চীনের আনহুই প্রদেশে ২০১৪ সালে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন এক ব্যক্তি। তারপর তিনি কোমায় চলে যান। কিন্তু স্ত্রীর বিশ্বাস ছিল, তার জীবনসঙ্গী একদিন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন। আর সেই বিশ্বাস, মনের প্রবল জোর ও নিঃস্বার্থ সেবায় দীর্ঘ ১০ বছর পর কোমা থেকে স্বামীকে ফিরে পেলেন সান হংশিয়া নামের ওই নারী।
এই দম্পতির একটি আবেগঘন ভিডিও চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, জেগে ওঠা স্বামীর পাশে বিছানায় বসে আছেন সান হংশিয়া। গত কয়েক বছর কীভাবে কেটেছে, সেই বর্ণনা স্বামীকে দিচ্ছিলেন ওই নারী। এসব শুনে কোমা থেকে জেগে ওঠা ওই ব্যক্তির চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে।
গণমাধ্যমকে সান বলেন, যদিও আমি অনেক ক্লান্ত। তারপরও একটি পরিবারের সবাই যদি আবার এক হয়, সেটার অনুভূতি অন্য রকম।
হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে স্বামী কোমায় চলে যাওয়ার পর তিনি কী দুরবস্থার মধ্য দিয়ে গেছেন, সেগুলোর স্মৃতিচারণা করেন সান। তিনি বলেন, দুই সন্তানের চিন্তাই তাকে শক্তি জুগিয়েছে, ভেঙে পড়তে দেয়নি। পাশাপাশি তিনি সন্তানদের জন্য সুন্দর একটি উদাহরণও তৈরি করতে চেয়েছিলেন।
সান আরও বলেন, তার কাছে অগ্রাধিকার ছিল স্বামী। অচেতন স্বামীর থাকাটা যেন আরামদায়ক হয়, সে জন্য তিনি সময় ও শক্তি দুটিই ব্যয় করেছেন। দীর্ঘদিন কোমায় থাকার কারণে ওই ব্যক্তির (স্বামী) অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা হয়েছিল। শ্বাসপ্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে তার জন্য ট্র্যাকিওস্টমি প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়েছে। পুরুষাঙ্গে ক্যাথেটার ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। তারপরও সান লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হননি।
সানের ৮৪ বছর বয়সী শ্বশুর বউমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, সে আমার বউমা, কিন্তু আমার মেয়ের চেয়েও বেশি। ওর সঙ্গে কারও তুলনা হয় না।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
মন্তব্য করুন
স্মরণকালের তীব্র ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যদিয়ে এবারের শীতকাল অতিবাহিত করছে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ। কানাডার মধ্যপশ্চিমাঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে আসা হীমশীতল ঠান্ডা বাতাস অব্যাহত থাকবে এ সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত।
গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া অসহনীয় এই ঠান্ডা ও শীতকালীন ঝড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। খবর সিবিএস নিউজ।
টেনেসি রাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ জানিয়েছে তাদের রাজ্যে আবহাওয়া জনিত কারণে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে ওরেগন রাজ্যের কর্মকর্তারা ১৬ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও
ইলিনয়, পেনসিলভানিয়া, মিসিসিপি, ওয়াশিংটন, কেনটাকি, উইসকনসিন, নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি এবং আরও অনেক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
আবহাওয়াবিদরা নিউইয়র্ক সিটিতে যে পরিমাণ তুষারপাতের ধারণা করেছিলেন, সেখানে শুক্রবার তার চেয়েও বেশি তুষারপাত হয়েছে। আগামী সপ্তাহের আগে এ পরিস্থিতি কাটার কোনো সম্ভাবনা নেই।
দেশটির পশ্চিম উপকূলে মারাত্মক বরফ ঝড় এই অঞ্চলে আঘাত করার পর থেকে ওরেগনে জরুরি অবস্থার জারি রয়েছে এবং প্রায় ৪৫ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়াও পেনসিলভেনিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া, নিউ মেক্সিকো এবং ইন্ডিয়ানাতে অন্যান্য বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে।
তীব্র ঠান্ডার কারণে মেম্ফিসের পানির অনেক পাইপ ভেঙে গেছে। শুক্রবার লাইট, গ্যাস ও পানি কর্তৃপক্ষ তাদের ৪ লাখ গ্রাহকের সবাইকে পানি ফুটিয়ে পান করার আহ্বান জানিয়েছে। এমনকি দাঁত ব্রাশের জন্য ফোটানো পানি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে তারা। যদি পানি ফোটানো সম্ভব না হয় তাহলে বোতলজাত পানি ব্যবহার করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেছেন, তার সরকার
দেশে মানবাধিকার এবং
বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে
প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের একটি
হোটেলে অর্ধ ডজনেরও
বেশি বিশ্বের শীর্ষ
মানবাধিকার সংস্থার সিনিয়র
কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে
এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার
প্রেস উইং জানায়,
এ সাক্ষাতে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বিপ্লব
এবং গত ১৫ বছরের বেশি
সময় ধরে শেখ
হাসিনা সরকারের শাসন
আমলে চালানো নৃশংসতা
এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের
বিচার ও জবাবদিহিতা নিয়ে
আলোচনা হয়।
এছাড়া তারা
নিরাপত্তা সেক্টর সংস্কার,
সাইবার নিরাপত্তা আইন
বাতিল এবং অধিকতর
তদন্ত, একনায়কতন্ত্রের সময়
বলপূর্বক গুমের শিকার
ব্যক্তিদের রাখা ডিটেনশন
কেন্দ্রগুলোতে অবাধ প্রবেশাধিকার এবং
জবাবদিহিতা নিশ্চিতের আহ্বান
জানান।
বৈঠকে ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব
দেন রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান
রাইটসের প্রেসিডেন্ট কেরি
কেনেডি। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল
অ্যাগনেস ক্যালামার্ডও এ বৈঠকে যোগ
দেন।
অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন,
অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত
একটি শক্তিশালী বার্তা
পাঠানো যে একটি
নতুন বাংলাদেশ।
প্রধান উপদেষ্টা
বলেন, তার সরকার
পুলিশসহ প্রধান প্রধান
প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারে কয়েকটি
কমিশন গঠন করেছে।
ড. ইউনূস
বলেন, তার সরকার
যেকোনো সমালোচনাকে স্বাগত
জানায় এবং অন্তর্বর্তী প্রশাসন
মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা সমুন্নত
রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
তিনি বলেন,
এ সরকার কোনো
সমালোচনায় বিরক্ত হয় না। বরং
আমরা সমালোচনার জন্য
আমন্ত্রণ জানাই।
অন্যদের মধ্যে
কথা বলেন, হংকংভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনের
সাবেক অ্যাক্টিভিস্ট মোহাম্মদ
আশরাফুজ্জামান, হিউম্যান রাইটস
ওয়াচ এর সিনিয়র
গবেষক জুলিয়া ব্লেকনার
প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
চলতি
বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি
বলেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে আগামী বছরের জুনের মধ্যে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত
হবে, যা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গৃহীত সংস্কার কার্যক্রম সামনে এগিয়ে নিতে সহায়ক
হবে।
আজ
বুধবার (২৮ মে) জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ
লিগের (জেবিপিএফএল) সভাপতি তারো আসো টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে
গেলে তিনি এ কথা বলেন।
চার
দিনের সরকারি সফরে প্রধান উপদেষ্টা আজ দুপুরে টোকিও পৌঁছান। সফরকালে তিনি নিক্কেই ফোরামে
অংশগ্রহণের পাশাপাশি জাপানি নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
সাবেক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশের দীর্ঘ দিনের বন্ধু তারো আসো, যিনি জেবিপিএফএলের সভাপতির
দায়িত্ব পালন করছেন, অধ্যাপক ইউনূসকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে অগ্রসর
করার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং একটি মসৃণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য সাধারণ নির্বাচন
অনুষ্ঠানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার তিনটি প্রধান বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে—সংস্কার, খুনিদের বিচার ও
সাধারণ নির্বাচন আয়োজন।
তিনি
আরও বলেন, ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনর্গঠন এবং
ঋণ পরিশোধে সরকার উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করেছে।
'পূর্ববর্তী
সরকার আমাদের দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে, যার ফলে তরুণ সমাজের মধ্যে বিদ্রোহ
সৃষ্টি হয়েছে। সেই তরুণরাই আমাকে এই বিশৃঙ্খলা দূর করার আমন্ত্রণ জানিয়েছে,' বলেন তিনি।
তিনি
বলেন, 'গত ১০ মাসে জাপান আমাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে। আমি জাপানকে আন্তরিক
ধন্যবাদ জানাই। এক অর্থে, এটি একটি কৃতজ্ঞতা সফর।'
প্রধান
উপদেষ্টা ড. ইউনূস তারো আসোকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান, যাতে তিনি নিজের চোখে
