জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ টানা ১২ দিন বন্ধ থাকার পর চালু হয়েছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর ২টার পর থেকে ব্যবহারকারীরা কোনো ধরনের ভিপিএন অ্যাপ্লিকেশন ছাড়াই ফেসবুকে ও হোয়াটসঅ্যাপ লগইন করতে পারছেন।
এর আগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছিলেন, আজ (৩১ জুলাই) বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো খুলে দেওয়া হবে।
দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কার্যালয়ে ব্রিফিং করে এ ঘোষণা দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৈঠকে টিকটকের প্রতিনিধিরা সশরীরে এবং ফেসবুক ও ইউটিউবের প্রতিনিধিরা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জানান, বৈঠক শেষে আমরা এ ব্রিফিং করছি। এটা শেষ হলেই ফেসবুক খুলে দেওয়া হবে। তখন ভিপিএন ব্যবহার কমবে। ইন্টারনেটে গতিও বাড়বে। ফেসবুকের ক্যাশ সার্ভার ঠিক হয়ে গেলে স্বাভাবিকভাবে সবাই তা ব্যবহার করতে পারবেন। আমরা হোয়াটস্যাপ ওপেন করে দিচ্ছি। সবগুলোই ওপেন করে দিচ্ছি। তাদের কমিউনিটি গাইডলাইন মেনে চালু হবে। ফেসবুক-ইউটিউব ও টিকটককে বাংলাদেশে তাদের অফিস স্থাপনের অনুরোধ করেছি। আমরাও চাই এ দেশে তাদের বিনিয়োগ হোক। বাংলাদেশে অফিস ও ডেটা সেন্টার স্থাপন করলে আমরাও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারব।
মন্তব্য করুন
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক মো. আলা উদ্দিন আল মামুন সব সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের জন্য পাঠানো নির্দেশনাটিতে আগামী ২ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পন্ন করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এতে বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ আগামী ২ জানুয়ারির মধ্যে অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে। সে পরিপ্রেক্ষিতে পরিবর্তিত তারিখ পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন ও নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৫২ জন।
নির্বাচনে ২৭টি দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৯৬ জন। তবে উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা এলে এ সংখ্যা আরও বাড়তে বা কমতে পারে।
চার লাখ ছয় হাজার ৩৬৪ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাদের ভোটগ্রহণের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন , দুই লাখ ৮৭ হাজার ৭২২ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৩ জন পোলিং কর্মকর্তা। মোট নয় লাখ নয় হাজার ৫২৯ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন।
ইসি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে স্কুল-কলেজের শিক্ষক, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নিয়োগ করেছে ।
মন্তব্য করুন
কৃষিতে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেয়ার
জন্য ২০১৯ সালের নীতিমালা অনুযায়ী কৃষি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে
সিআইপি'র সমমর্যাদায় Agricultural Important
Person এআইপি প্রবর্তন করেন সরকার।
২০২১ সালের এআইপি খেতাবে
ভূষিত হয়েছেন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার
আদমপুর গ্রামের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার প্রাপ্ত
কৃষি পরিবেশ সমাজ উন্নয়ন সংগঠক, অধ্যাপক এম এ মতিন (মতিন সৈকত)।
২০২১ সালের পদকটি আগামী ৭
জুলাই ২০২৪ইং তারিখে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে মতিন সৈকত সহ অনান্য এআইপিদের
সন্মাননা সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।
