অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে
যাওয়া হবে।
আজ শুক্রবার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, টিকিট
জটিলতায় মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ১৮ হাজার শ্রমিককে সব সহায়তা দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান,
বৈঠকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, কর্মসংস্থান তৈরি, ভিসা সহজীকরণ এবং উচ্চশিক্ষা, রোহিঙ্গা
সমস্যা নিয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম
বলেন, বাংলাদেশের কর্মীদের দুই দেশের অর্থনীতিতে অবদান গুরুত্বপূর্ণ। টিকিট জটিলতায়
মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ১৮ হাজার শ্রমিককে সব সহায়তা দেওয়া হবে। এই অঞ্চলকে শান্তিপূর্ণ
দেখতে আসিয়ানকে আরও কার্যকর করতে চায় মালয়েশিয়া।
এর আগে
দুপুর দুইটার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত
জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে
গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ
করবেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
মন্তব্য করুন
শনিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক বলেন, সেনাবাহিনী দেশের মানুষের কল্যাণে এবং জান-মালের নিরাপত্তা প্রদানে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে।
রাষ্ট্রপ্রধান আশা করেন যে আগামী দিনে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ দেশ ও জনগণের যে কোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থাকবে।
সেনাপ্রধান রাষ্ট্রপতিকে জানান, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য দেশব্যাপী সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে।
আজকের
এ সাক্ষাতকালে সেনাবাহিনী প্রধান কুশলাদি বিনিময়ের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সার্বিক কার্যক্রম,
আসন্ন দুর্গাপূজার নিরাপত্তা রক্ষা এবং দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যায় ত্রাণ কার্যক্রম
ইত্যাদি সম্পর্কে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পুনরুত্থান কর্মসূচির উদ্বোধন করে বলেছেন, যে লক্ষ্য নিয়ে তরুণ ছাত্র, জনতা, রিকশাচালক, শ্রমিকরা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন-সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট মাসজুড়ে আমরা গত বছরের প্রতিটি দিনকে আবারও পুনরুজ্জীবিত করব। এই অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে আবার নতুন করে শপথ নেব এবং এটা আমরা প্রতি বছর করব, যাতে স্বৈরাচার আর যেন মাথাচাড়া দিতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজ ইতিহাসের এক গৌরবময় ক্ষণ। এক বছর আগে, এই জুলাই মাসে শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন শুরু করেছিল তা এক অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থান রচনা করে আমাদের মুক্তির স্বাদ দিয়েছিল। জুলাই ছিল দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে এক অমোঘ ডাক, জনতার এক জাগরণ। সেই আন্দোলনের মর্মবাণী ছিল- “ফ্যাসিবাদের বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ, রাষ্ট্রকে জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থাণের স্বপ্ন ছিল নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ এই মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, আমরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে স্মরণ করার যে অনুষ্ঠানমালা নিয়েছি, এটা শুধু ভাবাবেগের বিষয় নয়, ক্ষোভ প্রকাশের বিষয় নয়। আমরা ১৬ বছর পরে বিরাট বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলাম অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এবং যে কারণে অভ্যুত্থান হয়েছিল, তাৎক্ষণিক তাঁর যে লক্ষ্য ছিল সেটা আমরা পূরণ করতে পেরেছি। কিন্তু তাঁর পেছনে ছিল একটা বিরাট স্বপ্ন- নতুনভাবে রাষ্ট্রব্যবস্থা বিনির্মাণ, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ।
স্বৈরাচার যেন আর কখনও ফিরে আসতে না পারে সে বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা প্রতি বছর এই সময়টা উদযাপন করব যাতে পরবর্তীতে আবার এই অভ্যুত্থান করার জন্য ১৬ বছর আমাদের অপেক্ষা করতে না হয়। আমরা প্রতি বছর এটা করব, যাতে স্বৈরাচারের কোনো চিহ্ন দেখা গেলেই তাৎক্ষণিক ভাবে আমরা তার বিনাশ করতে পারি।
সেটার জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থান পুনরুত্থান কর্মসূচি পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বৈরাচারের প্রথম পাতা মেলার আগেই যেন আমরা তাকে ধরে ফেলতে পারি। ১৬ বছর যেন আমাদের অপেক্ষা করতে না হয়।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর ভাষণে জুলাই গণঅভ্যুত্থাণে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে গভীর গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, সেই সব তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ, কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, রিকশাচালকদের—যারা রাস্তায় নেমে গণতন্ত্রের পতাকা উঁচিয়ে ধরেছিলেন; সাহস, ত্যাগ আর দৃঢ়তার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন’।
