তীব্র গরমে তৃষ্ণার্ত শ্রমজীবী পথচারী
মানুষের পাশে দাঁড়ালেন রোটারি ক্লাব অব রেনেসাঁস, কুমিল্লা।
বুধবার (১ মে) সকালে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ
মোড়ে ঠান্ডা পানির বোতল ও খাবার স্যালাইন বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন ডিস্ট্রিক কো-অর্ডিনেটর,
আরআইডি ৬৫,বাংলাদেশ রোটারিয়ান ডা. তৃপ্তিশ চন্দ্র ঘোষ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রোটা. লুৎফুল বারি চৌধুরী, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ রায়হান আহমেদ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, রোটারি ক্লাব
অব রেনেসাঁস কুমিল্লার চাটার প্রেসিডেন্ট, চাটার সেক্রেটারি, প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট, চাটার
ট্রেজারার সহ ক্লাবের প্রায় সকল রোটারিয়ান।
উক্ত প্রজেক্টের চেয়ারম্যান ছিলেন,
রোটা. আনোয়ার হোসেন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
মৃত্যুর
আগ পর্যন্ত কামলা হয়ে কুমিল্লা-৩ আসনের মানুষের
পাশে থেকে তাদের উন্নয়নে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান
ও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এবং পাঁচবারের সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ।
তিনি
বলেন, ‘অতীতে আমি আপনাদের কামলা হয়ে যেভাবে পাশে ছিলাম, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেভাবে
কামলা হয়ে থাকতে চাই। নেতা হিসেবে নয়, আমি আপনাদের কামলা হিসেবেই থাকতে চাই।’
শনিবার বিকালে কুমিল্লার বাঙ্গরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জনসভায়
বক্তব্যের শুরুতে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান কায়কোবাদ বলেন, ‘আমরা কি চিন্তা করতে পেরেছিলাম
বাঙ্গরা হাইস্কুল মাঠে আমরা আজকে সমাবেশ করতে পারব? আমরা কি চিন্তা করতে পেরেছিলাম
শেখ হাসিনার দেশ থেকে এভাবে পালিয়ে যাবে? আমরা কি চিন্তা করেছিলাম সেই স্বৈরাচারদের
অনেকে জেলখানায় যাবে এবং বিচারের মুখোমুখি হবে। এসব ব্যবস্থা করেছে আল্লাহ।’
এসময়
আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জানানোর জন্য সবাইকে একবার সূরা ফাতিহা পাঠ করান তিনি।
অন্তর্বর্তী
সরকার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনাকে এই সরকারের
প্রধান উপদেষ্টা বানিয়েছে আল্লাহ। এই আওয়ামী লীগ সরকার আর কিছুদিন থাকলে অনেকের মত
আপনাকেও জেলখানার স্বাদ গ্রহণ করতে হতো। আল্লাহ আপনাকে সেই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ দিয়েছে।
এজন্য আপনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন এবং জনগণের আশাকে পূরণ করার চেষ্টা করুন।’
তিনি
বলেন, ‘এই মুহূর্তে জনগণের একটিই আশা, সেটি হল নির্বাচন। সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে এই
সংস্কারের মাধ্যমে বড়লোকদের উপকার হবে গরিবদের কোনো উপকার হবে না। আপনাদের সংস্কারের
প্রয়োজন নেই। সংস্কার ছেড়ে দিন তাদের ওপরে, যারা জনপ্রতিনিধি হবে। তাদের কাছে পরামর্শ
রেখে যান। আপনাদের পরামর্শকের সামনে রেখে এই সেই সরকার এগুলো পালন করার চেষ্টা করবে।
কাজী
শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ আরও বলেন, ‘যেভাবে বাংলাদেশের জনগণ একত্রিত হয়ে আন্দোলন
করেছিল, সেই আন্দোলনের ফসলকে ইউরোপ-আমেরিকা সমস্ত পৃথিবী একসেপ্ট করে নিয়ে স্বাগত
জানিয়েছে। আগে অনেকে অনেক কথা বলেছি অনেকে অনেক ভাষায় কথা বলেছে, কারো কথা শুনে নাই।
কিন্তু এই আন্দোলনের মাধ্যমে যখন বাংলাদেশের নারীরা, যুবকেরা ও মেহনতি মানুষ একত্রিত
হয়ে ঢাকা শহরের রাস্তায় নেমে পড়ল তখন তারা সবাই একযোগে চিৎকার করে বলে উঠল আমরা
তোমাদের সঙ্গে আছি। এরপর সবাই বলল এই স্বৈরাচারের বিচার হবে, বিচার করতে হবে। কিন্তু
এর আগে কিন্তু এই বিচারের কথা কেউ বলে নাই।
তিনি
বলেন, আমরা সবাই একত্রিত হয়ে যেমনিভাবে এই স্বৈরাচারকে পতন করিয়েছি, এমনিভাবেই একত্রিত
থাকতে হবে যেন আমাদের দাবি আদায় ও সুন্দর নির্বাচন আদায় করতে পারি।
এসময়
সৃষ্টিকর্তাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আল্লাহর কাছে আমাদের বলতে হবে, চাইতে হবে যেভাবে
স্বৈরাচার সরকারকে আমাদের মাঝখান থেকে বিদায় করেছে সেভাবেই একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা
করে দাও।
নারীদের
প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে বিএনপির জনপ্রিয় এই নেতা বলেন, ‘যতবার নির্বাচন করেছি ভোটের
সেন্টারে গিয়ে দেখেছি মহিলাদের লাইনটা অনেক বড়। আর এ কারণেই দেখা যেত ভোটের যে রেজাল্ট
এখানে আমাকেই আল্লাহপাক বেশি ভোট দিয়েছে।’
এসময়
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে বলে হিন্দু ভোট আওয়ামী লীগের, আমাদের আন্দিকুট ইউনিয়নে কয়েকটা
গ্রাম আছে যেখানে হিন্দু মুসলমানের চেয়েও বেশি। ওই সেন্টারে আল্লাহ পাক আমাকে সমসময়
আমাকেই জিতিয়েছে।
জনসভা
বিকেল ৪টায় শুরু হলেও দুপুর থেকেই নেতাকর্মীরা মিছিলে মিছিলে সভাস্থলে এসে জমায়েত
হোন। নেতাকর্মীদের নানা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ। বিকেল চারটার আগেই পরিপূর্ণ
হয়ে পড়ে জনসভাস্থল। জনসভায় উপস্থিত জনতার মধ্যে পুরুষের সঙ্গে নারীদের উপস্থিতিও
ছিল চোখে পড়ার মতো।
কুমিল্লা
মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জনের সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথি
ছিলেন, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য
রাখেন উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার,সদস্য সচিব তারেক মুন্সী, যুগ্ম
আহ্বায়ক তৌফিক আহমেদ মীর, সাবেক মেজর মো. শাজাহান, মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম
আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শামীমা
আক্তার রুবি,উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি কাজী তাহমিনা আক্তার, মুরাদনগর উপজেলা যুবদলের
আহ্বায়ক সোহেল সামাদ,মুরাদনগর উপজেলা হিন্দু পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দয়ানন্দ
ঠাকুর প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা তিতাসে সাময়ন আরিয়ানকে হত্যা অভিযোগে একজনকে মৃত্যুদণ্ড; আরেকজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
আজ বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরবেলা কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সাব্বির মাহমুদ চৌধুরী এ রায় দেন।
মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিল্লাল পাঠান হলেন- কুমিল্লা তিতাস উপজেলার বিরামকান্দি পাঠান বাড়ী'র মোঃ খেলু পাঠানের ছেলে এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি শেফালী আক্তার (৪৩) হলেন একই উপজেলার কলাকান্দি উত্তর পাড়া মাষ্টার বাড়ীর জামাল মিয়ার স্ত্রী।
মামলার বিবরণে জানা যায়- পূর্ব আক্রোশের বশবর্তী হইয়া আসামিরা পরষ্পর যোগসাজশে ভিকটিম সায়মন আরিয়ান (৭) কে হত্যা করিয়া কলাকান্দি বালুর মাঠে (কাঁশ বনে) লাশ গুম করে।
জানা যায়- ২০২৩ সালের ১৮ আগস্ট বিকেলবেলা ভিকটিম সায়মন আরিয়ান আসামি শেফালী আক্তারের ছেলে রাফি'র সাথে খেলাধুলা করার জন্য ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ীতে ফিরে না আসায় বাদীনি তাঁর আত্মীয় স্বজনের সহায়তায় সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি না পেয়ে বাদীনি তিতাস থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন এবং পরদিন ঘটনাস্থলে ভিকটিমের অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট নিহতের গর্ভধারিনী মাতা খোর্শেদা আক্তার (৪০) বাদী হয়ে তিতাস থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করিলে তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোঃ নয়ন মিয়া ও সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ জাহিদুল হক এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার সাব-ইন্সপেক্টর জীবন বিশ্বাস তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২০২৩ সালের ২২ আগস্ট আসামি শেফালী আক্তার ও একই বছর ৩১ ডিসেম্বর আসামি মোঃ বিল্লাল পাঠানকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করিলে আসামি মোঃ বিল্লাল পাঠান ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারার বিধানমতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তৎপর তদন্তকারী কর্মকর্তা জীবন বিশ্বাস ২০২৪ সালের ৮ অক্টোবর আসামি বিল্লাল পাঠান ও শেফালী আক্তার এর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/২০১/৩৪ ধারার বিধানমতে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তৎপর মামলাটি বিচারের জন্য বিজ্ঞ আদালতে আসিলে চলতি বছর ২৭ ফেব্রুয়ারী তাহাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় চার্জগঠনক্রমে রাষ্ট্র পক্ষে ১৫জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামি মোঃ বিল্লাল পাঠান এর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মহামান্য হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষে মৃত্যুদণ্ড এবং ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধির ২০১ ধারার বিধানমতে তাকে ৫ (পাঁচ) বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। রায়ে আরও উল্লেখ করেন যে, "মৃত্যুদণ্ড না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে গলায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ প্রদান করা হল"।
আসামি শেফালী আক্তার এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারার বিধানমতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদয়ের আরো ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধির ২০১ ধারার বিধানমতে তাকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। রায়ে আরও উল্লেখ করেন যে, আসামি শেফালীর উভয় দণ্ড একসাথে চলবে।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোঃ ইকরাম হোসেন বলেন, শালি-দুলাভাইয়ের অন্তরঙ্গ মুহুর্ত দেখে পেলায় আসামিরা পরষ্পর যোগসাজশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শিশু সায়মন আরিয়ানকে হত্যা করে। আমরা আশা করছি শীঘ্রই উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৭৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গতকাল (৫ ফেব্রুয়ারী) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন চান্দুল এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ সোহেল রানা (২৪) নামক ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৭৫ বোতল ফেন্সিডিল ও একটি ব্যাটারীচালিত অটো টমটম উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সোহেল রানা (২৪) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন যগুপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের আলী আজম এর ছেলে।
র্যাব জানা, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক দ্রব্য ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
পৃথক দুইটি অভিযানে কোতয়ালী মডেল থানা এলাকা হতে জাবেদ মিয়া হত্যা মামলার যাবজ্জীবন
সাজাপ্রাপ্ত দুইজন আসামী গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৯ সেপ্টেম্বর রাতে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন ফৌজদারী মোড় ও বাটপাড়া চৌমুহনী এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে
জাবেদ মিয়া হত্যা মামলার দুইজন যাবজ্জীবন যাজাপ্রাপ্ত আসামী ১। মোঃ আল আমিন এবং ২। রতন দত্ত কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। মোঃ আল আমিন (৪১) কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার লক্ষীপুর গ্রামের মোঃ সেলিম মিয়া
এর ছেলে এবং ২। রতন দত্ত (৩৮) একই জেলার কোতয়ালী মডেল থানার কালিয়াজুরি গ্রামের হরিপদ
দত্ত এর ছেলে।
র্যাব জানান, আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, গত ২৭/০১/২০১২ ইং তারিখে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় ও তার অন্যান্য সহযোগীরা মিলে চাঁদা দাবীর বিষয়ে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাইয়া ভিকটিম মোঃ জাবেদ মিয়া (২৫) কে হত্যা করে। উক্ত ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার বিচারকার্য শেষে বিজ্ঞ আদালত গত ১৮/০৭/২০২৪ ইং তারিখে পেনাল কোড ৩০২/৩৪ ধারায় বর্ণিত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডের রায় প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
এই মুহূর্তে কুমিল্লা গোমতী নদীর পানি বিপদসীমার ১১৩ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ ঘটিকায়)
