পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের উত্তর উপকূলে একটি ফেরি ডুবে ৯০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন।
সোমবার (৮ এপ্রিল) স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, নামপুলা প্রদেশের কর্মকর্তারা বলেছেন, ফেরিতে ১৩০ জনের মতো আরোহী ছিলেন। কলেরার প্রকোপ থেকে বাঁচতে তারা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র রওনা হয়েছিলেন। আরোহীদের মধ্যে পাঁচজনকে ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নামপুলা সেক্রেটারি অব স্টেট জেইম নেটো বলেছেন, এসব মানুষ কলেরার প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে ফেরিতে অনেক মানুষ উঠে পড়ে। এই জন্য একপর্যায়ে এটি ডুবে যায়। নিহতদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ইতিমধ্যে ,এই ঘটনার অনেক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সমুদ্রসৈকতে মানুষের লাশ সারি সারি করে রাখা হয়েছে। তবে এসব ভিডিওয়ের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।
পর্তুগিজ টিভি আরটিপি জানিয়েছে, ফেরিটি লুঙ্গা থেকে মোজাম্বিক দ্বীপে যাচ্ছিল।
গত বছরের জানুয়ারি থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে কলেরার ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব দেশের মধ্যে মোজাম্বিকের নামপুলা প্রদেশে সবচেয়ে বাজেভাবে কলেরা প্রকোপ দেখা দিয়েছে।
ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, মোজাম্বিকের বিগত ২৫ বছরের ইতিহাসে এবারই সবচেয়ে ভয়াবহভাবে কলেরা ছড়িয়ে পড়েছে। গত বছরের অক্টোবর থেকে দেশটিতে ১৩ হাজার ৭০০ জনের কলেরা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া এই সময়ে কলেরা আক্রান্ত হয়ে ৩০ জনের মৃত্যুর হয়েছে।
মন্তব্য করুন
থাইল্যান্ডে
ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে আজ দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার
(২৯ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের
একটি ফ্লাইট সকাল ১১টা ২৭ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ
করে।
এর আগে ব্যাংককের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে বিমানটি
ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে আসে।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল)
ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে যান।
এই
সফরকে দুই দেশের সম্পর্কের একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা ও থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিন।
প্রধানমন্ত্রীর
সফরে ঢাকা এবং ব্যাংককের মধ্যে পাঁচটি নথি সই হয়।
মন্তব্য করুন
মুরাদুল ইসলাম মুরাদ,
কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রামের
অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে সস্ত্রীক ভুটান ফিরে গেলেন রাজা জিগমে খেসার নাময়িগেল
ওয়াংচুক। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে জেলার সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন
শেষে ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন তিনি। কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন
শেষে সস্ত্রীক ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন রাজা জিগমে খেসার নাময়িগেল ওয়াংচুক।
কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন শেষে সস্ত্রীক ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা
শুরু করেছেন রাজা জিগমে খেসার নাময়িগেল ওয়াংচুক।
এর
আগে বৃহস্পতিবার সার্কিট হাউজ থেকে দুপুর ১ টা ২০ মিনিটে ধরলার পাড়ের অর্থনৈতিক অঞ্চলে
যান এবং পনের মিনিট স্থানটি পরিদর্শনের পাশাপাশি বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ
হারুনসহ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এর
