

আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। ‘বহুভাষায় শিক্ষার প্রসার: পারস্পরিক বোঝাপড়া ও শান্তির জন্য সাক্ষরতা’এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পালিত হচ্ছে এ বছরের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস।
দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আনুষ্ঠানিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘শিক্ষা মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। জাতি গঠনের প্রধান হাতিয়ার।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদ্যাপনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের জনগণকে শিক্ষা ও সাক্ষরতার বিষয়ে সচেতন ও উৎসাহী করে তোলা এবং তাদের মানবসম্পদে রূপান্তর করা। মাতৃভাষায় সাক্ষরতা অর্জনের পাশাপাশি এক বা একাধিক ভাষা শেখার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে শিশু, কিশোর ও তরুণদের যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে হবে। ব্যক্তিগত জীবনমান, জাতীয় উন্নয়ন ও শান্তি ত্বরান্বিত করতে আমাদের যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে হবে। এ বছরের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য সেই লক্ষ্যই তুলে ধরছে। শিক্ষা জাতি গঠনের প্রধান বাহন এবং শিক্ষার প্রথম ধাপ হলো সাক্ষরতা।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাসাক্ষরতার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে বলেন।তিক সাক্ষরতা দিবসে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে
এবারের সাক্ষরতা দিবসে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমি জেনে আনন্দিত যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৪ উদ্যাপন করছে।
বিশ্বব্যাপী ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস (আইএলডি) উদ্যাপন করা হচ্ছে ১৯৬৭ সাল থেকে।
মন্তব্য করুন


শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের এক বিবৃতিতেতে এ কথা জানিয়ে আরো বলা হয়েছে যে, অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে দ্রুত শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে বলে আশাবাদী দক্ষিণ কোরিয়া। কোরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ দক্ষিণ কোরিয়া।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মুখে সরকারের পতনের গত ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়।
মন্তব্য করুন


প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা সেবা শুরু হয়েছে। চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে এ দীর্ঘসময় সেবা বন্ধ ছিলো ।
চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় তাই হাসপাতালে সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়।
চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় হাসপাতালে ২ প্লাটুন বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের সঙ্গে দুইজন প্রবেশ করতে পারবেন। নিরাপত্তার স্বার্থে হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজন ও দর্শনার্থীদের তল্লাশি করে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। লাঠি, ধারালো অস্ত্র বা জীবনহানি হয় এমন কোনো জিনিস নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
রাতে ঢামেকের জরুরি বিভাগের সামনে গিয়ে দেখা যায়, চিকিৎসকরা হাসপাতালে আসা রোগীদের সেবা দেওয়া শুরু করেছেন। হাসপাতালে আসা রোগীরা টিকিট কেটে জরুরি বিভাগে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে পারছেন।
জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসক জানান, শর্ত সাপেক্ষে আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে সেবা দেওয়া শুরু করেছি। আমাদের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি দাবি জানানো হয়েছে এবং মূল দাবি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকদের মারপিট করা দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি আমাদের নিরাপত্তায় হাসপাতালে সেনাবাহিনী এবং বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। আশা করব, এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে।
প্রসঙ্গত
যে, গতকাল শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি
অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি) শিক্ষার্থী আহসানুল হক দীপ্তর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা
ঘটে। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন চিকিৎসকরা।
এরই জেরে আজ দিনভর জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সেবা দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন ঢামেকের চিকিৎসকরা।
মন্তব্য করুন


