

ছাত্র-জনতার
আন্দোলন চলাকালে ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ মামলার ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা দিতে একটি
হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
আইন,
বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে,
“যদি কোনো ব্যক্তি গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক
ফৌজদারি মামলার শিকার হয়ে থাকেন, তবে তাকে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার
লিগ্যাল এইড হেল্পলাইন কল সেন্টারের ১৬৪৩০ নম্বরের (টোল ফ্রি) মাধ্যমে ভিকটিম
সাপোর্ট বা আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।”
সমাজের
দরিদ্র ও দুঃস্থদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দিতে ২০১৬ সালে এই হেল্পলাইন সেবার
কার্যক্রম উদ্বোধন করেছিলেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণ
আন্দোলনে সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দায়িত্ব
নিয়ে তার প্রথম কর্মদিবসে এই হেল্পলাইন নম্বর ব্যবহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত
নিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই দেশ আমাদের সবার, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশ
সব মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি।দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি এখন
সর্বজনীন উৎসব।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুর্গাপূজা উপলক্ষে
প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে আমি দেশের হিন্দু
ধর্মাবলম্বী সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের
উৎসবই নয়, এটি এখন সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের
আরাধনা শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ।
আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। এই দেশ
আমাদের সকলের। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এদেশ সকল মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। গত ৫ আগস্ট
ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী
নির্বিশেষে সকলের ভাগ্য উন্নয়ন এবং সমান অধিকার সুনিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত
ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। একইসঙ্গে
বাংলাদেশের সকল নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি।
মন্তব্য করুন


জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ইউনূসের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, বৈঠকে কমিশনের পক্ষ থেকে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, কমিশন সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আরও জানান, জুলাই সনদ অনুষ্ঠানের সার্বিক প্রস্তুতি ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে সন্ধ্যায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠেয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত থাকবেন।
মন্তব্য করুন


ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের
তদন্তে জাতিসংঘকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক
আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তার্ক।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার
(৩০ আগস্ট) এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র
রাভিনা শামদাসানি।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের এই মুখপাত্র
জানান, নিরপেক্ষ ও স্বাধীন সত্য অনুসন্ধান পরিচালনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
ইউনুসের কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেয়েছেন ফলকার তার্ক। গত ১ জুলাই থেকে
১৫ আগস্টের ঘটনাগুলোর তদন্তে জাতিসংঘকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ন্যায়বিচার, জবাবদিহি ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের জন্য আগামী সপ্তাহের কোনো একসময় বাংলাদেশে জাতিসংঘের একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দল আসার কথা রয়েছে। দলটিকে পূর্ণ সহযোগিতার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন তারা।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে (ইউএনজিএ) যোগদানের জন্য ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন।
২৭ সেপ্টেম্বর তাঁর উচ্চ পর্যায়ের সাধারণ বিতর্কে বক্তৃতা দেওয়ার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সংক্রান্ত
মিডিয়া ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজ বলেছেন, ‘তাঁর বক্তৃতায় তিনি
বাংলাদেশে গত দুই মাসে গণ-অভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরবেন এবং একটি গণমুখী, কল্যাণধর্মী
ও জনস্বার্থমূলক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রতি তাঁর অঙ্গীকার পুনরুল্লেখ করবেন
বলে আশা করা হচ্ছে।’
তৌহিদ হোসেন আরো বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তৃতায় আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের সুদৃঢ় অবস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক সংঘাত, রোহিঙ্গা সংকট, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সমস্যা, সম্পদের অবৈধ পাচার রোধ, অভিবাসী অধিকার রক্ষার মতো বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা মাত্র তিনদিন নিউইয়র্কে থাকবেন। ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকার
উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। প্রধান উপদেষ্টা পূর্ববর্তী সরকার প্রধানদের মতো চার্টার ফ্লাইটে
নয়, বাণিজ্যিক ফ্লাইটে এই যাতায়াত করবেন।
তৌহিদ বলেন, নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধান উপদেষ্টা নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান ও নেপালের
প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট, জাতিসংঘের মহাসচিব, জাতিসংঘের
মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এবং ইউএসএআইডি প্রশাসক অধ্যাপক
ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এবারের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ৫০ বছর পূর্তির বছর। একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই মাইলফলক উপলক্ষে ২৪ সেপ্টেম্বর প্রফেসর ইউনূসের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ একটি উচ্চ পর্যায়ের সংবর্ধনার আয়োজন করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দুই নেতার সময়সূচি না মেলার কারণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে কোনো দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে না। তবে হোসেন বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ইউএনজিএ’র পাশাপাশি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আলোচ্যসূচি সম্পর্কিত অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা ও নয়াদিল্লী কীভাবে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ভাল ‘কাজের সম্পর্ক’ বজায় রাখতে পারে, তা নিয়ে তিনি আলোচনা করবেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি তিনি জোট নিরপেক্ষ
আন্দোলনের (ন্যাম) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক, কমনওয়েলথ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক, ইসলামিক
কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (ওআইসি) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর
(এলডিসি) বার্ষিক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বাংলাদেশের
প্রতিনিধিত্ব করবেন।
এবারের সাধারণ বিতর্কের প্রতিপাদ্য “কাউকে পেছনে ফেলে নয় : বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের
জন্য শান্তি, টেকসই উন্নয়ন ও মানবিক মর্যাদার জন্য একসঙ্গে কাজ করা।”
মন্তব্য করুন