পরে রাজা সড়ক পথে সোনাহাট স্থলবন্দরের দিকে রওয়ানা দেন। রাজা সড়ক পথে দুপুর ১২ টা ১৫
মিনিটে সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে কুড়িগ্রাম
সার্কিট হাউজে এসে পৌঁছান।
কুড়িগ্রামের
জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ জানান, ভুটানের রাজা দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সার্কিট হাউজে অবস্থান
করেন। এরমধ্যে তিনি দুপুরের খাবার সেরে নেন। এরপর দুপুর দেড়টায় তিনি ধরলার পাড়ের কুড়িগ্রাম
সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকায় ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত
জায়গা পরিদর্শন করেন। সেখানে রাজা পনের মিনিট অবস্থানের পর সড়ক পথে জেলার ভূরুঙ্গামারী
উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করেন। স্থলবন্দরে বিশেষ ইমিগ্রেশনের
মাধ্যমে ভারত হয়ে নিজ দেশ ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন রাজা। বাংলাদেশ-ভুটান দুদেশের
যৌথ উদ্যোগে ধরলা পাড়ে ২১৯ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হবে জিটুজি ভিত্তিতে এ বিশেষ অর্থনৈতিক
অঞ্চল। রাজার আগমনকে ঘিরে সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন করে প্রশাসন। ভুটানের রাজার আগমনে
কয়েক স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম
চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট আব্দুল আজিজ জানান, ধরলার পাড়ে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল
গড়ে তোলা হলে সড়ক, নদী ও রেল পথের সুবিধা মিলবে। এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি
অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।
এ
সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কুড়িগ্রাম ৪- আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান পলাশ
সহ আরও অনেকেই।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের মেরিনা তাবাশ্যুম বিখ্যাত মার্কিন সাময়িকী টাইম-এর ২০২৪ সালের বিশ্বের
১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান পেয়েছেন ।
বুধবার ২০২৪ সালের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের এই তালিকা প্রকাশ করেছে ম্যাগাজিনটি।
বিশ্ববিখ্যাত মার্কিন সাময়িকী টাইম প্রতিবছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সারাবিশ্বের
প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিয়ে একটি তালিকা তৈরি করে ।এ বছর উদ্ভাবক ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের
মেরিনা তাবাশ্যুম এই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন।
মেরিনা তাবাশ্যুম পেশায় একজন স্থপতি।
মেরিনার সঙ্গে চলতি বছরের তালিকায় থাকা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে আরো আছেন রাশিয়ার
ইউলিয়া নাভালনায়া, শান্তিতে নোবেলজয়ী ইরানের মানবাধিকার কর্মী নার্গিস মোহাম্মদী, পোল্যান্ডের
প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্কসহ অনেকে।
বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট শিল্পী ক্যাটাগরিতে এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
মেরিনা তাবাশ্যুম সম্পর্কে টাইম লিখেছে, সচরাচর পুরস্কারজয়ী স্থপতিদের সঙ্গে
পরোপকার শব্দটি তেমন একটা উল্লেখ করা হয় না। তবে মেরিনা তেমন সাধারণ নন।
তিনি স্থাপত্য চর্চায় এমন একটি চর্চা তৈরি করেছেন, যাতে স্থানীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের
পাশাপাশি আমাদের এই ধরিত্রী যে বিপদের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তার অগ্রাধিকার ফুটে উঠেছে
।
টাইম আরো লিখেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের বড় ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশে মেরিনা এমন এক
ধরনের বাড়ি তৈরি করেছেন, যার নির্মাণ ব্যয়ও কম এবং সহজে স্থানান্তর যোগ্য। যা
সাধারণ মানুষের জন্য অনেক সুফল বয়ে নিয়ে আসবে।
মন্তব্য করুন
মরিশাসের বালাক্লাভায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল
রিসোর্ট-এ মরিশাস আয়োজিত মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের
অপব্যবহার বিষয়ক প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে
আয়োজিত এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ
আলী আরাফাত। বৃহস্পতিবার এ সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।
সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিদলের প্রধানরা
মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো
এবং একটি আঞ্চলিক ড্রাগ অবজারভেটরি স্থাপনের মাধ্যমে ড্রাগ রেসপন্স সমন্বয়ের জন্য
নেতৃস্থানীয় জাতীয় সংস্থাগুলোর একটি নেটওয়ার্ক স্থাপনের ওপর সম্মেলনে গুরুত্বারোপ
করা হয়।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা
যে চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন তা হলো, তরুণদের মাদক ব্যবহারের অধিক ঝুঁকি, আইনের প্রয়োগ
এবং আন্তঃসীমান্তীয় নিরাপত্তা অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি, অবৈধ আর্থিক প্রবাহ, আন্তর্জাতিক
অপরাধ, পরিবার এবং সামাজিক শান্তি বিনষ্টকরণ, আইনহীন অঞ্চল সৃষ্টি, সমুদ্র নিরাপত্তার
হুমকি, সিন্থেটিক ওষুধের ক্রমবর্ধমান হুমকি, আইনি কাঠামোর ত্রুটি এবং মাদক উৎপাদন ও
ঔষধের বাজারের ক্রমবর্ধমান পরিমাণ।
উল্লিখিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা যেসব প্রস্তাব করেন তা হলো, সমুদ্র নজরদারি বৃদ্ধি এবং আন্তঃসীমান্তীয়
সহযোগিতার উন্নয়ন, মাদক পাচারের নেটওয়ার্ক ব্যাহত এবং ধ্বংস করার জন্য এ সংক্রান্ত
সব দলের অংশীদারিত্ব, পৃথক আঞ্চলিক দায়িত্ব গ্রহণ, ভারত মহাসাগর কমিশন (আইওসি) দ্বারা
প্রতিষ্ঠিত আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তার বিষয়ে অংশীদারদের একত্রিত করা, বিশ্বব্যাপী প্রশিক্ষণ
এবং ভারত মহাসাগরের দেশগুলোর মধ্যে পুলিশি এবং কাস্টমস সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা
বৃদ্ধি করা।
সম্মেলনে আরও যে সুপারিশগুলো
উঠে আসে তা হলো, ড্রাগ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের কৌশল পুনর্বিবেচনা এবং নবায়ন, আইনি
কাঠামো এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পর্যালোচনা, আইওসি এবং জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম
দপ্তরের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ করা, যারা সফলভাবে
মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলা করেছে তাদের উদাহরণ অনুসরণ করে মাদকের
অপব্যবহার এবং সামগ্রিকভাবে সংঘবদ্ধ অপরাধ হ্রাস করতে টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।
সম্মেলনের বিরতিতে মরিশাসের
প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ জগন্নাথের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন বাংলাদেশের তথ্য ও
সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার পক্ষ থেকে মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
২৪টি দেশ ও ২৬টি আন্তর্জাতিক
সংস্থা এ সম্মেলনে অংশ নেয়। সম্মেলনের শেষ সময় মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের
ওপর প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের ঘোষণা গৃহীত হয়।
মন্তব্য করুন
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে (এমএসসি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন।
শনিবার সকালে কনফারেন্স ভেন্যু হোটেল বেইরিশার হফ-এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উভয় নেতা বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এ বৈঠকে তাঁরা পারস্পরিক ও বৈশ্বিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এর আগে, শুক্রবার কাতার ও ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৪-এ যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন দিনের সরকারি সফরে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মিউনিখে পৌঁছেছেন।
সফর শেষে শেখ হাসিনা আগামীকাল রাতে মিউনিখ ত্যাগ করবেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে। -বাসস।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধ
কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। নারী-শিশুসহ সব বয়সী মানুষ
এর শিকার হয়ে জীবন পর্যন্ত দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের
ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়-বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের
(ইউএনএসকাপ) সম্মেলনে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন,
ইসরায়েল-ইরান-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আমি উদাত্ত আহ্বান
জানাচ্ছি। যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। আলোচনার মাধ্যমে
যে কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যারা এখনও বিভিন্নভাবে কষ্ট পাচ্ছেন যুদ্ধের কারণে
তাদের দিকে দেখে বিশ্বনেতাদের যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী
স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দেশটিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা। থাইল্যান্ডে পৌঁছালে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে
নেওয়া হয়।
থাইল্যান্ডে পৌঁছানোর পর শেখ হাসিনা
দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়)
একান্ত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন, এরপর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী
রাজপ্রাসাদে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাক্লাওচাওয়ুহুয়া এবং রানী
সুথিদা বজ্রসুধাবিমলালক্ষণের রাজকীয় দর্শকদের সঙ্গে থাকবেন।
এছাড়াও আজ জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল
এবং এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ
করবেন।
মন্তব্য করুন
গতকাল
(৩ ডিসেম্বর) বিয়ে করলেন অভিনেতা আমির খানের মেয়ে ইরা খান ও তার জিম ট্রেনার প্রেমিক
নূপুর শিখরে। মুম্বাইয়েই বসেছিল তাদের বিয়ের আসর।
আমিরের
প্রথম স্ত্রী রিনার বাড়িতেই পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে ৪ হাত এক হলো। ইরা
বিয়েতে সাবেকি সাজই বেছে নিয়েছিলেন।
যদিও
আর ৫জন কনের মতো লেহেঙ্গা বা শাড়ি পরেননি আমিরকন্যা। ইরার পরনে ছিল নীল ও গোলাপির
কম্বিনেশনে তৈরি ডিজাইনার পোশাক।
তবে
ইরার স্বামী নূপুর শিখরের সাজে ছিল অন্য চমক। শেরওয়ানি, পঞ্জাবি নয় কালো রঙের গেঞ্জি
ও সাদা হাফপ্যান্ট পরে বিয়ের মঞ্চে এসে উঠলেন জামাই!
ইরা
ও নূপুরের বিয়ের ছবি ও ভিডিয়ো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হতেই নূপুরের সাজপোশাক
নিয়ে শুরু হয়ে গেছে আলোচনা। নূপুরের এই সাজ দেখে অবাক সবাই। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে
পারে, কেন কালো টি-শার্ট আর হাফপ্যান্ট পরে বিয়ের আসরে এসেছিলেন বর। আসলে প্রায় ৮ কিলোমিটার
দৌড়ে ইরাকে বিয়ে করতে আসেন নুপূর। রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়েছে তাদের। আর স্বাক্ষর করার
সময় স্যান্ডো গেঞ্জিই পরে ছিলেন নুপূর।
আপাতত
রেজিস্ট্রি করেই বিয়ে করেছেন এই জুটি। আগামী ৮ জানুয়ারি উদয়পুরে হবে জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠান।
মন্তব্য করুন
ডিভোর্স আজকাল এর যুগে এক নিত্যনৈমিত্তিক
ঘটনায় পরিণত হয়েছে । বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চলে মনোমালিন্য যা
শেষ অবধি গড়ায় ডিভোর্সে। জরিপে দেখা গেছে এমন বিচ্ছেদের পেছনে বেশিরভাগ সময় পরকীয়া
থাকে প্রধান কারণ।
তবে কুরকুরে চিপস না আনার কারণে
বিচ্ছেদ ?
এমন অদ্ভুত কারণেও যে হতে পারে
বিচ্ছেদ তার প্রমাণ মিললো ভারতের উত্তরপ্রদেশের আগ্রায়।
মঙ্গলবার (১৪ মে) এক প্রতিবেদনে
এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
স্ত্রীর পছন্দের চিপস আনতে ভুলে
গিয়েছেন স্বামী। আর এতেই রেগে বাপের বাড়ি চলে গেছেন ওই স্ত্রী। তবে এখানেই শেষ না।
রীতিমতো ডিভোর্স চেয়ে ছুটে গেছেন পুলিশের কাছেও।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫ রুপির
কুরকুরে চিপস অনেক পছন্দের ওই স্ত্রীর। এজন্য তার অনুরোধ ছিল প্রত্যেক দিন যেন সেই
চিপস আনা হয়। যা নিয়ে এর আগেও তাদের মধ্যে বিরোধ হয়েছিল। এবার সেই চিপসটি আনতে ভুলে
যায় স্বামী। আর তা নিয়েই বাধে ঝগড়া। একপর্যায়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই যুবতী। তিনি
বলেন, তিনি স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চান।
যদিও এমন অভিযোগ শোনার পর অবশ্য
পুলিশ এই দম্পতিকে ফ্যামিলি কাউন্সেলিংয়ের জন্য রেফার করেছে।
জানা গেছে, গত বছরই বিয়ে হয়েছে
ওই দম্পতির। তবে যুবতীর ডিভোর্সের দাবির বিপরীতে তাদের মতভেদ মেটানোর এবং সংসার রক্ষা
করার প্রচেষ্টায় পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের ফ্যামিলি কাউন্সেলিংয়ে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে নিজের ছেলেকে
কুমির ভর্তি নদীতে ফেলে দিয়েছেন এক মা। এই ঘটনার পরদিন কুমির ভর্তি ওই নদী থেকে ছেলেটির
ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৬ বছর বয়সী ওই ছেলে ছিল প্রতিবন্ধী। চাঞ্চল্যকর
এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকে।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই স্বামী-স্ত্রীকে
আটক করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য
জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বামীর সঙ্গে
ঝগড়ার পর কর্ণাটকে এক নারী তার ৬ বছরের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছেলেকে কুমির-ভর্তি খালে
ফেলে দিয়েছেন। এই ঘটনার একদিন পরে শিশুটির অর্ধ-খাওয়া মরদেহ পাওয়া যায় বলে সোমবার
পুলিশ জানিয়েছে।
অভিযুক্ত ওই নারীর নাম সাবিত্রী। আর
তার স্বামী রবি কুমার (৩৬)। ৩২ বছর বয়সী সাবিত্রী অন্যের বাড়িতে সাহায্যকারী হিসাবে
কাজ করেন। প্রাণ হারানো ওই শিশুর নাম বিনোদ।
এনডিটিভি বলছে, ৩২ বছর বয়সী সাবিত্রী
প্রায়শই তার স্বামী রবি কুমারের সাথে তাদের ছেলে বিনোদকে নিয়ে মারামারি করতেন। ৬
বছর বয়সী বিনোদ ছিল জন্মগতভাবে বধির এবং মূক। এছাড়া সাবিত্রী-রবি কুমার দম্পতির দুই
বছর বয়সী আরও এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
সাবিত্রী পুলিশকে বলেছেন, তার স্বামী
রবি কুমার রাজমিস্ত্রির কাজ করে। ছেলেকে নিয়ে রবি প্রায়ই তাকে কটূক্তি করত এবং তাদের
ছেলেকে খালে ছুড়ে ফেলে মেরে ফেলতে বলত।
তিনি বলেন, ‘(এই ঘটনার জন্য) আমার স্বামী
দায়ী। তিনি প্রায়ই বলতেন- ছেলেকে মরতে দাও এবং সে কেবল খেতেই পারে। আমার স্বামী যদি
এভাবে বলতেই থাকে, আমার ছেলে আর কতটা অত্যাচার সহ্য করবে? আমার দুঃখের কথা জানাতে আমি
কোথায় যাব?’
সংবাদমাধ্যম বলছে, ছেলেকে নিয়ে শনিবার
বিকেলে আবার তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। শনিবারের সেই লড়াইয়ের পর সাবিত্রী তার ছেলেকে উত্তর
কন্নড় জেলার খালে নিয়ে গিয়ে কুমির-ভর্তি পানিতে ফেলে দেন।
পরে স্থানীয় লোকেরা পুলিশকে খবর দেয়
এবং এর পরপরই দমকল কর্মীদের নিয়ে সেখানে তল্লাশি শুরু করা হয়। তবে রাতভর তল্লাশি চললেও
কিছু পাওয়া যায়নি এবং পরদিন সকালে শিশুটির লাশ পাওয়া যায়। তবে মরদেহ ছিল অর্ধ-খাওয়া
ও ক্ষত-বিক্ষত।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে ১০ থেকে ১২ হাজার চীনা নাগরিক অবস্থান করছেন। তাদের অনেকে অবৈধভাবে বসবাস করছেন।
চীনে পড়তে গিয়ে প্রতারক চক্রের খপ্পর পড়ে প্রতারণায় জড়ানো তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাকিবুল ইসলাম রাতুল (২৪), আসাদুজ্জামান রাজু (২৯) ও মামুন হাওলাদার (২৭)।