আপনারা দ্রুত নিরাপদ স্থানে চলে যান। আদর্শ সদর উপজেলার সকল স্কুল কলেজ মাদ্রাসা খোলা আছে। যেটা কাছে সেটাতে উঠে যান। গোমতী নদীর পাড় থেকে দয়া করে দর্শনার্থীগণ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। উপজেলা প্রশাসন আদর্শ সদর, কুমিল্লা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৪ কেজি গাঁজা, ৫০ বোতল ফেন্সিডিল
ও ২৪ ক্যান বিয়ারসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গতকাল (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ
মডেল থানাধীন লক্ষীপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ জহিরুল
ইসলাম কামরুল এবং ২। মিজান নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের
কাছ থেকে ৪ কেজি গাঁজা, ৫০ বোতল ফেন্সিডিল, ২৪ ক্যান বিয়ার ও মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত
একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ জহিরুল ইসলাম
কামরুল (২৪) কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার টামটা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্না এর ছেলে
এবং ২। মিজান (৩১) একই গ্রামের মৃত সামসু মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত সিএনজি ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা, ফেন্সিডিল ও বিয়ার সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের উদ্যোগে ইউনিট
প্রাঙ্গণে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক যুব দিবস-২০২৫ পালিত হয়।
এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল-"প্রযুক্তি ও অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বহুপাক্ষিক সহযোগিতার অগ্রগতিতে যুবসমাজ"।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা
রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সহকারী পরিচালক ও ইউনিট লেভেল কর্মকর্তা ফাহাদ আল নূর সাজিদ,
প্রশিক্ষণ বিভাগীয় প্রধান ফয়সাল আহমেদ , প্রশাসন বিভাগীয় উপ-প্রধান মো: মহিববুল্লাহ,
বন্ধুত্ব বিভাগীয় প্রধান মো: সাইফুল ইসলাম, সেবা ও স্বাস্থ্য উপবিভাগীয় প্রধান আমেনা
আক্তার, অফিস সহকারী জনাব মো: নজরুল ইসলাম এবং জেলা ও উপজেলা যুব রেড স্বেচ্ছাসেবকরা
উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, যুব সমাজই জাতির
ভবিষ্যৎ, তাই তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা, প্রশিক্ষণ এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত
করা অত্যন্ত প্রয়োজন। যুবকদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ব্যক্তিত্ব উন্নয়নে সম্পৃক্ত করা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১,১৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
সোমবার (১৩ মে) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন অরন্যপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী তানভীর ইসলাম আনিস নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১,১৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী তানভীর ইসলাম আনিস (২৫) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার বিবির বাজার গ্রামের মৃত নাবালক মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য ইয়াবা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার
হোমনায় প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ফয়সল (২২) কে প্রথমে শ্বাসরোধ পরে জবাই করে
হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
সোমবার
সকাল সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মোঃ
জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যু
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিল্লা হোমনা উপজেলার রাজনগর গ্রামের মোঃ ফুল মিঞার ছেলে
মোঃ শামীম মিয়া (২৪) ও একই উপজেলার সাফলেজি গ্রামের মোঃ বেদন মিয়ার ছেলে মোঃ দুলাল
মিয়া (২০)।
মামলার
বিবরণে জানাযায়, হত্যাকাণ্ডের শিকার ফয়সল আসামি
মোঃ শামীম মিয়ার কলেজ পড়ুয়া বোন মেহেদী আক্তার (১৮) এর প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে পূর্ব
পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে ২০২০ সালের ৫ জুন ফয়সল তার মামা নজরুল মিয়ার ছাদে বন্ধুদের
সাথে আড্ডা দেওয়ার সময় তার মোবাইলে আসামি শামীম ফোন করে বলে আমিরুল ইসলাম উচ্চ বালিকা
বিদ্যালয়ের নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ে যাওয়ার জন্য। তখন ফয়সাল কাউকে কিছু না বলে শামীরের
কথামতো মামা বাড়ীর ছাদ থেকে বের হয়ে বাড়ীতে ফিরে না আসায় স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন স্থানে
খোজাখুজি করে না পেয়ে নিহতের বৃদ্ধ পিতা মোঃ মকবুল হোসেন হোমনা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি
করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্রেকিং এর মাধ্যমে প্রথমে
আসামি মোঃ শামীম মিয়াকে গ্রেফতার করার পর শামীম জানায় প্রথমে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ
করে এবং পরে ধারালো ছুরিকাঘাতে জবাই করে ফয়সলকে হত্যা করে লাশটি বিদ্যাময়ের মাঠে মাটিতে
পুঁতে রাখা হয়।
এ
ব্যাপারে ২০২০ সালের ১৩ জুন নিহত ফয়সলের বড় বোন হোমনা থানাধীন রাজনগর গ্রামের হারুন
মিয়ার স্ত্রী সালমা আক্তার বাদী হয়ে মোঃ শামীম মিয়াসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে হোমনা
থানায় মামলা দায়ের করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা
এসআই মোঃ শামীম সরকার তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্রেকিং এর মাধ্যমে আসামি মোঃ
শামীম মিয়া ও মোঃ দুলাল মিয়াকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে।
তারা
বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দির সময় শামীম জানান,
২০২০ সালের ৫ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার সময় ফয়সলকে প্রথমে শ্বাসরোধ পরে জবাই করে হত্যা
করে লাশ মাটির নিচে পুঁতে রাখে। ঘটনার ১২দিন পর গ্রেফতারকৃত আসামি শামীম এর দেখানো
মতে ভিকটিম ফয়সলের অর্ধ গলিত মরদেহ আমিরুল ইসলাম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের মাঠের মাটির
নিচ থেকে হোমনা থানাপুলিশ উদ্ধার করে সূরতাল রিপোর্ট তৈরি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে
১০জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামিদ্বয়ের প্রদত্ত
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামি মোঃ শামীম মিয়া ও মোঃ দুলাল মিয়া'র
বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড এবং একই সাথে
প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
রায়
ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ শামীম মিয়া ও মোঃ দুলাল মিয়া আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত
ছিলেন।
এ
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী অতিঃ পিপি এডভোকেট শেখ
মাসুদ ইকবাল মজুমদার ও মোঃ নূরুল ইসলাম বলেন, আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল
রেখে দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন।
অপরদিকে,
আসামিপক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী এডভোকেট বিমল কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, এ রায়ে আসামিপক্ষ
অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ। রায়ের কপি হাতে পেলে শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপীল করবো।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১৪০ কেজি গাঁজাসহ একটি টয়োটা মাইক্রোবাস জব্দ করেছে বুড়িচং থানা পুলিশ।
আজ (২০ জুন) রাতে বুড়িচং থানায় কর্মরত এসআই মোঃ নূরুল ইসলাম ও সঙ্গীয় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা বুড়িচং থানার ১নং রাজাপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত পাঁচোড়া দক্ষিণ পশ্চিম পাড়া নুর মসজিদের উত্তর পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর একটি টয়োটা মাইক্রোবাসকে থামার সংকেত দিলে পুলিশের উপস্থিতি টের পায়ে গাড়ী চালক ও গাড়ীতে থাকা দুইজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি গাড়ী থেকে নেমে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় মেম্বার ও উপস্থিত লোকজনের সামনে গাড়ীটি তল্লাশী করে গাড়ীর পিছনে থাকা ৭টি চটের বস্তায় ১৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। এ সময় টয়োটা মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়।
উক্ত ঘটনায় কুমিল্লা বুড়িচং থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মন্তব্য করুন