বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন নিশ্চিত করেছেন,বমি পার্টির গুরুকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
রাজধানীতে ছিনতাইয়ের অভিযোগে মো. স্বপন প্রকাশ ওরফে চোরা স্বপন (৫২)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তেজগাঁও থানার ফার্মগেট খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
চোরা স্বপন সম্পর্কে তিনি বলেন, বাসে যাত্রীবেশে উঠে বমি করে যারা ছিনতাই করে তাদের কাছে ‘গুরু স্বপন’নামে পরিচিত চোরা স্বপন।
স্বপন বরিশাল জেলার কাজিরহাট থানার সন্তোষপুর গ্রামের মৃত আয়নাল ফকিরের ছেলে। তিনি চিহ্নিত ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে ১০টি মামলা রয়েছে। তিনি একসময় চুরি করতেন। চুরির অভিযোগে বেশ কয়েকবার আটকও হন। এ কারণে গ্রামে সবাই চোরা স্বপন নামেই চেনে তাকে।
ওসি মহসীন আরো বলেন, গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসে তিনি ছিনতাই শুরু করেন। প্রথমে অন্য দলের সঙ্গে থাকলেও পরে নিজেই দল গঠন করেন। এরপর তিনি নিজেই বমি পার্টি করেন। তার দলের সদস্যরা বিভিন্ন বাসে ওঠেন। বাসে প্রথমে কৃত্রিম জটলা তৈরি করেন, এরপর কেউ একজন কৃত্রিম বমি করেন। বমি করার পর বাসের মধ্যে এক ধরনের হৈ-হুল্লোড় তৈরি হয়। সে সুযোগে এই গ্রুপের সদস্যরা যাত্রীর মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে পালিয়ে যান। তারা চকলেট এবং পানির বিশেষ মিশ্রণে কৃত্রিম বমি করতেন বাসে থাকা যাত্রীদের শরীরে।
তবে কৃত্রিম এই বমি কিন্তু সবাই করতে পারে না। এই বিশেষ বমি করার প্রশিক্ষণ দেন স্বপন। তাই তাকে এই ধরনের ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা গুরু স্বপন নামেই ডাকেন ।
ওসি বলেন, মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ফার্মগেটে একটি বাসে স্বপন তার আরও দুই সদস্য নিয়ে ওঠেন। তারা সেখানে বমি করে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে যাত্রীরা দেখে ফেলেন। এসময় দুজন পালালেও স্বপনকে আটক করা হয়।
এসময় পুলিশ তার কাছ থেকে একটি ছুরি ও ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসার সাবেক পিয়ন মো. জাহাঙ্গীর আলমের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট
অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে তার স্ত্রী কামরুন
নাহার ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের নির্দেশ দেওয়া
হয়েছে। সব ব্যাংকগুলোয় পাঠানো নির্দেশনায় তাদের অ্যাকাউন্ট খোলার ফরমসহ যাবতীয় তথ্য
পাঁচ দিনের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।
রোববার (১৪ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স
ইউনিট (বিএফআইইউ) এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠায়।
বিএফআইইউ-এর নির্দেশনায় জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব খোলার ফরমসহ
যাবতীয় তথ্য পাঁচদিনের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গ ও তাদের
মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব থাকলে সেসব হিসাবের লেনদেন মানিলন্ডারিং
প্রতিরোধ আইন, ২০১২–এর ২৩ (১) (গ) ধারার আওতায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশনা
দেওয়া হলো।
জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে টানা দুই মেয়াদের
পাশাপাশি গত মেয়াদেও কিছুদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীকালে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ
ওঠায় তাকে ওই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি তারপরও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত
সহকারী পরিচয় বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করেছেন।
এ পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিশেষ
বিজ্ঞপ্তিতে জাহাঙ্গীরের বিষয়ে সতর্ক করা হয়। বলা হয়, তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর
কার্যালয়ের সম্পর্ক নেই।
সাম্প্রতিক হওয়া চীন সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল (রোববার) সংবাদ
সম্মেলন করেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বাসায় কাজ করেছে, পিয়ন ছিল সে, এখন
৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। বাস্তব কথা। কী করে বানাল এত টাকা?
জানতে পেরেছি, পরেই ব্যবস্থা নিয়েছি। ’
প্রধানমন্ত্রীর বাসার সাবেক পিয়ন ও আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীরের গ্রামের বাড়ি
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়ায়। এলাকায় তিনি ‘পানি জাহাঙ্গীর’ নামে পরিচিত। তিনি
এর আগে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন।
গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালীর চাটখিল ও সোনাইমুড়ী আসনে স্বতন্ত্র
হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে না দাঁড়িয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার
করেন। নির্বাচনী হলফনামায় তার মালিকানাধীন ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ও নোয়াখালী নিজ এলাকায়
বাড়ি, জমি, ফ্ল্যাট, প্লটসহ বিপুল সম্পদের তথ্য উঠে আসে।
গত বছরের ৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিজ্ঞপ্তি জারি করে জাহাঙ্গীর আলম থেকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মো. জাহাঙ্গীর আলম, পিতা: মৃত রহমত উল্যাহ, রহমত উল্যাহ কেরানীর বাড়ি, গ্রাম: নাহারখিল, ইউনিয়ন: খিলপাড়া, উপজেলা: চাটখিল, জেলা: নোয়াখালী- নিজেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করে বেড়াচ্ছেন। তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। এতে আরও বলা হয়, এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে নিকটস্থ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা নিন।
মন্তব্য করুন
চাঁদপুর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুর মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে ইলিশ সহ নানা প্রজাতির মাছ ধরার দায়ে অর্ধশত জেলেকে আটক করেছে টাস্কফোর্স। আটকদের মধ্যে ৩১জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড, ৬ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় বাকীদের মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন ও সদর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রিট শওকত জামিল চৌধুরী ।
বুধবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান।
ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ৪৮ ঘন্টার অভিযানে জেলেদের সাথে থাকা ৩ টি বেহুন্দিজাল, ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, ৭টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা, ও ১০ হাজার মিটার সুতার জাল জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং জব্দকৃত নৌকা মামলার আলামত হিসেবে জব্দ রয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়সার এর নির্দেশনায় কুমিল্লার কাঁচা বাজারের বৃহৎ আড়ত বুড়িচং উপজেলার নিমসার বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
বুধবার পরিচালিত এ অভিযানটি বুড়িচং উপজেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং কৃষি বিপণন অধিদপ্তর দ্বারা সমন্বিতভাবে পরিচালিত হয়েছে।
অভিযানে পাইকারি আড়তদারদের পাকা ভাউচার সংরক্ষণ ও বিক্রি সময় পাকা ভাউচার প্রদান করার জন্য কঠোর সতর্ক করা হয়েছে।
পাশাপাশি এটাও বলা হয়েছে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ না করা হলে অন্যথায় কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই সময় বিভিন্ন অনিয়মে ০২ টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জনস্বার্থে পুরো রমজান ব্যাপি এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ ও বুড়িচং থানার পুলিশ।
মন্তব্য করুন
ব্রাহ্মণপাড়া থানায় কর্মরত
এসআই (নিরস্ত্র)শফিক উল্লাহ, এএসআই (নিরস্ত্র) মোঃ হেলাল উদ্দিন ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ ব্রাহ্মণপাড়া
থানা এলাকা থেকে ৩৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় ।
শুক্রবার দিনে গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল ডিউটি করাকালে ব্রাহ্মণপাড়া
থানাধীন ৪নং শশীদল ইউনিয়নের পশ্চিম বাগড়া সাকিনে আছমত আলী বেপারী বাড়ির পুকুরের দক্ষিণ
পাড়ে পৌঁছামাত্রই পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন লোক দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের
মোকাবেলায় আসামীদের ফেলে যাওয়া ১টি সাদা রংয়ের বিশেষ কায়দায় তৈরী মাছ রাখার ড্রাম তল্লাশী
করে ড্রামের ভিতর লুকিয়ে রাখা ১ টি পাটের বস্তার ভিতর থেকে খাকী রংয়ের কসটেপ দিয়ে মোড়ানো
১০টি বান্ডেল গাঁজা উদ্ধার করা হয় যারে মোট পরিমাণ ২০ কেজি গাঁজা ।
আরেকটি সাদা রংয়ের প্লাস্টিকের
বস্তার ভিতর থেকে খাকী রংয়ের কসটেপ দ্বারা মোড়ানো উদ্ধারকৃত ৭টি বান্ডেল গাঁজার ওজন
হয় ১৪ কেজি গাঁজা ।
সর্বমোট ৩৪কেজি উদ্ধারপূর্বক জব্দ তালিকা মূলে জব্দ
করে উক্ত ঘটনায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায় এজাহার দায়ের করা হয়।
এদিকে ব্রাহ্মণপাড়া থানার
মামলা নং- ২০/১০৫ তারিখ- ২৭/০৪/২০২৪খ্রিঃ ধারা ৩৬(১) সারনির ১৯(গ) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ
আইন ২০১৮ তে রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
স্বামীর ঘরে রাখলেন ইয়াবা। পরে কল দিলেন ৯৯৯-এ। উদ্দেশ্য- যেকোনো ভাবে ফাঁসাতেই
হবে স্বামীকে।
কিন্তু ভাগ্য হলো না সহায় । স্ত্রী নিজেই গেলেন ফেঁসে। শুনতে আশ্চর্য লাগলেও
এমন ঘটনাটাই ঘটেছে রাজধানীতে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁও থানার পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে ১৪ ইয়াবাসহ রুমা আক্তার
(৩০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্বামী কাওছার আহম্মেদের কাছে ইয়াবা আছে বলে
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করেন রুমা, কিন্তু পরে স্বীকার করেন স্বামীকে ফাঁসাতে তিনি
নিজেই এই ইয়াবা কিনে সেখানে রেখেছেন।
তেজগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসিন পিপিএম (বার) এ তথ্য নিশ্চিত করে
জানিয়েছেন, প্রবাসী কাওছার আহম্মেদের সাথে ১২ বছর আগে বিয়ে হয় রুমার। বিয়ের পর থেকেই
তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকে। তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ করেন। ঝগড়া বিবাদের
কারণে কাওছার বিদেশ থেকে চলে আসেন এবং ঢাকায় একটি রেস্টুরেন্টে চাকরি শুরু করেন। দেশে
ফিরলেও তাদের মধ্যে বিবাদ বাড়তে থাকে।
তিনি বলেন, স্বামীকে ফাঁসাতে জাকির নামে এক মাদক কারবারির নিকট হতে ১৪ পিস ইয়াবা
কিনেন রুমা। সেই ইয়াবা শোবার ঘরের একটি ব্যাগে রেখে ৯৯৯- এ ফোন করেন। তাৎক্ষণিক তেজগাঁও
থানা পুলিশের একটি টিম পশ্চিম নাখালপাড়ার কাওছারের বাসায় যায়। রুমার আচরণ সন্দেহজনক
হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এক পর্যায়ে স্বীকার করেন, স্বামীকে ফাঁসাতেই তিনি
নিজে ইয়াবা কিনে ঘরে রেখেছেন। পরে ১৪ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রুমার দেয়া তথ্য মতে ইয়াবা বিক্রির অভিযোগে জাকিরকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে
জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ৩ নং কালিকাপুর ইউনিয়নের ছুপুয়া গ্রামে এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিদেশী পিস্তলসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের নোয়াপুর গ্রামের আবদুল মোতালেবের ছেলে নাজমুল হাসান(২০) ও একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রাকিব হোসেন(২০)। ছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা।
চৌদ্দগ্রাম থানার কর্মরত এসআই(নিঃ)লিটন চাকমা ও এএসআই(নিঃ)মোঃ নজরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সনিয়ে (৬ই মার্চ) দুপুর ১২.১৫ মিনিটে উপজেলার ৩নং কালিকাপুর ইউনিয়নের ছুপুয়া বাজারের পূর্ব পাশে পাকা রাস্তার উপর বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে একটি কাগজের বক্সের ভেতর কসটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ১ টি বিদেশী পিস্তল, ০২টি ম্যাগজিন, ২২ রাউন্ড গুলি সহ ২ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো, উপজেলার ৩নং কালিকাপুর ইউনিয়নের নোয়াপুর গ্রামের আব্দুল মোতালেব এর ছেলে মোঃ নাজমুল হাসান (২০)ও আব্দুল কালাম এর ছেলে মোঃ রাকিব হোসেন(২০)। পলাতক আসামি মোঃ রাহাত(২০) ০৮নং মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে।
বুধবার সন্ধ্যায় তথ্যটি নিশ্চিত করে বিষয়টি নিশ্চিত করে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ত্রিনাথ সাহা তন্ময় বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
যৌথবাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গত সাত দিনে ৪২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ (শনিবার) পর্যন্ত অভিযানে এসব লোককে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হতে ৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশন, ১০ পদাতিক ডিভিশন, ১১ পদাতিক ডিভিশন, ৬ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, ৭ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, ৮৬ স্বতন্ত্র সিগন্যাল ব্রিগেড ও ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিটসমূহ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীর মিরপুর-১, ভাষানটেক, ইসিবি চত্বর, কাঁঠালবাগান, হাজারীবাগ এবং দেশের অন্যান্য এলাকা টঙ্গী, নরসিংদী, রাজেন্দ্রপুর, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব যৌথ অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ, ডাকাত দলের সদস্য ছিনতাইকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক ব্যবসায়ীসহ ৪২৭ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের নিকট হতে অবৈধ অস্ত্র, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, পাসপোর্ট, এনআইডি, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
পাশাপাশি অভিযানে বিভিন্ন স্থানে নকল ভোজ্য তেল ও নকল ফলের জুস এর কারখানা সহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা সিলগালা সহ দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আটককৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোন সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, দেশের বিচার ব্যবস্থার মূল সমস্যা ৪ মিলিয়ন মামলার ভার। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা রাউন্ড-ব্রেকিং টেকনোলজিকাল ইনোভেশন সিস্টেমের উপর ফোকাস করছি এবং মামলা নিষ্পত্তির জটিলতাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি।
সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স
অন জুডিশিয়ারি এক্রোস দ্যা বর্ডার্স (21st Century Challenges and
Experiences from the Himalayas and Beyond) শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক
সম্মেলন হয়েছে ।
আন্তর্জাতিক সম্মেলনটির প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
সম্মেলনটির দ্বিতীয় দিনের প্রথম অধিবেশনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভুটানের হাইকোর্টের বিচারপতি লোবজাং রিনজিন ইয়ার্গে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন- আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন।
প্রধান বিচারপতি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ভুটান ও নেপাল বাংলাদেশকে স্বাধীনতার স্বীকৃতিদানের ইতিহাস কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন এবং পিপলস জুডিসিয়ারি সম্পর্কে বলেন, পিপলস জুডিসিয়ারি ধারণাটি এমন একটি ধারণা, যা সংখ্যালঘুসহ সকল নাগরিকের সমান প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে এবং সংবিধান অনুযায়ী তাদের অধিকারগুলো রক্ষা করে।
প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার মূল সমস্যা উল্লেখ করে- তা থেকে উত্তরণের উপায় ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশের আদালত আজকে ৪ মিলিয়ন মামলার ভারে জর্জরিত। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা রাউন্ড-ব্রেকিং টেকনোলজিকাল ইনোভেশন সিস্টেমের উপর ফোকাস করছি এবং মামলা নিষ্পত্তির জটিলতাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি।
প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা আধুনিকায়নে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। কক্সবাজারে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় জমি বরাদ্দের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এই অধিবেশন দক্ষিণ এশিয়ার বিচার ব্যবস্থার জন্য একটি অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম- যা নিজেদের মধ্যে সংলাপে অন্তর্ভুক্ত হওয়া, ক্রস বর্ডার
ঐক্য গড়ে তোলা ও বৃহত্তর সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপন করবে।
এছাড়া বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান
সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং তা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আর তাই দেশে আজ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ভুটানের হাইকোর্টের বিচারপতি লোবজাং রিনজিন ইয়ার্গে বলেন, ব্যক্তির মানবাধিকার রক্ষায় আইনের শাসনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শক্তিশালী গণতন্ত্রের মূলভিত্তি।
তিনি বলেন, দুটি গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি- কেউ আইনের উর্ধ্বে নয় এবং সকলেই আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। এটা বাস্তবায়ন করা না হলে, আইন ন্যায়বিচারের পরিবর্তে অবিচারের উৎস হয়ে উঠে। তিনি তার বক্তৃতায় ভুটানের বিচার ব্যবস্থার অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির এরূপ সম্মেলনের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, এই সম্মেলনের ফলে এই অঞ্চলের বিচারব্যবস্থার চ্যালেঞ্জগুলো শেয়ার করার মাধ্যমে তা উত্তরণে সহায়ক হবে।
সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- আপিল বিভাগ ও হাইকোর্টের বিচারপতিগণ, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি,
এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, এটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ, সুপ্রিমকোর্ট
বার নেতৃবৃন্দ, সিনিয়র আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তাবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
রাজস্বের আলোচিত সেই মতিউর রহমান, তার স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ ও ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্নবের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৪ জুন) এই আদেশ দেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামস জগলুল হোসেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মীর আহমেদ আলী সালাম।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল।
মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট ড. মো. মতিউর রহমানকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে তাকে। পাশাপাশি তাকে সোনালী ব্যাংক থেকেও অপসারণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১০টিতে সাদা প্যানেল আর এনরোলমেন্ট সেক্রেটারি ও ট্রেজারারসহ ৫টিতে নীল প্যানেল বিজয়ী হয়েছেন ।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সেশনের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর ১৩৫৯ জন ভোটারের মধ্যে ১২৮০জন ভোটার গোপন ব্যালটের মাধ্যমে তাদের সুশ্চিন্তিত মতামত প্রকাশ করেন। এরপর রাত সাড়ে ৯টায় ভোট গণনা শুরু হয় আর শেষ হয় পরদিন সকাল ১১টায়।
জেলা আইনজীবী সমিতির অফিস সূত্রে জানা যায়- এ নির্বাচনে ১৫টি পদে দুটি প্যানেলে ৩০জন প্রার্থী লড়াই করেন। এরমধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১০টিতে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত "লিটন-জাহাঙ্গীর" পরিষদ সাদা প্যানেল এবং এনরোলমেন্ট সেক্রেটারি ও ট্রেজারারসহ ৫টিতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল মনোনীত "কামরুল হায়াত খান-খন্দকার মিজানুর রহমান" নীল প্যানেল বিজয়ী হয়েছেন।
ওই নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত "লিটন-জাহাঙ্গীর" প্যানেল থেকে সভাপতি পদে এডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লিটন পেয়েছেন ৬৭৫ ভোট ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এডভোকেট কামরুল হায়াত খান পেয়েছেন ৫৯১ ভোট এবং সাধারণ সম্পাদক পদে এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া পেয়েছেন ৬৬৮ ভোট ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এডভোকেট খন্দকার মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৫৯০ ভোট এবং সহ-সভাপতি পদে এডভোকেট মোঃ মুজিবুর রহমান বাহার পেয়েছেন ৬৬৭ ভোট ও এডভোকেট মোঃ মাহবুব আলী পেয়েছেন ৬২৭ ভোট এবং তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এডভোকেট মোঃ নুরুল ইসলাম পেয়েছেন ৬০৬ ভোট ও এডভোকেট মোঃ এরশাদুর রহমান পেয়েছেন ৫৭২ ভোট এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ জাকির হোসেন পেয়েছেন ৬৮৪ ভোট ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এডভোকেট গাজী মোঃ নজরুল ইসলাম (মানিক) পেয়েছেন ৫৮৫ ভোট এবং লাইব্রেরি সেক্রেটারি পদে এডভোকেট ফয়েজ আহমেদ পেয়েছেন ৭০১ ভোট ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ মোশারফ হোসেন (পাখী) পেয়েছেন ৫৫৬ ভোট এবং আইটি পদে এডভোকেট মোঃ মহসিন ভূইয়া পেয়েছেন ৬৯৬ ভোট ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এডভোকেট এস, এম সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ৫৬৬ ভোট এবং আমোদ-প্রমোদ সম্পাদক পদে এডভোকেট আছিয়া মাহজাবিন খান নিশু পেয়েছেন ৬৪২ ভোট ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এডভোকেট মোঃ সাইফুর রহমান সায়েম পেয়েছেন ৬১৪ ভোট এবং মেম্বার অব দি ম্যানেজিং কমিটির সদস্য পদে এডভোকেট মাহবুবুল আলম রিমন ৬৯০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় ও এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ৬৭৯ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন।
অপরদিকে, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল মনোনীত "কামরুল হায়াত খান-খন্দকার মিজানুর রহমান প্যানেল থেকে ট্রেজারার পদে এডভোকেট কাজী মফিজুল ইসলাম পেয়েছেন ৬৯৯ ভোট ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এডভোকেট মোঃ আমিনুল ইসলাম পেয়েছেন ৫৪১ ভোট এবং এনরোলমেন্ট সেক্রেটারি পদে এডভোকেট মোহাম্মদ মনির হোসেন পাটোয়ারী পেয়েছেন ৭২২ ভোট ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এডভোকেট কৌশিক সরকার পেয়েছেন ৫৩৬ ভোট এবং সদস্য পদে এডভোকেট কামরুন নাহার ৭৩০ ভোট পেয়ে প্রথম, এডভোকেট মোঃ আবু জাফর ৬৮৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় ও এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক ৬৪৪ ভোট পেয়ে পঞ্চম হয়েছেন।
নির্বাচন পরিচালনা সাব কমিটির আহবায়ক কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আবু তাহের ভোট গণনা শেষে শুক্রবার সকাল ১২টার দিকে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। তাঁকে সহযোগিতা করে নির্বাচন সাব কমিটির সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ এয়াকুব আলী চৌধুরী ও এনরোলমেন্ট সেক্রেটারি এডভোকেট সৈয়দ শাহিদুল আহসান টিপু। এরপর আদালত চত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর মূর্যালে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আ. ক. ম বাহাউদ্দীন বাহারকে ফুলেল শুভেচছা জানান বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত "লিটন-জাহাঙ্গীর" প্যানেল থেকে বিজয়ী সকল নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামী পন্থী প্রায় দুই শতাধিক আইনজীবী।
মন্তব্য করুন