

কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ার মনপুরা-নয়াকান্দি মাঠে ফসলি জমি নষ্ট করে মাটি কাটার অভিযোগে ভেকু বিকল করে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি।
জানা গেছে, উপজেলার মনপুরা-নয়াকান্দি উত্তর পূর্ব বিলে সরকারি খাল বন্ধ করে একই এলাকা চকমোহাম্মদ গ্রামের ছিকু মিয়ার ছেলে ইউসুফ মিয়া ও মনপুরা গ্রামের আব্দুল মালেকের পুত্র ইউনুস মিয়া ভেকু বসিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করে। এ সংবাদ পেয়ে প্রশাসনের লোকজন তা বিকল করে দেয়।
কচুয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) বাপ্পি দত্ত রনি জানান, ফসলি জমি নষ্ট করে মাটি বিক্রি করা বেআইনী। কোথাও অবৈধ ভাবে মাটি বিক্রি করলে অভিযানের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
মুখে আধা পাকা দাড়ি ও চুলের ধরনও প্রায় একই। মৃদু হাসিতে অপলক দৃষ্টিতে তাকানো ৬৫ উর্ধ্ব ব্যক্তিটির নাম খোকন চন্দ্র ঘোষ। খালি পায়ে বসে কাঁদের ভার মাটিতে রেখে বাঁশের তৈরি চরকী হাতে বিশেষ এক ধরনের নাড়ানি পরনে ঢিলেঢালা একটি শার্ট ও মাজায় গামছা পেচাঁনো লুঙ্গি পরিধান করে ডেসকিতে করে (মাঠা বহনের জন্য বিশেষ পাত্র) বিভিন্ন স্থানে গাওয়াল করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিক্রি করছেন টক-মিষ্টি মাঠা। বলছিলাম, চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সাচার গ্রামের ঘোষ বাড়ির মৃত. স্ত্রী শীতল ঘোষের ছেলে খোকন চন্দ্র ঘোষের কথা। ছয় ভাই বোনের মধ্যে অভাবের তাড়নায় বেশি লেখাপড়া করতে পারেননি খোকন চন্দ্র।
খোকন ১৬ কিংবা ১৭ বছর বয়স থেকে বাবার কাছ থেকে শেখা মাঠা; আবার কখনো জিলাপি বিক্রি করেন সে। প্রতিদিন মাঠা বিক্রির জন্য সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে বের হয়ে কখনো ফিরেন দুপুর ১টায় আগে আবার কখনো ফিরতে ফিরতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়। গরুর দুধ দিয়ে তৈরি হয় দই আর বিশেষ প্রক্রিয়ায় দই থেকে তৈরি হয় মাঠা।
শিশু থেকে আরম্ভ করে সব বয়সী মানুষের প্রিয় পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাদ্য হজমে সহায়তা করা এই মাঠা বিক্রিও হয় বেশ। প্রতিদিন ৬০০ টাকা বিক্রি করতে পারলে ৪০০ টাকা আয় হয় খোকনের। কখনো কখনো তার বেশিও আয় হয় তবে তার বিক্রির উপর নির্ভর করে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ হয় বলে জানান তিনি।
তবে বৃষ্টি বাদল হলেই আর বিক্রি হয় না মাঠা। গ্লাসের উচ্চতা বেঁধে পরিপূর্ণ এক গ্লাস মাঠা বিক্রি হয় ১০ থেকে ২০ টাকা করে। বেশি বিক্রি হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার এবং জনসভায়। কেউ কেউ আবার পরিবারের জন্য বোতলে করে কিনে নিয়ে যান এই সুস্বাদু পানীয় খাবার।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি খোকন দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, আগের মত শরীরটা আর দেয় না, যেদিন অসুস্থ থাকি সেদিন আর গাওয়াল করতে বের হতে পারি না। তিন সন্তানের জনক এই খোকন বলেন, এই পেশায় নতুন প্রজন্মের কেউ আসতে চায় না। এই ক্ষুদ্র পেশার সাথে জড়িত আমরা কোনরকম খেয়ে পড়ে বেঁচে আছি। এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর দাবি, সরকারি কোন আর্থিক সহযোগিতা পান না তিনি। সরকারের সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, আমাদের মত খেটে খাওয়া মানুষ গুলোর দিকে সরকার দৃষ্টি দিলে আর্থিকভাবে ভালো থাকতে পারবেন বলে অভিমত তার।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় পৃথক দুইটি অভিযানে ৯৫ বোতল ফেন্সিডিল ও ১৬ বোতল বিদেশী মদসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন পাঁচথুবী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ অন্তর নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৯৫ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি মিশুক (অটো) গাড়ি উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে বিকালে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন শ্রীপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ আরিফ হাসান নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১৬ বোতল বিদেশী মদ ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি মিশুক (অটো) গাড়ি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- ১। মোঃ অন্তর (২২) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার ঝাকুনীপাড়া গ্রামের মনির হোসেন এর ছেলে এবং ২। মোঃ আরিফ হাসান (৩১) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াদুদ এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত মিশুক (অটো) গাড়ি ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল ও বিদেশী মদ সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


মঙ্গলবার (২৮ মে ২০২৪) নারায়ণগঞ্জ জেলার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের
বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা আসামী আবুল হোসেন (৩০)কে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায়
দায়েরকৃত একটি হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
উক্ত আসামী দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিল এবং বিজ্ঞ আদালতের রায় ঘোষনার পর যাবজ্জীবন
সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক প্রধান আসামী আবুল হোসেন (৩০) পলাতক ছিল।
যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক প্রধান আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১১
একটি গোয়েন্দা দল জোর তৎপরতা শুরু করে। এক পর্যায়ে র্যাব-১১ এর একটি গোয়েন্দা দল গোপন
তথ্যের মাধ্যমে মামলার আসামীর আবুল হোসেন এর অবস্থান শনাক্ত করে এবং গোয়েন্দা নজরদারী
বৃদ্ধি করে তার ধারাবাহিকতায় একটি অভিযানে সোমবার ৩ জুন ২০২৪ নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার
থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম ওসমান আড়াইহাজার উপজেলার বাসিন্দা এবং
সে পেশায় রিক্সাচালক ছিল। গত ২৮ নভেম্বর ২০০৮ ইং তারিখে গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামী ও
তার সহযোগী আসামীরা রিক্সাচালক ওসমান এর জবাই করা মরদেহ ঈদ বারদী এলাকার বিলের মধ্যে
একটি পুকুরের পাশে জঙ্গলে ফেলে রাখে। পরবর্তীতে উক্ত স্থান হতে তার মরদেহ উদ্ধার করা
হয়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন
যেটি পরে এই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামী আবুল হোসেন (৩০) এর বিরুদ্ধে হত্যা মামলার
৩০২/৩৪, পেনাল কোড-১৮৬০ ধারায় অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বিজ্ঞ আদালত
২৮মে ২০২৪ তারিখে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের খবর শুনে রাফেয়া আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূ গলায়
ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
তিনি উপজেলার জগন্নাথদিঘী ইউনিয়নের আতাকরা গ্রামের প্রবাসী ওবায়দুল ইসলামের স্ত্রী।
আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে
ঘটনাটি ঘটেছে।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবুল হাসেম সবুজ।
স্বাস্থ্য কপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেল ৩ টায় রাফেয়া আক্তারকে তার স্বামী ওবায়দুল ইসলাম ও প্রতিবেশী এক নারীসহ হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ সময় তার গলায় কালো জখমের চিহ্ন দেখা যায়। ডাক্তার পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাফেয়ার স্বামী ওবায়দুল ইসলাম গত ৯ সেপ্টেম্বর স্ত্রীকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। আর স্বামীর বিয়ের খবর প্রথম স্ত্রী রাফেয়া সোমবার দুপুরে জেনে যায়। ক্ষোভে তিনি বসতঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
রাফেয়ার চাচা শ্বশুর খোকন মিয়া বলেন, ওবায়দুল ইসলাম ১৫ দিনের ছুটিতে ওমান থেকে দেশে আসে। দেশে আসার আগে ওবায়দুল মুঠোফোনে ঢাকার এক মেয়েকে বিয়ে করে।