তথ্য
ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বন্যার্তদের সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন ।
বুধবার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে
এক সংক্ষিপ্ত সভায় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা এ আহ্বান জানিয়ে বলেন, চারদিকে বন্যা
পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে মানুষ যাতে এগিয়ে আসে সেজন্য
গণমাধ্যমকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। একই সঙ্গে চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের
বিরুদ্ধেও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য
যে, ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণের কারণে দেশের কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ
বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার ফলে প্রধান প্রধান নদীগুলোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। লাখ লাখ
মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাট, বসতভিটা তলিয়ে সর্বস্তরের মানুষ অসহায় অবস্থায়
আছেন। শিশুসহ বয়স্ক নারী-পুরুষ, আসবাবপত্র, হাঁস-মুরগি, গবাদিপশু ইত্যাদি নিয়ে
মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন।
এমতাবস্থায় বন্যাকবলিত মানুষের
পাশে দাঁড়ানো অতিব জরুরি হয়ে পড়েছে।
দেশের
বিভিন্ন জেলায় ভয়াবহ বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মানুষ যাতে এগিয়ে আসে সেজন্য
গণমাধ্যমকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার
উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম ।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী সোমবার দুই দিনব্যাপী সিভিল
সার্জন সম্মেলন উদ্বোধন করবেন।
আজ
বৃহস্পতিবার (৮ মে) এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা আগামী ১২ মে (সোমবার) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে তাঁর তেজগাঁওস্থ
কার্যালয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।
মন্তব্য করুন


সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে।
সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে সেনাপ্রধান বলেন, রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল চলছে। একটি অন্তবর্তী সরকার গঠন করা হবে। সব হত্যার বিচার হবে। সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রাখেন। আমরা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি।
কোন কোন রাজনৈতিক দল সঙ্গে বৈঠক করেছেন—সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আফিস নজরুল ও জোনায়েদ সাকিও বৈঠকে ছিলেন।
জনগণের উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেন, দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখেন। আপনারা আমার ওপর আস্থা রাখেন, একসঙ্গে কাজ করি। দয়া করে সাহায্য করেন। মারামারি সংঘাত করে আর কিছু পাব না। সংঘাত থেকে বিরত থাকুন। সবাই মিলে সুন্দর দেশ গড়বো।
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আমরা এখন বঙ্গবভনে যাব। সেখানে অন্তবর্তী সরকার গঠনের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হবে। তিনি ছাত্রদের শান্ত হওয়ার পরামর্শ দেন।
মন্তব্য করুন


‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’এই প্রতিপাদ্য অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা।
এর আগে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হক।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। এছাড়াও বক্তব্য দেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী।
এ সময় আরও
অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানুষের জীবিকার সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ায় ঋণ প্রাপ্তি একটি মৌলিক অধিকার। জীবিকার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে ঋণ পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনের একটি সাইডলাইন ইভেন্টে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন তিনি।
জলবায়ু সম্মেলনস্থলে বাংলাদেশে প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস যৌথভাবে "একটি বৈশ্বিক সংলাপ: ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য অর্থায়ন সুবিধা" শীর্ষক এই ইভেন্টের আয়োজন করে।
অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং এতে উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডসের জলবায়ু দূত বোরবোন-পারমার ডাচ প্রিন্স জেইম বার্নার্ডো।
ডাচ প্রিন্স উল্লেখ করেন কীভাবে ঋণ, বীমা, বিনিয়োগ, গবেষণা এবং অর্থায়ন কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে এবং জানান সারা বিশ্বের লাখ লাখ কৃষকের এখন এই সহায়তা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইভোন পিন্টো। তিনি বলেন, কৃষকদের জন্য ঋণ সহজলভ্য হওয়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী ধান উৎপাদন বেড়েছে।
ডাচ উদ্যোক্তা উন্নয়ন ব্যাংক এফএমও-এর পরিচালক জোরিম শ্রাভেন ঋণ প্রাপ্তির অধিকারের বিষয়ে নৈতিক সমর্থন দেওয়ায় অধ্যাপক ইউনূসের প্রশংসা করেন এবং জানান, এটি মানুষের তথ্য জানার অধিকার সম্পর্কিত।
ইন্টার প্রেস সার্ভিসের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং আইপিএস নোরামের নির্বাহী পরিচালক ফারহানা হক রহমান বলেন, বর্তমানে ৫৫ কোটি ক্ষুদ্র কৃষক পরিবার বিশ্বব্যাপী দুই বিলিয়ন মানুষের খাদ্যের যোগান দেয়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, যদি একজন কৃষককে ঋণের সুবিধা দেওয়া হয় তবে সে উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারে। প্রত্যেক ব্যবসায় টাকা এবং বিনিয়োগের প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন কৃষক শুধুমাত্র ফসল উৎপাদন করেন না, তিনি তা বাজারে বিক্রি করেন। যদি একজন কৃষককে ঋণের সুযোগ দেওয়া হয়, তবে তিনি অন্য কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কিনে বিক্রি করতে পারবেন এবং এভাবে তার জীবনমানের উন্নতি হবে। কৃষকদের জন্য ঋণ সহজলভ্য করতে দেশ দেশে গ্রামীণ ব্যাংক মডেল অনুসরণ করে ব্যাংকিং ব্যবস্থা পুনর্গঠন করা উচিত। প্রত্যেক দেশে সামাজিক ব্যবসা ব্যাংকিং আইন থাকা উচিত। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী অন্তত ১১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক ব্যবসাকে কোর্স হিসেবে পড়ানো হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


ডিসেম্বরে কায়রোতে
অনুষ্ঠিতব্য ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে আয়োজক দেশ মিশর।
আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর)
ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি অধ্যাপক ইউনূসের কাছে
সেদেশের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির পক্ষ থেকে এই আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন।
রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি
জানান, অন্তত পাঁচটি দেশে—তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান এবং নাইজেরিয়ার
সরকার প্রধানগণ আগামী ১৬ থেকে ১৯ ডিসেম্বর কায়রোতে অনুষ্ঠেয় ডি-৮ সম্মেলনে অংশগ্রহণ
নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সম্মেলনের
একটি গুরুত্বপূর্ণ সাইডলাইন বৈঠকে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনকে সমর্থনের
উপায় নিয়ে আলোচনা হবে।
রাষ্ট্রদূত আরো জানান,
জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রূপান্তর
প্রচেষ্টায় মিশর সরকার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস এই
সমর্থনকে স্বাগত জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন মিশর ও বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে,
যেমন ওআইসি এবং ডি-৮-এ হাতে হাত মিলিয়ে একসঙ্গে কাজ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা জানান,
তিনি মিশরে ডি-৮ সম্মেলনে অংশগ্রহণের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন।
রাষ্ট্রদূত ফাহমি
আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরাও ডি-৮ সম্মেলনের সময় মিশর সফর করবেন।
তিনি বলেন, মিশর বাংলাদেশের
তৈরি পোশাক ও ওষুধ শিল্পের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে উপকৃত হতে চায় এবং পাট চাষ সম্পর্কে
শিক্ষা নিতে আগ্রহী।
তিনি আরো উল্লেখ করেন,
উভয় দেশের মধ্যে কৃষি, টেক্সটাইল এবং ওষুধ শিল্পের চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ)
কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা উচিত।
রাষ্ট্রদূত নিশ্চিত
করেন যে, ২০৩১-৩২ মেয়াদে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য আসনে বাংলাদেশের
প্রার্থিতার প্রতি মিশর সমর্থন জানাবে।
মিশরের রাষ্ট্রদূত
ইউনেস্কোর মহাপরিচালক পদে কায়রোর প্রার্থিতার পক্ষে ঢাকার সমর্থন চান।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও মিশরের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) পুনরায় শুরু
করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
মন্তব্য করুন


মাগুরায় বড় বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে নির্যাতন
এর শিকার শিশুটির জীবন ভীষণ সংকটাপন্ন। শিশুটি বর্তমানে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের পিআইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছে। বুধবার (১২ মার্চ) রাতে শিশুটির জন্য দেশবাসির নিকট দোয়া চেয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজ থেকে একটি
পোস্ট করা হয়েছে।
শিশুটির বর্তমান অবস্থা নিয়ে দেওয়া পোস্টটি হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো-
‘মাগুরায় নির্যাতনের শিকার শিশুটি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), ঢাকায় শিশু বিভাগের পিআইসিইউতে (Pediatric Intensive Care Unit) চিকিৎসাধীন । প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং তদনুযায়ী সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। শিশুটি আজ চারবার Cardiac Arrest এর শিকার হয়েছে এবং CPR প্রদানের মাধ্যমে স্থিতিশীল করা হয়েছে। তার রক্তে লবণের ভারসাম্যহীনতার কারণে ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। অন্যান্য জটিলতার পাশাপাশি শিশুটির রক্তচাপ ৬০/৪০ যা আরো নিম্নমুখী।
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত উচ্চপর্যায়ের চিকিৎসা পর্ষদ সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে শিশুটির জীবন রক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, গত ০৮ মার্চ ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা ছয়টায় শিশুটি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় সংকটাপন্ন অবস্থায় ভর্তি হয়।
শিশুটির সুস্থতার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশবাসীর কাছে দোয়াপ্রার্থী।’
মন্তব্য করুন


আজ বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসন সংক্রান্ত একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার ড. মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিন জলাবদ্ধতা হ্রাসে চলমান প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি তুলে ধরেন।
তিনি জানান, চারটি প্রধান প্রকল্পের মধ্যে ৮৮ শতাংশ কার্যক্রম ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা গত ১৪ মে চট্টগ্রাম সফরে নির্দেশ দিয়েছিলেন, এ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা যদি শতভাগ নাও সম্ভব নয়, অন্তত ৫০ শতাংশ কমাতে হবে। এই নির্দেশনা অনুযায়ী, স্থানীয় সংস্থাগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডও প্রকল্প বাস্তবায়নে অংশগ্রহণ করেছে।
৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামসুল আলম জানান, প্রধান উপদেষ্টার ৫০ শতাংশ লক্ষ্য থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তা অতিক্রম করে ৭৫ শতাংশ জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম নগরের ১১৩টি এলাকায় ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা জলাবদ্ধতা স্থায়ী হতো। চলতি বছর তা কমে ২১টি এলাকায় ২ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে সীমিত হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ১০টিতে নামিয়ে আনা এবং ২০২৭ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্য রয়েছে।
সভায় জানানো হয়েছে, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ দুর্বল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। প্রতিদিন প্রায় ৮০০ টন বর্জ্য শহরের খাল ও ড্রেনে জমে পানি প্রবাহে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিদিন ২৭০০ থেকে ২৮০০ টন বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হলেও শহরে দৈনিক উৎপাদিত বর্জ্যের পরিমাণ প্রায় ৩২০০ টন।
জলাবদ্ধতা নিরসনের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা হ্রাসের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। এখন আমরা দ্বিতীয় ধাপে কাজ শুরু করব।’ তিনি সব সংস্থাকে লিখিত পরিকল্পনা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনারকে সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেন।
চট্টগ্রামের স্থায়ী নাগরিক হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা চাক্তাই খালের পুনঃনির্মাণ অগ্রগতিও জানতে চান। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার নুরুল করিম জানান, চাক্তাই খাল থেকে পানি সরানোর জন্য ১২টি পাম্প বসানো হয়েছে, যার মধ্যে ১০টি ইতোমধ্যেই কার্যকর রয়েছে। সব পাম্প চালু হলে প্রতিদিন ২৪ কোটি লিটার পানি অপসারণ করা সম্ভব হবে। শহরের পানি নিষ্কাশনের জন্য মোট ৫৬টি পাম্প বসানো হচ্ছে।
বৈঠকে জানানো হয়েছে, স্থানীয় দুটি রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী নিজস্ব অর্থায়নে দুটি খাল সংস্কার করেছে। এ জন্য তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাইফুল ইসলাম এবং নাগরিক প্রতিনিধিরা।
মন্তব্য করুন