আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৩ হাজার
টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের
উপসচিব সুলতানা আক্তার স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
আদেশে বলা হয়, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে
বিভিন্ন রপ্তানিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে তিন
হাজার মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হলো।
সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর
দুপুর ১২টার মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবর (উপসচিব, রপ্তানি-২ শাখা, কক্ষ নম্বর ১২৭,
ভবন-৩, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা) আবেদন করতে বলা হয়েছে। উল্লিখিত
তারিখের পর আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। আর যারা আগেই আবেদন করেছেন তাদের নতুন করে আবেদন
করার প্রয়োজন নেই।
সম্প্রতি ভারতের ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন
সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে এক চিঠিতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিতে অনুরোধ করে।
এর আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
থেকে এ ব্যাপারে সুপারিশ আসতে হয়। তবে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবার ভারতে ইলিশ রপ্তানি
হবে না এমনটিই ইঙ্গিত দিয়েছিল।
গত ১১ আগস্ট মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
ফরিদা আখতার জানিয়েছিলেন, দেশবাসী ইলিশ পাবে না, আর বিদেশে রপ্তানি হবে, এটা হতে পারে
না। আগে দেশকে গুরুত্ব দিতে হবে। এরপর রপ্তানি করা হবে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার
দায়িত্ব আমাদের। তা নিয়ে ভারতের কিছু বলার দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
বিবিসি হিন্দিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি
এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) প্রকাশিত
ওই সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানকার সংখ্যালঘুরা আমাদের নাগরিক। তাদের
নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এ বিষয়ে ভারতের কিছু বলার দরকার নেই। যেটা নিয়ে ভারতের
বলা প্রয়োজন সেটা হলো, গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা।
এই প্রশ্ন করা যেতে পারে, বাংলাদেশের
বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভারত কী ধরনের সাহায্য করতে পারে? এ বিষয়ে কথা বলা প্রয়োজন।
আরও বলতে চাই, ভারতের গণমাধ্যম আমাদের সরকারকে নিয়ে ভুল সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। ভারতের
উচিত এ বিষয়ে একটা সীমা টানা। আমরা চাই, তথ্যের ভিত্তিতে আলোচনা হোক এবং সম্পর্ক উন্নয়নের
প্রশ্নেও আলোচনা হোক।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আওয়ামী
লীগ জুলাই-আগস্টে যে গণহত্যা ঘটিয়েছে, সেটাকে ভারত কীভাবে দেখে, তা ভারত এখনো স্পষ্ট
করেনি। কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে। কিন্তু ভারত এ বিষয়ে
কোন কথা বলেনি। উপরন্তু, যার (শেখ হাসিনা) ওপরে এ ঘটনার দায় বর্তায়, ভারত তাকে আশ্রয়
দিয়েছে। যে ব্যক্তি তার স্বজনকে হারিয়েছে, ভারত যদি তার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়, তাহলে
বাংলাদেশের জনগণ সেটিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করবে। আমি চাই, ভারত আমাদের সহায়তা করুক,
যাতে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এখানে যা কিছু
হয়েছে তা আমাদের নজরে আছে। মানুষের যে কষ্ট হয়েছে, সে সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। এটাও
মনে রাখতে হবে, যদি সময়মতো (গণঅভ্যুত্থানের পরপর) ব্যবস্থা না নেওয়া হতো, তাহলে পরিস্থিতি
আরও খারাপ হতো। দুর্গাপূজার কথাই ধরেন। বলা হচ্ছিল, আরও সহিংসতা হবে। আমরা আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনী পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করেছি। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপিত হয়েছে।
আমাদের সরকার সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কথা বলেছে, আশ্বস্ত করেছে। তারাও এতে আশ্বস্ত হয়েছেন।
আমি তো বলব, অন্য কোনো সরকার সংখ্যালঘুদের সঙ্গে এত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেনি, যা আমরা
গত তিন মাসে করেছি। আগের সরকারগুলো এ বিষয়ে শুধু রাজনৈতিক ফায়দা নিয়েছে। তাদের ওপর
থেকে সংখ্যালঘুদের আস্থা কমে গিয়েছিল। আমাদের এসব ঠিক করতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি,
তাদের কিছু বিষয় আছে, যা এখনই সমাধান হওয়ার নয়। এজন্য আমাদের সময় দিতে হবে। আওয়ামী
লীগ সরকারের বিদায়ের পর কিছু উগ্র ও কট্টরপন্থি সংগঠনের তৎপরতা বাড়তে পারে। এ কারণে
শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতের নিরাপত্তারও সমস্যা হতে পারে—এ প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা
বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো কোনো সহিংসতা বা উগ্রবাদী সংগঠনকে সমর্থন করে না। বাংলাদেশের
মানুষ গণতান্ত্রিক সরকার চায়। আপনি যা বলছেন সেটা আওয়ামী লীগের প্রচার করা অসত্য বয়ান।
তারা বলত, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর তৎপরতা বেড়ে যাবে। এসব
বলে বলে তারা এত বছর বাংলাদেশ শাসন করেছে। ভারতও এই বয়ান সমর্থন করে। প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশে
আওয়ামী লীগ সরকারে থাক বা না থাক, এটা দিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে কেন প্রভাব পড়বে?