বিষয়টি সোমবার তার প্রথম স্ত্রী জেনে যায়। আমরা তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলি এই বাড়িতে তুমি ছাড়া অন্য কোনো নারী আসতে পারবে না। তারপরও সে সবার অজান্তে স্বামীর ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল হাসেম সবুজ বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই রাফেয়ার মৃত্যু হয়। তার গলায় কালো জখমের দাগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি গলায় ফাঁস দেওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ টি এম আক্তার উজ জামান জানান, গলায় ফাঁস দিয়ে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
দেড় কোটি টাকা মূল্যের ৬৪ হাজার পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দ করেছে ৬০ বিজিবি।
শুক্রবার
(৮ নভেম্বর) বিকালে আদর্শ সদর উপজেলার টিক্কারচর এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এক
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সুলতানপুর ব্যাটেলিয়ন (৬০ বিজিবির) অধিনায়ক
লেঃ কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার।
প্রেস
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার দুপুরে সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) মাদক বিরোধী
অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার টিক্কারচর থেকে হতে ১ কোটি ৫৮ লক্ষ
টাকা মূল্যের ভারতীয় নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট ৬৪ হাজার পিস এবং টয়োটা
গাড়ি ১ টি উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতীয় মোবাইল ফোন ও মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (১০ বিজিবি)।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর আলী এজাজ।
বিজিবি সূত্র জানায়, চোরাচালান প্রতিরোধ ও আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে আজ ভোরে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের যশপুর বিওপি’র টহলদল সদর দক্ষিণ উপজেলার সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান চলাকালে সীমান্তের ৫০০ গজ ভেতরে ধনপুর মাঠ নামক স্থানে মালিকবিহীন অবস্থায় ৯০টি ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন এবং ৩৪৮টি মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত এসব পণ্যের আনুমানিক বাজারমূল্য ৬০ লাখ ৮৬ হাজার ৮৬৮ টাকা।
বিজিবি জানায়, জব্দকৃত মালামাল পরবর্তীতে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
লে. কর্নেল বলেন, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান রোধে বিজিবি’র সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়ে দায়িত্ব পালন করছে। দেশের অর্থনীতি রক্ষা ও অবৈধ পণ্য প্রবাহ বন্ধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ফেলে যাওয়া সেই কন্যা সন্তানের বাবা-মায়ের সন্ধান মিলেছে। তারা নিজেরাই সন্তানের কাছে ফিরে এসেছেন। প্রশাসনের মাধ্যমে শুক্রবার রাতে কন্যা সন্তানকে ফিরে পান প্রকৃত বাবা-মা। বর্তমানে ওই নবজাতক ও মা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল পৌঁনে ৮টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় পাপিয়া খাতুন। সেখান থেকে তাকে গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ওয়ার্ডে থাকা অবস্থায় বাচ্চাকে পাশের আরেক রোগীর স্বজন বিলকিস বানুর কাছে রেখে পালিয়ে যান মা ও স্বজনরা।
সেসময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাপিয়া-আলমগীর দম্পতির ঘরে আরও তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এ নিয়ে চতুর্থবার কন্যা সন্তান হওয়া নাবজাতককে পরিত্যাগ করেন তারা। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ, প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তর নবজাতককে হাসপাতালের তত্বাবধায়নে রাখে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই।
