পবিত্র কাবা নতুন গিলাফ বা কিসওয়ায়
মোড়ানো হয়েছে । হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে পুরান গিলাফ পরিবর্তন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) আরব নিউজের
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হজের মওসুম শুরুর আগে কাবার গিলাফ পরিবর্তন করা হয়েছে। বুধবার
এটি নতুন করে কারুকার্যমণ্ডিত কিসওয়া দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় প্রেস
এজেন্সি এসপিএ জানিয়েছে, কিসওয়া পরিবর্তনে ১০টি ক্রেন ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া এ
কাজে অংশ নিয়েছেন ৩৬ জন বিশেষ কর্মী। পবিত্র কাবার কিসওয়ার প্রস্থ আড়াই মিটার এবং দৈর্ঘ্য
৫৪ মিটার।
পবিত্র কাবার গিলাফ পরিবর্তন
ঐতিহাসিক পরম্পরা। আগে হজের দিন এটি পরিবর্তন করার রীতি ছিল। তবে বর্তমানে ১ মহররম
হিজরি নববর্ষের প্রথম প্রহরে করা হয়ে থাকে।
বিশেষভাবে তৈরি এ গিলাফে প্রতি
মিটারে দশ ধাপে ৯৯০০ সুতা লাগানো হয়। গিলাফের বাইরের কালো কাপড়ে স্বর্ণমণ্ডিত রেশম
সুতা দিয়ে ক্যালিগ্রাফি করেন দক্ষ কারিগররা। এরপর ঝারনিখ কালি দিয়ে প্রথমে কাপড়ে ক্যালিগ্রাফির
আউটলাইন দেওয়া হয়। পরে কারিগরদের দক্ষ হাতের ছোঁয়ায় হরফের ভেতর রেশম সুতার মোটা লাইন
বসিয়ে স্বর্ণের সুতা দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে হরফ ফুটিয়ে তোলা হয়।
মক্কার উম্মুদ জুদ এলাকায় বিশেষ
কারখানায় কাবা শরিফের গিলাফ নির্মাণের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম তৈরি করা হয়। গিলাফ তৈরির
কাজে ১২০ কেজি সোনার সুতা, ৭০০ কেজি রেশমি সুতা এবং ২৫ কেজি রুপার সুতা ব্যবহার করা
হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাবার
গিলাফ কয়েক ধাপে উত্তোলন করা হয়। এটি হজযাত্রীদের কাবা প্রদক্ষিণের সময় কাবাকে ক্ষতিগ্রস্ত
এবং ময়লা থেকে রক্ষা করে। প্রতিবছর হজের আগেই গিলাফ বা কিসওয়া পরিবর্তন করা হয়।
মন্তব্য করুন
একজন ইউটিউবারের একমাত্র ধ্যান জ্ঞান থাকে ভিউ পাওয়া । সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের
ভিডিওতে বাকিদের তুলনায় একটু বেশি ভিউ পাওয়ার জন্য কতকিছুই না তারা করেন।
তবে ট্রেভর জ্যাকব নামে ৩০ বছর বয়সী এক মার্কিন ইউটিউবার এমনই এক ঘটনা ঘটাতে
গিয়ে উল্টো ঘটালেন এক অঘটন যার দরুণ সেই ইউটিউবার সম্ভবত সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন।
বিবিসির খবরের সূত্র হতে জানা যায়, তিনি ভিডিওতে দর্শক টানতে স্বেচ্ছায় নিজের
বিমান বিধ্বস্ত করেছেন। শুধু তাই নয়, বিমান বিধ্বস্ত করে তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে
মিথ্যাচারও করেছেন। এই অপরাধের দায়ে তাকে ছয় মাসের সাজা দিয়েছেন আদালত। সাজাপ্রাপ্ত
ওই ইউটিউবার ২০২১ সালের ডিসেম্বরে এই ঘটনার একটি ভিডিও ইউটিউবে পোস্ট করেন । সেখানে
দেখা যায়, তিনি সেলফি স্টিক হাতে বিমান থেকে প্যারাস্যুটে করে নিচে নামছেন। মূলত বিমান
বিধ্বস্ত করে সেটাকে দুর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দিতেই এমনটা করেন তিনি।
ক্যালিফোর্নিয়ার সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস জানিয়েছে, ২০২১ সালের
নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারা বিমানবন্দর থেকে বিমান নিয়ে
উড্ডয়ন করেন ট্রেভর জ্যাকব। এ সময় তার সঙ্গে ক্যামেরা, প্যারাসুট ও সেলফি স্টিক ছিল।
উড্ডয়নের ৩৫ মিনিট পর বিমানটি লস প্যাড্রেস ন্যাশনাল ফরেস্টে বিধ্বস্ত হয়। ঘটনাস্থলে