শিক্ষাখাতে পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই জাতির উদ্দেশ্যে তার প্রথম ভাষণ।
রোববার (২৫ আগস্ট) জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে চরম নৈরাজ্য প্রতিষ্ঠিত করে গেছে বিগত সরকার। আমরা তার পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের উদ্যোগ নেবো। এটা আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আপনারা জানেন দায়িত্ব গ্রহণের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য সৃজনশীল, নিরাপদ ও ভীতিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকার। একই সঙ্গে পাঠ্যক্রমকেও যুগোপযোগী করার কাজও দ্রুত শুরু করা হবে।
তার নেতৃত্বাধীন সরকার জাতীয় ঐক্যে বিশ্বাসী জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের লক্ষ্যে রাজনৈতিক ঐক্যের মধ্য দিয়ে নিশ্চিত করা হবে নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সবাই এ দেশের নাগরিক। সমান আইনের সুরক্ষার অধিকারী।
তিনি বলেন, তাদের সবার মানবিক অধিকারসহ অন্যান্য সব অধিকার নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এজন্য আমি উপদেষ্টা পদমর্যাদা-সম্পন্ন একজন বিশেষ সহকারী নিয়োগ দিয়েছি, যার দায়িত্ব হবে জাতীয় সংহতি উন্নয়ন।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন সচিবরা।
আজ (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর এই প্রথমবারের মতো সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করছেন সরকারপ্রধান।
জানা গেছে, সাধারণত সচিব সভায় কয়েকটি নির্ধারিত গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডার বাইরেও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। এবার এ বৈঠকের জন্য বিস্তারিত এজেন্ডা থাকছে না। এছাড়া সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে সারা দেশে প্রশাসনিক কাজগুলো কীভাবে দ্রুত স্বাভাবিক ধারায় আনা যায়, এ-সংক্রান্ত পরামর্শ শুনতে চাইতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তার সরকার এসব বিষয়ে কী ভাবছে, সে সংক্রান্ত নির্দেশনা সরাসরি সব সচিবকে দেবেন ড. ইউনূস।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি অভিযানিক দল চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার আব্দুল্লাহপুর এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আব্দুল হালিম ইমন (৩৮) নামক একজন চিহ্নিত অপরাধীকে আটক করতে সক্ষম হয়। তার নিকট হতে ০১টি শট গান, ০২ রাউন্ড থ্রিনট থ্রি এ্যামোনিশন, ০২ রাউন্ড ৭.৬২ মিঃমিঃ ব্ল্যাংক এ্যামোনিশন, ০৬ রাউন্ড পিস্তলের এ্যামোনিশন, ০৭ রাউন্ড শর্ট গানের এ্যামোনিশন, ১১ রাউন্ড শর্ট গানের ফায়ারকৃত কার্তুজ, ০১টি চাইনিজ কুড়াল এবং ০২টি রাম দাসহ বিভিন্ন ধরণের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। উক্ত ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে স্থানীয় পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম
চৌধুরী র্যাবকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছেন ।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় র্যাব সদর
দপ্তরে র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশ দিয়ে
বলেন, র্যাবকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না। র্যাব গঠনের সময় বলা
হয়েছিল, বাহিনীটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে না। কিন্তু পরবর্তীকালে তা
মানা হয়নি।
তিনি আরো বলেন, র্যাব গঠনের শুরুর দিকে এটি একটি সুশৃঙ্খল ও
সুসংগঠিত বাহিনী হিসেবে মানুষের সম্মান, আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করে। পুলিশ ও
সশস্ত্র বাহিনীর সেরা অফিসারদের এখানে পদায়ন করা হতো। যখনই রাজনৈতিক বিবেচনায় এ
বাহিনীতে নিয়োগ ও পদায়ন শুরু হয়, তখন থেকে এতে পচন ধরতে শুরু করে। সাধারণ মানুষের
মনে বদ্ধমূল ধারণা এই যে, যখন থেকে র্যাবকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা শুরু
হয়, তখন থেকেই র্যাব গুম, খুনসহ বিভিন্ন বেআইনি ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত হতে শুরু
করে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ভালোবাসা, ব্যবহার ও পারফরম্যান্সের
মাধ্যমে র্যাবের হারানো গৌরব ও সম্মান পুনরুদ্ধার সম্ভব উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা বলেন, সেজন্য আইনের মধ্যে থেকে র্যাবকে কাজ করে যেতে হবে। ঊর্ধ্বতন
কর্তৃপক্ষের বেআইনি আদেশ মানা যাবে না। অননুমোদিত ও বেআইনিভাবে কাউকে আটক রাখা
যাবে না। ক্রসফায়ার, গুম, খুন থেকে র্যাবকে দূরে থাকতে হবে।
সভায় র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমানসহ বাহিনীর বিভিন্ন
পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
পরে অনুষ্ঠানে র্যাবের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে উপদেষ্টাকে
অবহিত করা হয়।
মতবিনিময় সভা শেষে উপদেষ্টা র্যাবের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন
এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন।
মন্তব্য করুন