এর পরদিন গতকাল শুক্রবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফামেত তুজ জোহরার সাথে যোগাযোগ করেন নাবজাতকের বাবা। পরে সকল প্রক্রিয়া ও যাচাই-বাছাই শেষে নবজাতককে প্রকৃত বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করে প্রশাসন। বর্তমানে নবজাতক ও মা হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন আছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে নিজেদেরকে আলমডাঙ্গা উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের পাপিয়া-আলমগীর দম্পতি হিসেবে পরিচয় দেন। সে পরিচয় অনুসন্ধান করে কাউকে খুঁজে পায়নি পুলিশ। পরে দেখা যায় তাদের নাম ঠিক থাকলেও ঠিকানার তথ্য ভুল দেয়া হয়েছে। তাদের প্রকৃত ঠিকানা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিহি কেষ্টপুর গ্রামে। আর এটি তাদের চতুর্থ কন্যা সন্তান নয়, তৃতীয় কন্যা সন্তান।
নবজাতকের বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, গর্ভবতী অবস্থায় আমার স্ত্রী পাপিয়া খাতুন তার মায়ের বাড়ি আলমডাঙ্গার পুটিমারী গ্রামে ছিল। হাসপাতালের আসার সময় তারা আমাকে জানিয়েছে যে, আমার বাচ্চাটি আর বেঁচে নেই। আমি ধরেই নিয়েছি আমার বাচ্চা মরে গেছে।
নবজাতকের মা পাপিয়া খাতুন বলেন, আমার স্বামীকে বোঝানোর জন্য বাচ্চার মৃতের কথা বলেছিলাম। আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা জানান, প্রকৃত অভিভাবকের কাছে নবজাতককে হস্তান্তর করা হয়েছে। এজন্য তাদের কাছ থেকে লিখিত নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ওই নবজাতকের খোঁজখবর রাখবে প্রশাসন।
মন্তব্য করুন


মো. মাসুদ রানা, কচুয়া :
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রথমবারের মতো বায়োগ্যাস স্থাপন লক্ষ্যে উপজেলা যুব উন্নয়ন থেকে ২ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহন করেন উদ্যোক্তা মো. মনির হোসেন।
মঙ্গলবার ইউএনও কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এহসান মুরাদ ২ লক্ষ টাকার ঋণের চেক উদ্যোক্তা মনির হোসেনের হাতে তুলে দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুব উল আলম, বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন ইঞ্জিনিয়ার কাউসার ও মামুনসহ অন্যান্যরা।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
২০২৪ সালের ৪ ও ৫ আগস্ট, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এ কুমিল্লার দেবীদ্বার পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। আওয়ামী লীগের সশস্ত্র কর্মী ও পুলিশের হামলায় নিহত হন পৌর সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক বাদশা রুবেল (৪৩), স্কুলছাত্র আমিনুল ইসলাম সাব্বির (১৮) ও আব্দুস সামাদসহ মোট ১২ জন। আহত হন অর্ধশতাধিক, এদের মধ্যে স্কুলছাত্র আবুবকর মানসিক ভারসাম্য হারান।
৪ আগস্ট বানিয়াপাড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রুবেল। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরও তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তার স্ত্রী হ্যাপি আক্তার তখন ছিলেন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত¦া। নিহতের এক মেয়ে ও পরবর্তীতে জন্ম নেওয়া এক ছেলে রয়েছে। রুবেল দেবীদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। রুবেল পেশায় বাস টালক ছিলেন।
৫ আগস্ট থানা ঘেরাওয়ের সময় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন সাব্বির। ৪০ দিন মৃত্যুর সাথে লড়ে ১৪ সেপ্টেম্বর মারা যান। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাব্বির পরিবার চালাতেন ভ্যান চালিয়ে। সিএনজি চালক আমিনুল ইসলাম ছাব্বির দেবীদ্বার পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ি গ্রামের মৃত আলমগীর হোসেনের পুত্র। একই ঘটনার জেরে গুলিবিদ্ধ হন আব্দুস সামাদ। তিনি দীর্ঘ সাত মাস চিকিৎসা নিয়ে ৪ মার্চ ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে মারা যান।
আহত শিক্ষার্থী আবুবকর এখন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। তার পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের সহায়তা কামনা করছে।
দেবীদ্বারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১২ শহীদের রক্তে লালিত গণআন্দোলন। সংগ্রামী ছাত্র জনতার আত্মত্যাগের করুণ ইতিহাস।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো কুমিল্লার দেবীদ্বারও জেগে উঠেছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু সে জাগরণ থেমে গেছে গুলির আওয়াজে, রক্তাক্ত হয়েছে শহরের রাজপথ। এ পর্যন্ত দেবীদ্বার উপজেলার ১২ জন শহীদ গণআন্দোলনের অংশ নিয়ে শাহাদাৎ বরণ করেছেন। তাঁদের রক্তে লেখা হয়েছে আন্দোলনের করুণ ইতিহাস।
নিম্নে উল্লেখিত ৩ জন ছাড়া বাকী ৯ জনের শহীদদের নাম, পরিচয় ও শাহাদাতের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো:
দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর গ্রামের মো. সফিকুল ইসলাম সরকার’র পুত্র ফয়সাল সরকার (২৪)। সে ঢাকায় একটি পলিটেকনিক্যাল ইনিস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছিলেন। ১৯ জুলাই বিকেলে ঢাকা আব্দুল্লাহপুর এলাকায় পুলিশের গুলিতে ফয়সালের মাথার খুলি উড়ে যায়, পরে হসপিটালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান। তাকে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে ঢাকায় অজ্ঞাত স্থানে দাফন করা হয়।
উপজেলার বড়শালঘর গ্রামের মো. হানিফ মোল্লা’র পুত্র মো. সাগর মিয়া(১৯), তিনি পেশায় সবজি বিক্রেতা ছিলেন। ১৯ জুলাই ঢাকা মিরপুর ১০ নম্বরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ২০ জুলাই তার নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।
উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের বেতুয়া গ্রামের মো. মানিক মিয়ার পুত্র মোঃ হোসাইন মিয়া (১০), সে পেশায় পপকর্ন বিক্রেতা ছিলেন। ২০ জুলাই বিকেলে চিটাগং রোডে তলপেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ২২ জুলাই নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
উপজেলার ভানী ইউনিয়নের সূর্যপুর গ্রামের মৃত: মোহাম্মদ আলীর পুত্র কাদির হোসেন সোহাগ (২২), তিনি পেশায় চাকরি জিবী(পাঠাও কুরিয়ার সার্ভিস)। ২০ জুলাই ঢাকা গোপীবাগে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ২২ জুলাই নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন করা হয়। উপজেলার ইউছুফপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের মৃত শাহআলম সরকার’র পুত্র জহিরুল ইসলাম রাসেল। তিনি শিক্ষার্থী ছিলেন। ৪ আগস্ট ঢাকা গুলিস্তান এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ৬ আগস্ট নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।
উপজেলার ৪ নং সুবিল ইউনিয়নের ওয়াহেদপুর গ্রামের মোঃ ইদ্রিস মিয়ার পুত্র মোঃ রবিন মিয়া (৩৫)। পেশায় একজন ব্যবসায়ি ছিলেন। ৪ আগস্ট যাত্রাবাড়ি গুলিতে নিহত হন। ৬ আগস্ট নিজ বাড়িতে দাফন হয়।
উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের খয়রাবাদ গ্রামের ফজর আলীর পুত্র মোঃ রায়হান রাব্বি। তিনি শিক্ষার্থী ছিলেন। ৫ আগস্ট খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে গুলিতে নিহত হন। ৬ আগস্ট নিজ বাড়িতে দাফন হয়। উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের মো. সফিকুল ইসলাম রানার পুত্র সাইফুল ইসলাম তন্ময়। উপজেলার রসুলপুর গ্রামের সৈয়দ আবুল কায়েসের ছেলে নাজমুল হাসান। ঢাকার মধ্য বাড্ডায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চাকরি করতেন তিনি। গত ১৯ জুলাই দুপুরের বাড্ডা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। পরদিন মরদেহ মাদারীপুরে তার মামার বাড়িতে দাফন করা হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
২৮ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২ ।
আজ রবিবার (২০ অক্টোবর)
সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা
জেলার বুড়িচং থানাধীন ময়নামতি এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। স্বপন
বিশ্বাস এবং ২। বেল্লাল হোসেন নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের
কাছ থেকে ২৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। স্বপন বিশ্বাস (৩৩) বি.বাড়িয়া জেলার সদর থানার ভাদুগর গ্রামের কালিপদ বিশ্বাস এর
ছেলে এবং ২। বেল্লাল হোসেন (৪৫) একই জেলার কসবা থানার আকাপপুর গ্রামের আঃ রাজ্জাক এর
ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন