শারদীয় দুর্গাপূজা, ফাতেহা ই ইয়াজদাহম,
লক্ষ্মী পূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে নয় দিন। তবে সাপ্তাহিক
ছুটি সহ বর্ধিত ছুটি হবে ১১ দিন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক ক্যালেন্ডারের
তথ্য বলছে, শারদীয় দুর্গা পূজার ছুটি শুরু হবে আগামী ৯ অক্টোবর। যা চলবে ১৭ অক্টোবর
(বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত। তবে পরবর্তী দুই দিন শুক্রবার ও শনিবার হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
খুলবে আগামী ২০ অক্টোবর থেকে। এর মধ্যে আগামী ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীর ছুটি, ফাতেহা
ই ইয়াজদাহম এর ছুটি ১৫ অক্টোবর, লক্ষ্মী পূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা ছুটি ১৬ অক্টোবর।
আর এ দিকে শারদীয় দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক
ছুটি মিলিয়ে চলতি মাসে টানা তিন দিনের ছুটি পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। বিজয়া দশমীর
সরকারি ছুটি থাকবে আগামী ১৩ অক্টোবর রবিবার। তার আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।
দেশের সব সরকারি ও আধা-সরকারি অফিস এবং স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে
এ ছুটি থাকবে।
তবে যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের
নিজস্ব নিয়মকানুনে নিয়ন্ত্রিত হয় বা যেসব চাকরি সরকারিভাবে অত্যাবশ্যক তাদের ক্ষেত্রে
নিয়ম কিছুটা ভিন্ন। সে ক্ষেত্রে সেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন অনুযায়ী
জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ঘোষণা করবে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাংবাদিকদের সেকেন্ড হোম হিসেবে খ্যাত জাতীয় প্রেস ক্লাবের আজ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ বিশেষ দিনে ক্লাবের সদস্য, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ দেশের সকল সাংবাদিকদের প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
১৯৫৪ সালের ২০ অক্টোবর ‘পূর্ব পাকিস্তান প্রেস ক্লাব’ হিসেবে যাত্রা শুরু হয় দেশের শীর্ষ সাংবাদিক সংগঠনটির। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রেস ক্লাব সাংবাদিকদের পেশাগত কাজের সহায়তা, সুস্থ সাংবাদিকতা, পারস্পরিক সম্পর্কের বিকাশ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা এবং সাহিত্য-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।
প্রথমে ১৮ তোপখানা রোডে মাসিক ১০০ টাকায় ভাড়া নেয়া ভবনে ক্লাবের কার্যক্রম শুরু হয়। ভবনটি একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবন ছিল, যেখানে বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু বসবাস করতেন। ক্লাবের প্রথম সভাপতি ছিলেন মুজিবুর রহমান খাঁ এবং প্রথম আজীবন সদস্য ছিলেন এন. এম. খান।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংস ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর সময় ক্লাব ভবনটি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ৫ মার্চ অনুষ্ঠিত সভায় ক্লাবের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘জাতীয় প্রেস ক্লাব’। ১৯৫৫ সালে গৃহীত হয় প্রেস ক্লাবের লোগো।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ইতিহাসে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায় যুক্ত হয় ১৯৭৭ সালে, যখন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্লাবের জন্য বর্তমান স্থানের জমি বরাদ্দ দেন এবং সরকারের অর্থায়নে নতুন ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা করেন।
১৯৭৬ সালে সাংবাদিকদের দাবিতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রেস ক্লাবকে সরকারি তহবিল থেকে ভবন নির্মাণে সহায়তা করার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “প্রেস ক্লাব একটি জাতীয় ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, এর উন্নয়ন মানে গণতন্ত্রের উন্নয়ন ও সাংবাদিকতার প্রসার।” তার নির্দেশনায় সরকার ক্লাবের বর্তমান ভবন নির্মাণ করে, যা আজও সাংবাদিক সমাজের ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
পরবর্তীতে ২০০৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রেস ক্লাবের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ক্লাবের জমি ৯৯ বছরের জন্য স্থায়ী লিজ হিসেবে ঘোষণা দেন। বর্তমানে ক্লাবের মোট জমির পরিমাণ প্রায় দুই একর।
প্রেস ক্লাব শুধু সাংবাদিকদের সংগঠন নয়, বরং এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনেরও সাক্ষী। বিভিন্ন সময়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে এই ক্লাব পরিণত হয়েছিল ‘গণতন্ত্র স্কয়ারে’।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ শুভক্ষণে সাংবাদিকরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছেন প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং দেশের গণমাধ্যমের অগ্রযাত্রায় যাদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটি ক্লাবের হারানো ঐতিহ্য ও গৌরব পুনরুদ্ধারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে— যেন জাতীয় প্রেস ক্লাব সবসময় সাংবাদিকতার পেশাদারিত্ব, স্বাধীনতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতীক হয়ে থাকে।
মন্তব্য করুন
‘বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলনে’ আহতদের দেখতে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ ঢাকা মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে যান। বাচ্চাদের সুচিকিৎসা সরকারের প্রধান ম্যান্ডেট। এই বাচ্চাদের যদি
নিরাপদ জীবন দিতে না পারি তাহলে আমরা অকৃজ্ঞ জাতি হবো।
এ
সময় উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে তিনি বলেন, এ আন্দোলনে আহত-নিহতদের হাসপাতালের রেজিস্ট্রার
