থার্টি
ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাতে কিছু সড়ক বন্ধ থাকবে। নিরাপত্তার স্বার্থে এসব
সড়ক ব্যবহার না করার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। সড়কগুলো
হলো-
১।
৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টা থেকে শাহবাগ, নীলক্ষেত ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, বকশী বাজার
ক্রসিং, পলাশী ক্রসিং এবং চাঁনখারপুল, শহিদুল্লাহ হল ক্রসিং দিয়ে কোনো প্রকার যানবাহন
প্রবেশ করবে না।
২।
৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৫টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়
প্রবেশের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছাড়া
অন্য যে কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন কেবলমাত্র পুরনো হাইকোর্ট-দোয়েল চত্বর-শহীদ মিনার-জগন্নাথ
হলের দক্ষিণ গেট-পলাশী মোড় দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। এসব এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে অন্যান্য
সব ক্রসিং বন্ধ থাকবে।
৩।
৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টা থেকে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে মহাখালী
এলাকা-ফিনিক্স রোড ক্রসিং, বনানী ১১ নম্বর রোড ক্রসিং, চেয়ারম্যান বাড়ি ক্রসিং, ঢাকা
গেট, শুটিং ক্লাব, বাড্ডা লিংক রোড, ডিওএইচএস বারিধারা-ইউনাইটেড হাসপাতাল ক্রসিং ও
নতুন বাজার ক্রসিং এলাকাগুলোতে প্রবেশের জন্য ব্যবহার করা যাবে না, তবে এসব এলাকা থেকে
বের হওয়ার ক্ষেত্রে ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে।
৪।
৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৫টা পর্যন্ত গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায়
যানবাহনযোগে প্রবেশের জন্য কামাল আতার্তুক অ্যাভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী
ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে।
সড়ক ব্যবহার সংক্রান্তে যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে ডিসি ট্রাফিক (গুলশান) ০১৩২০-০৪৪৩৬০, এডিসি ট্রাফিক (গুলশান) ০১৩২০-০৪৪৩৬১, এসি ট্রাফিক (গুলশান) ০১৩২০-০৪৪৩৭২, এসি ট্রাফিক (মহাখালী) ০১৩২০-০৪৪৩৭৫, এসি ট্রাফিক (বাড্ডা) ০১৩২০-০৪৪৩৭৮, ডিসি ট্রাফিক (রমনা) ০১৩২০-০৪২২৬০, এডিসি ট্রাফিক (রমনা) ০১৩২০-০৪২২৬১, ডিসি (গুলশান) ০১৩২০-০৪১৪২০ ও ডিসি (রমনা) ০১৩২০-০৩৯৪৪০ এসব নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোটের মধ্যে দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে।
১৮ নভেম্বর (শনিবার) সকালে
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি
কার্যক্রম পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা বলেন, দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, যেন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনটা হয়। অনেক
আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা চাই
জনগণের এই ভোটের অধিকার অব্যাহত থাকবে এবং ভোটের মধ্যে দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে। আজকের
দিনে আমাদের আহ্বান অনেক কষ্টে অর্জিত এই গণতান্ত্রিক ধারা যেন কেউ ব্যাহত করতে না
পারে। ভোটের অধিকার,দেশবাসীর অধিকার। ভোট দিয়ে তারা তাদের পছন্দমতো নেতা নির্বাচন
করবে, যারা সংসদে বসবে,আইন পাস করবে,রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। নির্বাচন বানচাল করার
যদি কেউ চেষ্টা করে, অগ্নিসন্ত্রাস অব্যাহত রাখে এর পরিণতি ভালো হবে না।যারা
নির্বাচন বানচাল করতে চায়, অগ্নিসন্ত্রাস করে, মানুষকে পুড়িয়ে মারে। এত সুন্দর
রাস্তাঘাট, মেট্রো রেল থেকে শুরু করে থার্ড টার্মিনাল সবকিছু করে দিয়েছি; এগুলো
যারা ধ্বংস করতে যাবে আমি জনগণকে আহ্বান করব তাদের প্রতিরোধ করতে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, যে
সকল দল নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের সাধুবাদ জানাই, ধন্যবাদ জানাই।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলে আসছেন এক ইঞ্চি জায়গাও ফাঁকা রাখবেন না। সব জায়গায় সবজি উৎপাদন করুন। আমরা কিন্তু এর ফল পেয়েছি। সবাই পতিত জমিতে শাক-সবজি চাষ করছে। এজন্য ইউক্রেন-রাশিয়া ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিনির যুদ্ধে কঠিন সময়েও দেশে খাদ্য ঘাটতি নেই।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে নগর কৃষিমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনায় সবাই মনোযোগ দিয়েছে। কৃষিতে কীভাবে বাম্পার ফলন করতে হবে, কোনো জায়গা যেন অনাবাদি না থাকে সেই। খাদ্য ঘাটতি যদি থাকতো, তাহলে আমরা কী অবস্থায় পড়তাম তা আপনারা নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, একজন বললেন ছাদে মাছ পালন করছেন। ছাদে যদি সুইমিংপুল থাকতে পারে, তাহলে মাছের খামার হবে না কেন। আমাদের জমি কমতে থাকলেও, উৎসাহ কিন্তু কমেনি। কীভাবে স্বাবলম্বী হবো, কীভাবে আরও এগিয়ে যাব সেটাই আমাদের চিন্তা। সেজন্যই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারতের সঙ্গে সংশয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভেঙে দিয়েছেন।
এর আগে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, রোড কানেক্টিভিটি, ইলেকট্রিক বাস একটা বিষয় আছে। আমাদের যেগুলো চলমান প্রকল্প ভারতের সঙ্গে যেগুলো এলওসিতে চলছে, সেগুলোর অগ্রগতি এবং পরে বাংলাদেশের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা কীভাবে অংশ নিতে পারে, শেয়ার করতে পারে- সে বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের নির্বাচন সামনে রেখে সার্বিক বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত আমাদের সঙ্গে সৎ প্রতিবেশীমূলক আচরণ করেছে। যেটা প্রয়োজন ছিল। তখন ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, সে কথা তো আমাদের স্বীকার করতেই হবে।
একুশ বছর ভারতের সঙ্গে আমাদের শত্রুভাবাপন্ন সম্পর্ক ছিল দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের সঙ্গে সংশয় ও অবিশ্বাসের দেয়ালটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভেঙে দিয়েছেন।সমসাময়িক বিশ্ব পরিস্থিতিতে আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় হওয়া দরকার। সেই সম্পর্ক বজায় রাখতে আমরা উভয় পক্ষই একমত।
নির্বাচনের আগে ভারতের সঙ্গে যেমন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল, এখনো কি সেভাবে আছে, আগামীতে কি সেভাবে থাকবে- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন,ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের চিড় ধরার কোনো কারণ আমি দেখছি না।
মন্তব্য করুন
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে আজ থেকে। যাচাই-বাছাই চলবে আগামী সোমবার পর্যন্ত।
যাচাই বাছাই শেষে আগামী ৪ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১০টার পর থেকে ঢাকা জেলার বিভিন্ন আসনের প্রার্থীদের বিষয়ে জানাবে নির্বাচন কমিশন।
এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি কার্যক্রম চলবে ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে। প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। প্রার্থীরা ওইদিন থেকেই প্রচারণা শুরুর সুযোগ পাবেন।
২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে প্রচার-প্রচারণা।
৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন
মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধের কোনো কারণ নেই। আমরা কারো সঙ্গেই যুদ্ধ জড়াতে চাই না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে অবস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান। এর আগে তিনি সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন ফরম বিক্রির বুথ পরিদর্শন করেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গা বিষয়ে আমাদের যে সমস্যা, সেটি আন্তর্জাতিকভাবে সমাধানের প্রয়াস চলছে। আমরা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আমাদের উদ্বেগ জানাবো, তাদের বক্তব্য শুনবো।
ব্রিফিংয়ে মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কাদের বলেন, বিষয়টি তাদের অভ্যন্তরীণ। এটা এমন নয় যে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের যুদ্ধ। আমরা তো একে অন্যের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত নই। তাদের অভ্যন্তরীণ সংঘাতটি সীমান্ত পর্যন্ত গড়াচ্ছে। সীমান্ত থেকে মর্টার শেল, গোলা আমাদের এখানে ছিটকে পড়ছে। এতে আমাদের দেশে দুইজন নিহত হয়েছেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মিয়ানমারের সংঘাতের সঙ্গে সেন্টমার্টিন বা বঙ্গোপসাগরের ভূরাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করছি না। তাদের ৫৪টির মতো এথনিক কমিউনিটি আছে। এই এথনিক কমিউনিটিগুলো ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গা দখলে নিয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের অভ্যন্তরীণ সংঘাত, আমাদের সঙ্গে তাদের কোনো বিরোধ নেই।
এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, আগামী শনিবার আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার
(২৮ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন
মন্ত্রণালয়ের ছুটি ঘোষণার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামাং দ্য
ডিফরেন্স মিনিস্ট্রিজ অ্যান্ড ডিভিশন্স’র জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অংশে ৩৭ নম্বর ক্রমিকে
দেওয়া ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা মোতাবেক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ
নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৭ জানুয়ারি (রোববার) সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত
ও বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং সরকারি, বেসরকারি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও ভোটগ্রহণের সুবিধার্থে
সারাদেশে নির্বাচনকালীন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।
তার আগে ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।
মন্তব্য করুন
নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের তথ্য সংরক্ষণ ও রিপোর্ট কার্ড তৈরির অ্যাপ ‘নৈপুন্য’ আগামী শনিবার (৪ নভেম্বর) উন্মুক্ত করা হবে।আর এ অ্যাপটি রেজিস্ট্রেশন করতে সব স্কুলকে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।একইসঙ্গে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের তথ্য সংগ্রহের অ্যাপটি ব্যবহারের গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। আদেশ ও গাইডলাইনটি মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তা ও সরকারি-বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।
আগামী শনিবার থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত এ অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন প্রধান শিক্ষকরা।
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালুকৃত মূল্যায়ন পদ্ধতিতে শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়নের তথ্য সংরক্ষণ ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুতের সুবিধার্থে এটুআইয়ের কারিগরি সহায়তায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ‘নৈপুণ্য’ নামে একটি অ্যাপ উন্নয়ন করা হয়েছে। অ্যাপটি আগামী ৪ নভেম্বর সকাল ১০ টা থেকে উন্মুক্ত করা হবে।
'নৈপুণ্য' অ্যাপটির ওয়েব ভার্সন ব্যবহার সংক্রান্ত একটি গাইডলাইন বা নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আগামী ৪ থেকে ৮ নভেম্বরের মধ্যে ‘নৈপুণ্য’ অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে অ্যাপটিতে রেজিস্ট্রেশন করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছে অধিদপ্তর।
মন্তব্য করুন
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
২১ নভেম্বর মঙ্গলবার আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়া, অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খারে, নিরাপত্তা বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল উনাইসি ভুনিওয়াকা, জাতিসংঘের মিলিটারি এডভাইজর জেনারেল বিরামে ডিওপসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ (স্থায়ী প্রতিনিধি) ও সামরিক উপদেষ্টাগণ (মিলিটারি এডভাইজর) অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
অনুষ্ঠানে দেশে ও বিদেশে সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে আগত অতিথিদের উদ্দেশ্যে একটি তথ্যবহুল ব্রিফিং প্রদান করেন মিশনের ডিফেন্স এ্যাডভাইজার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাদেকুজ্জামান। বক্তব্য পর্ব শেষে স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত আগত অতিথিদের নিয়ে কেক কাটা হয়।
মন্তব্য করুন
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান এবং বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় বিজিবি’র একটি সুসজ্জিত দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। এরপর ফাতেহা শরীফ পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রূহের মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দীর্ঘায়ু ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়। পরে মহাপরিচালক বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষে বিজিবি মহাপরিচালক দেশ মাতৃকার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং দেশের মানুষের কল্যাণে সবাইকে সাথে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বিজিবি মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় বিজিবি সদর দপ্তর এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, যশোর রিজিয়ন কমান্ডার, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
এর আগে আজ সকালে নবনিযুক্ত বিজিবি মহাপরিচালক পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরের ‘সীমান্ত গৌরব’ এ মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মন্তব্য করুন
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ
উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজোল্যুশন (প্রস্তাবনা) সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত
হয়েছে। ১১২টি দেশ এই রেজোল্যুশনটিতে কো-স্পন্সর করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
প্রথম মেয়াদে সরকার পরিচালনার সময় ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে
শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি গৃহীত হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশ
‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজোল্যুশনটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে, যা শান্তি
ও অহিংসার সংস্কৃতিকে উন্নীত করার জন্য আটটি বিশেষ ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে, সে অনুযায়ী
কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সবার প্রতি আহ্বান রয়েছে এতে। এছাড়া সাধারণ পরিষদের সভাপতির
নেতৃত্বে ২০১২ সাল থেকে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটি উচ্চ পর্যায়ের
ফোরামের আয়োজন করে আসছে।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার
(২ মে) জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত
বাংলাদেশের পক্ষে এটি উত্থাপন করেন। শুক্রবার (৩ মে) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন
এ তথ্য জানায়।
স্থায়ী মিশন বলছে, চলতি বছর
আলোচ্য রেজোল্যুশনটি একটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। কেননা এ বছরে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা
এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি ২৫তম বর্ষে পদার্পণ করেছে।
প্রস্তাবনাটি উপস্থাপনের
সময় রাষ্ট্রদূত মুহিত বিভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতির অব্যাহত
প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আজ বিশ্ব ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এবং মানবিক মর্যাদা
অবজ্ঞার মুখোমুখি। এই ক্রমবর্ধমান সংঘাত ও সহিংসতা থেকে উত্তরণে মানবমনে সম্প্রীতি
ও সহমর্মিতার ভাবকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে, সমতা ও সব মানুষের সমমর্যাদার চেতনাকে সমুন্নত
করতে হবে এবং সর্বোপরি যুদ্ধের চেয়ে শান্তিকে অনেক বেশি লাভজনক করে তুলতে হবে।
যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের
নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির
ধারণা প্রবর্তনের বাংলাদেশের উদ্যোগটি আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত। বৈষম্য,
বর্ণবাদী অসহিষ্ণুতা এবং পরাধীনতা আমাদের একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করে।
এ কারণেই আমরা শান্তির প্রসারকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক নীতিতে পরিণত করেছি।
এবারের রেজোল্যুশনে শান্তির
সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচির ২৫তম বার্ষিকী যথাযথভাবে পালন ও উদ্যাপনের
জন্য সাধারণ পরিষদের সভাপতিকে দিনব্যাপী একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম আহ্বান করার জন্য
অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া এ রেজোল্যুশনে সাধারণ পরিষদের সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘের
আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা, নাগরিক সমাজ, বেসরকারি খাত, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
এবং মিডিয়াসহ অন্যান্য অংশীজনদের শিক্ষা ও জনসচেতনতা সম্প্রসারণসহ অন্যান্য আয়োজনের
মাধ্যমে যথাযথভাবে এই বার্ষিকীটি পালনের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
রেজোল্যুশনটির বিবেচনার পূর্বে
শান্তির সংস্কৃতির ওপর সাধারণ পরিষদে একটি সাধারণ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বহুসংখ্যক
সদস্য রাষ্ট্র বক্তব্য দেয়। এ সময় তারা শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি
বাস্তবায়নে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে।
সবশেষে প্রতিনিধি দলগুলো
জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক
নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানায়।
মন্তব্য করুন