দশ বছরের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী

দশ বছরের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী
ছবি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দীর্ঘ ১০ বছর নিঃসন্তান থাকার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এনি আক্তার নামের এক নারী।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে নগরীর পিপলস হাসপাতালে জন্ম নেওয়া নবজাতকদের মধ্যে তিনজন কন্যা ও দুই পুত্র।

চিকিৎসকদের পরামর্শে ইন্ট্রা ইউটেরাইন ইনসেমিনেশন পদ্ধতি গ্রহণ করেছিলেন এনি আক্তার ও তার স্বামী। বহু বছর চিকিৎসা গ্রহণ করেও ব্যর্থ হওয়া এই দম্পতির জন্য ঘটনা মানবিক দিক থেকে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে পাঁচ নবজাতকই নগরীর পার্ক ভিউ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিন শিশুর ওজন যথাক্রমে ১ কেজি ৬০০ গ্রাম, ১ কেজি ৫০০ গ্রাম ও ১ কেজি ৪০০ গ্রাম। বাকি দুই কন্যাশিশুর ওজন ১ কেজি করে যা তুলনামূলক কম হওয়ায় তাদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। নবজাতকদের ন্যূনতম ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও ইনফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমি জানান, এনি আক্তার বহু বছর ধরে নিঃসন্তান থাকার কষ্টে ছিলেন। তাদের সংসার পর্যন্ত ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। আর্থিকভাবে অসচ্ছল হওয়া সত্ত্বেও কষ্ট করে চিকিৎসার ব্যয় বহন করেছেন তারা। একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম সত্যিই ব্যতিক্রমী ঘটনা।

মা এনি আক্তার বর্তমানে সুস্থ আছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। সাতকানিয়ায় ছোট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এনি আক্তারের স্বামী সন্তানের চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলেও, দীর্ঘদিন পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের আগমনে উচ্ছ্বসিত পরিবার।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ

‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’ পেল ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

মহাসড়কে মাইক্রোবাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও পুরস্কার প্রদান

দুর্নীতি দমনে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি: তারেক রহমান

ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: মির্জা ফখরুল

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৪০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গেলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৯৯ সদস্য

৭ তলা ভবনে আগুন, নিহত ২০

মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস এর বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

১০

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন ৪ বিশিষ্ট নারী

১১

ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা পড়লো খাদে, প্রাণ গেল ২ জনের

১২

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চলতি সপ্তাহে: সিইসি

১৩

নারীর চুলের খোপা থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

১৪

দশ বছরের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী

১৫

প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া, ভিডিও কলে রেখেই প্রাণ দিলেন প্রেমিক

১৬

খেলায় অতিথি না করায় খেলনা পিস্তল দেখিয়ে হুমকি , যুবক আটক

১৭

মাহফিলের মঞ্চে বয়ানরত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বক্তা

১৮

কমেন্টে ‘চুদলিং পং’ লেখা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

১৯

দেশে খাদ্য মজুদ যা থাকার কথা তার চেয়ে বেশি আছে : কুমিল্লায় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

২০

পবিত্র লাইলাতুল কদর,হতে পারে শেষ দশকের যেকোন এক বিজোড় রাত

পবিত্র লাইলাতুল কদর,হতে পারে শেষ দশকের যেকোন এক বিজোড় রাত
পবিত্র লাইলাতুল কদর

রমজান মাসের পুরোটা জুড়েই রয়েছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত।  


নবী রাসুলুল্লাহ (সা.) বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন হলো রহমত; তার দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাত; এর শেষ ১০ দিন হলো নাজাত। 


আজ রোববার (৩১ মার্চ) শেষ হচ্ছে মাগফিরাতের দ্বিতীয় দশক। সেই সাথে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে রমজান মাসের শেষ দশক ‘নাজাত’।

এই নাজাতের দশকে এমন একটি রাতের কথা বলা হয়েছে, যেই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম। কারণ, এ রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কার হেরা পর্বতের গুহায় মহান আল্লাহ মুহাম্মাদ (সা.)-এর কাছে পবিত্র কোরআন নাজিল করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি একে নাজিল করেছি কদরের রাতে। তুমি কি জানো, কদরের রাত কী? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ (সুরা কদর: ১-৩)

তাই আজ রাত থেকে শুরু হচ্ছে শেষ দশকের বেজোড় রাত। 

মূলত, ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ এই পাঁচ দিন যদি পূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে কোন বান্দা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত করেন, তাহলে সেই বান্দার ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম হিসেবে মালিক আল্লাহ গ্রহণ করবেন।

‘শবে কদর’ কথাটি ফারসি। শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুণাগুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত। তবে মর্যাদার রাতটি পাওয়া এতো সহজ নয়। কঠিন কিন্তু ঈমানদারগণ যদি নেক দিলে ইবাদাত করে, মহান আল্লাহ অবশ্যই পুরস্কার দিবেন।

এ রাতটি রমাযানের শেষ দশকে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘‘রমজানের শেষ দশদিনে তোমরা কদরের রাত তালাশ কর।’’ (বুখারী : ২০২০; মুসলিম : ১১৬৯)

মহিমান্বিত এ রাতকে আল্লাহ তাআলা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে সুপ্ত রেখেছেন। তিনি এটাকে সুনির্দিষ্ট করে বলেননি। 

তিনি বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে শবে কদর অনুসন্ধান করো।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ

‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’ পেল ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

মহাসড়কে মাইক্রোবাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও পুরস্কার প্রদান

দুর্নীতি দমনে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি: তারেক রহমান

ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: মির্জা ফখরুল

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৪০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গেলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৯৯ সদস্য

৭ তলা ভবনে আগুন, নিহত ২০

মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস এর বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

১০

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন ৪ বিশিষ্ট নারী

১১

ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা পড়লো খাদে, প্রাণ গেল ২ জনের

১২

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চলতি সপ্তাহে: সিইসি

১৩

নারীর চুলের খোপা থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

১৪

দশ বছরের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী

১৫

প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া, ভিডিও কলে রেখেই প্রাণ দিলেন প্রেমিক

১৬

খেলায় অতিথি না করায় খেলনা পিস্তল দেখিয়ে হুমকি , যুবক আটক

১৭

মাহফিলের মঞ্চে বয়ানরত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বক্তা

১৮

কমেন্টে ‘চুদলিং পং’ লেখা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

১৯

দেশে খাদ্য মজুদ যা থাকার কথা তার চেয়ে বেশি আছে : কুমিল্লায় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

২০

জাকসুর ভিপি আবদুর রশীদ জিতু, জিএস মাজহারুল ইসলাম

জাকসুর ভিপি আবদুর রশীদ জিতু, জিএস মাজহারুল ইসলাম
ছবি

জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। ছাত্রদের হলের মধ্যে আল বেরুনী হলে ভোটার ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ জন, ১০ নম্বর ছাত্র হলে ৫২২ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হলে ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন ভোটার রয়েছেন।

ছাত্রীদের হলে মধ্যে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হলে ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ৫৭১ জন, রোকেয়া হলে ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৭৯৮ জন এবং তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন ভোটার রয়েছেন।

এবার প্রায় ৬৭-৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদে মোট ২৫টি পদে লড়েছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। ভিপি পদে ৯ ও জিএস পদে ৮ জন প্রার্থী ছিলেন। ছাত্রীদের ১০টি আবাসিক হলে ১৫০টি পদের মধ্যে ৫৯টিতে কোনো প্রার্থী ছিলেন না। একজন করে প্রার্থী ছিলেন ৬৭টি পদে। সে হিসাবে মাত্র ২৪টি পদে ভোট নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের মধ্য ২টি হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ

‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’ পেল ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

মহাসড়কে মাইক্রোবাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও পুরস্কার প্রদান

দুর্নীতি দমনে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি: তারেক রহমান

ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: মির্জা ফখরুল

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৪০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গেলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৯৯ সদস্য

৭ তলা ভবনে আগুন, নিহত ২০

মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস এর বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

১০

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন ৪ বিশিষ্ট নারী

১১

ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা পড়লো খাদে, প্রাণ গেল ২ জনের

১২

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চলতি সপ্তাহে: সিইসি

১৩

নারীর চুলের খোপা থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

১৪

দশ বছরের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী

১৫

প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া, ভিডিও কলে রেখেই প্রাণ দিলেন প্রেমিক

১৬

খেলায় অতিথি না করায় খেলনা পিস্তল দেখিয়ে হুমকি , যুবক আটক

১৭

মাহফিলের মঞ্চে বয়ানরত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বক্তা

১৮

কমেন্টে ‘চুদলিং পং’ লেখা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

১৯

দেশে খাদ্য মজুদ যা থাকার কথা তার চেয়ে বেশি আছে : কুমিল্লায় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

২০

পিবিআই প্রধান হলেন তওফিক মাহবুব

পিবিআই প্রধান হলেন তওফিক মাহবুব
ফাইল ছবি

তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত আইজিপি মো. তওফিক মাহবুব চৌধুরী। তিনি পুলিশ সদর দফতরে ডেভেলপমেন্ট শাখায় অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব মো. মাহাবুর রহমান শেখ সই করা এক প্রজ্ঞাপনে তাকে পদায়ন করা হয়েছে।

অতিরিক্ত আইজিপি মো. তওফিক মাহবুব চৌধুরী ১৫তম বিসিএসের মাধ্যমে ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর কসভো (২০০২), লাইবেরিয়া (২০০৬) ও দারফুর, সুদান (২০১১) মিশনে ইউএন পুলিশ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ভার্জিনিয়ায় ইউএস-এর এফবিআই ন্যাশনাল একাডেমিতে তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ

‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’ পেল ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

মহাসড়কে মাইক্রোবাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও পুরস্কার প্রদান

দুর্নীতি দমনে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি: তারেক রহমান

ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: মির্জা ফখরুল

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৪০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গেলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৯৯ সদস্য

৭ তলা ভবনে আগুন, নিহত ২০

মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস এর বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

১০

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন ৪ বিশিষ্ট নারী

১১

ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা পড়লো খাদে, প্রাণ গেল ২ জনের

১২

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চলতি সপ্তাহে: সিইসি

১৩

নারীর চুলের খোপা থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

১৪

দশ বছরের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী

১৫

প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া, ভিডিও কলে রেখেই প্রাণ দিলেন প্রেমিক

১৬

খেলায় অতিথি না করায় খেলনা পিস্তল দেখিয়ে হুমকি , যুবক আটক

১৭

মাহফিলের মঞ্চে বয়ানরত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বক্তা

১৮

কমেন্টে ‘চুদলিং পং’ লেখা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

১৯

দেশে খাদ্য মজুদ যা থাকার কথা তার চেয়ে বেশি আছে : কুমিল্লায় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

২০

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি : প্রধান উপদেষ্টা

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি : প্রধান উপদেষ্টা
সংগৃহীত

বিপ্লবোত্তর নতুন বাংলাদেশে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সব মানুষকে একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা।  গত ০৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এই নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সব মানুষকে একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এই নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সব মানুষকে একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। পরিবারে মতভেদ থাকবে, বাকবিতণ্ডা হবেকিন্তু আমরা কেউ কারও শত্রু হবো না।  কাউকে তার মতের জন্য শত্রু মনে করব না। কাউকে ধর্মের কারণে শত্রু মনে করব না। আমরা সবাই সমান। কেউ কারো ওপরে না এবং কেউ কারো নিচে না এই ধারণা আমরা জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। বৈষম্যহীন, শোষণহীন, কল্যাণময় এবং মুক্ত বাতাসের রাষ্ট্রের যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন, আমি তাদের সেই স্বপ্ন পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা এখন থেকেই বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়তে চাই যেন এই দেশে জনগণই সত্যিকার অর্থে সব ক্ষমতার উৎস হয়। বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে একটি মানবিকও কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে সমাদৃত হয়। আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি হবে পারস্পরিক সম্মান, আস্থা, বিশ্বাসও সহযোগিতা। জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এবং বৈশ্বিক শান্তি ও অর্থনীতি সুসংহত করণে আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে। তাই, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

তরুণদের সৃজনশীলতার বিকাশের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের তরুণ সমাজ সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও যেন মেধার ভিত্তিতে নিজ নিজ সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে দেশ গঠনে অবদান রাখতে পারে আমাদের সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

এর আগে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আগে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিন বাহিনী প্রধান।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ

‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’ পেল ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

মহাসড়কে মাইক্রোবাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও পুরস্কার প্রদান

দুর্নীতি দমনে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি: তারেক রহমান

ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: মির্জা ফখরুল

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৪০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গেলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৯৯ সদস্য

৭ তলা ভবনে আগুন, নিহত ২০

মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস এর বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

১০

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন ৪ বিশিষ্ট নারী

১১

ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা পড়লো খাদে, প্রাণ গেল ২ জনের

১২

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চলতি সপ্তাহে: সিইসি

১৩

নারীর চুলের খোপা থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

১৪

দশ বছরের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী

১৫

প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া, ভিডিও কলে রেখেই প্রাণ দিলেন প্রেমিক

১৬

খেলায় অতিথি না করায় খেলনা পিস্তল দেখিয়ে হুমকি , যুবক আটক

১৭

মাহফিলের মঞ্চে বয়ানরত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বক্তা

১৮

কমেন্টে ‘চুদলিং পং’ লেখা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

১৯

দেশে খাদ্য মজুদ যা থাকার কথা তার চেয়ে বেশি আছে : কুমিল্লায় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

২০

স্ত্রীকে হত্যার পর লাশের সঙ্গে সেলফি

স্ত্রীকে হত্যার পর লাশের সঙ্গে সেলফি
ছবি

ভারতের তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরে এক নারীদের হোস্টেলের ভেতরে ঢুকে নিজের স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীকে হত্যার পর লাশের সঙ্গে সেলফি তুলে সেটি হোয়াটসঅ্যাপেও পোস্ট করেন। গত রোববারের (৩০ নভেম্বর) এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে রাজ্যে নারী নির্যাতন ও নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। 

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত নারীর নাম শ্রীপ্রিয়া। তিনি কোয়েম্বাটুরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। অভিযুক্ত স্বামীর নাম বালামুরুগান। তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহের কারণে ২ জন আলাদা থাকতেন। নিহত ওই নারী একটি হোস্টেলে থাকতেন। পুলিশ আরও জানিয়েছে, বালামুরুগান গত রোববার দুপুরে স্ত্রীকে দেখার অজুহাতে হোস্টেলে ঢোকেন। এ সময় তার কাপড়ের ভেতর একটি দা লুকিয়ে রেখেছিলেন।

তদন্তকারীরা জানান, দেখা হওয়ার পরপরই ২ জনের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে বালামুরুগান লুকিয়ে আনা দা বের করে শ্রীপ্রিয়াকে কোপাতে শুরু করেন এবং ঘটনাস্থলেই তাকে হত্যা করেন। পুলিশ বলছে, হত্যার পর তিনি স্ত্রীর নিথর দেহের পাশে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলেন এবং সেটি হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে আপলোড করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি দাবি করেন— তার স্ত্রী নাকি তার সঙ্গে ‘প্রতারণা’ করেছেন। হত্যাকাণ্ডের সময় হোস্টেলের বাসিন্দারা চিৎকার করে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু বালামুরুগান পালিয়ে যাননি; বরং ঘটনাস্থলেই দাঁড়িয়ে পুলিশের জন্য অপেক্ষা করেন। পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে এবং দা উদ্ধার করে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ধারণা করেছিলেন শ্রীপ্রিয়া অন্য ১ জনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িত। এ ঘটনায় তামিলনাড়ুতে নারীর নিরাপত্তা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক নতুন করে তীব্র হয়েছে। বিরোধীরা ডিএমকে সরকারের বিরুদ্ধে নারীদের সুরক্ষায় ব্যর্থতা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অভিযোগ তুলছে। তাদের দাবি, রাজ্যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও যৌন অপরাধ বেড়েই চলেছে। তবে ডিএমকে সরকার এবং রাজ্য পুলিশ বলছে, এসব ঘটনা বিচ্ছিন্ন এবং ব্যক্তিগত বিরোধ থেকে ঘটেছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রতিটি ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, যাতে অপরাধীরা দ্রুত বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি পায়।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ

‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’ পেল ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

মহাসড়কে মাইক্রোবাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও পুরস্কার প্রদান

দুর্নীতি দমনে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি: তারেক রহমান

ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: মির্জা ফখরুল

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৪০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গেলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৯৯ সদস্য

৭ তলা ভবনে আগুন, নিহত ২০

মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস এর বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

১০

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন ৪ বিশিষ্ট নারী

১১

ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা পড়লো খাদে, প্রাণ গেল ২ জনের

১২

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চলতি সপ্তাহে: সিইসি

১৩

নারীর চুলের খোপা থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

১৪

দশ বছরের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী

১৫

প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া, ভিডিও কলে রেখেই প্রাণ দিলেন প্রেমিক

১৬

খেলায় অতিথি না করায় খেলনা পিস্তল দেখিয়ে হুমকি , যুবক আটক

১৭

মাহফিলের মঞ্চে বয়ানরত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বক্তা

১৮

কমেন্টে ‘চুদলিং পং’ লেখা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

১৯

দেশে খাদ্য মজুদ যা থাকার কথা তার চেয়ে বেশি আছে : কুমিল্লায় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

২০

রোজায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে

রোজায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে
ফাইল ছবি

রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্কুল খোলা রাখার ব্যাপারে আগের জারি করা প্রজ্ঞাপনও স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আজ এ আদেশ দেন।

রবিবার (১০ মার্চ) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে রমজানের প্রথম ১৫ দিন মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল এবং প্রথম দশ দিন প্রাথমিক স্কুল চালু রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে রমজানের প্রথম ১০ দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ক্লাস চলবে। জোহরের নামাজের জন্য সোয়া একটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিরতি থাকবে।

অন্যদিকে রমজান উপলক্ষ্যে ৭ মার্চ থেকে সারা দেশের সব মাদরাসা ছুটি শুরুর কথা ছিল। তবে স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণার পর মাদরাসার ছুটির তালিকাও সংশোধন করে সরকার। এতে ১৫ দিন ছুটি কমানো হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মাদরাসায় ক্লাস-পরীক্ষা ২১ মার্চ পর্যন্ত চলবে বলে জানানো হয়। দেশের তিনটি সরকারি আলিয়া মাদরাসা এবং বেসরকারি ইবতেদায়ী, দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসায় শ্রেণি কার্যক্রমও চলবে বলে উল্লেখ করা হয়।

প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১১ বা ১২ মার্চ পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ

‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’ পেল ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

মহাসড়কে মাইক্রোবাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও পুরস্কার প্রদান

দুর্নীতি দমনে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি: তারেক রহমান

ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: মির্জা ফখরুল

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৪০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গেলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৯৯ সদস্য

৭ তলা ভবনে আগুন, নিহত ২০

মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস এর বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

১০

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন ৪ বিশিষ্ট নারী

১১

ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা পড়লো খাদে, প্রাণ গেল ২ জনের

১২

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চলতি সপ্তাহে: সিইসি

১৩

নারীর চুলের খোপা থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

১৪

দশ বছরের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী

১৫

প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া, ভিডিও কলে রেখেই প্রাণ দিলেন প্রেমিক

১৬

খেলায় অতিথি না করায় খেলনা পিস্তল দেখিয়ে হুমকি , যুবক আটক

১৭

মাহফিলের মঞ্চে বয়ানরত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বক্তা

১৮

কমেন্টে ‘চুদলিং পং’ লেখা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

১৯

দেশে খাদ্য মজুদ যা থাকার কথা তার চেয়ে বেশি আছে : কুমিল্লায় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

২০

দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেমগুলোর জন্য মানুষের দেয়ালে পিঠ লেগে গিয়েছিল: সারজিস আলম

দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেমগুলোর জন্য মানুষের দেয়ালে পিঠ লেগে গিয়েছিল: সারজিস আলম
সংগৃহীত

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেমগুলোর জন্য বিগত ১৬ বছরে মানুষ বিরক্ত হতে হতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের ১৬ বছরে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচন কমিশন সংস্কার না করলে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যাবে না। শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য ২ হাজার মানুষ জীবন দেয়নি আর এ অভ্যুত্থানও হয়নি।

আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। 

সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমরা বলছি না রাষ্ট্রের সবকিছু সংস্কার করে নির্বাচনে যান। আমরা এটাও বলছি না আগামী ৫-৬ বছর সংস্কার করেন। কিন্তু সংস্কারের জন্য ন্যূনতম একটা যৌক্তিক সময় লাগবে। কোনো বিবেকবান মানুষ তার জায়গা থেকে চিন্তা করতে পারবে না যে এক বছরের মধ্যে সবকিছু সংস্কার হয়ে যাবে। ১৬ বছর ধরে যে সিস্টেমগুলোকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করা হয়েছে, সেই সিস্টেমগুলোকে সংস্কার করতে একটা যৌক্তিক সময় প্রয়োজন। বিগত ১৬ বছর এমনকি ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশের সংবিধান পাঁচ বছরের জন্য দেশের মানুষকে একটি ‘জনতার সরকারউপহার দিতে পারেনি। আমাদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করতে পারেনি। সেই সাংবিধানিক সংস্কারও প্রয়োজন।   প্রত্যেক পাঁচ বছরের জন্য বড় বড় ইশতেহার দিয়ে প্রতিটি সরকার ক্ষমতায় আসে। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পরপরই তারা ইশতেহার ভুলে যায়। তারা ভুলে যায় তারা যে জনতার সরকার। শুধু একটা নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারে না। এর পাশাপাশি অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান জড়িত। এর মধ্যে অন্যতম হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে একটা সিস্টেমের মধ্যে আনতে হবে। তা না হলে নির্বাচন দিলে আবার জবরদখলের ঘটনা ঘটতে পারে। ক্ষমতার অপব্যবহার হতে পারে। আবার এ নির্বাচন ঘিরে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেজন্য একটা বিচারিক প্রক্রিয়া প্রয়োজন। তাই বিচার ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন।

শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে চেক বিতরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারা দেশ থেকে প্রায় ১ হাজার ৬০০ জনের বেশি শহীদ পরিবারের তালিকা আমাদের কাছে এসেছে। আপাতত যাচাই-বাছাই করে নির্বাচিতদের পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক দেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রতিটি বিভাগীয় পর্যায়ে গিয়ে শহীদের পরিবারের হাতে অনুদানের চেক তুলে দিচ্ছি। এটা আমাদের দায়িত্ব। বাকি যারা রয়েছেন তাদের কাগজপত্র সংগ্রহের কাজ চলছে। সেগুলো হাতে পেলে অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হবে।

চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধসহ ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ

‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’ পেল ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

মহাসড়কে মাইক্রোবাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও পুরস্কার প্রদান

দুর্নীতি দমনে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি: তারেক রহমান

ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: মির্জা ফখরুল

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৪০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গেলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৯৯ সদস্য

৭ তলা ভবনে আগুন, নিহত ২০

মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস এর বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

১০

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন ৪ বিশিষ্ট নারী

১১

ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা পড়লো খাদে, প্রাণ গেল ২ জনের

১২

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চলতি সপ্তাহে: সিইসি

১৩

নারীর চুলের খোপা থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

১৪

দশ বছরের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী

১৫

প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া, ভিডিও কলে রেখেই প্রাণ দিলেন প্রেমিক

১৬

খেলায় অতিথি না করায় খেলনা পিস্তল দেখিয়ে হুমকি , যুবক আটক

১৭

মাহফিলের মঞ্চে বয়ানরত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বক্তা

১৮

কমেন্টে ‘চুদলিং পং’ লেখা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

১৯

দেশে খাদ্য মজুদ যা থাকার কথা তার চেয়ে বেশি আছে : কুমিল্লায় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

২০

ঝিনাইদহে ডাকাত ধরতে জেলে ও কৃষকের ছদ্মবেশে পুলিশের অভিযান

ঝিনাইদহে ডাকাত ধরতে জেলে ও কৃষকের ছদ্মবেশে পুলিশের অভিযান
ছবি

বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলের দিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার দুর্গাপুর পদ্মবিল এলাকায় পুলিশের একটি বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। কয়েকদিন ধরে এলাকায় সড়কে গাছ ফেলে পথচারী ও যানবাহন থামিয়ে ডাকাতির ঘটনা বাড়তে থাকায় পুলিশ গোপনে নজরদারি শুরু করে। এ–সংক্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তির অবস্থান শনাক্ত হলে পুলিশ ভিন্ন কৌশলে অভিযান সাজায়।

গ্রেপ্তার হওয়া দুই ব্যক্তি হলেন—মহেশপুরের বেগমপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে সোহেল রানা (২৮) এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ নফর কান্দি গ্রামের মসলেম খলিফার ছেলে আলী হোসেন (৩৫)। পুলিশ জানিয়েছে, তারা দুজন দীর্ঘদিন ধরে মহেশপুর ও আশপাশের সড়কে গাছ ফেলে পথ আটকে ডাকাতি ও ছিনতাই করছিল।মহেশপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, গোপন সূত্র থেকে খবর পাওয়া যায় যে পদ্মবিল এলাকায় ডাকাতদলের দুই মূল সদস্য লুকিয়ে আছে। তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ সদস্যরা ছদ্মবেশে এলাকায় অবস্থান নেয়—কেউ জেলের পোশাকে বিলে ঘোরাফেরা করতে থাকে, আবার কেউ কৃষক সেজে আশপাশে নজরদারি করে। কিছুক্ষণ পর লক্ষ্য করা যায় সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তি ঘোরাফেরা করছে। মুহূর্তেই পুলিশ তাদের পিছু নিয়ে ধরে ফেলে।

ওসি আরও জানান, আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি তাদের মাধ্যমে চক্রের অন্য সদস্যদেরও শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ

‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’ পেল ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

মহাসড়কে মাইক্রোবাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও পুরস্কার প্রদান

দুর্নীতি দমনে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি: তারেক রহমান

ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: মির্জা ফখরুল

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৪০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গেলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৯৯ সদস্য

৭ তলা ভবনে আগুন, নিহত ২০

মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস এর বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

১০

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন ৪ বিশিষ্ট নারী

১১

ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা পড়লো খাদে, প্রাণ গেল ২ জনের

১২

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চলতি সপ্তাহে: সিইসি

১৩

নারীর চুলের খোপা থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

১৪

দশ বছরের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী

১৫

প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া, ভিডিও কলে রেখেই প্রাণ দিলেন প্রেমিক

১৬

খেলায় অতিথি না করায় খেলনা পিস্তল দেখিয়ে হুমকি , যুবক আটক

১৭

মাহফিলের মঞ্চে বয়ানরত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বক্তা

১৮

কমেন্টে ‘চুদলিং পং’ লেখা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

১৯

দেশে খাদ্য মজুদ যা থাকার কথা তার চেয়ে বেশি আছে : কুমিল্লায় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

২০

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ রকিবুলের মৃত্যু

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ রকিবুলের মৃত্যু
ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় পুলিশের গুলিতে আহত রকিবুল সরদার (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

 

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ভোর ৬টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

 

নিহত রকিবুল মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আলীনগর এলাকার দক্ষিণ কামাইপুর গ্রামের কালু সরদারের ছেলে।

 

নিহতের পরিবার ও এলাকা সূত্রে জানা গেছে, রকিবুলের পরিবারে স্ত্রী, ২ মেয়ে, বাবা, ৩ ভাই ও ১ বোন রয়েছে। তিনি ঢাকার উত্তর বাড্ডায় একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করতেন। দরিদ্র পরিবারের মাত্র ভরসা ছিলেন তিনি। তার উপার্জনের ওপর নির্ভরশীল ছিল পুরো পরিবার।

 

গত ২০ জুলাই বিকালে উত্তর বাড্ডা এলাকায় ছাত্র-জনতার একটি মিছিল বের হলে আ. লীগের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ মিছিল দেখতে বাসা থেকে রকিবুল রাস্তায় বের হয়। এসময় দুই পক্ষের মিছিলের মাঝখানে পড়ে যান তিনি। তখন হঠাৎ পুলিশের একটি ছোড়াগুলি রকিবুলের পেটের সামনে দিয়ে ঢুকে পিছন দিয়ে বের হয়ে যায়। মুহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। আজ মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

 

নিহতের স্ত্রী শাবনুর বেগম বলেন, আমার স্বামীর ওপর নির্ভরশীল ছিল আমাদের সংসার। এখন আমাদের সংসার কে চালাবে। আমাদের সব শেষ হয়ে গেল। একটি গুলিতে সব স্বপ্ন আজ মিথ্যা হয়ে গেল। এখন আমরা কীভাবে বাঁচবো।

 

নিহতের মামা এইচ এম মশিউর রহমান বলেন, রকিবুল ঢাকায় সোপা কাপড় সেলাইয়ের কাজ করে তার সংসার চালাতো। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের ধাওয়া পালটা ধাওয়ার মধ্যে থেকে একটি গুলি এসে লেগে রকিবুলকে শেষ করে দিল। তার সংসারে বাতি আজ নিভে গেল।

 

 

 

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ

‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’ পেল ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

মহাসড়কে মাইক্রোবাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও পুরস্কার প্রদান

দুর্নীতি দমনে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি: তারেক রহমান

ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: মির্জা ফখরুল

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৪০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গেলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৯৯ সদস্য

৭ তলা ভবনে আগুন, নিহত ২০

মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস এর বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

১০

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন ৪ বিশিষ্ট নারী

১১

ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা পড়লো খাদে, প্রাণ গেল ২ জনের

১২

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চলতি সপ্তাহে: সিইসি

১৩

নারীর চুলের খোপা থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

১৪

দশ বছরের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী

১৫

প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া, ভিডিও কলে রেখেই প্রাণ দিলেন প্রেমিক

১৬

খেলায় অতিথি না করায় খেলনা পিস্তল দেখিয়ে হুমকি , যুবক আটক

১৭

মাহফিলের মঞ্চে বয়ানরত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বক্তা

১৮

কমেন্টে ‘চুদলিং পং’ লেখা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

১৯

দেশে খাদ্য মজুদ যা থাকার কথা তার চেয়ে বেশি আছে : কুমিল্লায় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

২০

বন্যায় এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু : ত্রাণ উপদেষ্টা

বন্যায় এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু : ত্রাণ উপদেষ্টা
সংগৃহীত

চলমান বন্যায় দেশে ১১ জেলায়িই হয়েছে। এ ছাড়াও ৫৬ লাখ ৩৭৫ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম এ তথ্য জানান।

ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, এখন পর্যন্ত বন্যা আক্রান্ত জেলার সংখ্যা ১১টিই আছে। ১১ জেলায় মোট ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৬ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৫ জন। পানিবন্দি পরিবার ১২ লাখ ৭ হাজার ৪২৯টি। এখন পর্যন্ত বন্যায় মোট ২৭ জন মারা গেছে। এর মধ্যে কুমিল্লায় ১০ জন, ফেনীতে একজন, চট্টগ্রামে ৫ জন, খাগড়াছড়িতে একজন, নোয়াখালীতে ৫ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন এবং কক্সবাজারে তিনজন মারা গেছেন।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ

‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’ পেল ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

মহাসড়কে মাইক্রোবাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও পুরস্কার প্রদান

দুর্নীতি দমনে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি: তারেক রহমান

ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: মির্জা ফখরুল

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৪০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গেলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৯৯ সদস্য

৭ তলা ভবনে আগুন, নিহত ২০

মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস এর বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

১০

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন ৪ বিশিষ্ট নারী

১১

ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা পড়লো খাদে, প্রাণ গেল ২ জনের

১২

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চলতি সপ্তাহে: সিইসি

১৩

নারীর চুলের খোপা থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

১৪

দশ বছরের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী

১৫

প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া, ভিডিও কলে রেখেই প্রাণ দিলেন প্রেমিক

১৬

খেলায় অতিথি না করায় খেলনা পিস্তল দেখিয়ে হুমকি , যুবক আটক

১৭

মাহফিলের মঞ্চে বয়ানরত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বক্তা

১৮

কমেন্টে ‘চুদলিং পং’ লেখা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

১৯

দেশে খাদ্য মজুদ যা থাকার কথা তার চেয়ে বেশি আছে : কুমিল্লায় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

২০