তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে স্কুল-কলেজ বন্ধ হবে বলে সিদ্ধান্ত জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রির নিচে নামলে স্কুল-কলেজ বন্ধ হবে বলে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) যে নির্দেশনা দিয়েছিল, সেটির সংশোধনী দেওয়া হচ্ছে।
একইদিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানায়, পরিবর্তন এসেছে অধিদপ্তরের জারি করা ওই নির্দেশনায়।
চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা সংক্রান্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশোধিত চিঠিতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। চলমান এ শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে মর্মে জানা যাচ্ছে।
এক্ষেত্রে যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাবে, আঞ্চলিক উপ-পরিচালকেরা সেসব জেলার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেবেন।
মন্তব্য করুন
দেশবাসী
ও বিশ্বের সব মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
পবিত্র
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বুধবার (১০ এপ্রিল) ভিডিও
বার্তায় তিনি এ শুভেচ্ছা জানান ।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের
মধ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ
সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি। ঈদুল ফিতর আমাদের সবার জীবনে বয়ে আনুক সীমাহীন
আনন্দ, সুখ ও শান্তি। আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন ও নিরাপদে থাকুন। ঈদ মোবারক।
বৃহস্পতিবার
(১১ এপ্রিল) বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
মন্তব্য করুন
আজ সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ছাড়েন।
তিনি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন।
ওবায়দুল কাদের এর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ২৫ জানুয়ারি ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে থাই সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল
গার্ড অব অনার দেয়। এ সময় তিনি গার্ড পরিদর্শন করেন।
গভর্নমেন্ট হাউজে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে থাই প্রধানমন্ত্রী এক
জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাগত জানান।
শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসের অতিথি বইতে সই করেন। থাই
প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয়
করিয়ে দেন।
স্বাধীনতার এক বছরের মাথায় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হলেও ৫২ বছরে
থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের এটাই প্রথম সফর।
থাইল্যান্ড সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশটির
প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউজে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়া
হয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে সফরসঙ্গীদের নিয়ে স্থানীয় সময় শুক্রবার
সকালে ব্যাংককে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান শেখ হাসিনা।
পৌঁছনোর পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা
থাভিসিন অভ্যর্থনা জানান। এরপর সেখানে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে
তাঁকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এরপর গভর্নমেন্ট হাউজে
দুই প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তারা।
বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি,
একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) সই করা
হয়।
গভর্নমেন্ট হাউস ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক
মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন।থাই প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে বুধবার ছয় দিনের সরকারি সফরে
থাইল্যান্ডে পৌঁছান শেখ হাসিনা।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবীবুল আউয়াল।
(৬ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার বঙ্গভবনে সাক্ষাৎকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম বিশেষ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জনান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্ব এবং নির্বাহী বিভাগের সার্বিক সহযোগিতার ফলে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।ভবিষ্যতেও নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সুন্দরভাবে করতে সক্ষম হবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম এবং সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে স্কুল-কলেজ বন্ধ হবে বলে সিদ্ধান্ত জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রির নিচে নামলে স্কুল-কলেজ বন্ধ হবে বলে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) যে নির্দেশনা দিয়েছিল, সেটির সংশোধনী দেওয়া হচ্ছে।
একইদিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানায়, পরিবর্তন এসেছে অধিদপ্তরের জারি করা ওই নির্দেশনায়।
চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা সংক্রান্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশোধিত চিঠিতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। চলমান এ শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে মর্মে জানা যাচ্ছে।
এক্ষেত্রে যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাবে, আঞ্চলিক উপ-পরিচালকেরা সেসব জেলার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেবেন।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া এবং আওয়ামী লীগের বিজয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
একইসঙ্গে রাষ্ট্রদূত চীনা নেতাদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা পৌঁছে দিয়েছেন।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে চীনের অভিনন্দনবার্তা পৌঁছে দেন রাষ্ট্রদূত ওয়েন।
ঢাকার চীনা দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাষ্ট্রদূত নিশ্চিত করেছেন যে, চীনা নেতারা দীর্ঘদিনের লালিত সম্পর্কে আরও এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং গভীর সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ-চীনের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে।
রাষ্ট্রদূত ওয়েন বলেন, উন্নয়ন এবং পুনরুজ্জীবনের ক্ষেত্রে চীন এবং বাংলাদেশ উভয়ই একটি সংকটময় পর্যায়ে রয়েছে। উন্নয়ন আধুনিকায়নে চীন সবসময় বাংলাদেশের বিশ্বস্ত অংশীদার এবং নির্ভরযোগ্য বন্ধু হিসেবে পাশে ছিল। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দশনায় চীন ও বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক শ্রদ্ধার মডেল স্থাপন করেছে।
