পাহাড়ি ঢল আর ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট
বন্যায় বিপর্যস্ত দেশের ৯ জেলা। এমন অবস্থায় পানিবন্দি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য
হটলাইন নম্বর চালু করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ফায়ার সার্ভিস
সদর দপ্তরের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়েছে, সারা দেশের বন্যাকবলিত
এলাকার উদ্ধারকাজ বিষয়ে যেকোনো সেবার জন্য ফায়ার সার্ভিসের হটলাইন নম্বর ১০২ এবং কেন্দ্রীয়
নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নিয়মিত ফোন নম্বর ০২২২৩৩৫৫৫৫৫ চালু থাকবে। পাশাপাশি মনিটরিং সেলে
সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ০১৭১৩-০৩৮১৮১ মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা যাবে। এর পাশাপাশি
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করেও ফায়ার সার্ভিসের এ সংক্রান্ত সেবা নেওয়া যাবে।
মনিটরিং সেলের পাশাপাশি বন্যাকবলিত
এলাকার ফায়ার স্টেশনগুলো এবং বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষের মাধ্যমেও ২৪ ঘণ্টা দুর্যোগে উদ্ধারবিষয়ক
সেবা নেওয়া যাবে।
গতকাল বুধবার বিকেল ৫টা থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে
অধিদপ্তরে স্থাপিত এই মনিটরিং সেলের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল
সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই বৈঠক চলে।
বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের গত এক মাসের
কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করা হয়। এ ছাড়াও আগামীতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করণীয় নিয়েও আলোচনা
করেন উপদেষ্টারা। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে
বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশে চোখের যত্ন ও পরিষেবা সম্প্রসারণের জন্য অলাভজনক প্রতিষ্ঠান
অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সাথে কাজ ও সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
অরবিস ইন্টারন্যাশনালের
প্রেসিডেন্ট ও সিইও ডেরেক হডকির সাথে এক বৈঠকে তিনি বলেন, বাংলাদেশে চোখের যত্নের সেবা
সম্প্রসারণ করতে হবে এবং এ লক্ষ্যে আরা অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত।
আজ শুক্রবার (২২
নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হড, অরবিস ফ্লাইং আই হাসপাতালের প্রশিক্ষণ
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডেরেক বাংলাদেশ সফর করছেন। এখন চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ চলছে। ডেরেকে
গত বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীতে অধ্যাপক ইউনূসের সাথে তার কার্যালয়ে দেখা করেন।
অরবিস বাংলাদেশের
কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মুনির আহমেদ প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাতের সময় ডেরেকের সাথে
ছিলেন। অরবিস প্রেসিডেন্ট প্রধান উপদেষ্টাকে ফ্লাইং আই হাসপাতালের একটি মডেল সংস্করণ
উপস্থাপন করেন। অধ্যাপক ইউনূস এটির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ডেরেক অরবিস ইন্টারন্যাশনালের
কাজ সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবিহিত করেন। অরবিস ১৯৮২ সালে বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি-সংরক্ষণ
কর্মসূচি শুরু করেছিল। অরবিস গত ৩৯ বছর ধরে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের
সাথে কাজ করছে।
ডেরেক বলেন, এই সময়ের
মধ্যে, অরবিস এ পর্যন্ত কমিউনিটি আউটরিচ ইভেন্টে ৭.৮ মিলিয়নেরও বেশি চোখের স্ক্রীনিং
পরিচালনা করেছে, প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের মধ্যে ৪.৫ মিলিয়নেরও বেশি ব্যক্তিকে ওষুধ ও
অপটিক্যাল চিকিৎসা প্রদান করেছে, ২৫৮,০০০টিরও বেশি চোখের সার্জারি করেছে এবং বাংলাদেশের
৪০ হাজারের বেশি লোককে চোখের যত্ন নেয়ার বিষয়ে প্রশিক্ষিত করেছে।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশে
চক্ষু স্বাস্থ্য খাতে অরবিসের অবদানের কথা স্বীকার করেন এবং ফ্লাইং আই হাসপাতালের প্রতি
তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অরবিস এখন বাংলাদেশে ১১তম প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা
করছে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি
অরবিসকে ভালোবাসি। আমি ফ্লাইং আই হসপিটালকে ভালোবাসি।’ তিনি উলে¬খ করেন যে, অরবিস বাংলাদেশে
চোখের স্বাস্থ্য খাতে ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম।
ডেরেক বলেন, অরবিস
ব্যক্তি, পরিবার ও জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করার জন্য বিশ্বব্যাপী ২ শতাধিক দেশ ও ভূখণ্ডে
দৃষ্টি সংরক্ষণের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
বিশ্বজুড়ে প্রায় এক
বিলিয়ন মানুষ সম্পূর্ণভাবে পরিহারযোগ্য অন্ধত্ব ও দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের সমস্যা নিয়ে