থেকে তথ্য নিয়ে সবার ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। আহতের পুনর্বাসনের জন্য যা যা করার সমাজকল্যাণ
মন্ত্রণালয় তার নৈতিকতার জায়গা থেকে করবে। আহতদের পুনর্বাসিত করবে মন্ত্রণালয়।
সোমবার
(১৯ আগস্ট) ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে এসব কথা
বলেন তিনি।
তিনি
এ সময় আহতদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন।
এ
সময় উপস্থিত চিকিৎসকদের বলেন, সুচিকিৎসার জন্য যা যা করতে হবে সব করার অঙ্গীকার ব্যক্ত
করেন। তিনি যত্ন, ভালোবাসা, সুচিকিৎসা ও সেবার মান এবং আন্তরিকতার জন্য ধন্যবাদ জানান
কর্তব্যরত চিকিৎসকদের।
তিনি
বলেন, আমরা নতুন করে ডাক্তারদের পেলাম নতুন করে চিকিৎসা সেবা দেখলাম। এই ডাক্তার ও
সেবাই চায় নতুন বাংলাদেশ।
উপদেষ্টা
উপস্থিত মিডিয়ার প্রতিনিধিদের কাছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের তথ্য দেয়ার
অনুরোধ জানান। এর জন্য মন্ত্রণালয় একটি সেল খোলা কথাও জানান উপদেষ্টা।
এ
সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সফিকুর রহমান, ঢাকা মেডিক্যালের
উপ-পরিচালক ডা. মো. খালেকুজ্জামান, সহকারী পরিচালক ডা. আশ্রাফুল আলম, ডা. আব্দুর রহমান
ও ডা. আ. সামাদ সহ আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেছেন, স্বাধীন ও দক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লব নতুন সভ্যতা
গড়ে তোলার সুযোগ করে দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা এই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য বিচার বিভাগ
সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
আজ রোববার (২২জুন) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে
আয়োজিত ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও দক্ষতা’ বিষয়ক এক জাতীয় সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট
জয়নাল আবেদীন।
মন্তব্য করুন
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা ৫২মিনিটে ফেনী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।
ফেনী রেলস্টেশনের মাস্টার মো. হারুন জানান, ঢাকা চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রামগামী সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ১টি বগির ৪ চাকা লাইনচ্যুত হয়েছে। তবে রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেনটির ৯টি বগির মধ্যে ৭টি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হবে। আর ২টি বগির মেরামত কাজ শেষ করে পরে রওনা করবে।
এঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, সাগরিকা এক্সপ্রেসের আনসার কমান্ডার শফিকুর রহমান।
মন্তব্য করুন
২০২৪ সালে একক পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এর ফলে এবারও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আগের নিয়মেই ভর্তি পরীক্ষা হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন গ্রহণ শেষ হয়েছে। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কবে পরীক্ষা সব তথ্য একসঙ্গে এখানে -
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিকবিজ্ঞান ইউনিটের মধ্য দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট, ১ মার্চ বিজ্ঞান ইউনিট এবং ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন)। আর সব ইউনিটের পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে সি ইউনিটের (বিজ্ঞান) পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে আর এরপর ৬ মার্চ এ ইউনিট (মানবিক) এবং ৭ মার্চ বি ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এমসিকিউ পদ্ধতির এক ঘণ্টার এই পরীক্ষায় মোট নম্বর ১০০। পাস নম্বর ৪০।
আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার কথা। আর ক্লাস শুরু হবে ১ জুলাই। কোটা বাদে ৫৯টি বিভাগ ও দুটি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন ৩ হাজার ৯০৪ শিক্ষার্থী।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
আগামী ২২, ২৫, ২৭, ২৮ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি (সম্ভাব্য) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে বিভিন্ন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। চূড়ান্ত তারিখ ও সময়সূচি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে। ১৪ জানুয়ারি অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু হবে ১৭ ফেব্রুয়ারি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২ মার্চ এ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে। এরপর ৭ মার্চ সি ইউনিট, ৮ মার্চ বি ইউনিট ও ১৬ মার্চ ডি ইউনিটের পরীক্ষা হবে। এ ছাড়া বি-১ ও ডি-১ উপ-ইউনিটের পরীক্ষা যথাক্রমে ৩ ও ৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
বুয়েটে দুই ধাপে পরীক্ষা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষা হবে দুই ধাপে (প্রাক-নির্বাচনী ও মূল ভর্তি পরীক্ষা)। প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা অনুযায়ী মেধার ভিত্তিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ ও জমা শুরু হয়েছে ২৫ জানুয়ারি। ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ চলবে।
তবে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্য কারা, জানা যাবে ১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। আর প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা হবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি। দুই পালায় (শিফট)।
মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের সম্ভাব্য সময় ২৯ ফেব্রুয়ারি। ৯ মার্চ মূল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তির জন্য নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশের সম্ভাব্য সময় আগামী ৩১ মার্চ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ১ হাজার ৩০৯।