দেশে অবস্থান করা এই চাইনিজরা পেতেছেন বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদ। বাংলাদেশি যেসব শিক্ষার্থীরা চীনে পড়তে যান, তাদের নিয়ে প্রতারণার এই চক্র গড়ে তুলছেন সেই সব চীনা নাগরিকরা। তারা বিভিন্ন অ্যাপস খুলে, জুয়ার সাইট চালিয়ে এবং অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের লোভে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিমানবন্দর থানা এলাকায় অভিযান তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
ডিবি জানায়, ভুয়া সাইট খুলে কোটি কোটি টাকা নেওয়া চক্রের দুই চাইনিজ নাগরিকসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেটির তদন্ত করতে গিয়ে নতুন করে এই চক্রের সন্ধান মেলে। গ্রেপ্তার তিনজন জানিয়েছেন অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের লোভে ফেলে অ্যাপ খুলে জুয়ার সাইট চালিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রে জড়িয়েছিলেন তারা।
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যায়। তার মধ্যে বৃহৎ অংশ চীনে মেডিকেল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য যায়। তাদের একটা বড় অংশ চাইনিজ ভাষায় পারদর্শী হয়ে উঠে এবং চাইনিজ বিভিন্ন প্রতারক চক্রের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে। আর এ চক্রের মূলহোতা হচ্ছে চীনা নাগরিকরা। তারা ভালো বাংলা বা ইংরেজি বলতে পারেন না। তখন চীনে পড়তে চাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের টার্গেট করেন। তারা চাইনিজ ভাষায় পারদর্শী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দিয়ে বিভিন্ন প্রতারণার কাজটি করে আসছেন।
তিনি বলেন, অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের লোভে ফেলে, অ্যাপ ও জুয়ার সাইট খুলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন চীনা নাগরিকরা। কারণ প্রত্যেকটি প্রতারণার সাইটের অ্যাডমিন চীনে।
চক্রটি চীনেও এসব প্রতারণায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাজে লাগায়। আবার কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে প্রতারণা শিখিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। এরপর সেসব শিক্ষার্থীরা বেনামি সিম সংগ্রহ করে বিকাশ নগদসহ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে নেয়।
এ প্রতারণার মূল পরিকল্পনাকারী দুই চাইনিজ গাগা ও চিং চং (Gaga, Chig Chog)। তারা প্রতারণার জন্য চীনে একটি সার্ভার স্থাপন করেছেন। আর সেসব প্রতারণার টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে তাদের দেশে নিয়ে যাচ্ছে।
গ্রেপ্তার তিন শিক্ষার্থীর বিষয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, গ্রেপ্তার রাতুল, রাজু, মামুন বাংলাদেশ থেকে পড়ালেখার জন্য চীনে গিয়ে চাইনিজ ভাষা শিখে প্রতারক চক্রের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে চীনারা তাদের বলে যে তারা কিছু অ্যাপস তৈরি করেছেন। অ্যাপস ব্যবহার করে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। তাদের সেই কার্যক্রমে কিছু বাংলাদেশি সিম, বিকাশ/নগদ অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন। স্বল্প সময়ে অধিক উপার্জনের আশায় এই প্রতারণায় যুক্ত হয়ে চীনা নাগরিকদের বাংলাদেশি সিম বিকাশ/নগদ অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সরবরাহ করে।
প্রতারণার প্রক্রিয়া সম্পর্কে হারুন বলেন, রাতুল, রাজু, মামুন অনলাইনে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং, অনলাইন ফিনান্সিং, বেটি সাইট, সি-ফাইন্যান্স, লোন অ্যাপস, হানি ট্র্যাপে সরাসরি জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতরা চাইনিজ প্রতারক চক্রের হয়ে বাংলাদেশি এজেন্ট হিসাবে কাজ করে আসছিল। চক্রটি মানুষকে অনলাইনে টাকা উপার্জনের কিংবা পার্টটাইম চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়।
মন্তব্য করুন