তিনি চার দশক ধরে কৃষি পরিবেশ
সমাজ উন্নয়নে বৈপ্লবিক অবদান রাখছেন। কৃষি উদ্ভাবন জাত/প্রযুক্তি বিভাগে মতিন সৈকত-কে
এআইপি সম্মাননা দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত হয়।
এআইপিগণ সিআইপিদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এর মধ্যে রয়েছে-
মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রশংসাপত্র, বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাশ, বিভিন্ন
জাতীয় অনুষ্ঠানে নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ, বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে ভ্রমণকালীন সরকার
পরিচালিত গণপরিবহনে আসন সংরক্ষণ অগ্রাধিকার, ব্যবসা/দাফতরিক কাজে বিদেশে ভ্রমণের জন্য
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসা প্রাপ্তির নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ্য করে
Letter of Introduction ইস্যু করবে, নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সরকারি
হাসপাতালের কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার এবং বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার
সুবিধা পাবেন।
মতিন সৈকত একজন বহুমুখী সৃজনশীল
উদ্ভাবক-উদ্যোক্তা। সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি
স্বরূপ তিনি ১৯৮৭ সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতির
অভিনন্দন পত্র পেয়েছেন। পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ব্যাবহার এবং সম্প্রসারণে
অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১০ এবং ২০১৭ সালে মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী মতিন সৈকত-কে দুইবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক এবং পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যাক্তিগত ক্যাটাগরিতে
২০২১ সালে জাতীয় পরিবেশ পদক প্রদান করেন।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে
মতিন সৈকত ছয়বার সরকারিভাবে চট্টগ্রাম বিভাগে শীর্ষ স্থান অর্জন করেন। বিষমুক্ত ফসল,
নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে মতিন সৈকত নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।
বেকারত্ব দূরীকরণ, কর্মসংস্থান
সৃষ্টিতে সমবায় ভিত্তিতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মতিন সৈকত সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে গড়ে তুলেন
আপুসি, আপুবি, বিসমিল্লাহ, আদমপুর আদর্শ মৎস্য চাষ প্রকল্প।
প্লাবন ভূমিতে মৎস্য চাষে
দাউদকান্দি মডেল এবং নিরাপদ খাদ্য উপজেলা দাউদকান্দি মডেলের অন্যতম অংশীজন তিনি। সারাদেশে
বোরোধান উৎপাদন করতে সেচের পানির জন্য কৃষককে যখন ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা বিঘাপ্রতি সেচ
খরচ দিতে হয়। সেখানে মতিন সৈকত বিঘাপ্রতি এককালীন
মৌসুমব্যাপী মাত্র দুইশ টাকার বিনিময়ে ত্রিশ বছর যাবত বোরোধান লাগানো থেকে পাকা ধান
কাটা পর্যন্ত যার যতোবার সেচের পানির প্রয়োজন ততোবারই সেচের পানি সরবরাহ করে জাতীয়
দৃষ্টান্ত স্হাপন করেন।
বোরোধানের জমিতে ধান উৎপাদনের
পাশাপাশি মৎস্য চাষ করে বিঘাপ্রতি ১০/ ১৫ হাজার
টাকা মুনাফা পাচ্ছেন কৃষক। মতিন সৈকতের দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে সরকার কালাডুমুর নদী পূনঃখনন
করে দিয়েছেন।
এছাড়া মতিন সৈকত খাল-নদী
পূনঃখনন জলাভূমি সংরক্ষণ, বন্যপ্রাণী, পাখি
প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কাজ করছেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা
হয় -
তিনি নিজ এলাকা দাউদকান্দি কুমিল্লায় ২০০৬ সালে ১০,০০০ কৃষক নিয়ে আইপিএম-আইসিএম
