

চাঁদাবাজি
করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বহিষ্কৃত চার নেতার সাত দিনের
রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদের একজন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদেরও (বাগছাস)
বহিষ্কৃত নেতা।
আজ
রোববার (২৭ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান
শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের
বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে করা মামলায় তাদের রিমান্ডে পাঠানো হলো।
আসামিরা
হলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না,
সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদাব ও আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ। এদের মধ্যে রিয়াদ বাংলাদেশ
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
গ্রেপ্তারের
পর গতকাল সংগঠন দুটি থেকে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে চাঁদা
নিতে গেলে ওই বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়।
এদিন
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক মোখলেসুর রহমান আসামিদের ১০
দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষের
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন।
জানা
গেছে, সম্প্রতি শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি
করেন পাঁচ যুবক। তিনি পলাতক থাকায় তার স্বামীর কাছে এ চাঁদা দাবি করা হয়।
কয়েক
দিন আগে তারা ওই বাসায় গিয়ে ১০ লাখ টাকা নিয়ে আসেন। গতকাল রাত ৮টার দিকে তারা আবার
ওই বাসায় যান স্বর্ণালঙ্কার আনতে। সে সময় বাড়ির লোকজন পুলিশকে খবর দিলে রিয়াদসহ সমন্বয়ক
পরিচয় দেওয়া পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
এ
ঘটনায় শাম্মি আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর গুলশান থানায় ছয় জনকে এজাহারনামীয় আসামি
করে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন।
মামলার
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত ১৭ জুলাই আসামি আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু
নিজেদের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বাদীর গুলশান- ২ এর বাসায় হুমকি ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা
ও স্বর্ণালঙ্কার চাঁদা দাবি করেন।
অপারগতা
প্রকাশ করলে তাকে আওয়ামী লীগের ও স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর হুমকি
দেন। ভয়ে তাদের ১০ লাখ টাকা দেন তিনি। পরে ১৯ জুলাই পুনরায় বাকি ৪০ লাখ টাকার জন্য
হুমকি দেন।
এরপর
২৬ জুলাই চাঁদা নিতে আসলে গুলশান থানা পুলিশ তাদের আটক করে। তবে এর আগে কাজী গৌরব অপু
পালিয়ে যায়।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.
শফিকুর রহমান বলেছেন, বর্তমান সময়ে আমাদেরকে নিয়ে চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র চলছে তাই আমাদেরকে
আরও সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।
আজ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর
পূর্বাচলের সী শেল রিসোর্টে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সাবেক
ও বর্তমান সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত এক ‘প্রীতি সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান
বলেন, মানুষের সেবা করার জন্য আমাদের মনকে সবসময় প্রস্তুত রাখতে হবে। গোটা জাতিকে আমাদের
ধারণ করতে হবে। নিজেদের সকল কাজের ব্যাপারে পরিশ্রমী ও সৎ থাকতে হবে এবং প্রজ্ঞার পরিচয়
দিতে হবে। আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে ভয় পাওয়া যাবে না।
প্রীতি সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক
ও ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখার সাবেক সভাপতি আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক অনুষ্ঠানে
সভাপতিত্ব করেন। এ সময় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামী
ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করীম, সিলেট মহানগরীর আমির ফখরুল
ইসলাম, গাজীপুর মহানগরীর আমির অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয়
সভাপতি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, ইয়াসিন আরাফাত ও সালাউদ্দিন আইয়ূবী ও সাবেক কেন্দ্রীয়
দাওয়াহ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম শাহিন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,ৃ বাংলাদেশ জামায়াতে
ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, ঢাকা মহানগরী উত্তর
জামায়াতের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার
সম্পাদক ডা.সাদেক বিল্লাহসহ ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরীর সাবেক সভাপতি ও সেক্রেটারি
।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নুরুল
হক নুরের চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়েছেন।
তিনি ফোনে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে
নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করার
আশ্বাস দেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ
কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা নুরুল হক নুরুর দ্রুত
আরোগ্য কামনা করেন এবং তার পরিবারকে সাহস রাখার পরামর্শ দেন।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের
মধ্য দিয়ে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে খুবই
আন্তরিক।
এ
খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের পাশাপাশি টেকসই শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে
বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত রাখার
জন্য তিনি আহ্বান জানান।
প্রধান
উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক
বাণীতে এসব কথা বলেন।
প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৫’
উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড
(বিএবি) এর সকল অংশীজন এবং সহযোগী সংস্থাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। দিবসটির এবারের
প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন : ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের ক্ষমতায়ন (এসএমই)’, বর্তমান
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
ক্ষুদ্র
ও মাঝারি উদ্যোক্তারা বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমাদের মোট দেশজ উৎপাদনের একটি বৃহৎ অংশ এসএমই খাত থেকে আসে।
নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও এ খাতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসএমই খাতের
প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিনিয়ত আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, ক্রেতা ও ভোক্তার
পরিবর্তনশীল চাহিদা এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতার মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এ সকল
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রয়োজন সম্মিলিত বৈশ্বিক উদ্যোগ।
তিনি
আরও বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থা জাতীয় গুণগতমান অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে পণ্য
ও সেবার সরবরাহ ব্যবস্থার সকল পর্যায়ে গুণগতমান নিশ্চিতকরণ, দক্ষ কারিগরি জনবল সৃষ্টি,
বাণিজ্যে কারিগরি বাধা অপসারণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করে এ
সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিএবি এ
লক্ষ্যে কাজ করে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ল্যাবরেটরি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সনদ প্রদানকারী
সংস্থা এবং পরিদর্শন সংস্থাসহ মোট ১৫৫টি সরকারি, বেসরকারি এবং বহুজাতিক সংস্থাকে আন্তর্জাতিক
মান অনুসারে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদান করেছে।’
প্রধান
উপদেষ্টা ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা
করছি।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
মুসলিম বিশ্বে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ইসলামি এনজিওদের আরও বেশি সামাজিক ব্যবসায় উদ্যোগে
যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ রোববার (৬ জুলাই) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিভিন্ন মুসলিম দেশের
এনজিওদের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে এ আহ্বান জানান
তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমাদের বিশ্বে আমরা নারীদের স্বাস্থ্যসেবাকে
গুরুত্ব দেই। যদি আপনি গরিব হন, তাহলে আপনার স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে সমস্যা থাকবে। আমরা
স্বাস্থ্যসেবাকে গরিবদের সহায়তার একটি উপায় হিসেবে দেখেছি।
তিনি বলেন, সামাজিক ব্যবসা এই সহায়তা
প্রদানের একটি ভালো উপায়। সারা বিশ্বের তরুণদের সামাজিক ব্যবসায় যুক্ত হয়ে উদ্যোক্তা
হতে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন।
বৈঠকে উপস্থিত এনজিও নেতারা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অধ্যাপক ইউনূস পরিচালিত
সামাজিক ব্যবসার প্রচারণা তাদের নিজ নিজ দেশে একই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণে অনুপ্রাণিত করেছেন।
সাক্ষাৎকালে বিদেশি প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তুরস্ক থেকে ইসলামি বিশ্বের
এনজিও ইউনিয়নের (ইউএনআইডব্লিউ) মহাসচিব আইয়ুপ আকবাল, টার্কিশ আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশনের
(এটিএএ) প্রতিনিধি মুহাম্মদ হুসেইন আক্তা, মালয়েশিয়া থেকে পারসাতুয়ান ওয়াদাহ পেন্সারদাসান
উম্মাহ (ডব্লিউএডিএএইচ) এবং ইউএনআইডব্লিউর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ফাওয়াজ বিন হাসবুল্লাহ,
পাকিস্তান থেকে আলখিদমাত ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও ইউএনআইডব্লিউর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল
মুহাম্মদ আবদুস শাকুর এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে ইউএনআইডব্লিউর অডিটিং বোর্ড সদস্য ড. সালামুন
বাসরি।
এ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও বিআইআইটির সভাপতি অধ্যাপক
মাহবুব আহমেদ, এসএডব্লিউএবির চেয়ারম্যান ও ইউএনআইডব্লিউর হাই অ্যাডভাইজরি বোর্ডের সদস্য
এস এম রাশেদুজ্জামান, ইউএনআইডব্লিউর কাউন্সিল সদস্য ও কৃষিবিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা
পরিচালক ড. আলী আফজাল এবং বিআইআইটির মহাপরিচালক ও আইআইআইটির কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ
ড. এম. আবদুল আজিজ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
(সূত্র- বাসস)
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেন, “দেশ স্বাধীন হওয়ার পর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেমন সম্মান অর্জন করেছিলেন, আজ বেগম খালেদা জিয়া সেই সম্মান অর্জন করেছেন। এমন সম্মান খুব কম নেতার ভাগ্যেই আসে। দল–মত–বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ আজ তাঁর সুস্থতার জন্য দোয়া করছেন, আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছেন। তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মাতা—আমাদের মাতা বেগম খালেদা জিয়া।”
তিনি বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর কান্দিরপাড় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