বসবাস করছে উলে¬খ করে ডেরেক বলেন, চার দশকেরও বেশি সময় ধরে অরবিস জোরদার ও টেকসই চোখের
যত্ন ব্যবস্থা নিয়ে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে।
অরবিস প্রেসিডেন্ট বলেন, অলাভজনক এ প্রতিষ্ঠানটি আফ্রিকা, এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকায় বিশেষ কর্মসূচি পরিচালনা করছে এবং প্রশিক্ষণ প্রদান ও প্রযুক্তির প্রয়োগ করছে।
তিনি বলেন, গত চার
দশক ধরে অরবিস শিশুদের চোখের যত্ন, মাইক্রোসার্জারি, রেটিনাল সার্জারি, কর্নিয়ার রোগ,
প্রিম্যাচুরিটি রেটিনোপ্যাথি এবং ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির ওপর গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের
স্থানীয় অংশীদারদের দক্ষতা ও জ্ঞানের উন্নতিতে সাহায্য করেছে।
ডেরেক এ সময় প্রধান
উপদেষ্টাকে আরো অবিহিত করেন যে, অরবিস সারা দেশে বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় ৪২টি দৃষ্টি
সেবা কেন্দ্র স্থাপন করে চোখের যত্নের সাথে জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করেছে; ১৭টি সেকেন্ডারি
হাসপাতাল, চারটি তৃতীয় হাসপাতাল, দুটি ওয়েট ল্যাব, একটি মানসম্পন্ন রিসোর্স সেন্টার
ও একটি ডিজিটাল ট্রেনিং হাব প্রতিষ্ঠা বা উন্নতিতে সহায়তা করেছে।
মন্তব্য করুন
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশ এবং বন সংরক্ষণ ও উন্নয়নে পরিবেশ ও বন
অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তা কোনো প্রকার দুর্নীতি, অনিয়ম ও অবহেলা প্রদর্শন করলে তাদের
বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিকেলে দায়িত্ব নেওয়ার পর বুধবার (১৪
আগস্ট) প্রথমবারের মতো বন অধিদপ্তর পরিদর্শন এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায়
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রাজধানীর কাটাবনের পাখি মার্কেটে বিদ্যমান
অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন
মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, দেশের বনকে বনের মতো রাখতে হবে এবং
দেশের পরিবেশের মানোন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিকভাবে নিবেদিত হয়ে কাজ
করতে হবে। বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটকে এখানে নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে।
এখানে সকল প্রকার অবৈধ পাখির ব্যবসা বন্ধে এবং পাখির প্রতি নিষ্ঠুর আচরণকারী ব্যবসায়ীদের
বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। এ কাজে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা নেওয়ার আহ্বান
জানান তিনি।
বনের ওপর আগ্রাসন বন্ধে অগ্রাধিকার
ভিত্তিতে বনের সীমানা নির্ধারণ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান পরিবেশ উপদেষ্টা।
মতবিনিময় সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু
পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক, বিভাগীয়
বন কর্মকর্তা, বন অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ অধিদপ্তর পরিদর্শন করেন এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি পাহাড়
ও টিলা কর্তন, নদীর দূষণ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের
কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, জনগণের
অভিযোগ দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে।
কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির আহ্বান
জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, দৃশ্যমান ফলপ্রসূ কাজের মাধ্যমে মানুষের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে
আনতে হবে।
মতবিনিময় সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা পরিবেশ
ও বন অধিদপ্তরের সমস্যা, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জসমূহ শোনেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের
আশ্বাস দেন।
মন্তব্য করুন
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠের দখলকে কেন্দ্র
করে যোবায়ের ও সাদপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক।
তাবলিগ জামাতের যোবায়েরপন্থিদের মিডিয়া
সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান ও মাওলানা সাদপন্থিদের মিডিয়া সমন্বয়ক আবু সায়েম বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত
৩টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। নিহতরা হলেন আমিনুল
ইসলাম বাচ্চু (৫৫), বেল্লাল হোসেন (৬০) ও তাইজুল ইসলাম(৭০)।
আহতরা হলেন- আ. রউফ (৫৫), মজিবুর রহমান
(৫৮), আ. হান্নান (৬০), জহুরুল ইসলাম (৩৮), আরিফ (৩৪), ফয়সাল (২৮), তরিকুল (৪২), সাহেদ
(৪৪), উকিল মিয়া (৫৮), পান্ত (৫৫) টঙ্গী, খোরশেদ আলম (৫০) বেলাল (৩৪), আনোয়ার (৫০),
আবু বক্কর (৫৯), আরিফুল ইসলাম (৫০), আনোয়ার (২৬), আনোয়ার (৭৬), ফোরকান আহমেদ (৩৫),
আ. রউফ (৫৫) মজিবুর রহমান (৫৮), আ. হান্নান (৬০), জহুরুল ইসলাম (৩৮), আরিফ (৩৪), ফয়সাল (২৮), তরিকুল (৪২), সাহেদ (৪৪)।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রথমবারের মতো সেনাসদরে গেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা সেনাসদরে পৌঁছালে সেনাবাহিনী
প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাঁকে স্বাগত জানান।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে জাতীয় নিরাপত্তার
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি সম্পর্কে ব্রিফ করা হয়। পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক
প্রদত্ত মূল্যবান দিকনির্দেশনাসমূহ সম্মিলিতভাবে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং
বাস্তবায়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালনে অত্যন্ত সহায়ক হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
মো: তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো: জাহাঙ্গীর আলম
চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারি লেফটেন্যান্ট
জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো: মাহবুব হোসেন, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী
প্রধান, পিএসও এএফডি, সামরিক ও অসামরিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং
গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, র্যাব এর মহাপরিচালকগণ
ও সেনাসদরের কর্মকর্তাগণ।
(খবর বাসসের)
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে
যাওয়া হবে।
আজ শুক্রবার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, টিকিট
জটিলতায় মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ১৮ হাজার শ্রমিককে সব সহায়তা দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান,
বৈঠকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, কর্মসংস্থান তৈরি, ভিসা সহজীকরণ এবং উচ্চশিক্ষা, রোহিঙ্গা
সমস্যা নিয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম
বলেন, বাংলাদেশের কর্মীদের দুই দেশের অর্থনীতিতে অবদান গুরুত্বপূর্ণ। টিকিট জটিলতায়
মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ১৮ হাজার শ্রমিককে সব সহায়তা দেওয়া হবে। এই অঞ্চলকে শান্তিপূর্ণ
দেখতে আসিয়ানকে আরও কার্যকর করতে চায় মালয়েশিয়া।
এর আগে
দুপুর দুইটার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত
জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে
গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ
করবেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
মন্তব্য করুন
স্থানীয়
সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক মন্ত্রনালয় এবং
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, জনগণের
আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নই অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য। জনগণ চায় প্রকৃত সংস্কার শেষে
জাতীয় নির্বাচন। বিগত ফ্যাসিবাদের সময় উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যেভাবে বৈষম্য করা হয়েছে,
অন্তর্বর্তী সরকার তা করবে না। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো রংপুর ও রাজশাহী বিভাগেও
যাতে সমানভাবে উন্নয়ন হয়, সেভাবে কাজ করবে এ সরকার।
আজ বুধবার
(২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা শহরের সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
মাঠে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ বলেন, শিল্পের বিকাশ ছাড়া অর্থনৈতিক প্রবাহ এবং উন্নয়ন অসম্ভব। এ লক্ষ্যে
উত্তরবঙ্গে যেন শিল্পের বিকাশ ঘটে এজন্য স্থলবন্দর শক্তিশালী করণে সরকার কাজ করবে।
এরই মধ্যে সুগার ও টেক্সটাইল মিল চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নই
অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য। জনগণ চায় প্রকৃত সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচন। সেই
লক্ষ্য বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোতে আমরা হাত
দিচ্ছি।
জেলা প্রশাসক
মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র
আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবু সাঈদ লিওনসহ অনেকে এসময় বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে
সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন।
এ সময়
উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান ।
অনুষ্ঠানে
দুই হাজার মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
সজীব ভূঁইয়া।
পরে নীলফামারী
সার্কিট হাউসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত জেলা সদরের গোড়গ্রাম
ইউনিয়নের রুবেল ইসলাম ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডি ইউনিয়নের নাঈম ইসলামের স্বজনদের
হাতে দুই লাখ করে মোট চার লাখ টাকার করে চেক তুলে দেন তিনি।