এর মানে হলো, ভারত এ দেশের মানুষের সঙ্গে নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছিল।
বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে এ প্রশ্ন উঠত না। যেমন- আমরা দেখি না ভারতে
কে ক্ষমতায়, বিজেপি না কংগ্রেস। সে রকমই এখানেও এটাই হওয়া উচিত, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়
আছে না নেই, সে প্রশ্ন থাকা উচিত নয়। নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আমি শুধু এটাই বলব, বিষয়গুলো
আওয়ামী লীগের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে না দেখাই উচিত। আমরা দুই দেশ একে অপরকে সঙ্গ দিলে উভয়ের
কল্যাণকর কাজ করা সম্ভব। আমরা কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করিনি। কোনো প্রকল্পও
বন্ধ করিনি। সবকিছু আগের মতোই চলছে।
মন্তব্য করুন
এক অন্যরকম আবেগের শব্দ মা। এর সাথে জড়িয়ে থাকে একটি মানুষের হৃদস্পন্দন। মায়ের মতো দুনিয়াতে কেউ হয় না।
এবার সেই কথাকেই যেন বাস্তবে প্রমাণ করলেন এক ছেলে। করলেন ইক অকল্পনীয় কাজ ।
নিজের গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন। শুধু তাই নয়, নিজের হাতে সে জুতো পরিয়েও দিলেন এই ছেলে।
এই যুবকের নাম রৌনক গুর্জর। ভারতের মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর বাসিন্দা সে। রৌনক গুর্জর জানান, তিনি রামায়ণের ভক্ত। রোজ একবার করে রামায়ণ পাঠ করেন। রাম তার আদর্শ। সেই গ্রন্থ পাঠ করেই মায়ের জন্য কিছু করার ইচ্ছা জাগে তার মনে। এজন্য নিজের গায়ের চামড়া দিয়ে মায়ের জুতা তৈরির পরিকল্পনা করেন।
জানা গেছে, অতীতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত ছিলেন রৌনক। একবার পায়ে পুলিশের গুলিও খান তিনি। পরে সেই পায়ের অংশ থেকে অস্ত্রপচারের মাধ্ম্যমে কিছুটা চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানান এই ছেলে। শুধু তাই নয়, নিজের হাতে মায়ের পায়ে পরিয়ে দেন সেই জুতা। আর এতে আবেগে মা কেঁদে ফেলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রামায়ণ অনুযায়ী, ভগবান রাম একবার বলেছিলেন, নিজের চামড়া দিয়ে তৈরি জুতা মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য যথেষ্ট নয়। সেখান থেকেই এই ভাবনাটি মাথায় আসে বলে জানায় ওই যুবক।
অন্যদিকে, জুতা পেয়ে উচ্ছ্বসিত বৃদ্ধা মা বলেন,এমন ছেলে যেন ঈশ্বর সব মাকেই দেন।
মন্তব্য করুন
চীনের
দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলের জিয়াংশি প্রদেশে জিনয়ু শহরে দোকানে অগ্নিকাণ্ডে
৩৯ জন নিহত হয়েছেন। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন আরও ৯ জন।ওই প্রদেশটির কর্তৃপক্ষ
এই খবর নিশ্চিত করেছে।
বুধবার(২৪
জানুয়ারি) বিকেলে জিনয়ু শহরে একটি দোকানের বেজমেন্টে আগুন লেগে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে
এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। তবে অন্য একটি সূত্র বলছে ঘটনাটি স্থানীয় সময় বেলা ৩টার দিকে
একটি রাস্তার দোকান থেকে এই আগুন লাগে। (খবর আল আল জাজিরা)
চীনা
টেলিভিশন সিসিটিভি এ ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। যেখানে ভবনের ভেতর থেকে কালো ধোঁয়া
বেরিয়ে আসতে এবং লোকজনকে জানালা দিয়ে লাফ দিতে দেখা যায়।
দুঃখজনক
দুর্ঘটনা উল্লেখ করে কী কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা তদন্ত করে দেখতে বলেছেন চীনের
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
মন্তব্য করুন
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ
উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজোল্যুশন (প্রস্তাবনা) সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত
হয়েছে। ১১২টি দেশ এই রেজোল্যুশনটিতে কো-স্পন্সর করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
প্রথম মেয়াদে সরকার পরিচালনার সময় ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে
শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি গৃহীত হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশ
‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজোল্যুশনটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে, যা শান্তি
