ঘানার বাসিন্দা ২৯ বছর বয়সী আবু বকর তাহিরু ছোট থেকে বড় হয়েছেন কৃষক পরিবারে।
তাই প্রকৃতির প্রতি তার টান সেই ছেলেবেলা থেকে। পড়াশোনাও করছেন বনবিদ্যা বিভাগে।
আর এসময়ে এসে সেই গাছ নিয়েই গড়েছেন বিশ্ব রেকর্ড। মাত্র এক ঘণ্টায় এক হাজারের
বেশি গাছের সঙ্গে কোলাকুলি করে তিনি গিনেস বুকে তাঁর নাম লিখেছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউপিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আবু বকর এক ঘণ্টায় এক হাজার
১২৩টি গাছের সঙ্গে কোলাকুলি করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যের তুস্কেগি
ন্যাশনাল ফরেস্টে গাছের
সঙ্গে কোলাকুলি ,করে নতুন এই বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন
।
তবে বিষয়টি ততটা সহজ ও ছিলো না কারণ এই রেকর্ড গড়ার সময় আবু বকরকে বেশ কিছু শর্ত
মানতে হয়েছে। যেমন দুই হাত দিয়ে গাছকে জড়িয়ে ধরতে হবে। তবে এই সময় গাছের কোনো ক্ষতি
হতে পারবে না। কোনো গাছকে এক বারের বেশি জড়িয়ে ধরা যাবে না।
আরও মজার ব্যাপার হলো তিনি রোজা রেখেই এই কাণ্ড করেছেন। এর ফলে তাকে যেমন চ্যালেঞ্জের
মুখে পড়তে হয়েছে, তেমনি সুফলও পেয়েছেন।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে আবু বকর বলেছেন, পুরো প্রক্রিয়ায় একবারও পানি পান
না করতে পারাটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল, বিশেষ করে শারীরিক পরিশ্রমের দিক থেকে।
তবে পরে এটি একটি সহায়ক উপায় হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। কারণ আমাকে পানি পানের জন্য
কোনো বিরতি দিতে হয়নি। ফলে একটানে শুরু থেকে শেষ করতে পেরেছি।
মন্তব্য করুন
সৌদি আরবে মাদক ব্যবসা ও চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে সাত বাংলাদেশিসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার (৭ জুলাই) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সৌদি আরবের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক জানিয়েছেন, গ্রেফতার সাত বাংলাদেশির কাছ থেকে ৩ দশমিক ৩ কেজি উচ্চ আসক্তি সৃষ্টিকারী উদ্দীপক মেথামফেটামিন, ১২ হাজার ৪৩২ পিস অ্যামফিটামিন ট্যাবলেট পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তাদের বিপুল পরিমাণ হাশিশের ব্যবসা ও চোরাচালানের সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা।
তিনি জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ২১ হাজার অ্যামফিটামিন ট্যাবলেট চোরাচালানের দায়ে দুই সিরিয়ান ও এক সৌদি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথক অভিযানে ৭৫ হাজার ৬০০ এমফিটামিনেস ট্যাবলেটসহ এক প্রবাসী এবং এক সৌদি নাগরিককে মদিনা থেকে গ্রেফতার করেছে। এ ছাড়া সীমান্ত রক্ষীরা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জিজানের লঙ্ঘনকারী দুই ইথিওপিয়ানকে গ্রেফতার করেছে। সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক পাচারের চেষ্টা করছিলেন তারা।
সৌদি আরব সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মাদক পাচার ও চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। দেমটিতে কার্যত মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে প্রশাসন।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে সৌদি আরবে জাকাত, ট্যাক্স এবং কাস্টমস কর্তৃপক্ষ (জাটকা) জানায়, কাস্টমসের কর্মকর্তারা জেদ্দা বন্দরে একটি চালানে লুকানো ৩৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮৭টি ক্যাপ্টাগন পিল পাচারের চেষ্টা রুখে দিয়েছে।
এর আগে গত মে মাসে সৌদি আরবের মাদকবিরোধী পুলিশ কংক্রিটের ব্লকের চালানে লুকিয়ে রাখা ৪৭ লাখ অ্যামফিটামিন ট্যাবলেট জব্দ করেছিল। এ ছাড়া ওই সময়ে চালানের সঙ্গে জড়িত দুই প্রবাসীকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের মূল কথাই ছিল সংস্কার। তার সরকার নির্বাচনের আগে সেই সংস্কার করতে বদ্ধপরিকর।
আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে আরও বেশি সুইডিশ বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই’। তার সরকার দুর্নীতি দমন করেছে, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে বিনিয়োগ সহজ করেছে এবং শ্রম আইনের বিষয়ে আইএলও কনভেনশন অনুমোদনের উদ্যোগ নিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত উইকস জানান, সুইডেনের সরকার ইউনূস-নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এবং পুলিশের সংস্কার, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন পুনর্গঠনের উদ্যোগকে সমর্থন করে।
নিকেলাসউ উইকস বলেন, 'আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে এই পরিবর্তনকালে আমাদের পূর্ণ সমর্থন আপনার সঙ্গে রয়েছে।'
বৈঠককালে তারা জুলাই-আগস্ট বিপ্লব, সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বাংলাদেশের সুইডিশ বিনিয়োগ এবং গণঅভ্যুত্থানে নারীদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে, তবে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে, বিশেষ করে সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠীর উচ্চ প্রত্যাশা পূরণের ক্ষেত্রে। 'দাবিদাওয়া মেটানো একটি বড় কাজ। আমরা চেষ্টা করছি, তবে খুব সতর্কও রয়েছি,' তিনি বলেন।
এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক শাহীনা গাজী।
মন্তব্য করুন
আমেরিকা মৃত্যুদণ্ড নিয়ে বিতর্কিত এক ইতিহাস গড়ল ।
বিশ্বে প্রথমবারের মতো গ্যাস দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল দেশটি।
আসামি কেনেথ স্মিথ ১৯৯৬ সাল থেকে কারাগারে ছিলেন। বেশ কয়েকটি পদ্ধতিতে তাকে মৃত্যুদণ্ডের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও তা সম্ভব হয়নি। অবশেষে গ্যাস দিয়েই নিভিয়ে দেওয়া হলো তার জীবনপ্রদীপ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিতর্কিত উপায়ে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে মার্কিন প্রশাসন।
এক ধর্মযাজকের স্ত্রীকে হত্যা করেছিলেন আসামি কেনেথ। আদালতে অপরাধ প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। ৫৮ বছর বয়সী স্মিথকে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ২৫ মিনিটে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এলিজাবেথ সেনেটকে খুন করার জন্য কেনেথ স্মিথ এবং তার এক সহযোগীকে ভাড়া করেছিলেন সেনেটের স্বামী চার্লস। আইনজীবীরা বলেন, স্ত্রীর বিমার টাকা পেতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। পরে অবশ্য চার্লসও আত্মহত্যা করেন। সেনেট হত্যার ঘটনায় স্মিথের সহযোগীকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, মৃত্যুদণ্ড কীভাবে সেটি কার্যকর করা হবে তা নিয়ে ছিল জটিলতা। ২০২২ সালে আলাবামা প্রাণঘাতী ইনজেকশন দিয়ে স্মিথের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছিল। পরের বছরের মে মাসে দ্বিতীয় দফায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রচেষ্টা চালানো হয়। তখন আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন স্মিথ। এরপর অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া পর্যালোচনার ঘোষণা দেন। এর কয়েক মাস পর নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগ করে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেয় ।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগের ফলে স্মিথ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জ্ঞান হারান এবং কয়েক মিনিটের মধ্যে তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার নিন্দা জানিয়েছেন। তারা সতর্ক করেন, এই পদ্ধতিতে দেখে মনে হবে মৃত্যু হয়েছে কিন্তু আসলে ব্যক্তি সজাগ থাকেন।