পরিবর্তনগুলো দেখতে পারেন।
সাক্ষাতের
সময় তারো আসোর সঙ্গে থাকা কয়েকজন জাপানি সংসদ সদস্য বলেন, ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট
(ইপিএ) স্বাক্ষর বাংলাদেশে বৃহত্তর পরিসরে জাপানি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ
পদক্ষেপ হতে পারে।
বাংলাদেশ
আগামী আগস্টের মধ্যে আলোচনার কাজ শেষ করে সেপ্টেম্বর মাসে ইপিএ চুক্তি স্বাক্ষরের প্রত্যাশা
করছে।
এই
চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে জাপান হবে বাংলাদেশে ইপিএ স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশ।
প্রধান
উপদেষ্টা রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিস্থিতি সম্পর্কে জাপানি সংসদ সদস্যদের অবহিত করেন এবং
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এজেন্ডা বাস্তবায়নে তাদের সহায়তা কামনা করেন।
তিনি
বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট অন্যান্য শরণার্থী সংকটের থেকে ভিন্ন, কারণ তারা অন্য
কোনো দেশে যাওয়ার জন্য অনুনয় করছেন না, বরং নিজ দেশে ফেরার দাবি করছেন।
বৈঠকে
উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে
সিদ্দিকী এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।
মন্তব্য করুন
নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ‘সিংহ দরবার’এ দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি লাইনচৌড়ের শহীদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কার্কি জেন-জি আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি করে সহায়তা দেওয়ার নথিতে স্বাক্ষর করেন। একই সঙ্গে নিহতদের ‘শহীদ’ ঘোষণা করেছে সরকার। খবর দ্য হিমালয়ন টাইমস ও এনডিটিভির।
তাছাড়াও আন্দোলনে আহত ১৩৪ জন বিক্ষোভকারী এবং ৫৭ জন আহত পুলিশ সদস্যের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে সরকার। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে আন্দোলনের সময় সংঘটিত ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গণমাধ্যমের খবর অনুসারে আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ জনে। এর মধ্যে ৫৯ জন বিক্ষোভকারী, ১০ জন বন্দি এবং ৩ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।
নেপালে গত সপ্তাহে জেন-জি আন্দোলন প্রাণঘাতী সংঘাতে রূপ নেয়। কিন্তু এর রেশ শুরু হয়েছিল আরও আগে থেকে। হিমালয়ের কোলঘেঁষা দেশটিতে দারিদ্র্য থাকলেও রাজনৈতিক নেতা ও কর্তাব্যক্তিদের সন্তানদের বিদেশে ভোগবিলাস ও রাজকীয় জীবন-যাপন ক্ষোভ তৈরি করছিল।
এসব নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের প্লাটফর্মগুলোতে সমালোচনা ও নিন্দা হতে থাকে। এর সঙ্গে প্রকাশ হতে থাকে সরকারের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভও।
কিন্তু সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কড়াকড়ি আরোপ করে। এই পদক্ষেপ বুমেরাং হয়। উল্টো রাস্তায় নামেন প্রতিবাদকারীরা। তারা ৮ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। বিক্ষোভ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলপ্রয়োগ করলে সেদিনই ১৯ জন নিহত হন। যদি তা এখন পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ জনে।
আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবাসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতার বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালান। শেষ পর্যন্ত ৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ওলি পদত্যাগে বাধ্য হন।
এরপর আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে গত ১২ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি রাম চন্দ্র পৌডেল। সেই রাতেই শপথ নেন কার্কি।
মন্তব্য করুন
ইসলামাবাদের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক এগিয়ে
নিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সমাধানের
আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
ডি-৮ সম্মেলনের সাইডলাইনে আজ বৃহস্পতিবার
(১৯ ডিসেম্বর) মিসরের রাজধানী কায়রোর একটি হোটেলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ
শরিফের সঙ্গে বৈঠকের সময় অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, বিষয়গুলো বারবার আসছে। আসুন আমরা সামনে
এগিয়ে যেতে সেই বিষয়গুলোর ফয়সালা করি।
জবাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ
শরিফ বলেন, ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত বিষয়গুলো মীমাংসা
করেছে, কিন্তু যদি অন্যান্য অমীমাংসিত সমস্যা থাকে, তবে সেগুলো দেখতে পেলে তিনি খুশি
হবেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের
জন্য বিষয়গুলো চিরতরে সুরাহা করে ফেলা ভালো হবে।
তারা ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং ক্রীড়া
ও সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদের বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে সম্মত
হন।
এখানে প্রাপ্ত এক বার্তায় বলা হয়, দুই
নেতা চিনি শিল্প এবং ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনার মতো নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারিত করার
ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার ঘোষিত বৈদেশিক নীতির মূল বৈশিষ্ট্য সার্কের
পুনরুজ্জীবনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে শরিফের সঙ্গে আলোচনা করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস ২০২৬ সালের মধ্যভাগের
আগে ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার’ এবং সাধারণ নির্বাচন করতে তার সরকারের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ
করেন। তিনি বলেন, তিনি সংস্কারের বিষয়ে সংলাপের জন্য একটি ঐকমত্য গঠন কমিশনের নেতৃত্ব
দিচ্ছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ
ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানান। শরিফ বলেন, আমরা
সত্যিই আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার অপেক্ষায় রয়েছি।
তিনি সার্কের পুনরুজ্জীবনে অধ্যাপক
ইউনূসের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং আঞ্চলিক সংস্থার শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের সম্ভাবনা
নিয়ে কাজ করার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
অধ্যাপক ড. ইউনূস শরিফকে বলেন, এটি
একটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
সার্ক বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. ইউনূস বলেন, আমি সার্কের ধারণার একজন বড় অনুরাগী। আমি ইস্যুটি নিয়ে কথা বলেই যাব।
আমি সার্ক নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন চাই। তিনি বলেন, যদিও তা কেবল একটি ফটোসেশনের জন্যেও
হয়, তবুও এটি একটি শক্তিশালী বার্তা বহন করবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের
রাষ্ট্র পরিচালিত চিনিকলগুলোকে আরও ভালোভাবে পরিচালনার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রস্তাব
দেন। তিনি বাংলাদেশে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের কারণে মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন এবং বলেন,
ঢাকা এ রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হতে পারে।
তিনি বলেন, প্রায় এক দশক আগে পাঞ্জাবে
ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই বিশ্বমানের বলে প্রশংসিত হয়েছিল। বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের
সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার জন্য আমরা বাংলাদেশে প্রতিনিধিদল পাঠাতে পারি।
অধ্যাপক ড. ইউনূস, শেহবাজ শরিফকে তার
সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আশা করেন পাকিস্তান ও বাংলাদেশ এই প্রচেষ্টা অব্যাহত
রাখবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে
সিদ্দিকী।
সিদ্দিকী পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দারকে ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং তিনি সেই
প্রস্তাব গ্রহণ করেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসকে তার সুবিধামতো সময়ে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানান।
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠেয় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে মিশর।
বাংলাদেশে মিশরের রাষ্টদূত ওমর মোহি আলদিন আহমেদ ফাহমি বুধবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়।
মিশর আয়োজিত অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশনের এই শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, ইরান, পাকিস্তান ও তুরস্কসহ ৮টি উন্নয়নশীল দেশের শীর্ষ নেতাদের একত্রিত করবে।
১৯৯৭ সালের ১৫ জুন ইস্তাম্বুল ঘোষণার মাধ্যমে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে ডি-৮ গ্রুপটি যাত্রা শুরু করে।
ডি-৮ এর প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল বিশ্ব অর্থনীতিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অবস্থানকে শক্তিশালী করা, বাণিজ্যের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা, আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং সদস্য দেশগুলোর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ইত্যাদি।
রাষ্ট্রদূত ফাহমি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় মিশরের চলমান সমর্থন পূর্ণব্যক্ত করে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে জাতির অব্যাহত অগ্রগতির প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন।
ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য বৈচিত্র্য ও উদ্ভাবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে আলোকপাত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া, সদস্য দেশগুলো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং পারস্পরিক প্রবৃদ্ধি উৎসাহিত করতে একসঙ্গে কাজ করবে।
মন্তব্য করুন
আনুষ্ঠানিকভাবে বিলিয়নেয়ার ক্লাবে প্রবেশ করলেন শাহরুখ খান। আজ বুধবার (১ অক্টোবর) প্রকাশিত হুরুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্ট ২০২৫-এ প্রথমবারের মতো শীর্ষ স্থানে উঠে আসেন বলিউড বাদশাহ।
দীর্ঘ ৩৩ বছর কর্মজীবনের পর অবশেষে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী তারকা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। অভিনয় ক্যারিয়ারে যশ-খ্যাতি যেমন পেয়েছেন, তেমনি আয় করেছেন মোটা অঙ্কের অর্থ। এবার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী অভিনয়শিল্পীদের তালিকায় উঠে এসেছে এই তারকার নাম। ওয়ার্ল্ড অব স্ট্যাটিস্টিক্স প্রকাশ করেছে এই তালিকা।
হুরুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্ট ২০২৫ অনুযায়ী, তার সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২,৪৯০ কোটি রুপিতে। এই অর্জনের মাধ্যমে তিনি ভারতের সবচেয়ে ধনী তারকা হওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্টারদের থেকেও এগিয়ে গেছেন।
৫৯ বছর বয়সী শাহরুখ খান এখন প্রায় ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক। এর ফলে তিনি টেলর সুইফট (১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার (১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), জেরি সাইনফিল্ড (১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং সেলিনা গোমেজ (৭২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) সহ বিশ্বের অন্যান্য বড় তারকাদের পেছনে ফেলে দিয়েছেন।
শাহরুখ খান দীর্ঘদিন ধরে ভারতের সবচেয়ে ধনী অভিনেতা হলেও নতুন তালিকায় তার ব্যবধান দিন দিন আরও বাড়ছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তার ব্যবসায়িক অংশীদার জুহি চাওলা ও তার পরিবার, যাদের সম্পদ ৭,৭৯০ কোটি রুপি। তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছেন হৃত্বিক রোশন, যার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২,১৬০ কোটি রুপি।
শাহরুখের সম্পদ বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে তার রেড চিলিজ প্রোডাকশন হাউস, ভিএফএক্স স্টুডিও, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টিমে অংশীদারিত্ব এবং মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন সম্পত্তি বিনিয়োগ। তবে প্রধান আয়ের উৎস এখনও চলচ্চিত্রেই অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়াও শাহরুখ খান নামি ১৪টি পণ্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এ তালিকায় রয়েছে, আইসিআইসি, লাক্স, হুন্দাই প্রভৃতি।
এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শাহরুখ খানের গড়ে বার্ষিক আয় প্রায় ৩১৩ কোটি রুপি। ফোর্বসের জরিপে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী অভিনয়শিল্পীদের তালিকায় তিনবার জায়গা পেয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
ঢাকায়
এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিষয়ক একটি
প্রতিনিধি দল।
আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) প্রতিনিধি দল ঢাকায় পৌঁছেছে।
মার্কিন
প্রতিনিধিদল আগামী