জুলাইকে ঐক্যের মাসে পরিনত করার আহ্বান জানিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে সরকার প্রধান বলেন, আমরা আজ মাসব্যাপী যে কর্মসূচির সূচনা করছি, তা শুধুই স্মরণ নয় বরং একটি নতুন শপথ। গত বছরের জুলাইয়ে এ দেশের সকল শ্রেণি-পেশা-বয়সের মানুষের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছিল, আমরা চাই, এই জুলাইয়ে সেই ঐক্য আবার সুসংহত হোক।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য— জনগণকে গণতান্ত্রিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা, রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার দাবি জানানো এবং রক্তের বিনিময়ে পাওয়া সংস্কারের এই সুযোগকে হারিয়ে না ফেলা। আমাদের সামনের পথ অনেক কঠিন, কিন্তু মস্ত বড় সম্ভাবনাও আছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, জনগণ যখন জেগে ওঠে, তখন কোনো শক্তিই তাদের রুখে দিতে পারে না। সেই বিশ্বাস নিয়েই আমি আপনাদের আহ্বান জানাই—আসুন, এই জুলাই মাসকে পরিণত করি গণজাগরণের মাসে; ঐক্যের মাসে’।
জুলাই-আগস্টের পুনরুত্থান কর্মসূচির সাফল্য কামনা করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের স্বপ্ন আবার নতুন করে জেগে উঠুক। আমাদের ঐক্য সর্বমুখী হোক, অটুট হোক আমাদের এই অনুষ্ঠানমালার লক্ষ্য।
উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী এবং শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের
জুনের মধ্যে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি
ইলেকশনস (এএনএফআরইএল)-কে আশ্বস্ত করেছেন।
বৃহস্পতিবার
ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এএনএফআরইএল এর একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, এই নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা
এবং দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় এক মাইলফলক।
এএনএফআরইএল
প্রতিনিধিদলে ছিলেন নির্বাহী পরিচালক ব্রিজা রোসালেস, বাংলাদেশ নির্বাচন ও গণতন্ত্র
কর্মসূচির পরামর্শক মে বুটয়, প্রচারাভিযান ও অ্যাডভোকেসি বিভাগের সিনিয়র প্রোগ্রাম
কর্মকর্তা থারিন্ডু অ্যাবেইরাথনা, প্রোগ্রাম অফিসার আয়ান রহমান খান এবং প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট
আফসানা আমেই।
প্রধান
উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ কথা জানান।
এএনএফআরইএল
হলো নাগরিক সমাজের একটি আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক যা এশিয়ায় গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থার
উন্নয়নে নিবেদিত, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, গণতান্ত্রিক সংস্কার
এবং নাগরিক সম্পৃক্ততা বাড়াতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বৈঠকে,
এএনএফআরইএল প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে চলমান বিভিন্ন উদ্যোগ বিশেষ করে নাগরিক সমাজের-নেতৃত্বাধীন
স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কাঠামো পুনর্গঠনের অঙ্গীকার তুলে ধরেন।
প্রতিনিধিদলটি
অংশীজন ম্যাপিং এবং চাহিদা নিরূপণের মাধ্যমে নাগরিক সমাজের সম্পৃক্ততা জোরদার এবং নির্বাচনী
স্বচ্ছতা বৃদ্ধির সুযোগ চিহ্নিত করার বিষয়েও আলোচনা করে।
এএনএফআরইএল
প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ এবং বাংলাদেশে স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে অংশীজনদের সঙ্গে
চলমান সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন।
গতকাল বুধবার (সেপ্টেম্বর ২৫) নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
এ তথ্য জানানো হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বানে সাড়া দিয়ে চীনা সোলার প্যানেল প্রস্তুতকারকরা বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনে আগ্রহী। চীনা সরকার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে।’
এরআগে গত মাসে ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় চীনের সোলার প্যানেল প্রস্তুতকারকদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা।
সাক্ষাৎকালে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘চীনের জনগণের পুরনো বন্ধু’ উল্লেখ করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ থাকবে উল্লেখ করে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা পূর্ণ আস্থা রাখি যে, আপনি (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবেন।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, ‘চীনের সোলার কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বড় আকারে বিনিয়োগ করতে পারে, যা অনেক ধনী দেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারমূলক বাজার প্রবেশাধিকারের সুবিধা পাবে। তিনি আরও বলেন, ‘সোলার কোম্পানি ছাড়াও অন্যান্য চীনা প্রস্তুতকারকরা তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর করতে পারে।’
চীনের সাথে আরো ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ‘নতুন অধ্যায়’সূচনার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। দুই দেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বৃদ্ধিরও আহ্বানও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার বাংলাদেশের কর্মকর্তা, এনজিও এবং সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দকে
বাকুতে কপ২৯ সম্মেলনে দেশের জলবায়ু সংকটের উদ্বেগ তুলে ধরতে অতিরিক্ত প্রচেষ্টা চালাতে
বলেছেন।
জাতিসংঘের
বার্ষিক জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে আজারবাইজানের রাজধানীতে
পৌঁছার পরপরই বাকুতে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি
বাকুর একটি হোটেলে সমন্বয় সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে বলেন, আমাদের প্রধান প্রচেষ্টা
হবে আমাদের উদ্বেগ ও দাবিগুলি কপ২৯-এর চূড়ান্ত ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত করা’।
বৈঠকে
পরিবেশ সচিব ফারহিনা আহমেদ সম্মেলনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান
সম্পর্কে কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।
তিনি
বলেন, বাংলাদেশ শীর্ষ সম্মেলনে জলবায়ু অর্থায়ন, ক্ষতি ও প্রশমন এবং শুধু রূপান্তর ও
অভিযোজন প্রক্রিয়াসহ সকল প্রধান ক্ষেত্রে আলোচনার জন্য নয়টি দল গঠন করেছে। বাংলাদেশের
অন্তত ২৯টি এনজিও এবং সুশীল সমাজ গোষ্ঠী কপ২৯-এ যোগ দিচ্ছে। গ্লোবাল নর্থের ধনী দেশগুলোর
আশ্বাস সত্ত্বেও বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৩৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান এবং ২৫০ মিলিয়ন
মার্কিন ডলার ঋণ জলবায়ু অর্থায়ন হিসেবে পেয়েছে।
এর
আগে বিকেল ৫.১৫ মিনিটে স্থানীয় সময় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
বাকু পৌঁছান।
তিনি
আগামীকাল (মঙ্গলবার) কপ২৯-এর মূল শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং অন্তত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন।
মন্তব্য করুন
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ইংরেজি নববর্ষ ২০২৫ উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদি প্রধান উপদেষ্টাকে শুভেচ্ছা কার্ড পাঠিয়েছেন। তিনি সেখানে লিখেছেন ‘নববর্ষের শুভেচ্ছা’।
মন্তব্য করুন
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাক টিকিট অবমুক্ত করেছেন।
একই সঙ্গে ১০ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম ও ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ডও অবমুক্ত করেন তিনি।
আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এগুলো অবমুক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান ও ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস.এম. শাহাবুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টাকে একটি স্মারক ডাক বাক্স ও ‘ন্যাচারাল বিউটি অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ’শীর্ষক একট বই উপহার দেন।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের
মধ্য দিয়ে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে খুবই
আন্তরিক।
এ
খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের পাশাপাশি টেকসই শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে
বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত রাখার
জন্য তিনি আহ্বান জানান।
প্রধান
উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক
বাণীতে এসব কথা বলেন।
প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৫’
উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড
(বিএবি) এর সকল অংশীজন এবং সহযোগী সংস্থাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। দিবসটির এবারের
প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন : ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের ক্ষমতায়ন (এসএমই)’, বর্তমান
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
ক্ষুদ্র
ও মাঝারি উদ্যোক্তারা বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমাদের মোট দেশজ উৎপাদনের একটি বৃহৎ অংশ এসএমই খাত থেকে আসে।
নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও এ খাতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসএমই খাতের
প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিনিয়ত আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, ক্রেতা ও ভোক্তার
পরিবর্তনশীল চাহিদা এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতার মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এ সকল
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রয়োজন সম্মিলিত বৈশ্বিক উদ্যোগ।
তিনি
আরও বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থা জাতীয় গুণগতমান অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে পণ্য
ও সেবার সরবরাহ ব্যবস্থার সকল পর্যায়ে গুণগতমান নিশ্চিতকরণ, দক্ষ কারিগরি জনবল সৃষ্টি,
বাণিজ্যে কারিগরি বাধা অপসারণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করে এ
সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিএবি এ
লক্ষ্যে কাজ করে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ল্যাবরেটরি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সনদ প্রদানকারী
সংস্থা এবং পরিদর্শন সংস্থাসহ মোট ১৫৫টি সরকারি, বেসরকারি এবং বহুজাতিক সংস্থাকে আন্তর্জাতিক
মান অনুসারে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদান করেছে।’
প্রধান
উপদেষ্টা ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা
করছি।
মন্তব্য করুন
নতুন শিক্ষাক্রমে বিভাগ
বিভাজন (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) নেই। ফলে নবম শ্রেণিতেও একই পাঠ্যবই পড়ছে সব
শিক্ষার্থী।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর)
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচির মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার সাক্ষরকৃত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা নির্দেশনা থেকে জানা গেছে, নবম শ্রেণির
শিক্ষার্থীর যখন দশম শ্রেণিতে উঠবে, তখন বিভাগ বিভাজনের সুযোগ পাবে। তারা আগের
নিয়মে যেন ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে, সেজন্য সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিও
প্রণয়ন করা হবে।
নির্দেশনায় আরো বলা
হয়েছে, ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা
(২০২৬ সালে অনুষ্ঠিতব্য) নেওয়ার লক্ষ্যে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা
অব্যাহত রেখে পূর্বের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর আলোকে প্রণীত সংশোধিত ও পরিমার্জিত
পাঠ্যপুস্তকগুলো (অর্থাৎ ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত পুস্তক) শিক্ষার্থীদের সরবরাহ
করা হবে।
এতে আরও বলা হয়, যেসব
শিক্ষার্থী ২০২৫ সালে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে, তাদের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর
আলোকে প্রণীত শাখা ও গুচ্ছভিত্তিক সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকগুলো (২০২৩
শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত) প্রদান করা হবে। এসব শিক্ষার্থী নবম ও দশম শ্রেণি মিলিয়ে দুই
শিক্ষাবর্ষে সম্পূর্ণ পাঠ্যসূচি শেষে ২০২৭ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ
করবে।
‘জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে প্রণীত বিজ্ঞান,
মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষাভিত্তিক এ পাঠ্যপুস্তকগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি
প্রণয়ন করা হবে, যেন শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই পাঠ্যসূচিটি সম্পন্ন
করতে পারে। পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে পরিচালিত
হবে।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষাবিদ, শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ, মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ,
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রশাসক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও
অভিভাবক প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করা হবে,
যা ২০২৬ সাল থেকে পরিপূর্ণরূপে কার্যকর করা হবে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মাঝে ফারাক্কা বাঁধের ১০৯টি দরজা খুলে দিয়েছে ভারত।
বলা হচ্ছে প্রবল বৃষ্টির কারণে দেশটির বিহার ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যে বন্যা ও পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সোমবার এই বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্টি হওয়া বন্যা পরিস্থিতি ও ভূমিধসের বিষয়ে বাংলাদেশকে আগেই তথ্য জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছে ভারত। ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্প সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ বলছে, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বিপুল বৃষ্টি হওয়ায় ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে পানির চাপ সামলাতে ফারাক্কা বাঁধের সব দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে একদিনে বাংলাদেশে ১১ লাখ কিউসেক পানি প্রবেশ করবে।
এর ফলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের মুর্শিদাবাদসহ বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্পে যে পরিমাণ পানি আসছে, সেই পরিমাণ পানি ছাড়া হয়েছে। ফারাক্কা বাঁধ এলাকায় পানি বিপৎসীমার ৭৭ দশমিক ৩৪ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফারাক্কা বাঁধে পানির অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়েছে। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে পানি বেশি হওয়ায় তা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কর্মকর্তারা আরো বলেছেন, পানি না ছাড়া হলে ফারাক্কা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ফারাক্কা বাঁধ কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিবেশি দুই রাজ্য—বিহার, ঝাড়খণ্ডে বন্যা দেখা দেওয়ায় ফারাক্কা বাঁধে পানির চাপ রয়েছে। তবে নেপালের পাহাড় থেকে এখনও কোনও পানি নেমে আসায় কিছুটা স্বস্তি রয়েছে। ফারাক্কা বাঁধ এলাকায় বিপৎসীমা থেকে ৭৭ দশমিক ৩৪ মিটার ওপরে পানি প্রবাহিত হওয়ায় গেট খুলতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফিডার ক্যানেলে পানির পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের মুর্শিদাবাদ জেলায় গঙ্গা নদীর ওপর ফারাক্কা বাঁধের অবস্থান। বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে ১৯৬২ সালে এই বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বাঁধের কাজ শেষ হয় ১৯৭০ সালে। ফারাক্কা বাঁধের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল।
দেশটির ওই সংবাদমাধ্যম বলেছে, ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় দৈনন্দিন পানি ছাড়ার পরিমাণ বাড়ছে। এদিকে এই পানি ছাড়ার ফলে গঙ্গা থেকে পানি ঢুকছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়। বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। বিহার, ঝাড়খণ্ড-সহ গঙ্গার উচ্চ অববাহিকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত হওয়ায় গঙ্গায় হু হু করে পানি বাড়ছে।
মন্তব্য করুন