ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মিষ্টান্ন ‘ছানামুখী’। ছানা থেকে তৈরি এই মিষ্টান্নের সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়া দেশের অন্য কোথাও তৈরি হয় না এই ছানামুখী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
পণ্যের জিআই স্বীকৃতি দেয় ডিপিডিটি। কোনো একটি দেশের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাটি, পানি, আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে সেখানকার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাহলে সেটিকে সেই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। কোনো একটি পণ্য চেনার জন্য জিআই স্বীকৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ‘ছানামুখী’। সরকারিভাবে ছানামুখীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্র্যান্ডিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। জেলার ব্র্যান্ডবুকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই মিষ্টান্ন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে আজারবাইজানের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত এলচিন হুসেইনলি আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এ সময় তারা আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠেয় কপ-২৯ সম্মেলন এবং জ্বালানি, বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সহযোগিতা ও দুই দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন।
আশা করা হচ্ছে অধ্যাপক ইউনুস আজারবাইজানে অনুষ্ঠেয় কপ-২৯ সম্মেলনে যোগ দেবেন, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অন্তত ৩২ হাজার মানুষ জলবায়ু অর্থায়নের বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
রাষ্ট্রদূত হুসেইনলি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও নিবিড় করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসাথে তিনি উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ উন্মোচন এবং আরও বেশি ব্যবসার উপায় খোঁজার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি জানান, জুন মাসে বাকুতে দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্র দপ্তর পর্যায়ে একটি পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আজারবাইজান বাংলাদেশের সঙ্গে একটি বিমান পরিষেবা চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনুস আজারবাইজানকে "ভাল বন্ধু" হিসেবে উল্লেখ করেন এবং দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস আজারবাইজানের জনগণ, দেশটির নেতৃত্ব এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে তার দীর্ঘ সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে
সংস্কারের মাধ্যমে একটি দক্ষ, সুসংগঠিত, পেশাদার ও সময়োপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা
হবে। এ লক্ষ্যে যা যা করণীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সবকিছু করা হবে।
আজ (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুরের
সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর
৪০তম বিসিএস (আনসার) ক্যাডার কর্মকর্তা এবং ২৫তম ব্যাচ (পুরুষ) রিক্রুট সিপাহিদের মৌলিক
প্রশিক্ষণের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট থেকে শুরু
করে স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের প্রতিটি জরুরি মুহূর্তে আনসার বাহিনীর সদস্যগণ গভীর দেশপ্রেম
নিয়ে এগিয়ে এসেছে এবং দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা বিধানসহ কূটনৈতিক এলাকার সুরক্ষায়
এ বাহিনী বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী
সরকারের পতনের পর থানা, ট্রাফিক, বিমানবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর সুরক্ষায়
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন
করেছে। বিশেষ করে আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ডিএমপি’র থানাগুলোর অভ্যন্তরীণ
নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে এবং হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত
রয়েছে। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সাথে সাথে পুলিশ বাহিনীর স্বল্পতার মাঝেও রাষ্ট্রীয়
অতিথি ভবন যমুনাতে আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে।
তিনি জাতির জরুরি প্রয়োজনে সাহসী ভূমিকা রাখার জন্য বাহিনীর সকল সদস্যের প্রতি আন্তরিক
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশের
প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে থাকা স্বেচ্ছাসেবী গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরাও
দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। সাম্প্রতিক সময়ে গ্রামে গ্রামে যে
সামাজিক নিরাপত্তা সংকট দেখা দিয়েছিল, ভিডিপি সদস্যরা তা নিরসনে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে।
যারা মন্দির, গির্জা ও চার্চে হামলা চালিয়ে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলো,
তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো ভিডিপি সদস্যরা। তারা ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে পাহারা
বসিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি রক্ষায় অবদান রেখেছে। ভবিষ্যতেও
ভিডিপি সদস্যরা তারুণ্য নির্ভর স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় সুসংগঠিত হয়ে দেশের আর্থ-সামাজিক
উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তায় আরো বেশি অবদান রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল
মোমেন এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল
মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মৌলিক প্রশিক্ষণের
সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সালাম গ্রহণ করেন এবং কৃতি প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে পুরস্কার
তুলে দেন।
মন্তব্য করুন
ফেনী জেলার পরশুরামে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পরিদর্শনকালে কুমিল্লা সেনানিবাসে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীর বিবিধ কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন সেনাপ্রধান। এরপর তিনি হেলিকপ্টার যোগে ফেনী জেলার পরশুরাম এবং সংলগ্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
এ সময় তিনি উদ্ধারকার্যে নিয়োজিত সেনা সদস্যদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। পরিদর্শনে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চিফ, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কুমিল্লা এরিয়াসহ সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭, ২৪ ও ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সেনাসদস্যগণ যথাক্রমে সিলেট, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা এলাকায় বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে মোতায়েন রয়েছে। মোতায়েনরত সেনাসদস্যগণ নিরলসভাবে পানিবন্দী মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সেই সাথে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সেনাবাহিনী প্রধান বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনীকে এই মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি
সমর্থন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও বিভিন্ন বিষয়ে ঢাকার
সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করবে।
ঢাকায় মার্কিন চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স
হেলেন লাফেভ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে
সাক্ষাৎকালে এসব প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকায়
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে মার্কিন কূটনীতিক
এ মন্তব্য করেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়।
মার্কিন চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স বলেছেন-
তার দেশের সরকারপ্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানাতে পেরে খুশি এবং একসঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে
কাজ করার জন্য উন্মুখ। ভিসা প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার প্রয়াসে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস
এই সপ্তাহে তাদের কনস্যুলার পরিষেবা পুনরায় চালু করবে। হাজার হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
এখন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করে। যুক্তরাষ্ট্র স্বাস্থ্য, শিক্ষা,
শ্রম, শাসন এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। ওয়াশিংটন রোহিঙ্গাদের মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন শুরু করেছে এবং তিনি আশা করেছিলেন যে প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত
হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের মানবিক
প্রতিক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় অবদানকারী এবং মার্কিন চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স বলেছেন, মার্কিন
অর্থায়নের পরে এই বছর রোহিঙ্গাদের মাসিক খাদ্য সহায়তার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। তিনি
রোহিঙ্গাদের জন্য জীবিকার সুযোগেরও আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস কক্সবাজারের
ক্যাম্পে বসবাসকারী ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার জন্য অব্যাহত অর্থায়নসহ বাংলাদেশকে সমর্থন
করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান। প্রধান উপদেষ্টা তাকে জানান, অন্তর্বর্তী
সরকারকে গভীর সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং একটি যুক্তিসঙ্গত সময়ের পরে সাধারণ
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে বন্যা
মোকাবিলায় দাতাদের মধ্যে একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্মের আহ্বান
জানিয়েছেন। মানির্ক চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স শ্রমিক ও সংখ্যালঘু বিষয় নিয়ে কিছু উদ্বেগ
উত্থাপন করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের প্রতিটি
নাগরিক সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত এবং অন্তর্বর্তী সরকার সব নাগরিকের মানবাধিকার সমুন্নত
রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মানবাধিকার ইস্যু, সাইবার নিরাপত্তা আইন এবং র্যাপিড অ্যাকশন
ব্যাটালিয়নও আলোচনার সময় উঠে এসেছে।
মার্কিন চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স বলেছেন,
তার সরকার দেশে ন্যায্যবিচার নিশ্চিত করার প্রয়াসে বাংলাদেশকে একটি প্রসিকিউটরিয়াল
সার্ভিস গঠনে সহায়তা করার চেষ্টা করছে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক বলেছেন, আপাতত বন্যার্ত মানুষকে বাঁচানোই আমাদের প্রধান কাজ। তাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া, ক্ষুধার অন্ন জোগানো, শিশু ও নারীসহ সবার স্বাস্থ্যের দায়িত্ব নেওয়া; এটায় এখন আমাদের প্রধান কাজ।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাতে নোয়াখালী সার্কিট হাউসে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফারুক-ই-আজম এসব কথা বলেন।
সরকারি কর্মকর্তাদের আরও বেশি উদ্যোগী হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এখানে জনসম্পৃক্ততা যেটা হয়েছে, তাদের সাথে সমন্বয় করবেন। এ সমন্বয় যেন কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন না হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবীসহ সকল স্বেচ্ছাসেবীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আপনাদের মধ্যে যদি মতদ্বৈততা হয়, আপনারা আলোচনার টেবিলে বসবেন। তরুণরা এই বন্যায় এগিয়ে এসেছে। আমাদের রিসোর্সেরও অভাব নেই। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে তারাও কাজ করতে আগ্রহী। অনেক প্রতিষ্ঠান আসছে দেশের ও দেশের বাইরের।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর রিফাত আনোয়ার, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আরা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) বিজয়া সেন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা।
মন্তব্য করুন
বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষে ১০ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাকটিকিট এবং ১০ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করা হয় দিবসটি উপলক্ষে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে উপদেষ্টা স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন।
দিবসটি উপলক্ষে এক বিবৃতিতে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
অনুষ্ঠানে ডাক বিভাগের দুর্লভ ডাকটিকিটের ছবি সংবলিত বিশেষ অ্যালবাম ‘ন্যাচারাল বিউটি অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ অব বাংলাদেশ পোস্টেজ স্টাম্পাস’র মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম শাহাব উদ্দীনসহ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন
গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার পরে রুট পরিবর্তন করে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে। গাজীপুরের পরিবর্তে টঙ্গী থেকে কিশোরগঞ্জ হয়ে ময়মনসিংহে চলাচল করবে ট্রেন।
দুর্ঘটনার পরে এই রুট পরিবর্তন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
আজ ১৩ ডিসেম্বর সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার।
তিনি বলেছেন, ময়মনসিংহের রুটে আপাতত ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ওই অঞ্চলের ট্রেনগুলো রুট পরিবর্তন করে চলাচল করছে। ময়মনসিংহ অঞ্চলের ট্রেনগুলো ঢাকা-বিমানবন্দর-টঙ্গী-ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে চলাচল করছে।
এর আগে আজ (১৩ডিসেম্বর) ভোর সোয়া ৪টার দিকে জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রেল লাইনে বনখড়িয়া ভাওয়াল রেল স্টেশন এলাকায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসটি লাইনচ্যুত হয়।
গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা গ্যাসকাটার দিয়ে রেল লাইন কেটে ফেলায় ইঞ্জিন এবং ৭ বগিসহ লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি।
দুর্ঘটনার পর থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ট্রেন দুর্ঘটনায় আসলাম হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন এবং কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা।
নিহত আসলাম হোসেন ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার রওহা গ্রামের বাসিন্দা।
রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে কাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে রেললাইন সংস্কার এবং উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
মন্তব্য করুন
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কবিরহাট চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে দুটি স্বর্ণের দোকান লুট করেছে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল।
ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ৭ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে লুন্ঠিত ৬০ ভরি স্বর্ণ, ১৬০ ভরি রুপা, স্বর্ণ বিক্রির ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, একটি দেশীয় তৈরী পাইপগান, দুই রাউন্ড কার্তুজ, একটি গ্যাস সিলিন্ডার ও একটি পাইপ।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন, নোয়াখালীর পুলিশ সুপার এসপি মো.শহীদুল ইসলাম। এর আগে, গত শুক্রবার ৮ ডিসেম্বর ভোর রাতের দিকে কবিরহাট ডাকাতির ঘঠনা ঘটে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন,গত শুক্রবার ১০-১৫ জনের একটি ডাকাত দল রাত ৩টার পর চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে প্রবেশ করেন। ওই সময় অস্ত্রের মুখে নৈশপ্রহরীসহ অন্যান্য চলাচলকারী লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এরপর প্রায় দুই ঘন্টা ডাকাতি সংঘটন করে। এ সময় ডাকাত দলকে বাধা দিলে নৈশ প্রহরী শহীদুল্লাহকে মাথায় আঘাত করলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
মন্তব্য করুন
বুধবার ২৯ মে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৪’ ।
এ দিনটি উপলক্ষে আজ দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ
বিশ্ব শান্তি রক্ষায় এক অনন্য নাম। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য
মর্যাদায় ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস- ২০২৪’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত
জানাই।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলমান যুদ্ধ-বিগ্রহ বন্ধে ও শান্তি প্রতিষ্ঠায়
বাংলাদেশ সোচ্চার ও জোরালো ভূমিকা পালন করছে। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে
শান্তি ও সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা
মিশনে অন্যতম শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। অর্পিত দায়িত্বের প্রতি নিষ্ঠা, শৃঙ্খলা,
দক্ষতা ও মানবিক আচরণ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের এই সাফল্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রেখেছে। আগামী দিনগুলোতেও আমাদের শান্তিরক্ষীরা সততা, কর্মদক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে
দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বিশ্বশান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার এই ধারা অব্যাহত
রাখতে সক্ষম হবে বলে তিনি দৃঢ়ভাবে আস্থা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতি একইসাথে এ দিনটি উপলক্ষে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশ
ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের সব শান্তিরক্ষীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
একইসঙ্গে তিনি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আত্মোৎসর্গকারী
বীর শান্তিরক্ষী সদস্যদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান অনুসৃত এ আদর্শে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের
সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, আনুগত্য, সাহসিকতা এবং অসামান্য অবদান আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে
দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। পাশাপাশি, শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের শান্তিরক্ষীরা
একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানও নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল
(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত দ্রুতই
শুরু হবে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তর পরিদর্শনের
পর এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর
আলম বলেন, ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত অবশ্যই হতে হবে। আর সেটা দ্রুতই হবে।’বি
জিবি সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সীমান্তে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে
না। চোরাচালান যেন না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার
পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে (বর্তমান নাম বিজিবি) বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ
৭৪ জন নিহত হন। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস
বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে মুক্তি আটকে আছে ৪৬৮ বিডিআর সদস্যের।
মন্তব্য করুন