গিয়ে ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার করলেও বিমানটি নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর কোনো চেষ্টা করেননি
জ্যাকব। বরং উড্ডয়নের পর বিমান থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন এবং প্যারাসুট
ব্যবহার করে মাটিতে নেমে আসেন।
এরপর একই বছরের ২৩ ডিসেম্বর ‘আই ক্রাশড মাই এয়ারপ্লেন’ নামে একটি ভিডিও ইউটিউবে
ছাড়েন জ্যাকব। ভিডিওটি ৩০ লাখ বার দেখা হয়েছে। তবে পরবর্তীতে ভিডিওটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে
নেওয়া হয়।
মার্কিন তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, ইউটিউবে দর্শকপ্রিয়তা পেতেই স্বেচ্ছায় বিমানটি
বিধ্বস্ত করেছিলেন ট্রেভর জ্যাকব। পরে এ ঘটনায় মামলা হলে তাদের সঙ্গে মিথ্যা কথা বলেছেন
তিনি।
দোষ স্বীকার করে আদালতকে জ্যাকব জানান, একটি পণ্যের প্রচারের জন্য চুক্তি করেছিলেন
তিনি। এর অংশ হিসেবে তিনি বিমানটি বিধ্বস্ত করে ভিডিও ধারণ করেছেন। এই মামলায় সোমবার
জ্যাকবকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালত।
মন্তব্য করুন
ভালোবাসার লাল রঙের মাঝে বিশাল এক জায়গা জুড়ে থাকে বেদনার নীল রং।
শরীরে কোথাও আঘাত লাগলে যন্ত্রণায় প্রথমে জায়গাটার রং তীব্র নীল রঙ ই হয় যদিওবা পরে কালচে হয়ে যায়।যন্ত্রণার তীব্রতায় এই নীল রং ধারণ করার জন্যই বুঝি বা বলা হয় - বেদনার রং নীল।
আমেরিকার নাগরিকদের কাছে আজকের দিনটি (১০ নভেম্বর) একটি বিশেষ দিন। প্রিয়জন বা কাছের মানুষকে ভুলে না যাওয়ার দিন। তারা দিনটির নাম রেখেছে, ‘ফরগেট মি নট ডে' বা ‘ভুলে না যাওয়ার দিন'। এদিন হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষকে স্মরণ করা হয় সেই ছোট্ট নীল ফুল দিয়ে।
পশ্চিমা দেশে পথের ধারে ফুটে থাকা নীল রঙা ছোট্ট ঘাসফুল ‘মায়োসটিস’ তাই বেদনার প্রতীক। মনোযাতনার অনুভূতির সমার্থক হয়ে ওঠা এই নীল ফুলটির আরেক নাম ‘ফরগেট মি নট’ বা ‘ভুলো না আমায়' ।
১৯২১ সালের কথা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়া বীর যোদ্ধাদের স্মরণে শুরু হয় দিনটির উদযাপন, যার গোড়াপত্তন হয়েছিল বিচারক রবার্ট এস. মার্কসের হাত ধরে যিনি নিজেও ছিলেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একজন বীর যোদ্ধা। যুদ্ধে যারা প্রাণ দিয়েছেন, হারিয়েছেন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, তাদের স্মরণে এ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়।
আর যুক্তরাষ্ট্রে তখন থেকেই শুরু হয় ফর গেট মি নট ডে উদযাপন।
রবার্ট এস. মার্কস যুদ্ধাহত বীরদের জন্য অর্থ সংগ্রহের কথাটাও ভাবলেন বিচারক । সিদ্ধান্ত নিলেন সেই নীল রঙা ঘাসফুল বা ‘ফরগেট মি নট' ফুল বিক্রি করে অর্থাভাবে থাকা প্রবীণ যোদ্ধাদের পাশে দাঁড়াবেন। এরই ধারাবাহিকতায়, ১৯৪৯ সালে ফরগেট মি নট ফুলটিকে রাজ্য ফুল এর স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা।
দেশ ভেদে দিনটি উদযাপনের তারিখ ও উদ্দেশ্যের ভিন্নতা আছে। নিউজিল্যান্ডে আলঝেইমারে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের স্মরণ করা হয় দিনটিতে। আলঝেইমার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ২০০৩ সাল থেকে বছরের ৫ ও ৬ জুনকে ফর গেট মি নট ডে হিসেবে পালন করে দেশটি।
ভুল বোঝাবুঝি থেকে দূরে সরে যাওয়া কিংবা ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক জোড়া দিতেও দিনটিকে বেছে নেন অনেকে। তবে যে ঘটনাকে সামনে রেখেই দিনটি উদযাপন করেন না কেন, নীল রঙা ফুলের কথা কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না!
কারণ, সম্পর্কে মান-অভিমান থাকে। ভালবাসায় ভুল বোঝাবুঝি আসতেই পারে কিন্তু তাই বলে কি দূরে সরে যাওয়া যায়?
নীল রংয়ের এই ঘাসফুলের তোড়া দিয়ে সে মানুষটাকে তখন বলে দেয়াই যায় - বেদনার তীব্রতা টুকু নিয়েও সে মানুষটা আপনাকে স্মরণ করছে প্রতি মুহূ্র্তে । সে আছে যে কখনো আপনাকে ভুলে যাবে না। আপনাকে প্রতি মুহুর্তে ভেবে যায়।
সে চায় যেন আপনিও তাকে কখনো ভুলে না যান ।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভারতের সাথে আমদানিকৃত ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর ১৬৫০ মেট্রিক টন পিঁয়াজ সিরাজগঞ্জে এসে পৌঁছেছে। চুক্তিকৃত ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের প্রথম চালান এটি।
এর আগে, গতকাল রবিবার (৩১ মার্চ) বিকেলে ভারত থেকে ৪২টি রেলওয়ে ওয়াগনে এ পিঁয়াজ চুয়াডাঙ্গার দর্শনা এসে পৌছায়। এরপর কাগজ পত্র যাছাই বাচাই শেষে রাত্রে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্য রওনা হয়।
সোমবার(১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পেয়াজ নিয়ে সিরাজগঞ্জ বাজার রেল ইয়ার্ডে পৌঁছায় রেলওয়ে ওয়াগনগুলো। সকাল ৯টা থেকে পিঁয়াজ খালাস করা শুরু হয়। খালাসকৃত পিঁয়াজ ঢাকা, গাজিপুর ও চট্টগ্রামের নির্দিষ্ট জায়গা থেকে টিসিবি এর মাধ্যমে ভোক্তাদের কাছে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রিকরা হবে। এতে প্রায় ৩০টি জেলায় পিঁয়াজের মুল্য স্থিতিশীল হবে।
টিসিবি ডিলার আব্দুর রব রাইস এজেন্সির মোহাম্মদ সাইদুর রহমান জানিয়েছেন, তিনি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিনের নিয়মিত ডিলার। টিসিবির নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত স্থান থেকে ভোক্তাদের মাঝে ৪০ টাকা করে পিঁয়াজ বিক্রি করা হবে এবং একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ ২ কেজি করে নিতে পারবেন।
টিসিবি'র অতিরিক্ত পরিচালক গোলাম খোর্শেদ জানিয়েছেন, বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে ভারত সরকারের সাথে টিসিবির কর্তৃক ৫০ হাজার মেট্রিক টন আমদানির প্রথম চুক্তি হিসাবে ১৬৫০ মেট্রিক টন পিঁয়াজ সিরাজগঞ্জে পৌছানোর পর ডিলারদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। তার মধ্যে ১০০০ মেট্রিক টন পিঁয়াজ ঢাকা জেলায় ১০০ জন ডিলার এবং বাকী ৬৫০ মেট্রিক টন পিঁয়াজ গাজিপুর ও চট্রগ্রামে পর্যায়ক্রমে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
মন্তব্য করুন
ইন্দোনেশিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে
আইফোন ১৬ ও অ্যাপলের নতুন সকল পণ্য নিষিদ্ধ করেছে সরকার। দেশটিতে দেওয়া বিনিয়োগের
প্রতিশ্রুতি পূরণ না করায় অ্যাপলের বিরুদ্ধে এমন অবস্থান নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে
ইকোনোমিক টাইমস।
ইন্দোনেশিয়ার আইন
অনুযায়ী, সেদেশে কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মোট ক্রয় বাজেটের ৪০ শতাংশ স্থানীয় পণ্য
বা সেবায় ব্যয় করতে হবে। আইন মানতে দেশটিতে মোট ১০৯ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি
দিয়েছিল অ্যাপল। ৪০ শতাংশ কোটা পূরণে ইন্দোনেশিয়ায় অ্যাপল একাডেমি নামে একটি গবেষণা
প্রতিষ্ঠান করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
কিন্তু এ বিষয়ে সরকার
বলছে, অ্যাপল সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। ১০৯ মিলিয়ন নয়, বিনিয়োগ করেছে ৯৫
মিলিয়ন ডলার। জবাবে অ্যাপলের পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার। আইফোন
১৬, অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ১০-এর মতো এই কোম্পানির সকল নতুন পণ্যকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে
তারা।
জানা গেছে, আইফোনের
ইএমইআই সার্টিফিকেট আটকে দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। মানে আইনিভাবে কেউ নতুন আইফোন ব্যবহার
করতে পারবে না। কারো হাতে আইফোন ১৬ দেখা গেলে সেটা কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ করা
হয়েছে।
আইফোন ১৬ বাজারে আসে
গত সেপ্টেম্বরে। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত এই ফোনের প্রায় ৯ হাজার সেট
ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশ করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা ২৮
কোটির কিছু বেশি। এই জনসংখ্যার একটি বড় অংশই প্রযুক্তিপ্রেমী। যে কোনো নতুন গেজেট
এলেই সেটির প্রতি আগ্রহী হন তারা। এ কারণে দেশটিতে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার বরাবরই
চাঙ্গা। দেশটিতে বর্তমানে শত শত কোম্পানি রয়েছে যারা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স এবং প্রযুক্তিগত
পণ্যের যন্ত্রাংশ প্রস্তুত করে। ইন্দোনেশিয়ায় অ্যাপল শাখা খোলে ২০১৮ সালে। তবে এ শাখায়
এখনও কোনো আইফোন বা অন্য কোনো ফোন ম্যানুফ্যাকচারের কাজ হয়নি।
মন্তব্য করুন
চিকিৎসকরা যা পারলেন না, করে দেখিয়ে দিলেন একজন মা। এ যেন মাতৃশক্তির জয় । ৫ বছর কোমায় থাকার পর মায়ের মুখে কৌতুক শুনেই জেগে উঠলেন এক মার্কিন নারী।
জেনিফার ফ্লিওয়েলেন ২০১৭ সালে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন । আর এরপরই কোমায় চলে যান। কিন্তু মেয়ের নিস্পন্দ শরীরটাকে আগলে রাখতেন মা পেগি মিন্স। মেয়েকে পিরে পাওয়ার প্রত্যাশায় প্রতিদিন আসতেন হাসপাতালে মা, মেয়ের সঙ্গে কথা বলতেন, হাসির-মজার নানা গল্প বলতেন, কৌতুকও শোনাতেন। হঠাৎ একদিন ঘটল মিরাকল’। কাঁপুনি দিয়ে জেগে উঠলেন মেয়ে। মুখভর্তি একগাল হাসি।
৬০ বছরের পেগি জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ২৫ আগস্টের সেই অবিস্মরণীয় দিনটির কথা। ওইদিনই কোমা-মুক্ত হন জেনিফার। সম্প্রতি এতবছর পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে ।
মার কথায় জানা যায়, যখন সে জেগে উঠল, আমি প্রথমে রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কারণ সে হাসছিল। এতদিন ধরে তাকে হাসপাতালে দেখছি। কখনও আগে এরকম হাসতে দেখিনি। ওর শরীরে কাঁপুনি দিচ্ছিল। কথা বলতে পারছিল না, তবে মাথা নাড়ছিল। তবে এটা সত্যি, তাকে জেগে উঠতে দেখে বুঝেছি, আমার স্বপ্ন সত্যি হল। সেদিন নিজেকে বললাম, আমার স্বপ্ন সত্যি হল। এতদিন যে দরজা আমাদের দুইজনকে আলাদা করে রেখেছিল, তা যেন হঠাৎই খুলে গেল। আবার আমরা এক হয়ে গেলাম।
তবে কোমা মুক্ত হলেও এখনো পুরোপুরি সুস্থ হননি জেনিফার। এখনও ঠিক করে কথা বলতে পারেন না তিনি, নড়াচড়া করতেও সমস্যা হয়। জেনিফারের চিকিৎসার খরচ জোগাতে সমাজমাধ্যমে একটি ‘গো-ফান্ড-মি’নামে পেজও খোলা হয়েছে। গোটা ঘটনায় বিস্মিত মিশিগানের মেরি ফ্রি বেড রিহ্যাবিলিটেশন হাসপাতালের ডাক্তার র্যালফ ওয়াং।
ডাক্তার বলেন, এটি অলৌকিক ঘটনা, শুধু কোমা থেকে জেগে ওঠাই নয়, জেনিফার সুস্থতার দিকেও এগোচ্ছে। মাত্র ১ থেকে ২ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই এমনটা দেখা যায়।
এদিকে, মায়ের ফিরে আসায় উচ্ছ্বসিত পুত্র জুলিয়ান। সম্প্রতি তার ফুটবল ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন জেনিফার। জুলিয়ান জানিয়েছেন, মা আমার সবচেয়ে বড় সমর্থক। দর্শকাসনে তাকে ফিরে পাওয়ার অনুভূতি বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
সূত্র: এনডিটিভি
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়ায় চলছে ৮ দিনব্যাপী ৬৪তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতা। আর সে আয়োজনে বিশ্বের ৭১টি মুসলিম দেশের প্রতিযোগীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে বাংলাদেশ থেকে যোগ দিয়েছেন হাফেজা মাইমনা মনিরুজ্জামান।
গত শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানী কুয়ালালামপুরের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট কর্তৃক আয়োজিত কুরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
সংশ্লিষ্ট জানা যায়, ৬৪তম আন্তর্জাতিক আল-কুরআন তিলাওয়াত ও হেফজ বিভাগের প্রথম বিজয়ী পাবেন ৫২ হাজার রিঙ্গিত মূল্যের পুরস্কার। এছাড়া কুরআন তেলাওয়াত এবং হেফজ বিভাগের চ্যাম্পিয়ন প্রত্যেকে ইয়াসান পেমবাংগুনান ইকোনোমি মালয়েশিয়া কর্তৃক ১২ হাজার রিঙ্গিত মূল্যের সোনার মেডেল পুরস্কার ছাড়াও সরকারের কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার রিঙ্গিত পাবে ।
উভয় বিভাগেই রানার্সআপ পাবে ৩০ হাজার রিঙ্গিত এবং ইয়াসান পেমবাংগুনান ইকোনোমি মালয়েশিয়া কর্তৃক ১২ হাজার রিঙ্গিত মূল্যের সোনার মেডেল। তৃতীয় স্থান অর্জনকারী ২০ হাজার রিঙ্গিত এবং ইয়াসান পেমবাংগুনান ইকোনোমি মালয়েশিয়া কর্তৃক সোনার মেডেল এবং বিজয়ী সকলেই পুরস্কার, অংশগ্রহণের শংসাপত্র এবং স্যুভেনির পাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের মন্ত্রী (ধর্ম বিষয়ক) দাতুক মোহাম্মদ নাঈম মোখতার।
হাফেজ মাইমুনা ময়মনসিংহ জেলার কাতার প্রবাসী ইমাম কারী মনিরুজ্জামান শরীফের মেয়ে। তিনি রাজধানীর সাউদা বিনতে জামআহ (রা.) হেফজ মাদরাসার ছাত্রী। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইরানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন হাফেজা মাইমনা মনিরুজ্জামান। এছাড়া চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে দুবাইতে অনষ্টিত কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে হাফেজা মাইমুনা।
হাফেজা মাইমুনার বাবা কাতার প্রবাসী ইমাম কারি মনিরুজ্জামান শরীফ বলেন, ৭ অক্টোবর ছিল আমার মেয়ের অডিশন। আলহামদুলিল্লাহ সে ভাল করছে। আমি আশাবাদী মাইমুনা দেশের সম্মান বয়ে আনবে।আমি দেশবাসী এবং মালয়েশিয়া প্রবাসীদের কাছে দোয়া চাই মাইমুনার জন্য।
আন্তর্জাতিক এ কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশসহ ৭১টি দেশের ৯২ জন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছে। হিফজ বিভাগ ৩৯ জন ও তিলাওয়াত বিভাগে ৫৩ জন এই দুই ক্যাটাগরিতে অংশ নিয়েছে ।
আগামী ১২ অক্টোবর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করবেন দেশটির রাজা ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং সুলতান ইব্রাহিম এবং রানী পেরমাইসুরি আগোং রাজা জারিথ সোফিয়াহ।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ দফায় দফায় সময় বাড়িয়েও হজের কোটা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে ।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে হজ নিবন্ধন। সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা ৫০০ নির্ধারণ ছিল। হজ এজেন্সিগুলো হজের কোটা পূরণ করতে না পাড়ায় শঙ্কা দেখা দেয় হজযাত্রী পাঠানো নিয়ে।
আর এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার সৌদি সরকারের নিকট অনুরোধ করে সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে কোটা কমানোর জন্য। সৌদি সরকার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোটা অর্ধেক করে ।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এবং এজেন্সিগুলোকে এটি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বছর ২৫০ জন হজযাত্রী থাকলেই সরাসরি হজে পাঠাতে পারবে হজ এজেন্সিগুলো।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কোটা কমানোর চিঠিতে জানিয়েছে, সৌদি সরকার ২০২৪ সালের হজের জন্য বাংলাদেশসহ সব দেশের হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা প্রথমে দুই হাজার জন এবং পরবর্তী সময়ে ৫০০ জন নির্ধারণ করে পত্র প্রেরণ করে। সর্বনিম্ন কোটা ৫০০ জনের পরিবর্তে পূর্বের ন্যায় বাংলাদেশের সব এজেন্সিকে হজযাত্রী প্রেরণের সুযোগ দেওয়ার জন্য ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সৌদি সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, ধর্মমন্ত্রীর নির্দেশে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার সর্বশেষ গত ২৪ জানুয়ারি সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার আবদুল ফাত্তাহ সুলেমান মাশাত এবং হজ অ্যাফেয়ার্স অফিসের মহাপরিচালক ড. বদর আলসোলামির সঙ্গে টেলিফোনে কোটার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানান।
অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ জানুয়ারি ভাইস মিনিস্টারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা ৫০০ জনের পরিবর্তে ২৫০ জন নির্ধারণের কথা ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে জানানো হয়।
এর আগে গত ২৯ নভেম্বর ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে হজ এজেন্সিগুলোকে জানানো হয়, সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হিজরি ১৪৪৫/২০২৪ সনের হজ মৌসুমে অনুমোদিত প্রতিটি হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন ৫০০ জন হজযাত্রী থাকলে ওই এজেন্সি সৌদি আরবে সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে পারবে।
এ বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী কোনো হজ এজেন্সি ২৫০ জন হজযাত্রী থাকলে সরাসরি সৌদি আরবে পাঠাতে পারবে। যেসব এজেন্সির হজযাত্রীর সংখ্যা ২৫০-এর কম সেসব এজেন্সিকে অন্য এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয় করে লিড এজেন্সি নির্ধারণ করে হজযাত্রী পাঠাতে হবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে জানানো হয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের মতো আগামী বছরও (২০২৪ সাল) বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটা ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।এবার হজে যেতে সরকারি-বেসরকারি হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয় গত ১৫ নভেম্বর। গত ১০ ডিসেম্বর নিবন্ধন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নিবন্ধনে সাড়া না পাওয়ায় তিন দফা সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ বাড়ানো নিবন্ধনের আট দিন সময় ১ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
মন্তব্য করুন
প্রতি বছরের ন্যায় এবারো মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষার টান দুই বাংলার ভাষাপ্রেমীদের মিলনমেলা বসে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট নো-ম্যান্সল্যান্ড এলাকায়।
বুধবার সকালে এ মেলার আয়োজন করা হয়। এসময় দু'দেশের শতশত ভাষাপ্রেমী মানুষ বিজিবি ও বিএসএফের বাধার মুখে প্রবেশ করতে পারেনি।
বেনাপোল চেকপাস্ট নো-ম্যান্সল্যান্ডে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ বেদীতে সকাল সাড়ে ১১টায় ভারত ও বাংলাদশ ভাষাপ্রমী শতশত মানুষ ফুল দিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
দু'দেশের পক্ষ নেতৃত্ব দেন পশ্চিমবঙ্গ বনগাঁও অঞ্চলের এমএলএ শ্রী নারায়ন গোস্বামী ও যশোর-১ আসনর সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন।
ভারতের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান, পশ্চিমবঙ্গ বনগাঁও অঞ্চলর এমএলএ শ্রী নারায়ন গোস্বামী, শ্রী বীনা মন্ডল সভপতি উত্তর ২৪ পরগঁনা জেলা পরিষদ, সাবেক এমপি মমতা ঠাকুর, শ্রীমতি ইলাবাচী সভাপতি গাইঘাটা পঞ্চায়ত সমিতি, শ্রী সুরজীত বিশ্বাস সাবেক বিধায়ক, শ্রী বিশ্বজিত দাস সাবেক সাংসদ, হাবড়া পৌর মেয়র শ্রী নারায়ন সাহা।
বাংলাদেশের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান, যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযাদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশী, শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ফারজানা ইসলাম, বেনাপোল পৌর মেয়র আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন, অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, বেনাপাল পোর্ট থানার ওসি শ্রী সুমন ভক্ত, ইমিগ্রেশন ওসি কামরুজ্জামান বিশ্বাস, শার্শা থানার ওসি মনিরুজ্জামান, শার্শা উপজেলা বীর মুক্তিযাদ্ধা কামান্ডার মাজাফ্ফর হোসেন, বিজিবির আইসিপি ক্যাম্পর কামান্ডার মিজানুর রহমান, যুবলীগের সভাপতি অহেদুজ্জামান অহিদ এবং সাধারণ সম্পাদক সাহরাব হোসেন।
এছাড়াও সর্বস্তরের জনগণ এতে অংশ নেন।
এরপর দুই দেশের জনগণের জন্য উভয় দেশ থেকে মিষ্টি পাঠানা হয়।
মন্তব্য করুন
গুগল ম্যাপের দেখানো পথে চলতে গিয়ে
খালে পড়লো গাড়ি। পরে সেই গাড়ি থেকে চারজনকে উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (২৪ মে) রাতে ভারতের কেরালা
রাজ্যে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভারতীয় সংবাদপত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের
প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হায়দরাবাদ থেকে
চারজনের একটি পর্যটক দল সাউথ কেরালা জেলার কুরুপান্থরার কাছে একটি খালে দুর্ঘটনার শিকার
হন। তারা গুগল ম্যাপে দেখানো রাস্তায় চলছিল। কিন্তু ভারি বর্ষণে রাস্তাটি ডুবে যাওয়ায়
তারা সেটি চিহ্নিত করতে না পেরে গাড়িটি একটি খালের ওপর দিয়ে চালিয়ে দেয়। এই পর্যটক
দলটি কেরালার আলাপ্পুঝায় যাচ্ছিল। গাড়িটি খালে ডুবে যাওয়ার পর ওই চার পর্যটককে উদ্ধার
করে পুলিশ। তবে তাদের বাহনটি ডুবে যায়।
স্থানীয় কাদুথুরথী থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ডুবে যাওয়া গাড়ি উদ্ধারে কাজ চলছে। এ ধরনের ঘটনা কেরালায় নতুন নয়। গত বছরের অক্টোবরে রাজ্যটিতে দুই তরুণ চিকিৎসক গুগল ম্যাপের দেখানো রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় নদীতে পড়ে নিহত হন। ওই ঘটনার পর বর্ষা মৌসুমে চলাচলের সময় প্রযুক্তি ব্যবহারে সতর্কবার্তা জারি করে কেরালা পুলিশ।
