এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আগামীকাল
(১৫ অক্টোবর) প্রকাশ করা হবে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,
শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট ও মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারবেন।
ঘরে
বসে ফলাফল যেভাবে জানা যাবে -
প্রার্থীরা অনলাইনে বা মোবাইল ফোনে
এসএমএসের মাধ্যমে তাদের ফলাফল জানতে পারবেন।
মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC
লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার
স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফলাফল।
এ ছাড়াও,
http://www.educationboardresults.gov.bd, http://www.eduboardresults.gov.bd ওয়েবসাইট
থেকেও ফলাফল জানা যাবে। রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে প্রবেশ করে ফলাফল শিট ডাউনলোড
করা যাবে।
এবছর এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা শুরু
হয়েছিল গত ৩০ জুন। মোট পরীক্ষার্থী সাড়ে ১৪ লাখের মতো। সাতটি পরীক্ষা হওয়ার পর সরকারি
চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে কয়েক দফায়
পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তখন পর্যন্ত ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি ছিল। এ ছাড়া ব্যবহারিক
পরীক্ষাও বাকি।
পরে সিদ্ধান্ত হয় যে ১১ আগস্ট থেকে
নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরে তা হয়নি। সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পরীক্ষার্থীরা
বিক্ষোভ ও ঘেরাও করলে এবারের এইচএসসি বা সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে বাধ্য
হয় শিক্ষা বিভাগ। মাঝপথে বাতিল করা এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে
এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং করে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক সমাজ আবার তাঁদের চিন্তার স্বাধীনতা ও মুক্তবুদ্ধির চর্চা ফিরে পেয়েছেন। এর সঙ্গে এখন যোগ করতে হবে বিশ্ব-বিজ্ঞানে অবদান রাখার সক্ষমতা। আকাক্সক্ষাকে উচ্চে রেখে দৈনন্দিন পঠন-পাঠন গবেষণার মাধ্যমেই সেটি অর্জিত হবে।
আজ বৃহস্পতিবার
(৭ নভেম্বর) ঢাকায় ‘বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যানের শতবর্ষ উদযাপন : ঢাকার উত্তরাধিকার’ শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন
তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগ এবং সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডি অ্যান্ড রিসার্চ ইন ন্যাচারাল সায়েন্সেস, ঢাবি যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার বিপ্লবের ফসল। তাই আমরা বিশ্ব-বিজ্ঞানে অবদান রাখতে প্রয়োজনীয় সব সংস্কার এবং উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির সকল প্রয়াস নিতে প্রস্তুত রয়েছি। এই কাজে নিবেদিত সবার কাছ থেকে চাহিদা, পরামর্শ আসতে হবে। নিজের ওপর আস্থা থাকলে এটি আমরা পারবো- যেমন আস্থা সত্যেন্দ্রনাথ বসুর ছিল বলে তিনি সম্পূর্ণ অপরিচিত হয়েও আইনস্টাইনকে লিখতে পেরেছিলেন। ১৯২৪ সালে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর আবিষ্কারের পরিবেশ যেভাবে গড়ে ওঠেছিলো, আজও সেভাবেই গড়ে উঠবে। এর কোন বিকল্প নেই। আমাদের তরুণদের মনে বিশ্বাস সৃষ্টি করতে হবে যে আমরাই বিশ্ব। আজ আমরা সেই আকাঙ্খারই শতবার্ষিকী পালন করছি। বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে বাংলাদেশের ইতিহাসের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আজ আমরা আমাদের দেশের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের একজন উজ্জ্বলতম তারকার মহত্তম অবদানের শতবার্ষিকী উদযাপন করতে এসেছি। যিনি ১৯২৪ সালের এমন একটি সময়ে তাঁর আবিষ্কার বোস-আইনস্টাইন কোয়ান্টাম স্ট্যাটিসটিক্সের জন্য বিজ্ঞান ইতিহাসের অংশ হয়ে গিয়েছিলেন। আর তিনি এটি করেছিলেন আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নবীন অধ্যাপক হিসেবে কার্জন হলের একটি কামরায় বসে, আজো যেটি পদার্থবিদ্যার ছাত্র-শিক্ষকদের প্রাণচাঞ্চল্যে মুখরিত। তাঁর আবিষ্কারের গুরুত্বের কারণে পৃথিবীর নানা দেশের পদার্থবিদগণ এই শতবার্ষিকী উদযাপন করছেন। কিন্তু আমাদের জন্য এই আবিষ্কারের মর্মটাই আলাদা। পদার্থবিদরা বলেন, বিংশ শতাব্দীর ওই পর্যায়ে পদার্থবিদ্যায় যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছিলো কোয়ান্টাম থিওরির মাধ্যমে, এটি ছিল তার মধ্যে একটি বড় সংযোজন। এর মাধ্যমে বসু বিশ্ব-বিজ্ঞানের মানচিত্রে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, আমাদের ঢাকা নগরীকে উজ্জ্বলভাবে চিহ্নিত করে দিয়েছিলেন। আজ আমরা যখন ছাত্র-জনতার একটি সর্বাত্মক বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে নতুন ভাবে গড়ার প্রয়াস নিয়েছি, বিশ্ববিদ্যালয়কে তার যথাযথ চর্চার জায়গায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছি, তখন পরিবর্তনের দিগদর্শিকা হিসেবে উদযাপনের জন্য বসুর আবিষ্কারের এই শতবার্ষিকীর থেকে যথাযথ বিষয় আর কী হতে পারে? আমাদের বিপ্লবের নায়ক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রেরণা হিসেবেও বা এর থেকে বড় গৌরবের স্মরণও আর কী হতে পারে? ১৯২৪ সাল অনেক পেছনে রেখে এসেছি। কালের পরিক্রমায় বসুর আবিষ্কারটি কি এতটুকু ম্লান হয়েছে? পদার্থবিদরা বলছেন মোটেই না। যার প্রমাণ এই আবিষ্কারের ভবিষ্যদ্বাণীকে সত্য প্রমাণ করে সৃষ্ট বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে ২০০১ সালে। এ নিয়ে গবেষণা চলছেই।
তিনি উল্লেখ করেন, সারা দুনিয়ার পদার্থবিদ্যার ছাত্ররা জানে যাবতীয় পদার্থ-শক্তি সব কিছুর একেবারে মূলে যে মৌলিক কণিকাগুলো এদের শ্রেণী বিভাজনে একটি বড় ভূমিকা রেখেছে বসুর থিওরির দ্বারা ঠিক করে দেয়া নির্দেশিকা।
প্রধান উপদেষ্টা
আরও বলেন, সত্যেন্দ্রনাথ বসু শিক্ষার সর্বস্তরে, বিশেষ করে উচ্চতর বিজ্ঞান শিক্ষায় বাংলা ভাষা প্রচলনের জন্য তর্ক বিতর্ক করছেন, বাংলায় বই লিখছেন, পত্রিকা বের করছেন, নিজের পাঠদানে বাংলা ব্যবহার করছেন। শহরের সাহিত্যানুরাগী সংস্কৃতিসেবীদের কয়েকজনকে নিয়ে নিয়মিত বৈঠকি আড্ডা গড়ে তুলেছেন। পঞ্চাশের দশকের শেষের দিকে আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তখনকার ঢাকার সঙ্গে বসুর ঢাকারই মিল বেশি ছিল। কাজেই পরিবেশটি বেশ কল্পনা করতে পারি, ঢাকার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। সেই শান্ত ছোট শহরকে, সেই সবুজ রমনাকে আর ফেরত আনা যাবে না, কিন্তু সেই গৌরবের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা অবশ্যই ফেরত আনতে পারি, আজকের স্বাধীন বাংলাদেশে। বোস- আইনস্টাইন তত্ত্বের শতবার্ষিকীতে একথা আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই।
মন্তব্য করুন
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাক টিকিট অবমুক্ত করেছেন।
একই সঙ্গে ১০ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম ও ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ডও অবমুক্ত করেন তিনি।
আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এগুলো অবমুক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান ও ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস.এম. শাহাবুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টাকে একটি স্মারক ডাক বাক্স ও ‘ন্যাচারাল বিউটি অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ’শীর্ষক একট বই উপহার দেন।
মন্তব্য করুন
ইসলামাবাদের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক এগিয়ে
নিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সমাধানের
আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
ডি-৮ সম্মেলনের সাইডলাইনে আজ বৃহস্পতিবার
(১৯ ডিসেম্বর) মিসরের রাজধানী কায়রোর একটি হোটেলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ
শরিফের সঙ্গে বৈঠকের সময় অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, বিষয়গুলো বারবার আসছে। আসুন আমরা সামনে
এগিয়ে যেতে সেই বিষয়গুলোর ফয়সালা করি।
জবাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ
শরিফ বলেন, ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত বিষয়গুলো মীমাংসা
করেছে, কিন্তু যদি অন্যান্য অমীমাংসিত সমস্যা থাকে, তবে সেগুলো দেখতে পেলে তিনি খুশি
হবেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের
জন্য বিষয়গুলো চিরতরে সুরাহা করে ফেলা ভালো হবে।
তারা ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং ক্রীড়া
ও সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদের বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে সম্মত
হন।
এখানে প্রাপ্ত এক বার্তায় বলা হয়, দুই
নেতা চিনি শিল্প এবং ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনার মতো নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারিত করার
ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার ঘোষিত বৈদেশিক নীতির মূল বৈশিষ্ট্য সার্কের
পুনরুজ্জীবনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে শরিফের সঙ্গে আলোচনা করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস ২০২৬ সালের মধ্যভাগের
