লাইভ ভিডিও সংরক্ষণের নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জায়ান্ট ফেসবুক।
ব্যবহারকারীদের লাইভ ভিডিওগুলো ফেসবুক আর অনির্দিষ্টকালের জন্য সংরক্ষণ করবে না। পোস্ট হওয়ার ৩০ দিন পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেগুলো মুছে যাবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট টেক পোর্টাল।
আগে ফেসবুকে লাইভ ভিডিও স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত থাকত, যতক্ষণ না ব্যবহারকারী নিজে সেগুলো মুছে ফেলতেন। সেই নীতিতে এখন বড় পরিবর্তন আনলো প্ল্যাটফর্মটি।
ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা এক ব্লগ পোস্টে বলেছে, তাদের এ নতুন নিয়ম ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে।
১৯ তারিখের আগে পোস্ট করা বিভিন্ন লাইভ ভিডিওর মধ্যে যেগুলো ৩০ দিনের বেশি পুরোনো সেগুলোও ফেসবুক থেকে সরিয়ে দেবে মেটা। তবে ইমেইল ও ‘ইন অ্যাপ’ পপ আপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের সেটা জানাবে কোম্পানিটি, যাতে নিজেদের বিভিন্ন লাইভ ভিডিও সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা নিতে পারেন তারা।
আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পুরানো বিভিন্ন লাইভ ভিডিও মুছে ফেলবে মেটা। লাইভ
ভিডিও সংরক্ষণে ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুক তিনটি বিকল্প রেখেছে। সেগুলো হলো-
এছাড়াও, মেটা নতুন কিছু টুলও চালু করেছে, যা লাইভ ভিডিও সংরক্ষণে ব্যবহারকারীদের সাহায্য করবে। এজন্য নিজেদের প্রোফাইল বা পেইজের ‘ভিডিও’ বা ‘লাইভ’ ট্যাবে গিয়ে নির্দিষ্ট ভিডিও নির্বাচন করে ‘ডাউনলোড ভিডিও’ অপশন ব্যবহার করে তা ডাউনলোড করতে পারবেন।
এদিকে, ফেসবুক তাদের এক ব্লগ পোস্টে বলেছে, “এই পরিবর্তন আমাদের স্টোরেজ নীতিকে ইন্ডাস্ট্রির স্ট্যান্ডার্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করবে এবং ফেসবুকের লাইভ ভিডিওর অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করবে।যদি ব্যবহারকারীরা আরও সময় চান, তাহলে তারা ভিডিও মুছে ফেলার সময় ৬ মাস পর্যন্ত পেছাতে পারবেন। তবে যদি ৬ মাসের মধ্যে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়। তাহলে ফেসবুক স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলো মুছে ফেলবে এবং পরে তা পুনরুদ্ধার করার কোনো উপায় থাকবে না।”
শর্ট ভিডিওর ব্যবসা বাড়ানোর পরিকল্পনা থেকে মেটা এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে টেকপোর্টাল।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের
টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভি, যমুনা টিভি, বাংলাভিশন এবং মোহনা টিভির ইউটিউব চ্যানেলের
সম্প্রচার ভারতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে ভারত
সরকারের অনুরোধের পর এ পদক্ষেপ নিয়েছে ইউটিউব।
আজ
শুক্রবার (৯ মে) এই চার চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করা হয় বলে জানিয়েছে তথ্যব্যবস্থায়
প্রযুক্তির প্রভাব নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান ডিজিটালি রাইটের তথ্য যাচাইয়ের উদ্যোগ
ডিসমিসল্যাব।
ডিসমিসল্যাবের
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন, যমুনা টিভি এবং মোহনা টিভির ইউটিউব
চ্যানেল ভারতের দর্শকেরা দেখতে পারবেন না। ভারতের ভূ-অবস্থান থেকে এই চ্যানেলগুলোতে
প্রবেশের চেষ্টা করলে একটি বার্তা সামনে আসে। তাতে বলা হয়, এই কনটেন্টটি বর্তমানে এই
দেশে প্রবেশযোগ্য নয়। কারণ, এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সরকারি আদেশের
আওতায় রয়েছে।
মন্তব্য করুন
নরওয়ের রাজধানী অসলোতে গত মঙ্গলবার
একটি বাণিজ্যিক এলাকায় ট্রাম লাইন থেকে ছিটকে পার্শ্ববর্তী একটি ফোন ও কম্পিউটারের
দোকানে ঢুকে পরে। এ ঘটনায় চারজন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশ।
তবে দোকানটির ব্যাপক ক্ষতি হলেও কোনো
প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। ট্রামের চালক ও আরো তিনজন সামান্য আহত হয়েছে।
জানা গেছে, ট্রামটি লাইন থেকে ছিটকে
পার্শ্ববর্তী একটি অ্যাপলের শোরুমে বেশ জোরে ধাক্কা খায়। ঘটনার আকস্মিকতায় সেখানে উপস্থিত
পথচারীরা হতবাক হয়ে যায়।
সেখানকার পুলিশ অপারেশনের প্রধান অ্যান্ডার্স
রনিং বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, এ দুর্ঘটনায় ট্রামের ভেতরে থাকা তিনজন ও বাইরে একজন
আহত হয়েছে। আহতদের কারো আঘাতই গুরুতর নয়।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ট্রামে কমপক্ষে
২০ জন যাত্রী থাকার কথা জানিয়েছিল। তবে জরুরি পরিষেবার উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছনোর আগেই
কিছু যাত্রী দুর্ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানটিকে ফাঁকা করা হয়েছে।
উদ্ধারদলের কর্মকর্তারা বলেছেন, বিশেষজ্ঞরা
ভবনটির দেয়ালের স্থিতিশীলতা নির্ধারণ না করা পর্যন্ত ট্রামটি সেখান থেকে সরানো হবে
না।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী দৈনিক সংবাদপত্র
ভার্ডেনস গ্যাংকে বলেছেন, দৃশ্যটি ছিল অবিশ্বাস্য। আন্দ্রে নরহেইম বলেন, ‘যদি সবাই
এই দুর্ঘটনা থেকে অক্ষত অবস্থায় বেরিয়ে আসে, তার মানে কেউ আমাদের ওপর নজর রাখছে।
কারণ এটি একটি শক্তিশালী দুর্ঘটনার হালকা আভাস দিয়েছে।
মন্তব্য করুন
পৃথিবীকে জলবায়ু বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার জন্য ‘শূন্য বর্জ্য ও শূন্য কার্বন’-এর ওপর ভিত্তি করে একটি নতুন জীবনধারা গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ
বুধবার (১৩
নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯-এর ওয়ার্ল্ড লিডারস ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি আহ্বান করেন।
একটি নতুন পৃথিবী গড়ার লক্ষে তিনটি শূন্যভিত্তিক তার দীর্ঘ দিনের স্বপ্নের কথাও উপস্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, বেঁচে থাকার জন্য, আমাদের আরেকটি সংস্কৃতি গঠন করতে হবে। একটি ভিন্ন জীবনধারার ওপর ভিত্তি করে আরেকটি পাল্টা সংস্কৃতি গড়তে হবে। এটি হবে শূন্য বর্জ্যের ওপর ভিত্তি করে। এ সংস্কৃতি নিত্য পণ্যের ব্যবহারকে সীমিত করবে, কোন বর্জ্য অবশিষ্ট রাখবে না। এ জীবনযাত্রাও হবে শূন্য কার্বনের ওপর ভিত্তি করে যেখানে কোনো জীবাশ্ম জ্বালানি থাকবে না, শুধুমাত্র পুনঃনবায়নযোগ্য শক্তি থাকবে। এতে এমন একটি অর্থনীতি হবে যা প্রাথমিকভাবে সামাজিক ব্যবসার মতো ব্যক্তিগত পর্যায়ে শূন্য মুনাফার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। সামাজিক ব্যবসার একটি বিশাল অংশ পরিবেশ ও মানবজাতির সুরক্ষায় মনোযোগ দেবে। সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের জীবন কেবল সুরক্ষিতই হবে না, গুণগতভাবে উন্নত হবে। এটি যুবকদের জন্য উদ্যোক্তা হওয়ার পথ সহজতর করবে। উদ্যোক্তা হওয়ার নতুন শিক্ষার মাধ্যমে তরুণরা প্রস্তুত হবে। চাকরিপ্রার্থী তৈরির শিক্ষা উদ্যোক্তা-কেন্দ্রিক শিক্ষা দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে।
পরিবেশের সুরক্ষার জন্য একটি নতুন জীবনধারার প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, নতুন জীবনধারা চাপিয়ে দেয়া হবে না, এটি হবে পছন্দ বেছে নেওয়া। তরুণরা সে জীবনধারাকে পছন্দ হিসেবে বেছে নেবে। প্রতিটি যুবক তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠবে। এগুলো হচ্ছে- শূন্য নেট কার্বন নির্গমন, শুধুমাত্র সামাজিক ব্যবসা গড়ে তোলার মাধ্যমে শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ ও নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে পরিণত করার মাধ্যমে শূন্য বেকারত্ব। প্রত্যেক মানুষ তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠবে এবং সারাজীবন তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে থাকবে। এটি নতুন সভ্যতা গড়ে তুলবে। এটা করা যেতে পারে আমাদের যা করতে হবে তা হল এ গ্রহের নিরাপত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি নতুন জীবনধারা গ্রহণ করা যেখানে সবাই বসবাস করে। আজকের তরুণ প্রজন্ম বাকিটা করবে। তারা তাদের আমাদের গ্রহকে ভালোবাসে। আমি আশা করি আপনারা এ স্বপ্ন দেখায় আমার সাথে যোগ দেবেন। আমরা যদি একসাথে স্বপ্ন দেখি তবে তা সম্ভব হবে। জলবায়ু সংকট তীব্রতর হচ্ছে এবং সে কারণে মানব সভ্যতা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। মানুষ আত্ম-বিধ্বংসী মূল্যবোধের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আত্ম-রক্ষাত্মক ও আত্ম-শক্তিবর্ধক একটি নতুন সভ্যতার ভিত্তি স্থাপনের জন্য আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক, আর্থিক ও যুব শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। আমরা, এই গ্রহের মানব বাসিন্দারা এই গ্রহের ধ্বংসের কারণ। মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করছে এবং তারা এমন একটি জীবনধারা বেছে নিয়েছে যা পরিবেশের বিরুদ্ধে কাজ করে। তারা এটিকে একটি অর্থনৈতিক কাঠামো দিয়ে ন্যায্যতা দেয়, যা এ গ্রহ ব্যবস্থার মতো প্রাকৃতিক হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অর্থনৈতিক কাঠামো সীমাহীন খরচের ওপর ভিত্তি করে চলছে। আপনি যত বেশি ব্যবহার করবেন তত বেশি প্রবৃদ্ধি পাবেন। যত বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবেন, তত বেশি অর্থ উপার্জন করবেন। সর্বাধিক মুনাফা অর্জনকে সিস্টেমের সবকিছুকে আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ভূমিকা পালনের শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মন্তব্য করুন
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দুবাইয়ে দ্য ওয়ার্ল্ড পুলিশ সামিট-২০২৪ এ যোগ দিতে দুবাই গেলেন ।
আইজিপি দুবাইয়ে ৫ থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় দ্য ওয়ার্ল্ড পুলিশ সামিটে অংশগ্রহণ করবেন। সামিটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুলিশ প্রধান এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করছেন।
সোমবার (৪ মার্চ) রাতে সরকারি সফরে দুবাইয়ের উদ্দেশে তিনি ঢাকা ছেড়েছেন।
বাংলাদেশের পুলিশ প্রধান সম্মেলনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পুলিশ প্রধান এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বৈঠকে অংশ নেবেন।
আইজিপি সম্মেলন শেষে আগামী ৮ মার্চ দেশে ফিরার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ইসলামাবাদের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক এগিয়ে
নিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সমাধানের
আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
ডি-৮ সম্মেলনের সাইডলাইনে আজ বৃহস্পতিবার
(১৯ ডিসেম্বর) মিসরের রাজধানী কায়রোর একটি হোটেলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ
শরিফের সঙ্গে বৈঠকের সময় অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, বিষয়গুলো বারবার আসছে। আসুন আমরা সামনে
এগিয়ে যেতে সেই বিষয়গুলোর ফয়সালা করি।
জবাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ
শরিফ বলেন, ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত বিষয়গুলো মীমাংসা
করেছে, কিন্তু যদি অন্যান্য অমীমাংসিত সমস্যা থাকে, তবে সেগুলো দেখতে পেলে তিনি খুশি
হবেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের
জন্য বিষয়গুলো চিরতরে সুরাহা করে ফেলা ভালো হবে।
তারা ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং ক্রীড়া
ও সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদের বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে সম্মত
হন।
এখানে প্রাপ্ত এক বার্তায় বলা হয়, দুই
নেতা চিনি শিল্প এবং ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনার মতো নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারিত করার
ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার ঘোষিত বৈদেশিক নীতির মূল বৈশিষ্ট্য সার্কের
পুনরুজ্জীবনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে শরিফের সঙ্গে আলোচনা করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস ২০২৬ সালের মধ্যভাগের
আগে ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার’ এবং সাধারণ নির্বাচন করতে তার সরকারের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ
করেন। তিনি বলেন, তিনি সংস্কারের বিষয়ে সংলাপের জন্য একটি ঐকমত্য গঠন কমিশনের নেতৃত্ব
দিচ্ছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ
ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানান। শরিফ বলেন, আমরা
সত্যিই আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার অপেক্ষায় রয়েছি।
তিনি সার্কের পুনরুজ্জীবনে অধ্যাপক
ইউনূসের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং আঞ্চলিক সংস্থার শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের সম্ভাবনা
নিয়ে কাজ করার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
অধ্যাপক ড. ইউনূস শরিফকে বলেন, এটি
একটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
সার্ক বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. ইউনূস বলেন, আমি সার্কের ধারণার একজন বড় অনুরাগী। আমি ইস্যুটি নিয়ে কথা বলেই যাব।
আমি সার্ক নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন চাই। তিনি বলেন, যদিও তা কেবল একটি ফটোসেশনের জন্যেও
হয়, তবুও এটি একটি শক্তিশালী বার্তা বহন করবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের
রাষ্ট্র পরিচালিত চিনিকলগুলোকে আরও ভালোভাবে পরিচালনার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রস্তাব
দেন। তিনি বাংলাদেশে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের কারণে মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন এবং বলেন,
ঢাকা এ রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হতে পারে।
তিনি বলেন, প্রায় এক দশক আগে পাঞ্জাবে
ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই বিশ্বমানের বলে প্রশংসিত হয়েছিল। বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের
সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার জন্য আমরা বাংলাদেশে প্রতিনিধিদল পাঠাতে পারি।
অধ্যাপক ড. ইউনূস, শেহবাজ শরিফকে তার
সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আশা করেন পাকিস্তান ও বাংলাদেশ এই প্রচেষ্টা অব্যাহত
রাখবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে
সিদ্দিকী।
সিদ্দিকী পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দারকে ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং তিনি সেই
প্রস্তাব গ্রহণ করেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসকে তার সুবিধামতো সময়ে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানান।
মন্তব্য করুন
তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের তাঁর দেশে বিনিয়োগের আহবান জানিয়েছেন।
আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক এবং প্রতিনিধিদলের আলোচনার পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে রামোস-হোর্তা বলেন, আমি মনে করি আমরা বাংলাদেশ থেকে আরও পণ্য আমদানি করতে পারি এবং বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকে তিমুর-লেস্তে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাই। আগামী বছর আমরা আসিয়ানের সদস্য হব এবং সেইসাথে ৭০০ মিলিয়ন জনগোষ্টির অঞ্চলের অংশ হয়ে উঠব। আগামী বছর তিমুর-লেস্তে ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি জিডিপি অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হবে। তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশ তাঁর দেশের উন্নয়নে অংশীদার হবে।
রামোস-হোর্তা বলেন, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বের অন্যতম সম্মানিত নেতা, যিনি এখনও সক্রিয়ভাবে অফিসে কাজ করছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে নেলসন ম্যান্ডেলা, জন এফ কেনেডি, মহাত্মা গান্ধী, ফিদেল কাস্ত্রো এবং চে গুয়েভারের মতো বিশ্ব নেতাদের সাথে তুলনা করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অত্যন্ত সৌভাগ্যবান, খুবই ভাগ্যবান যে এমন একজন নিরহঙ্কার ও বিনয়ী মানুষ দেশের নেতৃত্বে রয়েছেন। তিনি আপনাদের তরুণদের সাথে কাজ করছেন দেশের পরিববর্তনের জন্য।'
বাংলাদেশ ও তিমুর-লেস্তের জনগণের ভোগান্তির ইতিহাস প্রায় একই রকম উল্লেখ করে তিমোর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ দৃঢ়চেতা, পরিশ্রমী, সৃজনশীল ও সফল।
অধ্যাপক ইউনূসকে তার ভাই, বন্ধু ও পরামর্শক উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশ সরকারকে তাকে আতিথেয়তা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এখানে এসে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট এবং তার সফরসঙ্গীরা গতকাল রাত ১০টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (এইচএসআইএ) অবতরণ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস তাকে গার্ড অব অনার এবং গান স্যালুটের মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানান।
আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক এবং প্রতিনিধিদলের আলোচনার পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে রামোস-হোর্তা বলেন, আমি মনে করি আমরা বাংলাদেশ থেকে আরও পণ্য আমদানি করতে পারি এবং বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকে তিমুর-লেস্তে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাই। আগামী বছর আমরা আসিয়ানের সদস্য হব এবং সেইসাথে ৭০০ মিলিয়ন জনগোষ্টির অঞ্চলের অংশ হয়ে উঠব। আগামী বছর তিমুর-লেস্তে ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি জিডিপি অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হবে। তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশ তাঁর দেশের উন্নয়নে অংশীদার হবে।
রামোস-হোর্তা বলেন, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বের অন্যতম সম্মানিত নেতা, যিনি এখনও সক্রিয়ভাবে অফিসে কাজ করছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে নেলসন ম্যান্ডেলা, জন এফ কেনেডি, মহাত্মা গান্ধী, ফিদেল কাস্ত্রো এবং চে গুয়েভারের মতো বিশ্ব নেতাদের সাথে তুলনা করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অত্যন্ত সৌভাগ্যবান, খুবই ভাগ্যবান যে এমন একজন নিরহঙ্কার ও বিনয়ী মানুষ দেশের নেতৃত্বে রয়েছেন। তিনি আপনাদের তরুণদের সাথে কাজ করছেন দেশের পরিববর্তনের জন্য।'
বাংলাদেশ ও তিমুর-লেস্তের জনগণের ভোগান্তির ইতিহাস প্রায় একই রকম উল্লেখ করে তিমোর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ দৃঢ়চেতা, পরিশ্রমী, সৃজনশীল ও সফল।
অধ্যাপক ইউনূসকে তার ভাই, বন্ধু ও পরামর্শক উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশ সরকারকে তাকে আতিথেয়তা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এখানে এসে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট এবং তার সফরসঙ্গীরা গতকাল রাত ১০টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (এইচএসআইএ) অবতরণ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস তাকে গার্ড অব অনার এবং গান স্যালুটের মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানান।
মন্তব্য করুন
মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের রাজধানী বাঙ্গুইর এমপাকো নদীতে নৌকা ডুবে অন্তত ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যাত্রীবাহী ফেরি ডুবে যাওয়ার পর অন্তত ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। গ্রামপ্রধানের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নৌকাটিতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত প্রায় ৩০০ জন যাত্রী ছিল এবং পথিমধ্যে এটি ডুবে যায়
বলে জানিয়েছে দেশটির বেসামরিক সুরক্ষা বিভাগের প্রধান।
নাগরিক সুরক্ষা বিভাগের প্রধান টমাস ডিজিমাসে রেডিও গুইরাকে বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমরা ৫৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করতে পেরেছি। তবে এখনো কতজন আরো নিখোঁজ রয়েছেন তার সংখ্যা আমরা জানি না।
তবে গতকাল শনিবার আর ঘটনাস্থলে বেসামরিক সুরক্ষা বিভাগের কাউকে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে এএফপি।
ক্যানোর সাহায্যে নদীতে নিখোঁজ স্বজনদের লাশ খুঁজে বেড়াচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া দুর্ঘটনার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ফেরিডুবির পর লোকেরা নদীর তীরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন বা পানিতে ঝাঁপ দিচ্ছেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী ফরাসি ভাষার সম্প্রচারকারী আরএফআইকে বলেছেন, এইমাত্র যা ঘটেছে তা ছিল ভয়ংকর। আমি এমন একটি পরিবারকে চিনি যারা এই ট্র্যাজেডিতে সাতজন আত্মীয়কে হারিয়েছে।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসলাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করলেন ।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) রোহিঙ্গা
ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার
সঙ্গে ইফতার করেন তারা।
এর আগে দুপুরে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে কক্সবাজার পৌঁছান তারা। এরপর বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কক্সবাজারের উখিয়ায় যান জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস। পরে সেখানে রোহিঙ্গা শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
অন্যদিকে
কক্সবাজারে পৌঁছে সেখানে নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরবর্তীতে বিকেলে উখিয়ায় প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব।
উল্লেখ্য, ৪ দিনের সফরে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাকায় পৌঁছান জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
মন্তব্য করুন
থার্মোমিটারের পারদ ৪৮ ডিগ্রিতে উঠে যাচ্ছে পশ্চিম আফ্রিকার সাহারা মরুভূমির দেশ মালিতে।তার সঙ্গে শুরু হয়েছে লোডশেডিং। গরমের দেশ হলেও স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এখন গরম পড়েছে অনেক বেশি।
তীব্র গরমে দেশটির কিছু অংশে এখন রুটি ও দুধের চেয়ে বরফের টুকরার দাম বেশি।
নিয়মিত বিদ্যুৎ না থাকায় চলছে না ফ্রিজ। তার ফলে খাবার সংরক্ষণের জন্য বরফ ব্যবহার করতে হচ্ছে।
গরমে স্বস্তি পেতে পানি ঠাণ্ডা করার জন্যও বরফের দরকার পড়ছে।
মালির রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হচ্ছে।
গত মার্চ থেকে মালির কিছু অংশে তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠে গেছে, এতে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন বয়স্ক ও তরুণরা।
বামাকোর ইউনিভার্সিটি হসপিটালে কর্মরত অধ্যাপক ইয়াকুবা তোলোবা বলেন, আমরা প্রতিদিন গড়ে ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে দেখছি। অনেক রোগী ডিহাইড্রেটেড হয়- প্রধান লক্ষণগুলি কাশি এবং শ্বাসনালী বন্ধ। কারও কারও শ্বাসকষ্টও রয়েছে।
তবে সতর্কতা হিসেবে কিছু এলাকার স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সেনেগাল, গিনি, বুরকিনা ফাসো, নাইজেরিয়া, নাইজার ও সাদের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোতেও এই ভয়াবহ তাপপ্রবাহ প্রভাব ফেলছে।
মন্তব্য করুন
একজন ইউটিউবারের একমাত্র ধ্যান জ্ঞান থাকে ভিউ পাওয়া । সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের
ভিডিওতে বাকিদের তুলনায় একটু বেশি ভিউ পাওয়ার জন্য কতকিছুই না তারা করেন।
তবে ট্রেভর জ্যাকব নামে ৩০ বছর বয়সী এক মার্কিন ইউটিউবার এমনই এক ঘটনা ঘটাতে
গিয়ে উল্টো ঘটালেন এক অঘটন যার দরুণ সেই ইউটিউবার সম্ভবত সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন।
বিবিসির খবরের সূত্র হতে জানা যায়, তিনি ভিডিওতে দর্শক টানতে স্বেচ্ছায় নিজের
বিমান বিধ্বস্ত করেছেন। শুধু তাই নয়, বিমান বিধ্বস্ত করে তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে
মিথ্যাচারও করেছেন। এই অপরাধের দায়ে তাকে ছয় মাসের সাজা দিয়েছেন আদালত। সাজাপ্রাপ্ত
ওই ইউটিউবার ২০২১ সালের ডিসেম্বরে এই ঘটনার একটি ভিডিও ইউটিউবে পোস্ট করেন । সেখানে
দেখা যায়, তিনি সেলফি স্টিক হাতে বিমান থেকে প্যারাস্যুটে করে নিচে নামছেন। মূলত বিমান
বিধ্বস্ত করে সেটাকে দুর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দিতেই এমনটা করেন তিনি।
ক্যালিফোর্নিয়ার সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস জানিয়েছে, ২০২১ সালের
নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারা বিমানবন্দর থেকে বিমান নিয়ে
উড্ডয়ন করেন ট্রেভর জ্যাকব। এ সময় তার সঙ্গে ক্যামেরা, প্যারাসুট ও সেলফি স্টিক ছিল।
উড্ডয়নের ৩৫ মিনিট পর বিমানটি লস প্যাড্রেস ন্যাশনাল ফরেস্টে বিধ্বস্ত হয়। ঘটনাস্থলে
গিয়ে ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার করলেও বিমানটি নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর কোনো চেষ্টা করেননি
জ্যাকব। বরং উড্ডয়নের পর বিমান থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন এবং প্যারাসুট
ব্যবহার করে মাটিতে নেমে আসেন।
এরপর একই বছরের ২৩ ডিসেম্বর ‘আই ক্রাশড মাই এয়ারপ্লেন’ নামে একটি ভিডিও ইউটিউবে
ছাড়েন জ্যাকব। ভিডিওটি ৩০ লাখ বার দেখা হয়েছে। তবে পরবর্তীতে ভিডিওটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে
নেওয়া হয়।
মার্কিন তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, ইউটিউবে দর্শকপ্রিয়তা পেতেই স্বেচ্ছায় বিমানটি
বিধ্বস্ত করেছিলেন ট্রেভর জ্যাকব। পরে এ ঘটনায় মামলা হলে তাদের সঙ্গে মিথ্যা কথা বলেছেন
তিনি।
দোষ স্বীকার করে আদালতকে জ্যাকব জানান, একটি পণ্যের প্রচারের জন্য চুক্তি করেছিলেন
তিনি। এর অংশ হিসেবে তিনি বিমানটি বিধ্বস্ত করে ভিডিও ধারণ করেছেন। এই মামলায় সোমবার
জ্যাকবকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালত।
মন্তব্য করুন