২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা তিন দিনে
দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (জিএসটি) বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভুক্ত হয়ে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা নেবে। গত ২৬ জানুয়ারি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কিছু বিষয় সমন্বয় করার জন্য আবেদনের তারিখ ও পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন হবে। পরিবর্তিত তারিখ শিগগিরই জানিয়ে দেওয়া হবে।
প্রকৌশল গুচ্ছে এবার তিন বিশ্ববিদ্যালয়
এবারও চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট); খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) একটি গুচ্ছভুক্ত হয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তির জন্য সমন্বিতভাবে পরীক্ষা নিচ্ছে। এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন ৩ হাজার ২৩১টি।
অনলাইনে ২৪ জানুয়ারি আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। শেষ হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রসহ যোগ্য অংশগ্রহণকারীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি। প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। আগামী ৩ মার্চ এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে ১৮ মার্চ।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
কৃষি ও কৃষির প্রাধান্য থাকা আটটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবার গুচ্ছভুক্ত হয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেবে। এবার নতুন প্রতিষ্ঠিত কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এই গুচ্ছে যুক্ত হচ্ছে। এ ছাড়া আগের মতো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আছে এই গুচ্ছে। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ এখনো ঠিক হয়নি।
মেডিকেল কলেজ
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি মেডিকেল কলেজগুলোয় এমবিবিএসে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে । এবছর সরকারি মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার ৩৮০ শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবেন। এ ছাড়া বেসরকারি মেডিকেলের জন্য আসন রয়েছে ৬ হাজার ৩৪৮টি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোর মধ্যে ৮৮২টি কলেজে স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় জারি করা ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২২ জানুয়ারি অনলাইনে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। এটি চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আসন্ন ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষ্যে কোনো ধরনের
নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। যাত্রীদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাত্রার জন্য সব ধরনের প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি নিশ্চিত করেছেন।
আজ
বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুর গবাদিপশুর হাট পরিদর্শনের পর তিনি সাংবাদিকদের
বলেন, ঈদের সময় কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই।
রাজধানীর
কমলাপুর রেলস্টেশন ও উত্তর শাহজাহানপুর পশুর হাট পরিদর্শনের পর মহাখালী বাস টার্মিনাল
পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, ঈদযাত্রাকে নিরাপদ ও অবাধ করার জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি
নেওয়া হয়েছে।
মহাখালী
বাস স্ট্যান্ডে তিনি বলেন, ‘পরিবহণ খাতের মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে ঈদযাত্রাকে
নিরাপদ ও আরামদায়ক করার জন্য ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
এক
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী সদস্যরা পুলিশ, আনসার ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা
বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মিলে সড়ক ও মহাসড়কে জোরদার পাহারা দেবেন যাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত
হয় এবং ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের কোনো ঘটনা না ঘটে।
তিনি
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন, যারা মটরসাইকেলে তিনজন যাত্রী বহন
করবে বা হেলমেট পরবে না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে।
স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন, বাসগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বা অতিরিক্ত যাত্রী
পরিবহন কোনোটাই ছাড় দেয়া হবে না। মালিক-শ্রমিকরাও এই নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়নে সহযোগিতা
করবেন। অন্যথায় নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ২০ কেজি গাঁজা’সহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ২৩ জুন রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন রাঙ্গুরি মধ্যমপাড়া এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মারুফ হোসেন (২২) ও ২। সাকিবুল হাসান (২১) নামক ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদ্বয়ের হেফাজত হতে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মারুফ হোসেন (২২) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার রাঙ্গুরি মধ্যমপাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস এর ছেলে এবং ২। সাকিবুল হাসান (২১) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার বামুইল গ্রামের মোঃ লিটন এর ছেলে।
আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে।
র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত
চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ দণ্ডিত
