

লাইভ ভিডিও সংরক্ষণের নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জায়ান্ট ফেসবুক।
ব্যবহারকারীদের লাইভ ভিডিওগুলো ফেসবুক আর অনির্দিষ্টকালের জন্য সংরক্ষণ করবে না। পোস্ট হওয়ার ৩০ দিন পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেগুলো মুছে যাবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট টেক পোর্টাল।
আগে ফেসবুকে লাইভ ভিডিও স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত থাকত, যতক্ষণ না ব্যবহারকারী নিজে সেগুলো মুছে ফেলতেন। সেই নীতিতে এখন বড় পরিবর্তন আনলো প্ল্যাটফর্মটি।
ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা এক ব্লগ পোস্টে বলেছে, তাদের এ নতুন নিয়ম ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে।
১৯ তারিখের আগে পোস্ট করা বিভিন্ন লাইভ ভিডিওর মধ্যে যেগুলো ৩০ দিনের বেশি পুরোনো সেগুলোও ফেসবুক থেকে সরিয়ে দেবে মেটা। তবে ইমেইল ও ‘ইন অ্যাপ’ পপ আপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের সেটা জানাবে কোম্পানিটি, যাতে নিজেদের বিভিন্ন লাইভ ভিডিও সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা নিতে পারেন তারা।
আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পুরানো বিভিন্ন লাইভ ভিডিও মুছে ফেলবে মেটা। লাইভ
ভিডিও সংরক্ষণে ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুক তিনটি বিকল্প রেখেছে। সেগুলো হলো-
এছাড়াও, মেটা নতুন কিছু টুলও চালু করেছে, যা লাইভ ভিডিও সংরক্ষণে ব্যবহারকারীদের সাহায্য করবে। এজন্য নিজেদের প্রোফাইল বা পেইজের ‘ভিডিও’ বা ‘লাইভ’ ট্যাবে গিয়ে নির্দিষ্ট ভিডিও নির্বাচন করে ‘ডাউনলোড ভিডিও’ অপশন ব্যবহার করে তা ডাউনলোড করতে পারবেন।
এদিকে, ফেসবুক তাদের এক ব্লগ পোস্টে বলেছে, “এই পরিবর্তন আমাদের স্টোরেজ নীতিকে ইন্ডাস্ট্রির স্ট্যান্ডার্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করবে এবং ফেসবুকের লাইভ ভিডিওর অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করবে।যদি ব্যবহারকারীরা আরও সময় চান, তাহলে তারা ভিডিও মুছে ফেলার সময় ৬ মাস পর্যন্ত পেছাতে পারবেন। তবে যদি ৬ মাসের মধ্যে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়। তাহলে ফেসবুক স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলো মুছে ফেলবে এবং পরে তা পুনরুদ্ধার করার কোনো উপায় থাকবে না।”
শর্ট ভিডিওর ব্যবসা বাড়ানোর পরিকল্পনা থেকে মেটা এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে টেকপোর্টাল।
মন্তব্য করুন


প্রায় ২,০০০ বছর আগের একটি রোমান মূর্তি আবিষ্কার করেছে যুক্তরাজ্যের একটি পার্কিং লট নির্মাণকারী শ্রমিকরা । খননকারী গ্রেগ ক্রালি গত বছর সংস্কারের কাজ করার সময় ইংল্যান্ডের পিটারবারোতে ষোড়শ শতকের কান্ট্রি এস্টেট বার্গলে হাউসে একজন রোমান নারীর মার্বেল মূর্তির মাথা খুঁজে পান। ২ সপ্তাহ পরে একটি আবক্ষ মূর্তিও ওই স্থানের কাছে পাওয়া গিয়েছিল। ধ্বংসাবশেষগুলিকে একজন সংরক্ষক পরিষ্কার করে পরীক্ষা করার উদ্দেশে নিয়ে যান। তিনি জানান ভাস্কর্যটির তারিখ প্রথম বা দ্বিতীয় শতাব্দীর।
বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন, একটি লোহার কীলক আবক্ষ মূর্তিটিকে পাদদেশের সাথে সংযুক্ত করেছিলো। ঐতিহাসিকভাবে ১৮ শতকের শেষের দিকে ইতালিতে ভ্রমণকারী অভিজাতদের কাছে বিভিন্ন পুরনো আইটেম বিক্রি করার সময় ইতালীয় ব্যবসায়ীরা এই কিলোকটি যুক্ত করেছিলেন ।
অনুমান করা হয়, ১৭৬০-এর দশকে নবম আর্লের ইতালিতে ২টি সফরের একটির সময় যখন তিনি অনেক পুরাকীর্তি কিনেছিলেন, তখন তিনি ভাস্কর্যটি বারঘলিতে ফিরিয়ে এনেছিলেন। ব্রাউনলো সেসিল ১৭৫৪ সালে উত্তরাধিকারসূত্রে 'এক্সেটারের নবম আর্ল' শিরোনামটি পেয়েছিলেন।