আজ শনিবার (১০ মে) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন
যমুনায় শুরু হওয়া এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার
রাত ৮টা ৫০ মিনিটে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
এদিকে এনসিপিসহ বেশকিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠন আওয়ামীলীগকে
নিষিদ্ধ করার দাবিতে তিন দিন ধরে টানা কর্মসূচি পালন করছে। শুক্রবার থেকে ‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বিবৃতিতে বলা
হয়,
সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল,
সংগঠন ও জনগণের পক্ষ থেকে স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী
কার্যক্রমের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে,
তা সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। এ ব্যাপারে সরকার
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের সন্ত্রাসী
কার্যক্রমের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন সরকার বিবেচনায় রাখছে। সে পর্যন্ত সকলকে
ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানাচ্ছে। উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যে সরকার জনদাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রচলিত আইনের
অধীনে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে। চলমান তদন্তে সহযোগিতা করার
পরিবর্তে,
দলটি দেশের স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করার জন্য স্পষ্টতই চেষ্টা
চালিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রথমবারের মতো সেনাসদরে গেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা সেনাসদরে পৌঁছালে সেনাবাহিনী
প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাঁকে স্বাগত জানান।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে জাতীয় নিরাপত্তার
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি সম্পর্কে ব্রিফ করা হয়। পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক
প্রদত্ত মূল্যবান দিকনির্দেশনাসমূহ সম্মিলিতভাবে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং
বাস্তবায়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালনে অত্যন্ত সহায়ক হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
মো: তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো: জাহাঙ্গীর আলম
চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারি লেফটেন্যান্ট
জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো: মাহবুব হোসেন, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী
প্রধান, পিএসও এএফডি, সামরিক ও অসামরিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং
গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, র্যাব এর মহাপরিচালকগণ
ও সেনাসদরের কর্মকর্তাগণ।
(খবর বাসসের)
মন্তব্য করুন