আগে ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার’ এবং সাধারণ নির্বাচন করতে তার সরকারের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ
করেন। তিনি বলেন, তিনি সংস্কারের বিষয়ে সংলাপের জন্য একটি ঐকমত্য গঠন কমিশনের নেতৃত্ব
দিচ্ছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ
ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানান। শরিফ বলেন, আমরা
সত্যিই আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার অপেক্ষায় রয়েছি।
তিনি সার্কের পুনরুজ্জীবনে অধ্যাপক
ইউনূসের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং আঞ্চলিক সংস্থার শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের সম্ভাবনা
নিয়ে কাজ করার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
অধ্যাপক ড. ইউনূস শরিফকে বলেন, এটি
একটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
সার্ক বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. ইউনূস বলেন, আমি সার্কের ধারণার একজন বড় অনুরাগী। আমি ইস্যুটি নিয়ে কথা বলেই যাব।
আমি সার্ক নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন চাই। তিনি বলেন, যদিও তা কেবল একটি ফটোসেশনের জন্যেও
হয়, তবুও এটি একটি শক্তিশালী বার্তা বহন করবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের
রাষ্ট্র পরিচালিত চিনিকলগুলোকে আরও ভালোভাবে পরিচালনার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রস্তাব
দেন। তিনি বাংলাদেশে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের কারণে মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন এবং বলেন,
ঢাকা এ রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হতে পারে।
তিনি বলেন, প্রায় এক দশক আগে পাঞ্জাবে
ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই বিশ্বমানের বলে প্রশংসিত হয়েছিল। বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের
সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার জন্য আমরা বাংলাদেশে প্রতিনিধিদল পাঠাতে পারি।
অধ্যাপক ড. ইউনূস, শেহবাজ শরিফকে তার
সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আশা করেন পাকিস্তান ও বাংলাদেশ এই প্রচেষ্টা অব্যাহত
রাখবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে
সিদ্দিকী।
সিদ্দিকী পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দারকে ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং তিনি সেই
প্রস্তাব গ্রহণ করেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসকে তার সুবিধামতো সময়ে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানান।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে
সংস্কারের মাধ্যমে একটি দক্ষ, সুসংগঠিত, পেশাদার ও সময়োপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা
হবে। এ লক্ষ্যে যা যা করণীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সবকিছু করা হবে।
আজ (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুরের
সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর
৪০তম বিসিএস (আনসার) ক্যাডার কর্মকর্তা এবং ২৫তম ব্যাচ (পুরুষ) রিক্রুট সিপাহিদের মৌলিক
প্রশিক্ষণের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট থেকে শুরু
করে স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের প্রতিটি জরুরি মুহূর্তে আনসার বাহিনীর সদস্যগণ গভীর দেশপ্রেম
নিয়ে এগিয়ে এসেছে এবং দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা বিধানসহ কূটনৈতিক এলাকার সুরক্ষায়
এ বাহিনী বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী
সরকারের পতনের পর থানা, ট্রাফিক, বিমানবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর সুরক্ষায়
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন
করেছে। বিশেষ করে আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ডিএমপি’র থানাগুলোর অভ্যন্তরীণ
নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে এবং হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত
রয়েছে। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সাথে সাথে পুলিশ বাহিনীর স্বল্পতার মাঝেও রাষ্ট্রীয়
অতিথি ভবন যমুনাতে আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে।
তিনি জাতির জরুরি প্রয়োজনে সাহসী ভূমিকা রাখার জন্য বাহিনীর সকল সদস্যের প্রতি আন্তরিক
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশের
প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে থাকা স্বেচ্ছাসেবী গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরাও
দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। সাম্প্রতিক সময়ে গ্রামে গ্রামে যে
সামাজিক নিরাপত্তা সংকট দেখা দিয়েছিল, ভিডিপি সদস্যরা তা নিরসনে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে।
যারা মন্দির, গির্জা ও চার্চে হামলা চালিয়ে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলো,
তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো ভিডিপি সদস্যরা। তারা ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে পাহারা
বসিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি রক্ষায় অবদান রেখেছে। ভবিষ্যতেও
ভিডিপি সদস্যরা তারুণ্য নির্ভর স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় সুসংগঠিত হয়ে দেশের আর্থ-সামাজিক
উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তায় আরো বেশি অবদান রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল
মোমেন এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল
মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মৌলিক প্রশিক্ষণের
সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সালাম গ্রহণ করেন এবং কৃতি প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে পুরস্কার
তুলে দেন।
মন্তব্য করুন
জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, এ নিয়ে আলোচনা করতে আজ ছাত্রদের সঙ্গে, আগামীকাল বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে এবং পরদিন বৃহস্পতিবার ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় ধাপে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সই করা এ নির্দেশনায় বলা হয়, সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় গ্রুপের (রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগ) লিখিত পরীক্ষা আগামী ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আবেদনকারীদের নিজ নিজ জেলায় অনুষ্ঠিত হবে আর পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
প্রার্থীদের আবেদনে উল্লিখিত মোবাইল নম্বরে যথাসময়ে ০১৫৫২-১৪৬০৫৬ নম্বর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের এসএমএস পাঠানো হবে।
আর প্রার্থীরা শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে admit.dpe.gov.bd-ওয়েবসাইটে Username এবং Password দিয়ে অথবা এসএসসি-এর রোল, বোর্ড ও পাশের সন দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে রঙিন প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে পারবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদের অবশ্যই ডাউনলোডকৃত প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট এবং নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (মূল এনআইডি/স্মার্ট কার্ড) সঙ্গে আনতে হবে। পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য প্রবেশপত্রে পাওয়া যাবে।
তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়িজাতীয় বস্তু, ইলেকট্রনিক হাতঘড়ি বা যে কোন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, কমিউনিকেটিভ ডিভাইস, জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) ব্যতীত কোনো প্রকার ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড অথবা অন্যকোনো কার্ড বা এ জাতীয় বস্তু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করা বা সঙ্গে রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যদি কোনো পরীক্ষার্থী উল্লিখিত দ্রব্যাদি সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে তবে তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় ধাপে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মন্ত্রণালয় আরো জানায়, দ্বিতীয় পর্বে মোট পরীক্ষার্থী ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ জন, কেন্দ্রের সংখ্যা ৬০৩টি, কক্ষের সংখ্যা ৯ হাজার ৩৫৭টি। তিন বিভাগের ২২টি জেলাশহরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও চাকরিপ্রাপ্তির
ক্ষেত্রে কোটা প্রয়োগের বিষয়ে তিনটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিটে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত ৫ শতাংশ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকের আলোচনা অনুযায়ী, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ বিষয়ে মতামত বা সুপারিশসহ সারসংক্ষেপ উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে উপস্থাপন করতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ বিষয়ে মতামত বা সুপারিশসহ সারসংক্ষেপ উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে উপস্থাপন করবে।