সব আসামি খালাস পেয়েছেন।
রায়ে এ মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্রের
ভিত্তিতে বিচারিক আদালতের রায় অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে এ রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি
সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশ বেঞ্চ আজ এ রায় দেন।
এর আগে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ ২১ নভেম্বর
আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি গ্রহণ শেষ করেন। সেদিন আদালত মামলা দুটি
রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। আজ রায় ঘোষণা করা হল।
২০১৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়সহ মামলা
দুটির নথিপত্র হাইকোর্টে এসে পৌঁছায়। এটি ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
কোনো ফৌজদারি মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে
হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে।
পাশাপাশি দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে
আসামিদের জেল আপিল, নিয়মিত আপিল ও বিবিধ আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। সে অনুযায়ী আসামি
পক্ষ আপিল করে।
গত ৩১ অক্টোবর বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট
গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায়
২০১৮ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে ২০০১-২০০৬ আমলের বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী
আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম ও আসামি শেখ আবদুস সালাম ২০২১ সালে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় মারা যান।
মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান
তারেক রহমান, বিএনপির নেতা হারিছ চৌধুরী, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইনসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন
সাজা দেয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে ১১ জনকে দণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। এরপর ওই বছরই
হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স আসে। পাশাপাশি দণ্ডিত কারাবন্দিরা আপিল দায়ের করেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার
ঘটনায় মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক
সরকার এ-সংক্রান্ত মামলা দুটির (হত্যা ও বিস্ফোরক) নতুন করে তদন্ত শুরু করে। ২০০৮ সালে
২২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। আওয়ামী লীগ সরকার আমলে মামলার অধিকতর তদন্ত
হয়। এরপর তারেক রহমানসহ ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ২০১৮ সালের
১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এই মামলার (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) রায়
দেন। রায়ের পর একই বছর বিচারিক আদালতের রায়সহ মামলা দুটির নথিপত্র হাইকোর্টে এসে পৌঁছে।
পেপার বুক প্রস্তুত করাসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে মামলায় আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি
সম্পন্ন হলো। এখন হাইকোর্ট রায়ের অপেক্ষায়। এ মামলায় বিএনপি'র শীর্ষ নেতৃত্বকে সম্পৃক্ত
করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে বারবার দাবি করে আসছিল দলটি।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন সচিবরা।
আজ (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর এই প্রথমবারের মতো সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করছেন সরকারপ্রধান।
জানা গেছে, সাধারণত সচিব সভায় কয়েকটি নির্ধারিত গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডার বাইরেও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। এবার এ বৈঠকের জন্য বিস্তারিত এজেন্ডা থাকছে না। এছাড়া সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে সারা দেশে প্রশাসনিক কাজগুলো কীভাবে দ্রুত স্বাভাবিক ধারায় আনা যায়, এ-সংক্রান্ত পরামর্শ শুনতে চাইতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তার সরকার এসব বিষয়ে কী ভাবছে, সে সংক্রান্ত নির্দেশনা সরাসরি সব সচিবকে দেবেন ড. ইউনূস।
মন্তব্য করুন
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত চার বিচারপতি আজ শপথগ্রহণ করেছেন।
শপথগ্রহণ করা আপিল বিভাগের চার বিচারপতি হলেন, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ আপিল বিভাগের চার নবনিযুক্ত বিচারককে শপথবাক্য পাঠ করান।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা।
শপথ অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট উভয় বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং অন্যান্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
চার বিচারপতি নিয়োগ কার্যকরের মধ্য দিয়ে আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়ালো ৬ জনে।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত চার বিচারপতিকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত চারজন বিচারককে তাদের শপথগ্রহণের তারিখ থেকে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। শপথগ্রহণের দিন থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গত শনিবার (১০আগস্ট) দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের আগে আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা ছিল ৭। শনিবার রাতে দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। পরদিন রোববার (১২ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি।
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০০৬ সালের ২৩ আগস্ট এই তিন বিচারপতি হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
মন্তব্য করুন