হাজী ইয়াছিন আরও বলেন,“কৃষক দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। তখন দেশের প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। তিনি ছিলেন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন—যে দেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল, সে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করতে হলে কৃষির উন্নয়ন অপরিহার্য। কৃষকের সমস্যাগুলো সরাসরি জানার এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি কৃষকদের প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে কৃষক দল গঠন করেন।”
তিনি আরও বলেন,“দেশনায়ক তারেক রহমান তাঁর রাষ্ট্রগঠনের ৩১ দফায় কৃষকের উন্নয়ন কীভাবে হবে তা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান হিসেবে তিনি উপলব্ধি করেছেন—এ দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির সঙ্গে যুক্ত। তাই দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে হলে কৃষিকে লাভজনক করতে হবে, কৃষককে স্বয়ংসম্পন্ন করতে হবে।”
হাজী ইয়াছিন আরও বলেন, “দেশকে টিকিয়ে রাখতে হলে কৃষিকে স্বয়ংসম্পন্ন করতে হবে। কৃষকের প্রকৃত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। কৃষি উন্নত হলে অর্থনীতি শক্তিশালী হবে, দেশ এগিয়ে যাবে। অর্থনীতি শক্তিশালী হলেই মানুষ আগামী দিনে সুন্দর ও শান্তিতে ঘুমাতে পারবে।”
কুমিল্লা মহানগর কৃষক দলের আহবায়ক কে, এম শাহীনুর হোসাইন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এস এ বারী সেলিম।
মহানগর কৃষক দলের সদস্য সচিব মো: ইকরাম হোসেন তাজ পরিচালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক শহীদুল্লাহ রতন, আতাউর রহমান ছুটি, মাহাবুবর রহমান দুলাল, মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য মুজিবুর রহমান কামাল, কুমিল্লা মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রোমান হাসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মেরাজ, কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আমিরুল পাসা সিদ্দিকী রাকিব, মহানগর বিএনপি নেতা মনির হোসেন পারভেজ, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ওমর ফারুক, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন, কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ রানা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কাজী জোবায়ের আলম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক ধীমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন রবিন, মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেনসহ অন্যরা।
এসময় কুমিল্লা মহানগর কৃষকদলের বিভিন্ন ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করা হয়।
মন্তব্য করুন


সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত রয়েছে এমন ব্যক্তি বা সত্তার এবং
তাদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫
এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।
আজ রোববার (১১ মে) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান
উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে
এই খসড়া অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৈঠকের সারসংক্ষেপে বলা হয়, কতিপয় সন্ত্রাসী কার্য প্রতিরোধ
এবং উহাদের কার্যকর শাস্তির বিধানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করার
নিমিত্ত সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়।
এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, কোন ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী
কার্যের সহিত জড়িত রয়েছে মর্মে যুক্তিসঙ্গত কারণের ভিত্তিতে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন
দ্বারা, ঐ ব্যক্তিকে তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারে বা সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তফসিলে
তালিকাভুক্ত করতে পারে। তবে বর্তমান আইনে কোন সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের বিষয়ে
কোন বিধান নেই।
এই বিষয়টি স্পষ্টীকরণসহ বিধান সংযোজন আবশ্যক হেতু সন্ত্রাস বিরোধী
আইন, ২০০৯ কে সময়োপযোগী করে আইনের অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজন।
বর্ণিত প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাস বিরোধী আইন সংশোধন করে সত্তার কার্যক্রম
নিষিদ্ধ করা, প্রয়োজনীয় অভিযোজন করা এবং অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধকরণের
বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নির্বাচনী
আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী
নাজমুল মোস্তফা আমিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ জরিমানা করা হয়। তপশিল ঘোষণার পর এটি
প্রথম জরিমানার ঘটনা।
স্থানীয়রা
জানান, সাতকানিয়া এলাকা থেকে শুরু হওয়া ওই শোভাযাত্রায় কয়েকশ মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত
গাড়ি অংশ নেয়। শোভাযাত্রাটি লোহাগাড়ার আমিরাবাদ এলাকায় পৌঁছলে সেখানে তাকে জরিমানা
করা হয়। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ অংশ বেশ ব্যস্ততম। শোভাযাত্রার কারণে এই সড়কে
ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। তারা আরও জানান, আজ অলি আহমদ বীর
বিক্রম স্টেডিয়ামে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় একটি দোয়া
মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জরিমানার পর বিকেল ৫টার দিকে নাজমুল মোস্তফা আমিন ওই দোয়া মাহফিলে
অংশ নেন।
লোহাগাড়া
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম
বলেন, বিকাল ৩টার দিকে নাজমুল মোস্তফা আমিন সাতকানিয়া থেকে শোভাযাত্রা নিয়ে লোহাগাড়া
অভিমুখে যাত্রা করেন। এ সময় তিনি মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করেন। এ কারণে
তাৎক্ষণিক জরিমানা করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নাজমুল
মোস্তফা আমিন গাড়ি ও মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রা করেছেন, যা নির্বাচন কমিশন ঘোষিত রাজনৈতিক
দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা-২০২৫ এর ৯ নম্বর ধারা লঙ্ঘন। এ কারণে বিধান অনুযায়ী তাকে
৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


জুলাই
গণঅভ্যুত্থানকেন্দ্রিক প্লাটফর্ম ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও আসন্ন নির্বাচনে ঢাকা-৮
আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে ঢাকা মেডিকেল
কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানী বিজয়নগরের কালভার্ট এলাকায় অস্ত্রধারীরা তাকে
গুলি করে। তখনই ওসমান বিন হাদীকে উদ্ধার করে ২টা ৩৫ মিনিটে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা
হয়।
ঢাকা
মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের (ডিসি) উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. হারুন অর
রশিদ বলেন, প্রাথমিকভাবে যতটুকু জানা গেছে, দুপুরের দিকে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র
ওসমান বিন হাদী এবং তার সঙ্গে আরেকজন রিকশায় করে যাচ্ছিলেন। তাদের রিকশা কালভার্ট রোড
এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল যোগে দুইজন এসে ওসমান হাদীকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে
যায়। বিস্তারিত ঘটনা জানতে চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
ঢামেক
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক (আরএস) ডা. মোশতাক আহমেদ মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে
জানান, শরিফ ওসমান হাদীর অবস্থা খুবই গুরুতর। তার মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তিনি এখন
কোমায় (গভীর অচেতনাবস্থায়) আছেন।
এদিকে
ওসমান বিন হাদী গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। ঢামেক হাসপাতালে জড়ো হন জুলাই
অভ্যুত্থানের আন্দোলনকারীরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এখন শরিফ ওসমান বিন
হাদীর ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি জানাচ্ছেন তারা।
মন্তব্য করুন


সাবেক প্রধানমন্ত্রী
ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন তার
ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার
(১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এভারকেয়ারের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
জাহিদ হোসেন
বলেন, বেগম জিয়াকে যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তা তিনি গ্রহণ করতে পারছেন। চিকিৎসকরাসহ
সবাই অত্যন্ত আশাবাদী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে যাবেন।
বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র
ও যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকরা আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন তারা বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য
পরীক্ষা করছেন।
বিএনপির স্থায়ী
কমিটির এ সদস্য আরও জানান, ডা. জুবাইদা রহমান সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। তার (বেগম
জিয়ার) ছোট ভাই, বোন সবাই খোঁজ নিচ্ছেন।
চলতি বছরের
২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে অংশ নিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
সেদিন স্বেচ্ছায় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া বেগম জিয়াকে বেশ হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায়।
তার একদিন পরেই
শ্বাসকষ্টের জটিলতা প্রকট হওয়ায় ঘটে স্বাস্থ্যের অবনতি। ২৩ নভেম্বর ভর্তি হন রাজধানীর
এভারকেয়ার হাসপাতালে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে হার্ট এবং ফুসফুসে। অবস্থার আরও অবনতি হলে
তাকে স্থানান্তর করা হয় সিসিইউতে। এখন পর্যন্ত দেশি-বিদেশি ডাক্তারদের সমন্বয়ে গঠিত
একটি বিশেষায়িত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশে
প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচনের আয়োজন করা হবে বলে কূটনীতিকদের জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এজন্য বন্ধু রাষ্ট্র ও সংস্থাগুলোর পূর্ণ
সমর্থন চেয়েছেন।
রোববার
(১৮ আগস্ট) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত,
হাইকমিশনারসহ জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের ব্রিফ করেন ড. ইউনূস। পরে প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি
বলেন, বাংলাদেশে যে দূতাবাসগুলো আছে তার রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘের যেসব সংস্থার প্রধান
এখানে আছেন তাদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তিনি সবাইকে
ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি সবার পূর্ণ সমর্থন চেয়েছেন।
প্রেস
সচিব আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন- এটা দ্বিতীয় রেভ্যুলেশন ছিল। এখানে এত মানুষের
সম্পৃক্ততা ছিল যে তিনি বলেছেন ১৯৭১ সালে যদি প্রথম রেভ্যুলেশন হয় এটা দ্বিতীয় রেভ্যুলেশন।
তার বার্তা ছিল দ্রুত অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করা। উনি নির্বাচনটি
তখনই করবেন যখন প্রয়োজনীয় সংস্কার করা যায়। বিচার বিভাগ, সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন,
সিকিউরিটি ফোর্স, মিডিয়া- সব কিছুতে সংস্কার চিহ্নিত করে বাস্তবায়ন করে যত দ্রুত নির্বাচন
দেওয়া যায় সেটি তার লক্ষ্য। তিনি বলেছেন এখন প্রধান কাজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা। সেটি অনেকটা
স্বাভাবিক হয়েছে।
মন্তব্য করুন