্সপ্রেস মাধ্যম। এতে বায়োমেট্রিক
সংগ্রহের তারিখ থেকে মাত্র ২ কার্যদিবসের পাসপোর্ট পাওয়া যায়। এক্সপ্রেস ক্যাটাগরিতে
বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের তারিখ থেকে ৭ থেকে সর্বোচ্চ ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া
যায়। আর রেগুলার ক্যাটাগরিতে সর্বাধিক সময়সীমা লাগে, যেখানে বায়োমেট্রিক প্রদানের দিন
থেকে ন্যূনতম ১৫ কার্যদিবস বা ২১ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায়।
আবেদনপত্রসহ নথিপত্র জমা ও বায়োমেট্রিক নিবন্ধন প্রক্রিয়া: উল্লেখিত সব কাগজপত্র
নিয়ে পূর্বনির্ধারিত দিন উপস্থিত থাকতে হবে পাসপোর্ট অফিসে। এদিন আবেদনকারীর ছবি তোলা,
হাতের আঙুলের ছাপ নেয়া হয়। বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ছবি উঠাতে প্রার্থীকে অবশ্যই
রঙিন পোশাক পরে আসতে হবে পাসপোর্ট অফিসে। সব কাজ শেষে প্রার্থীকে বিতরণের সম্ভাব্য
তারিখ সম্বলিত একটি স্লিপ দেয়া হবে। স্লিপটি আবেদনকারীর বায়ো নিবন্ধনের প্রমাণপত্র,
এ জন্য এটি পাসপোর্ট সংগ্রহের দিন অবশ্যই সঙ্গে করে নিয়ে আসতে হবে।
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা যাচাইয়ের উপায়: বায়ো নিবন্ধনের দিন
থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহের সম্ভাব্য দিনটির আগে পাসপোর্ট আবেদনের অবস্থা অনলাইনের মাধ্যমে
যাচাই করা যায়। এ ক্ষেত্রে পাসপোর্ট কোন প্রক্রিয়ায় রয়েছে, তা দেখা থেকে শুরু করে পাসপোর্ট
প্রিন্ট এবং তা সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত কিনা, সেটিও দেখা যায়। এ জন্য প্রবেশ করতে
হবে এই লিঙ্কে- https://www.epassport.gov.bd/authorization/application-status- লিঙ্কে।
পাসপোর্ট
অফিস থেকে দেয়া বিতরণ স্লিপে ১৩ সংখ্যার একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি রয়েছে। আবেদনের বর্তমান
অবস্থা যাচাইয়ের জন্য এই আইডি বা আবেদন ফর্মে থাকা ওআইডি (অনলাইন রেজিস্ট্রেশন আইডি)
ব্যবহার করতে হবে।
আগে
বায়োমেট্রিক দেয়ার কিছুদিন পর পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য আবেদনকারীকে ফোন করা হতো। কিন্তু
এখন থেকে এই কার্যক্রম থাকছে না। ই-পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য একদম প্রস্তুত হলে যথারীতি
আবেদনপত্রে উল্লেখিত ফোন নম্বর ও ই-মেইলে নির্দিষ্ট তারিখ সম্বলিত বার্তা পাঠানো হবে।
আর সেই তারিখে বিতরণ স্লিপ ও জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে
হাজির হতে হবে।
মন্তব্য করুন