মন্তব্য করুন
দুর্নীতি থেকে নিজেদের দূরে রাখতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। সীমান্তে পিঠ প্রদর্শন করবেন না বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরের সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন উপদেষ্টা। সেখানে এসব নির্দেশনা দেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তার বক্তব্য তুলে ধরা হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, দুর্নীতিকে কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না। যারা ঘুষ ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত,তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে। বিজিবিকে আইন অনুযায়ী কাজ করতে হবে। সীমান্ত সুরক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধ বিজিবির মূল দায়িত্ব। এ সময় তিনি বিজিবিকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিজেদের দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ফেলানীর মতো হত্যাকাণ্ড আর দেখতে চাই না। সীমান্তে পিঠ প্রদর্শন করবেন না। নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করুন।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীসহ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও টেলি কনফারেন্সের (ভিটিসি) মাধ্যমে বিজিবির সব রিজিয়ন কমান্ডার, সেক্টর কমান্ডার, ব্যাটালিয়ন কমান্ডারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় আলুর বীজের দাম নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি রাখা ও মূল্যতালিকা না টাঙানোয় মেসার্স মণ্ডল ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) উপজেলার নয়মাইল এলাকার প্রতিষ্ঠানটিতে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাঈম এ অভিযান পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, বীজ আলুর দাম বেশি রাখা হচ্ছে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নয়মাইল এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে মণ্ডল ট্রেডার্সে গিয়ে দেখা যায় নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে আলু এবং কোন মূল্যতালিকা দেওয়া নেই। এ অপরাধে আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করে সঙ্গে সঙ্গে আদায় করা হয়।
জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চলবে বলে জানান উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাঈম।
মন্তব্য করুন
সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত রয়েছে এমন ব্যক্তি বা সত্তার এবং
তাদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫
এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।
আজ রোববার (১১ মে) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান
উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে
এই খসড়া অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৈঠকের সারসংক্ষেপে বলা হয়, কতিপয় সন্ত্রাসী কার্য প্রতিরোধ
এবং উহাদের কার্যকর শাস্তির বিধানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করার
নিমিত্ত সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়।
এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, কোন ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী
কার্যের সহিত জড়িত রয়েছে মর্মে যুক্তিসঙ্গত কারণের ভিত্তিতে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন
দ্বারা, ঐ ব্যক্তিকে তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারে বা সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তফসিলে
তালিকাভুক্ত করতে পারে। তবে বর্তমান আইনে কোন সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের বিষয়ে
কোন বিধান নেই।
এই বিষয়টি স্পষ্টীকরণসহ বিধান সংযোজন আবশ্যক হেতু সন্ত্রাস বিরোধী
আইন, ২০০৯ কে সময়োপযোগী করে আইনের অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজন।
বর্ণিত প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাস বিরোধী আইন সংশোধন করে সত্তার কার্যক্রম
নিষিদ্ধ করা, প্রয়োজনীয় অভিযোজন করা এবং অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধকরণের
বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন