নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা সিটির সঙ্গে ৯ মার্চ পৌরসভা, জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনও আছে। পরিস্থিতি ভালো আছে।
তবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বুধবার (৬ মার্চ) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. আলমগীর বলেছেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। যে সব জায়গা থেকে চাহিদা এসেছে সেখানে বেশি ফোর্স দিয়েছি। অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেটও দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমাদের মূল্যায়ন পরিবেশ ভালো। আশাকরি নির্বাচন ভালোভাবেই হবে। আমাদের প্রস্তুতি সব দিক থেকেই ভালো।
তিনি বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিষয়টা হলো আমাদের প্রকল্পে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। জনবল রাখা হয়নি। এজন্য নিয়মিত কর্মকর্তাদের দিয়েই বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির সহায়তায় রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকি। আমাদের আর্থিক, জনবলের সীমাবদ্ধতা আছে। এজন্য অনেকগুলো ইভিএমই কাজ করছে না। অচল হয়ে যাচ্ছে। ইভিএম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যেগুলো সচল পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোই ব্যবহারের জন্য পাঠানো হচ্ছে।
সিটি ভোটে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না, সে ধরনের কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ভোটের ক্ষেত্রে উত্তেজনা থাকেই। সব প্রার্থীই চায় নির্বাচনে জেতার জন্য। তবে এরকম কোনো ইয়ে নাই ওখানে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হবে, এ ধরনের তথ্য আমাদের কাছে নাই। তারপরও সতর্কতা হিসেবে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন থেকে তারা যে অতিরিক্ত ফোর্স চেয়েছে সেভাবে দিয়েছি। নিয়ন্ত্রণের বাইরে পরিস্থিতি চলে গেলে কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা বন্ধ না করলে আমরা (কমিশন) বন্ধ করে দেবো।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে ।
শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক শুভেচ্ছাপত্রে আইএমও মহাসচিব আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজ বলেন, এই দায়িত্ব পালনের প্রতিটি সাফল্যের জন্য আপনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। শিপিং নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বরত জাতিসংঘের সংস্থা হিসেবে আইএমও একটি নিরাপদ, সুরক্ষিত ও পরিবেশগতভাবে নিরাপদ শিপিং সেক্টরের পরিচালনায় সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে সহায়তায় কাজ করছে। মহাসাগরগুলোকে রক্ষা করতে এবং বিশ্বব্যাপী নির্ভরযোগ্য ও দক্ষতার সঙ্গে একটি টেকসই সরবরাহ শৃঙ্খল পরিচালনায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তায় ব্যাপকভাবে নিয়োজিত রয়েছে আইএমও।
আইএমও মহাসচিব বাংলাদেশের সক্রিয় পদক্ষেপ, বিশেষ করে জাহাজের নিরাপত্তা ও পরিবেশবান্ধব রিসাইক্লিংয়ের জন্য হংকং আন্তর্জাতিক কনভেনশনে চুক্তিবদ্ধ রাষ্ট্র হতে এর সাম্প্রতিক উদ্যোগ ও সামুদ্রিক সুরক্ষার কথা উল্লেখ করেন। তিনি পরিবেশগত তত্ত্বাবধানের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির উদাহরণ তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ সবসময়ই আইএমওর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে উল্লেখ করে আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজ বলেন, আমি নিশ্চিত যে আপনার বিচক্ষণ নেতৃত্ব আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
আইএমও মহাসচিব আরো বলেন, এই প্রশংসনীয় পদক্ষেপ কেবল কনভেনশন কার্যকর করার ক্ষেত্রই সহজ করেনি, বরং আমাদের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা কার্যক্রমের প্রভাবশালী ফলাফলের ওপরও জোর দিয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের পদক্ষেপ অন্য দেশের জন্য আরও টেকসই সামুদ্রিক ভবিষ্যত তৈরির লক্ষ্যে বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় যোগ দিতে উৎসাহিত করতে একটি আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে।
সংস্থাটির মহাসচিব আরো উল্লেখ করেন, আইএমওর প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অব্যাহত সম্পৃক্ততা ও নেতৃত্বের অপেক্ষায় রয়েছি ।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ও ঘানা এই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও ব্যবসা সম্প্রসারণে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সফররত ঘানার পররাষ্ট্র ও আঞ্চলিক সংহতি বিষয়ক মন্ত্রী শার্লি আয়োরকর বোচওয়ে-এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাতে এ বিষয়ে একমত হয় বাংলাদেশ ও ঘানা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, “বাংলাদেশ ও ঘানা কৃষি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ফার্মাসিউটিক্যালস, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পাট, চামড়া ও গার্মেন্টস সহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে।” গণভবনে আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ঘানার পররাষ্ট্র ও আঞ্চলিক সংহতি মন্ত্রী শার্লি আয়োরকার বোচওয়ের মধ্যে বৈঠকে এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর ওপর জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আফ্রিকান দেশগুলির সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আফ্রিকান দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য এবং টেক্সটাইল পণ্য আমদানি করতে পারে।
ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ ও ঘানার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এ লক্ষ্যে তিনি দুই দেশের মধ্যে কৃষি, ওষুধ, আইসিটি এবং কৃষিভিত্তিক খাদ্য পণ্যের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন। তিনি আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য কমনওয়েলথের মহাসচিব হিসেবে আসন্ন নির্বাচনে তার দেশের প্রার্থীতার পক্ষে বাংলাদেশের সমর্থন কামনা করেন। এবার আফ্রিকার দেশগুলো থেকে কমনওয়েলথ মহাসচিব নির্বাচিত হবেন।
কমনওয়েলথ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সংস্থা এক সময় নিষ্ক্রিয় ছিল। কিন্তু কমনওয়েলথ এখন বিনিয়োগ এবং মানবসম্পদ প্রশিক্ষণ (সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে) বৃদ্ধিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলেন, কমনওয়েলথের মহাসচিব পদে যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন।
সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবীবুল আউয়াল।
(৬ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার বঙ্গভবনে সাক্ষাৎকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম বিশেষ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জনান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্ব এবং নির্বাহী বিভাগের সার্বিক সহযোগিতার ফলে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।ভবিষ্যতেও নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সুন্দরভাবে করতে সক্ষম হবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম এবং সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি সব সময় জনগণের ম্যান্ডেটের পরিবর্তে ‘অন্য শক্তির’ সহায়তায় ক্ষমতায় যেতে চায়।’
রোববার (২৮ জানুয়ারি) যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশবিষয়ক সর্বদলীয় সংসদীয় দলের (এপিপিজি) ভাইস চেয়ার ও ইন্দো-ব্রিটিশবিষয়ক এপিপিজি’র চেয়ার বীরেন্দ্র শর্মা এমপির নেতৃত্বে যুক্তরাজ্যের ক্রস পার্টি একটি পার্লামেন্টারি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যখনই নির্বাচনের সময় আসে, তখনই তারা (বিএনপি) অন্য কোনো শক্তির সন্ধান করে যারা তাদের ক্ষমতায় বসাতে পারে। বিএনপি সবসময় যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চায়।
গত ৭ জানুয়ারি এবং ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যদি তারা (বিএনপি) কোনো নিশ্চয়তা না পায় যে কেউ তাদের ক্ষমতায় আনবে, তাহলে তারা (বিএনপি) নির্বাচন বয়কট করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্য করেছিল, কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার নিশ্চয়তা না পাওয়ায় নির্বাচনের দিনে নির্বাচন বয়কট করেছিল। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তারা (বিএনপি) কখনও ক্ষমতায় আসেনি।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া এবং আওয়ামী লীগের বিজয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
একইসঙ্গে রাষ্ট্রদূত চীনা নেতাদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা পৌঁছে দিয়েছেন।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে চীনের অভিনন্দনবার্তা পৌঁছে দেন রাষ্ট্রদূত ওয়েন।
ঢাকার চীনা দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাষ্ট্রদূত নিশ্চিত করেছেন যে, চীনা নেতারা দীর্ঘদিনের লালিত সম্পর্কে আরও এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং গভীর সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ-চীনের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে।
রাষ্ট্রদূত ওয়েন বলেন, উন্নয়ন এবং পুনরুজ্জীবনের ক্ষেত্রে চীন এবং বাংলাদেশ উভয়ই একটি সংকটময় পর্যায়ে রয়েছে। উন্নয়ন আধুনিকায়নে চীন সবসময় বাংলাদেশের বিশ্বস্ত অংশীদার এবং নির্ভরযোগ্য বন্ধু হিসেবে পাশে ছিল। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দশনায় চীন ও বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক শ্রদ্ধার মডেল স্থাপন করেছে।
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় চীন বাংলাদেশকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করবে। চীন বাংলাদেশে বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে। ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চীন বাংলাদেশকে সহায়তা করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।
রাষ্ট্রদূত ওয়েন আরও বলেন, বাংলাদেশের ২০৪১ রুপকল্প বাস্তবায়নে চীন সহযোগিতা করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চীন বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করতে প্রস্তুত। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের ক্ষেত্রে আরও উন্নত সহযোগিতা ও অবদান রাখতে পারে চীন-বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর একুশে বইমেলার শুভ উদ্বোধন শেষে প্রথমবারের মতো ডিএমপির বুক স্টল পরিদর্শন করেছেন । এসময় তিনি ডিএমপির স্টল থেকে দুটি বই কেনেন।
শত ব্যস্ততার মাঝেও সাহিত্যপ্রেমী পুলিশ লেখকদের মননশীল বই পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে বইমেলায় এবার রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) স্টল।
ডিএমপির বুক স্টল বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতেই মাঠের উত্তর দিকের সারিতে রয়েছে । এখানে বইপ্রেমী পাঠকদের জন্য রয়েছে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান রচিত মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ: মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা (১ম, ২য় ও ৩য় খন্ড); ‘ঠার’ বেদে জনগোষ্ঠীর ভাষা: LETTERS OF SHEIKH MUJIBUR RAHMAN (VOL.1: 1948- 1950); ‘চিঠিপত্র’ শেখ মুজিবুর রহমান (খণ্ড ১: ১৯৪৮-১৯৫০): স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান; LETTERS OF SHEIKH MUJIB (VOL.2: 1951-1952); শেখ মুজিবের চিঠিসহ (খণ্ড ২: ১৯৫১-১৯৫২) বিভিন্ন পুলিশ লেখকদের গল্প, উপন্যাস, কবিতা ও ছড়ার জনপ্রিয় বই।
প্রধানমন্ত্রী ডিএমপি কমিশনারকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ লেখকদের লেখা বিভিন্ন বই দেখেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী বই কেনার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করতে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান সম্পাদিত বঙ্গবন্ধু জেলখানায় থাকাকালীন বঙ্গবন্ধুর চিঠিপত্রের সংকলন LETTERS OF SHEIKH MUJIB (VOL.2: 1951-1952) ও শেখ মুজিবের চিঠি (খণ্ড ২: ১৯৫১-১৯৫২) বই দুটি কেনেন।
এসময় স্টলে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তারসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাংলা একাডেমির উদ্যোগে পড় বই, গড় দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ - শীর্ষক প্রতিপাদ্যে একাডেমির প্রাঙ্গণ এবং সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বার্ষিক এই বইমেলা আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
মন্তব্য করুন
দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ফ্রান্সসহ উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (জানুয়ারি ২৩) গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তৃতা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন লেখক মো. নজরুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নকে টেকসই করতে ফ্রান্সসহ উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা প্রয়োজন, কারণ আমাদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় বাংলাদেশ দারিদ্র্য, বন্যা ও খরার দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল, যা এখন ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে।
তিনি বলেন, তৃণমূলে ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে আজকের বাংলাদেশ সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেশের প্রতিটি গ্রাম বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে এবং যোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, গ্রামীণ জনপদ অনেক পরিবর্তিত হয়েছে এবং দারিদ্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার গ্রামাঞ্চলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে, যা ইতোমধ্যে শহর এলাকায় শুরু হয়েছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের অবশ্যই তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করতে হবে। তারা এখানে মাদক চোরাচালান, অস্ত্র ও মানব পাচারের মতো বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত।
রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য ফ্রান্সসহ পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি তাদের চাপ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানিদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাদের চতুর্থ প্রজন্ম এখানে বসবাস করছে। পাকিস্তান তাদের আর ফিরিয়ে নেবে বলে মনে হয় না। আমরা তাদের স্থায়ী পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে তাদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা করছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরাসি গ্যাস কোম্পানিকে বাংলাদেশের গ্যাস খাতে এবং গ্যাস অনুসন্ধানে বিনিয়োগের জন্য অনুরোধ জানান।
তাঁরা এয়ারবাস ক্রয় ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণসহ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়েও আলোচনা করেন।
ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাখোঁর একটি অভিনন্দন বার্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট হস্তান্তর করেন।
২০২১ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ফ্রান্স সফর এবং ২০২৩ সালে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁর বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, এই সফরগুলো দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ককে আরও জোরদার করেছে।