ও অহিংসার সংস্কৃতিকে উন্নীত করার জন্য আটটি বিশেষ ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে, সে অনুযায়ী
কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সবার প্রতি আহ্বান রয়েছে এতে। এছাড়া সাধারণ পরিষদের সভাপতির
নেতৃত্বে ২০১২ সাল থেকে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটি উচ্চ পর্যায়ের
ফোরামের আয়োজন করে আসছে।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার
(২ মে) জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত
বাংলাদেশের পক্ষে এটি উত্থাপন করেন। শুক্রবার (৩ মে) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন
এ তথ্য জানায়।
স্থায়ী মিশন বলছে, চলতি বছর
আলোচ্য রেজোল্যুশনটি একটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। কেননা এ বছরে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা
এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি ২৫তম বর্ষে পদার্পণ করেছে।
প্রস্তাবনাটি উপস্থাপনের
সময় রাষ্ট্রদূত মুহিত বিভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতির অব্যাহত
প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আজ বিশ্ব ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এবং মানবিক মর্যাদা
অবজ্ঞার মুখোমুখি। এই ক্রমবর্ধমান সংঘাত ও সহিংসতা থেকে উত্তরণে মানবমনে সম্প্রীতি
ও সহমর্মিতার ভাবকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে, সমতা ও সব মানুষের সমমর্যাদার চেতনাকে সমুন্নত
করতে হবে এবং সর্বোপরি যুদ্ধের চেয়ে শান্তিকে অনেক বেশি লাভজনক করে তুলতে হবে।
যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের
নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির
ধারণা প্রবর্তনের বাংলাদেশের উদ্যোগটি আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত। বৈষম্য,
বর্ণবাদী অসহিষ্ণুতা এবং পরাধীনতা আমাদের একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করে।
এ কারণেই আমরা শান্তির প্রসারকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক নীতিতে পরিণত করেছি।
এবারের রেজোল্যুশনে শান্তির
সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচির ২৫তম বার্ষিকী যথাযথভাবে পালন ও উদ্যাপনের
জন্য সাধারণ পরিষদের সভাপতিকে দিনব্যাপী একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম আহ্বান করার জন্য
অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া এ রেজোল্যুশনে সাধারণ পরিষদের সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘের
আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা, নাগরিক সমাজ, বেসরকারি খাত, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
এবং মিডিয়াসহ অন্যান্য অংশীজনদের শিক্ষা ও জনসচেতনতা সম্প্রসারণসহ অন্যান্য আয়োজনের
মাধ্যমে যথাযথভাবে এই বার্ষিকীটি পালনের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
রেজোল্যুশনটির বিবেচনার পূর্বে
শান্তির সংস্কৃতির ওপর সাধারণ পরিষদে একটি সাধারণ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বহুসংখ্যক
সদস্য রাষ্ট্র বক্তব্য দেয়। এ সময় তারা শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি
বাস্তবায়নে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে।
সবশেষে প্রতিনিধি দলগুলো
জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক
নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানায়।
মন্তব্য করুন
আজ
বিশ্ব পুরুষ দিবস।
এদিন
প্রিয় পুরুষ- বাবা, ভাই, বন্ধু, সহকর্মী, স্বামী বা প্রেমিক যে কাউকে চাইলে আপনি শুভেচ্ছা
জানাতে পারেন।উপহারও দিতে পারেন । কারণ, কর্মক্লান্ত জীবনে বিশেষ কোনো দিনে উপহার পেলে
ভালো লাগবে নিশ্চয়ই। আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস একজন পুরুষকে ভালো মানুষ হওয়ার মূল্যবোধ,
চরিত্র এবং দায়িত্বের প্রতি উৎসাহিত করতে পারে।
১৯৯৯ সালে জিরোম টিলাকসিংয়ের নির্ধারিত দিনটিই বিশ্ব পুরুষ দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায়। সে সময় ক্যারিবীয় অঞ্চলে দিবসটি ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল। দিন দিন জনপ্রিয় হয়েছে দিবসটি। আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসে পুরুষের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ও সামাজিক সমস্যা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক প্রচারণা, নারী-পুরুষ সমতার প্রচার, পুরুষদের মধ্যে ইতিবাচক আদর্শ চরিত্রের গুরুত্ব তুলে ধরা, পুরুষ ও বালকদের নিয়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সংস্কার ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা, পুরুষ ও বালকদের অর্জন ও অবদানকে উদযাপন করা হয়।
বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ৪৫ বছরের কম বয়সী পুরুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা
বেশি। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশেই এটি ঘটছে।
পরিসংখ্যান বলছে, পুরুষের তুলনায় নারীরা বিষণ্নতায় বেশি ভোগেন। কিন্তু, পুরুষের আত্মহত্যার
সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই পুরুষের মাঝে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে ও মানসিক সুস্থতার জন্য
পুরুষ দিবস উদযাপন গুরুত্বপূর্ণ।
মন্তব্য করুন
কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য দ্রুত মিশরের সঙ্গে
পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর
আলম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার অফিসকক্ষে
বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমি’র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, কূটনৈতিক
ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তির খসড়া অনুমোদনের জন্য
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মিশরে পাঠানো হয়েছে। মিশরের পক্ষ
থেকে এটি অনুমোদিত হলে চুক্তিটি চূড়ান্তভাবে স্বাক্ষরিত হবে। তাছাড়া সাধারণ পাসপোর্টধারীদের
জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা প্রদানের বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে। রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে মিশরের
পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা
ইস্যু, পুলিশের প্রশিক্ষণ, অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধ, আন্তঃদেশীয় সন্ত্রাস
দমন, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, পারস্পরিক আইনি সহায়তা, সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ে অভিজ্ঞতা
বিনিময়সহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের শুরুতে রাষ্ট্রদূতকে
স্বাগত জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মিশর বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুপ্রতিম দেশ।
দেশটি প্রাচীন সভ্যতা ও ইসলামি ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, আন্তঃদেশীয় অপরাধ নেটওয়ার্ক দমনের
বিষয়টি পারস্পরিক নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হতে হবে। নিরাপত্তা ক্ষেত্রে
সহযোগিতা ছাড়াও দুই দেশের মধ্যে অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধ এবং পারস্পরিক আইনি
সহায়তা বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। বাংলাদেশের বর্তমানে সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা
হুমকি সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বড় ধরনের
কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই। তবে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে
একটি অন্যতম প্রতিবন্ধকতা ও নিরাপত্তা উদ্বেগ। কিছু রোহিঙ্গা সীমান্তে নিরাপত্তা সমস্যা
সৃষ্টি করছে।
উপদেষ্টা এ সময় মিশরকে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে আর্থিক সহায়তা ও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে নৈতিক সহায়তার আহ্বান জানান।
সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা বিষয়ে মিশর বাংলাদেশকে সহযোগিতা
করতে পারে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মিশরের সঙ্গে
ইসরায়েলের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে, যা বিশ্বের অন্যতম বিরোধপূর্ণ সীমান্ত। তথাপি মিশরের
সীমান্তরক্ষী বাহিনী এটি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ব্যবস্থাপনা করে আসছে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে কর্মশালা
ও প্রশিক্ষণ আয়োজনের মাধ্যমে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
এটি করা গেলে বিজিবি মিয়ানমার সীমান্তে আরও দক্ষতা ও নিপুণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে
সক্ষম হবে মর্মে আমি মনে করি।
এ সময় উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, গত ৫০ বছর
ধরে বাংলাদেশ ও মিশরের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্ক পারস্পরিক
শ্রদ্ধা ও আস্থার ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে সেরা পুলিশ প্রশিক্ষণ
একাডেমি মিশরে অবস্থিত। মিশর বাংলাদেশকে পুলিশের প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা
করতে পারে। তাছাড়া মিশর বাংলাদেশের নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল
গনি, জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক-১) মু. জসীম উদ্দিন খান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
আফ্রিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক বি এম জামাল হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বাংলাদেশে আরো মার্কিন বিনিয়োগকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেছেন, তার সরকার বিদেশি বিনিয়োগ
আকর্ষণ এবং দেশের ব্যবসায় পরিবেশ উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকায় তিনি
একটি মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে বলেন, ‘আপনারা সঠিক সময়ে এদেশে এসেছেন।’
এক্সিলারেট এনার্জির প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা (সিইও) এবং ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্টিভেন কোবোসের
নেতৃত্বে মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণ
করায় প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা করে স্টিভেন কোবোস বলেন, এটি বাংলাদেশে ব্যবসায় আস্থা
বাড়াবে।
তিনি বলেন, ‘আপনার দায়িত্ব গ্রহণের
পর থেকে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর বাংলাদেশে আগ্রহ অনেক বেড়েছে।’
কোবোস আরো জানান, ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস
কাউন্সিলের সদস্যসহ শীর্ষস্থানীয় মার্কিন কোম্পানিগুলো দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশে ব্যবসার
সম্ভাবনা নিয়ে অনেক আগ্রহী।
এক্সিলারেট এনার্জির সিইও কোবোস বলেন,
তার কোম্পানি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে এবং কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে আরো বিনিয়োগের পরিকল্পনা
করছে।
তিনি বলেন, কোম্পানিটি দেশে তরলীকৃত
প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ বৃদ্ধি করতে চায়। বর্তমানে এক্সিলারেট বাংলাদেশের
দুটি অফশোর ফ্লোটিং স্টোরেজ এবং রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটে (এফএসআরইউ) বিনিয়োগ করেছে, যা
প্রতিদিন ১.১ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। দেশের দৈনিক গ্যাস সরবরাহের প্রায় ৩৪
শতাংশ এখান থেকে আসে।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের
সময় প্রধান উপদেষ্টা ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
সেখানে এ সংগঠনের ৫০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে কিছু শীর্ষস্থানীয় আমেরিকান
বহুজাতিক কোম্পানিও ছিল। ড. ইউনূস উপস্থিত মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের
আমন্ত্রণ জানান।
সাক্ষাৎকালে স্টিভেন কোবোসের সঙ্গে
প্রতিনিধিদলে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ এক্সিলারেট এনার্জির
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছিলেন। পিটার সম্প্রতি এক্সিলারেট এনার্জিতে স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজার
হিসেবে যোগদান করেছেন। এছাড়া প্রতিনিধিদলে কোম্পানিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেরেক ওয়ং
ও র্যামন ওয়াংডি এবং বাংলাদেশের আবাসিক ব্যবস্থাপক হাবিব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ও জ্বালানি সচিব সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
স্ত্রী জন্মদিনে দুবাই নিয়ে যাওয়ার আবদার করেছিলেন । ইচ্ছে ছিল সেখানেই স্বামীর সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদযাপন করবেন। তবে ইতিবাচক সাড়া দেননি স্বামী আর এতে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ওই নারী স্বামীকে ঘুষি দিলে তার মৃত্যু হয়।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনের ওয়ানওয়াদি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নিখিল খান্না পেশায় একজন রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার ছিলেন।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ।
ওয়ানওয়াদি থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, তদন্তে আরো উঠে আসে যে গত ১৮ সেপ্টেম্বর নিখিলের ৩৬ বছর বয়সী স্ত্রী রেনুকার জন্মদিন ছিল। তিনি এই দিনটি দুবাইতে উদযাপন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার স্বামী তাতে সম্মতি দেননি।এ ছাড়া গত ৫ নভেম্বর এই দম্পতির বিবাহবার্ষিকী ছিল। এই উপলক্ষে স্বামীর কাছ থেকে ভালো কিছু উপহারও আশা করেছিলেন। এক আত্মীয়ের জন্মদিন উপলক্ষে রেনুকা দিল্লি যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার স্বামীর কাছ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাননি। আর এসব কারণেই তিনি আপসেট ছিলেন।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, এসব বিষয় নিয়ে শুক্রবার এই দম্পতির মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। ক্ষোভের মধ্যে ওই নারী তার স্বামীর নাকে ঘুষি মারেন। এতে তার প্রচুর রক্ত ঝড়ে। ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এ ঘটনার পরপরই পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে নিখিলকে সসুন জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে ।
মন্তব্য করুন
একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি স্মারক ডাকটিকেট, একটি উদ্বোধনী খাম ও একটি সিলমোহর অবমুক্ত করেছেন ।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্তকালে উপস্থিত ছিলেন তথ্য, ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ড. মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস এম সাহাবুদ্দিন ।
এ ছাড়াও একই সময়ে সপ্তম জাতীয় কমডেকা ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকেট, একটি উদ্বোধনী খাম ও একটি সিলমোহর ও অবমুক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
এছাড়া
এ সময় কমডেকা উপদেষ্টা, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক
বিভাগের সিনিয়র সচিব মুহাম্মদ এহছানুল হক, কমডেকা চিফ মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধসহ
অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে
নিউইয়র্কে যাবেন । এ সফরে তার সঙ্গে থাকবেন ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
আগামী ২২-২৭ সেপ্টেম্বর
পর্যন্ত এ সফর করবেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.
তৌহিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, সাত
সদস্যের প্রতিনিধি দলের মধ্যে রয়েছেন- ড. ইউনূসের মেয়ে দিনা আফরোজ ইউনূস, এসডিজি
বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বাংলাদেশের
বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য,
দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম,
প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব শাব্বীর আহমদ, বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা তিথি।
এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মো. তৌহিদ হোসেন জানান, প্রধান উপদেষ্টা
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যাচ্ছেন সেটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ
অধিবেশনে যোগ দিতে সংক্ষিপ্ত সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.
মুহাম্মদ ইউনূস নিউইয়র্কে যাবেন। তবে তিনি খুব সংক্ষিপ্ত সফর করে চলে আসবেন।
ওয়াশিংটনে গেলে হয়ত আরও
কিছু কাজ হতে পারত কিন্তু তিনি অল্প সময়ে খুব তাড়াতাড়ি নিউইয়র্ক থেকে ফিরে আসবেন।
সেখানে কার সঙ্গে বৈঠক হবে সে বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটা তো
গেলে হবেই। কিছু কিছু কথা বার্তা হচ্ছে। কিছু বৈঠক হবে এটুকু বলতে পারি। তবে
স্পেসিফিক বলতে পারি না। সব ক্ষেত্রে সব হেড অব স্টেট যান এমনটা তো নয়। নিউইয়র্কে
যে ফরমেট সেভাবে হবে। ওয়াশিংটনে তো তিনি যাবেন না।
মন্তব্য করুন