ক্লাব গঠন করেন। তার এ উদ্যোগের ফলে ২০১৭ বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) দাউদকান্দি
উপজেলাকে বিষমুক্ত নিরাপদ খাদ্য উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করে। তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ
তিনি ২০১০ ও ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক এবং ২০২১ সালে জাতীয় পরিবেশ পদক পেয়েছেন।
মন্তব্য করুন
তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের
সঙ্গে আলোচনার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত বিষয়টি ঝুলে থাকার কারণে এতে কোনো দেশেরই
লাভ হচ্ছে না বলে জানান তিনি। (খবর এনডিটিভির)
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম পিটিআইকে দেয়া
এক সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন ড. ইউনূস। ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনে এ সাক্ষাৎকার দেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, আমি যদি জানি, আমি কতটুকু পানি পাব, সেটা ভালো হতো। এমনকি পানির পরিমাণ
নিয়ে যদি আমি খুশি নাও হই, তাতেও কোনো সমস্যা নেই। এই বিষয়টি সমাধান হতেই হবে। কারণ
পানি বণ্টনের বিষয়টি নিয়ে বসে থাকার ফলে এতে কোনো কাজ হচ্ছে না।
তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে অন্তর্বর্তী
সরকার ভারতকে চাপ দেবে কিনা- পিটিআইয়ের এমন প্রশ্নে ড. ইউনূস বলেন, চাপ শব্দটি অনেক
বড়। আমি এই কথা বলছি না। আমরা আলোচনা করব। তবে আমাদের একসঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান করতে
হবে।
২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী
মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরকালে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর অনেকটা চূড়ান্ত হয়ে
গিয়েছিল। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই চুক্তিকে অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানানোর
ফলে চুক্তি আর হয়নি। তখন মমতা দাবি করেছিলেন, তার রাজ্যেই পানির সংকট রয়েছে।
প্রধান
উপদেষ্টা আরও বলেন, তিস্তার পানি বণ্টন নতুন কোনো ইস্যু নয়, এটি অনেক পুরাতন ইস্যু।
বিষয়টি নিয়ে আমরা একাধিকবার কথা বলেছি। এমনকি পাকিস্তান পিরিয়ডেও কথা হয়েছে। আমরা সবাই
চেয়েছি এটির সমাধান করতে, এমনকি ভারত সরকারও এর জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের
সরকার এর জন্য প্রস্তুত ছিল না। আমরা চাই এর সমাধান করতে। ভাটির দেশ হিসেবে আমাদের
পানি পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথ পাঠ করান।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বঙ্গবনের দরবার হলে প্রায় ৪০০ অতিথির উপস্থিতিতে শপথ নেন তিনি।
ড. ইউনূসের পর শপথ নেন ১৩ উপদেষ্টা। তারা হলেন- ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ড. আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মো. নাহিদ ইসলাম (ছাত্র প্রতিনিধি), আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া (ছাত্র প্রতিনিধি), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, ফরিদা আখতার, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, নুরজাহান বেগম এবং শারমিন মুরশিদ।
এদিকে ঢাকার বাইরে থাকায় উপদেষ্টার শপথ নেননি তিনজন। তারা হলেন- বিধান রঞ্জন রায় (চিকিৎসক), ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক) ও সুপ্রদীপ চাকমা (পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত)।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূসসহ উপদেষ্টা পরিষদে যারা রয়েছেন তাদের দায়িত্ব ও পরিচয় প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো:
১.
ড.