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় চীন বাংলাদেশকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করবে। চীন বাংলাদেশে বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে। ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চীন বাংলাদেশকে সহায়তা করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।
রাষ্ট্রদূত ওয়েন আরও বলেন, বাংলাদেশের ২০৪১ রুপকল্প বাস্তবায়নে চীন সহযোগিতা করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চীন বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করতে প্রস্তুত। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের ক্ষেত্রে আরও উন্নত সহযোগিতা ও অবদান রাখতে পারে চীন-বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা চলছে। শনিবার(১০ ফেব্রুয়ারী) সকাল পৌনে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনে এই বিশেষ সভা শুরু হয়। সভায় সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভার শুরুতে প্রাথমিক আনুষ্ঠানিকতা শেষে শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। সূচনা বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এদিকে সকাল ৮টা থেকে সারা দেশ থেকে আসা নেতারা গণভবনের সামনে জড়ো হন এবং ৮:৩০ মিনিট থেকেই এক এক করে নেতারা গণভবনে প্রবেশ শুরু করেন।
মন্তব্য করুন
গ্রেটার
ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের (বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট) ৭টি ফ্লাইওভার
যান চলাচলের জন্য উদ্বোধন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার
(২৪ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি ফ্লাইওভার
উদ্বোধন করেন।
সেতুমন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ৭টি ফ্লাইওভার দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের
জন্য এ ৭টি ফ্লাইওভার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার। আশা করছি এ বছরই
এটি দিয়ে বাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে পারবো। আমাদের অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজগুলো শেষ
হয়ে গেছে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯১ শতাংশ। আমরা আশা করছি ডিসেম্বর নাগাদ বাকি
কাজ শেষ হবে। বিআরটি করিডোর দিয়ে বাস চলাচল করতে পারবে। এখন থেকে এ ফ্লাইওভারগুলো দিয়ে
যান চলাচল করতে পারবে। যার মধ্যে রয়েছে ৩২৩ মিটার এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (বাম পাশ), ৩২৩
মিটার এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (ডান পাশ), ১৮০ মিটার জসিমউদ্দিন ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার ইউ-টার্ন-১
গাজীপুরা ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার ইউ-টার্ন-২ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ফ্লাইওভার, ২৪০ মিটার
ভোগড়া ফ্লাইওভার এবং গাজীপুরের চৌরাস্তায় ৫৬৮ মিটার ফ্লাইওভার।
মন্তব্য করুন
শনিবার
(২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে
উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন
দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী-এমপির
নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী
বলেন, নিকটজনেরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী
প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া
হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি
বলেন,আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই
নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি
গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।
নির্দেশনা
দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের
তারিখ শেষ হউক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
সংবাদ
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ,
আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন,
সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান
গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের রূপান্তর ঘটেছে। আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। সম্ভাবনার হাতছানি দেওয়া দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা দুরন্ত বাংলাদেশ।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের রূপান্তর ঘটেছে। আজকের বাংলাদেশ দারিদ্র্যক্লিষ্ট, অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর বাংলাদেশ নয়। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যার সময় আমি এবং আমার ছোটবোন বিদেশে ছিলাম। সে কারণে আমরা প্রাণে বেঁচে যাই। দীর্ঘ ৬ বছর আমরা রিফিউজি হিসেবে প্রবাস জীবন কাটাতে বাধ্য হই। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জনগণের সমর্থন নিয়ে আমি দেশে ফিরে আসি। অবৈধভাবে ক্ষমতাসীন সরকার, জাতির পিতার হত্যাকারী ও ষড়যন্ত্রকারী এবং যুদ্ধাপরাধীদের সব রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করেই আমি দেশে ফিরে আসি। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন থেকে ২০০১ সালের ১৫ জুলাই - এই ৫ বছর পূর্ণ করে ২৬ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা ধান ও দানাদার শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি গ্রহণ, বয়স্ক, বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা প্রবর্তন এবং বর্গাচাষিদের বিনা জামানতে কৃষি ঋণ প্রদান করি। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিয়ে এবং নানা চক্রান্তের ফসল হিসেবে বিএনপি-জামায়াত-জোট ক্ষমতার মসনদে আরোহণ করে। এরপরেই দেশে বিপর্যয় নেমে আসে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে ২২ নেতা-কর্মীকে হত্যা এবং ৫০০’র বেশি মানুষকে আহত করে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে যে ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে তা হলো:
১. দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
২.কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।
৩.আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
৪.লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।
৫. দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো।
৬.ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
৭.নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা।
৮.সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা।
৯. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
১০.সাম্প্রদায়িকতা এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা।
১১.সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো।
মন্তব্য করুন