জলবায়ু সমস্যা সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বাংলাদেশকে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড’ পেতে সহায়তা করবে এবং তারা বাংলাদেশকে এই তহবিল ব্যবহারে অগ্রণী হিসেবে দেখতে চায়।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ একটি উদাহরণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফ্রান্স বাংলাদেশকে সবুজ শক্তি উত্তরণে সহায়তা করতে চায়।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, তার দেশ ব্লুইকোনমি এবং সাইবার নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চায়।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী সকল সংসদ সদস্যকে নিয়ে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন ।
আগামীকাল শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।এবারের নির্বাচনে নবনির্বাচিত এমপিরা শপথ নিয়েছেন গতকাল। আজ বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) শপথ নেবেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। গতকালই মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
আজ বিকালেই জানা যাবে কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন। সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে মন্ত্রপরিষদের সদস্যদের শপথ পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপ্রধান। শপথগ্রহণ শেষে নবনিযুক্ত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা নিজ নিজ শপথবাক্যে স্বাক্ষর করবেন।
ইতোমেধ্যই দ্বাদশ সংসদে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের অনুমতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।এর আগে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়ে তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতি দেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। আর ঠিক পরেই জারি করা হয় প্রজ্ঞাপন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন এবং তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতিজ্ঞাপন করেছেন। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে গণ্য হবে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে
চায় বাংলাদেশ, তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সব সময় প্রস্তুত ।
রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রামের হালিশহর সেনানিবাসে আর্টিলারি
সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স’
উদ্বোধন শেষে দরবারে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, কেউ আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করুক, আমরা
সেটা চাই না। আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে চাই, কিন্তু আমাদের দেশের
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যা যা করা দরকার আমরা তা করব। আমাদের এটি
সর্বদা মনে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ডিজিটাল মাধ্যমে যুদ্ধ করা হচ্ছে। সেজন্য দেশে
আধুনিক, জ্ঞানভিত্তিক উচ্চ প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা দরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় শান্তি চাই। বাংলাদেশ স্বাধীন ও
সার্বভৌম। আমরা যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছি। যুদ্ধে জয়ী হয়ে আমরা যে
স্বাধীনতা পেয়েছি তা আমাদের ধরে রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আরও উন্নত, আরও দক্ষ এবং আরও
প্রশিক্ষিত হবে এবং সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি আমরা।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেহেতু প্রয়োজনে সবসময় জনগণের
পাশে রয়েছে, তাই এখন তারা জাতির কাছে আস্থার প্রতীক।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান
জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাকে স্বাগত জানান।
মন্তব্য করুন
রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ড রোধে রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, আমার মনে হয়, রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে আরো বেশি সতর্ক হওয়া উচিত। সামান্য একটা ভুলের জন্য ৪৫টা প্রাণ চলে গেল, এর থেকে মর্মান্তিক আর কিছু হতে পারে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আরো বেশি অভিযান পরিচালনা করা উচিত। এই দুই প্রতিষ্ঠান আরো বেশি সতর্ক হলে অগ্নিকাণ্ড সামনের দিনে কমে আসবে।
(২ মার্চ) শনিবার সকালে ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটি আয়োজিত ২৩তম আন্তর্জাতিক সায়েন্টিফিক সেমিনারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসপাতালে সব ধরনের অনিয়ম বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অতীতে কী হয়েছে সেগুলো মনে রাখা যাবে না। ইচ্ছা করলেই অনিয়ম করে আর হাসপাতাল খোলা যাবে না। অভিযান লাগাতার চলবে।
সামন্ত লাল বলেন, আমি বাংলাদেশের সব হাসপাতাল বন্ধ করার পক্ষে না। হাসপাতাল থাকবে, সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালও থাকবে। কিন্তু সে হাসপাতালগুলোকে নিয়ম মেনে যা যা ক্রাইটেরিয়া দরকার সেগুলো মেনে চলতে হবে।
মন্তব্য করুন