মুহাম্মদ
ইউনূস
ছিলেন শিক্ষকতা পেশায়। সেখান থেকে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা। পরে ওই ব্যাংককে সাথে নিয়ে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সেই থেকে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে বিশ্বেও সুনাম কুড়িয়েছিলেন অধ্যাপক ইউনূস।
২. সালেহউদ্দিন আহমেদ
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের নবম গভর্নর। ড. ফখরুদ্দীন আহমদ দায়িত্ব ত্যাগের পর তিনি ২০০৫ সালের ১ মে গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন এবং ২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত থাকেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জেলার নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর (দরিশ্রীরামপুর) গ্রামে তার জন্ম। তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৯৬৩ সালে এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৬৫ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে যথাক্রমে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন। ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বিএ অনার্স পাস করেন এবং ১৯৬৯ সালে একই বিষয়ে এমএ পাস করেন। ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির লেকচারার হিসেবে যোগ দেন। তৎকালীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় প্রশাসনে সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তান (সিএসপি) ক্যাডারে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে কানাডার হ্যামিল্টন শহরে অবস্থিত ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
৩. ড. আসিফ নজরুল
আসিফ নজরুলের জন্ম ১২ জানুয়ারি ১৯৬৬। তিনি একাধারে লেখক, ঔপন্যাসিক, রাজনীতি বিশ্লেষক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও কলামিস্ট। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে ১৯৮৬ সালে স্নাতক ও ১৯৮৭ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ১৯৯৯ সালে সোয়াস (স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ) ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে তাঁর পিএইচডি সম্পন্ন করেন। পরবর্তী সময় জার্মানির বন শহরের এনভায়রনমেন্টাল ল সেন্টার থেকে তিনি পোস্ট ডক্টরেট ফেলোশিপ অর্জন করেন। তিনি স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজে একজন কমনওয়েলথ ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পূর্বে ১৯৯১ সালে আসিফ নজরুল একটি বহুল প্রচারিত সাপ্তাহিক পত্রিকা বিচিত্রায় কাজ করতেন। তিনি কিছু সময় বাংলাদেশ সরকারের একজন সরকারি কর্মকর্তা (ম্যাজিস্ট্রেট) হিসেবে কাজ করেছেন।
৪. আদিলুর রহমান খান
আদিলুর রহমান খানের জন্ম ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২। একজন মানবাধিকার কর্মী এবং মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বাংলাদেশের একজন আইনজীবী এবং সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। আদিলুর রহমান এবং সুশীল সমাজের অন্য সদস্যরা ১০ অক্টোবর, ১৯৯৪ সালে মানবাধিকার সংস্থা অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সরকার কর্তৃক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হয়েছিলেন।
২০১৩ সালে, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ২০১৩ সালের শাপলা স্কোয়ার বিক্ষোভের সময় নেতাকর্মীদের অপসারণের অভিযানে নিহতের সংখ্যা সম্পর্কে ‘বিভ্রান্তি ছড়ানোর’ জন্য খানের বিরুদ্ধে ঢাকায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
৫. এ এফ হাসান আরিফ
আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ফখরুদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি ১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। আরিফ সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ কলকাতা থেকে তার মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
হাসান আরিফ অক্টোবর ২০০১ থেকে এপ্রিল ২০০৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি জানুয়ারি ২০০৮ থেকে জানুয়ারি ২০০৯ পর্যন্ত বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা ছিলেন।
৬. তৌহিদ হোসেন
মো. তৌহিদ হোসেনের জন্ম ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৫ সালে। তিনি একজন সাবেক পররাষ্ট্রসচিব। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসে যোগদান করেন।
৭. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের জন্ম ১৫ জানুয়ারি, ১৯৬৮ সালে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ‘পরিবেশ পুরস্কার’ এবং প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ‘গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল প্রাইজ’ প্রাপ্ত এবং ২০০৯ সালে টাইম সাময়িকীর ‘হিরোজ অব এনভায়রনমেন্ট’ খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশি আইনজীবী ও পরিবেশকর্মী।
৮. মো. নাহিদ ইসলাম
নাহিদ ইসলাম কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেন। নাহিদের জন্ম ১৯৯৮ সালে ঢাকায়। তার বাবা শিক্ষক। মা গৃহিণী। ছোট এক ভাই রয়েছে তার। তিনি সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছেন।
৯. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেন।
১০. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন
এম সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ সালে। তিনি একজন সাবেক নির্বাচন কমিশনার (২০০৭-২০১২)। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত)।
১১. সুপ্রদীপ চাকমা
সুপ্রদীপ চাকমা সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান। সুপ্রদীপ চাকমার জন্ম ১৯৬১ সালে খাগড়াছড়ির কমলছড়িতে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি সপ্তম বিসিএসে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। মেক্সিকো ও ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূত ছিলেন সুপ্রদীপ চাকমা। এ ছাড়া রাবাত, ব্রাসেলস, আঙ্কারা ও কলম্বোতে বাংলাদেশ মিশনেও তিনি বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন।
১২. ফরিদা আখতার
ফরিদা আখতার একজন লেখক, গবেষক ও আন্দোলনকর্মী। বেসরকারি সংস্থা উবিনীগের (উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা) নির্বাহী পরিচালক তিনি।
১৩. বিধান রঞ্জন রায়
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ছিলেন তিনি।
১৪. আ ফ ম খালিদ হাসান
আবুল ফয়েজ মুহাম্মদ খালিদ হোসেন (যিনি ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন নামে সর্বাধিক পরিচিত। তিনি বাংলাদেশি সুন্নি দেওবন্দি ইসলামী পণ্ডিত। তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক নায়েবে আমির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শিক্ষা উপদেষ্টা, মাসিক আত তাওহীদের সম্পাদক, বালাগুশ শরকের সহকারী সম্পাদক এবং আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের কুরআনিক সায়েন্সেস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অতিথি শিক্ষক।
১৫. নুরজাহান বেগম
তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
১৬. শারমিন মুরশিদ
ব্রতী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ।
১৭. ফারুক-ই-আজম
তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র সমন্বিত যুদ্ধাভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপট’। চট্টগ্রাম বন্দরে আক্রমণের জন্য গঠিত ওই অভিযানিক দলের উপ-অধিনায়ক ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে তিনি চট্টগ্রামে পৌঁছান। ৬ মে তিনি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের হরিণা ইয়ুথ ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। এই অবস্থায় তিনি একদিন শুনলেন, নৌবাহিনীর জন্য মুক্তিযোদ্ধা রিক্রুট করা হবে। তিনি লাইনে দাঁড়ালেন। টিকে গেলেন। পলাশীতে দুই মাসের প্রশিক্ষণ শেষে ১ আগস্ট অপারেশনের জন্য তাঁকে মনোনীত করা হয়।
মন্তব্য করুন
জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলা দায়ের করতে পারবে বলে জানিয়েছেন- সংস্থাটির প্রধান প্রসিকিউটর (কৌঁসুলি) করিম এ এ খান।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে জুলাই-আগস্ট গণহত্যা নিয়ে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর ছাত্র-জনতার বিপ্লবে জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের প্রক্রিয়া, রোহিঙ্গা সংকট, ২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন।
আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটরের কাছে অধ্যাপক ইউনূস জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় গণহত্যার অপরাধীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলা দায়ের করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান। এ অভ্যুত্থানে বিগত সরকারের নৃশংসতার শিকার হয়ে অন্তত ৭০০ মানুষ মারা গেছেন এবং ২০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
আইসিসি-তে মামলা দায়ের প্রসঙ্গে করিম খান বলেন, বাংলাদেশ অবশ্যই হেগ-ভিত্তিক আদালতে মামলা দায়ের করতে পারে। তবে আইসিসি-তে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়েরের জন্য নির্দিষ্ট নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে।
বৈঠকে করিম খান অধ্যাপক ইউনূসকে ২০১৯ সালে আইসিসির রোহিঙ্গা নির্বাসন নিয়ে তদন্তের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশ সফর করবেন বলেও জানান আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে অধ্যাপক ইউনূসের তিন দফা প্রস্তাবের প্রশংসা করে করিম খান বলেন, এসব প্রস্তাব রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নতুন করে গতি আনবে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য জাতিসংঘ প্রধানের একটি জরুরি সম্মেলন আয়োজন এবং সমাধানের উপায় বের করা, রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকটের জন্য শক্তিশালী যৌথ সাড়াদান পরিকল্পনা এবং ২০১৭ সালে রাখাইনে সংঘটিত গণহত্যার অপরাধের ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে জোরালোভাবে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা চালানোর প্রস্তাব দেন।
এ তিনটি প্রস্তাবকে
নিখুঁত- বলে মন্তব্য করেন করিম খান।
মন্তব্য করুন
চালু হয়েছে ‘হেলিকপ্টার রেস্তোরাঁ’। স্থানীয় কাঁচামাল দিয়ে অবিকল হেলিকপ্টার তৈরি করেছেন স্থানীয় ওয়ার্কশপ মিস্ত্রি মো. মেহেদী হাসান ও তার বন্ধুরা।
তার এই হেলিকপ্টারে বসে পাখা ঘোরা অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মুখরোচক খাবারের স্বাদ নিতে পারবেন ভোজনরসিকেরা।
মহান বিজয় দিবসে পটুয়াখালীর ঝাউতলায় শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ‘হেলিকপ্টার রেস্তোরাঁ’র উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ও পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ। উদ্বোধনের পরপরই বহুল আলোচিত রেস্তোরাঁটি দেখতে এর খাবারের স্বাদ নিতে ভিড় জমান স্থানীয়রা।
জানা যায়, পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন ছোটবিঘাই ইউনিয়নের কাজীর হাট বাজারের ওয়ার্কশপমিস্ত্রি মো. মেহেদী হাসান ও তার দুই বন্ধু আরিফ ও আল-আমিন প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ করে নিজেদের ওয়ার্কশপে দীর্ঘ ৭ মাসের প্রচেষ্টায় নির্মাণ করেন হেলিকপ্টারের আদলে এই রেস্তোরাঁটি।
তবে প্রতিকূল পরিবেশেই রেস্তোরাঁটি নির্মাণ করেছিলেন এ তিন যুবক।
মেহেদী হাসান বলেন, যখন এটির পরিকল্পনা করি তখন পরিবার সম্মতি দেয়নি। প্রতিবেশীরা অনেকেই আমাকে পাগল বলেছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে এবং একটু একটু করে যখন কাজীর হাট বাজারের একটি মাঠে হেলিকপ্টারটি বানাতে ও আকৃতি দিতে শুরু করি, তখনই চারিদিকে সাড়া পড়ে যায়।
হেলিকপ্টারটির ভেতরে ২১ জনের আরাম করে বসার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে থাকবে নানা ধরনের খাবারের আইটেম। তিনি এই রেস্তোরাঁ নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় যাবেন এবং মানুষকে খাবার পরিবেশন করবেন। শহরের ঝাউতলা চার লেন সড়কে মেহেদীর এই ‘হেলিকপ্টার রেস্তোরাঁ’ দেখতে শত শত মানুষ ভিড় করছে নিয়মিতই।
মেহেদীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন, তিনি তার এই রেস্তোরাঁকে নিয়ে সারা দেশ ঘুরে বেড়াবেন। দেশের সব জেলার মানুষ যেন তার এই রেস্তোরাঁকে দেখেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী ও শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন বলেন, একজন ওয়ার্কশপমিস্ত্রি যে এত সুন্দর করে সত্যিকারের হেলিকপ্টারের মতোই দেখতে একটি হেলিকপ্টার রেস্তোরাঁ বানিয়েছে - এতে আমরা অবাক হয়ে গেছি। মেহেদীর এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।
পটুয়াখালী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ও পটুয়াখালী পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মেহেদীর মতো এমন উদ্যোক্তাই আমরা চাই। এটি পটুয়াখালীর জন্য একটি গর্বের বিষয়। মেহেদীকে সব ধরনের সহযোগিতা আমরা অব্যাহত রাখব।
মন্তব্য করুন
সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা
শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব 'শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা'
উদযাপন করছে।
গতকাল (১৭ অক্টোবর ২০২৪) পার্বত্য চট্টগ্রামের
বান্দরবান জেলার সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার, মংসুইপ্রুপাড়া বৌদ্ধ বিহার, সেন বৌদ্ধ
বিহার, আমতলী বৌদ্ধ বিহার; খাগড়াছড়ি জেলার শালবন বৌদ্ধ বিহার, বোয়ালখালী ও
দীঘিনালা উপজেলায় এবং রাঙ্গামাটি জেলার শৌধর্ম বৌদ্ধ বিহার, রেস বাজার ও
রাঙ্গামাটি সদরে উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে উৎসবটি পালিত হয়। এছাড়া চট্টগ্রাম ও
কক্সবাজার জেলার ১১ টি উপজেলায় বৌদ্ধ ও রাখাইন সম্প্রদায়ের জনগণ ২৯১ টি বৌদ্ধ
বিহারে শান্তিপূর্ণভাবে প্রবারণা উৎসব পালন করে। পাশাপাশি রামু উপজেলার বাকখালী
নদীর তীরে 'কল্প জাহাজ ভাসা উৎসব' সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বরিশাল জেলার
১৪ টি বিহারে শান্তিপূর্ণভাবে প্রবারণা উৎসব পালিত হয়।
আজ (১৮ অক্টোবর ২০২৪) কক্সবাজার সদর উপজেলায় আরেকটি 'কল্প জাহাজ ভাসা উৎসব' আয়োজন করা হয়েছে এবং চট্টগ্রাম ইপিজেড-এর সিমেন্সের মাঠে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা একটি সমাবেশের আয়োজন করেছে। উক্ত সমাবেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত কল্পে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। 'শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা' উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে সহযোগিতার জন্য সেনাবাহিনীর প্রতি বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগে আজ বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। সেই সঙ্গে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
গতকাল রাতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। যার ফলে সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
মঙ্গলবার দেশের কোথাও কোথাও সামান্য বৃষ্টিপাতের কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যশোরে ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ
পুলিশ বিভিন্ন জেলায় বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে । ইতোমধ্যে বন্যার্তদের
উদ্ধার এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য জেলাভিত্তিক পুলিশের জরুরি নম্বরও চালু করা
হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর
জানান, বন্যার্তদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার জন্য অনুরোধ জানানো
হয়েছে। এছাড়া জেলাভিত্তিক উদ্ধারে পুলিশ কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেগুলো
হলো-
জেলা
পুলিশ, নোয়াখালী
+8801320111898
জেলা পুলিশ, লক্ষ্মীপুর
+8801320112898
জেলা
পুলিশ, ফেনী
+8801320113898
জেলা
পুলিশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
+880
1320-115898
জেলা
পুলিশ, কুমিল্লা
+880
1320-114898
জেলা
পুলিশ, চাঁদপুর
+880
13 2011 6898
জেলা
পুলিশ, রাঙ্গামাটি
+8801320109898
জেলা
পুলিশ, বান্দরবান
+8801320110898
জেলা
পুলিশ, খাগড়াছড়ি
+8801320110398
জেলা
পুলিশ, চট্টগ্রাম
+8801320108398
জেলা
পুলিশ, কক্সবাজার
+8801320109398
জেলা
পুলিশ, মৌলভীবাজার
+880
1320-120698
জেলা
পুলিশ, হবিগঞ্জ
+880
1320-119698
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সোমবার সন্ধ্যায় টেলিফোনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এ সময় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। ড. ইউনূস গত ৮ আগস্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জ্যাক সুলিভান বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং রাজনৈতিক, নির্বাচন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার উদ্যোগের জন্য অধ্যাপক ড. ইউনূসের প্রশংসা করেন।
এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্ভাব্য নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করায় অধ্যাপক ইউনুসকে ধন্যবাদ জানান তিনি এবং দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি অব্যাহত মার্কিন সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন।
ফোনালাপের সময় তারা বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বাংলাদেশে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সমস্যা কাটিয়ে উঠতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদার সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সুলিভান অধ্যাপক ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং একটি সমৃদ্ধ, স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য মার্কিন সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সমর্থনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্ক সফরের সময় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা স্মরণ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, আগামী জানুয়ারির মধ্যে ছয়টি প্রধান সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট পাওয়ার প্রত্যাশা করছি। এরপর সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য জাতিকে প্রস্তুত করতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্তব্য করুন