মন্তব্য করুন
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, চলচ্চিত্র শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে ত্রয়োবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সংগ্রামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব সাংস্কৃতিক বিনিময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসাবে কাজ করবে। পাশাপাশি এই চলচ্চিত্র উৎসবের মাধ্যমে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম আন্তর্জাতিক মানের চলচ্চিত্র সম্পর্কে ধারণা লাভের সুযোগ পাবে।
বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশে চলচ্চিত্রের ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, চলচ্চিত্র শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়; চলচ্চিত্র সামাজিক পরিবর্তনেরও গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় এই অভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান জালাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ও উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল।
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠেয় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে মিশর।
বাংলাদেশে মিশরের রাষ্টদূত ওমর মোহি আলদিন আহমেদ ফাহমি বুধবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়।
মিশর আয়োজিত অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশনের এই শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, ইরান, পাকিস্তান ও তুরস্কসহ ৮টি উন্নয়নশীল দেশের শীর্ষ নেতাদের একত্রিত করবে।
১৯৯৭ সালের ১৫ জুন ইস্তাম্বুল ঘোষণার মাধ্যমে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে ডি-৮ গ্রুপটি যাত্রা শুরু করে।
ডি-৮ এর প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল বিশ্ব অর্থনীতিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অবস্থানকে শক্তিশালী করা, বাণিজ্যের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা, আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং সদস্য দেশগুলোর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ইত্যাদি।
রাষ্ট্রদূত ফাহমি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় মিশরের চলমান সমর্থন পূর্ণব্যক্ত করে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে জাতির অব্যাহত অগ্রগতির প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন।
ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য বৈচিত্র্য ও উদ্ভাবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে আলোকপাত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া, সদস্য দেশগুলো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং পারস্পরিক প্রবৃদ্ধি উৎসাহিত করতে একসঙ্গে কাজ করবে।
মন্তব্য করুন
মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। এ ছাড়া ব্রেইল বইসহ বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা নিয়েও তিনি কথা বলেন।
তিনি বলেন, মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাসহ বিশ্বের সকল ভাষাভাষী মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। ইউনেস্কো ২০০০ সাল থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে এ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করে আসছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মেইক ল্যাঙ্গুয়েজ কাউন্ট ফর সাসটেউনেবল ডেভেলপমেন্ট’ যুক্তিযুক্ত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ ও দেশের ভাষাসমূহের মর্যাদা রক্ষায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে, যা দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
ড. ইউনূস আরো বলেন, শত বছরের শোষণে ও শাসনে জর্জরিত বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের প্রথম জয়যাত্রা ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারিতে। বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের ভিত রচিত হয়েছিল। এ দিনে আমাদের মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষা করতে প্রাণোৎসর্গ করেছিলেন আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, আবদুস সালাম, রফিক উদ্দিন আহমদ, শফিউর রহমানসহ আরো অনেকে।
পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, ১৯৫৬ সালে বাংলা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পায় এবং ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে এই দিনে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
প্রফেসর
ইউনূস সবাইকে মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫ এর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
জানান। তিনি এ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন। সূত্র: বাসস
মন্তব্য করুন