এস্টেট অনুসারে তিনি একজন ভ্রমণকারী এবং চারুকলার সংগ্রাহক ছিলেন।এস্টেট অনিশ্চিত যে কীভাবে মাথা এবং আবক্ষ মূর্তিটি গাড়ি পার্কে মাটি দ্বারা সমাহিত হয়েছিল। বার্গলে হাউস মনে করে কেউ মূর্তিটি চুরি করে মাটিতে পুঁতে দিয়েছিলো। খননকারী ক্রাওলির মতে, এই মূর্তিটি অনেক পুরানো। এই ধরণের প্রাচীন মূর্তি খুঁজে পাওয়ার অনুভূতি সত্যিই অবিশ্বাস্য।
এই মূর্তিটি তার ‘এখনও পর্যন্ত সেরা আবিষ্কার’ বলে অভিহিত করেছেন ক্রাওলি।
এখন মূর্তিটি বার্গলে হাউসে নবম আর্ল দ্বারা সংগৃহীত অন্যান্য মূর্তির পাশাপাশি প্রদর্শিত হবে। সূত্র : সিএনএন
মন্তব্য করুন


একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি স্মারক ডাকটিকেট, একটি উদ্বোধনী খাম ও একটি সিলমোহর অবমুক্ত করেছেন ।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্তকালে উপস্থিত ছিলেন তথ্য, ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ড. মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস এম সাহাবুদ্দিন ।
এ ছাড়াও একই সময়ে সপ্তম জাতীয় কমডেকা ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকেট, একটি উদ্বোধনী খাম ও একটি সিলমোহর ও অবমুক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
এছাড়া
এ সময় কমডেকা উপদেষ্টা, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক
বিভাগের সিনিয়র সচিব মুহাম্মদ এহছানুল হক, কমডেকা চিফ মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধসহ
অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামের ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্টে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামীকাল রোববার ইতালির রোম সফরে যাচ্ছেন।
প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রোমের উদ্দেশে যাত্রা করবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত
করেছেন।
মন্তব্য করুন


কথায় আছে কপাল খুলতে নাকি সময় লাগে না, সে কথাই যেন সত্যি হলো। মুহূর্তে বদলে গেল সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) প্রবাসী এক বাংলাদেশি লটারিতে ২ কোটি দিরহাম জিতেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৬৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। গতকাল শুক্রবার ‘বিগ টিকিট আবুধাবি’ নামের ওই লটারির বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশি ওই প্রবাসীর নাম হারুন সরদার নূর নবী সরদার। ৪৪ বছর বয়সী হারুন ইউএইর শারজাহ শহরে বসবাস করেন। পেশায় ট্যাক্সিচালক। গত ১৪ সেপ্টেম্বর একটি লটারির টিকিট কিনেছিলেন তিনি। গতকাল বিগ টিকিটের র্যাফল ড্র অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এতে প্রথম পুরস্কার জেতেন হারুন।
অনুষ্ঠান চলাকালে উপস্থাপক রিচার্ড ও বোচরা হারুনকে কল করে এ খবর দেন। শুনে তাজ্জব হয়ে যান তিনি। উত্তরে বেশি কিছু বলতে পারেননি। শুধু বলেন, ‘ঠিক আছে, ঠিক আছে।’
তবে হারুন একাই এ লটারির অর্থ পাবেন না; তিনি মোট ১১ জনের জন্য আবুধাবির বিগ টিকিট নামে পরিচিত এই লটারি কিনেছিলেন। তাই পুরস্কারের অর্থ সবার মধ্যে ভাগ হবে।
হারুন ২০০৯ সাল থেকে আরব আমিরাতে বসবাস করছেন। তাঁর পরিবার থাকে বাংলাদেশে। একদিন না একদিন জিতবেন—এ আশায় প্রতি মাসেই তিনি বিগ টিকিটের লটারি কেনেন।
হারুন ছাড়া আরও চারজন বিগ টিকিটের লটারি কিনে ৫০ হাজার দিরহাম (প্রায় ১৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকা) করে জিতেছেন। এ চারজনের একজন প্রবাসী বাংলাদেশি আলী হুসাইন আলী।
বিগ টিকিট লটারিতে চারজন প্রবাসী ‘স্পিন দ্য হুইল’ জিতেছেন। তাঁরা প্রত্যেকে দেড় লাখ দিরহাম (৪৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা) করে পাবেন। তাঁদের একজন বাংলাদেশি জাজরুল ইসলাম ফকির আহমেদ। আল-আইন শহরে বসবাসকারী এই প্রবাসী ১০ জনের সঙ্গে অর্থ ভাগাভাগি করবেন।
শারজাহ শহরের আরেক বাংলাদেশি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আহমেদ নবী লটারিতে একটি ‘রেঞ্জ রোভার ভেলার’ গাড়ি জিতেছেন।
মন্তব্য করুন


হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৯ জন হজ যাত্রী নিয়ে দেশে ফিরেছে।
আজ (২১ জুন) বিজি ৩৩২ ফ্লাইটটি সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এসে পৌঁছেছে।
বিমানবন্দরে হাজীদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান। সুস্থ ও শান্তিপূর্ণভাবে হজ সম্পন্ন করে দেশে ফিরতে পাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন যাত্রীরা।
এসময় বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, সব হজযাত্রী যেন সুষ্ঠুভাবে দেশে ফিরতে পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ফ্লাইটের মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পোস্ট ফ্লাইট অপারেশন্স শুরু হয়েছে, যা চলবে আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত।
আগত হজযাত্রীদের বিমানের বোডিং গেটে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। সব হজযাত্রীকে বিমানের বুথ থেকে জমজমের পানি বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাইফুল ইসলাম, বিমানের পরিচালক (গ্রাহক সেবা) হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যকে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে উভয় পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। ব্যারোনেস উইন্টারটন বলেন, আমাদের মধ্যে দীর্ঘ ও বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক রয়েছে এবং সংস্কারের যে ধারা দেখা যাচ্ছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন,‘এটি আমাদের জন্য একটি রূপান্তরমূলক সময়। আমরা প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন এবং অগ্রাধিকার পুননির্ধারণে মনোনিবেশ করছি।
বাংলাদেশে দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতির কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের বর্তমানে নার্সের সংকট রয়েছে। তবে নার্সিং শুধু জাতীয় সমস্যা নয়—এটি একটি বৈশ্বিক প্রয়োজন। আমরা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্য আরও নার্স প্রশিক্ষণ দিতে চাই।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের পর্যাপ্ত সম্পদ না থাকা স্বাস্থ্যখাত শক্তিশালী করতে যুক্তরাজ্যের সহায়তার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘সরকার পরিচালিত স্বাস্থ্য কার্যক্রম প্রায় অকার্যকর। এখানে যুক্তরাজ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আরেকটি সম্ভাবনাময় খাত হলো ওষুধশিল্প। আমরা অনুরোধ করছি, পেটেন্ট সুরক্ষা তুলে নেওয়ার পক্ষে অবস্থান নিন যাতে প্রতিটি দেশ সাশ্রয়ীভাবে সামাজিক ব্যবসা মডেলে টিকা উৎপাদন করতে পারে।
উভয় পক্ষ শিক্ষা, টেক্সটাইল শিল্প, প্রতিরক্ষা এবং বিমান চলাচলসহ কৌশলগত সহযোগিতার আরও বিস্তৃত ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন, টেক্সটাইল খাত আধুনিকীকরণ এবং প্রতিরক্ষা ও বিমান চলাচলে নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র অনুসন্ধানে যুক্তরাজ্যের সহায়তাকে স্বাগত জানাই।
উভয় নেতা এই খাতে প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি বিনিময় এবং দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
জেন্ডার সমতার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, আমরা সব খাতে নারীর অংশগ্রহণকে অগ্রাধিকার দিই। নারীর ক্ষমতায়ন আমাদের উন্নয়ন কৌশলের কেন্দ্রে রয়েছে।
ব্যারোনেস উইন্টারটন বর্তমান সংস্কার এজেন্ডার প্রতি যুক্তরাজ্য সরকারের সমর্থন জানান। তিনি বাংলাদেশের সাংবিধানিক সংস্কার কর্মসূচির প্রধান আলী রিয়াজের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে ড. ইউনূস বলেন, যদি রাজনৈতিক দলগুলো স্বল্প সংস্কার প্রক্রিয়ায় একমত হয়, তবে ডিসেম্বরেই নির্বাচন হতে পারে। তবে যদি বৃহত্তর সংস্কার পথ বেছে নেওয়া হয়, তাহলে নির্বাচন জুনে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এ সময় বৈঠকে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


থার্মোমিটারের পারদ ৪৮ ডিগ্রিতে উঠে যাচ্ছে পশ্চিম আফ্রিকার সাহারা মরুভূমির দেশ মালিতে।তার সঙ্গে শুরু হয়েছে লোডশেডিং। গরমের দেশ হলেও স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এখন গরম পড়েছে অনেক বেশি।
তীব্র গরমে দেশটির কিছু অংশে এখন রুটি ও দুধের চেয়ে বরফের টুকরার দাম বেশি।
নিয়মিত বিদ্যুৎ না থাকায় চলছে না ফ্রিজ। তার ফলে খাবার সংরক্ষণের জন্য বরফ ব্যবহার করতে হচ্ছে।
গরমে স্বস্তি পেতে পানি ঠাণ্ডা করার জন্যও বরফের দরকার পড়ছে।
মালির রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হচ্ছে।
গত মার্চ থেকে মালির কিছু অংশে তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠে গেছে, এতে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন বয়স্ক ও তরুণরা।
বামাকোর ইউনিভার্সিটি হসপিটালে কর্মরত অধ্যাপক ইয়াকুবা তোলোবা বলেন, আমরা প্রতিদিন গড়ে ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে দেখছি। অনেক রোগী ডিহাইড্রেটেড হয়- প্রধান লক্ষণগুলি কাশি এবং শ্বাসনালী বন্ধ। কারও কারও শ্বাসকষ্টও রয়েছে।
তবে সতর্কতা হিসেবে কিছু এলাকার স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সেনেগাল, গিনি, বুরকিনা ফাসো, নাইজেরিয়া, নাইজার ও সাদের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোতেও এই ভয়াবহ তাপপ্রবাহ প্রভাব ফেলছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল:
কুমিল্লার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি (যুদ্ধসমাধি)
থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
তাদের দেহাবশেষ জাপানে নেওয়া হবে। এরই মধ্যে জাপানের পক্ষ থেকে ৭ সদস্যদের একটি ফরেনসিক
বিশেষজ্ঞ দল ওই ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছেন। যেটি
শেষ হবে আগামী ২৪ নভেম্বর।
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম
পাশে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান
হিসেবে পরিচিত। সেখানে রোববার বিকেল পর্যন্ত খনন করা হয়েছে ১০টি সমাধি। জাপানের বিশেষজ্ঞ
ফরেনসিক টিমকে সহায়তা করছেন বাংলাদেশ সরকার। পুলিশি নিরাপত্তায় খনন কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে
নিহত বিশ্বের ১৩টি দেশের ৭৩৭জন বীর সৈনিককে ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে সমাহিত করা হয়েছিল।
এর মধ্যে ১৯৬২ সালে একজন সৈনিকের দেহাবশেষসহ সমাধির মাটি তার স্বজনরা যুক্তরাষ্ট্রে
নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে ২৪ জন জাপানি সৈনিকের মরদেহ রয়েছে। গত বুধবার থেকে খনন কাজ
শুরু হয়।
সমাধিস্থলের মাটি খুঁড়তেই মিলছে দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধে নিহত জাপানি সৈনিকদের মাথার খুলিসহ শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড়। সেগুলো অত্যন্ত
যত্নসহকারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন এই যুদ্ধ সমাধি ক্ষেত্র
তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে আসছে।
সমাধিস্থলের খননকাজে জাপানের প্রতিনিধিদের
সহায়তা করছেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.)
কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কবর (সমাধি) শনাক্তকরণ, দেহাবশেষ
সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছেন। বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ সরিয়ে আনার কাজটিও করেছেন
তিনি। জাপানের প্রতিনিধিদলের পক্ষে পুরো কর্মযজ্ঞের বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।
কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বলেন, ‘জাপান
সরকার ২০১৩ সালে আমাকে তাদের দূতাবাসে ডেকেছিল এই ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে
নেওয়ার বিষয়ে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে ওই সময়ে সেটি সম্ভব হয়নি। গত বছর থেকে তারা বিষয়টি
নিয়ে আবারও যোগাযোগ করে। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাপান সরকার আমাদের সরকারের কাছে চিঠি
লেখে এবং কমনওয়েলথের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এই কাজ শুরু করেছে। এখানে জাপানের পক্ষ থেকে
সাতজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন, যারা এ কাজে অত্যন্ত দক্ষ। তাদের ছয়জন জাপানি ও
একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। এই সমাধিগুলো ৮১ বছরের পুরোনো। এরই মধ্যে খনন করে আমরা
১০ জনের দেহাবশেষ সমাধি থেকে উত্তোলন করতে পেরেছি।’
দেহাবশেষে কী কী পাওয়া যাচ্ছে, জানতে
চাইলে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘৮১ বছর পর খুব বেশি কিছু পাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা
প্রতিটি সমাধির দুই ফুটের মতো খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে খুঁড়ছি। বাকিটা ম্যানুয়ালি
অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে খনন করা হচ্ছে। কোনোটিতে তিন ফুট, আবার কোনোটিতে ছয় ফুট খননের
পর দেহাবশেষ পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত যেগুলো খনন করা হয়েছে, সেসব সমাধিতে মাথার খুলি,
শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড় পাওয়া যাচ্ছে। তবে যা-ই পাচ্ছি, সবকিছুই জাপানের বিশেষজ্ঞ
দল যত্নসহকারে সংরক্ষণ করছে।’
তিনি বলেন, আমরা এক তরুণ সৈনিকের দেহাবশেষ
তুলতে গিয়ে মাথার খুলির মধ্যে বুলেটের চিহ্ন পেয়েছি। রেকর্ড অনুযায়ী ওই সৈনিকের বয়স
২৮ বছর ছিল। আমার তখন বুকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করেছে। এত তরুণ বয়সে পৃথিবী থেকে চলে গেছে
সে। এখানে জাপানের সৈনিকদের ২৪ সমাধির মধ্যে ২০টির নাম-পরিচয় আছে। বাকি চারটির পরিচয়
শনাক্ত করা এখনো সম্ভব হয়নি। নিশ্চয়ই তারা (জাপানের প্রতিনিধিদল) দেহাবশেষ নিয়ে গেলে
ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হবে।’
কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশনের পক্ষে
দায়িত্ব পালন করা কান্ট্রি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আবদুর রহিম সবুজ বলেন, গত বুধবার সকাল
থেকে জাপানের প্রতিনিধি দল কার্যক্রম শুরু করে। এখানে সমাহিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের
সময় নিহত বিশ্বের ১৩টি দেশের।
মন্তব্য করুন


মাত্র আট বছরের এক শিশু মায়ের ফোন থেকে
আমাজনে একসঙ্গে ৭০ হাজার ললিপপ অর্ডার করে, যার দাম ৪ হাজার মার্কিন ডলার, (বাংলাদেশি
টাকায় প্রায় ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা) ।
শিশুর মা, হলি লাফেভার্স, নিজের ফোন
ব্যবহার করার সময় হঠাৎই বুঝতে পারেন তার ছেলে লিয়াম খেলতে খেলতে বিশাল ললিপপ অর্ডার
দিয়ে ফেলেছে। এরপর ব্যাংক থেকে ৪ হাজার ডলার খরচের নোটিফিকেশন পেয়ে তার মাথায় যেন আকাশ
ভেঙে পড়ে।
মা অর্ডার বাতিলের চেষ্টা করলেও ততক্ষণে
ললিপপগুলো ডেলিভারির জন্য প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই ২২টি বাক্স তাদের
বাড়িতে এসে পৌঁছায়। পরে জানা যায়, আরও ৮টি বাক্স আসার কথা ছিল। তবে পোস্ট অফিসে গিয়ে
তিনি সেই বাক্সগুলো আটকে দেন।
হলি জানান, প্রথমে আমাজন তাকে ডেলিভারি
প্রত্যাখ্যান করতে বললেও পরবর্তীতে টাকা ফেরত দিতে অনীহা প্রকাশ করে। অবশেষে, টাকা
ফেরতের আশায় তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দেন, "আমার ছেলে লিয়াম ৩০
বাক্স ললিপপ অর্ডার করেছে, আমাজন সেগুলো ফেরত নিচ্ছে না।"
তার এমন পোস্ট দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।
প্রতিবেশী, বন্ধু, স্থানীয় ব্যবসায়ী এমনকি ব্যাংকগুলোও ললিপপ কিনে নিতে এগিয়ে আসে।
পরে বিষয়টি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা হয়। শেষমেশ আমাজন সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত
দিতে রাজি হয়।
মন্তব্য করুন


যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সাম্প্রতিক ট্যারিফ আলোচনায় ২০ শতাংশ শুল্ক নিশ্চিত করাকে অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম বড় সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব বলেছেন, এই আলোচনা ছিল সরকারের সবচেয়ে বড় পররাষ্ট্রনীতি-সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ, কিন্তু সঠিক প্রস্তুতি ও আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করেছে।
আজ শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর ফার্মগেটের ডেইলি স্টার ভবনে ‘বাংলাদেশ ও ট্রাম্পের শুল্ক: বাণিজ্য ব্যবস্থা পরবর্তী বিশ্বের অর্থনৈতিক কূটনীতি’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্তব্য করুন