দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য
বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সারা দেশে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী।
বুধবার
সকাল থেকে মাঠে নেমেছেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।
আসন্ন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ উপলক্ষে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা
দিতে সশস্ত্র বাহিনী সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে।
মঙ্গলবার
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভোটগ্রহণের আগে,
ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার জন্য ৩-১০
জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন/স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করবে সশস্ত্র বাহিনী।
আইএসপিআর
জানায়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা/উপজেলা/মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট
ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে
ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহিনীসমূহ এলাকাভিত্তিক মোতায়েন সম্পন্ন করছে।
সেনাবাহিনী
৬২টি জেলায় নিয়োজিত হয়েছে। সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫টি উপজেলায় বিজিবি এককভাবে দায়িত্ব
পালন করবে।
এছাড়াও
সীমান্তবর্তী ৪৭টি উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সঙ্গে এবং উপকূলীয় ০৪টি উপজেলায় কোস্ট
গার্ডের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
উপকূলীয়
২টি জেলাসহ (ভোলা ও বরগুনা) সর্বমোট ১৯টি উপজেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
বাংলাদেশ
বিমান বাহিনী হেলিকপ্টারের মাধ্যমে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয়
সহায়তা করবে। জরুরি প্রয়োজনে নির্বাচনি সহায়তার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয়
সংখ্যক হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সশস্ত্র
বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে
যৌথ সমন্বয় সেল স্থাপন করা হয়েছে, যা ১০ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত কার্যকরী থাকবে।
মন্তব্য করুন
টানা চতুর্থবার সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে গোপালগঞ্জ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় গণভবন থেকে সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দুই দিনের সফরে জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং নির্বাচনী এলাকার দুই উপজেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
মন্তব্য করুন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ২০২৩ সালের লিখিত পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩এর প্রথম গ্রুপের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) আওতাধীন জেলাসমূহের লিখিত পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে।প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ সংক্রান্ত সকল প্রকার সামগ্রী ইতোমধ্যে জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন জানান, তিনটি বিভাগের ১৮টি জেলায় (রংপুর ৮, বরিশাল ৬, সিলেট ৪) এবারের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৩৫টি ও কক্ষের সংখ্যা ৮ হাজার ১৮৬টি।
পরীক্ষা সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের ০২৫৫০৭৪৯৬৯ নাম্বারে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে থাই সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল
গার্ড অব অনার দেয়। এ সময় তিনি গার্ড পরিদর্শন করেন।
গভর্নমেন্ট হাউজে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে থাই প্রধানমন্ত্রী এক
জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাগত জানান।
শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসের অতিথি বইতে সই করেন। থাই
প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয়
করিয়ে দেন।
স্বাধীনতার এক বছরের মাথায় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হলেও ৫২ বছরে
থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের এটাই প্রথম সফর।
থাইল্যান্ড সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশটির
প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউজে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়া
হয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে সফরসঙ্গীদের নিয়ে স্থানীয় সময় শুক্রবার
সকালে ব্যাংককে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান শেখ হাসিনা।
পৌঁছনোর পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা
থাভিসিন অভ্যর্থনা জানান। এরপর সেখানে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে
তাঁকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এরপর গভর্নমেন্ট হাউজে
দুই প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তারা।
বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি,
একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) সই করা
হয়।
গভর্নমেন্ট হাউস ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক
মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন।থাই প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে বুধবার ছয় দিনের সরকারি সফরে
থাইল্যান্ডে পৌঁছান শেখ হাসিনা।
মন্তব্য করুন
আগামী ৫ নভেম্বর সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলনে যোগ দেবেন, একইসঙ্গে পালন করবেন ওমরাহ।
০১ নভেম্বর বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আগামী ৫ নভেম্বর প্রথমে মদিনায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌদি আরবে গিয়ে ওমরাহ পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি মদিনায় জিয়ারত করবেন। সেখান থেকে যাবেন জেদ্দায়। জেদ্দায় সম্মেলনে যোগ দেবেন। পরে মক্কায় যাবেন। সৌদি সফর শেষে ৭ নভেম্বর দেশের পথে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সৌদি আরবে সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী অনেকের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর মধ্যে ওআইসি মহাসচিব, ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট, সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ও ঘানা এই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও ব্যবসা সম্প্রসারণে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সফররত ঘানার পররাষ্ট্র ও আঞ্চলিক সংহতি বিষয়ক মন্ত্রী শার্লি আয়োরকর বোচওয়ে-এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাতে এ বিষয়ে একমত হয় বাংলাদেশ ও ঘানা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, “বাংলাদেশ ও ঘানা কৃষি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ফার্মাসিউটিক্যালস, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পাট, চামড়া ও গার্মেন্টস সহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে।” গণভবনে আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ঘানার পররাষ্ট্র ও আঞ্চলিক সংহতি মন্ত্রী শার্লি আয়োরকার বোচওয়ের মধ্যে বৈঠকে এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর ওপর জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আফ্রিকান দেশগুলির সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আফ্রিকান দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য এবং টেক্সটাইল পণ্য আমদানি করতে পারে।
ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ ও ঘানার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এ লক্ষ্যে তিনি দুই দেশের মধ্যে কৃষি, ওষুধ, আইসিটি এবং কৃষিভিত্তিক খাদ্য পণ্যের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন। তিনি আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য কমনওয়েলথের মহাসচিব হিসেবে আসন্ন নির্বাচনে তার দেশের প্রার্থীতার পক্ষে বাংলাদেশের সমর্থন কামনা করেন। এবার আফ্রিকার দেশগুলো থেকে কমনওয়েলথ মহাসচিব নির্বাচিত হবেন।
কমনওয়েলথ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সংস্থা এক সময় নিষ্ক্রিয় ছিল। কিন্তু কমনওয়েলথ এখন বিনিয়োগ এবং মানবসম্পদ প্রশিক্ষণ (সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে) বৃদ্ধিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলেন, কমনওয়েলথের মহাসচিব পদে যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন।
সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত ‘মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন ।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর সরকারপ্রধান হিসেবে এটি ছিল তার প্রথম কোনো রাষ্ট্রীয় সফর।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানি যান প্রধানমন্ত্রী। মিউনিখে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠক করেন।
প্রধানমন্ত্রী জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি এবং ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
এছাড়া ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর ও যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বর্তমান পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী লর্ড ক্যামেরন এবং জার্মান ফেডারেল অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়নমন্ত্রী সভেনজা শুলজেও শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশন ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’
খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু করেছে ।
মঙ্গলবার (৭ মে) রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনকে এ পরিচয়পত্র হস্তান্তরের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে ইসি।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত জাতীয় পরিচয়পত্রটি তার কাছে হস্তান্তর করেন এবং কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। পর্যায়ক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট এনআইডি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত স্মার্ট
এনআইডি দেওয়ার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, এটি মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের অনন্য স্বীকৃতি। মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের
কল্যাণে সম্মানি ভাতা বাড়ানোসহ সরকারের নানা উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন,
ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং যেকোনো প্রয়োজনে সরকার সবসময় তাদের পাশে থাকবে।
এসময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের
সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন ।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের রূপান্তর ঘটেছে। আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। সম্ভাবনার হাতছানি দেওয়া দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা দুরন্ত বাংলাদেশ।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের রূপান্তর ঘটেছে। আজকের বাংলাদেশ দারিদ্র্যক্লিষ্ট, অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর বাংলাদেশ নয়। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যার সময় আমি এবং আমার ছোটবোন বিদেশে ছিলাম। সে কারণে আমরা প্রাণে বেঁচে যাই। দীর্ঘ ৬ বছর আমরা রিফিউজি হিসেবে প্রবাস জীবন কাটাতে বাধ্য হই। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জনগণের সমর্থন নিয়ে আমি দেশে ফিরে আসি। অবৈধভাবে ক্ষমতাসীন সরকার, জাতির পিতার হত্যাকারী ও ষড়যন্ত্রকারী এবং যুদ্ধাপরাধীদের সব রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করেই আমি দেশে ফিরে আসি। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন থেকে ২০০১ সালের ১৫ জুলাই - এই ৫ বছর পূর্ণ করে ২৬ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা ধান ও দানাদার শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি গ্রহণ, বয়স্ক, বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা প্রবর্তন এবং বর্গাচাষিদের বিনা জামানতে কৃষি ঋণ প্রদান করি। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিয়ে এবং নানা চক্রান্তের ফসল হিসেবে বিএনপি-জামায়াত-জোট ক্ষমতার মসনদে আরোহণ করে। এরপরেই দেশে বিপর্যয় নেমে আসে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে ২২ নেতা-কর্মীকে হত্যা এবং ৫০০’র বেশি মানুষকে আহত করে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে যে ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে তা হলো:
১. দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
২.কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।
৩.আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
৪.লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।
৫. দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো।
৬.ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
৭.নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা।
৮.সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা।
৯. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
১০.সাম্প্রদায়িকতা এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা।
১১.সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে আগামী ২৪ থেকে ২৯
এপ্রিল ব্যাংকক সফর করবেন।
কূটনৈতিক
সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে সরকারপ্রধান পর্যায়ের এটি প্রথম
সফর।
বৃহস্পতিবার
এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, আগামী ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন অভ্যর্থনা জানাবেন। একইসঙ্গে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে
গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। একইদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গভর্নমেন্ট হাউসে প্রধানমন্ত্রী
স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী
একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন যার মধ্যে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা,
সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থাকবেন।
উক্ত
ব্যাংকক সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ড রাজপ্রাসাদে রাজা ও রানীর সঙ্গে
সাক্ষাৎ করবেন। শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজেও
যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
থাইল্যান্ডের
সফরের সময় বেশ কয়েকটি চুক্তি ও এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার ইউএনস্ক্যাপের কমিশনের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। তিনি ২৫
ইউএনস্ক্যাপের অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন। একইদিন জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল
এবং ইউএনস্ক্যাপের এশিয়া ও প্যাসিফিকের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এ
সফর বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড উভয়ের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এটি দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের
মধ্যে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।
মন্তব্য করুন