এ নিয়ে চিকিৎসকরা জানান, অক্সিজেন ছাড়া নাইট্রোজেন গ্যাস নিঃশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে কোষগুলো ভেঙে যায় এবং মানুষকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। এ প্রক্রিয়ার জন্য বিশেষভাবে তৈরি একটি মাস্ক পরানো হয় আসামিকে। এ মাস্কের ভেতর দিয়ে অক্সিজেন চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। মাস্কটি নাইট্রোজেনভর্তি একটি সিলিন্ডারের সঙ্গে যুক্ত থাকে।
এদিকে মৃত্যুর শেষ ৪৮ ঘণ্টা স্মিথ কীভাবে কাটিয়েছেন, তার বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে। স্মিথকে তার পরিবারের সদস্য, দুই বন্ধু, তার একজন উপদেষ্টা ও আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়। তিনি দুটি বিস্কুট, ডিম, আঙুরের জেলি, আপেল সস এবং কমলার জুস দিয়ে নাশতা করেন। তার শেষ খাবার ছিল স্টেক এবং ডিম।
মন্তব্য করুন
ইন্দোনেশিয়ার মান্যবর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী Armanatha Christiawan Nasir আজ সেনা সদরে সেনাপ্রধানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি তাঁরা বর্তমান প্রেক্ষাপটে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার এবং সামরিক ও নিরাপত্তা খাতে পারস্পরিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উপমন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন।
মন্তব্য করুন
ভারতে নির্মাণাধীন একটি টানেল ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের ভেতরে আটকা পড়েছে অন্তত ৪০জন শ্রমিক। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকার্য। তবে এখনো কোনো নিহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সারা বছর দর্শনার্থীরা যাতে চারধাম যেতে পারেন তাই ‘অল ওয়েদার’ অর্থাৎ সব আবহাওয়ার জন্য সুড়ঙ্গ তৈরি হচ্ছে। এতে উত্তরকাশী থেকে যমুনোত্রী ধাম যাওয়ার পথ অন্তত ২৬ কিলোমিটার কমবে।
রোববার (১২ নভেম্বর)সকালের দিকে হঠাৎ সেই সুড়ঙ্গর একাংশ ধসে যায়। তবে দুর্ঘটনার কারণ কী, তা নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা রয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলায় ব্রহ্মকাল-যমুনোত্রী হাইওয়ের ধারে সাড়ে ৪ কিলোমিটার লম্বা সুড়ঙ্গ তৈরি হচ্ছিল। সেই সুড়ঙ্গের দেড়শো মিটার অংশ ভেঙে পড়ে। সেখানে অন্তত ৪০ জন শ্রমিক ছিলেন। তারা সবাই ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন বলে খবর।
খবর পেয়েই উত্তরকাশীর পুলিশ সুপার অর্পণ যদুবংশী ঘটনাস্থলে পৌঁছান। শুরু হয় উদ্ধার কাজ। আটকে পরা শ্রমিকদের কাছে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। দ্রুত তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
সূত্র: এনডিটিভি
মন্তব্য করুন
খ্যাতনামা গজল গায়ক পঙ্কজ উদাস মারা গেছেন।
পঙ্কজ উদাসের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার মেয়ে নায়াব উদাস। তিনি বলেছেন, গভীর শোকের সঙ্গে জানাচ্ছি, পদ্মশ্রী শিল্পী পঙ্কজ উদাস ২৬ ফেব্রুয়ারি মারা গেছেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি।
পঙ্কজ উদাস ভারতের গুজরাটে জন্মগ্রহণ করেন। মূলত গজল গায়ক হিসেবে তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। ১৯৮০ সালে ‘আহত’ শিরোনামের গজল অ্যালবাম প্রকাশের মাধ্যমে তিনি তার সংগীত দুনিয়ায় পা রাখেন।
পঙ্কজ উদাসের জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে মারা যান তিনি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। গত কয়েকদিন ধরে তার শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না।
তার সঙ্গীত জীবনের বিস্তার চার দশকেরও বেশি সময়। ৮০'র দশককে মুগ্ধ করে রেখেছিলেন পঙ্কজ।
চান্দি জ্যায়সা রঙ্গ, না কাজরে কি ধার, দিওয়ারো সে মিল কর রোনা, আহিস্তা,থোড়ি থোড়ি প্যার করো, নিকলো না বেনাকাব— পঙ্কজ উদাসের গাওয়া অসাধারণ সব গজল আজও শ্রোতাদের মনের রসদ। নশা, পয়মানা, হসরত, হামসফর-এর মতো বেশ কয়েকটি বিখ্যাত অ্যালবামও রয়েছে তার ঝুলিতে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল:
কুমিল্লার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি (যুদ্ধসমাধি)
থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
তাদের দেহাবশেষ জাপানে নেওয়া হবে। এরই মধ্যে জাপানের পক্ষ থেকে ৭ সদস্যদের একটি ফরেনসিক
বিশেষজ্ঞ দল ওই ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছেন। যেটি
শেষ হবে আগামী ২৪ নভেম্বর।
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম
পাশে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান
হিসেবে পরিচিত। সেখানে রোববার বিকেল পর্যন্ত খনন করা হয়েছে ১০টি সমাধি। জাপানের বিশেষজ্ঞ
ফরেনসিক টিমকে সহায়তা করছেন বাংলাদেশ সরকার। পুলিশি নিরাপত্তায় খনন কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে
নিহত বিশ্বের ১৩টি দেশের ৭৩৭জন বীর সৈনিককে ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে সমাহিত করা হয়েছিল।
এর মধ্যে ১৯৬২ সালে একজন সৈনিকের দেহাবশেষসহ সমাধির মাটি তার স্বজনরা যুক্তরাষ্ট্রে
নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে ২৪ জন জাপানি সৈনিকের মরদেহ রয়েছে। গত বুধবার থেকে খনন কাজ
শুরু হয়।
সমাধিস্থলের মাটি খুঁড়তেই মিলছে দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধে নিহত জাপানি সৈনিকদের মাথার খুলিসহ শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড়। সেগুলো অত্যন্ত
যত্নসহকারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন এই যুদ্ধ সমাধি ক্ষেত্র
তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে আসছে।
সমাধিস্থলের খননকাজে জাপানের প্রতিনিধিদের
সহায়তা করছেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.)
কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কবর (সমাধি) শনাক্তকরণ, দেহাবশেষ
সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছেন। বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ সরিয়ে আনার কাজটিও করেছেন
তিনি। জাপানের প্রতিনিধিদলের পক্ষে পুরো কর্মযজ্ঞের বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।
কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বলেন, ‘জাপান
সরকার ২০১৩ সালে আমাকে তাদের দূতাবাসে ডেকেছিল এই ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে
নেওয়ার বিষয়ে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে ওই সময়ে সেটি সম্ভব হয়নি। গত বছর থেকে তারা বিষয়টি
নিয়ে আবারও যোগাযোগ করে। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাপান সরকার আমাদের সরকারের কাছে চিঠি
লেখে এবং কমনওয়েলথের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এই কাজ শুরু করেছে। এখানে জাপানের পক্ষ থেকে
সাতজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন, যারা এ কাজে অত্যন্ত দক্ষ। তাদের ছয়জন জাপানি ও
একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। এই সমাধিগুলো ৮১ বছরের পুরোনো। এরই মধ্যে খনন করে আমরা
১০ জনের দেহাবশেষ সমাধি থেকে উত্তোলন করতে পেরেছি।’
দেহাবশেষে কী কী পাওয়া যাচ্ছে, জানতে
চাইলে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘৮১ বছর পর খুব বেশি কিছু পাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা
প্রতিটি সমাধির দুই ফুটের মতো খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে খুঁড়ছি। বাকিটা ম্যানুয়ালি
অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে খনন করা হচ্ছে। কোনোটিতে তিন ফুট, আবার কোনোটিতে ছয় ফুট খননের
পর দেহাবশেষ পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত যেগুলো খনন করা হয়েছে, সেসব সমাধিতে মাথার খুলি,
শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড় পাওয়া যাচ্ছে। তবে যা-ই পাচ্ছি, সবকিছুই জাপানের বিশেষজ্ঞ
দল যত্নসহকারে সংরক্ষণ করছে।’
তিনি বলেন, আমরা এক তরুণ সৈনিকের দেহাবশেষ
তুলতে গিয়ে মাথার খুলির মধ্যে বুলেটের চিহ্ন পেয়েছি। রেকর্ড অনুযায়ী ওই সৈনিকের বয়স
২৮ বছর ছিল। আমার তখন বুকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করেছে। এত তরুণ বয়সে পৃথিবী থেকে চলে গেছে
সে। এখানে জাপানের সৈনিকদের ২৪ সমাধির মধ্যে ২০টির নাম-পরিচয় আছে। বাকি চারটির পরিচয়
শনাক্ত করা এখনো সম্ভব হয়নি। নিশ্চয়ই তারা (জাপানের প্রতিনিধিদল) দেহাবশেষ নিয়ে গেলে
ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হবে।’
কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশনের পক্ষে
দায়িত্ব পালন করা কান্ট্রি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আবদুর রহিম সবুজ বলেন, গত বুধবার সকাল
থেকে জাপানের প্রতিনিধি দল কার্যক্রম শুরু করে। এখানে সমাহিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের
সময় নিহত বিশ্বের ১৩টি দেশের।
মন্তব্য করুন
স্বামী
ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন তার স্ত্রীকে। হত্যার পর স্ত্রীর মরদেহ টুকরা টুকরা করেছেন।
এরপর তা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছেন। সেখানেই ক্ষান্ত নয়, এরপর স্ত্রী মারা গেলে কি কি সুবিধা
পাওয়া যাবে তাও গুগলে সার্চ করেছেন তিনি।
শনিবার
(৬ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ
ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। পাষণ্ড ওই স্বামী তার স্ত্রীকে হত্যার পর মরদেহ ২০০ এর বেশি
টুকরা টুকরা করেছেন। এরপর সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তা রান্নাঘরে সংরক্ষণ করেন তিনি। পরে
তা ফেলে দেন নদীতে। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন তারই এক বন্ধু।
এনডিটিভি
জানিয়েছে, এ ঘটনাটি ঘটিয়েছেন নিকোলাস মেটসন (২৮) নামের এক ব্যক্তি। প্রথমে তিনি তার
স্ত্রী হলি ব্রামলিকে হত্যার কথা অস্বীকার করেন। এক সপ্তাহ পর অবশ্য নিজের জঘন্য কাজের
স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এমনকি পুলিশ তদন্তে তার বাসায় গেলে তাদের সঙ্গেও মজা করেন তিনি।
স্ত্রী খাটের নিচে লুকিয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশের সঙ্গে রসিকতা করেন নিকোলাস।
হত্যার
পর মরদেহের বিভিন্ন অংশ লুকাতে বন্ধুর সহযোগিতা নিয়েছেন তিনি। এ কাজে সহযোগিতার জন্য
তাকে ৫০ পাউন্ডও দিয়েছেন। সেই বন্ধু একটি বার্তায় তাকে জানান যে, মরদেহ অপসারণের জন্য
মাত্র ৫০ পাউন্ড পেয়েছি।
সংবাদমাধ্যম
জানিয়েছে, ভিতাম নদীর পাশ দিয়ে হাঁটার সময় এক ব্যক্তি মরদেহ রাখা প্লাস্টিকের ব্যাগগুলো
দেখতে পান। সেখানে একটি ব্যাগে হাত বেরিয়ে ছিল। পরে ডুবুরিরা শরীরে ২২৪টি টুকরা উদ্ধার
করেন। এ ছাড়া এখনও কিছু অংশ নিখোঁজ রয়েছে।
মামলার
তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে জানান, মরদেহটি এমনভাবে টুকরা টুকরা করা হয়েছে যে মুত্যুর কারণ
খুঁজে পাওয়া অসম্ভব ছিল।
নিহত
নারীর মা আদালতে জানান, তার মেয়ের বিয়ে হয়েছে মাত্র ১৬ মাস। সে আমার মেয়েকে আমার কাছে
অনেকদিন আসতে দিত না। তাদের মধ্যে বিচ্ছেদের অবস্থায় ছিল। এমন সময়ে তাকে হত্যা করা
হয়েছে।
তিনি
তার মেয়ের জামাইকে ‘মনস্টার’ ‘দানব’ বলে আখ্যা দেন।
এনডিটিভি
জানিয়েছে, স্ত্রীকে হত্যার পর তিনি গুগলে ‘আমার স্ত্রী মারা গেলে আমি কী সুবিধা পাব’
এবং ‘মৃত্যুর পর কেউ কি আমাকে তাড়িত করতে পারে?’ এ জাতীয় প্রশ্ন খোঁজ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশকে বিদেশে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার এবং বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ঢাকার তেজগাঁও কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে লাফেভ বিদায়ী সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস দেন।
হেলেন লাফেভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে পরামর্শ ও অন্যান্য সহায়তা দিয়ে অর্থ উদ্ধার এবং তা বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করছে।
‘চুরি করা টাকা ফেরত দেওয়া কঠিন, কিন্তু এটা অসম্ভব নয়,’ বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এটি করব।’
এসময় একজন শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে লাফেভের দায়িত্ব পালন ও সেবার প্রশংসা করেন প্রধান উপদেষ্টা। একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তার আন্তরিক প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন তিনি।
জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থী-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ করে হেলেন লাফেভ বলেন, ‘আমি ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে খুবই গর্বিত।’
এসময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিকেনের একটি চিঠি অধ্যাপক ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছেন মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ ক্যাম্প থেকে উত্তর আমেরিকার দেশে পুনর্বাসন ত্বরান্বিত করছে।
আলোচনায় বিচারিক সংস্কার, দক্ষিণ এশীয় বিদ্যুৎ সংযোগ, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, স্বৈরচারী সরকার আমলে বাংলাদেশ থেকে চুরি হওয়া কয়েক বিলিয়ন ডলার দেশে ফেরানোর প্রচেষ্টা, বেসামরিক আমলাতন্ত্রের সংস্কার এবং শ্রম সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে।
তাঁর সরকার ব্যাপক শ্রম সংস্কার করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার প্রয়াসে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে জাতিসংঘ পাশে থাকবে বলে
মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) এক এক্স বার্তায় এমন মন্তব্য করে তিনি
বলেন, আমি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বাংলাদেশের
জনগণকে তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সংস্কার
ও রূপান্তরের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একটি টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার
লক্ষ্যে জাতিসংঘ সর্বদা আপনাদের পাশে থাকবে।
এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব
ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠক করেন। শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ৯টায়
রাজধানীর ইন্টার কন্টিনেন্টালে এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব একই উড়োজাহাজে কক্সবাজার ভ্রমণ করেন
।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে কক্সবাজার পৌঁছেছেন
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
কক্সবাজার বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
কক্সবাজারে নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর
ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন ড. ইউনূস। পরিদর্শন শেষে
উখিয়ায় ড. ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার
সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন। জাতিসংঘ মহাসচিব সেখানে রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার,
রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।
পরিদর্শন ও ইফতার শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একসাথে সন্ধ্যায় ঢাকায়
ফিরবেন।
মন্তব্য করুন