সূত্র- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ সোমবার বলেছেন, অন্তর্বর্তী
সরকার দেশে আরও বিদেশী ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ব্যাপক শ্রম সংস্কারে
প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শ্রম সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড়
শ্রম ও ব্র্যান্ড প্রতিনিধিদল তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে
সাক্ষাত করতে গেলে তিনি একথা বলেন।
প্রফেসর
ইউনূস প্রতিনিধি দলকে বলেন,
“আমরা আমাদের শ্রম আইনকে বৈশ্বিক মানদণ্ডের সম মানসমম্পন্ন করতে চাই। এটা আমার
অঙ্গীকার।” তিনি
বলেন, অন্তর্বর্তী
সরকার কেবলমাত্র দেশের শ্রম আইন সংস্কার করতে এবং এ ব্যাপারে স্থানীয় ও
আন্তর্জাতিক শ্রম অধিকার গোষ্ঠী,
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ও পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগ নিরসনের জন্য একজন বিশেষ
দূত নিয়োগ করেছে।
প্রতিনিধিদলের
নেতৃত্বে ছিলেন মার্কিন শ্রম বিভাগের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া মেই লি ও
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক শ্রম বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি ফে রড্রিগেজ।
দুই
জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন,
যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক শ্রম অধিকার গোষ্ঠী এবং বাংলাদেশ থেকে পোশাক ও জুতা
ক্রয়কারী শীর্ষ আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলো শ্রম আইন সংস্কার ও বাংলাদেশের কারখানায়
শ্রমিক-বান্ধব পরিস্থিতি তৈরিতে অধ্যাপক ইউনূসের পদক্ষেপকে সমর্থন করে।
সরকার
ও স্থানীয় ইউনিয়নের মধ্যে স্বাক্ষরিত ১৮-দফা চুক্তিসহ পদক্ষেপগুলোর কথা উল্লেখ করে
কেলি ফে রড্রিগেজ বলেন,
প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গত সাড়ে তিন মাসে শ্রম খাতের
জন্য যা করেছেন, ‘সেগুলো সবই তার বিস্ময়কর
সাক্ষ্য।
মার্কিন
কর্মকর্তারা মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে লাখো গার্মেন্টস ও পাদুকা শ্রমিককে সুরক্ষা
দেওয়ার জন্য কারখানায় ইউনিয়ন অধিকার প্রতিষ্ঠা ও প্রতি বছর মজুরি পর্যালোচনার
আহ্বান জানান।
পোশাক
কারখানায় ন্যূনতম মজুরির সুবিধাদান প্রসঙ্গে থিয়া মে লি বলেন, ‘এটি ব্যবসার
জন্য ভালো ও অর্থনীতির জন্যও ভালো।’
তিনি বলেন, কর্মী
ইউনিয়ন হল ‘গণতন্ত্রের
প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র।’
তিনটি
শীর্ষ মার্কিন ব্র্যান্ড পিভিএইচ,
ক্যালভিন ক্লেইন এবং গ্যাপ ইনকর্পোরেটেডের সিনিয়র কর্মকর্তারাও বৈঠকে উপস্থিত
ছিলেন।
পিভিএইচ
কর্পোরেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল ব্রাইড বলেছেন, তারা
বাংলাদেশে শ্রম সংস্কারকে সমর্থন করেছেন। তারা কম্বোডিয়ায় অনুরূপ প্রচেষ্টাকে
সমর্থন করেছেন।
প্রফেসর
ইউনূস ব্র্যান্ডগুলোকে প্রতি জানুয়ারিতে তাদের অর্ডারের মূল্যবৃদ্ধি ঘোষণা করার
আহ্বান জানান, যাতে
বাংলাদেশের নির্মাতারা সেই অনুযায়ী শ্রমিকের মজুরি বাড়াতে পারে।
বৈঠকে
মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মেগান বোল্ডেবও ছিলেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র
প্রফেসর ইউনূসের ব্যাপক শ্রম সংস্কারকে পূর্ণ সমর্থন করে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আপনার
সাথে অংশীদার হতে চাই।’
মন্তব্য করুন