২২-২৫
নভেম্বর ঢাকা
সফর করবে।
প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্তর্জাতিক শ্রম
বিষয়ক বিশেষ
প্রতিনিধি কেলি
এম ফে
রদ্রিগেজ। এছাড়া
রয়েছেন শ্রম
বিভাগের ডেপুটি
আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি।
ঢাকা
সফরের প্রথম
দিনে বাংলাদেশের শ্রমিক সংগঠন সলিডারিটি সেন্টারের নেতাদের সঙ্গে
বৈঠক করেছেন
তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, সফরকালে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকর্তা, বেসরকারি খাতের পোশাক শ্রমিক এবং
শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে দেখা
করবেন।
প্রতিনিধি দলটি তৈরি পোশাক
খাতে বিনিয়োগ করা আমেরিকান কোম্পানির প্রতিনিধি এবং বৈশ্বিক
শ্রম বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র এবং শ্রমিকদের কীভাবে সর্বোত্তমভাবে সহায়তা
করা যায়
সে বিষয়ে
আলোচনা করবে।
এ সফর অর্থনৈতিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত
শ্রমের মান,
সে সঙ্গে
টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং ব্যাপকভাবে ভাগাভাগি করা সমৃদ্ধির উন্নতি-অগ্রগতির জন্য
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর
দেয়।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত কেভিন এস. র্যান্ডেল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ প্রধান উপদেষ্টা ও ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত কেভিন এস. র্যান্ডেল বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আন্তঃধর্মীয় সংলাপ, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা এবং নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনের বিষয় গুলোতে আলোচনা করেন।
ভ্যাটিকান রাষ্ট্রদূত বলেন, ভ্যাটিকান সিটির আন্তঃধর্মীয় সংলাপ বিভাগের প্রতিনিধিদল এবং বাংলাদেশের ইসলামি স্কলারদের মধ্যে একটি আন্তঃধর্মীয় সংলাপ আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
তিনি বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে বসবাসরত দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
ড. ইউনূস সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্য ভ্যাটিকানের সহায়তা কামনা করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বতী সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি। ইতোমধ্যে এ ক্ষেত্রে বেশ অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
এদিকে তিনি আরো বলেন, অন্তর্বতী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম মাসেই গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুুখ্য সমন্বয়ক (সিনিয়র সচিব) লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক কাজী রাসেল পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
এক অন্যরকম আবেগের শব্দ মা। এর সাথে জড়িয়ে থাকে একটি মানুষের হৃদস্পন্দন। মায়ের মতো দুনিয়াতে কেউ হয় না।
এবার সেই কথাকেই যেন বাস্তবে প্রমাণ করলেন এক ছেলে। করলেন ইক অকল্পনীয় কাজ ।
নিজের গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন। শুধু তাই নয়, নিজের হাতে সে জুতো পরিয়েও দিলেন এই ছেলে।
এই যুবকের নাম রৌনক গুর্জর। ভারতের মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর বাসিন্দা সে। রৌনক গুর্জর জানান, তিনি রামায়ণের ভক্ত। রোজ একবার করে রামায়ণ পাঠ করেন। রাম তার আদর্শ। সেই গ্রন্থ পাঠ করেই মায়ের জন্য কিছু করার ইচ্ছা জাগে তার মনে। এজন্য নিজের গায়ের চামড়া দিয়ে মায়ের জুতা তৈরির পরিকল্পনা করেন।
জানা গেছে, অতীতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত ছিলেন রৌনক। একবার পায়ে পুলিশের গুলিও খান তিনি। পরে সেই পায়ের অংশ থেকে অস্ত্রপচারের মাধ্ম্যমে কিছুটা চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানান এই ছেলে। শুধু তাই নয়, নিজের হাতে মায়ের পায়ে পরিয়ে দেন সেই জুতা। আর এতে আবেগে মা কেঁদে ফেলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রামায়ণ অনুযায়ী, ভগবান রাম একবার বলেছিলেন, নিজের চামড়া দিয়ে তৈরি জুতা মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য যথেষ্ট নয়। সেখান থেকেই এই ভাবনাটি মাথায় আসে বলে জানায় ওই যুবক।
অন্যদিকে, জুতা পেয়ে উচ্ছ্বসিত বৃদ্ধা মা বলেন,এমন ছেলে যেন ঈশ্বর সব মাকেই দেন।
মন্তব্য করুন